গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের পর থেকে একের পর এক বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠে আসছে প্রকাশ্যে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের নাকের ডগায় এতো অবৈধ নির্মাণ কীভাবে সম্ভব? তাহলে কি এতদিন ঘুমিয়ে ছিল বাংলার প্রশাসন? এই আবহেই সল্টলেক এফডি ব্লকে দেখা গেল প্রশাসনের অতিসক্রিয়তা।
জানা গিয়েছে, সল্টলেকের এফডি ব্লকের ১৮০ নম্বর বাড়ি, নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সাত দিন আগে এই বাড়িটি অস্থায়ী রূপে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। তারপরেই সোমবার বিকেলে বেআইনি নির্মাণ ঘোষণা করে নোটিশ বিধাননগর পুরনিগমের। ৭ বছর আগে নির্মাণ হওয়া বাড়ির অবৈধতা নিয়ে প্রশ্ন এতদিন পরে কেন? তাহলে কি বিজেপিকে ভাড়া দেওয়াতেই এই আক্রোশ প্রশাসনের? বাড়ির মালিক জানালেন সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই বাংলায়।
তবে এলাকার কাউন্সিলর বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, অবৈধ নির্মাণ বলেই নোটিশ গেছে। বাড়ির মালিক প্রমাণ করুক বাড়ি বৈধ কিনা।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বিরোধীদের প্রতি স্বাভাবিক প্রতিহিংসার কারণেই প্রশাসনের এই পদক্ষেপ? না হলে এতদিন কেন ফেরেনি হুঁশ? বিরোধীরা বারংবার দাবি করেন, শাসকদলের কারণেই বাংলায় সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। বিরোধী দলের নির্বাচনী কার্যালয় হওয়ার ৭ দিনের মাথাতে প্রশাসনের অবৈধ নোটিশ যে সেই দাবিতেই শিলমোহর, তা বলাই বাহুল্য।
খেটে খাওয়াদের জন্য় রক্তদান। বাইক চালিয়েও মহৎ কাজ রাইডারদের। বাঁচবে মানুষ, ফিরবে সুখ! রক্তদানে খেটে খাওয়ারাই মুখ! এবার এই স্লোগানেই অভিনব রক্তদানের আয়োজন করল অ্যাপ বাইক সংস্থা। বুধবার ওই অ্যাপ বাইক সংস্থাটি বিধাননগরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল রক্তদান শিবির। যেখানে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন প্রায় ৫২ জন বাইক চালক। যাঁরা প্রত্যেকেই অ্যাপ বাইক চালক।
জানা গিয়েছে, বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়া ওই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার কোঠারি মেডিকেলের চিকিৎসকরাও। আয়োজক সংস্থার পক্ষে শামিম হোসেন জানান, "আমরা শুধু কাজ নয়, মানুষের হয়ে, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। প্রচুর রাইডার আছেন, যাঁদের রাস্তায় দুর্ঘটনা হলেও রক্তের প্রয়োজন। ঠিক এই কারণ এবং আনুষঙ্গিক সবটা ভেবে এই ব্যবস্থা।''
বিভিন্ন এলাকা থেকে রক্ত দিতে এসেছিলেন তন্ময় দাস, অভিরূপ চক্রবর্তী, গৌতম মণ্ডল, শিংকু বাল্মীকির মতো বাইক চালকরা। যাঁদের আয়ের উৎসই অ্যাপ নির্ভর বাইক। তাঁদের কথায়, "সারাবছর কাজ করি, সংসার চালায়। কিন্তু একটু যদি মানুষের পাশে থাকা যায় তাতে ক্ষতি কী!'' তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই আয়োজিত করা হয়েছিল এই রক্তদানের অনুষ্ঠানটি। তবে মানুষের পাশে থাকার জন্য় এবং যথা সম্ভব সাহায্য় করার কারণেই আগ্রহ আজ বহু মানুষ।
ফের শহরের বুকে গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা! ঘরের মধ্যে পড়ে স্ত্রীর গলা কাটা দেহ। পাশে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর দেহ, কাতরাচ্ছেন দু'জনের কন্যা সন্তান। আর এই দেখেই আঁতকে উঠলেন প্রতিবেশীরা। শনিবারের হাড়হিম করার ঘটনাটি বিধাননগরের নারায়ণপুর থানা এলাকার।
সুখী পরিবার বলেই জানতেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু সেই সুখী পরিবারে কি এমন অন্ধকার নেমে এল যার জন্য স্বামী, স্ত্রী দুজনকেই মৃত অবস্থায় তাঁদের আবাসনে পাওয়া গেল। শনিবার দুপুরে নারায়ণপুর থানার ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত এক বহুতল আবাসনের নিচতলা থেকে উদ্ধার হল স্ত্রীর গলা কাটা রক্তাক্ত দেহ আর তার পাশাপাশি উদ্ধার স্বামীর ঝুলন্ত দেহ। নারায়ণপুর অঞ্চলের এই ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাগর মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী রূপা মুখোপাধ্যায়কে গলা কেটে খুন করার পর তাঁর কন্যা সন্তানেরও গলা কাটেন। এরপর নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবাসনের নিচের তলার ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে। তবে তাঁদের কন্যা সন্তান জীবিত থাকায় তাকে চিনারপার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় ও বিধাননগরের কমিশনার সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী সাগর মুখোপাধ্যায় কেন এই কাজ করলেন, বা এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দেহ দুটিকে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। ডিজি রেঙ্ক-এর অফিসারদের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের নিচু তলার অফিসারদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে সমস্যার কথা জানিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এই