
মধ্যমগ্রাম স্টেশনে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল বনগাঁ লোকাল। ডাউন সাড়ে ১১ টার বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল মধ্যমগ্রাম প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় এক নম্বর লাইনের বদলে দু নম্বর লাইনে ঢুকে যায়। ৫০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে পিছনে ছিল ডাউন হাবড়া লোকাল। ট্রেনের ড্রাইভার ও গার্ডের দক্ষতার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার কাছাকাছি মধ্যমগ্রাম স্টেশনে ডাউন বনগাঁ লোকাল দাঁড়িয়ে থাকে। বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার একাধিক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। ট্রেনে থাকা যাত্রীরাও অধৈর্য হয়ে পড়েন। কখন ট্রেন ছাড়বে, সে ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা পাননি তাঁরা।
মধ্যমগ্রাম স্টেশনে অপেক্ষমান এক যাত্রী জানালেন, পয়েন্টের গোলযোগের জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে। কাজ চলছে। তবে কখন সেই কাজ শেষ হবে, সে ব্যাপারে তাঁরাও কিছু জানেন না।
দীর্ঘক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার ফলে বামুনগাছি এবং মধ্যমগ্রাম স্টেশন মাস্টারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। মধ্যমগ্রামে কংগ্রেসের বিক্ষোভ স্টেশন মাস্টারের ঘরে, বামুনগছিতে স্টেশনমাস্টারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ হয় যাত্রীদের।
স্টেশন মাস্টার অবশ্য জানিয়ে দেন, যা বলার বলবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না।
ফের বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনার হাত থেকে মিলল রক্ষা। শনিবার সেকেন্দ্রাবাদ থেকে হাওড়াগামী ফলকনামা এক্সপ্রেসের তিনটি বগি ট্রেন থেকে আলাদা হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। প্রায় ৪০ মিনিট পর ওই তিনটি বগিকে ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল? শোনা যাক স্থানীয় মানুষজন কী বলছেন
তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ফের বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ঘুরতে যাওয়াই কাল হল! উত্তর ভারত ভ্রমণে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পূর্ব বর্ধমানের একদল পর্যটক। শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ২ জন পর্যটকের। জখম হয়েছেন আরও ২৪ জন। জানা যায়, মৃতদের মধ্যে একজন হলেন খণ্ডঘোষের তোড়কোণা গ্রামের মালতি কুণ্ডু, বয়স ৩৭ বছর। অপরজন গলসি থানার ইরকোনা গ্রামের স্মৃতিকা হাজরা, বয়স ৫৫ বছর। শুক্রবারই বিমানে মৃতদেহ আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শনিবার মৃতদেহ বাড়িতে আসতে পারে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। ঘটনায় শোকের ছায়া খণ্ডঘোষের তোড়কোণা ও গলসির ইরকোনা গ্রামে।
স্থানীয় ও মৃতাদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ বর্ধমান থেকে পর্যটকদের নিয়ে একটি বাস উত্তর ভারত ভ্রমণে রওনা হয়। ৬০ জনেরও বেশি পর্যটক ছিলেন ওই দলে। খণ্ডঘোষ, গলসি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা ওই বাসে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে গত মঙ্গলবার পর্যটক দলটি শ্রীনগরে পৌঁছয়। পরদিন শ্রীনগর ঘুরতে বের হন তাঁরা। বৃহস্পতিবারও বের হন পর্যটকদের অনেকে। স্থানীয় দুটি বড় গাড়ি নিয়ে ঘোরেন পর্যটকরা। সব ঠিকই ছিল, কিন্ত এরপরই ঘটে দুর্ঘটনা। সোনমার্গ থেকে ফেরার পথে শ্রীনগর-লেহ হাইওয়েতে গন্দারবাল জেলার কুরয়ান এলাকায় পর্যটকদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। গাড়ির সকল পর্যটকই জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিস সহ অন্যান্যরা সকলে মিলে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই দুই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। পরিবারের দাবি, প্রশাসনের সহায়তায় সঠিকভাবে দেহগুলি বাড়ি ফিরে আসুক।
জাতীয় সড়কের মাঝে গরু চলে আসায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ল দুটি গাড়ি। যার জেরে আহত ১২ জন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের বানারহাট ও দেবপাড়া চা বাগানের মধ্যবর্তী এলাকায় ৩১সি জাতীয় সড়কে।
জানা গিয়েছে, দেবপাড়া চা বাগানের অর্জুনবাড়ি প্ল্যান্টেশন সংলগ্ন জাতীয় সড়কে হঠাৎই একটি গরু চলে আসায়, বানারহাটের দিক থেকে নাগরাকাটার দিকে যাওয়া একটি ছোট গাড়ির সঙ্গে গরুটির ধাক্কা লাগে। গাড়ির ধাক্কায় গরুটি ছিটকে রাস্তার মাঝে গিয়ে পড়ে। এই সময় উল্টো দিক থেকে আসা ধূপগুড়ি গামী একটি যাত্রীবাহী গাড়ি গরুটিকে বাঁচাতে গিয়ে রাস্তার মাঝেই উলটে যায়। গাড়িটিতে থাকা ১২ জন গুরুতর জখম হন। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে বানারহাট থানা এবং ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিক ও কর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে বানারহাট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বানারহাট হাসপাতাল থেকে এদের মধ্যে চার জনকে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি দুটিকে আটক করেছে।
