সন্দেশখালিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। এরপর আলমগীর শেখ এবং শেখ শাহজাহানের অন্যতম সহযোগী শিবপ্রসাদ হাজরা ও দিদার বাক্স মোল্লাকে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে নিয়ে আসা হল।
সূত্রের খবর, শেখ আলমগীর বন্দুক, পিস্তল নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। সাধারণ মানুষদের হুমকি দিয়ে বেড়াতেন। এমনকি শেখ আলমগীর শিবু হাজরার সঙ্গে যোগসাজশ করে সাধারণ মানুষের অর্থের অপব্যবহার করেছেন। শুধু তাই নয়, শিবু হাজরা কন্ট্রাক্টরদের হুমকি দিতেন। কন্ট্রাক্টরদের একপ্রকার বাধ্য করতেন এসকে এসটি ব্রিক ফিল্ড থেকে ইট কিনবার জন্য।
অভিযোগ, শেখ শাহজাহানের নাম করে তার সহযোগী শিবু হাজরা জমি দখল, অগ্নিসংযোগ, খুন, চাঁদাবাজি, হুমকি দিতেন সাধারণ মানুষদের। এই শিবু হাজরা বেনামি সম্পত্তিতে জড়িত ছিলেন। শিবপ্রসাদ হাজরা শিব এন্টারপ্রাইজের মালিক। এই শিব এন্টারপ্রাইজ এর ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে দেখা গিয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমাণের অর্থ লেনদেন হয়েছে। এই অর্থ জমি দখলের বলে ধারণা তদন্তকারী সংস্থার। সেই কারণেই শেখ আলমগীর, শিবু হাজরা ও দিদার বাক্স মোল্লাকে জমি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে তৎপর ইডি। গত বৃহস্পতিবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই তল্লাশি অভিযানে বেশকিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া নতুন বাজারের একটি গ্যারেজ থেকে তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা আধিকারিকরা। অভিযোগ, ওই গাড়িগুলি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের গ্যারেজে রাখা ছিল।
সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলির মধ্যে একটি শেখ শাহজাহানের, একটি গাড়ি তাঁর ভাইযের এবং অপর গাড়িটি এক ব্যবসায়ীর। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মোসলেম শেখকে তলব করে ইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। সেখানে তাঁকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর শনিবার তাঁকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন মোসলেম শেখ। আগামী দিনে এই দুর্নীতির তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।
সন্দেশখালির ঘটনার ১৯ দিন পার। কিন্তু এখনও অধরা সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশা' শেখ শাহজাহান। এবারে তাকে হাজিরার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ২৯ জানুয়ারি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি।
দীর্ঘদিন হয়ে গিয়েছে। খোঁজ মিলছে না সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের। আজ বুধবার সকালে হঠাৎ করেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। এরপরই 'বেতাজ বাদশা' শাহজাহান শেখকে হাজিরার নির্দেশ দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাড়িতে কেউ না থাকায় আজ সমনের নোটিশ বাড়ির দেওয়ালে আটকে দিয়েছে ইডি। ২৯শে জানুয়ারি, সকাল ১১টার মধ্যে সিজিওতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শেখ শাহজাহানের বাড়িও ইতিমধ্যেই সিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। 'নিখোঁজ' শেখ শাহজাহান ২৯ জানুয়ারি ইডির সামনে হাজিরা দেয় কিনা, সেদিকে তাকিয়েই সারা বাংলা।
ইডি (ED) দফতরে পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর জন্মদিনেই তাঁকে সমন পাঠান ইডি। এর পর বুধবারই জানানো হয় যে, তিনি বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্স হাজিরা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে নিজের গাড়িতে চেপে বাড়ি থেকে বেরোন অভিষেক। এর পর ১১টা ৫ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছে যান।
জ্যোতি কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক ও দেবপ্রিয় মল্লিকের পর এবারে ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে এলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক অমিত দে (Amit Dey)। সোমবার সকাল ১১টা ১৯ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন তিনি। সেখানে তাঁর হাতে এক নথি দেখা যায়। তাঁকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, তাঁর বাড়ির কিছু নথি নিয়ে এসেছেন তিনি।
আজ অর্থাৎ সোমবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে ইডি দফতরে প্রবেশ করতেই জানান, তাঁকে তাঁর বাড়ির দলিল নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। তাই তিনি আজ তাঁর বাড়ির দলিল নিয়ে এসেছেন। এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়ক অমিত দে সিএন-এর মুখোমুখি হয়ে আরও জানান, 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পুরনো বাড়ি কলেজ স্ট্রিট চত্বরে, আমিও ওই এলাকার ছেলে। আমি ব্যবসা করতাম, পরবর্তীকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমাকে চাকরি দেন। চাকরি করার কোনও ইচ্ছে আমার ছিল না কারণ আমার পৈত্রিক ব্যবসা আছে। তারপরেও রাজনৈতিক চাপে আমি চাকরি করতে বাধ্য হই।'
তিনি আরও বলেন, 'দফতরের বেশকিছু কাজ আমি দেখতাম তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টা আমার জানা ছিল না। মন্ত্রীর ঘরে কে আসবে, কে যাবে সমস্ত বিষয়টা দেখতেন অভিজিৎ দাস। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে আর্থিক লেনদেনের সমস্ত হিসেব পাওয়া যাবে। আমি শুধুমাত্র মন্ত্রীর আজ্ঞাবহ ছিলাম। আমার বিশ্বাস উনার স্ত্রী এবং মেয়ে দুজনেই আজ্ঞাবহ ছিলেন।'
বাকিবুরের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অমিত দে জানান, 'বাকিবুরকে চিনি, কিন্তু আমি বাকিবুরকে পছন্দ করতাম না। ২০১৬ সালের অভিজিৎ চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে আমি ওই জায়গায় নিযুক্ত হই। তখন আমার ওপর কিছু নির্ভর করত না। মন্ত্রীর ঘরে বাকিবুররা সরাসরি ঢুকতেন। আর শুধু মন্ত্রীর ঘর কেন পুরো দফতরের অফিসারদের ঘরে বাকিবুররা যাতায়াত করতেন।'
অমিত দে আরও বলেন, 'ইডি আমাকে তদন্তের স্বার্থে মন্ত্রীর যাবতীয় ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, আমি যতটা জানি তা জানিয়েছি। আমি মন্ত্রীর নির্দেশ মত কাজ করতাম। আমার হাত দিয়ে কোনদিন কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি। আমি অভিজিৎ কেউ কোনদিন টাকা পয়সা নিতে দেখিনি। মন্ত্রীর সম্পত্তি এবং কোম্পানি সম্পর্কে আমি ওয়কিবহাল নই।'
রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) এবারে ইডির (Enforcement Directorate) স্ক্যানারে রাজ্যর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। সোমবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ডাকা হয়। সেই মতই সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ বিভিন্ন নথি নিয়ে সল্টলেকের ইডি দফতরে পৌঁছে যান দেবপ্রিয় মল্লিক। তবে পরে ১১টা ১৪ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তিনি। রবিবারই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন জ্যোতি কন্যা প্রিয়দর্শিনী। আর এবারে ইডির নজরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা।
জানা গিয়েছিল, আজ ইডি দফতরে জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয় মল্লিককে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রেশন দুর্নীতি, সরকারি কর্মী না হয়েও পিএসসি-র সদস্য হওয়া- সার্বিক বিষয়গুলি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু ইডি দফতরে যাওয়ার পরই কিছুক্ষণ বাদে বেরিয়ে যান তিনি। সাংবাদিকদের বললেন, 'একটি চিঠি জমা করতে এসেছিলাম। এই চিঠির ব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় ও ইডি জানেন, আমি জানি না।' রবিবার ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শনী মল্লিক একাধিক নথি নিয়ে আসলেও তদন্তকারী আধিকারিক না থাকায় ফিরে যেতে হয় তাঁকে। ফলে আজ ফের তাঁর আসার কথা রয়েছে। ২০১৬ সালে মন্ত্রী কন্যার অ্যাকাউন্ট-এ কীভাবে কোটি টাকা এলো তারই খোঁজ করছেন ইডি আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা উন্নত হওয়ার জন্য তাঁকে সিসিইউ থেকে কেবিনে শিফট করা হয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ বৈঠকে বসবে মেডিকেল বোর্ড। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে প্রতিদিন রাতে একজন করে ইডি আধিকারিক থাকছেন হাসপাতালে। কিছুক্ষণ আগেই বেরিয়ে গেলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তণ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কে হাসপাতাল থেকে ইডি হেফাজতে যাওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
রবিবার ইডি দফতরে (Enforcement Directorate) হাজিরা দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে গিয়েই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। ফলে তাঁকে রীতিমতো বিরক্ত হতেও দেখা যায়। এমনকি সাংবাদিকদের ধাক্কা দিতেও দেখা গেল। তবে ইডি দফতরে গেলেও কয়েক মিনিটের পরই তাঁকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
রবিবার দুপুর ১টা ১০ মিনিট নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছে যায় জ্যোতিপ্রিয় কন্যা প্রিয়দর্শিনী। এদিন ব্যাংক সহ একাধিক নথি নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হন জ্যোতিপ্রিয় কন্যা। জানা গিয়েছে, আজ ইডি দফতরে তদন্তকারী আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। ফলে সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট পরেই বেরিয়ে যান তিনি। রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই দুর্নীতি কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে ইডি। ইতিমধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সে সম্বন্ধে কিছু নথি চেয়ে জ্যোতি কন্যাকে ডাকা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর।
তবে আজ ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে না পারলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় প্রিয়দর্শিনীকে। কিন্তু তাঁদের কোনও প্রশ্নের উত্তর তো দেননি। বরং বিরক্তি প্রকাশ করেন ও মেজাজ হারিয়ে অবশেষে নিজের গাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি।
টানা সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর ইডির দফতর থেকে বেরলেন অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয় তাঁকে। বুধবার সকাল ১০ টা ৫৭ মিনিটেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন অভিষেক জায়া। এর পর সন্ধ্যা ৭ টা ৩১ মিনিটে বাইরে বেরিয়ে আসেন। সূত্রের খবর, এদিন ইডির আধিকারিকরা তাঁকে ২ দফায় জেরা করেন। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে রুজিরাকে একাধিক প্রশ্ন করেন তাঁরা। তবে এদিন ইডির জিজ্ঞাসাবাদের ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি তিনি। দফতর থেকে বেরতেই সোজা গাড়়ি নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।
অবশেষে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। ইতিমধ্যেই ইডি দফতরে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-যোগে তাঁকে তলব করেছিল ইডি। এর আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এই প্রথম অভিষেক পত্নীকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করা হল। বুধবার সকাল ১০.৫৭ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি।
সূত্রের খবর, ইডির নোটিস অনুযায়ী, বুধবার সকাল ১১টায় রুজিরার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই রুজিরা পৌঁছে যান সিজিও কমপ্লেক্সে। একটি সাদা গাড়িতে তাঁকে প্রবেশ করতে দেখা যায়। দফতরে প্রবেশ করেই তিনি সোজা চলে যান ৬ তলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে। সেখানেই তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদিকে রুজিরার হাজিরাকে ঘিরে সিজিও কমপ্লেক্সে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। প্রচুর পুলিস মোতায়ন করা হয়েছে। ব্যারিকেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া গিয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সের গেট।
জানা গিয়েছে, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে হেফাজতে নিয়ে, যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই একাধিক প্রশ্ন তৈরি করেছে ইডি। রুজিরাকে ইডি যেসব প্রশ্ন করতে পারে, সেগুলো হল-
১) লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর পদে কবে যোগ দিয়েছিলেন?
২) কেন সেই পদ থেকে পড়ে সড়ে গেলেন?
৩) এই সংস্থার কাজ কী ছিল?
৪) নিয়োগ দুর্নীতির টাকা এই সংস্থার অ্যাকাউন্টে এলো কিভাবে?
ইডি দফতরে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন সকাল ১১টা ১২মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে ইডির (ED) দফতরের উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক। ১১টা ৩৪ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) কালো গাড়িতে ঢুকতে দেখা যায় সাংসদকে। বুধবার ইন্ডিয়া-র বৈঠকে উপস্থিত না থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকেই সাড়া দিলেন অভিষেক।
বুধবার সকাল থেকেই পুলিসি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় সিজিও চত্বর। জানা গিয়েছে, স্কুল নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে তলব করা হয়েছে। তাপস মণ্ডল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বয়ান, কুন্তল ঘোষের চিঠি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তাঁর ভূমিকা কী, সেই বিষয়ে এদিন অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে খবর।
এদিন, দুপুর ১২টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হবে সিজিও কমপ্লেক্সের পাঁচতলায় ইডি-র দফতরে। উপস্থিত থাকবেন দু’জন অ্যাসিস্টেন্ট পদমর্যাদার অফিসার। এই ঘরে ভিডিয়ো রেকর্ডিং হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
এদিকে, বুধবারই দিল্লিতে ইন্ডিয়ার বৈঠক রয়েছে। সেখানে যে তিনি থাকছেন না, তা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের মুখোমুখি হতে ভয় পান না । কিন্তু ‘ইন্ডিয়া’ বৈঠকের দিনই কেন তলব? এই প্রশ্নেই সরগরম রাজনীতি।
ইডির ডাকে আগামীকাল কি হাজির হবেনা অভিষেক! রবিবার টুইটে অভিষেক নিজেই জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকের দিন তাঁকে তলব করেছে ইডি। এ প্রসঙ্গে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কটাক্ষ ছুড়েছিলেন তিনি। একদিকে শরদ পাওয়ারের বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। অপরদিকে ইডির তলব। কোনদিকে যাবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে শুরু হয়েছিল জোর জল্পনার। মঙ্গলবার ঘটল সেই সমস্ত জল্পনার অবসান।
সূত্রের খবর, ইডির ডাকে সাড়া দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে চলেছেন তিনি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠকের দিনই ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে, বলেই নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই হাজিরা দেবেন কি না? তা নিয়ে দীর্ঘ জল্পনার সৃষ্টি হলেও, সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে যাওয়া বাতিল করে হাজিরা দেবেন অভিষেক।
এদিকে অভিষেকের হাজিরার খবর সামনে আসতেই সিজিও কমপ্লেক্সের নিরাপত্তায় আরও জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিজিও কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন বিধাননগর পুলিসের শীর্ষ কর্তারা। পাশাপাশি, সিজিও কমপ্লেক্সের ঠিক বাইরে নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য অস্থায়ী তাবুরও ব্যবস্থা রয়েছে। প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে যেভাবে তেঁড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেখানে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই তলব যে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
'আজ ১১ ঘন্টা ছিলাম, তদন্তের স্বার্থে ২৪ ঘন্টা থাকবো' ইডির (ED) জেরা শেষে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। শুক্রবার সকাল ১১টা ২১ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) পৌঁছন সায়নী। রাত প্রায় পৌনে ১১টা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরোন তিনি। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী বললেন, বেশ কিছু নথি নিয়ে তাঁকে এদিন ডাকা হয়েছিল। ১০০ শতাংশ সাহায্য করেছেন তদন্তে। আগামী দিনেও তিনি সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। সায়নী আরও জানান, তাঁকে আবারও একদিন ডাকা হবে। উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন তলব করা হয় তাঁকে। কুন্তল ঘোষের বয়ান-সহ একাধিক মামলায় সায়নী ঘোষের নাম উঠে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার সেই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এদিন, সায়নী ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বলেন, 'আজ কিছু বেসিক ডকুমেন্ট নিয়ে ডেকেছিলেন। এর মধ্যে আবার তলব করবেন। কিছু ডকুমেন্টের ডিটেইল আনতে হবে। আমি ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছি। আমি আশা করছি তাঁরা সন্তুষ্ট। আজ আমি এখানে ১১ ঘণ্টা ছিলাম, তদন্তের স্বার্থে যদি আমাকে ২৪ ঘণ্টা থাকতে হয়, আমি তাও থাকব।'
মঙ্গলবার ইডির নোটিস পাওয়ার পর থেকেই কার্যত 'বেপাত্তা' ছিলেন সায়নী। দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়ের বাড়িতেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। দলের অনেকেই নাকি তাঁর সঙ্গে যোগযোগ করতে পারছিলেন না। এদিকে, কুণাল ঘোষ দাবি করেন, উল্টোরথে উপোস করে দুর্বল হয়ে পড়েছে সায়নী। সেক্ষেত্রে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন কি না, সেই বিষয়ে জোর চর্চা চলছিল । যদিও এদিন তলবে সাড়া দিয়ে সকাল ১১টা ২১ মিনিটে কলকাতায় ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়নী বলেন, 'আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।'
ইডির (ED) তলবে সাড়া দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) পৌঁছলেন অভিষের পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। সকাল ১১টায় সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। তার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁর কালো গাড়ি ঢুকল ইডি দফতরে। এদিকে, রুজিরাকে জেরা করতে দিল্লি থেকে দুই ইডির আধিকারিক সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছেন। দিল্লি থেকে আসা এক জন আধিকারিক হলেন পঙ্কজ কুমার। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সহকারী ডিরেক্টর পদের এক কর্তাও।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্স। ইডি দফতরের বাইরে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন, বেলা ১২টা ৫ মিনিটে বাড়ি থেকে বের হন রুজিরা। বেলা ১২টা ৩০মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি।
সম্প্রতি, বিদেশযাত্রার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকে দেওয়া হয়। দুবাইগামী বিমানে দুই সন্তান-সহ রুজিরাকে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই তাঁকে তলব করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, কলকাতার একাধিক সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন রুজিরা। সেই সংস্থার সঙ্গে একাধিক দুর্নীতির যোগ রয়েছে। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে। ইডি সূত্রে খবর, একাধিক নথি পরীক্ষা করতে গিয়ে অভিষেক জায়ার নাাম প্রকাশ্যে আসে।
শ্লীলতাহানির অভিযোগে সিজিও (Cgo Complex) কমপ্লেক্স থেকে গ্রেফতার (Arrest) সিজিও কমপ্লেক্সের এক অস্থায়ী কর্মী। ওই কর্মীকে গ্রেফতার করে উত্তর বিধাননগর থানার (North Bidhannagar Police) পুলিস। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের মূল দফতর হিসেবে পরিচিত এই সিজিও কমপ্লেক্স। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম মধুসূদন মণ্ডল। মগরাহাটের বাসিন্দা তিনি। বর্তমানে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সের অস্থায়ী পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিস জানিয়েছে, পুরনো একটি শ্লীলতাহানির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিস আরও জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন সিজিও কমপ্লেক্সেরই একজন মহিলা কর্মী। ওই মহিলা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের পর এবার প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি। তাঁকে তলব করে নোটিশ পাঠায় ইডি (ED), সেই মোতাবেক সোমবার সকাল দশটা নাগাদ তিনি কেন্দ্রীয় সংস্থার কলকাতা অফিসে (CGO Complex) আসেন। এর আগে তিনবার সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সিবিআইয়ের পর এবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদ প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে বিদ্ধ প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারির বিরুদ্ধে।
এই নিয়োগ-কাণ্ডে প্রাক্তন মন্ত্রীর ভূমিকা খতিয়ে দেখেছে সিবিআই। কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে অঙ্কিতার। তাঁর শূন্যপদে চাকরি পেয়েছেন যোগ্য প্রার্থী ববিতা সরকার। মূলত ববিতার করা মামলার প্রেক্ষিতেই নিয়োগ-কাণ্ডে পরেশ অধিকারী এবং তাঁর মেয়ের ভূমিকা নজরে আসে। তবে শুধু চাকরি খোয়ানো নয়, এযাবৎকাল পাওয়া বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দিয়েছেন অঙ্কিতা।
পাশাপাশি নিয়োগ-কাণ্ডে তদন্তকারীদের জালে ছয় জন। যাদের মধ্যে এসএসসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য-সহ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন। সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে।