বর্ধমান স্টেশনে ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরও একজনের। মৃত ব্য়ক্তির নাম সুধীর সূত্রধর। বাড়ি মেমারীর কলেজ পাড়া এলাকায়। ঘটনায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর থেকে বর্ধমান মেডিক্য়াল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুধীর সূত্রধর। শনিবার হাসপাতালেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। যদিও এখনও পর্যন্ত বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেশ কয়েকজন আহত।
চলতি সপ্তাহে বুধবার বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনার দিনেই মৃত্য়ু হয় ৩ জনের। ঘটনায় আহতের সংখ্যা জানা গিয়েছিল ৩৯ জন। এর আগেও এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। এবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল ৪ জনের।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি রাজ্যের তরফে বৃহস্পতিবার মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে তুলে দেন।
ফুটবল খেলতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঘটল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল দুই জনের এবং আহত এক। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুরের ডাঙ্গরপাড়া এলাকায়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত একজন বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম শুভজিৎ বাগদি (২৫) ও তারাপদ বাগদি (২৬)। তাঁদের দুজনের বাড়ি সোনামুখীর পাঁচাল এলাকার আড়লকোনা গ্রামে। জখম ওই যুবকের নাম মিলন বাগদি। বাড়ি বিষ্ণুপুরের কাঁকিলা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে পাত্রসায়ের হাসিপুকুরে একটি ফুটবলের সেমি ফাইনাল খেলা ছিল। খেলা শেষ হবার পর শুভদীপ বাগদি, তারাপদ বাগদি ও মিলন বাগদি এই তিনজন একটি মোটর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এরপর রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ পাত্রসায়ের বিষ্ণুপুরের রাস্তায় ডাঙ্গরপাড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায়। রাস্তায় ছিটকে পড়ে বাইকে থাকা ওই তিনজনেই।
এরপর তাঁদের তিনজনকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শুভদীপ বাগদি ও তারাপদ বাগদিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক দম্পতির। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক লরি সহ চালক। রবিবার রাতে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহ থানার ডিসকো মোড় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই দম্পতির নাম বাবলি ঠাকুর শীল (৩৫) এবং স্বামী শুভাস শীল (৪১)। বাড়ি হবিবপুর থানার আইহো নমটোলা এলাকায়। তাঁদের একটি ছেলে ও একটি মেয়েও রয়েছে।
নিহতের পরিবার জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতে স্বামী ও স্ত্রী দুজন মিলে মোটরবাইকে করে বুনিয়াদপুরে গিয়েছিলেন বিয়ে বাড়িতে। সেখান থেকে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ির ফেরার পথে পুরাতন মালদহ থানার ডিসকোমোড় এলাকায় পিছন দিক থেকে একটি লরি তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই।
এরপর তড়িঘড়ি ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারে। ইতিমধ্য়ে পুলিস ঘাতক লরি ও চালকের খোঁজ শুরু করে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
সাতসকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। স্করপিওর সঙ্গে ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্য়ু হল তিনজনের। গুরুতর আহত আরও ছয় জন। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
প্রত্য়ক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরবেলাতে স্করপিও করে আটজন মহিলা কাঁচরাপাড়া থেকে ঘোলা মুড়াগাছা ফিরছিলেন। সেই সময় কল্যাণী হাইওয়েতে স্করপিওর সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি ডাম্পারের। ডাম্পারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় গাড়ির চালক সহ গাড়িতে থাকা দুজন মহিলার। আর গুরুতর আহত হন বাকি ছয়জন মহিলা।
এরপর স্থানীয়রা গিয়ে ওই বাকি ছজন মহিলাকে উদ্ধার করে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য় পাঠায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রহড়া থানার পুলিস। দুর্ঘটনার জেরে কিছু সময়ের জন্য় যান চলাচল বন্ধ থাকলেও ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পরে সব স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।
শ্মশান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ট্রাক্টরের সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিন জনের। ঘটনায় আহত আরও ২২ জন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মূর্শিদাবাদের বারালা গ্রামের কাছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম বিকি মাল, রাজা মাল ও লক্ষ্মণ মাল। এরপর আহতদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে বহরমপুর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার বীরভূমের নলহাটি থানার পাইকপাড়া গ্রামের এক বৃদ্ধ মারা যান। তাঁর শবদেহ সৎকার করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর শ্মশানঘাটে। সেখানে শবদেহ দাহ করে একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে ওমরপুর-মুরারই রাস্তা ধরে বাড়ি ফিরছিলেন শ্মশানযাত্রীরা। সেই সময় সামনের দিক থেকে আসা একটি পাথর বোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজন পিকআপ ভ্যান যাত্রীর।
দুর্ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জঙ্গীপুর থানার পুলিস। এরপর পুলিস দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িদুটিকে আটক করে এবং গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কুয়াশার জেরে ঘটে গেল পথ দুর্ঘটনা। ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়িটি। শনিবার রাতে ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি চা বাগানের কাছে ৩১ নং জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বাইক আরোহীর নাম প্রতীক লোহার (২৫)। বাড়ি উত্তর ধুপঝোরার চড়ক মাঠে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মেটেলি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় জলপাইগুড়ি পাঠায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে কুয়াশা ভেজা রাতে বাড়ির ফিরছিলেন ওই বাইক আরোহী। সেই সময় পথে একটি ছোট গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় প্রতীক লোহারের মোটর বাইকের। গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়ে ওই বাইক আরোহী। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
এরপর খবর দেওয়া হয় মেটেলি থানার পুলিসকে। ইতিমধ্য়ে দুর্ঘটনার পর ঘাতক গাড়িটি পালিয়ে যায়। সেই গাড়িটির খোজে তল্লাশি শুরু করেছে মেটেলি থানার পুলিস।
সাতসকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গর্তে পড়ে গেল যাত্রীবাহী এক চারচাকা গাড়ি। ঘটনায় মৃত্য়ু এক যাত্রী এবং আহত আরও চারজন। বুধবার সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাগরদীঘি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় নিয়ে যায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মদন দাস।
জানা গিয়েছে, এদিন বর্ধমান থেকে কাজ সেরে চারচাকা গাড়িতে করে ড্রাইভার সহ পাঁচ জন সাগরদীঘির বালিয়ার রামনগর এলাকায় ফিরছিলেন। সেই সময় কালিয়াডাঙ্গা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই চারচাকা গাড়িটি রাস্তার পাশের গর্তে পড়ে যায়। আর তাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় মদন দাস নামের ওই যাত্রীর। গাড়িতে থাকা প্রত্য়েকেই গুরুতর জখম হয়। এরপর স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং খবর দেয় সাগরদীঘি থানার পুলিসকে।
পুলিসের অনুমান, ওই চারচাকা গাড়ির চালক ঘুমিয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে কি কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখছে সাগরদীঘি থানার পুলিস।
ফের বেপরোয়া গতির বলিতে প্রাণ গেল এক স্কুল ছাত্রের। সবজি বোঝাই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ওই ছাত্রের। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কুলতুলি ব্লকের কুন্দখালি গোদাবর অঞ্চলের কীর্তনখোলায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের সামনে। ইতিমধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত গাড়িচালক ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ঘাতক গাড়িটিকেও। জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রের নাম ফিরদৌস শেখ (৯)। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার পর থেকে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কুলতলি থানার পুলিস।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিরহাট থেকে সবজি নিয়ে গাড়িটি শিয়ালদহ মার্কেটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। সেই সময় দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই ছাত্রটিকে ধাক্কা মারে। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।
তারপরেই উত্তেজিত জনতা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কুলতলি থানার আইসি। তিনি স্কুল চলাকালীন সময়ে দুই জন সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়েনের আশ্বাস দেন।
দুর্ঘটনার কবলে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, রবিবার মাঝ রাতে মুর্শিদাবাদের কাছে এক বালি বোঝাই লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ট্রেনের। এর জেরে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। ইঞ্জিনের চাকাও লাইনচ্যুত হয়। তবে, বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন ট্রেনটি। হতাহতের কোনও খবর নেই।
জানা গিয়েছে, আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ছেড়ে রাধিকাপুর যাচ্ছিল। রবিবার রাত তখন ১.৩০। মুর্শিদাবাদের কাছে হঠাৎ জোরে ব্রেক কষে থেমে যায় ট্রেনটি। তারপর বিকট আওয়াজও শোনা যায়। রেল সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বল্লালপুরের ব্রিজের নিচে রেললাইনে উপর একটি বালি বোঝায় লড়ি চলে আসে। তা দেখেই ট্রেনের চালক ব্রেক কষেন। কিন্তু, তারপরেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেনটিকে ধাক্কা মারে লরিটি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে রেল দফতরের একাধিক আধিকারিক। হঠাৎ ব্রেক কষার কারণে ট্রেনের ইঞ্জিনে যে আগুন লেগেছিল, তা নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী । ঘটনার জেরে লরিটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। রেললাইনেরও ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই লাইন দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
ফের জাতীয় সড়কে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক যুবকের। সেই সঙ্গে আহত আরও দুই যুবক। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম আদিল মমিন (১৮)। বাড়ি উত্তর দারিয়াপুর মোমিন পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কালিয়াচক থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠায়।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে জাতীয় সড়কের ওপর একটি বাস দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় পিছন দিক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে একটি আলু বোঝাই লরি এসে ধাক্কা মারে ওই বাসটিকে। বাসটিকে ধাক্কা মারার পর বাসের সঙ্গে লরিটিও পাশের গর্তে পড়ে যায়। আর সেই সময় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিল আদিল মমিন। তখনই লরির ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্য়ু হয় তাঁর।
এরপর স্থানীয়রা ছুটে এসে আহত ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে জখম ওই দুই যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক স্কুটি চালকের। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়ি সহ গাড়ি চালক। বৃহস্পতিবার সকালে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা সম্প্রীতি উড়ালপুলে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃত ব্য়ক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্য়ে ঘাতক গাড়ি ও গাড়ি চালকের খোঁজ তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে উড়ালপুলের উপরে বাটা মোড়ের দিক থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে পুরোনো ডাকঘরের কাছে ওই ব্য়ক্তির স্কুটির টায়ার ফেটে যায়। এরপর ওই স্কুটি চালক তাঁর স্কুটি টিকে নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতে থাকে। ঠিক সেই সময় কলকাতার দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি গাড়ি ধাক্কা মারে ওই স্কুটি চালককে। গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই স্কুটি চালক।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহেশতলা থানা ও ট্রাফিক গার্ডের পুলিস যায়। তারপর ওই স্কুটি চালকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। মোটরভ্য়ানের সঙ্গে ডাম্পারের সংঘর্ষে মৃত্যু হল চার জনের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের হুগলির গুড়াপ থানার কংসারিপুর মোড়ে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন জীবনদীপ বাউল দাস (২৬), মঙ্গলদীপ বাউল দাস (৩২), বিশ্বজিৎ রায় (৩৫) এবং দিবাকর সিং (২২)। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি হুগলির গুড়াপ থানার সিয়াপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই চারজন মিলে মোটরভ্য়ানে করে কাজে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় দ্রুতগামী একটি ডাম্পার সজোরে এসে ধাক্কা মারে তাঁদের ভ্য়ানটিকে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই চারজন। এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় ওই চারজনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস এসে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের জন্য় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিস মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
উত্তরবঙ্গে ফের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হাতির। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভিতর ওয়েস্ট রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে একই সঙ্গে মৃত্যু হল তিনটি হাতির। সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী একটি পার্সেল ট্রেনের সামনে আচমকা চলে আসে হাতির দলটি। রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি রেলস্টেশনের মাঝে প্রাণ গেল তাদের।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ির একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় শাবককে সঙ্গে নিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক ও একটি মাঝবয়সী হাতি রেললাইন পারাপার করছিল। মালগাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তিনটি হাতি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল এবং বনদফতর ও রেলের উচ্চ আধিকারিকরা। তিনটি হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ রেল চলাচল ব্যাহত হয়।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এভাবে ট্রেনের ধাক্কায় বারংবার হাতি মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তিত বনদফতর। রেলের তরফে নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগ করে হাতি মৃত্যু আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রেললাইনের পাশে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এটি মূলত এক ধরনের থার্মাল ডিভাইস। রেললাইনের কাছাকাছি কোনও হাতি এলে তার শরীরের তাপমাত্রা সেন্স করবে এই ডিভাইস। তখনই গাড়ির চালক সতর্ক হয়ে যাবেন। হাতি কাছাকাছি থাকলে ৩০ ফুটের মধ্যে এই ডিভাইস কাজ করে। এই ডিভাইসের জন্য নিকটবর্তী স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এক্ষেত্রে কেন মালগাড়ির চালক আগে থেকে বুঝতে পারলেন না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মালগাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাতসকালে গতির বলি এক বাইক আরোহী। অভিযোগ, মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনায় বাইক আরোহীকে প্রায় ১৫০ মিটার হিঁচড়ে নিয়ে গেল লরি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার মাজুরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম সঞ্জীব কর। বয়স আনুমানিক ৪৬ বছর।
মৃতের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুর থানার ফুলবনি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীব কর সোমবার ভোরে মোটরবাইকে করে ইসকন মন্দিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বিষ্ণুপুর যাচ্ছিলেন।বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাজুরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিষ্ণুপুর থেকে গরবেতার দিকে যাওয়া একটি চৌদ্দ চাকার লরি দ্রুত গতিতে এসে ধাক্কা মারে বাইকটিতে।বাইকে থাকা দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিটকে পড়ে ফুটপাতে এবং বাইক ও বাইক চালককে লরিটি সামনের চাকায় হিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রায় দেড়শ মিটার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঞ্জীবের। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। মৃত ব্যক্তিকে আনা হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য। ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে পুলিস।
রবিবার সাতসকালে ফের দুর্ঘটনা শহরে। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেট আবারও সাক্ষী হল পথ দুর্ঘটনার (Road Accident)। জানা গিয়েছে, সকাল ৬টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় বছর ১৯-এর এক যুবকের। গাড়ির চালক পালিয়ে গেলেও পরে ধরা পড়ে পুলিসের হাতে।
কলকাতায় দুর্ঘটনা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এবার ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটে একটি গাড়ি, বেপরোয়া গতিতে একটি স্কুটিতে এসে ধাক্কা মারে। স্কুটিতে ছিল ৩ জন বাইক আরোহী। যাদের কারোর মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় স্কুটি চালকের। ১৯ বছরের যুবক ফায়জান আনসারি প্রাণ হারায় দুর্ঘটনার জেরে।
সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফায়জানকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি দুজন, তাঁরাও গুরুতর আহত হয়েছেন। ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। হাসপাতালের মধ্যেই চোখে জল, হাহাকার পরিবারের সদস্যদের।