ফের বাঁকুড়া রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনা। পথদুর্ঘটনায় মৃত এক গৃহশিক্ষক। গৃহ শিক্ষকের নাম মহান্ত। বাড়ি মেজিয়ার নগরডাঙ্গা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো তিনি রবিবারও সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ স্থানীয় সীতাডাঙ্গাল গ্রাম থেকে গৃহশিক্ষকতা করে সাইকেলে চড়ে নিজের গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় জামকুড়ি মোড় এলাকায় কোনও একটা গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান গৃহশিক্ষক।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় মানুষজনের ভিড় জমতে শুরু করে দুর্ঘটনাস্থলে। তাঁরা মৃতদেহকে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাঁকুড়া রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ঘটনাস্থলে পৌঁছময় মেজিয়া থানার পুলিস। বিক্ষোভের মুখেও পড়েন পুলিসকর্মীরা।
মৃতার পরিবারকে সঠিক ক্ষতিপূরণ এবং ঘাতক গাড়িটিকে আটক করার দাবিকে সামনে রেখে মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখেই চলে বিক্ষোভ। দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনার পর পুলিসি আশ্বাসে অবশ্য অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। স্বাভাবিক হয়ে যান চলাচল।
শান্তিময় মণ্ডল নামে বিক্ষোভরত এক ছাত্র বলেন, তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে স্যারের কাছে পড়ছেন। তাঁদের পড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়। অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও ঘাতক গাড়িটিকে আটক না করায় তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে এই জাতীয় সড়কে। পুলিস এ ব্যাপারে কী হস্তক্ষেপ করে সেটাই দেখার।
রবিবার সকালে হঠাৎই একটি গাড়ি রানীকুঠি মোড়ের (Ranikuthi Accident) সামনে গার্ডরেলে ধাক্কা মারে। টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়ার দিকে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে পুলিসের সাহায্যে গাড়ির ভিতর থেকে এক ব্যক্তিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁকে পাঠানো হয় বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Baghajatin Hospital)। সেখানে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত।
এরপরেই তাঁকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলে মৃত ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃত রণেন্দ্রমোহন ব্যানার্জী (৭৪) গড়িয়ার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে খবর, গাড়ি চালাতে চালাতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে বুকে পাম্প করে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয় সেই চেষ্টা।
টোটোর পিছনে লরির ধাক্কায় গুরুতর আহত ৫ শিশুসহ মোট ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদহ থানা নারায়ণপুর মিশন রোড সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে কিষানগঞ্জ থেকে প্রায় ১৫ জন পরিবারের সদস্যরা মালদহের গাজলের পান্ডুয়া উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন দারগা করতে। মালদা টাউন স্টেশন থেকে একটি টোটোতে সকলে ওঠেন পান্ডুয়ার উদ্দেশ্যে। সেই সময় নারায়ণপুর মিশন রোড এলাকায় পিছন দিক থেকে একটি লরি তাদের সজোরে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় টোটো চালক সহ সকলেই আহত হন।
স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকেই সকলকেই মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় টোটো চালক গৌতম দাস সহ পাঁচ জন আশঙ্কাজনক। টোটো চালকের নাম গৌতম দাস (৪০)। তাঁর বাড়ি মালদা শহরের ঝালঝালিয়া এলাকায়।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চারজন যুবকের। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কান্দি সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কে বড়ঞা থানার হরিবাটি গ্রামের কাছে। বাইকে যাওয়ার সময় কালভার্ট অথবা কোনও গাড়ির ধাক্কায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান। তবে স্থানীয় বাসিন্দা নয় ওই ৪ জন যুবক বলেই জানায় স্থানীয়রা। ৪ জনের দেহ উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিস।
