
আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল খুনের ১৪ দিনের মাথায় গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। মূল অভিযুক্তের পাশাপাশি আরও ৪ জনকে গ্রেফতার এদিন গ্রেফতার করেছে পুলিস। মোট ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। চার ধৃতদের নাম আলি আকবর মণ্ডল, কাজি আনোয়ার হোসেন, শামসুদ্দিন মণ্ডল ও গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। প্রত্যেকেরই বাড়ি আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাডাঙা এলাকায়। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠায় আমডাঙা থানার পুলিস।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ নভেম্বর। এদিন সন্ধ্যায় কামদেবপুর বাজার এলাকায় রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে অভিযুক্তরা। বোমার আঘাতে রূপচাঁদের ডান হাত উড়ে যায়। এ ঘটনা টের পেতেই তাঁকে উদ্ধার করে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওইদিন রাতেই মৃত্যু হয় রূপচাঁদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয় আনোয়ার হোসেন নামে একজন। তার বেশ কয়েকদিন পর গ্রেফতার করা হয় আরেক অভিযুক্তকে। তবে অধরা ছিল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন।
অবশেষে গ্রেফতার করা হল অন্যতম অভিযুক্ত আলি আকবর মণ্ডল-সহ ৪ জনকে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আলি আকবর মণ্ডলই নাকি বোমা ছুঁড়েছিল রূপচাঁদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিটাঙ্কিতে এসএসবি-র ৪১ ব্যাটালিয়নের হাতে ধরা পড়ল পাকিস্তানি মা ও ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজনকেই দার্জিলিং জেলা পুলিশের খড়িবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিস ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর ১১ বছরের পুত্র সন্তানকে হোমে পাঠানো হয়েছে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতের কাছে। ইতিমধ্যেই খড়িবাড়ি থানার পুলিস তদন্তে নেমেছে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের নাম শায়েস্তা হানিফ (৬২) ও আরিয়ান মহম্মদ হানিফ (১১)। বৃহস্পতিবার বিদেশি আইনে ওই মহিলাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে নেপালের কাকরভিটা থেকে মেচি নদীর ওপর নির্মিত এশিয়ান হাইওয়ে সেতু হয়ে শিলিগুড়ি বিভাগের খড়িবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিটাঙ্কিতে পৌঁছায় পাকিস্তানি মা-ছেলে। তল্লাশির সময় তাঁদের কাছ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি উদ্ধার করে এসএসবি জওয়ানরা। এর পর তাঁদের দুজনকেই আটক করা হয়।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি মহিলা শায়েস্তা হানিফের আসল নাম গৌরী দে এবং তাঁর আদি বাড়ি অসমের শিলচরে।১৯৭৫-এর দিকে কর্মসূত্রে এই মহিলা মুম্বইতে যান। সেখানে এক পাকিস্তানি যুবক মোহম্মদ হানিফের সঙ্গে আলাপ হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিবাহে পরিণত পায় ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর মুম্বই থেকে তাঁরা পাকিস্তানের কারাচিতে চলে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর থাকার পর মোহম্মদ হানিফ কর্মসূত্রে সৌদি আরব যান এবং সেখানে স্বর্ণশিল্পীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সেখানেই তাঁরা বসবাস করছিলেন।ছেলেকে নিয়ে নিজের মাতৃভূমি ভারতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল গৌরীর।
ভারতের ভিসা না পাওয়ায় শায়েস্তা হানিফ উরফে গৌরী দে তিনি নেপালের ভিসা নিয়ে নেপালে আসেন। সেখান থেকে ভারত নেপাল বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। সেই সময় এসএসবি জাওয়ানদের সন্দেহ হওয়ায় মা ও ছেলেকে আটক করে এবং তল্লাশি করার পর তাঁর ব্যাগ থেকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে খড়িবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে এই পাকিস্তানি মা ও ছেলের সম্পর্ক কি সত্যিই সেই নিয়ে তদন্ত চালানো হচ্ছে পুলিসের পক্ষ থেকে।
