দক্ষিণী সিনেমা জগতের প্রতাপশালী অভিনেতার মেয়ের গয়না চুরি! তাও আবার 'থালাইভা' রজনীকান্ত (Rajnikanth) কন্যা ঐশ্বর্যর। আজ থেকে নয়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলছে এই চৌর্যবৃত্তি। চেন্নাইয়ের বাড়ি থেকে যে গয়না ও টাকা উধাও হচ্ছে তা টের পেয়েছিলেন ঐশ্বর্য (Aishwariya), এরপরেই পদক্ষেপ করেন তিনি। ঐশ্বর্য বুঝতে পারেন তাঁর লকারে ৬০ টি সোনার গয়না ও একটি হিরের নেকলেস যথা স্থানে নেই। আর দেরি করেননি রজনী কন্যা। টেনামপেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
প্রথম থেকেই ঐশ্বর্যর সন্দেহ ছিল, এই কাজ তাঁর পরিচারিকারাই করেছেন। কারণ চেন্নাইয়ের বাড়িতে একমাত্র তাঁদের অবাধ যাতায়াত ছিল। ঐশ্বর্যর চুরি যাওয়া গয়নার মধ্যে ছিল হিরের সেট, নবরত্নম সেট, প্রাচীন সোনার টুকরো, চুড়ি-সহ ৬০ টি বহুমূল্য গয়না। যার বর্তমান বাজার দর প্রায় ৩.৬০ লক্ষ টাকা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন পুলিস। এই ঘটনায় পুলিস গ্রেফতার করেন ঐশ্বর্যর বাড়ির পরিচারিকা ঈশ্বরীকে। পুলিস তাঁকে জেরা করতে শুরু করলে, তাঁর স্বামীর নামও উঠে আসে। পরিচারিকা ও তাঁর স্বামীর ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখলে কিছু অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পান পুলিস।
জেরায় ওই পরিচারিকা স্বীকার করে নেন ২০১৯ সাল থেকে ঐশ্বর্যর লকার থেকে কিছু কিছু করে গয়না সরাতে থাকেন তিনি। পাছে ধরা পড়ে যায়, তাই সেই গয়না বিক্রি করে টাকায় রূপান্তরিত করে তা জমাতে থাকেন ব্যাঙ্কে। ঈশ্বরী জেরায় আরও স্বীকার করেছেন যে, ঐশ্বর্যর সেন্ট মেরিস রোডের বাসভবন, রজনীকান্তের পোয়েস গার্ডেনের বাসভবন এমনকি ধনুশের বাড়ি মান্দাভেলি থেকেও গয়না চুরি করেছেন তিনি। রজনীকান্ত কন্যা ঐশ্বর্য পুলিসকে জানান, ধনুশের সঙ্গে বিয়ের পর সেন্ট মেরি রোডের বাড়িতেই গয়নার এই লকার ছিল। পরে ধনুশের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় রজনীকান্তের পোয়েস গার্ডেনের বাড়িতে সেই গয়না ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
২০১৯ সালে ঐশ্বর্য বোনের বিয়েতে শেষবার এই গয়না পরেছিলেন। এরপর আর তিনি ওই গয়না পরেননি। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে। রজনীকান্তের মতো সুপারস্টারের বাড়িতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকা উচিৎ। সেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে এত বছর ধরে কীভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঈশ্বরী কীভাবে ওই গয়না পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন, সকলের নজর এড়িয়ে কীভাবে গয়না সরিয়েছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শ্লীলতাহানি এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৬ জন (Robbery)। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বারুইপুর জেলা (Baruipur Police)পুলিসের ডিএসপি (DSP) মোহিত মোল্লার নেতৃত্বাধীন বিশেষ দল। ধৃতদের থেকে ৪টি মোবাইল-সহ ৫টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়েছে। এমনকি মোবাইল-বাইক ছাড়াও ধৃতদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির নানা সরঞ্জাম। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, স্কুল-কলেজের ছাত্রী ও অল্প বয়সী মেয়েদের টার্গেট করে তাদের উত্যক্ত করত এই ছিনতাইবাজের দল। আগে থেকে ওই মেয়েগুলিকে অনুসরণ করত অভিযুক্তরা। এমনকি বাইকে চেপে আচমকা তাদের পাশে এসে শিস দিয়ে অন্যমনস্ক করে দিত ধৃতরা৷
মূলত কেউ একা থাকলে তবেই ধৃতরা তাকে টার্গেট করত। সেই অন্যমনষ্কতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন বা ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। গড়িয়া, মহামায়াতলা, রাজপুর, সোনারপুর, বারুইপুর এলাকাজুড়ে অভিযুক্তরা এই কাজ চালাত। বারুইপুর জেলা পুলিসের ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান, 'এলাকার বেশ কিছু চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে এই গ্যাংকে দেখতে পায় পুলিস। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভোররাতে পোলঘাট অঞ্চলের একটি কারখানার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়৷'
জানা গিয়েছে, মোট ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের থেকে ৪টি মোবাইল ও ৫টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়েছে। এমনকি তাদের থেকে মোবাইল ও বাইক ছাড়াও ডাকাতির সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে। মূলত চোরাই বাইক নিয়েই অভিযুক্তরা বিভিন্ন অপারেশন করত বলে অনুমান পুলিসের৷
জনসমক্ষে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ভেলোরে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম পুনিতা। এই মর্মান্তিক ঘটনা ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage)। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস।
ঘটনার ফুটেজ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে লোকজন। তার মাঝে স্ত্রীকে ধাক্কা দিতে দিতে রাস্তায় এগিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী। এরপর হঠাৎ ছুরি বার করে স্ত্রীকে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করেন যুবক। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন মহিলা। কিন্তু সাত বার স্ত্রীর শরীরের একাধিক অংশে কোপ মারতে দেখা যায় যুবককে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মহিলা। আর রাস্তায় থাকা লোকজন কেউ দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। আবার কেউ পাশ কাটিয়ে সরে যাচ্ছিলেন। একবারের জন্য কেউ আটকাতে আসেননি। এরপর রাস্তায় স্ত্রীকে ফেলে রেখে হেঁটে বেড়িয়ে যান অভিযুক্ত।
পুলিস ঘটনাস্থলে এসে মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা একটি বেসরকারি জুতোর সংস্থায় চাকরি করতেন। সোমবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে আক্রমণ করেন স্বামী জয়শঙ্কর। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তবে, কী কারণে এই ঘটনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।
পথকুকুরকে খাওয়াতে গিয়ে গুরুতর জখম (Injured) হয়েছেন বছর ২৫-এর তেজস্বিতা। রবিবার রাতের অন্ধকারে দ্রুতগতিতে আসা একটি গাড়ি চাপা দিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। গুরুতর জখম হন ওই তরুণী। চণ্ডীগড়ের (Chandigarh) সেই ঘটনার তদন্তে নেমে দোষীকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, ঘাতক গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসে ছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন মেজর। ধৃতের নাম সন্দীপ সাহি।
পুলিস সূত্রে খবর, তেজস্বিতা রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ পথকুকুরদের খাওয়াতে বেরোন। রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে নিচু হয়ে খাবার দিচ্ছিলেন তিনি। সে সময় দ্রুতগতিতে ছুটে আসে প্রাক্তন সেনাকর্তার গাড়ি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তেজস্বিতাকে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যান সন্দীপ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ এবং ৩৩৭ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাঁকে মোহালি থেকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
তেজস্বিতাকে আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে দেখেন এক পথচারী। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিসে খবর দেন। পুলিসের টহলদারি ভ্যান এসে তেজস্বিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। খবর দেওয়া হয় তাঁর পরিবারকেও।
ফের রাজ্যে যৌন নিগ্রহের শিকার এক দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার ধনিয়াখালীর (Dhaniakhali) এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কর্মচারী। বৃহস্পতিবার ধৃতকে চুঁচুড়া (Chunchura) আদালতে পেশের কথা। পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনিয়াখালী শিবাইচণ্ডীর ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের (school) দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে গেলেও বুধবার স্কুলে যেতে চায়নি। কেন স্কুলে যাবে না জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় স্কুলের একজন তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। এরপরই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় পরিবার। বছর আটের ওই ছাত্রীর (student) কথা শুনে পরিবারের লোকজন স্কুলে গিয়ে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবারই গ্রেফতার (arrest) করা হয় অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, সুকুমার ন্যান্সি নামে ওই অভিযুক্ত স্কুলের সর্বেসর্বা বলে জানায় স্থানীয়রা। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে জানার পরই ধনিয়াখালী থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে । ছাত্রীর এক আত্মীয় জানান, ওই ছাত্রী কোনওদিন স্কুলে যাব না বলে না। কিন্তু বুধবার যখন তাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি করা হচ্ছিল, তখন সে জানায় স্কুলে যাবে না। স্বভাবতই ভয় পেয়ে আর স্কুলে যেতে চায়নি ওই ছাত্রী। এরপরই পুলিসের তত্পরতায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
আর্থিক সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে অশান্তি। যার জেরে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে এক ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির (Northeast Delhi) জিটিবি এনক্লেভে। ৪৩ বছর বয়সী হরিশ ভাটিকে গুলি করে হত্যা (Murder) করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গগন জৈনকে পরে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়। তিনি হরিশ ভাটির কাছ থেকে ৪০,০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।
একটি ফ্ল্যাটে গুলি চালানোর খবর পেয়ে এদিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। ফ্ল্যাটে আহত ভাটিকে দেখতে পেয়ে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিস।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ভাটি অর্থের ব্যবসা করতেন। এবং টাকা ধার দিতেন। তাঁর নামে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরে পুলিস জৈনকে শনাক্ত করেছে। পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (শাহদারা) আর সাথিয়াসুন্দরাম বলেছেন, তিনি এর আগে চারটি মামলায় জড়িত ছিলেন।বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছিল। এবং অবশেষে জৈনকে গ্রেফতার করা হয়।
সাথিয়াসুন্দরাম আরও বলেছেন যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় জৈন বলেছিলেন, তিনি ভাটির কাছ থেকে ৪০,০০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এবং প্রতি মাসে তাকে ৪,০০০ টাকা সুদ দিতেন। তা সত্ত্বেও যখনই ভাটি মদ্যপান করতেন, তখনই অভিযুক্তের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। এবং বহুবার মারধরও করেছেন।
জৈনের স্ত্রীকে নিয়েও অশালীন মন্তব্য করেন তিনি বলে অভিযোগ করেছেন। দু'দিন আগে ভাটি অভিযুক্তকে মারধর করে প্রকাশ্যে অপমান করেন। তাঁর আচরণে বিরক্ত হয়ে জৈন তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। জৈন ভাটির সময়সূচী সম্পর্কে অবগত ছিলেন। সকালে হাঁটার পর পার্ক থেকে বের হলে ভাটিকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। হত্যার অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জাল দলিল (Fake document) তৈরি করে সাধারণ মানুষের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনার তদন্তে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হলেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (Enforcement Branch) ৪ জন পুলিস কর্মী। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paragana) জীবনতলা থানার অন্তর্গত গৌড়দহ এলাকার।
অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে গৌড়দহে আসে ইবি দফতরের পুলিসকর্মীরা। ঘটনায় কয়েকদিন আগেই দেবব্রত মণ্ডল নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার (Arrested) করে ইবি। সূত্রের খবর, শনিবার তদন্তে নেমে দেবব্রত মণ্ডল ও তাঁর দাদা সুব্রত মণ্ডল এবং তাঁদের আত্মীয়দের বাড়ি থেকে প্রায় একাধিক জাল দলিল উদ্ধার করেন তদন্তকারী অফিসাররা।
জানা গিয়েছে, শনিবার ইবি অফিসারা তদন্তের জন্য গেলে স্থানীয় মানুষজন পুলিস কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে তাঁদেরকে মারধর (Beaten) করেন। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিসের গাড়ি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত দেবব্রত মণ্ডলকে পুলিসের থেকে ছিনিয়ে নেন উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে জীবনতলা থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আবার শনিবার রাতে অভিযুক্ত দেবব্রতকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইবি । অপরদিকে সুব্রত মণ্ডলের অভিযোগ, ইবি আধিকারিকরা পরিবারের মহিলাদের উপরে আক্রমণ করেন। এই ঘটনার পরিবারের বেশ কয়েকজন মহিলা আক্রান্ত হন।
ফের খুন (Murder) পানিহাটিতে। বন্ধুদের মধ্যে মদ্যপান করাকে কেন্দ্র করে বচসা। আর তার জেরে এক যুবকের গলার নলি কেটে গঙ্গার চরে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল চার বন্ধুর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে চার অভিযুক্ত বন্ধুকে। ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গার (Ganges) ঘাটে।
জানা গিয়েছে, ৫ বন্ধু মিলে মদ্যপান করছিলেন। সেই সময় ভান্ডারী নামে এক বন্ধু চার বন্ধুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। বচসা চলাকালীন চার বন্ধু মিলে ভান্ডারী নামের যুবককে গলার নলি কেটে গঙ্গার চরে পুঁতে দেন বলে অভিযোগ।
সকালে এসে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান মৃতদেহ। তারপর খড়দহ থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস এসে মৃত উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। খুনের তদন্তে নেমে ঘটনায় অভিযুক্ত চার বন্ধু মুস্তাক, সূর্য, লাল্লু ও নিবেদকে বেলঘরিয়া কামারহাটি ও আগরপাড়া অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করে। খুনে ব্যবহৃত চপারও উদ্ধার করে পুলিস। আজ, রবিবার অভিযুক্তদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। খুনের ঘটনায় এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে প্রথমে গলা কেটে খুনের চেষ্টা (Murder)। তারপর মুখে অ্যাসিড (Acid Attack) ঢেলে দেওয়ার অভিযোগে উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) নেলোর জেলার ভেঙ্কটাচালাম গ্রামে। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটির পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসি হেফাজতে (Arrested) নেওয়া হয়েছে তাঁকে।
মেয়েটিকে প্রথমে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অ্যাসিড হামলায় মুখ পুড়ে যায় মেয়েটির। বর্তমানে কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান চিকিৎসকরা।
নেলোরের পুলিস সুপার বিজয়া রাও জানিয়েছেন, “ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। পরিচিত এক ব্যক্তি ওই কিশোরীর উপর হামলা চালায়। প্রথমে তার মুখে অ্যাসিড ঢেলে, তারপর গলা কাটা হয় বলে অনুমান। প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে কিশোরীর বাবাকে খবর দেন। এরপর দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান মেয়েটির বাবা।”
তিনি আরও বলেন, কেন এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
অটো (Auto) ও টোটোর (Toto) মধ্যে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মহেশতলা (Maheshtala) ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জি হাট বাগমারি মোড়ে। অটোচালককে মারধর (Beaten) করার অভিযোগ ওঠে টোটো চালকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুটি টোটো সহ তিনজন টোটো চালককে আটক (Arrested) করে নিয়ে যায় থানায়।
জানা গিয়েছে, অটোচালককে মারধর করার অভিযোগে ব্যানার্জি হাট থেকে টোটো নিয়ে যাওয়ার সময় অটো চালকরা বাইক নিয়ে টোটো চালককে ধাওয়া করেন। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে টোটোকে বাইক নিয়ে ধাক্কা মারেন অটোচালকরা। এরপরই টোটো রাস্তায় উল্টে যায়। ঠিক সেই সময় এক ব্যক্তি স্কুটি করে তাঁর তিন মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। ওই টোটো গিয়ে পড়ে তাঁদের গায়ের উপর। আহত হয় তিন মাসের শিশু। শিশুকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি নার্সিংহোম নিয়ে যাওয়া হয়। এবং টোটো চালক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন। টোটো চালকে পুলিস উদ্ধার করে মহেশতলা পৌরসভা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কানের কাছে চারটি সেলাই করেন চিকিৎসক।
মহেশতলা থানার পুলিস এই ঘটনায় টোটো ও অটোর বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
প্রথমে জানা গিয়েছিল হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বিগ বস (Bigg Boss) খ্যাত অভিনেত্রী তথা হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী (BJP Leader) সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat)। মঙ্গলবার ভোরে প্রয়াত (Death) হন অভিনেত্রী। তবে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মৃত্যুর পর থেকেই দাবি করছিলেন পরিবারের সদস্যরা। এমনকি বৃহস্পতিবার ফোগাটের পরিবারের দাবি মেনে নিয়ে খুনের মামলা রুজু করেছিল গোয়া পুলিস (Goa Police)। এরপরই ময়নাতদন্ত করা হয় সোনালি ফোগটের দেহের। আর তাতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, সোনালির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল তাঁকে, এমনটাই জানানো হয়েছে। এরপরই তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়া থেকে বিজেপি নেত্রীকে খুনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। বিজেপি নেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে সোনালিকে। এমনকি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, প্রমাণস্বরূপ গোটা ময়নাতদন্তের রেকর্ডিংও করা হয়। যে মহিলা পুলিস কর্মীরা সোনালির পরীক্ষা করছিলেন তাঁরা জানান, কোনও ধারালো অস্ত্রের আঘাত খুঁজে পাননি। ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে তাঁকে।
এরপরই তড়িঘড়ি সোনালির খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সঙ্গন ও বন্ধু সুখবিন্দর ওয়াসিকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিস। তাঁদের বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে পরিবারের লোকের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল। অসুস্থতা বোধ করায় গোয়ার সেন্ট অ্যান্টনি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার ভোরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোনালির মৃত্যু হয়েছে জানিয়েছিল চিকিৎসকরা। এরপরই এ রিপোর্ট আসতেই উঠছে নানা প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, ৪২ বছর বয়সী প্রয়াত অভিনেত্রীর ভাই রিঙ্কুর অভিযোগ করেছিলেন, সুধীর তাঁর দিদিকে ধর্ষণ করে খুন করেছেন। এর সঙ্গে অভিনেত্রীর বন্ধু সুখবিন্দরের দিকেও আঙুল তুলেছিলেন। রিঙ্কুর অভিযোগ, সুখবিন্দর নাকি একটি আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে সোনালিকে ব্ল্যাকমেল করতেন।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) বুধবার সন্ধ্যায় প্রদীপ সিং নামে একজনকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রদীপ 'মিডলম্যান' (Middleman) হিসেবে কাজ করতেন। আজ, বৃহস্পতিবার মেডিকেল চেক আপ করার পর তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
একাধিক তথ্য ও নথি এবং ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় প্রদীপ সিংকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই আধিকারিকরা প্রদীপকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইছেন। সে কারণে আদালতে সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানাবে বলে জানা গিয়েছে।
এককথায়, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে আরও একধাপ এগোল সিবিআই। উল্লেখ্য, এই মামলায় এটি সিবিআই-এর হাতে তৃতীয় গ্রেফতারি। এর আগে এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক সাহা এবং উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে গ্রেফতার করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের ইতিমধ্যে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে কোমর বেঁধে নেমেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরাও। এই মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি।
পাকিস্তান (Pakistan) তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) (PTI)-এর সিনিয়র নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)চিফ অফ স্টাফ (Chief of Staff) ডঃ শাহবাজ গিলকে (Shahbaz Gill) ইসলামাবাদ থেকে গ্রেফতার (Arrested) করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শাহবাজ গিল পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে বানি গালায় যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শাহবাজ গিলের বিরুদ্ধে বানিগালা থানায় রাজদ্রোহের (Treason Case) অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে রাজনীতিবিদ ফাওয়াদ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন যে, শাহবাজকে সিভিল পোশাকে থাকা পুলিসকর্মীরা হেফাজতে নিয়েছিল এবং বানি গালা চকে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহের ডাক দেওয়ার একদিন পরেই গিলকে গ্রেফতার করা হয়। গিল তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কিছু আদেশ অমান্য করার জন্য পাক সেনা কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই রাজদ্রোহের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস।
উল্লেখ্য, গিলকে গত মাসে পঞ্জাব প্রদেশের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় অস্ত্র বহন করার অভিযোগে মুজাফফরগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জনসভা ও মিছিলের সময় প্রাণঘাতী অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়।