২০১৪ টেট (TET) চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে ধুন্ধুমার সল্টলেক (Saltlake) করুণাময়ী চত্বর। একাধিক চাকরিপ্রার্থীকে আটক করেছে বিধাননগর (Bidhannagar) পুলিস। পুলিসি ধরপাকড়ের অভিযোগে সরব চাকরিপ্রার্থীরা এপিসি (Primary Board) ভবনের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। বিক্ষোভ সরাতে পুলিসকে মাইকিং করতেও দেখা গিয়েছে।
এদিন চাকরিপ্রার্থীরা দলে দলে করুণাময়ী স্টেশন থেকে নেমে এপিসি ভবনের দিকে দৌড়তে শুরু করে। প্রথমে দড়ি দিয়ে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিস। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের চাপ বাড়লে শুরু হয় পুলিসি ধরপাকড়। এই অবস্থায় পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের একটাই দাবি, 'নিয়োগ চাই।' পুলিসি বাধায় এপিসি ভবন অবধি পৌঁছতে না পেরে করুণাময়ী চত্বরেই অবস্থানে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা।
তাঁদের দাবি, ২০১৪-র টেটের লিখিত এবং ইন্টারভিউ পাশ করেও তাঁরা বঞ্চিত। মানিক ভট্টাচার্য আমাদের সঙ্গে ছলনা করেছে। এদিন চাকরিপ্রার্থীদের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু সেই বৈঠকও নিষ্ফলা। ফলে দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে করুণাময়ী এবং এপিসি ভবনের মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে চাকরিপ্রার্থীরা।
খাস কলকাতায় (Kolkata) এমনও ঘটনা ঘটতে পারে যা শুনলেই শিউরে উঠছেন সকলেই। মঙ্গলবার সল্টলেকে (salt lake) একটি বন্ধ ঘর থেকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের পচা গলা দেহ (body) উদ্ধার হয়। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস (police)। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত চিকিৎসকের নাম প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়।
জানা যায়, পুজোর সময় বিবি ব্লকের ২১০ নম্বর বাড়িতে আসেন ওই চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে ভাড়ায় ছিলেন তিনি। বাড়ির কেয়ারটেকারের দাবি, দশমীর পর থেকে ওই ঘর থেকে চিকিৎসককে বেরোতে দেখা যায়নি। তবে ২ দিন আগে থেকে পচা গন্ধ পেয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন কেয়ারটেকার। এরপর বাড়ির মালিক সোমবার মৃত চিকিৎসকের পরিবারকে খবর দেয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পাশাপাশি মৃতের স্ত্রীও পৌঁছন ওই ঘরে।
কেয়ারটেকারের আরও দাবি, দরজা খোলার পর চিকিৎসকের পচা গলা দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বিধাননগর উত্তর থানার পুলিসের পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস।
ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। শনিবার জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর মন্তব্য, 'দু'বছর ডেঙ্গি ছিল না। আমরা কলকাতা পুরসভা (KMC) এবং রাজ্যের তরফে সচেতনতা প্রচার চলছে। মানুষ যাতে বাড়ির ছাদ এবং আশপাশে দিনে অন্তত একবার গিয়ে দেখেন কোনও জল জমে কিনা। সামনে পুজো প্যান্ডেলগুলোকেও ডেঙ্গি বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হবে।' এদিকে, পুরসভার (KMC) ৭৯ নম্বর ওয়ার্ড ডেঙ্গির কবলে।
অগাস্টে মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরের। এই মাসে ওই ওয়ার্ডে আক্রান্ত প্রায় চার জন। তাও এলাকায় জঞ্জাল ভর্তি, পরিষ্কার হয় না নর্দমা। ইতিউতি জমে রয়েছে জল। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা এমনটাই খবর। অপরদিকে, পুজো উদ্বোধনে বিধাননগর আসেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তায় পরে থাকা জঞ্জাল দেখে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভপ্রকাশের পরও চিত্র বদলায়নি বিধাননগরে। সল্টলেকের ইন্দিরা ভবনের ঠিক পিছনের রাস্তা আবর্জনায় ঢেকে গিয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা, পথচলতি মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য পথ ধরতে বাধ্য হচ্ছেন গাড়ির চালকরা।
একদিকে আবর্জনার স্তুপ অন্যদিকে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির উপদ্রব। বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ দফতর থেকে। বিধাননগর পড়ে বহু খালি জমি ও গোটা বিধাননগরজুড়ে রাস্তার ধারে ডাস্টবিন। সেই সমস্ত ডাস্টবিন পরিষ্কার করা হয় না তা দেখলেই বোঝা যায়। একই সঙ্গে খালি ডাস্টবিনগুলিতে জমছে বর্ষার জল, সেখান থেকেও বাড়তে পারে মশার উপদ্রব। মনে করা হচ্ছে, এই সমস্ত ডাস্টবিনগুলির জমা জলে ডিম পারতে পারে ডেঙ্গির মশা। একদিকে জঞ্জালের স্তুপ, অন্যদিকে ফাঁকা জমি ও খালি ডাস্টবিন ডেকে আনছে বিপদ। নজর নেই বিধাননগর পুরনিগমের।
বাগুইআটির (Baguihati) বাসিন্দা দুই যুবকে অপহরণ করে খুনের (Murder) ঘটনা পর সরানো হল বিধাননগরের (Bidhannagar)পুলিস কমিশনার সুপ্রতিম সরকারকে। রাজ্য পুলিসের এডিজি ট্রাফিক ও রোড সেফটি ওয়েস্ট বেঙ্গল পদের দায়িত্বে পাঠানো হল তাঁকে। যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, বাগুইআটির জোড়া খুনের তদন্তে গাফিলতির জেরেই এই অপসারণ। তার জায়গায় এলেন শিলিগুড়ির (Siliguri) সিপি গৌরব শর্মা। আগেই সরানো হয়েছিল তৎকালীন বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে।
বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়া অতনু দে ও অভিষেক নস্করের অপহরণ (Baguihati Two School Student Case) ও নৃশংস খুনের ঘটনায় আঙুল ওঠে পুলিসের দিকে। মৃত যুবকদের পরিবার পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। বারবার অভিযোগ করেছিল যে, পুলিস কোনওরকম সহযোগিতা করেনি। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে সরানো হয়েছিল। এবার সরানো হলো বিধাননগর সিপি সুপ্রতিম সরকারকে।
২২ অগাস্ট দুই ছাত্র নিঁখোজের অভিযোগ দায়ের হলেও তাদের কোনও খোঁজ পায়নি পুলিস। অথচ ১১ দিন পর জানা যায় গত নিখোঁজ রিপোর্ট দায়েরের পরের দিন থেকেই দুই ছাত্রের মৃতদেহ বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে পড়েছিল বসিরহাটের মর্গে। অথচ জানতেই পারেনি তদন্তকারী অফিসারেররা। সেই ঘটনায় রোষের মুখ পড়ে পুলিস। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ অগাস্ট অপহরণ করা হয়েছিল বাগুইআটির জগতপুর খালপাড়ের বাসিন্দা দুই স্কুলছাত্রকে। বাড়ি থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় তারা। এরপরেই পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপন চেয়ে মেসেজ আসে। ২৩ অগাস্ট পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয়। এরপর ফোনে মুক্তিপণের টাকা এক লাখে নামিয়ে আনে অপহরণকারীরা।
বাগুইআটি-কাণ্ডে (Baguiati Case) হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ধৃত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে জেরা করে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছে সিআইডি (CID)। সূত্রের খবর, খুনের ঘটনার পর থেকে হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) ওয়েটিং রুমে রাত কাটাত সত্যেন্দ্র। সকালে আশপাশে ঘুরে বেড়াতো। টাকা দিয়ে ওয়েটিং রুম ভাড়া করে সেখানেই থাকত সে। পাশাপাশি জেরায় সত্যেন্দ্র জানিয়েছে, বাইক কেনার জন্য নেওয়া ৫০ হাজার টাকা ফেরৎ যাতে দিতে না হয়, তাই এই খুন। অতনু বারবার ৫০ হাজার টাকা চাওয়ায় এই খুন। এমনটাই দাবি অভিযুক্তের। যদিও এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে চায় সিআইডি। পাশাপাশি অন্য কোনও মোটিভ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখবে তদন্তকারীরা।
এদিকে, হাওড়া স্টেশনে বাইরের রিজার্ভেশন কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে গিয়েই বিপদে পড়েন সত্যেন্দ্র। তাঁকে গ্রেফতার করে কোমরে দড়ি পরিয়ে গাড়িতে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্টেশনের বাইরে রেলওয়ে অনুমোদিত টিকিট বুকিং কাউন্টার থেকে মুম্বইয়ের ট্রেনের খোঁজখবর শুরু করে সত্যেন্দ্র। টিকিটও কাটা শুরু করে দোকান মালিক। কিন্তু হঠাৎ কারেন্ট চলে যাওয়ায় গোটা প্রক্রিয়া থমকে যায়। আর তাতেই সুবিধা পেয়ে যান স্টেশন চত্বরে সাদা পোশাকে ওঁত পেতে থাকা পুলিস।
টিকিট কাউন্টারের সামনে কারেন্ট আসার অপেক্ষায় থাকা সত্যেন্দ্রকে দু'দিক থেকে ঘিরে গ্রেফতার করে পুলিস। যদিও প্রথমে আশপাশে থাকা ব্যক্তিরা বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেনি। কিন্তু পরে সাদা পোশাকের পুলিস নিজেদের পরিচয় দেওয়ায় তাঁরা বুঝতে পারে কে এই সত্যেন্দ্র। অপরদিকে, এদিন বারাসাত আদালত সত্যেন্দ্রকে ১৪ দিনের পুলিস হেফজাওত দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০২, ২০১, ৩৬৪-এ এবং ১২০-বি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রায় ১২দিন পর বসিরহাটে (Basirhat) মিললো বাগুইআটি (Baguihati Students) থেকে অপহৃত দুই স্কুলছাত্রের দেহ। পাড়ার এক যুবক সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি পরিবারের তরফে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, সার্ভিসিংয়ে থাকা বাইক আনতে যাওয়ার নামে অভিযুক্তের সঙ্গে ২২ অগাস্ট গাড়িতে ওঠে অতনু-অভিষেক। তারপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই স্কুল ছাত্রদের। পরিবারের দাবি, অতনু এবং অভিষেক সম্পর্কে মামাতো-পিসতুতো ভাই। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক হলেও অন্য ৪ জন গ্রেফতার। মূল অভিযুক্তকে এই কাজে তারাই সাহায্য করেছিল বলে জানায় পুলিস।
ইতিমধ্যে ২৪ তারিখ বর্ধমানে একজনের ফোন উদ্ধার করে রেল পুলিস। সেই খবর আসে বাগুইআটি থানার কাছে। পরিবারকে ডেকে সেই ফোন উদ্ধারের প্রসঙ্গ জানায় পুলিস। এমনকি, এক ছাত্রের বাবার ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজও করা হয়। এমনটাই জানিয়েছে পরিবার। কিন্তু প্রথম থেকেই পুলিস বলতে থাকে বাড়িকে না বলে হয়তো দুই ভাই কোথাও ঘুরতে গিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ২২ অগাস্টই বাসন্তী হাইওয়েতে দু'জনকেই গলা টিপে খুন করে সত্যেন্দ্র ও তার শাগরেদরা। তার আগে একটি বাইকের শোরুমে ওই দু'জনকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। দেহ দুটি হাইওয়ের নয়ানজুলিতে মৃতদেহ ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।
স্থানীয় থানা সেই দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট পুলিস মর্গে পাঠায়। সেখানেই প্রায় ১২ দিন দুই ছাত্রের দেহ অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে পড়েছিল। সোমবার রাতে পরিবারের লোককে দেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গে জানায় পুলিস। এদিকে, মঙ্গলবার দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনা চাউর হতেই ক্ষভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর নির্মীয়মাণ বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। পড়ে বাগুইআটি থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, এক ছাত্রের বাবা সত্যেন্দ্রকে ছেলের বাইক কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু বাইক হাতে পায়নি ওই স্কুলছাত্র। যদিও বাইকের জন্য আরও টাকা চেয়ে সেই ছাত্রকে বারবার বললেও সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে সে। এরপরেই তার বাবার থেকে আরও টাকা আদায়ে এই অপহরণ। অভিজিৎ বোস, শামীম আলী, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একমাত্র অভিজিৎ হাওড়ার বাসিন্দা, বাকিরা বাগুইআটির বাসিন্দা। সোমবার এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে অভিজিৎ বসুকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে।