মানব পাচার মামলায় বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) হানা দিয়েছিল বুধবার কাকভোরে। রাজ্য থেকে মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছেন এনআইএ আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে বুধবার বারাসতের ব্যবসায়ী সঞ্জীব দেব-কে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। সূত্রের খবর, মানব পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে ১০টি রাজ্যের মোট ৫৫টি এলাকায় হানা দেন এনআইএ-র আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যে ৪৪ জনকে গ্রেফতারও করেছে গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন জন।
এনআইএ আধিকারিকরা একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে অসম পুলিসের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেখান থেকেই মানব পাচারচক্রের হদিস পান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, এই চক্রের মাধ্যমেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের দেশে আনতেন পাচারকারীরা। এরপর বিভিন্ন রাজ্যে তাঁদের পাঠিয়ে দিতেন। চলতি মাসে এই মামলা এনআইএ-র হাতে যায়। তারপরই ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির আধিকারিকরা হানা দেন একাধিক রাজ্যে।
বুধবার বাংলা ছাড়াও ত্রিপুরা, অসম, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর, পদুচেরি-র একাধিক জায়গায় মানব পাচার মামলায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। তদন্তে নেমে ত্রিপুরা থেকে ২১ জন, কর্ণাটক থেকে ১০, অসম থেকে ৫, বাংলা থেকে ৩ জন, তামিলনাড়ু থেকে ২ অভিযুক্ত, ১ জন করে পদুচেরি, তেলেঙ্গানা ও হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের পর্যটক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি এদিন গাইঘাটার হাজরাতলা এলাকায় বিকাশ সরকারের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনআইএ। বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকাশ বাংলাদেশের বাসিন্দা। গাইঘাটায় ভাড়াবাড়িতে থাকছিলেন। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, বিকাশ কয়েক বছর আগেই বাংলায় এসেছিলেন। চিকিৎসা করাতে তিনি নিজে এসেছেন কিছু দিন আগে। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি। এনআইএ সূত্রের খবর, বাংলা থেকে রাজু রুদ্র নামের আরও এক জনকে মানব পাচার সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
ক্রিকেট আর জুয়ার সম্পর্ক বহুদিনের। এবার ভারতের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023) শুরু হতেই বেটিং চক্র আরও সক্রিয় হয়ে উঠল। রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ ক্রিকেট (Cricket) ম্যাচ চলাকালীন কলকাতার বুকে বড়সড় জুয়াচক্রের হদিশ পেল পুলিস। শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের অ্যান্টি রাউডি সেকশন। গিরিশ পার্ক, নারকেলডাঙা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার তাদের তোলা হবে আদালতে।
রবিবার সন্ধেবেলা গিরিশ পার্ক এলাকার একটি ক্যাফেতে বসে জুয়াচক্র চালাচ্ছিল অভিষেক জয়সওয়াল নামে বছর আঠাশের এক যুবক। মাস্টার আইডি দিয়ে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে তা চালানো হচ্ছে বলে খবর পায় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হানা দিয়ে অভিষেককে গ্রেফতার করে পুলিস। তার কাছ থেকে একটি আইফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গিরিশ পার্ক থানায় বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে অভিষেকের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, অভিষেকের গ্রেফতারির পরই উঠে আসে বাকি দুজনের নাম। বউবাজার এলাকা থেকে অরুণ আগরওয়াল ও প্রদীপ বর্মাকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। তারাও বেটিং চক্র চালাচ্ছিল বলে খবর। এরপর গোপন সূত্রে পুলিসের কাছে আরও খবর আসে, নারকেলডাঙা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে জুয়াচক্র চলছে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে কালু সাউ এবং কেশবপ্রসাদ মুন্দ্রা নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস। সবমিলিয়ে রবিবার কলকাতায় বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালীন মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জুয়াচক্র চালানোর অভিযোগে।
সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি হওয়ার ছয়দিনের মাথায় ঘটনার কিনারা করল পুলিস। ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৩ই অক্টোবর। উদ্ধার করা হয়েছে সোনা ও রুপোর গহনা এবং নগদ টাকা। গ্রেফতার পাঁচ দুষ্কৃতী ও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সহ মোট ছয় জন।
শুক্রবার বারুইপুর পুলিস সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালী সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, সোনারপুরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ দুষ্কৃতীকে। তাদেরকে জেরা করে কুলতলির মহিষমারি এলাকা থেকে সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি হওয়া অভিযুক্ত এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও সোনারপুর থানার পুলিস। ধৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম বিদ্যুৎ।
সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে প্রথমে একটি বাইক চিহ্নিত করে পুলিস এবং পরে ওই বাইক চিহ্নিত করে ডাকাত দলকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিস। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং আট রাউন্ড তাজা কার্তুজ। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ৪০ গ্রাম সোনা, ১০০ গ্রাম রুপোর গহনা সহ নগদ ৩০ হাজার টাকা।
স্ত্রীকে খুন করে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে খাস কলকাতার বউবাজার থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিস। অভিযোগ, স্ত্রীয়ের মাথায় আঘাত করে খুন করেছিলেন তিনি। এরপর ফ্ল্যাটের মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেন।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ১৭ তারিখ বউবাজারে নিজের বাড়ি থেকে এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। নাম দীপ্তি শুক্লা। তাঁর দেহে আগুনে পোড়ার ক্ষত ছিল। দীপ্তির স্বামী সূর্যকান্ত দে জানিয়েছিলেন, ঘরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তাঁর স্ত্রী। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে ধরা পড়ে মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এরপরই পুলিস তদন্তে নেমে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারে। গত চার মাস আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। দীপ্তি শুক্লার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে। তবে কী কারণে স্ত্রীকে খুন করে আগুন ধরিয়ে দেন, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিস ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে।
আধার কার্ডে বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। ৫০ হাজার টাকা খোয়ালেন এক ব্যক্তি। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা। ধৃতের নাম ছোট্টু কুমার। উল্লেখ্য, সম্প্রতি, শহরে আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে টাকা তোলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এই সংক্রান্ত বহু অভিযোগও জমা পড়েছে পুলিশে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গোটা ঘটনার প্রধান মাথা হতে পারে ওই ছোট্টু।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি আসলে বিহারের বাসিন্দা। তার নামে আগেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকী, ওই ব্যক্তি হরিয়ানায় জেলবন্দি ছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসে তপনকুমার লাহা নামে এক ব্যক্তি বড়তলা থানায় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। তারই তদন্তে নেমে ছোট্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
নিউটাউনে (Newtown) চিকিৎসক পড়ুয়া খুনের (Death)অভিযোগ। নিউটাউন সেকেন্ড লেনের তারুলিয়াতে গৌতম নামের এক যুবকের ভাড়া বাড়ির খাটের নীচে থাকা সুটকেসের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। পুলিস সূত্রে খবর, সাজিদ হোসেন নামের ওই পড়ুয়ার হাত-পা বাধা, মুখে সেলোটেপ দেওয়া অবস্থায় ছিল। ঘটনায় গৌতম সিং ও পাপ্পু ঘোষ নামে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে প্রথমে খুন করা হয় পড়ুয়াকে। তারপরে মুখে সেলোটেপ জড়িয়ে দেয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে। মুক্তিপণ দাবি করার আগেই ছাত্রকে খুন করা হয়েছিল। পুলিসি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে ধৃত গৌতম সিং। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত গৌতম তিনটি ঘর ভাড়া নিয়ে রেখেছিল। যখন যেখানে পারতো বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করতো। তার একটি রেস্টুরেন্ট ছিল।
