রাতে হঠাত্ই দেখা মিলল বিশালাকার এক ময়াল সাপের (snake)। দেখা যায় একটি মোটর বাইকে জড়িয়ে রয়েছে সাপটি। খবর জানাজানি হতেই ভিড় উপচে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থল বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানার খোলাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামেশ্বরপুর গ্রাম।
জানা যায়, শনিবার রাতে হঠাৎই দেখা যায় রামপ্রসাদ দাসের বাড়ির সামনে একটি মোটর বাইকে ৬ ফুট লম্বা একটি ময়াল সাপ। বাইকের হাতের ব্রেকের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সাপটি। বসিরহাট ও বনগাঁ (Bangaon) রোডের রাস্তার ধারে রামেশ্বরপুরে এই ঘটনা দেখে অবাক গ্রামবাসীরা। একে একে প্রচুর মানুষের ভিড়ে জমজমাটি পরিস্থিতি এলাকায়। ঘটনাস্থলে বনদফতরকে খবর দিলে বসিরহাট রেঞ্জের বন কর্মীরা গিয়ে ওই ময়াল সাপটিকে খাঁচা বন্দি করে।
বনদফতর সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সাপটির প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। এরপর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রাথমিক অনুমান, এলাকায় বেশ কয়েকটি কাঠের গোলা রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে প্রচুর কাঠের গুড়ি ট্রাকে করে এখানে আনা হয়। সেই কাঠের গুড়ির সঙ্গে এই সাপটিও কোনওভাবে এসেছে বলে ধারণা। পাশাপাশি সাপটি এলাকার পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসলো কিনা খাবারের সন্ধানে সেটাও তদন্ত করে দেখছে বনদফতর। তবে রাতে সাপটিকে উদ্ধার করতে মাটিয়া থানার পুলিস ও বনদফতরের কর্মীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। কারণ, সেই সময় যে হারে মানুষের সমাগম বয় এলাকায় এই সাপটিকে দেখার জন্য, তাতে করে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। স্থানীয়রা যে যার মত মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করতে শুরু করে সাপটিকে।
বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের খোড়গাছি বয়ারডাঙ্গা পাড়ার ঘটনা। বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ একদল শিশু (Children Death) এলাকার এক ধর্মীয় স্থানের পাঁচিলের উপর খেলা করছিল। সেই সময় হঠাৎ পাঁচিলের গেটের কংক্রিটের স্ল্যাব (Concrete slab) দুই শিশুর ওপরে পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু'জনকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে (Basirhat District Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যে ছটা নাগাদ চিকিৎসকরা তাদের মৃত (Dead) বলে ঘোষণা করে।
জানা গিয়েছে, মৃত দুই ৮ বছরের শিশুর মধ্যে একজন আসিফ সর্দার, অপরজন সাকিবুল হোসেন গাজী। স্থানীয় বাসিন্দারা, আহত আরও দুই শিশুকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাদুড়িয়া থানার পুলিস। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে ওই দুই মৃত শিশুর পরিবারে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেআইনি ভাবে তৈরি হয়েছে ওই কংক্রিটের স্ল্যাব। পাঁচিল গেঁথে এটি তৈরি হলে এমন বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকত না। ওই শিশুদুটির সামান্য ভার নিতে পারল না। তাহলে কতটা খারাপ পরিস্থতিতে তৈরি হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
অন্য এক এলাকাবাসী প্রশাসনের এহেন কাজে ক্ষোভ উগড়ে দেন। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
বাগুইআটি জোড়া খুনের (Baguihati Murder) মামলায় সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ। পাশাপাশি ক্লোজড করা হয়েছে বাগুইহাটি থানার আইসি (IC) কল্লোল ঘোষকে। বুধবার সকাল থেকেই এই জোড়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে বৈঠকে বিধাননগর (Bidhannagar) পুলিস। এদিনই তদন্তভার গ্রহণ করতে বাগুইহাটি থানায় আসছেন সিআইডি কর্তারা।
এদিকে, সকাল থেকে দুই ছাত্রের অপহরণ-খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। মঙ্গলবার নিহত ছাত্রদের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সি-সহ কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী। পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলাকায় এলে তাঁকে গো-ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই শোকের পরিবেশে তাঁরা রাজনৈতিক চাপানউতোর চান না। যদিও বুধবার সকালে বাগুইহাটি থানার সামনে প্রথমে অবস্থান বিক্ষোভ এবং পরে ডেপুটেশন জমা দেয় বিজেপি মহিলা মোর্চা, নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী।
এদিন সকালে পৃথকভাবে ঘটনার প্রতিবাদের সিপিএম-এর পক্ষ থেকে তেঘরিয়া ভিআইপি রোড অবরোধ করা হয়েছিল। ফলে সাময়িক সমস্যায় পড়েন অফিস যাত্রীরা। এমনকি, থানার গেটের বাইরেও বিক্ষোভ দেখায় বাম কর্মী-সমর্থকরা। তবে এই অপরহরণ-খুনের ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে রাজারহাটের এক হোটেলে খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল। সেই পরিকল্পনাতেই ২২ তারিখ চলন্ত গাড়িতেই খুন করা হয় দুই ছাত্রকে। এমনকি পুলিস সূত্রে খবর, বাগুইহাটির ঘটনার এক বছর আগে এলাকার এক বাচ্চা ছেলেকে মারতে গিয়েছিল মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। আগে একটা জায়গায় ভাড়া থাকত সেখানেও এই পরিকল্পনা করেছিল সে।
যদিও ওই এলাকা থেকে চলে আসে সে। এলাকায় তাঁর প্রচুর ধার-দেনা আছে। অপরদিকে, মঙ্গলবারের পর বুধবারেও সত্যেন্দ্রর গ্রেফতারির দাবিতে ফুঁসছে বাগুইআটির জগৎপুর এলাকা। মূল অভিযুক্তর সত্যেন্দ্রর পাশাপাশি তার শ্বশুরবাড়িতেও হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যারিকেড বসাতে হয় পুলিসকে। স্থানীয়দের দাবি, একদিনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ধরা না পড়ল, তাঁরা আইন হাতে তুলে নেবেন।
প্রায় ১২দিন পর বসিরহাটে (Basirhat) মিললো বাগুইআটি (Baguihati Students) থেকে অপহৃত দুই স্কুলছাত্রের দেহ। পাড়ার এক যুবক সত্যেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে অতনু দে এবং অভিষেক নস্করকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি পরিবারের তরফে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, সার্ভিসিংয়ে থাকা বাইক আনতে যাওয়ার নামে অভিযুক্তের সঙ্গে ২২ অগাস্ট গাড়িতে ওঠে অতনু-অভিষেক। তারপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ওই স্কুল ছাত্রদের। পরিবারের দাবি, অতনু এবং অভিষেক সম্পর্কে মামাতো-পিসতুতো ভাই। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী পলাতক হলেও অন্য ৪ জন গ্রেফতার। মূল অভিযুক্তকে এই কাজে তারাই সাহায্য করেছিল বলে জানায় পুলিস।
ইতিমধ্যে ২৪ তারিখ বর্ধমানে একজনের ফোন উদ্ধার করে রেল পুলিস। সেই খবর আসে বাগুইআটি থানার কাছে। পরিবারকে ডেকে সেই ফোন উদ্ধারের প্রসঙ্গ জানায় পুলিস। এমনকি, এক ছাত্রের বাবার ফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজও করা হয়। এমনটাই জানিয়েছে পরিবার। কিন্তু প্রথম থেকেই পুলিস বলতে থাকে বাড়িকে না বলে হয়তো দুই ভাই কোথাও ঘুরতে গিয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ২২ অগাস্টই বাসন্তী হাইওয়েতে দু'জনকেই গলা টিপে খুন করে সত্যেন্দ্র ও তার শাগরেদরা। তার আগে একটি বাইকের শোরুমে ওই দু'জনকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। দেহ দুটি হাইওয়ের নয়ানজুলিতে মৃতদেহ ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।
স্থানীয় থানা সেই দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট পুলিস মর্গে পাঠায়। সেখানেই প্রায় ১২ দিন দুই ছাত্রের দেহ অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে পড়েছিল। সোমবার রাতে পরিবারের লোককে দেহ উদ্ধারের প্রসঙ্গে জানায় পুলিস। এদিকে, মঙ্গলবার দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনা চাউর হতেই ক্ষভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রর নির্মীয়মাণ বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। পড়ে বাগুইআটি থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, এক ছাত্রের বাবা সত্যেন্দ্রকে ছেলের বাইক কেনার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু বাইক হাতে পায়নি ওই স্কুলছাত্র। যদিও বাইকের জন্য আরও টাকা চেয়ে সেই ছাত্রকে বারবার বললেও সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে সে। এরপরেই তার বাবার থেকে আরও টাকা আদায়ে এই অপহরণ। অভিজিৎ বোস, শামীম আলী, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একমাত্র অভিজিৎ হাওড়ার বাসিন্দা, বাকিরা বাগুইআটির বাসিন্দা। সোমবার এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে অভিজিৎ বসুকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে।
ধৃত অভিজিৎ-ই স্বীকার করে ২২ তারিখ সন্ধ্যায় ওই দু'জনকে গলা টিপে খুন করে বাসন্তী হাইওয়ের দু'টি পৃথক খালে দেহ ফেলে দেয়। সেই সূত্র ধরে বাসন্তী হাইওয়ে সংলগ্ন একাধিক থানায় খোঁজ নিয়ে বসিরহাট মর্গে দুটি অজ্ঞাতপরিচয় দেহের সন্ধান মেলে। মঙ্গলবার সকালে অতনু এবং অভিষেকের বাড়ির লোকেরা বসিরহাট মর্গে গিয়ে দেহ শনাক্ত করে। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে বিধাননগর কমিশনারেট জানায়, যেহেতু অপহরণ এবং মুক্তিপণের অভিযোগ। তাই আমরা খুব সন্তর্পণে এগোচ্ছিলাম। এসওপি মেনেই কাজ হয়েছে। যখন জানতে পারি মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। তখনই মর্গে খোঁজ খবর করি।
বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, এই তদন্তে কোনও গাফিলতি থাকলে খতিয়ে দেখা হবে।
নৃশংসতা! ফের আবারও রক্ষকের হাতেই আহতের ঘটনা। স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। অভিযুক্ত একজন বিএসএফ (BSF) জওয়ান। বসিরহাটের (Basirhat) ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোজাডাঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামের ঘটনা। ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রক্ষকের ভূমিকা।
জানা যায়, বছর ৩৯ এর রুপম সরকার, ১১৮ নম্বর ব্যাটেলিলিয়নের বিএসএফ এখন কর্মরত সামশের নগর চার নম্বর বিওপিতে। তার স্ত্রী অঙ্কিতা সরকার। দীর্ঘদিন থেকে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ, অশান্তি, গন্ডগোল, মারধর করা হয় অঙ্কিতাকে। এমনকি বিএসএফ জওয়ান তাঁকে একাধিকবার মানসিক, শারীরিক নির্যাতন চালাত বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে একাধিকবার দুই পরিবারের মধ্য কথা হলেও কোনও মীমাংসার পথ বের হয়নি। এরপর স্ত্রী বাপের বাড়ি বাদুড়িয়া থানার লক্ষীনাথপুর গ্রামে চলে যান। আবার বুঝিয়ে তাঁকে ডেকে আনা হয়। বৃহস্পতিবার বিএসএফ জওয়ান ছুটিতে বাড়িতে আসে, আর এরপরই নারকীয় কাণ্ড। প্রথমে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর, তারপর শ্বাসরোধ করে ঘরে ঝুলিয়ে দেয়, এমনটাই পরিবারের অভিযোগ।
শুক্রবার ভোররাতে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে (hospital) তাঁকে আনলে চিকিৎসকরা মৃত (dead) বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যু নিয়ে দ্বিচারিতা এমনকি শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা পরিবারকে ফোনে জানায় তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা (suicide) করেছেন। পরিবারের সদস্যরা শনিবার দুপুরবেলা এসে তাঁদের সন্তানকে দেখে জানতে পারেন তাঁকে পরিকল্পনা করে মারধর করেছে খুন (murder) করা হয়েছে। শরীরের একাধিক জায়গায় মিলেছে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত অঙ্কিতার বাবা অমল তরফদার। জামাই তথা বিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে খুনের লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিএসএফ জোয়ানকে শনিবার তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থানার পুলিস।
রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এটা পরিকল্পিত খুন না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে জানা যাবে। পুরো বিষয়টা তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিস।
বসিরহাট থানার পুলিসের বড়সর সাফল্য (police)। ট্রেনে ওঠার মুহূর্তেই রেলস্টেশন থেকে ১০ টি সোনার (gold) বিস্কুট উদ্ধার। ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) ১।
শুক্রবার সকালবেলা বসিরহাটের ভ্যাবলা রেলস্টেশন (rail station), যেখানে সোনার বিস্কুটসহ বছর একুশের পিন্টু মণ্ডল নামে এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, হাসনাবাদ শিয়ালদহ ডাউন লোকাল ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিল সে। তার বাড়ি স্বরূপনগর নগর থানার ভারত-বাংলাদেশে গাবড্ডা সীমান্তে। পুলিস গোপন সূত্রে খবর পায়, এরপর বসিরহাট থানার পুলিসের একটি টিম গিয়ে ট্রেনে ধরার আগেই হাতেনাতে পাকড়াও করে তাকে। উদ্ধার হয় দশটি সোনার বিস্কুট, যার ওজন ৯৫০ গ্রাম, বাজার মূল্য প্রায় ৬০, লক্ষ টাকা।
জানা যায়, এই সোনাগুলি বাংলাদেশ থেকে এদেশে আনা হয়েছে। কলকাতা উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল পাচারকারীদের। উদ্ধার সোনা বিস্কুটগুলি বসিরহাট শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ধৃত পাচারকারীকে শুক্রবারই বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে তার সঙ্গে আরও দুজন ছিল। তারা পুলিসকে দেখে চম্পট দিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।
অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার মিনাখা থানার (Minakha Police Station) মিনাখা গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সের এক ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) বলে ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে মিনাখা থানার পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি কী কারণে মৃত্যু হল, নাকি কেউ হত্যা করে ফেলে দিয়েছে, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা সমস্তটাই খতিয়ে দেখছে পুলিস।
গত দু'বছর ধরে করোনা মহামারীর জন্য সেই ভাবে জন্মাষ্টমী পালন হয়নি বসিরহাটের (Basirhat) কচুয়া (kachua) লোকনাথ মন্দিরে (Loknath Temple)। এবার লোকনাথ বাবার ২৯২ তম জন্মতিথি পালন করা হচ্ছে। সেই উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছে মন্দিরে। ইতিমধ্যেই বসিরহাট পুলিস (Basirhat Police) জেলার উদ্যোগে কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে গোটা মন্দির চত্বর এলাকা। যাতে করে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে।
উল্লেখ্য গোটা মন্দির চত্বরে চলছে পুলিসি টহলদারি। পাশাপাশি সিসিটিভি ও আকাশ পথে ড্রোন চালিয়েও নজরদারি রাখা হচ্ছে। কোনওরকম নাশকতার ছক যাতে এখানে না ঘটতে পারে তার জন্য পুলিস কুকুর দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে পুলিস সহায়তা কেন্দ্র। অন্যদিকে, সাদা পোশাকের মহিলা পুলিস ও উইনারস স্কোয়াড বাইনিকেও রাখা হয়েছে। কচুয়া লোকনাথ মন্দিরের বুধবার রাত থেকে ভক্তরা এসে ভিড় জমাচ্ছেন বাবা লোকনাথের মাথায় জল ঢালার জন্য। সেখানে যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এক কথায় বলা যায় সবরকম ভাবে প্রস্তুত বসিরহাট পুলিস জেলার পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ভিড়ের চাপে কয়েকজন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। বহু মানুষ আহত হন। সেই কথা মাথায় রেখে এবারে প্রশাসন রীতিমত আটোসাটো।