বচসা ও মারধরের জেরে মৃত্যু (Death) হল এক যুবকের। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিসা রেলগেট এলাকায়। এই ঘটনায় দোষীকে গ্রেফতার করার দাবিতে বুধবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান স্থানীয়রা। নকশালবাড়ি (Naxalbari) শিলিগুড়িগামী ২ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এমনকি বেশ কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নকশালবাড়ি জেলা পুলিসের (Police) বিশাল বাহিনী।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুনীল নাগাসিয়া (৩৯)। তিনি বিজয়নগরের বড় ঝাড়ুজোতের বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। মঙ্গলবার রাতেই মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে নকশালবাড়ি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক বৃদ্ধকে ধাক্কা লাগে। যার ফলে স্থানীয়দের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই বচসাকে কেন্দ্র করেই রেলগেট এলাকার কিছু লোকজন ওই যুবককে মারধর করেন। যার ফলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃতের পরিবারের দাবি, দোষীকে গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক।
চোপড়ার (Chopra) দাসপাড়ার মন্দিরে (Temple) চুরির (Theft) ঘটনার প্রতিবাদে দাসপাড়া এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation)। বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়া থানা অন্তর্গত দাসপাড়া সন্ন্যাসীতলা কালী মন্দিরে। মন্দিরের সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজে এই চুরির ঘটনাটি দেখা গিয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অস্ত্র শস্ত্র সমেত ৬ জন দুষ্কৃতী মন্দিরের ভিতরে ঢুকে। সেই সময় কর্তব্যরত কিছু সিভিক ভলেন্টিয়ার সেখানে থাকে। তাঁরা দুষ্কৃতিদের দেখতে পেয়ে বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। তারপরেই মন্দিরের দুটি দানবাক্স চুরি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।
জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের মারধরে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মন্দির কমিটির সদস্য রাম দত্ত বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না কিন্তু কেউ আমাকে ফোন করে চুরির ঘটনার কথা জানায়। তখনই পুলিসকে সমস্ত ঘটনাটি জানিয়ে মন্দিরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাচীন পুকুর ভরাটের (Pond Fill Up) অভিযোগে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এমনকি পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে যশোর রোডে প্রতীকি নিয়ে অবরোধ বিজেপির (BJP)। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার (Gaighata) বকচরা ১ নম্বর টালিভাটা এলাকায়। তবে বৃহস্পতিবার সকালেও সেই বিক্ষোভ জারি রেখেছে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা৷
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা গাইঘাটা ব্লকের বকচরায় কয়েক বিঘা জায়গা নিয়ে একটি পুকুরকে ভরাট করছে প্রোমোটার, তেমনই অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপি সদস্যদের দাবি, পুকুর ভরাট করে এখানে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে তেমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষেকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন এই প্রোমটার। কিন্তু এই পুকুর ভরাট হলে বকচরা এলাকার সাধারণ মানুষ আগামী দিনে বেশ সমস্যায় পড়বেন। তাই সেই কারণেই বুধবার বিকেল যশোর রোডের বকচরাতে রাস্তা অবরোধ করেছে বিরোধী দলের নেতারা। এমনকি প্রতীকি নিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ করার পর পুলিস সেই অবরোধ তুলে দেয়। তবে তাতেও থেমে নেই তাঁরা। তাই পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে ফের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভে নেমে পড়েছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের তালিকায় থাকা গোবিন্দ হালদার নামে এক ব্যক্তি জানান, এলাকার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মতামত নিয়েই এই পুকুর ভরাট করা হয়েছে। পুকুরের জন্য নির্দিষ্ট কিছু জায়গাও রাখা হয়েছে। এলাকার উন্নয়নের জন্যই একটি হাসপাতাল নির্মাণ করার কারণেই পুকুর ভরাট করার কাজ চলছে। আর যাঁরা আন্দোলনে সামিল হয়েছে তাঁরা এই এলাকার সাধারণ মানুষ নয়। এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছ থেকে মতামত নিলে তাঁরাই সঠিক সিদ্ধান্ত জানাবে।
অঙ্গনওয়াড়ি (ICDS) কেন্দ্রে নিম্নমানের খাবার এবং শিক্ষিকার অনিয়মিতভাবে স্কুল আসাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ (Agitation) গ্রামবাসীদের। দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dianjpur) বালুরঘাট থানার ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় রঘুনাথপুর এলাকার ঘটনা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট থানার পুলিস (Police) এবং ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা দেরি করে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে আসেন। পাশাপাশি নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা। সে কারণেই ওই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তবে এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের দিদিমণি বর্ণালী মৈত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ করেছেন। যদিও শিক্ষিকার করা এই মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন এলাকাবাসী সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুভাষ সরকার।
ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপির সুভাষ সরকার জানান, গ্রামবাসীদের করা অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখবেন। এমনকি এই বিষয়টির সুরাহা করার জন্য বালুরঘাট বিডিওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে জানাবেন, জানান তিনি।
মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক (Bank) ম্যানেজার সহ কোষাধক্ষ্য এবং দুই সিএসপির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সোনামুখী বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়কে বিক্ষোভ (Agitation) করলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া (Bankura) জেলার সোনামুখী ব্লকের মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২০০টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ৯১টি গোষ্ঠীর প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। যার ফলেই বিক্ষোভে নামেন গোষ্ঠীর সদস্য মহিলারা। বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় একাধিক গাড়ি ফলে সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা। বিক্ষোভকারী মহিলাদের দাবি, যাঁরা এই টাকা আত্মসাৎ করেছে, অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়া হোক।
এক বিক্ষোভকারী জানায়, গোষ্ঠীর সব টাকা আত্মসাত্ করেও তাঁদের উপরে লোনের বোঝা চাপানো হয়েছে। এমনকি প্রশাসনকে জানালেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিএ আন্দলনের (DA Agitation) জট কাটাতে পদক্ষেপ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে রাজ্য। এক জনস্বার্থ মামলায় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের। জানা গিয়েছে, সংগঠনের পাঁচজন সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করবে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিব।
যেহেতু বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই যৌথ সংগ্রামী মঞ্চকে আপাতত কর্মবিরতি না করার পরামর্শ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের। আপাতত জট কাটাতে সমঝোতার জন্য বসবে রাজ্য এবং ডিএ আন্দোলনকারীরা। এমনটাই উচ্চ আদালতের নির্দেশ।
ডিএ আন্দোলনকারীদের ধর্মঘট বা কর্মবিরতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। জানা গিয়েছে, ডিএ মামলায় চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটা কমিটি গঠন করে দু'পক্ষকে আগামি ১০ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসতে হবে।
কল আছে জল নেই, গরমে জলের (Water problem) জন্য হা করে গোটা গ্রাম। তাই জলের দাবীতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) গ্রামবাসীদের। এমনকি পানীয় জল সরবরাহের দাবীতে রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করলেন গ্রামের মহিলারাও। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) বড়জোড়া ব্লকের হাট আশুড়িয়া গ্রামের রুইদাস পাড়ার।
গরম যতই বাড়ছে ততই নামছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর। শুকিয়ে গিয়েছে কুয়োও। এমনকি বিকল হয়ে পড়ছে নলকূপ। জানা গিয়েছে, মাস সাতেক আগে গ্রামের জল সঙ্কট মেটানোর জন্য বাড়িতে বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের কল বসানো হয়। কিন্তু সেই কল দিয়ে এক ফোঁটা জল পড়েনা। গরম বাড়তেই ওই গ্রামে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল সঙ্কট। সামান্য জলের জন্য শুরু হয়েছে হাহাকার।
স্থানীয়দের দাবী, এই পরিস্থিতিতে পুকুরের জল খেয়েই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা। তাই অবিলম্বে গ্রামের জল সঙ্কটের সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। আর সেই দাবিতেই সোমবার সকাল থেকে বড়জোড়া সোনামুখী রাস্তায় হাট আশুড়িয়া মোড় অবরোধ করে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা।
অবশেষে অবরোধ (Agitation) প্রত্যাহার কুড়মিদের (Kurmi)। দীর্ঘ ৫ দিন রাজ্য সড়ক পথ, রেল পথে অবরোধ করেন তাঁরা। কুড়মিদের অবরোধের জেরে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) চরম তাপে ভোগান্তি হচ্ছিল সাধারণ মানুষের। তাঁদের আন্দোলনের জেরেই দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ৫ দিনে প্রায় ৪৫০টি ট্রেন বাতিল হয়। চরম দুর্ভোগের শিকার হয় সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীরাও। অবশেষে রবিবার সকাল থেকে অবরোধ-আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা। কিন্তু খেমাশুলিতে এখনও অবরোধ বহাল রয়েছে। আরপিএফ-এর বিশাল বাহিনী পথে নেমেছে সেখানে।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের গাফিলতির অভিযোগ তুলে রেল ও সড়ক পথ অবরোধ করেন তাঁরা। দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনে খড়গপুরে ও আদ্রাতে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন তাঁরা। আরও জানা গিয়েছে, খেমাশুলি, কুস্তাউর, সহ বাঁকুড়াতেও চলে অবরোধ। রবিবার কুড়মি সমাজের স্পষ্ট দাবি, মানুষের কথা ভেবে অবরোধ প্রত্যাহার করলাম, কিন্তু আন্দোলন চলবে। এছাড়া তাঁরা আরও জানান, রাজ্যের প্রস্তাব মানছেন না তাঁরা। নিজেরাই এই অবরোধ প্রত্যাহার করলাম।
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে কুড়মি সমাজের বেশ কয়েকটি সংগঠন, প্রতিবাদে পথে নেমেছিল। এই কুড়মি সমাজের একটি সংগঠনের পক্ষে কৌশিক মাহাতোর দাবি, '১৯৫১ সালে আমাদের এই জাতিকে উপজাতি কোটা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, কোনও কারণ ছাড়াই। সেই জন্য ২০১৫ সালে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন গড়ে তুলি।' কৌশিক বুধবার সিএন-ডিজিটালকে জানান, 'রাজ্যের একটি সিআরআই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পরবর্তী প্রক্রিয়ায় উপজাতি লিস্টে নথিভুক্ত করতে পারে কেন্দ্র সরকার। আন্দোলনের পরে ২০১৭ সালে সেই সিআরআই রিপোর্ট রাজ্যের তরফে পাঠানো হয়, সেই রিপোর্টে অনেক গাফিলতি আছে।'
কুড়মি আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক আন্দোলনকারীর অভিযোগ, 'রাজ্যের গাফিলতির জন্য এই রিপোর্টটা ভুল গিয়েছে এবং তাদের গাফিলতির জন্যই বিষয়টা পিছিয়ে যাচ্ছে।' সূত্রের খবর, গত বছর, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে কুড়মি সমাজ আন্দোলনে নেমেছিল। কিন্তু সেসময় সরকারের প্রতিশ্রুতিতে অবরোধ ও আন্দোলন তুলে নেন তাঁরা। বুধবার কুড়মি আন্দোলনের এক নেতা শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, 'রাজ্য সরকার সেপ্টেম্বর মাসে বলেছিল ৩ মাসের মধ্যে সিআরআই রিপোর্টটা ঠিক করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, কিন্তু তারপর থেকে ৬ মাস হয়ে গেল পাঠায়নি। এভাবে ৬ বছর আমাদের অবহেলা করছে রাজ্য।'
আইসিডিএস-র (ICDS) প্রাক্তন শিক্ষিকাকে স্কুলে ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ (agitation)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। নদীয়ার (Nadia) হরিণঘাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দলুইপুর এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের বর্তমান শিক্ষিকা বাচ্চাদের পড়াশুনোতে সাহায্য করে না। প্রায় দেড় মাস ধরে স্কুলে আসছেন না নতুন শিক্ষিকা।
স্কুলে শুধু খিচুড়ি দিলেই হবে না বাচ্চাদের পড়াশোনাও করাতে হবে, এভাবে শিক্ষার দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযোগ, আগে আরিফা বিবি নামের স্থানীয় এক গৃহবধূ ওই স্কুলের রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সব কাজ সামলাতেন। এমনকি বাচ্চাদের পড়াশুনোর দিকেও খুব নজর দিতেন। তবে হঠাৎই তাঁকে সরিয়ে দিয়ে বহু পূর্বে ওই বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা রুমা দাস নামে একজনকে নিয়োগ করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, নতুন শিক্ষিকা টানা দেড় মাস ধরে স্কুলে আসছে না। যার ফলে গ্রামের বাচ্চারা ক্রমশ বইয়ের থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। তবে প্রাক্তন শিক্ষিকা বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের মিড ডে মিলের খাবারও যত্ন সহকারে রান্না করে দিতেন। এমনকি এই স্কুল এবং স্কুলের বাচ্চাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাই তাঁকেই ফিরিয়ে আনতে হবে এই স্কুলে, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তবে স্কুলে দেড় মাস না আসার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অঙ্গনওয়াড়ী স্কুলের বর্তমান শিক্ষিকা রুমা দাস।
কুড়মি আন্দোলনের জেরে ব্যাপক ভোগান্তি রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায়। বুধবারের মত বৃহস্পতিবারও কুড়মি সমাজের আন্দোলনে অবরুদ্ধ (Agitation) রাজপথ (National Highway) ও ট্রেন (Train) লাইন। তার জেরেই বৃহস্পতিবার ৮৫ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ওই শাখায়। সূত্রের খবর, বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মোট ৬৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল।
রেল সূত্রে খবর, আদ্রা-চন্ডিল শাখায় কুস্তাউড় স্টেশনে, খড়্গপুর-টাটানগর শাখায় খেমাশুলি স্টেশনে কুড়মিদের অবরোধের জেরে, সংশ্লিষ্ট দুই শাখায় বৃহস্পতিবার ট্রেন বাতিলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫টি। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি ট্রেনের রুট আদ্রা থেকে পতিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৭ তারিখ ও ৯ তারিখ অগ্রীম দুটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ।
যার মধ্যে বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও রয়েছে। রয়েছে কিছু মেমু স্পেশাল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের পিআরও অম্বর বসু বলেন, ' বুধবার বাতিল হওয়া সব ট্রেনই বাতিল হয়েছে। বাতিলের তালিকায় আরও কিছু ট্রেন বেড়েছে। ওই বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে ৪৮টি এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। যাদের মধ্যে দুরন্ত এক্সপ্রেস ও জনশতাব্দী এক্সপ্রেসও রয়েছে।' বুধবার তিনি আরও জানান, 'গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির মধ্যে চক্রধরপুর এক্সপ্রেস-সহ ভিল্লুপুরম এক্সপ্রেস ও রুট পরিবর্তন করে চালানো হবে।' এছাড়াও বাতিলের তালিকায় রয়েছে বোকারো স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুনে আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুনে দুরন্ত এক্সপ্রেস, ভুগনেশ্বর-নিউদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, হাওড়া-হাতিয়া এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি-পুরী এক্সপ্রেস, হাওড়া-মুম্বই মেল। এছাড়া চলতি মাসের ৭ তারিখ আনন্দ বিহার-ভুবনেশ্বর এক্সপ্রেস বাতিল ও ৯ তারিখ যোগ নাগরী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।
কুড়মি সমাজের আন্দোলনে অবরুদ্ধ (Agitation) রাজপথ (National Highway) ও ট্রেন (Train) লাইন। রাজ্যের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। এই অভিযোগে ১লা এপ্রিল থেকে ঘাঘর ঘেরা ও খেমাশুলির রেললাইন অবরোধ করেন কুড়মি সমাজের একটি সংগঠন। তার জেরেই বুধবার অর্থাৎ এপ্রিলের ৫ তারিখ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মোট ৬৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, আদ্রা-চন্ডিল শাখায় কুস্তাউড় স্টেশনে, খড়্গপুর-টাটানগর শাখায় খেমাশুলি স্টেশনে বুধবার কুড়মিদের অবরোধের জেরে, সংশ্লিষ্ট দুই শাখায় ৬৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ১২টি ট্রেনের রুট আদ্রা থেকে পতিবর্তন করা হয়েছে।
যার মধ্যে বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও রয়েছে। রয়েছে কিছু মেমু স্পেশাল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের পিআরও অম্বর বসু বলেন, 'ওই বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে ২৬টি এক্সপ্রেস ট্রেনও রয়েছে যেগুলি বাতিল করা হয়েছে। যাদের মধ্যে দুরন্ত এক্সপ্রেস ও জনশতাব্দী এক্সপ্রেসও রয়েছে।' বুধবার তিনি আরও জানান, 'গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির মধ্যে চক্রধরপুর এক্সপ্রেস-সহ ভিল্লুপুরম এক্সপ্রেস ও রুট পরিবর্তন করে চালানো হবে।' এছাড়াও বাতিলের তালিকায় রয়েছে বোকারো স্টিল এক্সপ্রেস, হাওড় টিলাগড় এক্সপ্রেস, হাওড়া-হাতিয়া এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি-পুরী এক্সপ্রেস, হাওড়া-মুম্বই মেল।
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে কুড়মি সমাজের বেশ কয়েকটি সংগঠন, প্রতিবাদে পথে নেমেছে। এই কুড়মি সমাজের একটি সংগঠনের পক্ষে কৌশিক মাহাতো জানান, '১৯৫১ সালে আমাদের এই জাতিকে উপজাতি কোটা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, কোনও কারণ ছাড়াই, সেই জন্য ২০১৫ সালে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন গড়ে তুলি।' কৌশিক বুধবার সিএন-ডিজিটালকে জানান, 'রাজ্যের একটি সিআরআই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং এর পরবর্তী প্রক্রিয়ায় উপজাতি লিস্টে নথিভুক্ত করতে পারে কেন্দ্র সরকার, আন্দোলনের পরে ২০১৭ সালে সেই সিআরআই রিপোর্ট রাজ্যের তরফে পাঠানো হয়, সেই রিপোর্টে অনেক গাফিলতি আছে।'
কুড়মি আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক আন্দোলনকারীর অভিযোগ, 'রাজ্যের গাফিলতির জন্য এই রিপোর্টটা ভুল গিয়েছে এবং তাদের গাফিলতির জন্যই বিষয়টা পিছিয়ে যাচ্ছে।' সূত্রের খবর, গত বছর, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে কুর্মি সমাজ আন্দোলনে নেমেছিল, কিন্তু সেসময় সরকারের প্রতিশ্রুতিতে অবরোধ ও আন্দোলন তুলে নেয় তাঁরা। বুধবার কুড়মি আন্দোলনের এক নেতা শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, 'রাজ্য সরকার সেপ্টেম্বর মাসে বলেছিল ৩ মাসের মধ্যে সিআরআই রিপোর্টটা ঠিক করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, কিন্তু তারপর থেকে ৬ মাস হয়ে গেল পাঠায়নি, এভাবে ৬ বছর আমাদের অবহেলা করছে রাজ্য।'
পানীয় জলের (Drinking Water) সঙ্কটে মহেশপুরের (Maheshpur) গ্রামবাসী। কল আছে, কিন্তু কলে জল নেই। পানীয় জল থেকে বঞ্জিত থাকায়, হাহাকার করছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের একটা দাবি 'জল চায়'।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪নং ভরতগড় মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দারা পানীয় জলের জন্য় বিক্ষোভ করেন। বহু দূর থেকে জল আনতে গিয়ে ভীষণ সমস্য়ায় পড়ছেন গ্রামবাসীরা। চার বছর ধরে খারাপ হয়ে আছে কল। বার বার প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রশাসন এ ব্য়াপারে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এমনকি বাসন্তী গ্রামের বিডিও এবং ভরতগড় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান-কেও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে কোনও সুরাহা মেলেনি। সেইকারণে গ্রামবাসীরা সকলে মিলে চাঁদা তুলে খারাপ হওয়া কল সারাই করেন। কিন্তু কল সারানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছে কল।
গ্রামের বাসিন্দা দেবানন্দ দাস জানান, টিউবওয়েলগুলো সব অকেজ হয়ে রয়েছে। ৫-৬ টি কল থাকা সত্ত্বেও জল নেই। জলের জন্য় ৪-৫ কিমি গিয়ে জল আনতে হয় তাঁদের।
আশেপাশে গ্রামগুলিতে শোয়ালো বসানোয় জলের সমস্য়া হচ্ছে।
ভোটের আগে নেতারা এলেও কোনও সহয়তা মেলেনি। এমনকি বাড়ি বাড়ি টিউবওয়েল দেওয়া হলেও জল আসেনি। গ্রামবাসীদের দাবি, শোয়ালোগুলো বন্ধ করা হোক। জল দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কোনোরকম জলের ব্য়বস্থা করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। জলের আশায় গোটা গ্রামবাসী।
গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) এক পোস্ট মাষ্টার। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর এলাকায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ (Agitation) পোস্ট অফিস গ্রাহকদের। ঘটনাস্থলে হরিহরপাড়া থানার পুলিস এসে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।
জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী পোস্ট মাস্টারের নাম প্রদ্যুত তিওয়ারি। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুর সাব পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে পোস্ট অফিসেই ঝুলন্ত দেহটি পাওয়া যায়। তখনই এলাকার গ্রাহকেরা ভিড় করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারপরই ঘটনাস্থলে পুলিস আসে। যদিও পোস্টমাস্টারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলে। দাবি, যতক্ষণ না টাকা ফেরত দেওয়া হবে, ততক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকবে বাড়িতে।
পোস্ট অফিসের এক গ্রাহকের অভিযোগ, সাত বছর ধরে ঘুরছি কিন্তু ম্যাচিওরিটির টাকা এখনও পাইনি। দশ হাজার টাকা রেখে সুদ সহ আমার একুশ হাজারের বেশি টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু তাও সে টাকা হাতে পাইনি।
কল আছে জল নেই (Water Problem)। জলের আশায় দিন গুনছে সাধারণ মানুষ। তাই বাঁকুড়ার জগদীশপুরার গ্রামবাসীরা সেই অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান। এমনকি মন্ত্রীর কাছে এলাকাবাসীরা সব সমস্যার কথা তুলে ধরেন। খাদ্য প্রতিমন্ত্রীও এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন, দাবি গ্রামবাসীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় তিন বছর ধরে এই সজল ধারা প্রকল্পে জলের কলগুলি বসানো হয়েছিল। তবে আজও বন্ধ জলের পরিষেবা। গ্রামের মহিলারা প্রায় দেড় কিলোমিটার হেঁটে পাশের গ্রাম থেকে পানীয় জল নিয়ে আসেন। তাদের দাবি, বারবার প্রশাসনকে লিখিত দরখাস্ত দিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিপদতারণ সেন বলেন, 'পুরো জঙ্গল মহলেই এই জলের সমস্যা রয়েছে। পানীয় জলের সমস্যাটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। কেন্দ্র সরকার এই সমস্যা মেটানোর জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু সেই কাজ এত ঢিলে গতিতে চলছে, এত দেরি হচ্ছে, যার ফলে মানুষ জল পাচ্ছে না। প্রায় এক থেকে দেড় বছর আগে এই জলের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগাভাগির কারণে কাজে এত দেরি হচ্ছে। পঞ্চায়েতে যিনি আছেন তিনি ঠিক মতো কাজটা করছেন না।'
অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সদস্য গণেশ ডাঙা। তিনি বলেন, 'মাসে একবার করে গ্রামের জলের কলগুলি সারানো হয়। জলের স্তর একটু নীচু হওয়ায় পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা আবার সারানো হবে।'
ঠিক একই সমস্যার ছবি উঠে আসছে হুগলির চাঁপাডাঙ্গা কলেজপাড়া এলাকা থেকে। ওই এলাকায় প্রায় ১০০টি পরিবারের বসবাস। তারপরেও জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। কল থাকলেও জল পাচ্ছে না তাঁরা। বারবার প্রশাসনের দারস্থ হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
শহিদ মিনার ডিএ আন্দোলন (DA Agitation) মঞ্চে শেখ আবদুল সালামের হাতে আক্রান্ত বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (MLA Naushad Sidiqqui)। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত সালাম তৃণমূলকর্মী এবং হাওড়ার বাসিন্দা। শনিবার সকাল থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গ দিচ্ছেন আইএসএফ বিধায়ক। জামিনের পর মুক্ত হয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াবেন। সেই মোতাবেক এদিন সকালে শহিদ মিনার মঞ্চে (Sahid Minar) হাজির হয়েছিলেন। বেলার দিকে তিনি যখন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন, তখন টুপি পরা এক ব্যক্তি তাঁর সামনে চলে আসেন। তাঁর হাতে একটি হেলমেটও ছিল।
সেই ব্যক্তি নৌশাদকে প্রশ্ন করেন, 'আপনি সংখ্যালঘুদের জন্য কী করছেন?' বিধায়ক জবাব দেন, 'শুধু সংখ্যালঘু কেন, সংখ্যাগুরুদের জন্যও করবো।' এই জবাব শুনে নিজের জামা তুলে একটি ব্যান্ডেজ দেখান সেই ব্যক্তি। তারপরেই নৌশাদকে ধাক্কা দেন ওই টুপি পরা ব্যক্তি। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই ব্যক্তির দিকে ছুটে যান ডিএ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা।
যদিও নৌশাদ তখন সেই ব্যক্তির গায়ে হাত দিতে অন্যদের বারণ করেন। 'এটা একটা নাটক ওকে কিছু করো না' বলে চিৎকার করতে থাকেন আইএসএফ বিধায়ক। তারপরেও কয়েকজন মিলে অভিযুক্তকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিসের হাতে তুলে দেন। জানা গিয়েছে, বিধায়ককে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ব্যক্তিকে। সংবাদমাধ্যমকে আইএসএফ বিধায়ক জানান, 'এই ঘটনার তদন্ত করবে পুলিস। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কারা ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, পুলিস দেখবে।' তৃণমূল এই ঘটনা সমর্থন করে না বলে জানান দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। প্রবল সমালোচনায় সরব বিরোধী শিবির।