সূত্রের খবর, ওই ৪ জন যুবক রবিবার রাতে যাত্রা শুনতে গিয়েছিলেন। পরিবার জানত যাত্রা শুনে বাড়ি ফিরবে ঘরের ছেলেরা। কিন্তু তা আর হল না। সকাল থেকে খোঁজাখুজির পর পরিবারের কাছে ফোন আসে থানা থেকে। এরপরই জানা যায় দুর্ঘটনার কথা। জানা যায়, তাঁদের মধ্য়ে তিন জনের বাড়ি বেলগ্রামে, অপরজনের বাড়ি তালমা গ্রামে। তবে কীভাবে তাঁদের মৃত্য়ু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। শোকের ছায়া পরিবারে।
ওড়িশার খুরদায় সাসপেন্ডেড বিজেডি বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় আহত অন্তত ২২। আহতদের মধ্যে ৭ জন পুলিসকর্মীও আছে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর স্থানীয় জনতার হাতে প্রহৃত হয়েছেন অভিযুক্ত বিধায়ক প্রশান্ত জগদেব। জেলা পুলিস সূত্রে খবর, খুরদা জেলার বানাপুর বিডিও অফিসে স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিশাল জমায়েত ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন ছিল পুলিসও। সেই সময় বিধায়কের গাড়ি এসে ধাক্কা মারে ওই জমায়েত।
এই ঘটনার পর বানাপুর থানার আইসি-সহ একাধিক মানুষ গুরুতর জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৫ জন বিজেপি কর্মীও আছেন। তাঁদের ভুবনেশ্বর এইমস-এ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোন খবর মেলেনি।
গত বছর দলবিরোধী কাজের জন্য এই বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছে বিজু জনতা দল বা বিজেডি।
ফের বড়সড় দুর্ঘটনা (Road Accident) ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে। দুর্ঘটনার কবলে বিয়ের গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে আলিপুরদুয়রের (Alipurduar) ডিমডিমা চা বাগান এলাকায়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বরের নাবালক ভাগ্নের। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় বর সৌমিক চক্রবর্তী গুরুতর আহত হন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে। সেখান থকে রেফার করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (North Bengal Medical College)। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে আহত সকলকেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, বরের গাড়িটি সামনের একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে যায়। সেসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ডাম্পারের পিছনে সজোরে আঘাত করে বরের গাড়িটি। যার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের।
প্রসঙ্গত, সোমবার আলিপুরদুয়ারের ওই ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়েতে একটি ১৮ চাকার ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির। যার জেরে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ওই ছোট গাড়িটি। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মাদারিহাটের হলং থেকে এথেলবাড়ি পর্যন্ত এশিয়ান হাইওয়ের ২০ কিমি দীর্ঘ অংশটিতে ৫২ মাসে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯০ জনের।
সবটাই মনের জোর। অদম্য মনের জোরেই আজ জীবনের প্রথম সব থেকে বড় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছল ওরা দুজন। ওই দুই পরীক্ষার্থী হল জিনিয়া কিস্কু এবং তার দাদা ঘনশ্যাম কিস্কু। দুজনেই তৈরি ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে। রাত ফুরোলেই পরীক্ষা। কিন্তু মধ্যরাতে হঠাৎ এল দুঃসংবাদ। বাবা নেই। একদিকে পরীক্ষার চাপা উত্তেজনা, ভয়, অন্যদিকে বাবাকে হারানোর শোক। কিন্তু ওরা টলেনি। দুর্ঘটনায় মৃত বাবার চলছে ময়না তদন্ত, অদম্য মনের জোরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল দুই সন্তান। আসলে মনে ছিল বিশ্বাস। বাবা হয়তো পার্থিব জগতে নেই, কিন্তু তিনি আছেন তাদের সঙ্গেই। তাই চোখের জল নয়, এক অসম লড়াই শুরু করল জিনিয়া, ঘনশ্যাম।
বীরভূমের আমোদপুরের বাসিন্দা শিবশঙ্কর কিস্কু (৪২)। রবিবার বীরভূমের বোলপুরের কাশিপুর সংলগ্ন এলাকায় বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার পর তাঁর দেহ পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে বোলপুর সিয়ান হাসপাতালে। সেখানেই চলে তার ময়নাতদন্ত।
শিবশঙ্করবাবুর ছেলে ঘনশ্যাম কিস্কু। মেয়ে জোনাকি কিস্কু। দু’জনেই এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দু’জনই স্থানীয় কেসাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ত। সোমবার তারা আমোদপুর জয়দুর্গা উচ্চবালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা দিতে যায়। এই দুই ছাত্র ছাত্রীর মনোবল দেখে অবাক শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। মৃতের মেয়ে জোনাকি কিস্কু বলে, রবিবার রাতেই বাবার মৃত্যুর খবর পাই। এরপরেই আজ পরীক্ষা দিতে এসেছি।
এইভাবে এই দু'জনকে পরীক্ষা দিতে আসা দেখে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, অদম্য মনের জোর না থাকলে পরীক্ষায় বসাটা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াত। খুব ভালো লাগছে যে তারা এইভাবে বাবাকে হারানোর পরেও বাবার স্বপ্নপূরণের জন্য জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসেছে।
বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীবাহী একটি টাটা সুমো। ঘটনায় মৃত ২ জন, আহত আরও ২ জন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি থানার তক্তিপুর মোড় এলাকায়। ঘটনার পর রাস্তায় স্পিড ব্রেকারের দাবিতে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পরে পুলিসের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। তবে তাঁদের দাবি কবে পূরণ হবে, তা অজানা সকলেরই।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মেমারি থেকে সাতগাছিয়ার দিকে একটি যাত্রীবোঝাই টাটা সুমো গাড়ি বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিল। সেই সময় তক্তিপুর মোড় এলাকায় উল্টোদিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ৪ যাত্রী। তাঁদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। বাকিদের উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকি ২ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই এই মোড়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। থানায় বারবার বলা হলেও কোনও হেলদোল নেই। আজ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। তবে এবারও মিলেছে প্রতিশ্রুতি। কবে সুরাহা মিলবে, সেইদিকেই তাকিয়ে তাঁরা।
উত্তরপ্রদেশের অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র বারাণসীতে ভোটপ্রচার সেরে কলকাতা ফেরার পথে বড়সড় বিভ্রাটের মুখে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিমান। সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সেই বিমান বিভ্রাট নিয়েই মুখ খুললেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর বিমানের সামনে আরেকটি বিমান চলে এসেছিল। পাইলটের দক্ষতায় প্রাণে বেঁচে যান। তবে কোমরে ও বুকে আঘাত লাগে তাঁর। এর জেরে প্রায় ৮ হাজার ফিট নিচে নেমে যায় তাঁদের বিমান। আর ১০ সেকেন্ড হলেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেড প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া সত্ত্বেও কেন এমন ঘটনা ঘটল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন।
কিন্তু এ প্রসঙ্গে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, আবহাওয়া খারাপ থাকার দরুণ এমনটা হয়েছে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে আগাম যাত্রীদের জানানোর কথা। সে সংক্রান্ত কোনও খবরও ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বিমান ওই রুট দিয়ে যাবে, তা পূর্বেই জানত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। বিমানের রুট ক্লিয়ারেন্স ছিল কিনা, তা জানতে চেয়েছিলেন মুখ্যসচিব। আগামী দিনে এমন ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে, সেদিকে সজাগ থাকার কথাও বলা হয় নবান্নের তরফ থেকে।
লরির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার পুয়াবাগানের কাছে। এলাকার বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পাশাপাশি ওই সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া একের পর এক গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের উপর শুক্রবার পুয়াবাগান মোড়ের কাছে আচমকাই ধলডাঙ্গা থেকে পুয়াবাগানের দিকে যাওয়া একটি বেপোরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্থানীয় এক সাইকেল আরোহীর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। আশপাশের গ্রাম থেকে উত্তেজিত জনতা ঘটনাস্থলে হাজির হয়। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ও মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
উত্তেজিত জনতা এই সময় ওই সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াতকারী ৬ টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ(Bus-Truck accident) । জখম ১০ জন। বুধবার মধ্যরাতে বিহার(Bihar) থেকে শিলিগুড়ি(Siliguri) আসার সময় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। পরে দমকল বাহিনীও এসে পৌঁছায়। আহতদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাসের চালক ভেতরেই আটকে থাকায় দমকলের কর্মীরা বাসের গেট কেটে উদ্ধার করেন। চালক ঘুমের ঝোঁকে পড়ে এই দুর্ঘটনা বলে জানা গিয়েছে। এক দমকলকর্মী জানান, বুধবার রাত ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। চালক খুবই গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
গোটা ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।