ফের চিকিৎসকের গাফিলতির (Doctor's negligence) অভিযোগ। প্রসূতি বিভাগে এক মহিলার মৃত্যুতে (dead) উত্তেজনা ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে (Mainaguri Rural Hospital)। এই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, অল্প টাকার জন্য রোগীকে স্থানান্তরিত করতে বাঁধা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার জেরেই মূলত মারা যান ওই মহিলা। অবিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় বিক্ষোভ (agitation)। ঘটনায় শোকাহত পরিবার।
জানা গিয়েছে, গত ২ রা অক্টোবর প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন অঞ্জনা মণ্ডল সরকার নামে এক মহিলা। সেই রাতেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে অঞ্জনা দেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরিবারের লোকজনকে ডেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলেন। কিন্তু এদিকে রোগীর প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয়। পরিবারের লোক দ্রুত জলপাইগুড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা টাকা নেওয়ার জন্য আটকে রাখে রোগীকে, এমনই অভিযোগ পরিবারের। এই অবস্থায় বেশ অনেকক্ষণ হাসপাতালেই কেটে যায় তাঁদের। শেষমেশ অঞ্জনা দেবীকে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ির সদর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন অনেক দেরি করে নিয়ে যাোয়া হয়েছে তাঁকে। অবশেষে সেখানেই ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরই ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন মৃতার পরিবার। সোমবার সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই অল ইন্ডিয়া নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদের পক্ষ থেকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এবিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ড: লাকি দেওয়ান বলেন, "বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তদন্ত করে দেখা হবে।"
ফের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় (Durgapur Steel Factory) আন্দোলন। পুজোর আগেই বোনাসের (bonus) দাবিতে কারখানার সবকটি শ্রমিক সংগঠন একযোগে আন্দোলন শুরু করে। বুধবার কারখানার গেটের সামনে তুমুল বিক্ষোভে রাজনীতির রং ভুলে সবকটি সংগঠন বিক্ষোভে (agitation) সামিল।
যখন লোকসনে চলেছে সেল তখন অতিরিক্ত একটা টাকাও চায়নি শ্রমিকরা। আজ যখন সেল লাভে চলছে তখন আধিকারিকরা বোনাস পাচ্ছেন, অথচ ব্রাত্য শ্রমিকরা। ভিক্ষে নয়, সন্মানজনক বোনাস দিতে হবে, এই দাবিতে বুধবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার দুই নম্বর গেটের ভেতর তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেয় তৃণমূল, বামপন্থী, বিএমএস এইচএমএস সহ সবকটি শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। ছিল আইএনটিইউসি শ্রমিক সংগঠনও। যদি সংস্থার আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত না বদলায় তাহলে লক্ষী পুজোর পর আরও বড় আন্দোলন তাঁরা সংগঠিত করবেন।
এই আন্দোলনের জেরে শ্রমিক আধিকারিক দুই পক্ষই গেটের সামনে আটকে পড়েন। প্রায় ঘণ্টা খানেক চলে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যেমন ভেতরে ছিল সিআইএসএফ, ঠিক তেমনি কারখানার বাইরে ছিল পুলিস। কারখানার স্বার্থে শ্রমিক স্বার্থে ঘণ্টা খানেক পর বিক্ষোভ আন্দোলন শ্রমিক সংগঠনগুলি আজকের জন্য প্রত্যাহার করে নেয়।
সম্প্রতি অবরোধের ঘটনা যেন সব সময়ই ঘটে চলছে, এবার হুগলি। সোমবারের পর অফিস টাইমে ফের রেল অবরোধ খন্যান (Khanayan) স্টেশনে। গতকাল কথা দিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ (Administration), সঠিকভাবে এবং নির্দিষ্ট সময়েই মঙ্গলবার সকালে ট্রেন চলবে। কিন্তু তা হয়নি, তাই অফিস টাইমের ব্যস্ত সময়ে ফের রেল অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা।
সময়মতো ট্রেন না চলায় এদিনও হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন শাখার খন্যান স্টেশনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা, ফলে ব্যাহত হল ট্রেন চলাচল। এদিকে রেল কর্তৃপক্ষের মতে, হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের রসুলপুর ও শক্তিগড়ের মধ্যে তৃতীয় লাইন সংযুক্তিকরণের জন্য গত কয়েক মাস ধরেই পূর্ব রেল ধারাবাহিকভাবে ব্লক নিচ্ছে।
গত ৩ তারিখ থেকে আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ব্লকের ফলে হাওড়া-বর্ধমান মেন ও কর্ড লাইন শাখার একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এবং মেমারি ও মশাগ্রাম স্টেশনে বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বিভিন্ন রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। ৪ ঘন্টা পরে স্বভাবিক হল হাওড়া-বর্ধমান লাইনে ট্রেন চলাচল।
তৃণমূল কর্মীর গাড়ির সঙ্গে অটোর সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা সোদপুর (Sodpur) উত্তরায়ণ মোড়ে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় খড়দহ থানার পুলিস (police)। পুলিস আসলে পুলিসের সঙ্গেও বচসা বাধে অটোচালকদের (auto driver)।
জানা যায়, প্রায় নিত্যদিনই এখানকার অটোর উপর দুষ্কৃতী হামলা চলে। তবে কে বা কারা, অজানা অটো চালকদের। এরপর ফের তৃণমূল কর্মীর চারচাকা গাড়ির সঙ্গে একটি অটোর সংঘর্ষ হওয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে ওই এলাকা। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত (injured) হয়েছেন অটোচালক খোকা সাহা। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (hospital) ভর্তি করা হয়। অটো চালকদের অভিযোগ, শনিবার ওই কর্মী মদ্যপ অবস্থাতেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এরপরই এই ঘটনা। ঘটনার পর থেকেই গাড়ি চালক তৃণমূল কর্মী বোচা সরকার পলাতক। রবিবার ওই গাড়ি চালক বোচা সরকারকে গ্রেফতারের (arrest) দাবিতে অটো চালকেরা অটো বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খড়দহ থানার বিশাল পুলিসবাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। পুলিস আসলে পুলিসের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন অটোচালকেরা।
তৃণমূল কর্মী ওই গাড়ি চালককে গ্রেফতার না করলে অটো পরিষেবা বন্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয় অটো ইউনিয়নের নেতারা।
পোলবার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের দোগাছিয়া গ্রামের হেমন্ত পাত্র গ্রামেই ফুচকা বিক্রি করেন গত ৯ আগস্ট। সেদিন তাঁর কাছে ফুচকা খেয়েছিল দোগাছিয়া, বাহির রানাগাছা, মাকালতলার প্রায় শ দেড়েক লোক। কিন্তু কমবেশি সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। চুঁচুড়া, চন্দননগর ও পোলবা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় এদের। গ্রামে যায় পোলবা হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। অভিযুক্ত ফুচকা বিক্রেতার বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ তুলে আজ হেমন্তর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘরের জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলা হয়। সিভিক ভলান্টিয়াররা আটকাতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ফুচকা বিক্রেতাও পোলবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর দাবি, ফুচকার জলটা কেমন লাগছে একজন বলেছিল। তাই তিনিও দুটি ফুচকা খেয়েছিলেন। তাতে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও বিজেপি এই ঘটনার মধ্যে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ অভিযোগ করেন, ফুচকা বিক্রেতা তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় তাকে বাঁচাতে আসরে নেমেছে দল। উল্টে তাকেই হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়, একথা বলার পরেও ভাঙচুর প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এটা পুরোপুরি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
বিক্ষোভকারীরাও তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁদেরও বক্তব্য, ফুচকা বিক্রেতাকে বাঁচাতেই হাসপাতালের বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ফুচকায় কেমিক্যাল মেশানো হয়েছিল। তার জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি।
শুক্রবার রাতে তুফানগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত শালবাড়ি দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস (Panchayet Office) খোলা ছিল রাতেও। রাতে পঞ্চায়েত অফিস খোলা কেন? তা নিয়ে যথারীতি রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো বিরোধীরা তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ (Agitation) দেখালেন।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় গতকাল গভীর রাতে শালবাড়ি থেকে তিনজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে আনে বক্সিরহাট থানার পুলিস। এর বিরুদ্ধে বক্সিরহাট থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের বিজেপির সমস্ত বিধায়ক (BJP MLA)।বিধায়কদের দাবি, গতকাল যে সমস্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা কোনও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেনি। মিথ্যা অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বক্সিরহাট থানার ওসি তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে তৃণমূলেরই অঙ্গুলি হেলনে এই সমস্ত কাজ করছেন।
অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, সরকারি কর্মীদের কাজ করা নিয়ে বিজেপির চার বিধায়ক যা করলেন, তাতে তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সরকারের জনহিতকর প্রকল্পের সংখ্যা বেড়েছে। তাই সরকারি অফিসে কাজও বেড়েছে। সেইসব কাজ অনেক সময় ৮ ঘণ্টা ডিউটি আওয়ার্স-এর মধ্যে করা সম্ভব নয়। তাই কর্মীরা বেশি সময় কাজ করছেন। কিন্তু বিজেপি অযথা বিক্ষোভ দেখিয়ে সব পণ্ড করে দিচ্ছে।
কয়েকদিন আগে মাথাভাঙায় খাদ্য দফতরের অফিসে রাতে কাজ হওয়ায় গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষজন। অভিযোগ, দুর্নীতির নথিপত্র সরাতেই রাত জেগে কাজ হচ্ছিল অফিসে।
এবার একই ঘটনা ঘটল পঞ্চায়েত অফিসে (Panchayet Office)। এবার ঘটনাস্থল কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের আমবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত পরিদর্শন করছে কেন্দ্রীয় বিশেষ প্রতিনিধিদল (Central Team)। এরই মাঝে বুধবার অনেক রাত পর্যন্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে চলছিল কাজকর্ম। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে কর্মীদের রেখে বাইরে থেকে তালা মেরে বিক্ষোভে (Agitation) শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতে যেভাবে দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে, তাই বিভিন্ন নথিপত্র ও কাগজপত্র রাতে কাজ করে এদিক ওদিক করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সারাদিন থাকতে কেন এত রাতে পঞ্চায়েত অফিসে কাজ হবে? প্রশ্ন তুলে এলাকার মানুষ এদিন অফিসে কর্মীদের তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান। এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত আধিকারিক কোনও সঠিক উত্তর না দেওয়ার কারণে বিক্ষোভ চলতে থাকে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিস। স্থানীয়দের বুঝিয়ে পরে পুলিস কোনওভাবে অফিসের তালা খুলে পঞ্চায়েত অফিসের কর্মীদের সেখান থেকে বের করে বাড়ির উদেশে পাঠিয়ে দেয়। পরে পুলিস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
তবে এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের নির্মাণ সহায়িকা মল্লিকা বসু বলেন, রাজ্য জুড়ে ২০১১ ও ১২ সালের কাজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমার এক বছরের বেশি হয়েছে এখানে আসা। তাই সব কাগজ গুছিয়ে রাখতে হচ্ছে।