সাতসকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। ঘটনায় মৃত স্ত্রী এবং গুরুতর আহত স্বামী। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ ছয়ঘড়িয়ায়। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম শ্রাবণী পাল ও আহত ব্য়ক্তির নাম সৌমেন পাল। বনগাঁ শিমুল তলার বাসিন্দা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন ওই দম্পতি। সেই সময় ছয়ঘড়িয়া এলাকায় যশোর রোডের উপরে পিছন থেকে আসা একটি দ্রুতগামী লরি পিষে দেয় শ্রাবণী পালকে (স্ত্রী)। এবং গুরুতর আহত অবস্থায় বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি সৌমেন পাল (স্বামী)। এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার বনগাঁ এই এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অনেকে, কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের।
লরির সঙ্গে ছোটো গাড়ির সংঘর্ষ। দুর্ঘটনায় মৃত গাড়ির চালক ও আহত আরও দুইজন। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির দীপক কুমার জানা (৪০)। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানা এলাকায়। বর্তমানে আহত দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে একটি ছোট গাড়ি করে চালকসহ মোট ছয় জনা বাঁকুড়া এসেছিল পিকনিক করতে। শুশুনিয়া পাহাড় থেকে মুকুটমনিপুর পিকনিক করে বিষ্ণুপুর হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরছিলেন তাঁরা। ঠিক তখনই বাঁকাদহ চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের সামনের দিক থেকে আসা একটি পণ্য বোঝাই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় ছোট গাড়িটি। রাস্তার পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় পণ্য বোঝাই লরিটি।
এরপর তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং বিষ্ণুপুর থানার পুলিস আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছোট গাড়িচালক ৪২ বছরের দীপক কুমার জানাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর আহত ২ ব্যক্তির অবস্থার অবনতি দেখে পাঠানো অন্যত্র। সমগ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিসের প্রিজন ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক নাবালকের। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানা এলাকায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়রা টিটাগর থানার সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুজল হেলা (১৭)। টিটাগড় পুরসভার অন্তর্গত ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের হেলা পাড়ার বাসিন্দা। এদিন সকালে ৯ টা নাগাদ সে তার ভাইকে স্কুলে পৌঁছতে গিয়েছিল। সেখান থেকে স্কুটি করে বাড়ি ফেরার সময় একটি দ্রুতগামী প্রিজন ভ্য়ান তাকে ওভারটেক করতে গিয়ে তার ওপরেই উঠে যায়। এরপর প্রিজন ভ্য়ানের ধাক্কায় পিষে ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় তার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনও ট্রাফিক পুলিস না থাকার কারণেই আজকের এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। যার ফলে রাস্তা আটকে শুরু হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় টিটাগর পুরসভার পুরপ্রধান কমলেশ সাউ। তিনি নিহতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
ফের শহর কলকাতায় ঘটে গেল গাড়ি দুর্ঘটনা। আহত ভ্য়ান চালক। অভিযোগ, মদ্য়প অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ধাক্কা মারেন ভ্যান চালককে। ঘটনার পর আটক করা হয় অভিযুক্ত গাড়ি চালককে। বুধবার সকাল ছয়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউতে। জানা গিয়েছে, আহত ভ্য়ান চালকের নাম মোহাম্মদ আলী। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রত্য়ক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, এদিন সকাল ছটা নাগাদ মোহাম্মদ আলী পার্কের দিক থেকে সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ-এর দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় একটি বিলাসবহুল গাড়ি রাস্তায় চলতে চলতে প্রায় তিন থেকে চারটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। অভিযোগ, রীতিমতো মদ্য়প অবস্থায় ছিলেন ওই গাড়ির চালক। শেষমেষ সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ এর মুখে এসে ওই বিলাসবহুল গাড়িটি ধাক্কা মারে ভ্য়ান চালককে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ভ্যান চালক। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং অভিযুক্ত ওই গাড়ির চালককে জোড়াসাঁকো থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি তার শরীরে অ্যালকোহলের পরিমাণ পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ঘাতক গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়া হয় জোড়াসাঁকো থানায়।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই গাড়ি চালককে যখন গাড়ি থেকে নামানো হয় তখন সে মদ্য়প অবস্থায় থাকায় দাঁড়ানোর মতো ক্ষমতা ছিল না তার। এরপর গাড়ি থেকে নেমে অভিযুক্ত গাড়ি চালক ট্রাফিক পুলিসের উপর রীতিমতো অকথ্য় ভাষা এবং অভব্য় আচরণ শুরু করেছিল বলে অভিযোগ। এই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সাতসকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বেপরোয়া পাথর বোঝাই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক লড়ি সহ অভিযুক্ত। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রাম শহরে। জানা গিয়েছে, মৃত ব্য়ক্তির নাম শশাঙ্ক পাত্র। বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের সত্যবান পল্লীতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পুলিসি মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গুটি বোঝাই করা ট্রাক ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় তৈরি হয় ব্যাপক উত্তেজনা। এরপর খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিসকে। ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর যানচলাচল ফের স্বাভাবিক হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘাতক গাড়িটিকে ধরা সম্ভব হয়নি। তবে ইতিমধ্য়ে অভিযুক্ত গাড়ির চালকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
রবিবার বর্ষবরণের রাতে পুরুলিয়ার রাঘবপুর মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করছিলেন পুরুলিয়ার ডিএসপি (ট্র্যাফিক) পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ পাঁচ পুলিস কর্মী। আচমকাই একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিস কর্মীদের ধাক্কা মারলে ভয়ানক দুর্ঘটনাটি ঘটে। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বাবলু গড়াই নামে এক পুলিস কর্মীর। ঘটনায় গুরুতর জখম ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ আরও চার পুলিস কর্মী।
সোমবার তৃণমূল প্রতিষ্ঠা দিবস সেরে ফির ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, সহ অন্যান তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তাঁদের উদ্যোগেই আহতদের উদ্ধার করে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জখম অবস্থায় বাবলু গড়াই নামে ওই পুলিস কর্মীকে সংকটজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত পুলিস কর্মী পুরুলিয়ার বেলগুমা পুলিস লাইনে কর্মরত ছিলেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস।
বর্ষশেষের দিনে শহরের বুকে ফের দুর্ঘটনা। রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ বিড়লা মন্দিরের কাছে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আর এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একটি গাড়ি, খুলে গিয়েছে এয়ারব্যাগও। গাড়ির সামনের অংশ পুরো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রবিবার সকাল ৬টায় বিড়লা মন্দিরের কাছে ঘটে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার জেরে ফুটপাতের উপর উঠে গিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি, খুলে গিয়েছে এয়ারব্যাগ। একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টের দিকে যাওয়ার সময় বিড়লা মন্দিরের কাছে একটি লাইটপোস্টে ধাক্কা মারে, এরপর ফুটপাতে উঠে যায়। জানা গিয়েছে, দুটি বিলাসবহুল গাড়িতে ফিরছিল বন্ধুরা। তার মধ্যে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়িতে ছিল ৪ বন্ধু। এই ঘটনার পরে ৪ বন্ধুই অন্য গাড়িতে চেপে চলে যায়। গাড়ি চালাচ্ছিল সেই ৪ বন্ধুরই একজন। বেপরোয়া গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বালিগঞ্জ থানার পুলিস। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে তারা। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা তা জানার চেষ্টা চলছে। তীব্র গতির কারণে দুর্ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখছে। ছুটির দিনে সকালে শহরে এমন দুর্ঘটনা ঘটায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড-এর ঠাকুর পুকুর খাল পোলের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রশাসনের নজর নেই। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ জমতে জমতে বিক্ষোভে পরিণত হয় যখন শুক্রবার ভোর রাতে এক বৃদ্ধ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। নাড়ু গোপাল পাল নামের ৫০ বছরের ওই বৃদ্ধকে ধাক্কা মারে একটি লরি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পর পথে নেমে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। তাঁরা অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধ রাস্তায় পরে থাকলেও তার উপর দিয়েই বেশ কিছু গাড়ি ইচ্ছাকৃত চালানো হয়।
রাস্তার দুধারে বস্তি এলাকা। সেখানকার ছোট ছোট শিশুরা প্রতিদিন এই রাস্তা পারাপার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও এখনও কোনও বাম্পার তৈরি করা হয়নি। গাড়ি চালকদের গাড়ি আস্তে চালাতে বললে কেউ শোনে না, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও ব্যবস্থাও করেনি প্রশাসন। তাই মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ভোটের সময় দেখা মেলে স্থানীয় কাউন্সিলরের। প্রতিশ্রতির বন্যা বয়ে যায়। আর ভোট মিটলেই সব ভোঁভা। স্থানীয় ঠাকুরপুকুর থানাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তু কর্ণপাত করেনি তারাও। আতঙ্কিত এলাকার মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই এবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন তার। তাদের সাফ কথা দুদিনের মধ্যে যদি বাম্পার তৈরি না হয় তাহলে আবারও রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হবেন তারা।
উন্নয়নের নামে ভুরিভুরি টাকা খরচের কথা বলে সরকার। দান খয়রাতিতেও কোটি কোটি টাকা খরচ করতে দ্বিধা করেন না মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। উন্নয়নের জোয়ারের মাঝে একটা এলাকার মানুষদের জীবন সুনিশ্চিত করতে দুর্ঘটনার কবল থেকে বাঁচাতে কয়েকটা বাম্পার তৈরি করে দিতে পারছে না প্রশাসন? নাকি বস্তি এলাকায় বাস করে বলে এই মানুষগুলোর জীবনের কোনও জীবনের দামই নেই মানবিক সরকারের কাছে? নাড়ু গোপাল পালের মত আর কতগুলো প্রাণ গেলে তবে ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের? উত্তরের অপেক্ষায় ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড এর ঠাকুর পুকুর খাল পোলের বাসিন্দারা।
দশ চাকার লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি মরঙ্গা চৌপতি সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত লরির চালক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাজুড়ে। জানা গিয়েছে মৃতের নাম মোজাম্মেল হক (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, এদিন দুপুরে মোজাম্মেল হক নামের ওই ব্যক্তি রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় দ্রুতগামী একটি দশ চাকার লরি প্রথমে এসে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। এরপর লরির ধাক্কায় ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় ওই ব্যক্তি। তৎক্ষণাৎ ঘাতক দশ চাকার লরিটি ঘটনাস্থলে ছেড়ে পালিয়ে যাবার সময় ওই ব্য়ক্তিকে পিষে দিয়ে চম্পট দেয়। স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিস এবং দমকলকে
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ধুপগুড়ি থানার ট্রাফিক ওসি ও ধুপগুড়ি থানার পুলিস। পরবর্তীতে দমকল ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ফের প্রকাশ্যে পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা। ফের প্রকাশ্যে পুলিসের ইচ্ছামত কাজ। ফের প্রকাশ্যে পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ঘটনা বেহালা থানা কেন্দ্র করে। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেহালা বিএল সাহা রোড এবং টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সংযোগস্থলে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় অজয় সিং রাজপুত নাম এক যুবক। তবে যে বাইক এসে ধাক্কা মারে, সেই চালক পলাতক। অভিযোগ, পুলিস ছেড়ে দেয় ওই চালককে। বেহালা থানার সামনে বিশাল বিক্ষোভে সামিল মৃতের পরিবার পরিজন।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেহালা বিএল সাহা রোড এবং টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সংযোগস্থল দিয়ে অজয় সিং রাজপুত নামে এক যুবক বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় উল্টোদিক থেকে দ্রুত গতিতে আরেক বাইক এসে অজয়ের বাইককে ধাক্কা মারে। অজয়কে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে মঙ্গলবার অবশেষে তাঁর মৃত্যু হয়। আর এরপরেই বেহালা থানার উপর চড়াও হয় অজয়ের পরিবার পরিজন।
প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনা ঘটার পর বেহালা থানার পুলিস অভিযুক্তকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়, এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। আর এই নিয়েই বেহালা থানার পুলিসের উপর ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার পরিজন। যে অভিযুক্ত, সে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত, ঘটনার এক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কীভাবে অভিযুক্তকে ছেড়ে দিল পুলিস, প্রশ্ন তুলছেন মৃতের পরিবার।
তবে কি এটাই এখন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন? পুলিস মন্ত্রী জানেন? তিনি কি অবগত নন পুলিসের এমন অপ্রত্যাশিত ভূমিকা নিয়ে? নাকি সবটা জেনেও মানুষকে বিচার না পাওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন খোদ পুলিসমন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন। এই দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবার, বন্ধুরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালে পুলিসের বক্তব্য ১০ মিনিটের মধ্যে তাঁরা অভিযুক্তকে খুঁজে আনবেন। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই দুজন অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসাও হয়েছে। তাহলে কি পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ না দেখালে এ রাজ্যে ন্যায়বিচার হবে না? প্রশ্ন উঠলেও উত্তর অধরা।
সাতসকালে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল বিকানের-হাওড়া এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের কাছে চলন্ত ট্রেনের উপর হেলে পড়ে বিদ্যুতের একটি খুঁটি। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ব্রেক কষেন ট্রেনের চালক। ট্রেনের এক যাত্রী জানান, আসানসোল স্টেশন ছাড়িয়ে ট্রেনটি একটু এগোতেই বিকট শব্দ করে সেটি দাঁড়িয়ে পড়ে।
আসানসোলের ডিপো পাড়া এলাকায় রেল সাইডিং-এর কাছে ঘটে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, ২১১ বাই ২ নম্বর ইলেকট্রিক পোলটি আচমকাই হেলে পড়ে। খবর পেয়ে রেলের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ট্রেনটি আবার হাওড়ার দিকে রওনা হয়।
গত জুন মাসের ২ তারিখে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িকে সজোরে ধাক্কা মেরেছিল করমন্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরে করমন্ডল এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ট্র্যাকের ওপর গিয়ে পড়েছিল। এরপর উল্টো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস সেই বগিগুলোতেই ধাক্কা মারে। এর জেরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সেই ঘটনায় তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। জখম হয়েছিলেন বহু মানুষ।
সেই ঘটনার স্মৃতি মানুষের মনে এখনও টাটকা। মঙ্গলবারের ঘটনায় সেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি আবার ফিরে এল ট্রেন যাত্রীদের মনে।
বেপরোয়া গতির বলি এবারে চার বছরের এক শিশু কন্যা। মঙ্গলবার বাড়ির সামনেই রাস্তার উপর দাঁড়িয়েছিল ফুটফুটে মেয়েটি। আচমকা অনিয়ন্ত্রিত গতিতে ছুটে আসা ১৬ চাকার লরিটি পিষে দিয়ে গেল শিশুটিকে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থানা এলাকার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মারাডাঙি গ্রামে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির নাম মরিয়ম নেশা (৪)। সাতসকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরেই গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস ছুটে আসলে পুলিসকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিত্যদিন ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে আসা লরিগুলি বেপরোয়া ভাবে রাজ্যসড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করে। গতির উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকেই না চালকদের। আর তাদের এই বেপোরায় মনোভাবের জন্যই প্রাণ চলে গেল ছোট মরিয়মের।
ফের জাতীয় সড়কে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লরির সঙ্গে বন দফতরের স্করপিও গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত এক এবং আহত তিনজন। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানার কাঁটাগড়িয়া পেট্রল পাম্পের কাছে ১৪ নং জাতীয় সড়কের উপর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা ময়নাতদন্তের জন্য় রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠায়। বর্তমানে আহতরাও রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মোড়গ্রাম থেকে নলহাটি যাচ্ছিল লরিটি এবং অপরদিক বন দফতরের গাড়িটি যাচ্ছিল। সেই সময় লরি ও স্করপিও গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় স্করপিও গাড়ির চালকের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় ওই গাড়িতে থাকা আরও তিন জন। এরপর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যায়। এবং খবর দেয় পুলিসকে। দুর্ঘটনার জেরে কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিস এসে গাড়ি দুটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর আবার যান স্বাভাবিক হয়।
আবারও বেপরোয়া গতির বলি দুই বাইক আরোহী। বাইকের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত দুই এবং গুরুতর আহত দুই। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ১১ টা নাগাদ মালদহের ভালুকাগামী রাজ্য সড়কের উপরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস গিয়ে বাইক দুটিকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে যায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই দুই যুবকের নাম মজো আলী (২৫), বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা নয়াটোলা গ্রামে ও আদম আলী (২০), বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামে। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বাগমারা গ্রামের আরও দুই যুবক বাপ্পি আলী (১৭) ও জিসান আলী (১৫)। বর্তমানে দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসলামপুর গ্রামে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে পীরের মেলা। বাগমারা গ্রামের ওই তিন যুবক একটি বাইকে চেপে ওই মেলা দেখতে যাচ্ছিলেন। অন্য়দিকে মেলা দেখে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন মজো আলী। সেই সময় বনসরিয়া ও বড়াডাঙি গ্রাম দুটির মাঝে রাজ্য সড়কের উপরে বাইক দুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যায় দুই বাইকে থাকা মোট চারজন। ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় একটি বাইক।
এরপর তাঁদেরকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে চারজনকেই চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তারপর চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় মজো আলীর ও মালদহ নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় আদম আলীর।
বর্ধমান স্টেশনে ট্যাঙ্ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল আরও একজনের। মৃত ব্য়ক্তির নাম সুধীর সূত্রধর। বাড়ি মেমারীর কলেজ পাড়া এলাকায়। ঘটনায় মৃতের সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার পর থেকে বর্ধমান মেডিক্য়াল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুধীর সূত্রধর। শনিবার হাসপাতালেই মৃত্য়ু হয় তাঁর। যদিও এখনও পর্যন্ত বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেশ কয়েকজন আহত।
চলতি সপ্তাহে বুধবার বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে। স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনার দিনেই মৃত্য়ু হয় ৩ জনের। ঘটনায় আহতের সংখ্যা জানা গিয়েছিল ৩৯ জন। এর আগেও এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন কয়েকজন। এবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল ৪ জনের।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি রাজ্যের তরফে বৃহস্পতিবার মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে তুলে দেন।