
সপ্তাহের শুরুতে সাতসকালে পথ দুর্ঘটনা। একটি চার চাকা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে উলটে গেল যাত্রীবোঝাই বাস। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ের দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাহত হয় যানচলাচল। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বাসে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, কেবি ১৬ রুটের একটি বাস গোদরেজ ওয়াটারসাইড থেকে করুণাময়ীর দিকে যাচ্ছিল। আর চার চাকা গাড়িটি নিউটনের দিক থেকে নিকো পার্কের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রীবোঝাই বাসটি সিগন্যাল ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় আরএস সফটওয়্যার বিল্ডিংয়ের দিক থেকে আসা চার চাকা গাড়িটি সজোরে বাসে ধাক্কা মারে। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই উলটে যায় বাসটি। এই ঘটনায় চার চাকা গাড়ির এয়ার ব্যাগ খুলে যাওয়ার কারণে রক্ষা পেয়েছে ওই গাড়িতে থাকা সকলে। এই ঘটনায় দু'জন বাইক চালকও আহত হয়েছেন।
ট্রেন বাতিল, বিমান বাতিল সত্ত্বেও বাধা মানতে নারাজ ছিল তৃণমূল। এবার নতুন বাধা দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর, ট্রেন বাতিল হলেও দলীয় কর্মীদের বাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল তৃণমূল। কথামত বাসে করেই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। সূত্রের খবর, দিল্লিগামী ৫০ টি বাসের মধ্যে একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে। সূত্রের আরও খবর, বৃষ্টি ও নিম্নচাপের দাপটে ঝাড়খণ্ডে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। ১১ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের কোডারমার কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। কোডারমায় একটা পাথরে ধাক্কা মারে বাসটি। সামনের ডাম্পার ভেঙে যায়। তাদের নিয়ে এই মুহূর্তে বাসটা পুরুলিয়া হাসপাতালে গিয়েছে। সেখানেই আহতদের চিকিৎসা চলছে বলেই সূত্রের খবর।
দার্জিলিংয়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ল টয় ট্রেন। ঘুম স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে নির্দিষ্ট সময়েই যাত্রা শুরু করে টয় ট্রেনটি। ঘুম স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। তারপরেই বিকট শব্দে থেমে যায় ট্রেনটি।
এর জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই রেলের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না রেল। এদিকে এই ঘটনার পর অনেক যাত্রীই আর টয় ট্রেনে চাপতে পারেননি।
পুরো ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন উত্তর পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য, যাত্রীদের কাছে বিকল্প ট্রেনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেই আবেদনে সাড়া দেননি। যাঁরা ট্রেনে চড়তে পারেননি তাঁদের পুরো টিকিট ফেরত দেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে মা উড়ালপুলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। রাত বারোটা নাগাদ পার্ক সাক্রাস থেকে চিংড়িঘাটার দিকে যাওয়া একটি গাড়ি সায়েন্স সিটির টার্নিং পয়েন্টে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে গাড়িটি পাশের লেনে গিয়ে পড়ে। ল্যাম্পপোস্ট রাস্তা থেকে উপড়ে যায়। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, চালকের দেহ স্টিয়ারিং ও সিটের মাঝে থেঁতলে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আগে আসেন। থানায় খবর দেওয়া হয়। গাড়িটি এতটাই দুমড়ে-মুচড়ে যায়, যে গ্যাস কাটার মেশিন এনে দেহ উদ্ধার করতে হয়। চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার ২ ঘণ্টা পর মা উড়ালপুলের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে বীরভূমের তারাপীঠ যাওয়ার পথে অটোর সঙ্গে মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন আরও ৭ জন। তাঁদের আশঙ্কজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মোটর সাইকেলের দুই আরোহীর বাড়ি নলহাটিতে। অন্য একজনের বাড়ি বগটুই গ্রামে।
রাতের স্টেশন, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন অনেকে। ট্রেন আসছে, যাচ্ছে। হঠাৎ, দেখা গেল একটা ট্রেন স্টেশনে যাত্রীদের নামিয়ে লাইন ধরে চলতে চলতে সোজা উঠে গেল প্ল্যাটফর্মে। আচমকা এরকম ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। হুলস্থূল পড়ে যায় স্টেশনে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মথুরা রেল স্টেশনে।
জানা গিয়েছে, শকুরবস্তি রেল স্টেশন থেকে মথুরার দিকে আসছিল ট্রেনটি। রেল সূত্রে খবর, ট্রেন স্টেশনে পৌঁছয় ১০.৪৯ মিনিটে। ততক্ষণে ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন সমস্ত যাত্রীরা। তারপরেই হঠাৎ করে ট্রেন প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ে। ট্রেন থেকে সব যাত্রী নেমে যাওয়ায়, হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় স্টেশনে।
মঙ্গলবার দুর্ঘটনার জেরে রেল চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আপ লাইনের ট্রেন চলাচল ব্যহত হয় কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু, কীভাবে, লাইন থেকে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ল, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কায় মৃত্যু এক স্কুল ছাত্রের। গুরুতর ভাবে আহত আরও ১ ছাত্রী। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে খণ্ডঘোষ থানার মেটেডাঙ্গা এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত ছাত্রের নাম সেখ সামিম আক্তার (১৪) ও আহত ছাত্রীর নাম নাজিরা পারভীন। তারা খন্ডঘোষের মেটেডাঙ্গা জুনিয়ার হাইস্কুলের পড়ুয়া। দু'জন সম্পর্কে খুড়তুতো ভাই বোন বলে জানা গিয়েছে। সামিম আক্তার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ও নাজিরা পারভিন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। তাদের বাড়ি খণ্ডঘোষের মেটেডাঙ্গা এলাকায়।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হেঁটে স্কুল যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় সামিম আক্তার ও নাজিরা পারভিন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই মেটেডাঙ্গা এলাকায় একটি বেপরোয়া চারচাকা গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে। ধাক্কা মেরে পালানোর সময় কিছুদূর গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়িটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খণ্ডঘোষ থানার পুলিস। আহত অবস্থায় দু'জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিস। হাসপাতালে নিয়ে এলে সামিম আক্তারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন নাজিরা পারভিন।
দুর্ঘটনার পরই উত্তেজিত এলাকাবাসীরা স্পিড ব্রেকার ও সিভিক ভলান্টিয়ার পোস্টিং-এর দাবিতে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বর্ধমান-বাঁকুড়া রোড অবরোধ করে। প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে পুলিসের আশ্বাসে অবরোধ তোলেন স্থানীয়রা।
যে কোনও রকম দুর্ঘটনায় ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ বাড়ল। রেলবোর্ডের প্রস্তাব মেনে ১০ গুণ ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বাড়াল ভারতীয় রেলওয়ে। আহত ও মৃত্যু, দুই খাতেই ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বেড়েছে।
রেল আইনের ১২৪ ধারা অনুযায়ী, এতদিন মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হত। এখন ট্রেন দুর্ঘটনার পাশাপাশি লেভেল ক্রসিংয়ে কারও মৃত্যু হলেও ক্ষতিপূরণ ৫ লক্ষ টাকা। দুর্ঘটনায় গুরুতর দখমদের ক্ষতিপূরণ বেড়েছে হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। আগে যা ছিল ২৫ হাজার টাকা। অল্প জখম হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া যাবে ৫০ হাজার টাকা।
দুর্ঘটনা ছাড়াও রেলে অপ্রীতিকর মৃত্যু হলে আগে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিত। এখন দেওয়া হবে দেড় লক্ষ টাকা। গুরুতর জখমদের ক্ষতিপূরণ ৫ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
বুধবার ভোরেও ফের বাস দুর্ঘটনায় (Bus Accident) মৃত্যু হল ১১ জনের। ঘটনাটি রাজস্থানের (Rajasthan) ভারতপুরের। সূত্রের খবর, বুধবার ভোরে মাঝ রাস্তায় হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে একটি যাত্রীবোঝাই বাস। ফলে বাস থামিয়ে চালক ও সহকারী তা সারাই করার জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। মুহূর্তের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসটির পিছনের অংশ। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১১ জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ রাজস্থানের ভারতপুরে জয়পুর-আগ্রা জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, বাসটি গুজরাট থেকে মথুরা যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাসটিতে কোনও সমস্যা হলে বাসটিকে রাস্তার ধারে থামানো হয়। সারাই করার চেষ্টা করছিলেন বাসের চালক ও সহকারী। কিন্তু আচমকা পিছন থেকে এসে সজোরে বাসটিতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। ফলে মুহূর্তের মধ্যে বাসের পিছন দিক ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুর্ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৬ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষ-সহ মোট ১১ জন যাত্রী। প্রাথমিক উদ্ধারকাজ হওয়ার পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।
এই দুর্ঘটনার পরই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারদের ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
অবৈধ পার্কিং-এর জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Road Accident) সাক্ষী পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানার অন্তর্গত ফ্রি স্কুল স্ট্রিট। ঘটনায় মৃত্যু ১ ব্যক্তির। দমকলের গাড়ির চাকায় পিষে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ফায়ার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে রিফিলিং-এর জন্য গাড়িটি বেরিয়েছিল। সেইসময় ফ্রি স্কুল স্ট্রিট থেকে মারকুইস স্ট্রিটের টার্নিং পয়েন্টে গাড়ির পিছনের চাকার নিচে চলে আসেন ওই ব্যক্তি। মাথার একাংশ পুরো থেঁতলে যায়। ঘটনার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবৈধ পার্কিং-এর জেরে ওই এলাকায় চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে পড়ে। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে এলাকা। এলাকার স্থানীয় বিজোপি নেতা বলেন, এই দুর্ঘটনার জবাব দিতে হবে সরকারকে অবৈধ পার্কিং নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে এই ঘটনায় দমকলের গাড়ির কোনও দোষ নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনার পরেই ওই গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্ক স্ট্রিট থানায়। কথা বলা হয় দমকলের আধিকারিকদের সঙ্গে। তবে শহর কলকাতার বুকে অবৈধ পার্কিং-এর জেরে এই দুর্ঘটনায়, ফের একবার প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।
ফের ভূমিধস ভূস্বর্গে (Jammu & Kashmir)। এবারে জম্মু-কাশ্মীরের জাতীয় সড়কে ধস (Landslide) নামে। আর যার জেরে রাস্তা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হল চারজনের। সূত্রের খবর, ধস নামার ফলে বড় পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি ট্রাক। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলার বানিহালে (Banihal)।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বানিহালের শের বিবির কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকা ধস নামার ফলে পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে আসে একটি বড় আকারের পাথর। আর সেই পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে গিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় ট্রাকটি। ট্রাকটিতে চালক-সহ মোট ৪ জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামবানের ডেপুটি কমিশনার। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিস ও উদ্ধারকারী দল। তারাই ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি বানিহাল হাসপাতালে পাঠায়।
ভূমিধস ও এই দুর্ঘটনার জেরে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট হয়েছে। যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। ফলে জাতীয় সড়কের মাঝে আটকে পড়েছে একাধিক গাড়ি। এর ফলেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই জাতীয় সড়ক খোলা হবে বলে পুলিস জানিয়েছে। ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, 'বানিহালে ভূমিধসের কারণে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকেদের ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিট থেকে নিশ্চিতকরণ ছাড়া জাতীয় সড়ক ৪৪-এ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'
এবারে মালদহে (Malda) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে লরি ও টোটোর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জন কৃষকের। লরির ধাক্কায় উল্টে যায় টোটো ও ছিটকে যান টোটোর যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের ও গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সূত্রের খবর, মালদার গাজোলের শ্যামনগর সংলগ্ন এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ যখন টোটো করে কৃষকরা সবজি নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি লরি এসে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। টোটোর পিছন দিক দুমড়ে-মুচড়ে যায় ও টোটো উল্টে গিয়ে ছিটকে যান যাত্রীরা। তিনজনের দুর্ঘটনাস্থলে মৃত্যু হলেও অন্য একজন গাজোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান। আরেকজনকে মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠোনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টোটোতে ৪-৫ জন কৃষক ছিলেন। শ্যামনগরের কাছে একটি লরি সজোরে এসে ধাক্কা মারে একটি টোটোকে। এরপরেই টোটোতে উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে তিনজন সেখানেই মারা যান। অন্য একজনের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়। আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, মৃতেরা আহোরা এলাকার বাসিন্দা। ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে ও ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) কর্নাটকে (Karnataka)। একটি বাসের সঙ্গে লরির (Lorry) সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৫ জনের। গুরুতর জখম ৮। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চিত্রদুর্গা জেলার গোল্লাহাল্লি জাতীয় সড়কের কাছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বাসটি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়চুর থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল যাত্রী বোঝাই বাসটি। সোমবার ভোর ৩টে নাগাদ গোল্লাহাল্লি জাতীয় সড়কের কাছে লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহত একাধিক। সূত্রের খবর, বেপরোয়া ভাবে বাস চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, যাত্রী বোঝাই বাসের সামনেই ছিল একটি লরি। কিন্তু সেটি খুব ধীর গতিতে চলছিল। ফলে লরিটিকে ওভারটেক করার জন্য বাসের গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে লরিতে। এতেই বাসের বামদিক পুরো ভেঙে-চুরে যায়। এর পরই ঘটনাস্থলে একজন ৫ বছরের শিশু সহ মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিত্রদুর্গার সুপারইনটেনডেন্ট অফ পুলিস ধর্মেন্দ্র কুমার মীনা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে।
পৃথক দুটি পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরে মৃত্যু হল তিন জনের। দুটি ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন। আহতদের উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, রবিবার পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক আনন্দ মোহন নিজের দশ বছরের ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে গ্রামের বাড়ি বিষ্ণুপুর ব্লকের হেত্যাগড়া থেকে বিষ্ণুপুর শহরের শালবাগানের বাড়িতে ফিরছিলেন। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফেরার সময় এক নম্বর ক্যাম্পের কাছে একটি পিকআপ ভ্যান ওই শিক্ষকের বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ছিটকে পড়েন বাবা ও ছেলে। আহত দু'জনকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের।
অন্যদিকে বিষ্ণুপুর থানার বামুনবাঁধ এলাকায় পৃথক একটি দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর শহর থেকে সমাপ্তি লাহা নামের ওই মহিলা আরও দু'জনের সঙ্গে বাইকে চড়ে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বামুনবাঁধের কাছে একটি মারুতি ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর দুটি বাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলে ছিটকে পড়েন সমাপ্তি লাহা সহ চার জন। আহত অবস্থায় তাঁদেরও বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা সমাপ্তি লাহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন হাসপাতালে।
অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় (Accident) মৃত্যু (Death) হলো নবম শ্রেণির পড়ুয়ার। বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড় থানার বড়কুড়া স্কুলের ছাত্র (Student Death) সাগর মণ্ডল। স্কুল ছুটির পর সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় সাগর। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় সেখান থেকে রেফার করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা নাবালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুল ছুটির পর সাইকেলে করে বাঁকুড়া সোনামুখী রাজ্য সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিল সাগর। সোনামুখী থেকে বেলিয়াতোড়গামী একটি অ্যাম্বুলেন্স বেপরোয়া ভাবে ধাক্কা মারে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
প্রাণ বাঁচাতে, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সকে সকলে ফোন করেন। আর সেই অ্যাম্বুলেন্সের গতি কাড়ল নিষ্পাপ নাবালকের প্রাণ। স্থানীয়রা ওই ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় ও ভাঙচুর চালায়।
বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় ছোট্ট সৌরনীলের মর্মান্তিক মৃত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে ট্রাফিক ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। ছোট্ট সৌরনীলের মৃত্যুতে যে টনক নড়েনি, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল পশ্চিম মেদিনীপুরে। ফের পথ দুর্ঘটনার কবলে স্কুল পড়ুয়া ও তার মা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রতিবাদে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন উদয়পল্লী-কুইকোটা রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা। ভাঙচুরও করা হয় ঘাতক গাড়িটিকে।
জানা গিয়েছে, রাস্তা পারাপারের সময় মা ও ছেলেকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। একরত্তি স্কুল পড়ুয়া কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর জখম হয়েছেন মহিলা। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়েও কোনও সুব্যবস্থা করতে পারেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পথ দুর্ঘটনার পাশাপাশি বেহাল রাস্তা ঘিরেও সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, একাধিক অবরোধ-বিক্ষোভ করেও কোনও সংস্কার হয়নি রাস্তার। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি সমস্যার সমাধান।
এর আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। তারপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। এ রাজ্যে একাধিকবার পথ দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। তারপরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, প্রশাসনের তরফে। তবে কি সাধারণ মানুষের প্রাণের দাম নেই প্রশাসনের কাছে? উঠছে প্রশ্ন।