ধৃত অভিজিৎ-ই স্বীকার করে ২২ তারিখ সন্ধ্যায় ওই দু'জনকে গলা টিপে খুন করে বাসন্তী হাইওয়ের দু'টি পৃথক খালে দেহ ফেলে দেয়। সেই সূত্র ধরে বাসন্তী হাইওয়ে সংলগ্ন একাধিক থানায় খোঁজ নিয়ে বসিরহাট মর্গে দুটি অজ্ঞাতপরিচয় দেহের সন্ধান মেলে। মঙ্গলবার সকালে অতনু এবং অভিষেকের বাড়ির লোকেরা বসিরহাট মর্গে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেট জানায়, যেহেতু অপহরণ এবং মুক্তিপণের অভিযোগ। তাই আমরা খুব সন্তর্পণে এগোচ্ছিলাম। এসওপি মেনেই কাজ হয়েছে। যখন জানতে পারি মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখনই মর্গে খোঁজ খবর করি।
বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, এই তদন্তে কোনও গাফিলতি থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।
পুরনো এক মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে (Bidhannagar MP MLA Court) তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। পয়লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির হতে হবে বিধাননগরের এই আদালতে। গোরু পাচার-কাণ্ডে (cow smuggling case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি বীরভূম তৃণমূলে সভাপতি। হাজিরার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেট সকাল ৬টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে কলকাতার (Kolkata) উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ২০১০ মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রতর। সেই মামলায় হাজিরা দিতেই আসানসোল থেকে এদিন তৃণমূল নেতাকে আনা হয় বিধাননগরের ময়ূখ ভবনের এই আদালতে।
বৃহস্পতিবার জেল থেকে বেরিয়ে বেশ খুশি মেজাজে দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে। কনভয়ের গাড়িতে চেপে অবশ্য তিনি বলেন, তাঁর শরীর ভালো নেই। তবে জেল থেকে বেরিয়ে পুলিসের গাড়িতে চাপার সময় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন তৃণমূলের সঙ্গে থাকার জন্য। এর পর কলকাতার উদ্যেশে রওনা হয় কনভয়।
উল্লেখ্য, ১০০-র বেশি বেনামী সম্পত্তির নথি বুধবার বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এই সব সম্পত্তির সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এই বেনামী সম্পত্তির নথির অধিকাংশই মিলিছে মনীষের কোঠারির বাড়ি ও অফিস থেকে। সেই সব সম্পত্তির বর্তমান মালিকানা যাঁর নামে রয়েছে, তার আগে সেই সম্পত্তি কার নামে ছিল? কী ভাবে কেনা হয়, সেই যাবতীয় তথ্য তল্লাশি করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বোলপুরে এই মূহুর্তে রয়েছে সিবিআইয়ের পাঁচটি টিম।
পুরনো এক মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে তলব অনুব্রত মণ্ডলকে। পয়লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির হতে হবে বিধাননগরের এই আদালতে। এই মর্মেই দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেটে নির্দেশ গিয়েছে। গোরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি বীরভূম তৃণমূলে সভাপতি। তাই দুর্গাপুর-আসানসোল কমিশনারেট তাঁকে বিধাননগরের আদালতে হাজির করবে।
তবে এই তৃণমূল নেতার একাধিক শারীরিক সমস্যা আছে। আসানসোল-বিধাননগর যাতায়াত আবার ফিরে আসা। এই ধকল অনুব্রতর শরীর কতটা নিতে পারবে? সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিসকে। সূত্রের খবর, আদালতের সমনে হাজিরা দেবেন অনুব্রত মণ্ডল।
সেই আদালতে চলা রাজনৈতিক হিংসার এক মামলার অভিযুক্ত হিসেবেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। এদিকে, সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতা করছে না অনুব্রত মণ্ডল। এই নালিশই আগামি শুনানিতে আদালতে করবেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অবধি এই তৃণমূলের জেলা হেফাজত হয়েছে। মঙ্গলবার আসানসোল জেলে তাঁকে জেরা করতে গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সেভাবে রাজ্য রাজনীতির চর্চিত মুখ কেষ্ট মণ্ডলের থেকে সহযোগিতা পায়নি কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
অপরদিকে, সিবিআই হেফাজত থেকে বেড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের জেল হেফাজত হতেই দায়িত্ব কমল। বর্তমানে জেল হেফাজতে তিনি। বীরভূমের গড়ে হাত না পড়লেও, পূর্ব বর্ধমানে যে তিনটি বিধানসভা এলাকার দেখভাল করতেন অনুব্রত, এবার তা হাতছাড়া হল৷ ৩ বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। হাতে নেই পূর্ব বর্ধমানের তিন কেন্দ্র। তৃণমূল সূত্রে খবর, কলকাতার বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই অনুব্রতের হাতে থাকা পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা দায়িত্ব গেল রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে, জানালেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু।
সল্টলেকে (Saltlake) পরপর কয়েকটি এটিএম (ATM) ভেঙে লুটের চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) মূল অভিযুক্ত। জানা যায়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টটিভের (Medical Representative) কাজ চলে যাওয়ায় এটিএম লুট করে বেশি টাকা উপার্জনের আশায় অপরাধের পথ বেছে নিয়েছিল অভিযুক্ত পলাশ পোদ্দার। বৃহস্পতিবার রাতে নাকা চেকিং করার সময় অভিযুক্ত পলাশ পোদ্দারকে গ্রেফতার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস (Bidhannagar North Police Station)। শুক্রবারই ধৃতকে বিধাননগর আদালতে (Bidhannagar Court) তোলা হয়। পুলিস নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়।
পুলিস সূত্রে খবর, ১ অগাস্ট সল্টলেকের সিডি ২৮ নম্বরে এটিএম ভেঙে চুরির চেষ্টা করা হয়। সেই পরিপেক্ষিতে একটি কেস করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ এবং তার বাইকটিকে চিহ্নিত করা হয়। এরপরে আবারও বিবি ব্লকে এটিএমে একই ঘটনার রিপোর্ট হয়, সঙ্গে সঙ্গে এই দুষ্কৃতীকে ধরতে একটি স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় তারা এটিএম কাউন্টারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরাতে ব্ল্যাক স্প্রে করে দেয়। পুলিস স্পেশালভাবে নাকা চেকিং শুরু করে সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায়।
এরপরে বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেক পিএনবি মোড়ে নাকা চেকিং চলার সময় সেই বাইকটি পুলিসের নজরে আসে। তারপরই পলাশ পোদ্দার নামে একজনকে আটক করা হয়। তার বাড়ি নাগেরবাজার থানার সাতগাছি এলাকায়। তার কাছ থেকে একটি মেটাল কাটিং মেশিন উদ্ধার হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে, এরপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই কাজে তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, বা অন্য কোথাও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তার জন্য তাকে বিধাননগর আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, পলাশ পোদ্দার মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টভ-এর চাকরি করত। কিন্তু লকডাউনের সময় তার কাজ চলে যায়। এরপর থেকেই কোনওরকম কাজ না পেয়ে সে এই অপরাধের পথে নেমে টাকা উপার্জনের রাস্তা বেছে নিয়েছে।