
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগেই গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে অশান্তি। কিন্তু রোজ কেন বাড়ছে এই খুনোখুনি? তাঁর কারণ আরও স্পষ্ট করে জানতে রবিবার নিজের কোচবিহার (Cooch Behar) সফরে বিএসএফ (BSF) কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল (Goverment) সিভি আনন্দ বোস। সিতাইয়ে গিয়ে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মূলত জানতে চান, সীমান্ত ঘেষা এই জেলায় ভোটের আগে অশান্তির বাড়বাড়ন্ত কেন?
পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণা থেকেই সীমান্তবর্তী উত্তরবঙ্গের এই জেলা অশান্ত। বিশেষ করে দিনহাটা থেকে রোজই অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার গীতালদহে খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। সম্প্রতি জেলা সফরে পঞ্চায়েতের প্রচার করতে এসে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর মদতেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ঢুকছে দুষ্কৃতীরা।
এই পরিস্থিতিতে এদিন সিতাই বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল। শনিবারই দিনহাটায় তিনি জানান, পঞ্চায়েতে হিংসা তিনি রুখবেনই। তার জন্য তাঁকে যেখানে যেতে হবে, সেখানেই যাবেন। তাঁর এই ঘোষণার পরেও রবিবার উত্তপ্ত হয়েছে দিনহাটা।
উত্তপ্ত কোচবিহারে (Cooch Behar) আহত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) অঞ্চল সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল (Governor) সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। রবিবার সকালেই হাসপাতালে পৌঁছে যান তিনি। পাশাপাশি গীতালদহে খুন হওয়া অপর এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে শনিবার রাতেই ফোনে কথা বলেন।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির অভিযোগ এসেছে। সেই সব এলাকায় ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। রবিবার সকালে সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছে আহত তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলেন। যদিও রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ নিয়ে আগেই অনেক বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যপাল শুধু বিরোধীদের সঙ্গেই দেখা করছেন। শাসক দলের আহতদের সঙ্গে কথা বলছেন না তিনি।
পাশাপাশি রাজ্যপালের কাজকর্ম নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল বিজেপির ক্যাডারের মতো হয়ে কাজ করছে।দিন কয়েক আগে কোচবিহারের গীতালদহে খুন হন এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাঁর নাম বাবু হক। শনিবার রাতে মৃতের পরিবারের সঙ্গে ফোন করে কথা বলেন তিনি।
রাজ্যপালের সফরের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে আহতদের দেখতেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
রাস্তার পাশের জমি থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ (Body)। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Coochbehar) খট্টিমারী এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাজিরহাট ক্যাম্পের পুলিস (Police)। পুলিস দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ওই এলকায়। পুলিস সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাস্তার পাশের একটি জমিতে এই দেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, ওই মৃত দেহটি মুখ উল্টো অবস্থায় জমিতে পড়ে ছিল। আর এই খবর জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। তারপরেই খবর দেওয়া হয় নাজিরহাট পুলিস আউটপোস্টে। শনিবার দিনহাটাতে রাজ্যপালের আগমনের আগেই এভাবে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
কোচবিহারে (CoochBehar) তৃণমূল (TMC) কর্মী খুনে বাংলাদেশি সীমান্তবর্তী এলাকার দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, বাংলাদেশের বর্ডার থেকে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করেছেন কোচবিহারের তৃণমূল কর্মীকে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভামঞ্চ থেকে একথা জানালেন তৃণমূল নেত্রী। ঘটনার তদন্ত হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে দিনহাটায় খুন এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন দিনহাটার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উদয়ন গুহ। তাঁর বক্তব্যেই এবার সিলমোহর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা আজ, মঙ্গলবার সভা মঞ্চে বলেন, 'বিএসএফ-এর গুলিতে আগে অনেকেই মারা গেছে। আমি বিএসএফকে মনে করিনা সবাই খারাপ। শুধু বলব ইনডিপেন্ডেটলি কাজ করার জন্য।' এরসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'আজকেও সকালে আমি শুনেছি কোচবিহারে বাংলাদেশের বর্ডার থেকে এসে গুলি চালিয়ে একজনকে মেরে দেওয়া হয়েছে। আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি।"
কোচবিহার (CoochBehar) থেকে শুরু হয়েছিল নবজোয়ার কর্মসূচি। উত্তরবঙ্গের (North Bengal) এই জেলা থেকেই পঞ্চায়েত ভোটে জয়ের যাত্রা শুরু করল তৃণমূল (TMC)। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, জেলার ১২৮টি গ্রামে পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে শাসকদল। ভোটের আগেই জয়ের খবর এসেছে উত্তরবঙ্গের আরেক জেলা উত্তর দিনাজপুর থেকেও। বৃহস্পতিবারই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল চোপড়া। সেই চোপড়াতেই ২১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় তৃণমূলের।
রাজনৈতিক মহলের মতে পঞ্চায়েত ভোট শুরুর আগে কোচবিহারের এই জয় কার্যত ধাক্কা বিজেপির কাছে। কোচবিহার থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। যিনি অমিত শাহের ডেপুটিও। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের এই জেলা তৃণমূলের কাছেও অস্বস্তির। সম্প্রতি এই কোচবিহারে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ২ জন। ৮ জুলাই নির্বাচনের আগে কোচবিহারই এখন স্বস্তি দিচ্ছে তৃণমূলকে।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, অভিষেকের নবজোয়ার প্রাথমিকভাবে এগিয়ে রাখল তৃণমূলকে।
চলতি পথে এক ব্যাঙ্ক (Bank) কর্মীকে আটকে মারধর করে টাকা ছিনতাই (Robbery)-এর অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দেওয়ানহাট টোপামারি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্মীর নাম দিবাকর সরকার। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা সহ তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল সমস্তটাই ছিনতাই করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিস। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্মী দিবাকর সরকার দেওয়ানহাট স্টেট ব্যাঙ্ক শাখায় কর্মরত। ২০১৮ সাল থেকে তিনি প্রতিদিনই ব্যাঙ্কে যাওয়া আসা করেন। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন সকালেও বলরামপুর তাঁর বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কের উদ্দেশ্যে তিনি বের হন। সেই সময় টোপা মারি আমতলা এলাকায় একটি সাদা রঙের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। তারপর একজন তাঁকে বাঁশ দিয়ে মেরে বাইক থেকে ফেলে দেয়। এরপর তাঁর কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন সহ ব্যাগে থাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা এবং ল্যাপটপ সমস্তটা ছিনিয়ে নিয়ে গাড়িতে করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বুকে আঘাত করা হয়। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা ও বাড়ির লোক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে। ইতিমধ্যেই পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিবার।
আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে আদার (Ginger)। সপ্তাহখানেক আগে যে আদার দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বর্তমানে সেই আদার দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাঁড়িয়েছে।
হঠাৎ করে রপ্তানি কম হওয়াতে দাম বেড়ে (Price Increase) গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।
কোচবিহার শহরে অবস্থিত সবথেকে বড় বাজার ভবানীগঞ্জ বাজার। শুক্রবার ভবানীগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা গেল কোথাও আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। কোথাও আবার ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। হঠাৎ আদার দাম বৃদ্ধি নিয়ে তাঁরা জানান আমদানি কমে গিয়েছে। তাই দাম বৃদ্ধি হয়েছে। কোচবিহারে মূলত অসম, মেঘালয়, মনিপুর থেকে আদা রপ্তানি হয়। সেই ক্ষেত্রে ভুটানে আগেই রপ্তানি কমেছে আদার। নতুন করে মেঘালয়, মনিপুর থেকেও আদার রপ্তানি কমে গিয়েছে।
বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা বিভিন্ন হাট থেকে ও হোলসেল থেকে আদা কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করেন। সেখানেও দাম বেড়ে গিয়েছে। তাই তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় আগামী দিনে আদার দাম আরোও বেশি হবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে এই আদা দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে। দাম বৃদ্ধি হলে বিক্রি অনেকটা কমে যাবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারাও জানান যে, সপ্তাহখানেক আগে তাঁরা যে আদা ৫০ টাকায় কিনেছেন, আজ তাঁরা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দিয়ে কিনছেন। এভাবে দাম বৃদ্ধি হলে পরে আগামী দিনে তাঁদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়বে। তবে কারণ বলতে মনিপুরে গন্ডগোলের জেরেই মনিপুর মেঘালয় আসামে সমস্ত জায়গা থেকে কিছুটা হলেও আদার রপ্তানি কমেছে তাই কোচবিহার জেলাতে গ্রামে বৃদ্ধি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার অবস্থা বেহাল (Roadproblem)। কোচবিহার (Cooch Behar) এক নম্বর ব্লকের চিলকিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত ঘাঘের কুঠি ও পান্তা বাড়ি এলাকায় রাস্তা নেই বললেই চলে। রয়েছে কাঁচা রাস্তা। বহুদিন ধরে পাকা রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকার মানুষ। অভিযোগ, বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনওরকম সমাধান হয়নি।
স্থানীয়দের দাবি, বহু দিন রাস্তার সমস্য়ায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। পাকা না হোক, তবে রাস্তা মেরামত করা হোক। পঞ্চায়েতে এই আবেদন জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। যার ফলে প্রতিনিয়ত স্থানীয় মানুষদের সমস্যার সমুখীন হতে হচ্ছে। চিলকিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত কালিগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে রাস্তাটি দিয়ে পশারীহাট পর্যন্ত যাওয়া যায়। প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা এই অবস্থায় রয়েছে।
বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে কার্যত চলাফেরা করা যায় না। গাড়ি পর্যন্ত ঢুকতে পারে না এই রাস্তা দিয়ে। তাই এই রাস্তা মেরামত না করা হলে ভোট বয়কট করবে বলে জানিয়েছে এলাকার মানুষ। তার কারণ দীর্ঘদিন প্রধান পঞ্চায়েতকে জানিয়েছেন তাঁরা। তারপরেও কেউ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। একদিকে পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা তৈরীর করার কথা বলছে রাজ্য সরকার, আর অন্যদিকে এই গ্রামের রাস্তা মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেই।
কোচবিহারের (CoochBehar) মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের রামঠেঙ্গা বাজার এলাকায় সোনার দোকানে (Gold Shop) প্রকাশ্যে চুরির (Theft) ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য। প্রায় ২ লক্ষ টাকার চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর দেওয়া হয় ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিসকে। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস (Police)।
জানা গিয়েছে, রামঠেঙ্গা বাজার এলাকার জনৈক বাসিন্দা রাজু দাস। তিনি শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে দোকানের যাবতীয় সামগ্রী নিয়ে এসে দোকান খোলেন। এরপর ব্যাগটি দোকানে রেখে বাজারের মধ্যে থাকা একটি টিউবওয়েল কল থেকে জল আনতে যান। জল নিয়ে এসে দোকানে ঢুকে দেখতে পান, সোনা-রূপোর জিনিসপত্রের ব্যাগটি দোকানে নেই। ব্যাগটি না পেয়ে হতভম্ভ হয়ে পড়েন দোকানের মালিক। এই ঘটনার পরেই বাজারের শোরগোল পড়ে যায়। দোকানের মালিক রাজু দাস জানান, সমস্ত সোনার গয়না, রূপো চুরি করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সব মিলিয়ে প্রায় দুই লক্ষ টাকার জিনিস ছিল ওই ব্যাগটির মধ্যে।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহখানেক ধরেই ঘোকসাডাঙা থানার বিভিন্ন এলাকায় চোরের উপদ্রপ বেড়েছে। তবে সকাল সকাল এই চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা বাজার চত্বরে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক জানান, তাঁরা বাজারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর চিন্তাভাবনা করছেন। পাশাপাশি পুলিস পিকেটিং-এর দাবিও জানিয়েন তিনি।
কলের রড দিয়ে শ্বশুরের উপর প্রাণঘাতী হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত (Injured) অবস্থায় শ্বশুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত জামাইকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) শহরের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন টাকাগাছ বাঁধের পাড় এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস। পুলিস (Police) অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। জানা গিয়েছে, আহত শ্বশুরের নাম তাপস সরকার (৬০)। আর অভিযুক্ত জামাই-এর নাম ভীম সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটে এই ঘটনাটি। পরিবারিক অশান্তিকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত তাপস সরকারের মেয়ের সঙ্গে জামাই ভীম সরকারের চার বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের এক সন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই জামাই মেয়ের উপর অত্যাচার করতেন, অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের দাবি, বহুবার এই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ করার পরেও জামাই বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে অত্যাচার চালাতেন এবং হমকিও দিতেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর তাপস সরকার বাজার করতে যান। বাজার নিয়ে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময়ই টাকাগাছ বাঁধের পাড় এলাকায় জামাই আগে থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই জামাই ভীম সরকার তাঁর শ্বশুর তাপস সরকারকে বিভিন্ন ভাবে কটুক্তি করেন বলে অভিযোগ। তাপস তাঁর প্রতিবাদ করলে সেই সময়ই ভীম কলের রড নিয়ে এসে তাঁকে বেধড়কভাবে মারেন। ফলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে পড়েন তাপস সরকার।
স্থানীয়দের দাবি, সঙ্গে সঙ্গে তাপসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত ভীম সরকার পালানোর চেষ্টা করতেই তাঁকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। পরে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এলে তাঁকে পুলিসের হতে তুলে দেয়। পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এ যেন ভোটার আগেই ব্যালট (Ballot) লুটের প্রস্তুতি। কোচবিহারের (Coochbehar) পর এবার জলপাইগুড়িতে দেদার ব্যালট পেপার লুটের অভিযোগ। রাজগঞ্জে শ্রীসংঘের মাঠ থেকে মিটিং শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চলে যেতেই ছন্দপতন। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যেই ব্যালট লুটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তিতে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার জন-সংযোগ যাত্রা কর্মসূচিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছেছিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে৷
গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যই অভিষেকের এই জনসংযোগ যাত্রা৷ জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসভা করছেন তিনি। এমনকি, সাধারণ মানুষ ও কর্মীদের সঠিক মানুষকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে এবং ফোন করে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও শুরু করা হয়েছে৷ কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলাতে শুক্রবার থেকে ভোট দানে বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, কোথাও স্কুল পড়ুয়ারা ভোটদান করেছে আবার কোথাও একই মানুষ একাধিকবার ভোট দিয়েছেন। শনিবার সেই বিশৃঙ্খলা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এদিন রাজগঞ্জ বিধানসভার শ্রীসংঘের মাঠে অভিষেকের সভার পাশেই রাখা ছিল ব্যালট বক্স৷ সেখানেই ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিষেকের সভার পরেই ছন্দ পতন ঘটে। ব্যালট নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়৷ পুলিসের সামনেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে চলে ব্যালটের লুটপাট। সভায় উপস্থিত এক তৃণমূল কর্মী এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, 'এইভাবে ভোট হয় নাকি ! ব্যালট লুট করে নিল সবাই।'
শালবাগান (Tree Cutting) থেকে প্রায় ৩০০টি গাছ কেটে ফেলার ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Coochbehar) শহর সংলগ্ন বিনপট্টি এলাকার এক শালবাগানে। বন দফতরের চোখের আড়াল থেকেই এই ঘটনাগুলি ঘটছে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত পরিবেশপ্রেমী থেকে শুরু করে এলাকার জনসাধারণ। স্থানীয়দের দাবি, শালবাগানে গিয়ে দেখা গেল শতাধিক গাছের থেকে তিনশোর মত গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বন দফতরের (Forest Division) দিকে। কীভাবে বন দফতরের আড়ালে এতগুলো গাছ কেটে ফেলা হলো? আর কেনই বা তা প্রশাসনের নজরে এলো না?
কোচবিহারের এই ঐতিহ্যবাহী শালবাগানে বিভিন্ন সময় ছুটির দিনে বহু মানুষ ঘুরতে আসেন। যেভাবে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান স্লোগান উঠছে বিভিন্ন মহলে। আর সেই জায়গায় থেকে দাঁড়িয়ে এভাবে বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়েছে চারিদিকে।
শুরু হল অভিষেকের (Abhishek Banerjee) 'নবজোয়ার' যাত্রা। প্রচারের শুরুতেই সাধারণ মানুষের ভিড়। জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছে তৃণমূল (TMC)। নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা ৬০ দিন রাজ্যের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। দলকে পৌঁছে দেবেন একেবারে মানুষের দুয়ারে। মঙ্গলবার কোচবিহারে সেই জনসংযোগ যাত্রা উপলক্ষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ঠাসা কর্মসূচি।
সকাল থেকে কোথায় যাবেন, কী করবেন অভিষেক? বিস্তারিত সূচি প্রকাশ্যে এসেছে। কোচবিহারে অভিষেকের জনসংযোগের দিন শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে। রাত পর্যন্ত নানা কর্মসূচিতে তিনি ব্যস্ত থাকবেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কোচবিহারের শীতলকুচিতে যান অভিষেক। সেখানে বিএসএফের গুলিতে নিহত প্রেমকুমার বর্মন এবং মোজাফফর রহমানের পরিবারের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। সাহেবগঞ্জ ফুটবল মাঠে ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক।
এর পর সকাল ১০টা নাগাদ মাধাইকল কালীবাড়িতে পুজো দেন অভিষেক। পুজো দিয়ে ‘দিদির দূত’ লেখা খোলা ছাদের বাসে ওঠেন তৃণমূল সাংসদ। সেখান থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হয়। সকাল ১১টা নাগাদ আবার সাহেবগঞ্জ ফুটবল মাঠে দিনহাটা(২) এবং দিনহাটা ১(বি) ব্লকের ১৬টি অঞ্চল নিয়ে জনসভা করেন তিনি।
বেলা ১টা নাগাদ অভিষেক পৌঁছে যাবেন গোসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে। দিনহাটা ১(এ) এবং সিতাই ব্লকের ১৭টি অঞ্চল নিয়ে সেখানে তাঁর জনসভা করার কথা। বিকেল ৩টেয় পঞ্চায়েত সমিতির মাঠে আরও একটি জনসভা রয়েছে তাঁর। শীতলখুচি ব্লকের ৮টি অঞ্চল নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।
বিকেল ৫টা নাগাদ অভিষেক থাকবেন মাথাভাঙা কলেজ ময়দানে। মাথাভাঙা, দিনহাটা, শীতলখুচি, সিতাই এবং মেখলিগঞ্জ পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ৭৫ অঞ্চলের সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করবেন তিনি। এই সভায় থাকবেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং বুথ সভাপতিরাও। প্রত্যেক এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, যুব এবং মহিলা সভাপতি এবং শাখা সমিতির সদস্যেরাও অভিষেকের বিকেলের সভায় হাজির থাকবেন। এই সভায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। সভার শেষে অভিষেকের নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে সেখানেই। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মাথাভাঙা কলেজ প্রাঙ্গণে অভিষেক রাত্রিযাপন করবেন।
সোমবার জনসংযোগ যাত্রার শুরুতে অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, সন্ত্রাসহীন পঞ্চায়েত ভোট করাই তাঁদের চ্যালেঞ্জ। তার জন্য চাই ‘ভাল প্রার্থী’। তাই ভাল মানুষের খোঁজে তিনি পথে নামছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর এই ৬০ দিনের সংযোগ যাত্রার বিভিন্ন কর্মসূচির দিকে চোখ থাকবে সকলের।
মঙ্গলবার কোচবিহারের (CoochBehar) দিনহাটা থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই লক্ষে সোমবার কোচবিহার পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কর্মসূচি শুরুর ঠিক একদিন আগে টুইট করে অভিষেককে অভিনন্দন জানিয়ে উৎসাহ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার টুইট করে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল নব জোয়ার হল একটি প্রথম অভিনব রাজনৈতিক প্রয়াস। এই প্রয়াসের জন্য আমি অভিষেক এবং দলের কর্মীদের জনসংযোগ যাত্রা শুরু করার জন্য আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন জানাতে চাই। এই যাত্রা রাজ্যজুড়ে হবে।’ সোমবার বিকেলে কোচবিহার পৌঁছে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। পরদিন থেকে শুরু করবেন জনসংযোগ যাত্রা (Janasangjog Rally)।
এই কর্মসূচিতে আগামী ৬০ দিনের সূচি সাজিয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করে ৬০তম দিনে তা সাগরে এসে শেষ হবে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের এই কর্মসূচর ঘোষণা করেন অভিষেক। পঞ্চায়েতে দলের প্রার্থী খুঁজতে ২৫০টি জনসভা করবেন তিনি, সঙ্গে হবে ৬০টি অধিবেশন। ৩০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করার পাশাপাশি ৩,৫০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবেন তিনি। এই কর্মসূচিতে তিনি অস্থায়ী ছাউনিতে রাত্রিযাপন করবেন। এই কর্মসূচি সফল করতে রবিবার রাজ্য এবং জেলাস্তরে নির্বাচনী কমিটি গঠন করল তৃণমূল।
রাজ্যস্তরের এবং জেলাস্তরের কমিটির কাজ কী হবে সে বিষয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের ২২ জন শীর্ষ নেতা। জেলাভিত্তিক ৮টি জোন তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের একটি করে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রাখা হয়েছে ৬ থেকে ১০ জন তৃণমূল নেতাকে। এই কমিটিগুলির কাজ হবে গোটা প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। সেই সঙ্গে ভোটার তালিকা তৈরি করা থেকে শুরু করে যাঁরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন, তাঁরা যাতে সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
গ্রামবাংলার মতামত সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের ইনচার্জ এবং কো-ইনচার্জদের বিশেষভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। রাজ্যস্তরের যে নির্বাচনী কমিটি তৈরি করা হয়েছে তার চেয়ারম্যান করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে। কমিটির বাকি সদস্যেরা হলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুইয়াঁ, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস-সহ ২২ জন নেতা। কলকাতা বাদে রাজ্যের ২২টি জেলাকে ৮টি ভাগে ভাগ করে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Vote) শিয়রে রেখে জনসংযোগ বাড়াতে সম্প্রতি জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নাম দেওয়া হয়েছে 'জনজোয়ার' ও 'গ্রাম বাংলার মতামত।' অভিষেকের এই কর্মসূচির প্রথম সভাস্থল কোচবিহারের সভার আগেই বড় ভাঙন তৃণমূলে। সূত্রের খবর, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে তৃণমূলের দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ প্রায় এক হাজার কর্মী শাসকদল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) নাম লিখিয়েছেন।
যার পরে সিএন-ডিজিটালকে কোচবিহারের বিজেপি জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, 'শুরুর আগেই ভাটা জোয়ারে!' যদিও এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি সোমবার সিএন ডিজিটালকে বলেন, 'এসব করে বা প্রচার করে বিজেপি কিছুই করতে পারবে না। চক্রান্ত করে অভিষেকের সভা বানচাল করার ধান্দা বিজেপির, আর কিছুই না।'
পঞ্চায়েতের আগে ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ এই নতুন কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে এই কর্মসূচির শুভ সূচনা। ঠিক তার আগে কোচবিহারের হাজারের অধিক কর্মী, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মৃত্যুঞ্জয় রায় ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জীব চন্দ্র রায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এই ঘটনায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে শাসকদল।