প্রতারণা চক্রের তদন্তে নেমে এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম, রাহিস। তিনদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ, শনিবার তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের নজরে আসে রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্যের নামে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেখান থেকে তাঁর নিচু তলার কর্মীদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হচ্ছে। যারা এই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করছেন তাঁদেরকে মেসেঞ্জারে এসএমএস করা হচ্ছে যে, তিনি একটি মিটিংয়ে রয়েছেন ফোন করতে পারছেন না। সমস্যার মধ্যে পড়েছেন, তাঁর টাকার প্রয়োজন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। এই বিষয়টি নজরে আসতেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস ২৮ অগাস্ট একটি সুয়ো মোটো কেস করেন। তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
তদন্তে নেমে জানতে পারে, এই চক্রটি রাজস্থান থেকে চালানো হচ্ছে। এরপরেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিসের একটি টিম রাজস্থান গিয়ে অভিযুক্ত যুবক রাহিসকে গ্রেফতার করে। তিন দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পারে শুধু এই রাজ্যে নয়, বিভিন্ন রাজ্যের ডিজি র্যাঙ্কের অফিসারদের ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে নিচু তলার কর্মীদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হত। যারা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করতো তাদের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেওয়া হত। এইভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এই যুবক প্রতারণা করেছে। পুলিস মনে করছে এই চক্রের সঙ্গে একটি বড় গ্যাং রয়েছে। সেই বিষয়ে জানতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিধান নগর মহাকুমা আদালতে তুলে আজ তাকে পুলিস হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিস।
আয়ুর্বেদিক স্পা-তে মহিলা কর্মীর রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার বিধাননগর উত্তর থানার অন্তর্গত সল্টলেক এডি ব্লক এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন খবর পেয়ে ওই স্পা-তে গিয়ে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই মহিলার নাম মাধবী মন্ডল। এ ঘটনায় ওই মহিলার স্বামীর তরফে ওই স্পা মালিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। মৃতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্পা-এর মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর অঞ্চলের বাসিন্দা মাধবী মন্ডল, সল্টলেকের এ ডি ব্লকের একটি আয়ুর্বেদিক স্পাতে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সকালেও নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সল্টলেকের স্পা তে কাজে যোগ দেন ওই মহিলা। অভিযোগ দুপুরবেলায় ওই মহিলার স্বামীকে স্পা-এর মালিক ফোন করে জানায়, তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তাড়াতাড়ি তাকে বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে আসতে বলেন। খবর পেয়ে বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে আসেন মাধবী মন্ডলের স্বামী মুরারী মন্ডল। হাসপাতাল থেকে তিনি জানতে পারেন স্ত্রী মারা গেছেন।
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়, আয়ুর্বেদিক ওই পায়ের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্ত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরই তার স্বামী বিধান নগর উত্তর থানায় স্পায়ের মালিক হালদারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। মৃতার স্বামী মুরারি মন্ডলের অভিযোগ, রজত হালদার তা স্ত্রীকে নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করত। মৃতের স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে রজত হালদার কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দশমীর রাতে বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস। ঘটনায় গ্রেফতার চার অভিযুক্ত। আজ অর্থাৎ বুধবার ধৃতদের বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস প্রশাসন। এরপর সল্টলেকের বিএ-সিএ পার্কের সামনে সন্দেহজনকভাবে বেশ কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে পুলিস দেখেই পালাতে থাকে সেই সন্দেহজনকরা। এরপরে ধাওয়া করে চারজনকে গ্রেফতার করে বিধাননগরের উত্তর থানার পুলিস। বাকিরা পালিয়ে যায়।
পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে ওই চার অভিযুক্ত স্বীকার করে দুর্গা পুজোর সময় এলাকা ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে তারা ডাকাতির ছক কষেছিল। এর আগেও বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ছিনতাইয়ের মতন ঘটনা এরা ঘটিয়েছে বলে পুলিসের জেরায় স্বীকারও করে ধৃতরা। পুলিস তাদের আদালতে তোলার পর নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিস।
ভুয়ো চাকরির র্যাকেট চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত। বিধান নগর দক্ষিণ থানার পক্ষ থেকে তানভীর আলম, অশোক রায় ও পাপাই শর্মা নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা নেয় ওই তিন অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার বাসিন্দা রশিদ মণ্ডলকে সল্টলেকের একটি সরকারি অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিল ওই তিন অভিযুক্ত। তারপর সেই অফিস থেকে তাঁকে বলা হয় রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে। তবে চাকরি পাওয়ার জন্য় টাকা দিতে হয় ওই ব্য়ক্তিকে। কিন্তু পরবর্তীতে টাকা দিয়েও কোনও চাকরি না পেয়ে অবশেষে ওই ব্য়ক্তি অভিযোগ জানায় সল্টলেকের দক্ষিণ থানায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে পুলিস জানতে পারে ওই তিন ব্যক্তি সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে। এরপর ওই তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিস। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা নিয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিস প্রশাসন।
ব্যাঙ্ক (Bank) অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা (Money) প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আসানসোল থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো বিধাননগর (Bidhannagar) সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস (Police)। বুধবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিস অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে আদালতে।
এমনকি এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে এক ব্যক্তি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। পুলিস আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই প্রতারকের নাম আকিব রাজা।
ওই প্রতারিত ব্যক্তি জানান, তাঁর কাছে একটি ফোন আসে এবং সেখানে তাঁকে বলা হয় তাঁর বাড়ির বৈদ্যুতিক বিলের কিছু টাকা বাকি রয়েছে। সেই টাকা যদি তিনি শোধ না করেন তাহলে তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এই ফোন পেয়ে তিনি বাকি সেই টাকার পরিমাণ জানতে চান। তখন তাঁকে দশ টাকা পাঠাতে বলা হয়। তিনি সেই টাকা পরিশোধের পদ্ধতি জানতে চাইলে তাঁকে একটি লিঙ্কও পাঠানো হয়। পরে তিনি সেই লিঙ্কে প্রবেশ করে যখন টাকা পাঠান তারপরে তার কাছে একটি ওটিপি আসে। সেই ওটিপি জানতে চায় প্রতারক দল।
ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি ওই ওটিপি বলে দেওয়ার পরপরই ছয়টি ট্রানজাকশনে মোট ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৯৮ টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা। পরে প্রতারিত হয়েছেন জানতে পেরেই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন তিনি।
বড়সড় সাফল্য বিধান নগর থানার (Bidhan Nagar Police) পুলিসের। বিহারের (Bihar) উদ্দেশ্যে মাদক পাচারের আগেই পুলিসের জালে গ্রেফতার (Arrest) এক পাচারকারী। চারচাকা গাড়িতে করে প্রায় কোটি টাকার মাদকদ্রব্য পাচার করছিল ধৃত ওই ব্যক্তি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিধাননগর থানার পুলিস মাদাতি চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় একটি চারচাকা ছোট গাড়িকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে সেই গাড়ির ড্যাশবোর্ডের ভিতর থেকে ১০ কিলো মাদকদ্রব্য চরস বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। অপরদিকে পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলেই খবর পেয়েছিল গাড়িতে করে মাদক পাচার করা হবে বিহারের উদ্দেশ্যে। সেই খবর পেয়েই বিধান নগরের মাদাতি টোল প্লাজা সংলগ্ন চা বাগানের সামনেই অভিযান শুরু হয়। পরবর্তীতে গাড়িটি এলে গাড়িটি আটক করা হয় এবং তার ভিতর থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির চালকের নাম নরেশ মণ্ডল (৪০)। বিহারের আরারিয়ার বাসিন্দা। গাড়িতে থাকা মাদকগুলি শিলিগুড়ির জলপাই মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে বিহারের আরারিয়ার উদ্দেশ্যে পাচার করা হচ্ছিল। মাদকদ্রব্য চরসের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। মাদকদ্রব্য গুলি জলপাই মোড়ের পিন্টু নামক এক যুবকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে বিধান নগর থানার পুলিস। বুধবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হবে।
শ্লীলতাহানির অভিযোগে সিজিও (Cgo Complex) কমপ্লেক্স থেকে গ্রেফতার (Arrest) সিজিও কমপ্লেক্সের এক অস্থায়ী কর্মী। ওই কর্মীকে গ্রেফতার করে উত্তর বিধাননগর থানার (North Bidhannagar Police) পুলিস। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের মূল দফতর হিসেবে পরিচিত এই সিজিও কমপ্লেক্স। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম মধুসূদন মণ্ডল। মগরাহাটের বাসিন্দা তিনি। বর্তমানে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সের অস্থায়ী পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিস জানিয়েছে, পুরনো একটি শ্লীলতাহানির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিস আরও জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন সিজিও কমপ্লেক্সেরই একজন মহিলা কর্মী। ওই মহিলা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
মনি ভট্টাচার্য: মুকুল রায়কে (Mukul Roy) খুঁজতে এবার দিল্লি যাচ্ছে বিধাননগর (Bidhannagar commissonarate) কমিশনারেটের পুলিসের (Police) একটি দল। মঙ্গলবার দুপুরে সিএন-ডিজিটালকে জানালেন বিধাননগর পুলিসের ভারপ্রাপ্ত, এয়ারপোর্ট ডেপুটি কমিশনার। তিনি আরও জানান, মুকুল রায়ের অন্তর্ধান প্রসঙ্গে, তদন্তের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে তার পুত্র শুভ্রাংশ রায় কেও। সূত্রের খবর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুভ্রাংশ হাজির হবেন।
সূত্রের খবর, মুকুল রায়কে দিল্লি যেতে কিছু আর্থিক সাহায্য করেছিলেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এ প্রসঙ্গে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন, এক বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে আর্থিক সাহায্য করেছেন। উদ্ধৃত ওই ব্যক্তিকেও তলব করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস।
সূত্রের খবর, সোমবার রাতেই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান মুকুল রায়। মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু দাবি করেন স্থানীয় দুই ব্যক্তি তাঁর বাবাকে নিয়ে যান। শুভ্রাংশু আরও জানান যে, খবর পেয়ে কলকাতা এয়ারপোর্টে ছুটে যান তিনি এবং চিঠিও লেখেন সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। যাতে মুকুল রায়কে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়। যদিও তাঁর এই চিঠিতে সাহায্য করেন নি সিআইএসএফ আধিকারিকরা, এমনই অভিযোগ মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর।
মঙ্গলবার এই অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত নামে এয়ারপোর্ট এনএস সিবিআই থানার পুলিস। তদন্ত নেমে খোঁজ পায় মুকুল রায় আপাতত দিল্লিতে রয়েছেন। দিল্লি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি বিধায়ক, আমি দিল্লি আসতেই পারি। এখানে একটা কাজে এসেছি।' এরপরেই মঙ্গলবার মুকুল রায়কে খুঁজছে দিল্লি যাচ্ছে বিধাননগর কমিশনারের একটি দল।
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেলের (Blackmail) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) এক যুবক। শনিবার বিধাননগর (Bidhannagar) দক্ষিণ থানা এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম প্রফুল্ল রানা(২৮)। পুলিস আরও জানিয়েছে, এক গৃহবধূ যুবতীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় এক যুবকের। এরপর প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই যুবতীকে হোটেলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। আর সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল করে যুবতীর থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওই যুবকের বিরুদ্ধে। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় প্রফুল্ল রানা(২৮) নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ যুবতীর। ওই যুবককে গ্রেফতার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস। আজ ধৃত যুবককে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
পুলিস সূত্রে খবর, সল্টলেক সুকান্ত নগরের বাসিন্দা এক গৃহবধুর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় প্রফুল্ল রানা নামের এক যুবকের। প্রায় দু'বছর ধরে তাদের সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলাকে নিয়ে শিয়ালদহের একটি হোটেলে নিয়ে যায় ওই যুবক। গৃহবধু ওই যুবতীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। সেই শারীরিক সম্পর্কের একটি ভিডিও তুলে রাখে প্রফুল্ল রানা নামে ওই যুবক। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেল করে এবং টাকার দাবি করে। টাকা না দিলে ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দেয় প্রফুল্ল রানা। এরপর বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই গৃহবধু। শনিবার প্রফুল্ল রানাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস। আজকে, রবিবার তাঁকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। পুলিসের পক্ষ থেকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে।
গরু পাচারের পর এবার মহিষ পাচারে (Buffalo Trafficking) সক্রিয়তা বেড়েছে। পাচারের আগে একটি ১৪ চাকা ও একটি ৬ চাকা গাড়ি থেকে ৩৫টি মহিষ আটকালো বিধাননগর থানার পুলিস (Bidhannagar police station)। বিধাননগর থানার পুলিস রাতে টহলদারি দেওয়ার সময় মঙ্গলবার ভোরে একটি ১৪ চাকার ট্রাক এবং বুধবার সকালে একটি ছয় চাকা গাড়ি আটক করে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের সদরগছ এলাকায় অভিযান চালায় বিধাননগর থানার পুলিস।
