সাতসকালেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (accident)। একটি লরি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত চালক-সহ ২০। স্থানীয়দের তৎপরতায় সকলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে (hospital)। ঘটনাটি বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানার ফিরোজপুর টাকি রোডের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাটিয়া থানার পুলিস। সাতসকালেই এমন দুর্ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা ২০ নাগাদ বসিরহাট থেকে আদিত্য অ্যাকাডেমির একটি স্কুলবাসে ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বারাসাতের দিকে যাচ্ছিল। চালক ও পড়ুয়া-সহ মোট জখম হয়েছে ২০ জন। ইতিমধ্যেই তাদের ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই ছুটে এসে ওই বেসরকারি বাসের চালককে ও জখম ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনায় রীতিমতো টাকি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কিছু সময়ের জন্য। কি কারণে এই দুর্ঘটনা, খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে প্রাথমিক অনুমান, স্কুল বাসের গতিবেগ বেশি ছিল।
পাশাপাশি উল্টোদিকে বারাসাত থেকে লরি এসে সজোরে ধাক্কা মারে। যার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিস। পুরো বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে মাটিয়া থানার পুলিস।
এ যেন ঠিক মনুয়া কাণ্ডের ছায়া। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, আর তার জেরেই স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার (N24 Parganas) বসিরহাট (Basirhat) থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বাগুন্ডি গ্রামে। তবে এবার দ্বিতীয় স্ত্রীর হাতে খুন হতে হল স্বামীকে। বছর দশেক আগে অঞ্জলি শীল নামে এক মহিলার সঙ্গে প্রথমবার বিয়ে হয় বছর ৩৫-র বাপি শীলের। অঞ্জলি এবং বাপির এক সন্তান রয়েছে বলে খবর। কিন্তু দীর্ঘদিনের সংসার ও স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও গত ১ বছর আগে সোমা শীল নামে এক মহিলাকে বিয়ে করে বাপি। ঝামেলার সূত্রপাত সেখান থেকেই।
এই ঘটনার পর প্রথম এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে হামেশাই ঝামেলা লেগে থাকত বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর জেরে অবশেষে প্রথম স্ত্রী এবং সন্তানকে ছেড়ে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে ঘর ভাড়া করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতে শুরু করে বাপি।
তবে রবিবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা বাপি শীলকে দ্বিতীয় স্ত্রী সোমা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাপিকে তড়িঘড়ি বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিস।
মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে গভীর রাতের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য গ্রামে। বাপিকে, সোমা পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে দাবি প্রথম স্ত্রী অঞ্জলির। দ্বিতীয় স্ত্রী সোমার দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানান তিনি। অপরদিকে সোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। এর পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের কোন গল্প আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
সোমবার রাত ১০টা নাগাদ বসিরহাটের (Basirhat Firing) শাকচূড়া বাজারে দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে আক্রান্ত এক পুলিস কনস্টেবল (Police Constable)। জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল প্রভাত সর্দার বসিরহাট থানার অনন্তপুর ফাঁড়ির প্রভাত সর্দার। তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তাঁর সহকর্মীরা। অস্ত্রোপচার করে গুলিও বের করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম বেসে সোমবার রাতে বাজার এলাকার তাঁর কার্যালয়ে ঝামেলা এবং বচসায় জড়ান। সেই ঝামেলা মেটাতে যান অনন্তপুর ফাঁড়ির কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা ও উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Pargana) জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান বুলবুল।
অভিযোগ, তখনই ওই দলীয় কার্যালয়ে থাকা এক দুষ্কৃতী ছাত্রনেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই ধেঁয়ে আসা গুলি দেখতে পেয়ে কনস্টেবল প্রভাত সর্দার, আশরাফুজ্জামান বুলবুলকে নিচে বসিয়ে দেয়। তখনই সেই গুলি এসে লাগে ওই পুলিসকর্মীর বাঁ কাঁধে। তারপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শূন্যেও কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বচসা। অন্য পুলিস গিয়ে ওই পুলিসকর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। তারপর তাঁকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বারাসাতের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত সুস্থ রয়েছেন প্রভাতবাবু।
অভিযোগ, সিরাজুল বেসের কার্যালয়ে মজুত আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই এই গুলি চালনার ঘটনা। এই সিরাজুল আগে তৃণমূল করলেও এখন এলাকার আইএসএফ নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা। ওর কার্যালয় থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা উত্তপ্ত করে করতে এই ঘটনা। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
এদিকে, যাকে উদ্দেশ্য করে প্রথমে গুলি চলে, সেই ছাত্র নেতা আশরাফুজ্জামান বুলবুলের দাবি, 'জোটের নেতা সিরাজুল বেসের অফিসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, ভিতরে শুনতে পাই একটা বাচ্চাকে মারধর করা হচ্ছে। আমি গিয়ে জানতে চাই কেন মারধর করছেন? আমার ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিস এসে যায়। ওরা মেশিন নিয়ে রেডি ছিল, আমাকে দেখেই গুলি চালায়। সেই দেখে এক পুলিসকর্মী আমাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের গাঁয়ে গুলি লাগে।'
সূত্রের খবর, বসিরহাটের পুলিস গুলি-কাণ্ডে ৪১ জনকে গ্রেফতার করলো বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিসকে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ ও অস্ত্র উদ্ধার মামলায় অভিযোগ রুজু করেছে বসিরহাট থানার পুলিস। তাঁদের থেকে তিনটি ধারালো অস্ত্র, দুটি বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত একচল্লিশ জনকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা তোলা হয়েছিল।এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে পুলিস সুপার জানান, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। আমাদের একজন কনস্টেবল আহত।
এদিকে, তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতির অপসারণ চেয়ে পথে নামেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। পাশাপাশি অভিযুক্ত সিরাজুল বেসের শাস্তির দাবিতে পথে নামেন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। অপরদিকে, ধৃতদের 'বিনা দোষে' গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে তাঁদের মুক্তির দাবিতে বসিরহাট থানার সামনে জড়ো হয়েছিলেন অভিযুক্তদের পরিবার। থানা ঘেরাওয়ের মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে লাঠিচার্জ করে জমায়েত হটিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিস।
ফের বোমার আঘাতে রক্তাক্ত শৈশব। এবার মিনাখাঁয় মামাবাড়িতে মজুত বোমাকে (bomb) নারকেল ভেবে মাচা থেকে পারতে গিয়েই অঘটন! বোমা ফেটে মৃত্যু (death) এক আট বছরের শিশুর। গুরুতর আহত (injured) আরও দুই শিশু। মর্মান্তিক এই ঘটনা বসিরহাটের (Basirhat) মিনাখাঁ থানার বকচোরা গ্রামের। বুধবারের এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবারও থমথমে গ্রাম। চলছে পুলিসি টহরদারি। কী ধরনের বিস্ফোরক মজুত ছিল ওই বাড়িতে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস (police)। পাশাপাশি পুলিস সূত্রের খবর, ঘটনায় ফরেন্সিক টিমের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরই বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন পুলিস কর্তারা। বুধবারই বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় আবুল হোসেন গাইনকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৃতার মামা অর্থাৎ আবুল হোসেন গাইনের নাম উঠে আসে। যার ফলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে মধ্যে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এক ভয়ানক চাপা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে গোটা বকচোরা গ্রাম। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে কার্যত মানবশূন্য হয়েছে বকচোরা। গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা। আবার অনেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট আর তার আগেই এই উত্তেজনা। যার ফলে যথেষ্টই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামে যেন আবার শান্তি ফিরে আসে। দোষীরা যেন অবিলম্বে শাস্তি পায়। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বোমা বিস্ফোরণ যে বাড়িতে ঘটে, সেই বাড়িটিকে তদন্তের স্বার্থে সিল করে রেখেছে মিনাখাঁ থানার পুলিস।
সূত্রের খবর, রান্নাঘরের মাচায় মজুত করে রাখা ছিল বোমা। সেই বোমাগুলোকে নারকেল ভেবে পাড়তে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। তখনই মাচা থেকে বোমা নিচে পড়েই ঘটে এই বিপত্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহানাকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস ওই আবু হোসেন গায়েনের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
ফুল তুলতে গিয়েই বাগান থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত (newborn) এক শিশু কন্যা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বসিরহাটের (Basirhat) ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বড় কালিবাড়ি পাড়া এলাকায়। কোথা থেকে এল ওই শিশু কন্যাটি (baby girl) সেই খোঁজেই পুলিস (police)।
জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা সুমন বিশ্বাস সোমবার সকালে তাঁর বাড়ির পুজোর ফুল তুলতে এসে দেখেন ঝোপের মধ্যে সদ্যোজাত এক শিশু। এই ঠান্ডায় একদিকে শিশুর কান্নার আওয়াজ, অন্যদিকে তাকে আগলে বসে রয়েছে একটি সারমেয়। এই দৃশ্য দেখা মাত্রই স্থানীয়দের খবর দেন তিনি। স্থানীয়রা ছুটে এসে দেখেন ঝোপের মধ্যে শিশুকন্যা জীবিত অবস্থাতেই রয়েছে। এরপর তাঁরাই ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তার গায়ে কাপড় জড়িয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে আনা হয়। খবর দেওয়া হয় বসিরহাট থানার পুলিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয় তাকে।
তবে প্রাথমিক অনুমান, সোমবার ভোররাতে ওই নবজাতকের জন্ম হয়েছে। ইতিমধ্যে শিশুটিকে চিকিৎসা করার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড বসানো হয়েছে। যাতে তার শারীরিক অবনতি না হয়। পুলিস সূত্রে জানা যায়, এখন ওই সদ্যোজাত শিশুকন্যাটি সুস্থ আছে। পাশাপাশি পুলিস তদন্ত করছে কে বা কারা এই শিশুটিকে ফেলে রেখে গেল? কেনই বা এই সদ্যোজাতকে খোলা আকাশের নিচে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে রেখে পালালো তারা। অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
ভোরবেলাই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (accident)। একটি সবজি বোঝাই গাড়ি ও একটি শ্রমিক বোঝাই ইঞ্জিনভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু (death) হয় ৫ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ৩ জন। তাঁদের ইতিধ্যেই হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি বসিরহাটের (Basirhat) মাটিয়া থানার রাহারআটি টাকি রোডের।
জানা যায়, সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাটিয়া থানা অন্তর্গত খোলাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের একদল জলের কল মিস্ত্রি হাড়োয়া থানা এলাকায় কাজে যাচ্ছিলেন। একটি ইঞ্জিনভ্যানে করেই সোমবার কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি বাঁধাকপি বোঝাই ১০৭ গাড়ি সজোরে এসে ধাক্কা মারে ইঞ্জিনভ্যানটিকে। ঘটনাস্থলেই গাড়িটি উল্টে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের। চিৎকার চেঁচামেচিতে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে বাকি ৫ জনকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু সেখানে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ৪ জনকে কলকাতা আর্জিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু নিয়ে যাবার পথেই রাস্তায় দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বাকি ২ জন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি একজন বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনাস্থলে মাটিয়া থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিস মর্গে পাঠায়। ঘাতক গাড়ি সহ চালক ও খালাসিকে আটক করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ভোররাতে ওই গাড়িটি বসিরহাটের হাটে সবজি নিয়ে আসছিল। গতিবেগ দ্রুত থাকার কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনায় শোকের ছায়া গোবিন্দপুর গ্রামে।
সাত সকালেই বড়সড় দুর্ঘটনার (accident) কবলে একটি যাত্রী বোঝাই বাস। রেষারেষির জেরে মোটর সাইকেলকে রাস্তা দিতে গিয়ে সোজা নয়নজুলিতে গিয়ে পড়ে বাসটি (bus)। শুক্রবার সকালেই এমনই মর্মান্তিক ঘটনা বসিরহাটের (Basirhat) হিঙ্গলগঞ্জ থানার বোলতলা জোড়া বটতলায়। চিৎকার চেঁচামেচিতে মুহূর্তের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, হাসনাবাদ ও লেবুখালী রোডে এদিন সকাল ৮টা নাগাদ একটি যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ির রেষারেষি শুরু হয়। এমন সময় মোটরসাইকেলকে পাশ দিতে গিয়ে সোজা নয়নজুলিতে গিয়ে পড়ে বাসটি। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারাই ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। স্থানীয়রা জানান, যাত্রীদের উদ্ধার করে বেশ কয়েকজনকে স্যান্ডেলবিল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাইকে থাকা দু'জনের অবস্থা গুরুতর। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানিয়েছে, বাসটি সম্পূর্ণ দুটি গাড়ির রেষারেষি জন্যই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঘটনাস্থলে ক্রেন এনে বাসটিকে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিস বাসের চালক খালাসী ও ছোট গাড়ির চালক ও খালাসীকে আটক করেছে।
উত্সবের মরশুমেই মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। বাজি ফাটাতে গিয়ে মৃত্যু হল নবম শ্রেণির এক ছাত্রের (student)। ঘটনাস্থল বসিরহাটের (Basirhat) মিনাখাঁ থানার আবাদ মালঞ্চ পূর্বপাড়া।
জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে বৃষ্টি কমে যাওয়ার পরেই বাড়ির কাছে একটি ফাঁকা মাঠে বাজি ফাটাতে গিয়েছিল গনেশ পাত্রর ছেলে বছর ১৬ এর সায়ন পাত্র। সেই সময় অসাবধানতাবশতঃ সেই বাজি সায়নের গায়ে চলে আসে। তখনই তার গায়ে অগ্নিসংযোগ ঘটে যায়। কাছাকাছি কোনও জলের ব্যবস্থা না থাকায় সে নিজেকে বাঁচাতে পারিনি। তার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে কোনওমতে উদ্ধার করে মিনাখাঁ গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
বর্তমানে মৃত ছাত্রের দেহ বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঠিক কী করে এই ঘটনা ঘটলো? পাশাপাশি এই ঘটনার পেছনে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা? মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিস। দীপাবলীতে এমন ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার সহ এলাকাতে।
আজ মহাসপ্তমী, আর এই দিন পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে যখন বাড়ির গৃহিণী থেকে শুরু করে মা বোনেরা উৎসাহের সঙ্গে পুরো দুর্গাপুজো (durga puja) পালন করছে, তখন অন্ধকারে নিজেদের পেশাকে সঙ্গী করে পুজোর দিনগুলি কাটাচ্ছেন যৌনপল্লীর পতিতারা (Prostitutes)। বসিরহাট (Basirhat) জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে বসিরহাটের মাটিয়া থানার সহযোগিতায় যৌনপল্লীর পতিতাদের শিশুদের পুজোর আনন্দ দিতে এগিয়ে আসে। যৌনপল্লীর ৪৫ জন শিশুর সঙ্গে মোট ১০০ জনকে পুজোর মধ্যে ক্ষণিকের আনন্দ দিতে এগিয়ে আসলো বসিরহাট জেলা পুলিস (police)।
মহাসপ্তমীতে তাদের মধ্যহ্নভোজের আয়োজন করে বসিরহাট পুলিস জেলার মাটিয়া থানার একটি অনুষ্ঠান গৃহে। মধ্যহ্নভোজের মেনুতে ছিল ফিস ফ্রাই, চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ ও মিষ্টি আইসক্রিম কোল্ডিং। শিশুদের খেলার সরঞ্জাম দিয়ে পুজোর আনন্দকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল বসিরহাট জেলা পুলিস। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট জেলা পুলিসের পুলিস সুপার জবি থমাস কে, বসিরহাট পুলিস জেলার অ্যাডিশনাল পুলিস সুপার সৌতম ব্যানার্জি, বসিরহাট জেলার বাদুড়িয়ার মহকুমা আরক্ষা আধিকারিক অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র, মাটিয়া থানার পুলিস আধিকারিক তাপস ঘোষ, ডিএসপি ডিএবি সানন্দা গোস্বামী সহ একাধিক পুলিস আধিকারিক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়।
যৌনপল্লীর পতিতাদের সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরে খুশি বসিরহাট পুলিস জেলার আধিকারিকরা। অন্যদিকে পুজোর সময় মধ্যাহ্ন ভোজ ও নতুন উপহার পেয়ে খুশি যৌনপল্লীর শিশু ও মা-বোনেরা।
মহাষষ্ঠীর সাতসকালেই পুকুর থেকে এক প্রৌঢ়ের দেহ (deadbody) উদ্ধার। পুজোর সময় এমন মর্মান্তিক ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি বসিরহাটের (Basirhat) সন্দেশখালি থানার বেড়মজুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের।
জানা যায়, বছর ৫২ গয়সেল মোল্লা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ (missing) ছিলেন। শনিবার সকালে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে একটি দেহ দেখতে পায়। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় সন্দেশখালি থানায়। সন্দেশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারিকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস (police) দেহটি উদ্ধার করে। উদ্ধার করার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দেহটি শনাক্ত করা হয়।
এরপরই জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম গয়সেল মোল্লা। পার্শ্ববর্তী রামপুর গ্রামেরই বাসিন্দা তিনি। পুলিস সূত্রে খবর, গয়সেল মোল্লার ছেলে তাঁদের জানিয়েছেন, বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আর শনিবার এই দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ঘোষপুর হাসপাতালে (hospital) পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠানো হয়।
পাচারের আগে মোটরসাইকেলের (Motorbike) টিউবের মধ্যে থেকে ৬ টি সোনার বিস্কুট (Gold Biscuit) উদ্ধার করলেন জওয়ানরা। বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার ভারত- বাংলাদেশের (Bangladesh) বিথারি সীমান্তের ঘটনা।
অভিযুক্ত আব্দুর রহমান মোল্লা মোটরসাইকেলে করে সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেই সময় ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ জওয়ানদের নজরে আসে। রহমান তখন মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিএসএফ তাড়া করে ধরে ফেলে। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত পাচারকারীর বাড়ি হাকিমপুরে।
এরপর তাঁর মোটরসাইকেল তল্লাশি চালাতে গিয়ে বাইকের টিউবের মধ্যে ছয়টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে। যার ওজন ১ কিলো ২৫০ গ্রাম। এর বাজার মূল্য প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা। উদ্ধারা সোনাগুলো ও পাচারকারীকে তেতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফের পক্ষ থেকে।
আজ, সোমবার ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনও পাচার চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখছে তদন্তকারীরা। এই সোনাগুলো বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকেছে। পুরো তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।
চাকরি (job) না পেয়ে হতাশায় ভুগে অবশেষে আত্মঘাতী (suicide) এক যুবক। মর্মান্তিক এই ঘটনা বসিরহাটের (Basirhat) বাদুড়িয়া থানার চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাপিলা গ্রামের।
জানা যায়, এই গ্রামের বাসিন্দা রাজু গাজী। শিয়ালদহ-বনগাঁ (Sealdah-Bangaon) শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন রাজু। ২০১৭ সালে টেটের ফর্ম ফিলাপ করার পর থেকেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষায় বসেছিলেন। সরকারি চাকরির অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে চলতি বছর ৮২ নম্বর পান ওই পরীক্ষায়। কিন্তু চাকরি পেতে দরকার ছিল ৮২.৫ নম্বর। প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হয়ে তিনি নিজের পরীক্ষা পত্র রিভিউয়ের জন্য দিয়েছিলেন। যদিও রিভিউয়ের ফল এখনও পাওয়া যায়নি। যা সম্পূর্ণটাই প্রসেসিংয়ের মধ্যে রয়েছে।
তবে একদিকে তাঁর বাড়িতে ক্যান্সার আক্রান্ত বাবা ইসরাইল গাজী ও অপারেশনে হওয়ার পর চিকিৎসারত মায়ের একমাত্র সম্বল ছিলেন রাজু। কোনও পথ না পেয়েই অবশেষে এই আত্মঘাতী, এমনটাই মনে করছে পরিবার। হঠাৎ তাঁর এরকম সিদ্ধান্তে একেবারে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। তাঁরই সহপাঠী তথা টেট পরীক্ষার্থী রিন্টু সমাদ্দার এই ঘটনার জন্য সরাসরি শাসক দলকে দায়ী করেছেন। শাসক দলের টালবাহানার জন্যই রাজু এই ঘটনা ঘটিয়েছে, দাবি তাঁর।
আগেও নদিয়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টেট পরীক্ষার্থীরা আত্মঘাতী হয়েছেন। এবার সেরকমই ছবি দেখা গেল বাদুড়িয়ায়। পরিবারের অবস্থা যেহেতু শোচনীয় একমাত্র চাষবাস করে তাঁর বাবা সংসার চালাতেন। কিন্তু বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় সেটাও করতে পারছেন না তিনি। যার জেরে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, কোনও সরকারি সাহায্য পাওয়া গেলে তাঁরা বেঁচে যেতেন।
যদিও চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শুভ্রা মল্লিকের প্রতিনিধি রবীন মল্লিক জানান, বরাবরই ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিল রাজু। তাঁর চলে যাওয়ায় গোটা গ্রাম শোকাহত। তাঁর পরিবারে পাশে সমস্তরকমভাবে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার ভারত বাংলাদেশের গাবড্ডা (Gabada border) সীমান্তের ঘটনা। বছর ৭ এর নঈম কলু আর বছর ৫ এর মোস্তাকিন, বাবার নাম নাজিম কলু। হঠাত্ই এই দুই শিশু ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এরপরই তদন্তে নামে পুলিস (police)। শনিবার পুলিসের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
জানা যায়, এই দুই সন্তানের বাবা নাজিম কলু তাঁর সন্তানদের পাচার করে মোটা টাকা পাওয়ার জন্য। ২১ শে সেপ্টেম্বর নাজিম কলু শিশুদের রেখে স্বরূপনগরের ভাদুরিয়ার এক গ্রামে আত্মগোপন করেন। ঘটনার পর তদন্ত করে নাজিম কলুকে গ্রেফতার (arrest) করা হয়। তাঁকে পুলিস হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এরপরই পুলিসের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। দুই সন্তানকে নিজের বাবাই মোটা টাকার জন্য বিক্রি করার চেষ্ঠা করেন। এই কারণে বাবা ও তাঁর দুই সন্তান এদেশে ঢুকে পড়ে। তাঁরা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বৈকারী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও জানা যায়, ২১ শে সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কোনওভাবে ভারতীয় সীমান্তে ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের নজর এড়িয়ে ভারতীয় গাবড্ডা সীমান্তে ঢুকে পড়ে। স্বরূপনগর থানার পুলিস আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বে পেট্রোলিং-এর সময় বাবা নাজিম কলু এসে দুই শিশুকে ফেলে পালিয়ে যায়। সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিস তাঁদেরকে জিঞ্জাসাবাদ করলে, তারা জানায়, সীমান্ত দেখতে এসে কীভাবে এ দেশে ঢুকে পড়েছে তা বুঝতে পারছে না। এই নিয়ে রীতিমতো পুলিস দ্বন্দ্বে পড়েছিল।
তাদেরকে খাওয়া দাওয়া দিয়ে সুস্থ করে শনিবার সল্টলেকের সরকারি হোমে পাঠানো হয়। এখন প্রশ্ন, সীমান্ত নজর এড়িয়ে কীভাবে তারা এদেশে ঢুকলো? শিশু পাচার চক্র সক্রিয় যোগ? ঘটনায় তদন্ত শুরু করছে পুলিস। পাশাপাশি পুরো ঘটনা ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানদের সীমান্তে অধিকারিদের জানানো হয়েছে। তাদের দেওয়া নাম ও ঠিকানা সঠিক কিনা তা তদন্ত করছে স্বরূপথানার পুলিস। এছাড়াও আন্তর্জাতিক শিশু পাচার চক্রের এই ঘটনার কোনও যোগচক্র আছে কিনা সেটাও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর (Swarupnagar police station) থানার ভারত-বাংলাদেশের গাবড্ডা সীমান্তের (India-Bangladesh Border) ঘটনা। বছর ৭ এবং ৫-এর দুই শিশু (Child) ঢুকে পড়ে ভারতের সীমানায়। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই দুই শিশুর বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বৈকারী গ্রামে। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কোনওভাবে ভারতীয় সীমান্তে ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানদের নজর এড়িয়ে ভারতের গাবড্ডা সীমান্তে ঢুকে পড়ে।
সেই সময় স্বরূপনগর থানার পুলিস আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বে পেট্রোলিং-এর সময় নজরে আসে ওই দুই শিশুকে। সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিস।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, সীমান্ত দেখতে এসে কীভাবে এ দেশে ঢুকে পড়েছে বুঝতে পারেনি। এই নিয়ে রীতিমতো পুলিস দ্বন্দ্বে পড়েছে। তাদেরকে খাইয়ে সুস্থ করে আজ, বৃহস্পতিবার সল্টলেকের একটি সরকারি হোমে পাঠানো হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সীমান্তরক্ষীদের নজর এড়িয়ে কীভাবে এদেশে ঢুকলো? তাহলে কি এর পিছনে কোনও শিশু পাচার চক্র কাজ করছে। কীভাবেই বা ওই শিশুরা নিজের গ্রাম বৈকারী থেকে সীমান্ত অবধি পৌঁছলো। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পাশাপাশি পুরো ঘটনা ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের সীমান্ত আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। তাদের দেওয়া নাম ঠিকানা সঠিক কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে স্বরূপনগর থানার পুলিস।
সাতদিন নিখোঁজ দুই যুবতী। পুলিসের (police) তৎপরতায় অবশেষে বাড়ি ফিরলেন তাঁরা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) হাসনাবাদ থানার টাকি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। বছর ১৮-এর দীপিকা দাস ও প্রতীক্ষা মণ্ডল এই দু'জন ছোটবেলা থেকে বন্ধু। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ হাসনাবাদ (Hasanabad) ব্যাঙ্কের বই আপডেট করার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপরই দুই বান্ধবী নিখোঁজ হয়ে যান, তারপরে আর বাড়ি ফেরেননি। বাড়ির লোক খোঁজখবর নেওয়ার পর না মেলায় সোমবার সন্ধ্যায় থানায় পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অবশেষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার কুলপি এলাকা থেকে ওই দুই নিখোঁজ ছাত্রীর সঙ্গে রমেশ দে নামে এক যুবকের খোঁজ মেলে। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিশ্চিন্তপুরে। ওই দুই ছাত্রীর সঙ্গে যুবককে পাওয়া গেল তাঁদেরকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জানা যায়, দুই যুবতীকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। তারপর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী দেবেন। পুলিসের অনুমান বছর ১৮ দীপিকার সঙ্গে রমেশের ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। রমেশ ওদেরকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। ধৃত যুবক দীপিকাকে বিয়ে করেছে ইতিমধ্যেই। প্রশ্ন উঠছে আর এক ছাত্রী প্রতীক্ষা গেল কী করে? এরা ছোটবেলা থেকে দুই বান্ধবী। দীপিকাদের বাড়িতে প্রতীক্ষা ভাড়া থাকতো। সেখান থেকেই তাঁদের সম্পর্ক। পাশাপাশি এর সঙ্গে কোনও নারী পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।