রেখা পাত্র। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ। বর্তমানে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী। রেখার মেসেজ পেয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করলেন রেখাকে। 'শক্তি স্বরূপা' বলে সম্বোধন করে বলেন রেখার সাহসিকতার জন্যই সন্দেশখালির ত্রাস এখন গরাদের ওপারে।
সন্দেশখালির মা, বোনেদের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানান রেখা। রেখার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর সন্দেশখালির মানুষের কী প্রতিক্রিয়া তা রেখার কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। রেখা জানান, সন্দেশখালিতে যে কয়েকজন তৃণমূলের সমর্থন করছিল, রেখা প্রার্থী হওয়ার পর তাঁঁরা বিরোধীতা করেছিলেন। তাঁরাও এখন মেনে নিয়েছেন। তাঁরা তাঁকে জানিয়েছেন, তৃণমূলের উস্কানিতেই তাঁরা এসব করেছেন। তাঁরা যা করেছেন, সে সবের জন্য তাঁরা ক্ষমাও চেয়েছেন।’
রেখা প্রধানমত্রীকে আরও জানিয়েছেন, কীভাবে ২০১১ সালের পর থেকে সন্দেশখালির মানুষ ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এবার যেন তারা নিরাপত্তার সঙ্গে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেটা দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান রেখা। প্রধানমন্ত্রী রেখাকে আশ্বস্ত করে বলেন, রেখার কথা নিশ্চয় নির্বাচন কমিশনের কানে পৌঁছবে। সন্দেশখালির মানুষের পাশে থাকবে কমিশন, যাতে তারা নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারে।
রেখা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, সন্দেশখালির সকল মানুষের জন্য তিনি কাজ করতে চান। এমনকি যাঁরা বিরোধীতা করেছেন তাঁদের জন্যও। প্রধানমন্ত্রী এ কথা শোনার পর খুশি হন, রেখাকে বলেন, বিজেপি সঠিক প্রার্থী বাছাই করেছে। একদিন দেশ রেখার এই ভাবনার জন্য গর্বিত হবে।
রেখা বলেছেন, 'সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের অত্যাচারের পাশাপাশি পুরুষদের উপরেও আক্রমণ হচ্ছে। মারধর করা হয়। কিন্তু তাঁরাও আমার ভাই। তাঁদের সুরক্ষার জন্যও আমি লড়াই করব।'
রাজনীতির অভিজ্ঞতা না থাকা রেখা, খেটে খাওয়া কষ্টে দিন কাটানো রেখা, সন্দেশখালির উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে, কন্যাসন্তানকে কোলে নিয়ে মিছিলে হাঁটা রেখা। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ হাজরাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠা রেখার আত্মবিশ্বাস মুগ্ধ করে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস রেখা নির্বাচনে জয়লাভ করে দিল্লিতে পৌঁছবেই।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআইএর হাতে গ্রেফতার ৪ জন। রাজ্য পুলিসের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। এই ৭ জন হলেন আলী হোসেন ঘরামী, সঞ্জয় মন্ডল, সুকমল সদ্দার, মেহেবুব মোল্লা, আমিনুর শেখ, এনামুল শেখ এবং আইজুল শেখ।
এই ৭ জনকে এবার নিজেদের হেফাজতে চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সিবিআই। এ বিষয়ে বুধবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন সিবিআইয়ের। বুধবার বসিরহাট মহাকুমা আদালত চত্বরে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সিবিআই প্রতিনিধি দল সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ সন্দেশখালি কেসের তদন্তে ও নথি সংগ্রহ করতে বসিরহাট আদালতে তারা আসেন বলেই সিবিআই সূত্রে খবর৷ পাশাপাশি শেখ শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ফারুক আকুঞ্জিকেও মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা।
ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় ৫৫ দিন পর গ্রেফতার হয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। কোথায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি? সিবিআই সূত্রে খবর, একদিকে যখন তাঁর ফাঁসির দাবিতে সরব ছিল সন্দেশখালি, তখন তিনি ছায়াসঙ্গী ফারুক আকুঞ্জির বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। সেকারণেই সমগ্র বিষয়ে এই ঘটনায় জড়িতদের নিজেদের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এখন এই সন্দেশখালি কাণ্ডের জল কতদূর গড়ায়, আর কোন কোন ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার ওয়াকিবহাল মহল।
বসিরহাটে বিজেপির এসপি অফিস অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। আহত ১১ বিজেপি কর্মী, গ্রেফতার ১ বিজেপি কর্মী। পুলিসি বাধার মুখে রীতিমতো মেজাজ হারান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। গ্রেফতার করা হয় ১ বিজেপি কর্মীকে। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী আহত হন ১১ জন বিজেপি কর্মী। এর পরই পুলিস অফিসারের অফিসের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল হাইকোর্টে।
বিজেপির তরফে অভিযোগ, পুলিশের তরফে ইট ছোড়া হয়েছে বিজেপির মিছিল উদ্দেশ্য করে। মহিলা বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্য ও পুলিসকে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। এরপরই বিচারপতি সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা খারিজ করার নির্দেশ দেন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সাফ জানিয়ে দেন সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারার আর প্রয়োজনীয়তা নেই।
উল্লেখ্য,মঙ্গলবার দুপুরে বসিরহাট জেলা পুলিস সুপারের অভিযান কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এদিন বিজেপি কর্মীরা সড়ক পথে বসিরহাট যাওয়ার চেষ্টা করেন। সড়ক পথে পুলিস বাধা দিলে ফের ট্রেন পথে চলে আসেন সুকান্তররা। হৃদয়পুর স্টেশন থেকে ট্রেনে বসিরহাট যান সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। সেখান থেকে বাইক করে বসিরহাট পুলিশ সুপার অফিসের সামনে হাজির হন তাঁরা।
সন্দেশখালির পথে 'দাবাং মোডে' সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাট স্টেশন থেকে বাইকে করে এসপি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুলিসি বাধা এড়াতে সুকান্তর এই ফন্দি। এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি সমর্থকরাও সন্দেশখালির পথে এগিয়ে যান।
হৃদয়পুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বসিরহাট যান সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের অসুবিধের কথা ভেবে লোকাল ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গাড়ি করে যেতে গেলে পুলিসের বাধা আসতো। এরফলে যানজট তৈরি হত। যদিও বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।
সন্দেশখালিতে যে নৈরাজকতার শাসন এতদিন ধরে চলছিল, তার তীব্র ধিক্কার জানান সুকান্ত মজুমদার। নারীদের অসম্মান। নারীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ ও বেআইনি জমি দখলের প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির আজ, মঙ্গলবার এই অভিযান বলে জানান তিনি।
ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে ধাক্কা অভিনেত্রী নুসরত জাহানের। নিম্ন আদালতে তৃণমূলের সাংসদ নুসরত জাহানকে হাজিরা দিতেই হবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর জজ কোর্ট। ইতিপূর্বে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে, আলিপুরের জজ কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন নুসরত জাহান। নিম্ন আদালতের নির্দেশ মতো, মামলার শুরুর দিকে অন্তত একবার করে আদালতে এসে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশকেই কার্যকর করল আলিপুর জজ কোর্ট। মামলাটি ছিল ৬ জানুয়ারি। এক্ষেত্রে আলিপুর জাজেস কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর জানান নিম্ন আদালতের নির্দেশ একেবারেই সঠিক। সেই অর্ডারটি মঙ্গলবার আলিপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জমা দেওয়া হবে।
বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সংস্থা ক্রেতাদের ফ্ল্যাট কেনানোর টাকা নিয়ে ঠকিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে ইডি। এই প্রতারণা সংক্রান্ত মামলাটি বিচারাধীন ছিল আলিপুর আদালতে। সেই মামলায় এর আগে আলিপুর আদালতে যতবার শুনানি হয়েছে, ততবারই নানান কারণ দেখিয়ে নুসরত জাহান আদালতে হাজিরা দেননি। পরে আলিপুর আদালত এই মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেত্রীকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নুসরত জাহান। শেষপর্যন্ত আলিপুর আদালতের নির্দেশ বহাল রাখল জজ কোর্ট। বিচারক জানান, নিম্ন আদালতের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। ফলে ফ্ল্যাট প্রতারণার মামলায় হাজিরা দিতেই হবে নুসরতকে।
মিষ্টির দোকানে ঢুকে চলল এলোপাথারি গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত একজন। অভিযোগ, মিষ্টির স্বাদ পছন্দ হয়নি বলে মিষ্টির দোকানের মালিককে ধরে মারধর এবং আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পর পর ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এমনকি মিষ্টির দোকানে থাকা সিসিটিভি ক্য়ামেরা পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটে। ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।
জানা গিয়েছে, আহত ব্য়ক্তির নাম নবীন কুমার দাস (৩০)। বর্তমানে আহত ওই ব্য়ক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতেই অপারেশন করে পেট থেকে গুলি বার করেছে চিকিৎসক।যদিও এখন আপাতত আহত ওই ব্য়ক্তি সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও পুলিস এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে অভিযুক্তদের খোঁজের পাশাপাশি এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। কোনও কারণ ছাড়াই কথায় কথায় গুলি চালানোর ব্য়াপারটা এখন অনেকের কাছে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। যার সমাজে দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপ প্রায়ই নজরে পড়ে। কিন্তু দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে অসহায় হয়ে পড়বে সাধারণ মানুষ। কারণ সমাজের এইসকল ঘটনার জেরেই আজ আতঙ্কিত জনসমাজ।
শিক্ষিত সৎ সাংসদ চাই', মঙ্গলবার সন্ধে থেকে এই পোস্টারেই ছয়লাপ বসিরহাটের একাধিক এলাকা। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে, মোটামুটি কোমর বাঁধতে শুরু করেছে সব দলই। বুধবারই, রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এই আবহেই, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত বিরোধী পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা।
লোকসভা ভোটের আগে, বসিরহাটের মিনাখাঁ বিধানসভার অন্তর্গত হাড়োয়া ব্লকের কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় পোস্টারের কোনওটিতে লেখা, “লোকসভার প্রার্থী হিসেবে বহিরাগত কাউকে চাই না।” আবার কোনোটার বয়ান, ‘অভিনেতা, অভিনেত্রী না, সৎ শিক্ষিত মানুষ চাই’ । এর আগেও একাধিকবার তাঁকে এলাকায় দেখা যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে এই পোস্টারে রীতিমতো অস্বস্তিতে সবুজ শিবির।
বসিরহাটের হাড়োয়া থানার উদ্যোগে উদ্ধার হল হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন। সোমবার ১৫ টি হারানো মোবাইল ফোন তুলে দেওয়া হয় ফোনের প্রকৃত মালিকদের হাতে। চুরি কিংবা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন পাওয়ার আশা ছেড়ে দেওয়ার পর অপ্রত্য়াশিতভাবে তা পেয়ে খুশি হলেন ফোনের প্রকৃত মালিকরা।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হাড়োয়া থানার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে মোবাইল হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছিল। অভিযোগ জমা পড়তেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হয় হাড়োয়া থানার পুলিসের তরফে। তারপর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনগুলি উদ্ধার করে এদিন প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন আবার ফিরে পেয়ে উপভোক্তারা খুশি হয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাড়োয়া থানার পুলিস প্রশাসনকে।
পুলিস কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী দিনেও চলবে এমন উদ্যোগ। এদিন বিশেষ মোবাইল ফেরত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিনাখাঁর এসডিপিও আমিনুল ইসলাম, হাড়োয়ার সিআই তপন কুমার আগুয়ান ও হাড়োয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাপস ঘোষ সহ একাধিক পুলিসকর্তারা।
ভাত দিতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার তেপুল-মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দামাটি গ্রামে। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম, সাত্তার মোল্লা (৬০) পেশায় কৃষক। মৃত মহিলার নাম তোহারা বিবি (৫৫)। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজকার দিনের মতো জমি থেকে চাষ করে বাড়ি ফিরে স্ত্রী তোহারা বিবির কাছে ভাত চায় তাঁর স্বামী সাত্তার মোল্লা। সেই সময় ভাত দিতে দেরি হওয়ায় বচসা শুরু হয় স্বামী-স্ত্রী দু'জনের মধ্যে। তারপর পাটের দড়ি দিয়ে স্ত্রীকে বেঁধে বটি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে তাঁর স্বামী। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তোহারাকে উদ্ধার করে প্রথমে শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, অভিযুক্ত সাত্তার মোল্লার বিরুদ্ধে এর আগেও স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, শুধুই কি ভাত দিতে দেরি হওয়ায় এই ঘটনা? নাকি এর পিছনে অন্য কোন কারণ আছে? সবটাই তদন্ত শুরু করেছে স্বরূপনগর থানার পুলিস।
সদ্যোজাতকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পাচারকারী। তারপর রূদ্ধশ্বাস তদন্ত। মায়ের কোলে শিশু ফেরাল বাদুড়িয়া থানার পুলিস। পাচার চক্রের পর্দাফাঁস, গ্রেফতারি। যেন এক থ্রিলার সিনেমার প্লট। ১৪ দিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার বেঁড়াচাপার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বসিরহাটের আগাপুর গ্রামের এক গৃহবধূ। ওই প্রসূতির একটু বেশিই যত্ন নিতেন নার্সিংহোমের আয়া পারভিনা ওরফে টুম্পা খাতুন। কথার মন্ত্রে মুগ্ধ হন প্রসূতি। তারপরই কোলের শিশু উধাও।
অভিযোগ, সদ্যোজাতকে চুরি করে নদীয়ার তেহট্টে চম্পট দেন অভিযুক্ত আয়া। শিশু-পরিবারের অভিযোগ পেয়েই বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্রের নির্দেশে ও বাদুড়িয়া থানার আধিকারিক সিদ্ধান্ত মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি গঠিত হয় তদন্ত টিম। শেষে আয়ার ফোন নম্বর ট্র্যাক করে নদীয়ার তেহট্ট থেকে পাকড়াও করা হয় মূল পাণ্ডা ওই আয়া সহ আরও ২ সাগরেদ অরূপ সরকার ও মণিরুল মণ্ডলকে। জেরায় ফাঁস হয় মোটা টাকার বিনিময়ে শিশু বিক্রির চক্রান্ত।
চেনা হাতের স্পর্শ পেতেই কান্না থামিয়েছে একরত্তি, ঠোঁটের কোণায় বোধহয় ফুটে উঠল বাঁকা হাসি। আর কোনও শিশু যেন মায়ের কোলছাড়া না হয়। পাচার চক্রের মূল খুঁজতে উঠে পড়ে লেগেছে পুলিস।
পুজোর আগে বসিরহাটে গুলি ভর্তি বন্দুক ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার পাঁচজন দুষ্কৃতী। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার তরুণীপুর শ্মশান এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, ওই পাঁচ ধৃতের নাম প্রদীপ দাস, বিজয় দাস, আশিকুল গাজী, মকবুল গাজী ও ইমরান গাজী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডাকাতির ছক বানচাল করে স্বরূপনগর থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার ভোররাতে গোপন সূত্রে খবর আসে স্বরূপনগর থানার পুলিস আধিকারিক প্রতাপ মোদকের কাছে। এরপর তাঁর নেতৃত্বে একদল পুলিস গিয়ে হাতে নাতে ওই পাঁচ সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি গুলি ভর্তি বন্দুক, ভোজালি সহ ডাকাতি করার একাধিক সরঞ্জাম। পুুলিস আরও জানিয়েছে, ওই পাঁচ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই বসিরহাটের বিভিন্ন থানা এলাকায় ছিনতাই, রাহাজানি ও ডাকাতি করার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার ওই পাঁচ ধৃতকে সিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তবে এই ডাকাতি ছকের পিছরে আরও বড়ো কোনও চক্র রয়েছে কিনা তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিস।
গলার নলি কাটা। ঝলসে গিয়েছে মুখ। কাকরোল ক্ষেতের মাঝে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে বছর কুড়ির এক তরুণী। দেহের পাশে চাপ চাপ রক্ত। শুকিয়ে তা জমাট বেধেছে। সাতসকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Indo-Bangladesh Border) গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গুনরাজপুর গ্রামে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই তরুণী বাংলাদেশি কিনা, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। চাষিরা তড়িঘড়ি খবর দেয় স্বরূপনগর থানা পুলিসকে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালবেলা স্থানীয় চাষিরা ক্ষেতে কাজ করতে এসেছিলেন। তখন ক্ষেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা জানিয়েছেন, যুবতীর গলার নলি কাটা ছিল। তাঁর মুখও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ব্যাগ, একটি ফেশওয়াশের বোতল, পেস্ট, লিপস্টিক পাওয়া গিয়েছে।
ওই তরুণী বাংলাদেশের বাসিন্দাও হতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রমাণ লোপাট করতেই মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠিয়েছে।
দাম্পত্য বিবাদের জের। স্ত্রী ও আট বছরের কন্যাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়ায়। আদৌ দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম মৌসুমী পাল। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সঞ্জীব পাল। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মৌসুমীকে পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন সঞ্জীব। যার জেরে অশান্তি লেগেই থাকতো। মৌসুমীর পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ে সন্তান জন্মানোর পর থেকে আরও অত্যাচার শুরু করে মৌসুমীর উপর। যদিও পুলিসি জেরায় অভিযুক্ত স্বামী জানিয়েছেন, অবৈধ সম্পর্কের জেরেই তাঁদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হতো। সেই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে মঙ্গলবার রাতে।
বুধবার ভোররাতে স্ত্রী মৌসুমী ও বছর আটের কন্যাকে ঘুমের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। তারপর হাবড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জীব। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুকুরের জলে পড়ে গিয়ে মৃত্য়ু হল এক ব্য়ক্তির। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের হাড়োয়া থানার অন্তর্গত হাড়োয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আটঘরা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম শেখ করিম (৫৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পুকুর থেকে ওই ব্য়ক্তির দেহ উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও পুকুরে গিয়েছিলেন শেখ করিম। কিন্তু কিভাবে পুকুরে পড়ে যান তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এরপর স্থানীয়রা খবর দেন পুলিসকে। ইতিমধ্যে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিস।
তবে কীভাবে জলে পড়লেন ওই ব্যক্তি? নিজেই পড়ে গেলেন নাকি কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন? এর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা সমস্তটাই খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিস। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সীমান্তে ফের অবৈধভাবে প্রচুর পরিমাণে ফেন্সিডিল (Phencidyl) সহ আটক এক পাচারকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বসিরহাটের (Basirhat) স্বরুপনগরের হাকিমপুর সীমান্তের অভিযানে নামে বিএসএফ জওয়ানরা। এরপর সীমান্তে চেকপোস্ট থেকে আসা একটি চারচাকা গাড়ি সহ এক পাচারকারীকে আটক করে বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সাব্বির শেখ। বাড়ি স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিথারী শেখ পাড়ায়। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ফেন্সিডিলগুলো বাংলাদেশের পাচারের উদ্দেশ্য়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ওই পাচারকারী। কিন্তু পাচারের আগেই দুষ্কৃতীদের ছক বানছাল করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই ফেন্সিডিল গুলো চারচাকা গাড়ির ভিতরে লুকিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার জন্য় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে। হাকিমপুর চেকপোস্টের দিক থেকে আসা একটি চার চাকার গাড়ি আটক করে তল্লাশি চালাতে শুরু করে বিএসএফের জওয়ানরা। এরপর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সেই গাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে ১৯৪ বোতল ফেন্সিডিল। উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ সহ পাচারকারীকে স্বরূপনগর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, এরপর পুলিস ওই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে।