
কোটি কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে পলাতক দম্পতিকে গ্রেফতার (Arrested) করল নৈহাটি থানার পুলিস (Naihati Police Station)। জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার নামে ধৃত দম্পতিকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা নৈহাটি অরবিন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দা। ধৃত দম্পতিকে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। প্রতারণার শিকার হওয়া এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। লোন তো হয়নি, বরং সেই টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বিশ্বজিৎ ও সোমাশ্রী। তিনি আরও বলেন, কাউকে লোন, কাউকে চাকরি, আবার কাউকে মোটা অঙ্কের সুদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন দম্পতি। ২০ মে থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি অভিযুক্তের মা নিজেও ছেলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রতারিতরা একসঙ্গে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে নৈহাটি থানার পুলিস। অভিযোগ দায়ের করার প্রায় তিন মাস পর বেঙ্গালুরু থেকে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
কোটি কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগে পলাতক দম্পতিকে গ্রেফতার (Arrested) করল নৈহাটি থানার পুলিস (Naihati Police Station)। জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার নামে ধৃত দম্পতিকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা নৈহাটি অরবিন্দপল্লী এলাকার বাসিন্দা। ধৃত দম্পতিকে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়।
প্রতারণার শিকার হওয়া এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। লোন তো হয়নি, বরং সেই টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বিশ্বজিৎ ও সোমাশ্রী। তিনি আরও বলেন, কাউকে লোন, কাউকে চাকরি, আবার কাউকে মোটা অঙ্কের সুদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন দম্পতি। ২০ মে থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এমনকি অভিযুক্তের মা নিজেও ছেলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রতারিতরা একসঙ্গে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে নৈহাটি থানার পুলিস। অভিযোগ দায়ের করার প্রায় তিন মাস পর বেঙ্গালুরু থেকে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Former US President) ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) গ্রেফতার (Arrested) হলেন। আবার ৩০ মিনিটের মধ্যে জামিনও পেয়ে গেলেন। জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির পর আধঘণ্টা জর্জিয়া জেলে ছিলেন তিনি। তারপরই জামিনে মুক্তি পান ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই গ্রেফতারি ট্রাম্পের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
গ্রেফতারির ঠিক আগেই ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখেন,'কারচুপি ও ভোট চুরির নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস থাকার জন্য আমায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটা আমেরিকার জন্য আরও একটি দুঃখের দিন!'
জানা গিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেওয়া, কারচুপি, ভোটচুরির অভিযোগ। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে এই ১৩টি অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হন ট্রাম্প।
স্কুলের শৌচালয়ে ঢুকিয়ে এক নাবালিকা পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল এক পার্শ্বশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঢোলাহাট থানা এলাকায়। এমনকি, থানায় অভিযোগ না করার জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ঘটনাটি ঘটেছে ২১ জুলাই। নির্যাতিতা পড়ুয়া জানিয়েছে, সেদিন স্কুলের শৌচালয়ে গিয়েছিল সে। অভিযোগ, সেখানে আটকে রেখে তাকে যৌন নিগ্রহ করে পার্শ্ব শিক্ষক। তারপর বাইরে থেকে তাকে তালা তাগিয়ে চম্পট দেয় ওই অভিযুক্ত। স্কুল ছুটি হওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। তারপর স্কুলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করতেই শৌচালয় থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, স্কুলের শৌচালয় তালাবন্ধ থাকায় সন্দেহ শুরু হয়। তারপর অন্য শিক্ষকদের কাছে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানান। তারপরেই বাকি শিক্ষকরা বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁর মায়ের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিস। যদিও এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করায় আটক দুই চিনা নাগরিক (Chinese citizens)। শনিবার বিহারের (Bihar) পূর্ব চম্পারন জেলার রক্সৌল থেকে ওই সন্দেহভাজন দু-জনকে আটক করে বিহার পুলিস। অভিযোগ, ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে ধৃত দুই চিনা (China) নাগরিক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার পুলিস সুপার জানান, ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকারী দু-জনকে চিনা নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যে দুইজন সন্দেহভাজন ধরা পড়েছে তাঁরা চিনা নাগরিক। একজনের নাম ঝাও জিং এবং অপরজনের নাম ফু কাং।
পূর্ব চম্পারন পুলিসের সুপারিনটেনডেন্ট কান্তেশ কুমার মিশ্র রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানান। তিনি বলেন, চিনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জিয়াংজির বাসিন্দা ঝাও জিং এবং ফু কাং। দুই চিনা নাগরিককে শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে রৌক্সল শহরে ভারতীয় কাস্টমস অফিসের হাতে ধরা পড়ে। তারপর কাস্টমস অফিসের তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। তাদের কাছ থেকে কোনও বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু কী উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা সীমান্ত পার করে, তা জানা যায়নি। তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
জানা গিয়েছে, এর আগে ২ জুলাই প্রথমবার নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল এই দুই চিনা নাগরিক। সেই সময় ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয় কয়েক ঘণ্টা পর। ফের ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে তারা।
বাড়িতেই গাঁজার (Cannabis) চাষ! এমনটাই অভিযোগ উঠছে তিনজন মেডিক্যাল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কর্নাটকের (Karnataka)। শুধু গাঁজার চাষ নয়, এগুলো অন্যান্য পড়ুয়াদের বিক্রি করারও অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এক বাড়িতে তল্লাশি করার পর ২২৭ গ্রাম গাঁজা, ১.৫৩ কেজি কাঁচা গাঁজা, ১০ গ্রাম চরস এবং গাঁজার বীজ উদ্ধার করেছে শিবমোগা থানার পুলিস। ইতিমধ্য়ে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিস।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হলেন বিঘ্নরাজ, পান্ডিদোরাই এবং বিনোদ কুমার। এরা কলেজের ছাত্রদের কাছে গাঁজা ও অন্যান্য মাদকের ব্যবসা করে। সংবাদমাধ্যমে শিবমোগা এসপি মিঠুন কুমার বলেছেন, 'বিঘ্নরাজ শিবমোগায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র, তার বাড়িতেই হাই-টেক চাষের কৌশল নিয়ে গাঁজা চাষ করা হচ্ছিল। অন্য দুই অভিযুক্ত শহরের কলেজের ছাত্রদের কাছে গাঁজা বিক্রিতে সহায়তা করছিল। আমরা অভিযুক্তদের কাছ থেকে ২২৭ গ্রাম গাঁজা, ১.৫৩ কেজি কাঁচা গাঁজা, ১০ গ্রাম চরস এবং একটি ছোট বোতলে গাঁজার বীজ উদ্ধার করেছি।'
উল্লেখ্য, এই বছরের জানুয়ারিতে ম্যাঙ্গালুরু সিটি পুলিস গাঁজা সেবন ও ব্যবসা করার অভিযোগে মেডিক্যাল ছাত্র সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে এবং ২ কেজি মাদকদ্রব্য জব্দ করে। আর এবারে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
পাঞ্জাব পুলিসের হাতে ধরা পড়ল ডাকু হাসিনা (Daku Haseena) ওরফে মনদীপ কৌর (Mandeep Kaur)। লুধিয়ানায় ৮ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ডাকাতি করে পলাতক হয়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে। এতো বড় কাণ্ড সফলভাবে সম্পন্ন হতেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন ধর্মীয় স্থানে। তবে সেখানেই তাদের জন্য ফাঁদ পেতে রেখেছিল পাঞ্জাব পুলিস।
উত্তরাখন্ডের চামোলির হেমকুণ্ড সাহেব থেকে মনদীপ কৌর এবং তার স্বামী যশবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অপরাধের অব্যর্থ সাফল্যের পর শিখ ধর্মগুরুর কাছে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন দু'জনে। পরিকল্পনা ছিল এরপরেই উড়ে যাবেন নেপাল। সেই খবর পৌঁছেছিল পাঞ্জাব পুলিসের কাছে। কিন্তু এত ভক্তদের মধ্যে তাদের খুঁজে বের করা কঠিন ছিল, কারণ অপরাধী যে নিজেদের মুখ ঢেকে রাখবেন তা আগে থেকেই আন্দাজ করেছিলেন পুলিস।
পুলিসের আধিকারিকরা সেখানে পুণ্যার্থী সেজে অপেক্ষা করছিলেন। পরিকল্পনা ছিল বিনে পয়সায় জল বিতরণ করবেন। সেই ফাঁদে পা রাখেন অপরাধীরা। জল খাওয়ার জন্য মুখের কাপড় সরায় তারা। পুলিস তাদের চিহ্নিত করেন। কিন্তু তখনই তাদের পাকড়াও করেনি পুলিস। তাদের ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার সুযোগ দেন। প্রার্থনা সেরে বেরিয়ে যাওয়ার পর ধাওয়া করে তাদের গ্রেফতার করে পুলিস। মনদীপ কৌরের গাড়ি থেকে পুলিস ১২ লক্ষ উদ্ধার করে এবং তাঁর স্বামী যশবিন্দর সিংয়ের বাড়ি থেকে ৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বিতর্কের খাতায় আরও এক নম্বর বাড়ালেন বাংলাদেশী গায়ক মইনুল আহসান নোবেল (Mainul Ahsan Noble)। এবার গায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের হল। মতিঝিল থানায় দায়ের করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা অর্থাৎ ডিবি পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই তাঁকে জেরা করছে বাংলাদেশ পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতারণার। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত এপ্রিলের শেষের দিকে।
গত ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট হাইস্কুলের, ২০১৬ সালের এসএসসি ব্যাচের পুনর্মিলনের আয়োজন করা হয়েছিল। গান গাওয়ার পরিবর্তে নোবেলের সঙ্গে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়েছিল। সেই অর্থ নিলেও, অনুষ্ঠানের দিন গান গাইতে যাননি নোবেল। এরপরেই নোবেলের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। জানা গিয়েছে, বর্তমানে নোবেলকে সিরিজ জেরা করা হচ্ছে।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরে নোবেলের বিরুদ্ধে কেবল অভিযোগ আর অভিযোগের পাহাড় তৈরী হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, মদ্যপ অবস্থায় মঞ্চে গান গাইতে উঠেছিলেন নোবেল। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী জানিয়েছিলেন, নোবেল বেশিরভাগ সময়েই নেশায় মত্ত থাকেন। এও জানিয়েছিলেন নোবেল মাসে ১ লক্ষ টাকা কেবল নেশার জন্য খরচ করেন। নোবেলের এই স্বভাবের জন্য কিছুদিন আগেই তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন সালসাবিল।
পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গ্রেফতার (Arrested) করা হল। মঙ্গলবার সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের ( Islamabad High Court) নির্দেশে পাক আধাসেনা রেঞ্জার্স বাহিনী তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে।
Rangers abducted PTI Chairman Imran Khan, these are the visuals. Pakistan’s brave people must come out and defend their country. pic.twitter.com/hJwG42hsE4
— PTI (@PTIofficial) May 9, 2023
গ্রেফতারের পর ইমরানকে রেঞ্জার্স বাহিনীর জওয়ানরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর তাঁকে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় গুরুতর জখম ইমরান খানের নিজস্ব আইনজীবী।
মুম্বইয়ের (Mumbai) হোটেলে মধুচক্রের জন্য এক ভোজপুরী অভিনেত্রীকে গ্রেফতার (Arrested) করল পুলিস (Police)। মুম্বইয়ের আরে কলোনি এলাকার নামী একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। মধুচক্রের পর্দাফাঁস করার জন্য শুক্রবার রাতে আচমকাই হোটেলে হানা দেয় মুম্বই পুলিস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই অভিনেত্রীর নাম সুমন কুমারী। অভিনেত্রী সুমন ‘ল্যায়লা মজনু’-সহ একাধিক জনপ্রিয় ভোজপুরী ছবিতে কাজ করেছেন। কমেডি শো-তেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। আর তিনিই এই মধুচক্রের মাথা।
পুলিসের দাবি, ধৃত ওই ভোজপুরী অভিনেত্রীই মডেলদের জোগান দিতেন। তিনি প্রত্যেক মডেলের জন্য ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা করে নিতেন। সেই মডেলগুলি দেশের নানা প্রান্ত থেকে মুম্বইয়ে গিয়ে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু অভিনেত্রী সুমন তাঁদের ফাঁদে ফেলে বেশ্যাবৃত্তি গ্রহণেও বাধ্য করেন।
পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। এই মধুচক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের সন্ধানও করা হচ্ছে। মুম্বইয়ে সম্প্রতি এই ধরনের মধুচক্রের বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত পুলিসও। তাই গোপন সূত্রে ওই হোটেলে মধুচক্রের কথা জানতে পেরে এক পরিকল্পনা করে পুলিস। ওই হোটেলে পুলিস এক তরুণীকে ছদ্মবেশে পাঠান। আর তারপরই ধরা পড়ে অভিযুক্ত অভিনেত্রী।
অভিনেতা সলমান খানকে (Salman Khan) খুনের হুমকি (Threat) দিয়ে গ্রেফতার কিশোর। সংবাদ সংস্থা 'এএনআই' সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল, সোমবার পুলিসে ফোন করে এক ব্যক্তি ৩০ এপ্রিল সলমানকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। মুম্বই পুলিস তদন্ত শুরু করে, এই খবরও দিয়েছিল সংবাদ সংস্থা। মঙ্গলবার মুম্বই পুলিস হুমকি ফোনের অভিযোগে গ্রেফতার করল এক কিশোরকে।
১৬ বছরের অভিযুক্ত ওই কিশোরকে মুম্বই পুলিস গ্রেফতার করেছে থানে থেকে। পরে তাকে 'আজাদ ময়দান' পুলিসের জমানতে পাঠানো হয়। কিশোর কেন ফোন করে খুনের হুমকি দিল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস। নিজেকে 'রকি ভাই' পরিচয় দিয়ে ওই যুবক থানায় ফোন করেছিল বলে মনে করছে মুম্বই পুলিস।
গত কয়েক মাসে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে সলমান খানকে। অভিনেতার বাড়ি, গতিবিধি কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলেছে মুম্বই পুলিস। দিন কয়েক আগে যোধপুর থেকে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। আজ আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তবে সতর্ক হয়ে গিয়েছেন সলমান। বিদেশ থেকে জানিয়েছেন বুলেটপ্রুফ গাড়ি। 'দাবাং বয়'কে কেন বারংবার উত্যক্ত করা হচ্ছে, খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ঋণ পরিশোধের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ঋণগ্রহীতা টাকা (Money) দিতে ব্যর্থ। তাই রাগের বশে ঋণগ্রহীতাকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে (DeadBody) ফেলেন দুই অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সঞ্জীবনী নগরে। মৃতের নাম অনুপম শর্মা (৪৫)। সোমবার এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন অনুপম। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে না পেয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। এরপর সঞ্জীবনী নগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস। অবশেষে রবিবার সঞ্জীবনী নগর এলাকার একটি নর্দমার ভিতর থেকে তিনটি প্লাস্টিক ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। সেই ব্যাগের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় অনুপমের টুকরো টুকরো দেহ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস এক অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। রামপ্রকাশ পুনিয়া নামে ওই অভিযুক্তকে সোমবার গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, রামপ্রকাশ পুনিয়া এবং তাঁর সঙ্গী বিনোদ ওরফে টোনির কাছে টাকা ধার করেছিলেন অনুপম। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। সময় পেরিয়ে গেলেও সেই টাকা ফেরত দিতে পারেননি। তাই অনুপমকে খুন করেন রামপ্রকাশ এবং টোনি বলে খবর। রামপ্রকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, অনুপমকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন টোনি। পুলিস সূত্রে খবর, ১ মার্চ আত্মহত্যা করার আগে তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখে যান।
সেই নোটে লেখা ছিল, ‘‘আমি বড় ভুল করে ফেলেছি।’’ যদিও খুন করার পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন রামপ্রকাশ। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিস।
প্রকাশ্যে এল সোনা পাচারের (Gold Smuggling) অভিনব কৌশল। বৈদ্যুতিক মোটরের ভিতরে লুকিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারী। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাই-এর বিমানবন্দরে (Chennai Airport)। বাজেয়াপ্ত করা হয় সোনা। তাল পাকানো অবস্থায় প্রায় ২ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে যার বাজারে মূল্য ৯৬ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে ওই অভিযুক্ত যাত্রীকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস।
সোনা উদ্ধারের ঠিক এমনই এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, দুইজন ব্যক্তি মিলে ওই বৈদ্যুতিক মোটরটি ভাঙার চেষ্টা করছেন। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর অবশেষে মোটরটি ভাঙা সম্ভব হয়। মোটরটির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় তাল পাকানো সোনা।
বিমানবন্দরের আধিকারিকরা দেখেন ওই যাত্রীর ব্যাগে একটি বৈদ্যুতিক মোটর রয়েছে। যা দেখে কখনই বোঝা সম্ভব নয় ওই মোটরে করে সোনা পাচারের কাজ চলছে। সোনা পাচার করতেই ওই মোটরটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেন মোটরটি নিয়ে যাচ্ছেন তিনি এবং তিনি কী কাজে ব্যবহার করবেন এই মোটরটিকে। জেরার ওই যাত্রীর কথায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন বিমান আধিকারিকরা। তখনই আধিকারিকদের সন্দেহ হয়, মোটরের মধ্যে কিছু একটা রয়েছে। তারপরই তাঁরা ওই যাত্রীর থেকে মোটরটি নিয়ে ভেঙে দেখার চেষ্টা করেন। মোটরটি ভাঙতেই সোনা বেরিয়ে আসে। পাচারকারীর এই অভিনব কৌশল দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন শুল্ক আধিকারিকেরাও।
স্বামীকে গ্রেফতার (Arrested) করে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে। এমনকি থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর পর্যন্ত করা হয় ওই যুবককে। ঘুষের টাকা দিতে না পেরে আত্মঘাতী (Suicide) স্ত্রী (Wife)। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) আগরার নৈনি গ্রামে।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম অনিতা। অভিযোগ, আইপিএলের বেটিং-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে পুলিস ওই মহিলার স্বামীকে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায়। থানা থেকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে মহিলার স্বামীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। এতগুলো টাকা জোগাড় করে স্বামীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে না পারায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা। অনিতা আত্মহত্যা করার পর পুলিস তাঁর স্বামী মনোজ শর্মাকে ছেড়ে দেয়।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মনোজ বলেন, তার স্ত্রীয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিস। থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে মারধর করা হয় এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অত্যাচার করা হয় তাঁর উপর। কারণ পুলিস ২ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিল, তা দিতে পারেনি মনোজ। তারপর ঘুষের টাকা চেয়ে বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। মনোজের অভিযোগে এক সাব ইনস্পেক্টর এবং তিন পুলিস কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ডিসিপি জানিয়েছেন, মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিহাসে বিরলতম ঘটনা, এই প্রথম কোনও ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার (Arrested) হতে হল প্রেসিডেন্টকে। তাও আবার দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিন্ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donuld Trump)। যে কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাও অবাক করা। পর্ণ স্টারকে মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দিয়েছিলেন, এমনই অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। বুধবার ভারতীয় সময় রাত ১২টায় ট্রাম্পের আত্মসমর্পণ করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গ্রেফতার করা হয় ট্রাম্পকে।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মোট ১৩ পাতার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বিস্ফোরক, পর্ণ তারকাকে ঘুষ দেওয়া। জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে পর্ণস্টার স্টর্মি ড্যানিয়ালসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ২০১৬ মার্কিন নির্বাচনের আগে পর্ণ তারকাকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয় যাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে তিনি মুখ না খোলেন। ট্রাম্পের গ্রেফতারির পরই তাঁর ভক্তরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একাধিক জায়গায় ভাঙচুর চালিয়েছে ট্রাম্প সমর্থকেরা।
তবে গ্রেফতারির কিছুক্ষণ পরেই ছাড়া পেয়ে যান ট্রাম্প। আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি ৩৪টি মামলাতেই নিজেকে 'নির্দোষ' বলেছেন। যদিও এখনও মামলাগুলি বিচারসাপেক্ষ। ৪ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে। তবে ট্রাম্প সমর্থকেরা মনে করছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করেছেন ম্যানহ্যাটন ডিস্ট্রিক উকিল এলভিন ব্র্যাগ। তিনি আবার ডেমোক্রেটিক দল ঘনিষ্ঠ। ২০২৪ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই ঘটনাকে 'ষড়যন্ত্র' বলছেন অনেকে।
অভিযুক্তকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তাঁর থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrested) করা হয় মুম্বই (Mumbai) পুলিসের এক ইনস্পেক্টরকে (Inspector)। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ইনস্পেক্টর ধারাভি থানায় কর্মরত। বয়স ৫৩ বছর।
আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্তের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নামে ১ লক্ষ টাকা কিংবা আইফোন চেয়েছিলেন ওই ইনস্পেক্টর। তবে দর নিয়ে কষাকষি হওয়ায় ১ লক্ষ থেকে তা ৪০ হাজার টাকায় গিয়ে পৌঁছয়। সেই ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই ইনস্পেক্টর।
খবর, শুক্রবার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মুম্বই পুলিসের ওই ইনস্পেক্টরকে। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জালিয়াতি এবং আর্থিক প্রতারণার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশ্য পরে জামিন পেয়ে যান তিনি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলায় করা হয়। সেখান থেকে মুক্ত করার প্রস্তাব দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন ওই ইনস্পেক্টর। তবে সাহায্যের বিনিময়ে ১ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।