সূত্রের খবর, গত চার তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল সাজিদ হোসেন। এই পড়ুয়া মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা। ডাক্তারির নিট-এর প্রস্তুতির পড়াশুনা করছিল সাজেদ। নিউটাউন মহিষ বাথান বক্স ব্রিজের কাছে ভাড়া থাকতেন। পাঁচ তারিখ নিউটাউন থানায় মিসিং অভিযোগ করেন পরিবার। এরপর বিকেলে তাঁর বাবার মোবাইলে একটি ছবি পাঠায় মুখে সেলোটেপ লাগানো অবস্থায়। সেই সময় মুক্তিপণের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই ছবি কিছুক্ষণ পর ডিলিট করে দেয়। এরপর আজ, শুক্রবার ভোর রাতে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিসের অনুমান, পড়তে এসে বেশ কিছু বন্ধু হয় সাজিদের। বন্ধুরা দেখতে পায়, সাজিদের কাছে বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা প্রত্যেক মাসে আসছে। সেই দেখে অভিযুক্তরা বুঝতে পারে প্রচুর টাকা রয়েছে। এরপরেই তারা অপহরণের ছক কষে।
জঙ্গি (Terrorists) দমনে বড় সাফল্য পেল দিল্লির পুলিস (Delhi Police)। গত মাসেই এনআইএ-এর তরফে জানানো হয়েছিল, দিল্লির বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন আইএস (ISIS) জঙ্গি। তাদের মধ্যেই এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। সোমবার সকালে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল এনআইএ-এর তালিকাভুক্ত 'মোস্ট ওয়ান্টেড' সন্ত্রাসবাদী শাহনওয়াজ ওরফে শৈফি উজ্জমাকে গ্রেফতার করল। এই শাহনওয়াজের মাথার দাম তিন লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল এনআইএ। এছাড়াও আরও তিন জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল সেল।
এনআইএ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের খোঁজার জন্য দিল্লি জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। জানা গিয়েছে, উত্তর ভারতে এক বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছিল তারা। কিন্তু সেই ছক বানচাল করেই তাকে গ্রেফতার করতে সফল হয়েছে দিল্লি পুলিস। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি শাহনওয়াজ পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এর সঙ্গে যুক্ত হয়।। জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ 'পুনে আইসিস মডিউল' কেসের সঙ্গেও জড়িত ছিল। সেসময় তাকে পুনে পুলিস গ্রেফতার করলেও পরে পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেয়। এর পর আজ দিল্লির গোপন ডেরা থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। যা বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
টাকা দিয়ে রোগী ভর্তির অভিযোগ উঠল এসএসকেএম হাসপাতালে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম অভিষেক মল্লিক, দেব মল্লিক, অভয় বাল্মিকী এবং সুরিন্দর কুমার। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ভবানীপুর এলাকায়।
সরকারি হাসপাতালে দালাল চক্র সক্রিয় থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমনকী, এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে। সক্রিয় দালাল চক্র নিয়ে সম্প্রতি লালবাজারে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের নাম জানার চেষ্টা করছে।
পুলিস মনে করছে এই চক্রে আরও বড় মাথা জড়িত থাকতে পারে। সেকারণে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।
সদ্যোজাতের বদল ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের (Malda) চাঁচলের (Chanchal) একটি নার্সিংহোমে। পাশাপাশি দুটি সদ্যোজাত পুত্র সন্তানের অদলবদলের অভিযোগকে ঘিরে বিপাকে পড়েন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার এক নার্সিং স্টাফকে গ্রেফতার (Arrested) করে পুলিস আদালতে পেশ করে।
পুলিস ও নবজাতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে দঃ শালদহ ও ইলাম গ্রামের ২ প্রসূতি একই সঙ্গে নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেদিন রাতেই জানবী পারভীন ও চুমকি খাতুন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। দুই পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে এক সেবিকা তাঁদের সদ্যোজাতের মধ্যে অদলবদলের চেষ্টা করেন। সেই সময় সদ্যজাতের মায়েরা দেখে ফেলেন এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরিবারের সদস্যরা নার্সিংহোমে ছুটে আসলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতন্ডা তৈরি হয়।
খবর পেয়ে চাঁচল থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাতেই ওই অভিযুক্ত সেবিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। সদ্যোজাত শিশু বদলানোর চক্র আগে থেকেই কি ওই নার্সিংহোমে সক্রিয় রয়েছে? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবারের লোকেরা। স্বাস্থ্য দফতরেও অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও এই প্রসঙ্গে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। চাঁচলের এই নার্সিংহোম চলতি মাসের ৯ তারিখেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়েছিল নার্সিংহোম চত্বরে। ভাঙচুর হয়েছিল নার্সিংহোম। গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এবার সদ্যোজাতের অদল বদলের অভিযোগ।
জ্বরে আক্রান্ত যুবতীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসক (Doctor) তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samiti) প্রাক্তন সভাপতির (Former President) বিরুদ্ধে। বনগাঁর (Bangaon) গাইঘাটা থানা এলাকার ঘটনা। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই খবরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ সময় ওই চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বছর ২৪-এর ওই যুবতী থানার দারস্থ হন এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সুব্রত সরকার৷
যুবতী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই ওই যুবতী ও পরিবারের লোকেরা সুব্রত সরকারের কাছে চিকিৎসা করাতেন। ওই যুবতী কলেজ পাস করে বর্তমানে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশাপাশি টিউশনি করেন৷ একদিন সন্ধ্যায় টিউশনি করে ফেরার পথে তাঁর জ্বর বেশি থাকায় ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন৷ সে সময় চেম্বারে কেউ ছিলনা৷ অভিযোগ, ওষুধ নিয়ে বেরোনোর সময় হঠাৎই অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপরে ওই যুবতী কোনওভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে বাড়ির লোকের কাছে সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন৷ খবর পেয়ে সুব্রত সরকারের চেম্বারের সামনে ভিড় করেন গ্রামের বাসিন্দারা৷ পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও যুবতীর পরিবারের লোকেরা স্থানীয় পুলিস ফাঁড়িতে গিয়ে ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি 'অভিযুক্ত সুব্রত সরকার এর আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন৷ অর্থের জোরে, ক্ষমতা জোরে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়েছেন৷ এবার তাঁর শাস্তি চাই।'
সিসিটিভির সূত্র ধরে সোনারপুরে (Sonarpur) বাইক চুরি (Bike Theft) চক্রের হদিশ পেল সোনারপুর থানার পুলিস। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বাইক। ধৃতরা বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিসের। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে সোনারপুর থানার পুলিস জানিয়েছে।
সোনারপুর থানা এলাকার হরিনাভীর বাসিন্দা বিধান দেবনাথ। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর দোকানের সামনে রাখা বাইক চুরি হয়ে যায়। ঘটনায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরাতে ধরাও পড়ে। তিনি চোরকে চিনহিত করতে পারেন। এরপর রাতে দোকান বন্ধ করার পর সেই চোরকে রাস্তায় ঘুরতে দেখে বুধবার পাকড়াও করে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিস এসে তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম শানু দেবনাথ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাতে বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে মিলন মাঝি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বারুইপুর পুলিস জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, পুলিস ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর (Student Death Case) ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল সৌরভ চৌধুরী (Sourav Chowdhury) নামে এক প্রাক্তনীকে। সেই ‘সৌরভের কিছু হলে দেখে নেওয়া হবে’ বলে হুমকি চিঠি (threatening letter) গিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রারের কাছে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো এই চিঠির শেষে লেখা ছিল ইতি অধ্যাপক রানা রায়। এতদিন ধরে খোঁজ চালানোর পর অবশেষে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার (Arrested) করে কলকাতা পুলিস। এই গ্রেফতারির সঙ্গে যদিও যাদবপুরের কোনও যোগ নেই। বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, সেই হুমকি চিঠিতে দেওয়া ছিল সংশ্লিষ্ট ঠিকানাও। কতটা সত্যতা রয়েছে সেই ঠিকানার, সেখানে ওই নামের কেউ রয়েছে কিনা তা জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যান সিএন-এর প্রতিনিধি। মিলল আশ্চর্যজনক তথ্য। ৩৭ নং বেলগাছিয়া রোডের বিভিসি, এলআইজির ফ্ল্যাট নং এফ-৫ এ থাকেন রানা রায় নামের এক ব্যক্তি। তবে চিঠিতে অধ্যাপক বলে নিজেকে উল্লেখ করেছেন প্রেরক। যদিও সে বিষয়ে কোনও তথ্য প্রতিবেশীদের তরফ থেকে পাওয়া যায়নি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই ব্যক্তি যে আবাসনে থাকেন, সেখানকার বাসিন্দারাও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় চিঠি পাঠানোর অভিযোগ এনেছেন৷ এমনকি আবাসনের মহিলাদেরও প্রেমপত্র পাঠাতো বলে দাবি করেন এক আবাসিক। তাঁর অশ্লীল আচরণের জন্য টালা থান ও লালবাজার থানায় একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন আবাসিকরা।
এমনকি মুখোশ পরে রাস্তার লোককে ভয় দেখানো, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা, এমনভাবেই প্রতিবেশীদেরও বিরক্ত করত চিঠিতে উল্লিখিত নামের ওই ব্যক্তি। আবাসিক সূত্রে খবর, ছোটো থেকেই এই আবাসনে থাকতেন রানা রায়। গত ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ তিনি। তাঁর স্ত্রী, ছেলেরও দেখা মিলছে না আবাসনে। তবে সরকারি স্টিকার দেওয়া তাঁর লাল গাড়িটি এখনও রয়েছে আবাসনে। আবাসিকদের দাবি গা ঢাকা দিয়েছে সে।
রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রারকে পাঠানো যে চিঠি সামনে এসেছে তাতে ব্যবহার করা শব্দ এবং আবাসিকদের অভিযোগে উঠে আসা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বেশ কিছুটা মিল পাওয়া যাচ্ছে চিঠি প্রেরক ও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা আবাসনের বাসিন্দা রানা রায়ের। তবে ওই চিঠি কে লিখেছেন তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ। তবে সবকিছুর মধ্যে উঠছে একাধিক প্রশ্ন, যদি ধরে নেওয়া যায় যে নাম ও ঠিকানা দেওয়া রয়েছে সেখানকার রানা রায় যদি এই চিঠি লিখে থাকেন সেটা কেন লিখলেন তিনি? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম ধৃত, সৌরভ চৌধুরীর সঙ্গেই বা তাঁর কী সম্পর্ক রয়েছে? আর যদি চিঠিটা তিনি না লিখে থাকেন তবে কে বা কারা এই চিঠি লিখল? কেনই বা ব্যবহার করা হল তাঁর নাম ও ঠিকানা? সবকিছুই জানা এখন তদন্ত সাপেক্ষ।
রাণাঘাটে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৫। তাঁদের মধ্যে ধৃত কুন্দন সিংই বর্ধমানের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাঁ-কে খুন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এমনই জানাল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। গত ১ এপ্রিল শনিবার রাত ৮টা নাগাদ শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হন রাজু ঝাঁ। একটি গাড়ি থেকে তিনজন নেমে এসে রাজুর গাড়ি ঘিরে ধরে গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজু ঝাঁর। এবার সেই কুন্দনকেই ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার করে রানাঘাট পুলিস।
পুলিস ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে, সুপারি কিলার-দের সিন্ডিকেট চালাতেন কুন্দন। পুলিসের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে এই সিন্ডিকেটের জাল ছড়িয়ে। বর্তমানে সেই মডিউল কোথায় সক্রিয়, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। রানাঘাটের পুলিস জেলা সুপার কে কান্নন জানান, ধৃতদের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ডাকাতি ছাড়াও আরও কিছু সূত্র মারফত তথ্য এসেছে। তদন্তের স্বার্থে সব প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না পুলিস।
মধ্যপ্রদেশের একটি ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ছিল কুন্দন। রাণাঘাটে ইতিমধ্যেই এসেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিসের একটি দল। ২০২১ সালে আসানসোলের খুনের সুপারিও নিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিসের।