
রাস উৎসবে (Rash Yatra) দুই ফুলের খেলা। কোচবিহারের (Coochbehar) মদনমোহন রাস উৎসবের আমন্ত্রনপত্রে ঠাসা শাসক নেতা মন্ত্রীদের নাম। কিন্তু নাম নেই গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। ফলে সরকারি মেলা অনুষ্ঠানে বিরোধী বঞ্চনার অভিযোগ উঠল।
রাসের রাশ যেন ধরল রাজনীতি। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন রাস উৎসবে ভেদাভেদের ছবি ফুটে উঠল। বিজেপির অভিযোগ, পুরসভা আয়োজিত মেলার আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে একাধিক শাসক নেতা-মন্ত্রীর নাম। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সরকারি উৎসবে কি বঞ্চিত বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা?
আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব থেকে শুরু করে বুলুচিক বরাইকের নাম। এদিকে বিজেপির অভিযোগ, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পাল্টা পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, জেলার গুরুত্বপূর্ণ সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সময় মতো চিঠি পৌঁছে যাবে।
উৎসবের মেজাজেও রাজনীতির দুই ফুলের খেলা। কোচবিহারের রাস মেলার উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে ২৭ নভেম্বর। পুরসভা জেলার কাদের গুরুত্বপূর্ণ তালিকায় রাখল, তা নির্ভর করবে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছনোর উপরই।
রাজ্য়ে বারংবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠে আসছে প্রশ্ন। জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর আমডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের খুন। একের পর এক তৃণমূল নেতার খুনে উত্তপ্ত বাংলা। সেই রেশ কাটতে না কাটতে কোচবিহারের বলরামপুরে খুন ছানা ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার রাতে ছানা বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই ছানা ব্য়বসায়ীকে। ঘটনায় পথ অবরোধে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়বসায়ীর নাম সুব্রত ঘোষ (৩৫)। বাড়ি দিনহাটার নাজিরহাটে। খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে ছানা বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই ব্য়বসায়ী। সেই সময় একদল দুস্কৃতী এসে হামলা চালায় তাঁর ওপর। গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর এদিন সকালে স্থানীয়রা ওই ব্য়বসায়ীকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় তুফানগঞ্জ থানায়। খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে তুফানগঞ্জ থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনার কিনারা খুঁজে পায়নি পুলিস। তবে কে কা কী কারণে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কালীপুজোর পরের দিন অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা ব্লকের দলগাঁও ফরেস্টের এক নম্বর কম্পার্টমেন্টের সিকিয়া ঝোরা নদী সংলগ্ন এলাকায়। এখনও অবদি মৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে দেখতে পান অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তবে মৃত ওই ব্যক্তিকে আগে কোনোদিন এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করার পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পাশাপাশি এদিন সাতসকালে কোচবিহার শহর সংলগ্ন শিবযজ্ঞ রোড সংলগ্ন এলাকায় ড্রেনের মধ্যে থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কর্মকার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালে হাঁটতে বেরিয়ে তাঁরা দেখতে পান ড্রেনের মধ্যে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস।
মাথায় ভেঙে পড়ল সিলিং ফ্যান (Ceiling fan)। মুখে দগদগে ক্ষত। গোটা রাত যন্ত্রণায় কাতরেছে আহত ছাত্রী। যতবার মুখের ক্ষতটা চোখে পড়ছে তত যেন আতঙ্ক আরও বাড়ছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছিল কোচবিহার (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জের (Mekliganj) উচলপুকুরী কৃষক উদ্যোগ উচ্চ বিদ্যালয় এখন আতঙ্কের অপর নাম। জানা গিয়েছে, বুধবার ক্লাস চলাকালীনই আচমকা সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীর মাথায় (Injured Students)। আহত দুই ছাত্রীর নাম কৃত্তিকা বর্মন ও বর্ণালি রায়।
আহত ছাত্রী বর্ণালি রায় বলে, বিদ্যালয়ের ভঙ্গুর পরিকাঠামো। ক্লাসরুমে দীর্ঘদিন ধরে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ফ্যান গুলো। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। এই দুর্ঘটনা আবারও ঘটতে পারে, যদি পরিচর্যা সঠিকভাবে না হয়। বর্ণালির প্রশ্ন, তার মুখের ক্ষতের দায় নেবে কে?
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ার মতো স্কুল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। আগে তো লিখিত অভিযোগ পাননি। এখন খারাপ ফ্যানগুলি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সাফাই দিতেই ব্যস্ত স্কুল ইনচার্জ সুশান্ত কুমার দে।
উল্লেখ্য, ঘটনার পর আহত দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে জামলদাহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে বর্ণালিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে বাড়িতে রয়েছে বর্ণালি। তবে কৃত্তিকা বর্মন গুরুতর আহত হওয়ায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
কার গাফিলতির মাসুল গুনছে পড়ুয়ারা? একের পর এক দুর্ঘটনা, একের পর এক ক্ষত! আর কবে হুঁশ ফিরবে স্কুল কর্তৃপক্ষের?
রাতের অন্ধকারে শ্যুট আউটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের (Cooch Behar) খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায়। ১৭ নং জাতীয় সড়কের (National Highway) উপর থেকে উদ্ধার এক জমি ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ (shoot out) দেহ। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জাতীয় সড়কের (NH 31) উপর এমন ঘটনায় আতঙ্কিত আশপাশের মানুষজন। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
পুলিস সূত্রের খবর, সুশীল চন্দ্র দাস নামের ওই জমি ব্যবসায়ী পুন্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত খারিজা কাকড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে রাজারহাট এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী। সেই সময় এই ঘটনাটি ঘটে। জমি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান তাঁদের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানি রাজ, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার চন্দন দাস সহ অন্যান্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কে বা কারা ওই ব্যবসায়ীকে গুলি করেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস।
আবারও রাজ্যে আত্মঘাতী বিএসএফ জওয়ান (BSF Jawan)। এবার ঘটনাস্থল কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি (Sitalkuchi)। বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে বুকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী (Death) হয়েছেন তিনি। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম এন এম স্বামী। তাঁর বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে। কোচবিহারের শীতলকুচি ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গাদোপোতায় ক্যাম্পে থাকতেন তিনি। অন্যান্য জওয়ানরা জানান, শুক্রবার ভোররাতে আচমকা গুলির শব্দ পান তাঁরা। তখনই দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এন এম স্বামী। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এমন ঘটনা হতে পরে বলে আশঙ্কা করছেন সহকর্মীরা।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিএসএফের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গায় পাঠানো হয়েছে। জওয়ানের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে বাহিনীর তরফে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও সেনা জওয়ানদের আত্মঘাতী হওয়ার খবর সামনে এসেছে।
বড়সড় সাফল্য অর্জন করল নিউ কোচবিহার আরপিএফের (RPF) স্পেশাল টীম। বহুমূল্যের হেরোইন (Brownsugar) সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল আরপিএফ এর স্পেশাল টীম। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল করিম। বাড়ি আসামের করিমগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ সংলগ্ন বদরপুরে। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বাজার মূল্যের হেরোইন উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আরপিএফের বিশেষ টিম আসাম থেকে নিউ কোচবিহার রুটের বিভিন্ন গাড়িগুলি নজরদারি শুরু করেন। এরপর নিউ কোচবিহারের রেলওয়ে স্টেশনের ওয়েটিং রুমে একজন ব্যক্তিকে সন্দেহের বসে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সম্পূর্ণ বিষয়টি সামনে আসে। তারপর ওই ব্যক্তিকে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় হেরোইন। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি আসাম থেকে দশটি প্যাকেটে করে এই হেরোইন গুলি নিউ কোচবিহারের এক ব্যক্তির কাছে হ্যান্ডওভার করতে এসেছিলেন। আর তখনই আরপিএফের হাতেনাতে ধরা পরে যায় ওই ব্যক্তি।
তবে ওই ব্যক্তি কোন জায়গা থেকে এই ব্রাউন সুগার নিয়ে আসছিল এবং আর কারা কারা এই হেরোইন পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পারিবারিক বিবাদের জেরে গুলিবিদ্ধ (Shot) মহিলা। ঘটনায় গুরুতর জখম (Injury) হন ওই মহিলা। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহার জেলার শীতলকুচির পাঠান টুলি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, আহত ওই মহিলার নাম রাশেদা বিবি। অভিযোগ, নিজেদের পরিবারের লোকই গুলি চালিয়েছে। গুলি চালানোর ঘটনায় ব্য়পক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই আহত মহিলাকে উদ্ধার করে প্রথমে তড়িঘড়ি পার্শ্ববর্তী শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। তবে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আহত মহিলার ছেলে জানিয়েছে, এক আত্মীয়ের চাষের জমিতে তাঁদের ছাগল ঢুকে গিয়েছিল। সেই কারণে প্রথমে ঝামেলা শুরু হয়। তারপর তাঁদের আত্মীয়দের মধ্য়ে একজন গুলি চালায় এবং সেই গুলি গিয়ে লাগে রাশেদা বিবির গায়ে।
কিন্তু কিভাবে গুলি লাগলো আর ঠিক কি কারণে গুলি চালানো হয়েছিল, সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে শীতলকুচি থানার পুলিস। পাশাপাশি এই গোটা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।
বাবাকে খুন (Dead) করে আত্মঘাতী ছেলে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (CoochBehar) মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুচলিবাড়ি থানার পুলিস। পুলিস মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতেল পাঠায়। ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতদের নাম টফসুল হোসেন (৪৫) ও তার ছেলে আবু বক্কর দিদ্দিক সিদ্দিক (৩০)। তাঁরা কোচবিহারের শুক্টাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় একটি স্কুলের বারান্দায় প্রথমে একটি ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপরেই বিদ্যালয়ের ভিতরে আর একটি দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে পিতাকে খুন করে ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সূত্রের খবর, স্থানীয় ওই বিদ্যালয়ের জলট্যাঙ্কি তৈরির কাজেই তাঁরা বেশকিছুদিন ধরে কাজ করছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও এক যুবক ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় এক বাসিন্দা শ্যামাপদ অধিকারী বলেন, 'ভোররাতে এক যুবক তার বাড়িতে ভয়ে পালিয়ে আসে। পরে তিনি ওই যুবকের কাছে জানতে পারেন স্কুলে ঘরের ভিতরে ছেলে তাঁর বাবাকে লাঠির আঘাতে খুন করেছে। আর এসবকিছু দেখার পর ওই যুবক স্কুলের জানলা খুলে পালিয়ে আসে।'
রাস্তার ধার থেকে এক ব্য়ক্তির মৃতদেহ (Dead) উদ্ধার (Rescue) ঘিরে চাঞ্চল্য় কোচবিহারে। শুক্রবার, এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (CoochBehar) জেলার তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লকের রামপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের জালধোয়া বালাবাড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্য়ক্তির নাম ধনো বর্মন (৫৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বক্সীরহাট থানার অধীন জোড়াই ফাঁড়ির পুলিস। মৃতের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্য়ে।
মৃতের পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তারপর কেউ বাড়িতে ঢুকে কিংবা ফোন করে ধনো বর্মনকে বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়েছে বলে অনুমান। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বক্সীরহাট থানার অধীনে জোড়াই ফাঁড়ির পুলিস এসে মৃতদেহ নিয়ে যেতে গেলে বাধা দেন স্থানীয়রা। মৃতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি আগে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক, তারপর এখান থেকে দেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হবে।
অভিযোগ, এই নিয়ে পর পর দুইজনের মৃত্য়ুর ঘটনা ঘটল তুফানগঞ্জের জালধোয়া বালাবাড়ি এলাকায়। কিছুদিন আগেই একজন মারা গিয়েছেন এই এলাকায়। সেই ঘটনার পর আবারও রাস্তা থেকে উদ্ধার হল এক ব্য়ক্তির দেহ। খুনের অভিযোগ তুলছে এলাকার লোকজনেরা। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়।
নারীদের যৌন নির্যাতন এবং বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা দেশ। এমনকি ওই প্রত্যেকটি ঘটনায় পুলিসি নিরাপত্তা নিয়ে আঙুল তুলছে সাধারণ মানুষ। একের পর এক এইরকম নৃশংস ঘটনায় বেশ আতঙ্কেও রয়েছেন সাধারণ মানুষ। মণিপুর, বিহার, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদার পাশাপাশি একইভাবে উত্তপ্ত কোচবিহারও।
চলতি মাসের ১৮ তারিখে এক নাবালিকা স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ করে দুদিন ধরে ক্রমাগত যৌন নির্যাতন করার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে (Cooch Behar)। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন ওই নাবালিকা (Minor Girl)) স্কুলে যায়। তবে স্কুলে যাওয়ার পর পরই তার পেটে ব্যথা শুরু হয়। আর এরফলে ওই নাবালিকা পড়ুয়া (Dead) স্কুলে ছুটির আবেদন করে স্কুল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। আর ঠিক সেই সময়ই রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কিছু দুষ্কৃতী। তারপরেই দুদিন ধরে ওই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চলে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, নাবালিকার পেটে ব্যথা বা ছুটির আবেদন করে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার কথা আগে স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি ওই নাবালিকার পরিবারকে। ওই মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি না ফিরলে স্কুলে গিয়ে খোঁজখবর করার পর জানা যায় নাবালিকা পেটে ব্যথা হওয়ার কারণে সে আগেই স্কুল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তারপর কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে থানার দারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। থানায় যাওয়ার একদিন পরেই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিস। চিকিত্সাধীন অবস্থায় চলতি মাসের ২৬ তারিখে হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে ওই নাবালিকা।
তবে এই ঘটনায় তখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করেনি পুলিস। পরে গ্রামবাসীরা ওই অভিযুক্তদের ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিসের এই কাজে সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিত ওই নাবালিকার পরিবার। পুলিসের কাজে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাঁরা। এমনকি এই ঘটানয় বেশ আতঙ্কেও রয়েছেন তাঁরা। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা ওই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। এমনকি এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবার, রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা ও বেশকিছু সংগঠন দোষীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। সূত্রের খবর, এক নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে নিগ্রহের ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ঘটনাটি কোচবিহারের কালজানী এলাকার। পুলিস জানিয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিতা। বাকি অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শরীর অসুস্থ থাকায় স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিল ওই নাবালিকা, সেই সময় পাঁচজন যুবক তাকে অপহরণ করে। দুদিন ধরে আটকে রেখে লাগাতার যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছে এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, "স্কুল থেকে ফেরার পথে মেয়েটাকে ৪-৫ জন দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে যায়। এখন গুরুতর আহত অবস্থায় ওকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।"
অর্ধেক নির্বাচন সম্পূর্ণ। আর এই নির্বাচনের মধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে মারধর, ছাপ্পা ভোট, ব্যালট বক্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, গুলি, বোমাবাজির মত ঘটনা। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের জেলায়গুলিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল। তারপরেই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি, মারধর শুরু হয়েছিল। সব মিলিয়ে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আহত-নিহতও হয়েছেন বহু। ঠিক একইভাবে কোচবিহারের প্রত্যেক বুথেই শুরু হয়েছে অশান্তি। তবে কোচবিহারের দিনাহাটতে এই নির্বাচন নিয়ে একটু বেশিই উত্তাপ তৈরি হয়েছে। দিনহাটার ভিলেজ ওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীরপাট স্কুলে বিজেপি কর্মীকে গুলির অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চিরঞ্জিত কাজী, রাধিকা বর্মন নামের দুই বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে ইতি মধ্যেই চিরঞ্জিত কাজীর মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি রাজ্যে ভোট ঘোষণা হবার পরে কোচবিহারে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ অর্থাৎ নির্বাচনের দিনে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা ফলিমারি গ্রাম ৪/৩৮ নম্বর বুথ কেন্দ্রে বোমাবাজি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ভোট কেন্দ্রের বাইরে বিজেপির এজেন্ট মাধব বিশ্বাস নামের ওই ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। দিনহাটা নিউ গীতালদাহ এলাকায় চলল গুলি আহত ৩ জন বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার পরেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ নজরুল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। ভোট কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ভোট কর্মীরা৷ কোচবিহারের বেশ কিছু জায়গায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙা ১, ২ এবং ১৯৭ নম্বর বুথে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দী ছেচুড়া ৮/২১৭ বুথে ভোট বয়কট।
এমনকি গোটা কোচবিহার বিহার জুড়ে ব্যালট বক্স চুরি করার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। মূলত ছাপ্পা ভোট দিয়ে শাসক দলকে জয়ী করতেই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে শাসক দল, এমনটাই অভিযোগ। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে বিরোধী দলের কর্মীরা। এত গুলি, বোমাবাজি, মারধরের পরেও বুথের বাইরে দেখা মিলছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীর। সব মিলিয়ে বেশ এখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কোচবিহার।
প্রচার পর্ব শেষ হতেই ফের অশান্ত কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা (Dinhata)। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটায় তিন বিজেপি (BJP) কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জখম আরও এক বিজেপি কর্মী। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল তৃণমূল।
দিনহাটা ২ নম্বর- ব্লকের বামনহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালমাটি এলাকার ঘটনা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিস। হামলা চালানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক দুষ্কৃতীকে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। বিজেপির অভিযোগ, প্রচার শেষে প্রার্থী রাজু বর্মণের বাড়ির সামনে কর্মীরা বসে ছিলেন। বাইকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আসে। তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা, গুলি ছুঁড়তে থাকে। আহত কর্মীদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে যান বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ ঘোষ। তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলেন তিনি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ভৌমিক জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা কাঙ্খিত নয়। যেভাবেই ঘটনাটি হোক, তা ঘৃণা করি। এই ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে জেলে পুরে দেওয়া উচিত।
ভাইয়ের হাতে খুন (Killed) হলো দাদা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ১ নম্বর ব্লকের মোয়ামারী গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট আঠারো কোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস (Police)। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এমনকি এই ঘটনায় ওই অভিযুক্ত ভাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। তারপরেই অভিযুক্তকে চিকিৎসার জন্য কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জমশের আলী (৩৫) এবং আহত ওই ব্যক্তির নাম রহমত আলী। জমি নিয়ে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। তারপরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু'জন দুজনকে আঘাত করে। তারপরে দু'জনেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। তবে জমশের আলীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার পরেই খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। এরপর পুলিস ঘটনাস্থলে এসে রহমত আলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায়।