এরপর সেখানে একটি ১৪ চাকার ট্রাক আটক করে। অপরদিকে, মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টের সামনে নাকা চেকিং করার সময় একটি ৬ চাকা ট্রাক আটক করে। পুলিস চালকের কাছে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি গাড়ি চালক। অবশেষে নাকা চেকিং-এর ওখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মুরালিগঞ্জে ৬ চাকা গাড়িটিকে আটক করে এবং গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। অবশেষে দুটি গাড়ির ভিতর থেকে ৩৫টি মহিষ উদ্ধার করে বিধাননগর থানা পুলিস। দুটি গাড়ির চালককেই গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিষগুলি উত্তর দিনাজপুরের দিক থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতদের নাম এমডি মুজামিল (২২) ও মহম্মদ আজমল (৩২)। দু'জনই বিহারের বাসিন্দা। দু'জনকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তবে এই মহিষ পাচারের সঙ্গে স্থানীয় কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর থানার পুলিস। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে গরু পাচারের পর এবার মহিষ পাচারে ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠছে। তবে এই মহিষগুলি উত্তর দিনাজপুরের পান্জিপারা থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে পাচার করা হতো।
সরকারি ভুয়ো ওয়েবসাইট (Fake Website) তৈরি। সেখান থেকে বালি খাদানের ভুয়ো রশিদ বানিয়ে প্রতারণা। বীরভূমের (Birbhum) এই প্রতারণা চক্রের আরও এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার (Arrested) করলো বিধাননগর (Bidhannagar) সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস (Cyber Crime Police Station)। ধৃতের নাম অনুপ দাস, খড়গপুরের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, সরকারি ওয়েবসাইট জাল করে বালি খাদানের চালান তৈরি করে চালানো হতো এই অবৈধ ব্যবসা।
উল্লেখ্য, বীরভূমে হানা দিয়ে এমনই এক প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করেছিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। এর আগে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। তারা এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে অভিযুক্ত অনুপ দাসের নাম। সেই তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার খড়্গপুরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত অনুপ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, এই অনুপ দাস সরকারি ওয়েবসাইট এবং ভুয়ো চালান তৈরি করেছিল। মূল অভিযুক্তর সঙ্গে বালি খাদানের মালিকদের মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতো এই অনুপ। শনিবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিস তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে জানা গিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।
বেসরকারি ব্যাংকের ব্যাক অফিসে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Frauad) অভিযোগে গ্রেফতার এক। লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, চলতি বছরে ২২শে ফেব্রুয়ারি সল্টলেকের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা দাস বিধান নগর সাইবার থানায় অভিযোগ করেন।
তরুণীর অভিযোগ, তিনি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাঁর জীবনপঞ্জী বা বায়োডাটা আপলোড করেছিলেন। ২৬শে ডিসেম্বর ২০২২-এ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপারে এক ব্যক্তি নিজেকে অভিজিৎ সাহা পরিচয় দিয়ে বেসরকারি এক ব্যাংকের এইচআর হিসেবে দাবি করেন।
জানানো হয়, প্রিয়াঙ্কা দাসের সিভি দেখে তাঁকে ব্যাংকের ব্যাক অফিস কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। তরুণীকে জানানো হয়, ইন্টারভিউয়ের জন্য তাঁকে একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। তার জন্য ২২০ টাকা জমা করতে হবে। তিনি সেই ফর্ম ফিলাপ করলে কিছুদিনের মধ্যে আরেকটি নাম্বার থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, জয়েনিংয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে।
এভাবে বিভিন্নভাবে ফোন করে তাঁর থেকে মোট ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৯২ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। এরপরই প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন প্রিয়াঙ্কা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। জানা যায়, একটা চক্র এই বেসরকারি ব্যাংকের নাম করে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে হালিশহরে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। সেখান থেকে সুজয় দে নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, বেসরকারি ব্যাংকের নাম করে ওই ব্যক্তি এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিলেন। শুক্রবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস।