হকের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত সারা বাংলা। এই রাজ্যে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মেলে না নিয়োগ। প্রাপ্য মহার্ঘভাতা আদায় করতে রাজপথে দিন কাটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এবার সেই বেতন-সহ একাধিক দাবিতে সোচ্চার প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মীরাও। নিজেদের পাওনা বুঝে নিতে সোমবার হাজরা মোড়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ প্রতিবাদ প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মী ইউনিয়নের। মূলত বঞ্চিত কর্মীদের দাবি তারা একাধিক মারণ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে। প্রাণী সম্পদের সুরক্ষার দায়ভার তাদের উপরেই। তবুও তাদের মাসিক বেতন মাত্র ৫ হাজার টাকা। যে টাকায় জীবন অতিবাহিত করা অসম্ভব। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের কাতর আর্জি অবিলম্বে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মীদের। পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের মতোই মৃত্যুর পর প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মীর পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।
প্রাণীসেবীরা বলছেন, বঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে আশাকর্মীদেরও ভাতা বৃদ্ধি পায়। শুধু গ্রামবাংলায় গবাদি পশুদের সেবা শুশ্রষার দায়িত্ব যারা দিনের পর দিন পালন করছেন তারাই আজ সরকারের কাছে ব্রাত্য। মাননীয়ার কাছে এই বৈষম্য দূর করতে এবার ডেপুটেশন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রাণীসেবীদের।
প্রতিবাদ করতেই পুলিসি বাধার সম্মুখীন প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মীরা। কিন্তু নিজেদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর দফতরের কর্মীরা। দাবি পূরণ না হলে প্রতিবাদ বিক্ষোভ থামবে না। হুঁশিয়ারি প্রাণীসম্পদ বিকাশ কর্মী ইউনিয়নের।
চাকরিপ্রার্থীদের কান্না আর হাহাকারের যেন কোনও শেষ নেই। প্রতিদিনই রাজপথে তাদের বিক্ষোভ জানান দেয় তাদের যন্ত্রণা। সরকার আমল দেয় না তাদের দাবির। চোখ বন্ধ করে থাকে। কেটে যায় বছরের পর বছর। মঙ্গলবারও কলকাতার রাজপথে দেখা গেল তারই প্রতিফলন। ২০২২ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের D.L.ED ঐক্যমঞ্চের তরফে হল APC ভবন অভিযান। লোকসভা নির্বাচনের আগে ৫০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। মেলেনি চাকরি। উল্টে প্রতিবারের মত দাবি জানাতে গেলে মিলেছে পুলিসের বাধা। করুণাময়ীর সামনে রীতিমতো শুরু হয় পুলিসের সঙ্গে ধাস্তাধস্তি। একপ্রকার টেনে হিঁচড়ে চাকরিপ্রার্থীদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যনে।
মঙ্গলবার সল্টলেকে বিক্ষোভের পর বুধবার চাকরিপ্রার্থীরা পৌঁছে যান কুনাল ঘোষের বাড়ি। তৃণমূল মুখপাত্র্রের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান তারা। তাদের দাবি আর প্রতিশ্রুতি নয়। অবিলম্বে ভোটের আগে নোটিস বের করতে হবে। চাকরিপ্রার্থীরা কুণাল ঘোষের পিএ-এর সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তিনি জানান বাড়িতে থাকলেও তাঁকে বিরক্ত করা যাবে না। চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন এই হতাশ পরিস্থিতিতে তারা যদি একটু কথা বলতে না পারেন তাহলে তার এই অবস্থায় তারা কার কাছে যাবেন। চাকরিপ্রার্থীদের কাছে গিয়ে ভোটের আগে চাকরি হওয়ার অনেক গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু কোথায় নিয়োগ ? যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি আর দেখা দিচ্ছেন না। তবে কি অন্তঃসারশূন্য প্রতিশ্রুতিই বাংলার চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ? যে প্রতিশ্রুতি রাখা যায় না তা কেন দেন কুণালবাবুরা ? জবাব চায় বাংলার চাকরিপ্রার্থীরা।
সন্দেশখালির পথে 'দাবাং মোডে' সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাট স্টেশন থেকে বাইকে করে এসপি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পুলিসি বাধা এড়াতে সুকান্তর এই ফন্দি। এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি সমর্থকরাও সন্দেশখালির পথে এগিয়ে যান।
হৃদয়পুর স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বসিরহাট যান সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের অসুবিধের কথা ভেবে লোকাল ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গাড়ি করে যেতে গেলে পুলিসের বাধা আসতো। এরফলে যানজট তৈরি হত। যদিও বসিরহাট এসপি অফিস চত্বরে মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী।
সন্দেশখালিতে যে নৈরাজকতার শাসন এতদিন ধরে চলছিল, তার তীব্র ধিক্কার জানান সুকান্ত মজুমদার। নারীদের অসম্মান। নারীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ ও বেআইনি জমি দখলের প্রতিবাদ জানাতে বিজেপির আজ, মঙ্গলবার এই অভিযান বলে জানান তিনি।
বকেয়া ডিএ, স্বচ্ছ নিয়োগ, অস্থায়ীপদের স্থায়ীকরণ সহ একাধিক দাবিতে অব্যাহত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন। আন্দোলনের ৩৮২ তম দিনেও মেলেনি কোনও রফাসূত্র। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি সরকার পক্ষের কেউই। বরং রাজ্যবাজেটে মুখ্যমন্ত্রীর এই ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুুঁসছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। পাশাপাশি জীবন বাজি রেখে চলছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের লাগাতার অনশনও। অনশনের ২৪ তম দিনে সোমবার আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনরত এক কর্মচারী। তবুও তাদের মরণপণ। এই লড়াইয়ের শেষ দেখেই ছাড়বে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্যসরকার অমানবিক কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনশনরত সরকারি কর্মচারীরাও।
প্রাথমিকে ৯ হাজার নিয়োগ স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যা এই আন্দোলনের আংশিক জয়।ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাজের সুযোগ করে দেওয়া মধ্য দিয়ে বাংলার সর্বত্র শূন্য পদে স্থায়ী নিয়োগ চাই আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের। সেটাই হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সার্বিক জয়। স্পষ্ট দাবি রাজ্যসরকারি কর্মচারীদের।
যেখানে ৩৬ শতাংশ ডিএ বাকি, সেখানে সামান্য ৪ শতাংশ ডিএ প্রদান করছেন মাননীয়া। এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাদের দাবি মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির স্থায়ী অর্ডার চাই। কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধির সঙ্গে সমানভাবে রাজ্যের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকারের হুঁশ ফেরাতে আগামী মাসে একাধিক কর্মসূচিরও ডাক মঞ্চের।
অশান্তি.. অশান্তি...আর অশান্তি। শিরোনামে ফের শেখ শাহজাহানের গড় সন্দেশখালি। লাঠি থেকে ঝাঁটা, ফের বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও জনতার মারমুখী রূপ দেখল সন্দেশখালি। কিন্তু কেন এমন রণক্ষেত্রের রূপ নিল সন্দেশখালি? লাঠি হাতে মহিলাদের মিছিলে বাধা পুলিসের। যার জেরে পুলিসের সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় মহিলাদের। কার্যত পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। এদিন গ্রামের মহিলারা বিক্ষোভ দেখান সন্দেশখালি থানার পার্শ্ববর্তী ত্রিমণী এলাকায়। শেখ শাহজাহানের দুই অনুগামী শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে পথে নামেন তাঁরা। যতক্ষণ না গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে বলা জানান বিক্ষোভকারী আদিবাসী মহিলারা।
সন্দেশখালিতে গত কয়েকদিন ধরে শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছে আদিবাসী ও জমি বাঁচাও কমিটি। এমনকী চাষের জমি দখল করে সেখানে নোনা জল ঢুকিয়ে মাঠের ভেরি বানানোরও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। আর জমি দিতে না চাইলে, খুন করে দেওয়ার হুমকিও দিত শিবু হাজরা। গত কয়েকদিন ধরে এসব অভিযোগ জানিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
৩৬৫ তম দিনে পড়ল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নাছোড় আন্দোলন। এছাড়াও হকের মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে এই আন্দোলনে টানা ১৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন ৪ আন্দোলনকারী। সুরাহা না মেলায় ২৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। টানা ১৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন ৪ আন্দোলনকারী। আর এদের মধ্যেই একজন অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হকের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন পড়ল ৩৬৫ তম দিনে। অর্থাৎ একদিকে যেমন তাঁদের ধরনার ১ বছর অতিক্রান্ত। অন্যদিকে টানা ১৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন ৪ আন্দোলনকারী। ক্রমশই ৪ অনশনকারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মী অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য (৬৪) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁর শরীরে কিটোন বডি পজিটিভ আসে।শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শহীদ মিনারের পাদদেশে, বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতাসহ স্বচ্ছ নিয়োগ এবং অস্থায়ীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের লাগাতার ধরনা, অবস্থান বিক্ষোভ, আন্দোলনেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। বরং উল্টো চিত্রই দেখা গিয়েছে। বহুবার রাজ্য সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে এই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এদিন শহীদ মিনারের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধরনা মঞ্চের পাশেই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সদস্যরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস। পাশাপাশি সংঘবদ্ধ হয়ে সংকল্প করলেন, সার্বিক উন্নতি এবং উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পশ্চিমবঙ্গকে, ফের সামনে সারিতে আনার।
এদিন এ প্রসঙ্গে যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি জানালেন, 'ভারতের ইতিহাসে এরকম স্বৈরাচারী কোরাপ্টেড সরকার ভারতবর্ষ এর আগে দেখেনি।' তবে পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে সরকারি ক্ষেত্রে লাগাতার ধর্মঘটের পাশাপাশি সুরাহা না মিললে আগামী লোকসভা ভোট বয়কটের ডাকও দেবেন প্রয়োজনে।
হকের দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘ ১ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের এ বিষয়ে কেন টনক নড়ছে না? এ প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। যৌথ মঞ্চের ধরনা মঞ্চের পাশেই রেড রোডে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। তারপরেও প্রশাসনের চোখে এ দৃশ্য পড়ছে না কেন? আর কত আন্দোলনের পরে সুরাহা মিলবে? এসব প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
নিয়োগ চাই মাননীয়া। চাই বঞ্চনার অবসান। এই দাবি যেন আজ শহরের খুব পরিচিত আন্দোলনের ভাষা। প্রায় রোজই প্রাপ্য চাকরি আদায়ের দাবিতে গর্জে উঠছে চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু মিলছে না কোনও সুরাহা। চোখ বুজিয়ে সিংহাসন আগলে বসে সরকার। আর জীবন বাজি রেখে রাজপথে দিন গুজরান হবু শিক্ষক-শিক্ষিকার। সরকারের হুঁশ ফেরাতে তাই বাধ্য হয়ে কয়েক মাস আগেই মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ২০১৬ এসএলএসটি উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। আবারও যেন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখল বাংলা। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের ৫০০ তম দিনে মুখে কালি মেখে প্রতিবাদ ২০১৪ প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু বাস্তবে এই কালি কি সত্যিই তাদের প্রাপ্য? নাকি আজ এই কালি দুর্নীতির প্রতীক,সরকারের অক্ষমতার প্রতি যে কালি জানায় ধিক্কার?
তবে যে রাজ্যের সরকার দাবি করে, এগিয়ে বাংলা সেই রাজ্যে নিয়োগের দাবিতে রাজপথে প্রতিবাদ জানাতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। আর অন্যদিকে নিয়োগ দিয়ে জনগণের মুখে হাসি ফোটায় বিহার। 'এগিয়ে থাকা বাংলা' কেন পিছিয়ে বিহারের থেকেও? জবাব চান চাকরিপ্রার্থীরা।
কারোর সংসারে একমাত্র আশার আলো ছেলে, আজ চাকরির দাবিতে পড়ে রয়েছে রাজপথে। কারোর আবার ছোট্ট ছেলেটাকে বাড়িতে রেখে দিনের পর দিন পথেই কাটাতে হচ্ছে দিন। নিয়োগযন্ত্রনার কাছে আজ যেন সব কিছুই ফিকে। তাই নিয়োগের জন্য লড়াইতে সামিল হয়েছেন অভিভাবকরাও। সন্তান কোলে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন এক চাকরিপ্রার্থী মাও।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটবাক্স ভরাতে আবারও সরকারের তরফে মিলবে ভুরি প্রতিশ্রুতি আর কিছু গালভরা আশ্বাস। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা সেসবে ভুলতে নারাজ। তাদের সাফ জবাব আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি নয়, চাই নিয়োগ। নিজেদের গায়ে চাবুক মেরে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের।
নবান্নের (Nabanna) সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) ধরনায় বসতে অনুমতি দেয়নি রাজ্য পুলিস। তবে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে শর্তসাপেক্ষে ধরনায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে শুক্রবার সকাল থেকেই নবান্ন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ধরনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল ২২-২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরনায় বসতে পারবেন তাঁরা। কিন্তু এদিন সেই সময়সীমা কমিয়ে দিয়ে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেল পর্যন্তই ধরনা করতে পারবেন তাঁরা। ফলে তাঁরা নবান্নের সামনে ধরনায় বসতে পারছেন বলে এটিকে আন্দোলনকারীরা 'নৈতিক জয়' বলেই উল্লেখ করেছেন।
জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে। এর পরই শুক্রবার বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে ৪৮ ঘণ্টা ধরনা কর্মসূচি করা যাবে। শনিবার বিকেলে উঠে যেতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরও কার্যত উৎসবের আমেজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধরনা মঞ্চে।
এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, 'মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে ডিএ ঘোষণা করেছেন। তারমধ্যেই গতকাল রাত থেকেই ধরনা বা আন্দোলনকারীরা এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন। তাতে ওনারা খুশি নন মনে হয়। আমরা এই নির্দেশের পরিবর্তন বা স্থগিতাদেশ চাইছি।' এরপরই বিচারপতির মন্তব্য, 'আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি ২২ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধরনার অনুমোদন রয়েছে। আজ অফিস দিন। রবিবার গুরুত্বপূর্ণ দিন। গতকাল রাত থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে। তবে শনিবার রাতে বিক্ষোভ শেষ করো। বিকাল চারটার মধ্যে বিক্ষোভ শেষ করতে হবে।'
অবশেষে নবান্নের (Nabanna) সামনে ধরনায় বসতে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court), তবে রয়েছে কিছু শর্ত। নবান্নের সামনে ধরনায় বসতে চায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Agitation)। এবারে বৃহস্পতিবার সেই আবেদনেই অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর ধরনায় বসার অনুমতি পেয়েছেন তাঁরা। তবে বিচারপতির তরফে কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এদিন শর্তসাপেক্ষে নবান্নের বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ডিএ-র দাবিতে ধর্মতলার শহীদ মিনারের সামনে দীর্ঘদিন ধরে ধরনা চালাচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এবার নবান্নের সামনে বাসস্ট্যান্ডে ধরনায় বসতে চান তাঁরা। এই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিস। এরপরই হাইকোর্টে যায় তাঁরা। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হয়। আর তখনই তিনি এই কর্মসূচিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেন। আদালতের শর্ত, ট্রাফিক সচল রাখতে হবে, পুলিসকে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে হবে। ট্রাফিক-এর সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিন দিন ধরে অবস্থান করবেন তারা। শব্দদূষণ যাতে না হয় সেদিকেও দেখতে হবে।
এদিন পুলিসের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, নবান্ন বাসস্ট্যান্ড অত্যাধিক স্পর্শকাতর এলাকা। ওখানে প্রচুর ব্যস্ত রাস্তা। শিবপুর পুলিস স্টেশনের মধ্যে পড়ে। একাধিক মানুষ ওখান দিয়ে যাতায়াত করেন। আর ওটা স্ট্যান্ড না ওটা বাস টার্মিনাস। ৪০০ জন ব্যক্তি ওখানে থাকবে। কীভাবে আমরা সামলাবো?'
আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর বলেন, 'আলাদা দিনের ব্যবস্থা করে দিন। ছুটির দিন লোক কম বেরোয়। পুলিস ব্যাবস্থা নিক। ১ লাখ স্কোয়ারফুট জায়গা আর আবেদনকারীরা তো মাত্র ২০০০০ স্কোয়ারফুট চাইছে। তবে বাস টার্মিনাস যেন বন্ধ না হয়। ট্রাফিক সচল থাকতে হবে। বিক্ষোভকারীদের সেদিকে নজর রাখতে হবে।'
দু'পক্ষের সওয়াল জবারের পর অবশেষে ধরনায় অনুমতি দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা অর্থাৎ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, রাজ্য সরকারের লজ্জা নেই, তাঁদের আওয়াজ এবার সরাসরি নবান্নের ১৪ তলায় পৌঁছতে চান তাঁরা। তবে এরপরেও যদি সুরাহার পথ না বেরোয় তাঁদের আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে বলেই জানান আন্দোলনকারীরা।
পুজো আসে, পুজো যায়। কিন্তু অধরাই থাকে নিয়োগ। ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seekers) পরীক্ষার পর কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। কিন্তু তার পরেও হয়নি নিয়োগ। ফলে নিয়োগের দাবিতে বুধবার থেকে রাতভর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। পুজোর আগে দাবি পূরণ না হলে পুজো মণ্ডপগুলিতে গিয়ে সরব হবেন নিয়োগের দাবিতে, হুঁশিয়ারি চাকরিপ্রার্থীদের।
সময়কাল ২০০৯ থেকে ২০২৩। দীর্ঘ ১৪ বছর তাঁদের মেলেনি নিয়োগ। চরম বঞ্চনা নিয়েই দিন গুজরান ২০০৯ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের। কখনও বাণিজ্যিক সম্মেলনে বিদেশে পাড়ি, আবার কখনও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজ্য সরকার পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চনা নিয়ে ভাবার ফুরসত হয়নি তাঁদের। ফলে বাধ্য হয়েই নিয়োগের দাবিতে বুধবার থেকে রাতভোর গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলছে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। পরিস্থিতি খতিয়ে বুধবার রাতেই বিক্ষোভ স্থল ঘুরে দেখলেন ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের মামলা করার কোনও ইচ্ছা নেই। তাঁরা শুধু যোগ্যতার মূল্য ফিরে পেতে চান। বিক্রি হয়ে যাওয়া চাকরি ফিরে পেতে চান তাঁরা পুজোর আগেই। দাবি পূরণ না হলে অব্যাহত থাকবে আন্দোলন। আগামী দিনে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতিকেও জমা দেবেন ডেপুটেশন। আপাতত ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায় মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে কোন বার্তা নিয়ে আসে সেদিকেই তাকিয়ে ২০০৯ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা।
কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবিতে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মিনিট ২০ বৈঠক হয় দু পক্ষের মধ্যে। তাতে তৃণমূলের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া টাকা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তাঁদের কথা দিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও, রাজভবন যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে অবশ্য ২৪ ঘণ্টার কথা উল্লেখ করা হয়নি। রাজ্যপাল বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজভবন বিবৃতি দিয়েছে। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তিনি ধৈর্য ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের বক্তব্য শুনেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। এবং বাংলার মানুষের হিতার্থে যা করণীয়, তা করবেন।
রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে উদ্ভূত সমস্যা এবং তাঁদের দাবি বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক ভাল হয়েছে, জানালেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি তৃণমূলের ৩০ জনের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে বলেন, ‘‘আমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। চিঠিগুলো দিয়ে এসেছি। বৈঠক ভাল হয়েছে।’’
দুর্ঘটনা! প্রতিনিয়ত বাড়ছে আশঙ্কা। প্রত্যেকদিন পথ দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে শিলিগুড়ির (Siliguri) ভিআইপি রোডের নিত্যযাত্রীদের। রাস্তার পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে। তার উপর টানা বৃষ্টির জেরে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে রাস্তায়। ডোবা বললেও ভুল হবে না। বছর ঘুরলেও সংস্কারের ছোয়া লাগেনি শিলিগুড়ির এই ব্যস্ততম রাস্তায়। দীর্ঘ টালবাহানা, দীর্ঘ প্রতিশ্রুতি। কাজ শুরু হলেও মাঝপথেই থমকে গিয়েছে কাজ। আর তার প্রতিবাদে শুক্রবার রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয়রা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিত্য যাতায়াত এই রাস্তা দিয়ে। অথচ বারবার কীভাবে রাস্তার এই বেহাল দশা নজর এড়িয়ে চলেছেন তাঁরা? রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হলেও তা বিঁশ বাও জলে। মাঝপথেই থমকে যায় রাস্তা সংস্কারের কাজ। কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে একাধিক। অভিযোগ তুলছেন খোদ স্থানীয়রাই। এই দুরাবস্থা রাস্তার জেরে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু দেখেছে শিলিগুড়িবাসী। কিন্তু তারপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের? আর কত মৃত্যু দেখলে রাস্তা মেরামতিতে উদ্যোগী হবে প্রশাসন?
কেবল শাসকদলের আশ্বাস আর আশ্বাস। পুজোর আগেই রাস্তা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হবে। এখন কেবল অপেক্ষার কতটা কাজ হয়।
এক আদিবাসী তরুনীকে শারীরিক নির্যাতনের (Physical Abuse) ঘটনায়, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation)। বিক্ষোভে সামিল আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) খাতরা থানার অন্তর্গত সুপুর মোড়ে। রবিবার সকাল থেকে এই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভের জেরে স্তব্ধ রয়েছে যান চলাচল। খবর পেয়ে খাতড়া থানার পুলিস (Police) অবরোধস্থলে পৌঁছালেও অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরানো যায়নি। অবরোধকারীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই অবরোধ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার বিকেলে বাঁকুড়ার খাতড়া থানা এলাকার এক আদিবাসী তরুনী মাঠে গরু চরাতে যান। অভিযোগ, সেই সময়ই এক যুবক আচমকাই সেখানে হাজির হয়। তারপরেই তাঁকে জোরপূর্বকভাবে ওই আদিবাসী তরুনীকে শারিরীক ভাবে হেনস্থা ও নির্যাতন করে। তবে বেশ কিছুক্ষণের প্রচেষ্টায় ওই তরুণী কোনওরকমে পালিয়ে যান। তারপরেই তিনি থানায় গিয়ে এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, অভিযোগ করার পরেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। তাই অবিলম্বে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল রবিবার সকাল থেকে পথে নেমেছেন।
নির্মীয়মান মহাসড়ক (Highway) যেন মৃত্যু ফাঁদ। ঠিক এমনই অবস্থা ফালাকাটা থেকে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সলসলা বাড়ি পর্যন্ত নির্মীয়মান মহাসড়কের। সড়কের কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। পাশাপাশি নদীর উপরে তৈরি করা ডাইভার্সন বহু আগেই চলে গেছে নদী গর্ভে। তার ওপর দিয়েই কোনওক্রমে চলছে যাতায়াত। তবে সবকিছু ঠিকঠাক করতে শুরু হয়েছিল রাস্তার কাজ। কিন্তু কয়েকমাস হল নির্মাণকারী সংস্থা মহাসড়ক নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ রেখেই পাততাড়ি গুটিয়েছে। তাই রবিবার জাতীয় মহাসড়ক উন্নত করার দাবিতে ফালাকাটা সংলগ্ন বালুরঘাট ডাইভার্সন এলাকায় গণসংগ্রাম কমিটির সদস্যরা বিক্ষোভে (Agitation) নেমেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এই রাস্তার উপর দিয়েই কোনোক্রমে চলছে যাতায়াত। তবে বর্ষাকালে যখন নদীতে জল বাড়ে তখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ারের মধ্যে। স্থানীয়দের দাবি, আলিপুরদুয়ার সলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত প্রায় ৪১ কিমি মহাসড়কের এমন বেহাল অবস্থা। খারাপ অবস্থার কথা প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরে শুরু হয়েছিল কাজ। কিন্তু কয়েকমাস ধরে অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই ওই রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
তীব্র গরমে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল সাধারণ মানুষ। তবে কিছুদিন ধরে স্বস্তির বৃষ্টি হলেও কমছে না অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। আর তার মধ্যে রাজ্যের জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা। এবার সেই বিদ্যুতের দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ (Agitation) করছেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) জেলার হবিবপুর ব্লকের নালাগোলা রাজ্য সড়কের ঘোড়াপাড়া ব্রিজ এলাকায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ (Eletricity Problem) চলে যায়। এমনকি একবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে প্রায় দুই তিন দিন কারেন্ট আসেনা এলাকায়। আর এর ফলে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে মালদহের তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে গিয়েই পানীয় জল নিয়ে আসতে হয়। তাছাড়া এই গরমে বিদ্যুৎ অতি প্রয়োজনীয়। কারেন্ট না থাকার ফলে ও তীব্র গরমের জেরে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গ্রামের বৃদ্ধরা। তাই সময় মতো বিদ্যুতের পরিষেবা পেতেই বিক্ষোভে নেমেছেন সাধারণ মানুষ, এমনটাই দাবি।
এই ঘটনায় এক বিক্ষোভকারী জানান, বেশ কয়েকবার এই সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে বিদ্যুৎ দফতরেও। তবে কোনোভাবেই কোনো সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।