
যে কোনও রকম দুর্ঘটনায় ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ বাড়ল। রেলবোর্ডের প্রস্তাব মেনে ১০ গুণ ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বাড়াল ভারতীয় রেলওয়ে। আহত ও মৃত্যু, দুই খাতেই ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বেড়েছে।
রেল আইনের ১২৪ ধারা অনুযায়ী, এতদিন মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হত। এখন ট্রেন দুর্ঘটনার পাশাপাশি লেভেল ক্রসিংয়ে কারও মৃত্যু হলেও ক্ষতিপূরণ ৫ লক্ষ টাকা। দুর্ঘটনায় গুরুতর দখমদের ক্ষতিপূরণ বেড়েছে হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। আগে যা ছিল ২৫ হাজার টাকা। অল্প জখম হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া যাবে ৫০ হাজার টাকা।
দুর্ঘটনা ছাড়াও রেলে অপ্রীতিকর মৃত্যু হলে আগে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিত। এখন দেওয়া হবে দেড় লক্ষ টাকা। গুরুতর জখমদের ক্ষতিপূরণ ৫ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।
বুধবার ভোরেও ফের বাস দুর্ঘটনায় (Bus Accident) মৃত্যু হল ১১ জনের। ঘটনাটি রাজস্থানের (Rajasthan) ভারতপুরের। সূত্রের খবর, বুধবার ভোরে মাঝ রাস্তায় হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে একটি যাত্রীবোঝাই বাস। ফলে বাস থামিয়ে চালক ও সহকারী তা সারাই করার জন্য চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ পিছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। মুহূর্তের মধ্যে দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসটির পিছনের অংশ। দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১১ জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ রাজস্থানের ভারতপুরে জয়পুর-আগ্রা জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, বাসটি গুজরাট থেকে মথুরা যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বাসটিতে কোনও সমস্যা হলে বাসটিকে রাস্তার ধারে থামানো হয়। সারাই করার চেষ্টা করছিলেন বাসের চালক ও সহকারী। কিন্তু আচমকা পিছন থেকে এসে সজোরে বাসটিতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। ফলে মুহূর্তের মধ্যে বাসের পিছন দিক ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুর্ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৬ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষ-সহ মোট ১১ জন যাত্রী। প্রাথমিক উদ্ধারকাজ হওয়ার পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।
এই দুর্ঘটনার পরই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারদের ২ লক্ষ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
অবৈধ পার্কিং-এর জেরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Road Accident) সাক্ষী পার্ক স্ট্রিট (Park Street) থানার অন্তর্গত ফ্রি স্কুল স্ট্রিট। ঘটনায় মৃত্যু ১ ব্যক্তির। দমকলের গাড়ির চাকায় পিষে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ফায়ার ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে রিফিলিং-এর জন্য গাড়িটি বেরিয়েছিল। সেইসময় ফ্রি স্কুল স্ট্রিট থেকে মারকুইস স্ট্রিটের টার্নিং পয়েন্টে গাড়ির পিছনের চাকার নিচে চলে আসেন ওই ব্যক্তি। মাথার একাংশ পুরো থেঁতলে যায়। ঘটনার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবৈধ পার্কিং-এর জেরে ওই এলাকায় চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে পড়ে। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। দীর্ঘদিন ধরেই এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে এলাকা। এলাকার স্থানীয় বিজোপি নেতা বলেন, এই দুর্ঘটনার জবাব দিতে হবে সরকারকে অবৈধ পার্কিং নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে এই ঘটনায় দমকলের গাড়ির কোনও দোষ নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনার পরেই ওই গাড়িটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্ক স্ট্রিট থানায়। কথা বলা হয় দমকলের আধিকারিকদের সঙ্গে। তবে শহর কলকাতার বুকে অবৈধ পার্কিং-এর জেরে এই দুর্ঘটনায়, ফের একবার প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।
ফের ভূমিধস ভূস্বর্গে (Jammu & Kashmir)। এবারে জম্মু-কাশ্মীরের জাতীয় সড়কে ধস (Landslide) নামে। আর যার জেরে রাস্তা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু হল চারজনের। সূত্রের খবর, ধস নামার ফলে বড় পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি ট্রাক। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪ জনের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলার বানিহালে (Banihal)।
পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের বানিহালের শের বিবির কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকা ধস নামার ফলে পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িয়ে আসে একটি বড় আকারের পাথর। আর সেই পাথরে ধাক্কা খেয়ে পিছলে গিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায় ট্রাকটি। ট্রাকটিতে চালক-সহ মোট ৪ জন ছিলেন। ঘটনাস্থলেই সকলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামবানের ডেপুটি কমিশনার। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিস ও উদ্ধারকারী দল। তারাই ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি বানিহাল হাসপাতালে পাঠায়।
ভূমিধস ও এই দুর্ঘটনার জেরে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক যানজট হয়েছে। যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। ফলে জাতীয় সড়কের মাঝে আটকে পড়েছে একাধিক গাড়ি। এর ফলেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরই জাতীয় সড়ক খোলা হবে বলে পুলিস জানিয়েছে। ট্রাফিক পুলিস জানিয়েছে, 'বানিহালে ভূমিধসের কারণে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকেদের ট্রাফিক কন্ট্রোল ইউনিট থেকে নিশ্চিতকরণ ছাড়া জাতীয় সড়ক ৪৪-এ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'
এবারে মালদহে (Malda) ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে লরি ও টোটোর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জন কৃষকের। লরির ধাক্কায় উল্টে যায় টোটো ও ছিটকে যান টোটোর যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৩ জনের ও গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সূত্রের খবর, মালদার গাজোলের শ্যামনগর সংলগ্ন এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার সাড়ে পাঁচটা নাগাদ যখন টোটো করে কৃষকরা সবজি নিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি লরি এসে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে। টোটোর পিছন দিক দুমড়ে-মুচড়ে যায় ও টোটো উল্টে গিয়ে ছিটকে যান যাত্রীরা। তিনজনের দুর্ঘটনাস্থলে মৃত্যু হলেও অন্য একজন গাজোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান। আরেকজনকে মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠোনা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, টোটোতে ৪-৫ জন কৃষক ছিলেন। শ্যামনগরের কাছে একটি লরি সজোরে এসে ধাক্কা মারে একটি টোটোকে। এরপরেই টোটোতে উপস্থিত কৃষকদের মধ্যে তিনজন সেখানেই মারা যান। অন্য একজনের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়। আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, মৃতেরা আহোরা এলাকার বাসিন্দা। ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে ও ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) কর্নাটকে (Karnataka)। একটি বাসের সঙ্গে লরির (Lorry) সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৫ জনের। গুরুতর জখম ৮। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চিত্রদুর্গা জেলার গোল্লাহাল্লি জাতীয় সড়কের কাছে। দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে বাসটি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়চুর থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল যাত্রী বোঝাই বাসটি। সোমবার ভোর ৩টে নাগাদ গোল্লাহাল্লি জাতীয় সড়কের কাছে লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহত একাধিক। সূত্রের খবর, বেপরোয়া ভাবে বাস চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, যাত্রী বোঝাই বাসের সামনেই ছিল একটি লরি। কিন্তু সেটি খুব ধীর গতিতে চলছিল। ফলে লরিটিকে ওভারটেক করার জন্য বাসের গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে লরিতে। এতেই বাসের বামদিক পুরো ভেঙে-চুরে যায়। এর পরই ঘটনাস্থলে একজন ৫ বছরের শিশু সহ মৃত্যু হয় ৫ জনের। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিত্রদুর্গার সুপারইনটেনডেন্ট অফ পুলিস ধর্মেন্দ্র কুমার মীনা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে।
পৃথক দুটি পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরে মৃত্যু হল তিন জনের। দুটি ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন জন। আহতদের উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, রবিবার পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক আনন্দ মোহন নিজের দশ বছরের ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে গ্রামের বাড়ি বিষ্ণুপুর ব্লকের হেত্যাগড়া থেকে বিষ্ণুপুর শহরের শালবাগানের বাড়িতে ফিরছিলেন। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফেরার সময় এক নম্বর ক্যাম্পের কাছে একটি পিকআপ ভ্যান ওই শিক্ষকের বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই ছিটকে পড়েন বাবা ও ছেলে। আহত দু'জনকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের।
অন্যদিকে বিষ্ণুপুর থানার বামুনবাঁধ এলাকায় পৃথক একটি দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর শহর থেকে সমাপ্তি লাহা নামের ওই মহিলা আরও দু'জনের সঙ্গে বাইকে চড়ে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বামুনবাঁধের কাছে একটি মারুতি ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর দুটি বাইকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলে ছিটকে পড়েন সমাপ্তি লাহা সহ চার জন। আহত অবস্থায় তাঁদেরও বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা সমাপ্তি লাহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন হাসপাতালে।
অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় (Accident) মৃত্যু (Death) হলো নবম শ্রেণির পড়ুয়ার। বাঁকুড়ার (Bankura) বেলিয়াতোড় থানার বড়কুড়া স্কুলের ছাত্র (Student Death) সাগর মণ্ডল। স্কুল ছুটির পর সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় সাগর। রক্তাক্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় সেখান থেকে রেফার করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা নাবালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুল ছুটির পর সাইকেলে করে বাঁকুড়া সোনামুখী রাজ্য সড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিল সাগর। সোনামুখী থেকে বেলিয়াতোড়গামী একটি অ্যাম্বুলেন্স বেপরোয়া ভাবে ধাক্কা মারে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
প্রাণ বাঁচাতে, দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সকে সকলে ফোন করেন। আর সেই অ্যাম্বুলেন্সের গতি কাড়ল নিষ্পাপ নাবালকের প্রাণ। স্থানীয়রা ওই ঘাতক অ্যাম্বুলেন্সকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় ও ভাঙচুর চালায়।
বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় ছোট্ট সৌরনীলের মর্মান্তিক মৃত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে ট্রাফিক ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। ছোট্ট সৌরনীলের মৃত্যুতে যে টনক নড়েনি, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল পশ্চিম মেদিনীপুরে। ফের পথ দুর্ঘটনার কবলে স্কুল পড়ুয়া ও তার মা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রতিবাদে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন উদয়পল্লী-কুইকোটা রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা। ভাঙচুরও করা হয় ঘাতক গাড়িটিকে।
জানা গিয়েছে, রাস্তা পারাপারের সময় মা ও ছেলেকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি লরি। একরত্তি স্কুল পড়ুয়া কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর জখম হয়েছেন মহিলা। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়েও কোনও সুব্যবস্থা করতে পারেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পথ দুর্ঘটনার পাশাপাশি বেহাল রাস্তা ঘিরেও সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, একাধিক অবরোধ-বিক্ষোভ করেও কোনও সংস্কার হয়নি রাস্তার। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও হয়নি সমস্যার সমাধান।
এর আগেও একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে এই রাস্তায়। তারপরও টনক নড়েনি প্রশাসনের। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। এ রাজ্যে একাধিকবার পথ দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। তারপরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, প্রশাসনের তরফে। তবে কি সাধারণ মানুষের প্রাণের দাম নেই প্রশাসনের কাছে? উঠছে প্রশ্ন।
জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Accident)। কন্টেইনারের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় পুলিসের গাড়ি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক সিভিক পুলিস ও এক এনভিএফ কর্মীর। আহত আরও চার পুলিস আধিকারিক। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার নারায়ণগড় (Narayangarh) থানার সুপ্রিম কোম্পানির কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, পুলিসের গাড়িটি জাতীয় সড়কের উপর পেট্রোলিং করছিল। সে সময় আচমকা দ্রুত গতিতে কন্টেইনার এসে ধাক্কা মারে পুলিসের গাড়িতে। কন্টেইনারের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় পুলিসের গাড়ি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ এক এনভিএফ (NVF) কর্মীর। আহত হন আরও চার জন পুলিস কর্মী। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নারায়ণগড় থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকেই আহত চার পুলিস কর্মীকে উদ্ধার করে মকরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে মৃত্যু এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ও NVF কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম বিমানচন্দ্র করণ ও মৃত এনভিএফ কর্মীর নাম দীপক কুমার পাত্র।
বাসন্তী হাইওয়েতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় আহত প্রায় ৩০ যাত্রী। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত এক বাইক চালক। বুধবার দুপুরে ভাঙড় থানার অন্তর্গত ভোজেরহাট বৈরামপুরের এলাকার ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গেসঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় এখনও অবধি কারোর মৃত্যু না হলেও গুরুতর আহত হয়ে বেশ কয়েকজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে ভাঙড়ের ঘটকপুকুরের দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসে একটি বাইক সামনে থাকা একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়, এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি, কলকাতার দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা ধামাখালি বি গার্ডেন রুটের বাসের সামনে পড়ে যায়। বাইক আরোহীকে বাঁচাতে গেলে বাধ্য হয়ে ব্রেক কষতে বাধ্য হন বাস চালক। তখনই ওই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারে। বাইক ও আরোহী বাসের চাকার তলায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় বাইক চালককে উদ্ধার করে নলমুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় ভাঙ্গড় থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।
ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এক যুবকের, আহত আরও এক। বুধবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা থানার অন্তর্গত বল্লালপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকার ঘটনা। পুলিস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃত ওই যুবকের নাম সমীর শেখ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পাশাপাশি অপর এক বাইক আরোহীকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে বল্লালপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দাড়িয়ে থাকা লরিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে সমীরের বাইক। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে ফরাক্কার দিক থেকে ধুলিয়ানের দিকে আসছিলেন দুই যুবক। দ্রুতগতিতে বাইক চালিয়ে আসার সময় পেছনের একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে ঘোলাকান্দি এবং বল্লালপুর এলাকা সংলগ্ন ৩৪ নাম্বার জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা মারে তারা। ঘটনাস্থলেই কার্যত মৃত্যু হয় বাইক চালক সমীর শেখ নামে এক যুবকের। গুরুতর জখম অবস্থায় নুরুল শেখ নামে আরও এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
সাতসকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) সালেমে। হাইওয়ের উপর দাঁড়িয়ে ছিল একটি পণ্যবাহী লরি। আচমকা দ্রুতগতিতে ছুটে এসে লরির পিছনে ঢুকে গেল একটি সওয়ারিবোঝাই গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) হয় গাড়ির মধ্যে থাকা একই পরিবারের ছয় জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গাড়ির চালক সহ আ্ররও এক সওয়ারি।
জানা গিয়েছে, ভোর ৪টের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, তামিলনা়ড়ুর ইয়েনগুর থেকে একই পরিবারের আট জন একটি গাড়িতে পেরুনথুরাই যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। সালেম-ইরোড হাইওয়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটি। গাড়িটির গতি এতই বেশি ছিল যে লরির পিছনে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের, যার মধ্যে একটি এক বছরের শিশুও রয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধারকাজে নামেন। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিস এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনাটি রেকর্ড হয়েছে রাস্তায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি। গাড়ির ব্রেক ফেল হয়েছিল নাকি অন্য কোনও কারণে এই দুর্ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। গাড়ির চালক সুস্থ হলেই ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনায় (Balasore Train Accident) অবশেষে শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর চার্জশিট পেশ করল সিবিআই (CBI)। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে তিন রেলকর্মীর। তাঁদের বিরুদ্ধে আগেই একাধিক ধারায় মামলা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ৭ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল রেলের এই তিন কর্মীকে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা তিন অভিযুক্ত হলেন অরুণ কুমার মহাপাত্র, মহম্মদ আমির খান এবং পাপ্পু কুমার। উল্লেখ্য, সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বালাসোরের এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল মোট ২৯৬ জনের ও আহত হয়েছিলেন ১,২০০ জনের বেশি।
চলতি বছরের ২ জুন ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ওড়িশার বালাসোরে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি। সেই দুর্ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এর পর দুর্ঘটনার তদন্তভার পায় সিবিআই। এই তদন্তের মাঝেই চলতি মাসের প্রথম দিকে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি ছিল না। কর্মীদের ভুলেই এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। একই কারণ দেখিয়ে গত ৭ জুলাই রেলের তিন কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।
আর এবারে এই তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। এই তিন রেলকর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারা অর্থাৎ অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ড ও ২০১ ধারা অর্থাৎ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় মামলা করেছে সিবিআই। এদিন বিশেষ সিবিআই আদালতে সেই চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।
আবারও সাতসকালে দুর্ঘটনার (Accident) বলি এক মহিলা সহ দু'জন। দ্রুতগতিতে আসা ট্রাকের ধাক্কায় হলদিয়ায় (Haldia) আহত আরও দু’জন। ঘটনার পরই স্থানীয়রা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরফলে সকালের ব্যস্ত সময়ে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাচক থানার পুলিস। তারা মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে হলদিয়ার গিরিশ মোড় এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রচণ্ড গতিতে ট্রাকটি ছুটে এসে পথচারীদের উপর উঠে যায়। আর তাতে এক মহিলা ও ও এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। পুলিস সূত্রে খবর, সাইকেল আরোহী ব্যক্তির নাম শেখ হোসেন আলি (৪২) ও ভাগবন্তপুরের বাসিন্দানীলিমা কালসা (৫৫)। আরও এক মহিলা সহ দু’জনকে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।