
গলার নলি কাটা। ঝলসে গিয়েছে মুখ। কাকরোল ক্ষেতের মাঝে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে বছর কুড়ির এক তরুণী। দেহের পাশে চাপ চাপ রক্ত। শুকিয়ে তা জমাট বেধেছে। সাতসকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Indo-Bangladesh Border) গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গুনরাজপুর গ্রামে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই তরুণী বাংলাদেশি কিনা, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। চাষিরা তড়িঘড়ি খবর দেয় স্বরূপনগর থানা পুলিসকে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালবেলা স্থানীয় চাষিরা ক্ষেতে কাজ করতে এসেছিলেন। তখন ক্ষেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা জানিয়েছেন, যুবতীর গলার নলি কাটা ছিল। তাঁর মুখও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ব্যাগ, একটি ফেশওয়াশের বোতল, পেস্ট, লিপস্টিক পাওয়া গিয়েছে।
ওই তরুণী বাংলাদেশের বাসিন্দাও হতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রমাণ লোপাট করতেই মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠিয়েছে।
দাম্পত্য বিবাদের জের। স্ত্রী ও আট বছরের কন্যাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ স্বামীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়ায়। আদৌ দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত স্ত্রীর নাম মৌসুমী পাল। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সঞ্জীব পাল। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মৌসুমীকে পণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন সঞ্জীব। যার জেরে অশান্তি লেগেই থাকতো। মৌসুমীর পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়ে সন্তান জন্মানোর পর থেকে আরও অত্যাচার শুরু করে মৌসুমীর উপর। যদিও পুলিসি জেরায় অভিযুক্ত স্বামী জানিয়েছেন, অবৈধ সম্পর্কের জেরেই তাঁদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি হতো। সেই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে মঙ্গলবার রাতে।
বুধবার ভোররাতে স্ত্রী মৌসুমী ও বছর আটের কন্যাকে ঘুমের মধ্যেই কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। তারপর হাবড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জীব। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুকুরের জলে পড়ে গিয়ে মৃত্য়ু হল এক ব্য়ক্তির। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের হাড়োয়া থানার অন্তর্গত হাড়োয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আটঘরা এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ব্য়ক্তির নাম শেখ করিম (৫৫)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে পুকুর থেকে ওই ব্য়ক্তির দেহ উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে গোটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও পুকুরে গিয়েছিলেন শেখ করিম। কিন্তু কিভাবে পুকুরে পড়ে যান তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এরপর স্থানীয়রা খবর দেন পুলিসকে। ইতিমধ্যে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে এই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিস।
তবে কীভাবে জলে পড়লেন ওই ব্যক্তি? নিজেই পড়ে গেলেন নাকি কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন? এর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা সমস্তটাই খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিস। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সীমান্তে ফের অবৈধভাবে প্রচুর পরিমাণে ফেন্সিডিল (Phencidyl) সহ আটক এক পাচারকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বসিরহাটের (Basirhat) স্বরুপনগরের হাকিমপুর সীমান্তের অভিযানে নামে বিএসএফ জওয়ানরা। এরপর সীমান্তে চেকপোস্ট থেকে আসা একটি চারচাকা গাড়ি সহ এক পাচারকারীকে আটক করে বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম সাব্বির শেখ। বাড়ি স্বরূপনগরের বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিথারী শেখ পাড়ায়। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ফেন্সিডিলগুলো বাংলাদেশের পাচারের উদ্দেশ্য়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ওই পাচারকারী। কিন্তু পাচারের আগেই দুষ্কৃতীদের ছক বানছাল করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ওই ফেন্সিডিল গুলো চারচাকা গাড়ির ভিতরে লুকিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার জন্য় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে। হাকিমপুর চেকপোস্টের দিক থেকে আসা একটি চার চাকার গাড়ি আটক করে তল্লাশি চালাতে শুরু করে বিএসএফের জওয়ানরা। এরপর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সেই গাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে ১৯৪ বোতল ফেন্সিডিল। উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ সহ পাচারকারীকে স্বরূপনগর থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, এরপর পুলিস ওই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে।
পাট পচানোর নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবতীর মৃতদেহ। শনিবার বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়া থানার অন্তর্গত আটুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলঘরিয়া খোড়গাছি এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে নয়ানজুলি থেকে ওই যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর ওই যুবতীর মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্য়াপক চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই এলাকার এক চাষী নয়ানজুলিতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের লোকজন ডেকে আনেন। ঘটনাস্থল থেকেই খবর দেওয়া হয় বাদুড়িয়া থানায়, এরপর কাটিয়াহাট পুলিস ফাঁড়িতে খবর যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা ওই যুবতিকে মাঠে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। তবে কি তাঁকে খুন করা হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? এই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত ওই যুবতীর কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই যুবতীর নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
এ যেন ভিনদেশী রোকিয়া ও সম্রাটের হাড়হিম করা সিনেমার চিত্রনাট্য। বাংলাদেশের একই গ্রামে বাড়ি এই প্রেমিক-প্রেমিকার। ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন যুগল। কিন্তু প্রেমিকের ফন্দি ছিল অন্য। পরে প্রেমিকা জানতে পারেন তাঁর প্রেমিক মোটা অর্থের বিনিময়ে ভিন রাজ্যে তাঁকে বিক্রি করার ফন্দি এঁটেছেন। এরপরই প্রেমিকের কাছ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রেমিকা।
তবে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া এতটা সহজ ছিল না। সীমান্ত পেরোতে গিয়ে বিএসএফের জালে ধরা পড়েন প্রেমিকা। বাংলাদেশের চাঁদিপুরের ডুরুলিয়া গ্রামের বছর ২০-র সম্রাট গাজীর সঙ্গে বছর ১৯-এর রোকিয়া সুলতানার আলাপ হয় ফেসবুকে। সেই আলাপচারিতা গড়ায় হোয়াটসঅ্যাপ অবধি। তারপরে তাঁরা ভালোবাসার সম্পর্ককে পরিণতি দিতে দু'জনই দেশ ছেড়েছিলেন চলতি বছরের ২৩শে জুলাই। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়ে প্রবেশ করেন ভারতে। নাম পরিচয় গোপন রেখে গত এক মাস ধরে বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় দু'জনে সুখে বসবাস করছিলেন।
এরপরই কাহিনীতে আসে টুইস্ট। রোকিয়া জানতে পারেন তাঁর প্রেমিক মোটা টাকার বিনিময়ে তাঁকে বিক্রি করার ফন্দি এঁটেছেন। তরুণী কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারী-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই সময় ওই তরুণী ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমন্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের হাতে আটক হন। বিএসএফকে পুরো ঘটনা জানান রোকিয়া।
ঘটনা জানতে পেরে নড়েচড়ে বসে সীমন্তরক্ষী বাহিনী। তারপর বিএসএফ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর তদন্তে নেমে জানতে পারে তরুণীর বাড়ি বাংলাদেশেই। রোকিয়া সবটাই সত্যি বলেছেন। এরপরই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মধ্যে প্রশাসনিক আলোচনা শুরু হয়। বিএসএফের ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কোম্পানি কমান্ডার মণিষ কার্কি, ওপার বাংলার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আধিকারিকদের সঙ্গে এক জায়গায় বসে একটি ফ্ল্যাগ মিটিং করেন। উপযুক্ত নথিপত্র আদান প্রদানের পর ওই তরুণীকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয় বর্ডার গার্ড। তরুণী ভালবাসার অনেক স্বপ্ন নিয়ে একই গ্রামের যুবকের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন। ভিনদেশে ঘর বাধার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু ভালোবাসার মধ্যে যে কাটা রয়েছে সেটা প্রকাশ হতেই একরাশ তিক্ততা নিয়ে দেশে ফিরলেন রোকিয়া। প্রেমিক সম্রাটের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।
গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Rescue) ঘিরে চাঞ্চল্য। বৃহস্পতিবার, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োয়া থানার অন্তর্গত মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মোহনপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলরা নাম কাবেরী হালদার (৩৫)। মৃতার পরিবারের দাবি, রোগের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বধূ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার পুলিস এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছিলেন কাবেরী হালদার। এর আগেও নাকি শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। যদিও তখন সেই সময় তাঁর ছেলেমেয়ে বাড়িতে থাকায় তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু এবার বাড়িতে কেউ না থাকায় যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বধূ। খবর দেওয়া হয় হাড়োয়া থানায়। এরপর পুলিস এসে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কাবেরী হালদারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যদিও পুলিস জানিয়েছেন, ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। ইতিমধ্যে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিস। পারিবারিক বিবাদ নাকি রোগের যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই বধূ। নাকি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে পুরো বিষয়টি নজরে রেখেছে তদন্তকারীরা।
স্বাধীনতা দিবসের দিন এ এক অন্য ভারতের চিত্র প্রকাশ্যে। মিশনের অনুষ্ঠানে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে ভারতের জাতীয় পতাকাকে (Nationalflag) ছুড়ে ফেলার অভিযোগ। রবিবার অর্থাৎ ১৩ অগাস্ট উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার সংগ্রামপুর এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকার অবমাননা সহ ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে বসিরহাট (Basirhat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বসিরহাট আনন্দলোক মিশন কতৃপক্ষ।
সম্প্রতি সোশ্যাল মাধ্যমে জাতীয় পতাকার অবমাননার এই ভিডিও ভাইরাল হয়। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে বসিরহাট আনন্দলোক মিশন কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিএন। এরপরই জানা যায়, রবিবার ওই মিশনের একটি অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানেই বসিরহাট আনন্দলোক মিশনের একটি খালি জমি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। সেসময় আচমকা স্থানীয়রা ওই মিশনের উপর চড়াও হয়, এবং মিশনে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ সে সময়ে স্থানীয়দেরই প্ররোচনায় এক যুবক মিশনের ছাদে উঠে জাতীয় পতাকা ছুড়ে ফেলে।
ওই মিশনের তরফে এক সদস্য বলেন, 'মিশনের জমি জোর করে স্থানীয়রা দখল করার চেষ্টা করছিল, বাধা দিলে মিশনের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি বারবার বারণ করা সত্ত্বেও জাতীয় পতাকা ছুড়ে ফেলে দেয় অভিযুক্ত।' এ বিষয়ে বসিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুরিন্দ্রর সিং বলেন, 'জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনা নজরে আসতেই একটা আলাদা করে মামলা রুজু করা হয়েছে, তাঁর তদন্তও চলছে। দোষীদের উপযুক্ত সাজার ব্যাবস্থা করা হবে।'
রবিবার ভোররাতে গুলি চলল বসিরহাটে। এদিন, তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামলা এলাকার ঘটনা।
মৃতের নাম শেখ সাহেব আলী। তৃণমূল কংগ্রেসের কিষান-ক্ষেতমজুর সেলের হাড়োয়া এক নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে খাশবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিহারী গ্রামের ২৪৩নং বুথের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শেখ সাহেব। জানা গিয়েছে, বাড়িতে ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
জানা গিয়েছে, রবিবার ভোররাতে অঞ্চল সভাপতির বাড়ি ফিরছিলেন শেখ সাহেব। বাইকে চেপেই ফিরছিলেন। সামলা বাজার এলাকায় আসতেই তাঁর পথ আটকে দেয় ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতী। ঘিরে ধরে তাঁকে। অভিযোগ, এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
গুলির শব্দ ও তৃণমূল নেতার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁকে তড়িঘড়ি হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নিখোঁজের চার দিন পর নদী থেকে উদ্ধার হল শ্রমিকের দেহ (Dead Body)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার অন্তর্গত হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের নাসিরহাটি ফেরিঘাটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া থানার পুলিস (Police)। দেহটি উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মধু মণ্ডল (৫৮)। পেশায় তিনি একজন শ্রমিক। চলতি মাসের ৩ তারিখ বিকেলে তিনি নাসিরহাটি ফেরিঘাট দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় হঠাৎ তিনি সাইকেলসহ মাঝ নদীতে পড়ে যান। তারপর থেকেই নদীতে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিস। কিন্তু গত দুই দিন ধরে তল্লাশি করার পরেও ওই ব্যক্তির দেহ পাওয়া যায় না। অবশেষে মঙ্গলবার অর্থাৎ নিখোঁজের চারদিন পর বিদ্যাধরী নদী থেকে হাড়োয়া থানার পুলিস ওই ব্যক্তির দেহটি উদ্ধার করে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
ভুয়ো ফোন নম্বর থেকে ফোন করে এটিএম-এর ওটিপি জেনে লক্ষাধিক টাকা (Money Fraud) প্রতারণা করার অভিযোগ। অভিযোগ উঠলো খোদ এক ব্যাঙ্ক এজেন্টের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাসনাবাদ থানার রূপমাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব খেজুরবাড়িয়া এলাকায়। এই ঘটনার পরেই ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে অভিযোগের ১৬ দিন পর বসিরহাট থানার পুলিস (Police) অভিযুক্তকে আটক করে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যাঙ্ক এজেন্টের নাম অনিমেষ সরকার এবং প্রতারিত ওই মহিলার নাম সাগরিকা দাস। এই ঘটনায় প্রতারিত গৃহবধূ অভিযোগ করেন, জুলাই মাসের ২২ তারিখে একটি ভুয়ো নম্বর থেকে তাঁর ফোনে ফোন আসে। ফোনে তাঁর এটিএম কার্ড চালু করার কথা জানানো হয়। এরপরেই তাঁর কাছে একটি ওটিপি আসে। সেই ওপিটি-টি দেওয়ার পরেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। তারপরেই ওই গৃহবধূ জানতে পরেন তিনি প্রতারণার শিকার হযেছেন। এই ঘটনার পরেই তিনি ব্যাঙ্ক এজেন্ট অনিমেষ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্রের খবর, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্ত শুরু করে। কিন্তু অভিযুক্ত ওই ব্যাঙ্ক এজেন্টের কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। প্রায় ১৬ দিন পর সোমবার হঠাৎ বসিরহাট দণ্ডীরাট একটি রাষ্ট্রয়াত্ত্ব ব্যাঙ্কে ওই অভিযুক্ত আসলে তাকে হাতেনাতে ধরেন ওই মহিলা। এমনকি প্রতারণা করার পুরো বিষয়টা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানান। তারপরেই খবর পেয়ে বসিরহাট থানার পুলিস ওই অভিযুক্তকে আটক করে।
ওই অভিযোগকারী মহিলার দাবি, হিঙ্গলগঞ্জের একাধিক জায়গায় এটিএম কার্ড চালু করে দেওয়ার নাম করে অনেক জনের কাছে প্রতারণা করেছে এই এজেন্ট। এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
চাকরির (Job) নামে এক যুবককে অপহরণের (Kidnapping) অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের সন্দেশখালি থানার অন্তর্গত কোড়াকাটি গ্রামে। জানা গিয়েছে, অপহৃত হওয়া ওই যুবকের নাম তপোব্রত মণ্ডল। কোড়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে ১৮ জুলাই বাড়ি থেকে রওনা দেন চাকরির উদ্দেশ্যে গুজরাতের আমেদাবাদে। ২০ জুলাই গন্তব্য়ে পৌঁছে যাওয়ার পর থেকে বাড়ির সঙ্গে সমস্ত রকম যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বাড়ি থেকে একাধিকবার ফোন করলেও সুইচ অফ বলে তপোব্রতর মোবাইল।
এরপর ওই বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে কোনও সঠিক উত্তর না মেলায় তপোব্রতর দাদা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সন্দেশখালি থেকে প্রথমে আহমেদাবাদ যান। সেখানে ওই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তপোব্রতর ব্যাপারে কোন খোঁজ দিতে পারেনি। অবশেষে তারা আমেদাবাদের গুজরাত পুলিসের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে একটার পর একটা থানা ঘোরানো হলেও তাদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। এমনকি তাদের কাছে মোটা অর্থ দাবি করা হয় বলে অভিযোগ।
অবশেষে তারা পুনরায় সন্দেশখালিতে ফিরে আসে। তারপর সন্দেশখালি থানায় তপোব্রতর নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল সন্দেশখালি থানার পুলিস। ইতিমধ্যে চলতি মাসের ২ তারিখে কোড়াকাটির স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রণব রায়ের কাছে একটি অজ্ঞাত নম্বার থেকে ফোন আসে। সেই ফোনের ওপারে গলা ভেসে ওঠে তপোব্রতর। অবশেষে ৫ই আগস্ট শনিবার রাতে অনেক যুদ্ধের পর কোড়াকাটিতে নিজের বাড়ি ফিরে আসে তপোব্রত মণ্ডল।
বাড়ি ফিরে তপোব্রত জানিয়েছে, আমেদাবাদ স্টেশনে নামা মাত্রই স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে এক অটোওয়ালা সহ তিন যুবক তাঁকে অপহরণ করে। তারপরে তাঁকে আমেদাবাদের বানসারার একটি চালের মিলে নিয়ে যায়। টানা ১২ দিন ওখানে থাকার পরে কোনওরকমে সে ওই গ্রামের প্রণব রায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। তারপর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রণব রায় তাঁর আমেদাবাদের বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং একটি গাড়ির নম্বর তপোব্রতকে দেন। তপোব্রত কোনও রকমে প্রাণ রক্ষা করে ওই গাড়ির নম্বরটি ফলো করে, গাড়ি আসা মাত্রই সে গাড়িতে চেপে বসে এবং সোজা চলে আসে আমেদাবাদ স্টেশনে। সেখান থেকে একেবারে সন্দেশখালি বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
তবে কি করে তপোব্রত অপহৃত হল? কেনই বা তাঁকে অপহরণ করা হল? এর সঙ্গে বড়সড় কোনও অপহরণ চক্রের যোগ রয়েছে কিনা বা ওই সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিস।
বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) গুরুতরভাবে জখম (Ijured) এক ন'বছরের শিশু। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে ডান হাতটি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) নলকোড়া গোলবাগান এলাকায়। বোমকে বল ভেবে খলতে গিয়েই ঘটে বিস্ফোরণ। ঘটনার পরেই স্থানীয়রা ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপরেই খবর পেয়ে ওই ভাটাতে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিস (Police)। বাকি বোমা গুলিও উদ্ধার করে পুলিস। এমনকি কে বা কারা এই ধরনের বোমা মজুত করে রেখেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, আহত ওই শিশুটির নাম ইউসুফ মণ্ডল (৯)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোলবাগান এলাকায়। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রতিবেশীরা ইউসুফকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওই শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জ্ঞান ফিরেছে ইউসুফের। একটু একটু করে কথাও বলছে সে। তবে ওই শিশুটির ডান হাতের কবজি থেকে বাকিটা বাদ দিতে হয়েছে। পরিবারের দাবি, যে বা যারা এই বোমাগুলি মজুত করছিল পুলিস তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দিক।
যদিও এই ঘটনায় ভাটার মালিক হাজী মোহাম্মদ মসিবর বৈদ্য বলেন, "ভাটাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। কে বা কারা এসে বোমাগুলি রেখেছে তা জানা যায়নি। তবে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।"
ভুয়ো পুলিস অফিসারের (Fake Police) পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করার অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হাড়োয়া থানার অর্জুনতলা হাড়োয়া ও রাজারহাট রোডে। হাড়োয়া ও রাজারহাট থানার পুলিস যৌথভাবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার (Arrest) করে। সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন করে রবিবার ধৃত তিন যুবককে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। এই তিনজন যুবকের সঙ্গে বড়সড় কোনও প্রতারণা চক্র জড়িত আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিস (Police)।
পুলিস সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরেই ওই তিনজন ভুয়ো পুলিস আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে এলাকায় তোলাবাজি করছিল। আর সেই অভিযোগ বারেবারে আসছিল হাড়োয়া থানার পুলিসের কাছে। এরপরেই হাড়োয়া থানার ওসি বাপ্পা মিত্র একটি দল গঠন করেছিলেন দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য। আর এই অভিযোগের পর থেকেই তিন ভুয়ো পুলিসের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করছিল পুলিস। এমনকি এই খবর চারিদিকে ছড়িয়েও দেওয়া হয়েছিল হাড়োয়া থানার তরফ থেকে। এমনকি অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জানা যায় রাজারহাটের একটি গোপন ডেরায় আশ্রয় নিয়েছে তারা। তারপরেই শনিবার রাতে রাজারহাটের একটি গোপন আশ্রয় থেকে এই তিন যুবককে গ্রেফতার করে রাজারহাট থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই তিন যুবকের নাম বাবু দত্ত (৪৫), সুমন মিস্ত্রি (৩৫), এবং অমল কুমার (৩৫)। এর মধ্যে অমল কুমারের তাঁতি জগদ্দলে বাড়ি। এরা তিন জন বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিস পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করেছিল। এদের বিরুদ্ধে পুলিসের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।
ফেসবুকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে, যুবতীকে হুমকির অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ থানার সাণ্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ডোবরা এলাকায়। এই ঘটনায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে বসিরহাটের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস (Police)। যদিও এই ঘটনায় ওই যুবককে এখনও আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিস।
এই ঘটনায় ওই যুবতী জানান, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম রাজীব দাস। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার হাবরা থানার বাদামতলা এলাকায়। তাঁরা দুজনে একই জায়গায় কর্মরত ছিলেন। আর সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে আলাপচারিতা হয়। পরিচয় হওয়ার পর থেকে ফোনে কথাবার্তাও হত। এমনকি প্রায়ই দুজনে বাইরে একসঙ্গে ঘুরতেও যেতেন। ওই যুবতী আরও জানান, বেশ কয়েকদিন খুব ভালোভাবেই দিন কাটছিল। তবে আচমকাই একদিন তিনি জানতে পারেন ছেলেটি বিবাহিত। ওই যুবকের একটি সন্তানও রয়েছে। তারপর থেকেই তিনি ওই যুবকের থেকে দুরে দুরে থাকতে শুরু করেন।
যুবতীর অভিযোগ, দুরে যাওয়ার পরেই অভিযুক্ত তাঁর ফেইবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড জেনে ফেসবুক হ্যাক করে তাঁর অশ্লীল ছবির পাশাপাশি কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিও পোস্ট করে ফেসবুকে। তারপরেই অভিযুক্ত ব্ল্যাকমেইলিং করে ভয় দেখাতে শুরু করে যুবতীকে। এমনকি যুবতীর সহকর্মীদের কাছেও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি পাঠিয়ে দিত অভিযুক্ত রাজীব। তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত দেড় বছর ধরে এভাবেই ব্ল্যাকমেলিং করে চলেছে অভিযুক্ত। তিনি দাবি করেন, এই মানসিক যন্ত্রণা আর সহ্য করতে না পেরেই তিনি থানার দারস্থ হন।
এই ঘটনায় ওই যুবতীর মা বলেন, "যেভাবে একটা মেয়ের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে ওই যুবক, তাতে সমাজের কাছে তাঁদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অভিযুক্তকে বারবার বলা সত্ত্বেও সে কথা শুনছে না। এমনকি হোয়াটস্অ্যাপেও অশ্লীল ছবি পাঠাচ্ছে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব দোষীর যেন কঠোর শাস্তি হয়।"