
সতীশ কৌশকের মৃত্যুশোক কাটতে না কাটতেই ফের বলিউডে শোকের ছায়া।প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা (Entertainment) সমীর খাকর। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। কয়েকদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট ও নানা শারীরিক রোগে ভুগছিলেন নুক্কর খ্যাত এই অভিনেতা। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি তাঁকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে যেতেই শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল (Paralysis) হতে শুরু করে। চিকিৎসকদের অনেক চেষ্টার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার ভোরে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। অভিনেতার মৃত্যুতে তাঁর ছোট ভাই গনেশ খাকর জানান, 'মঙ্গলবার বিকেলে শরীর খারাপ হওয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন দাদা। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকায় মৃত্যু হয় অভিনেতা সমীর খাকরের।' বুধবার অভিনেতার শেষকৃত্য(Last Rites)।
সমীর খাকর দূরদর্শনের জনপ্রিয় নুক্কর ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ ছিলেন। সার্কাস ধারাবাহিকেও কাজ করেন সমীর। পাশাপাশি ছোট পর্দায় রাজাবাবু, দিলওয়ালে, শাহেনশার মতো ছবিতেও দেখা গিয়েছে এই অভিনেতাকে।
প্রসূন গুপ্ত: সব্যসাচী চক্রবর্তী, এমন এক চরিত্র বা অভিনেতাও বলা উচিত, যাকে মানুষ প্রথমে চেনে ছোট পর্দার গোরা হিসেবে। তারপর চেনে বড়পর্দার 'ফেলুদা' হিসেবে। অভিনয়ে আসার কথাই ছিল না তাঁর। যদিও পরিবারের একটি অংশ থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিল, কাজেই একপ্রকার নাট্যজগতে আসাটা ব্যতিক্রমী কিছু না। উচ্চশিক্ষিত পরিবারের ছেলে, নিজেরও পড়াশোনা প্রচুর। তাঁর কথায়, 'বাবাকে দেখেই নাকি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।' কিছুদিন আগে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। সেখানেই নানা প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, 'আর সিনেমা করবেন না।' কিন্তু কেন এমন ইচ্ছা? সব্যসাচী জানান, 'তাঁকে নাকি আর মানায় না।' কিন্তু মানাচ্ছিলো তো দিব্বি। বাবার চরিত্র থেকে দাদুর চরিত্রে অভিনয় পর্যন্ত করেছেন। শুধু এ রাজ্যেই নয়, বলিউড এবং ওপার বাংলার ছবিতেও অভিনয় করেছেন।
খাকি ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে এক রাজনৈতিক নেতার ভূমিকা তো ভোলার নয়। ভোলার নয় 'দিল সে'-র চরিত্র। বাংলাদেশ মিডিয়ার কাছে বাংলা চলচ্চিত্রের বেণু দা জানিয়েছেন, 'তিনি নাকি মিস্ত্রি হতে চেয়েছিলেন।' মজা মনে হতে পারে কিন্তু যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছিলেন, যে মেশিন নিয়ে কাজ তাঁর নাকি চিরকালের পছন্দ।
তাঁর পিসেমশাই প্রয়াত জোছন দস্তিদার ছিলেন নাটকের অন্যতম ব্যক্তিত্ব। জোছনবাবু প্রথম দূরদর্শন বাংলায় শুরু করেছিলেন ধারাবাহিক 'তেরো পার্বন'। সব্যসাচীর ইচ্ছা ছিল টেকনিক্যাল কাজে যোগ দেবেন। তাঁর প্রিয় কাজ ক্যামেরার পিছনে থাকা। দারুণ ছবিও তোলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। কিন্তু তাঁকেই জোর দেওয়া হয়েছিল অভিনয়ের জন্য। এরপর আর বোধহয় পিছনে তাকাতে হয়নি। তবে সব্যসাচী তথাকথিত নায়ক চরিত্রে অভিনয় করতেন না। পার্শ্বচরিত্রই তাঁর প্রিয় ছিল। এছাড়া নাটক তো ছিলই। তবে যাই হোক না কেন সব্যসাচীর অভিনয়ের মাইলস্টোন ফেলুদা চরিত্র।
তিনি জানান, 'ফেলুদা চরিত্রে আমাকে আর মানায় না। ফেলু দা-র চরিত্রে তাঁর দেখা সেরা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি আর সিনেমায় নেই।' কী করবেন ভবিষ্যতে, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়ে পড়বো। নতুন জীবন!'
অস্কারের মঞ্চে দর্শকের মন জয় করলেন দীপিকা পাডুকোন। কাঁধ খোলা কালো পোশাকে দেখা গেলো দীপিকাকে। আশির দশকের হলিউড অভিনেত্রীদের মতো সেজে অস্কার মঞ্চ কাঁপালেন বলিউডের পিকু। ভারতীয়দের কাছে গর্বের মুহূর্ত। এবার দীপিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। দীপিকাকে নিয়ে কঙ্গনা সমাজমাধ্যমে লেখেন,'এমন এক মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব হাসিমুখে সামলানো সহজ কথা নয়। ওর ওই সুন্দর দু’কাঁধে দেশের গৌরব ছড়িয়ে পড়েছে। কী সুন্দর ওর অভিব্যক্তি! অসাধারণ কথা বলার ভঙ্গি আর আত্মবিশ্বাস। আমি মুগ্ধ।'
কালো পোশাকে দীপিকা মঞ্চে উঠতেই করতালিতে ভরে যায় ডলবি থিয়েটার প্রেক্ষাগৃহ। নাটু নাটু গানের পারফরম্যান্সের আগেই শিল্পীদের মঞ্চে ডেকে নেন বলিউডের মস্তানি। অস্কারের মঞ্চে দিপীকা প্রমাণ করে ছাড়লেন ভারতীয় নারীরাই সেরা।
ঘোষণা আগেই হয়েছিল, সেই মোতাবেক কালো গাউনে অস্কার মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বলিউডের পিকু (Deepika Padukone)। ৯৫তম অস্কার পুরস্কারের অনুষ্ঠানে অন্যতম উপস্থাপক ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। কান চলচ্চিত্র উৎসবে জ্যুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য ছিলেন দীপিকা। এমনকি কাতার বিশ্বাকাপের মঞ্চেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এভাবে ক্রমেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লেও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা চিনতেই পারলেন না বলিউডের মস্তানিকে। দীপিকার সব ছবিতে দুটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ব্রাজিলিয়ান মডেল ক্যামিলা অ্যালভেসের নাম বসিয়েছে।
তাতেই যত গোলমাল। সংবাদ সংস্থার ছবির ক্যাপশনের সূত্র ধরে নামী-দামি সব আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন একই ভুল করেছে। ছাপিয়েও দিয়েছে সেই ব্রাজিলিয়ান মডেলের নাম। যদিও এদিন জমকালো অনুষ্ঠানে দীপিকার পরনে লুই ভিতোঁর কালো কাঁধখোলা বল গাউন, হাতে কালো গ্লাভস নজর কেড়েছে। গলায় হিরের নেকলেসে ঝুলছে পোখরাজের লকেট। হাতে হিরের ব্রেসলেট ও আংটি।
মোদ্দা কথা আশির দশকের হলিউড অভিনেত্রীদের লুকে দেখা গেল তাঁকে। কিন্তু সংবাদ সংস্থারা তাঁকে হলিউড অভিনেতা ম্যথু ম্যাককোনাহের স্ত্রী ক্যামিলা ভেবে বসল!
১৪ বছরের খরা কাটিয়ে অস্কার জয় (Won Oscar) ভারতের। প্রথম থেকেই সম্ভাবনা ছিল। এবার অপেক্ষার অবসান। 'RRR'-ছবির 'নাটু নাটু' গানের মুকুটে নয়া পালক। ফের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে। এর আগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পেয়েছিল রাজামৌলীর 'RRR' ছবির 'নাটু নাটু' গানটি। এক কথায়, এবার রেকর্ড গড়েছে 'RRR'। বেস্ট অরিজিনাল সংয়ের পুরস্কার জিতে নিয়েছে অস্কারের মঞ্চে। উচ্ছ্বসিত গোটা দেশ।
অন্যদিকে, সোমবার লস অ্যঞ্জলসের ডলবি থিয়েটারে ৯৫ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের ডকুমেন্টরি শর্ট বিভাগে সেরা তথ্যচিত্র হিসাবে সম্মানিত হল 'The Elephant Whisperers'। ছবিটি পরিচালনা করেছেন পরিচালক কার্তিকি গঞ্জালভিজ। প্রযোজক গুনিত মঙ্গা। মানুষ আর পশুর মধ্য সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এই তথ্যচিত্র। হাতিদের রক্ষা করার বিশেষ বার্তাই দিয়েছে এই তথ্যচিত্রটি। ওদিকে অস্কার পেয়ে আপ্লুত প্রযোজক গুনিত মঙ্গা। টুইটে তিনি লেখেন, “ভারতীয় প্রযোজক হিসেবে এই প্রথম কেউ অস্কার পেল। দুজন নারীর জয় এটা। এখন কাঁপছি।”
রবিবার রাত থেকেই শ্বাসরোধ ছিল গোটা ভারতবাসীর। মোট তিন মনোনয়ন, সোমবার ভোর হতেই শুরু হয়ে যায় কাউন্টডাউন। মনোনয়ন পাওয়ার খবর শেয়ার করে আরআরআর-এর পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল, ‘নাট্টু নাট্টু’ শ্রেষ্ঠ অরিজিনাল সং বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে। এই খবর শেয়ার করে আমরা গর্বিত। আন্তর্জাতিক এই পুরস্কার হাতে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন সুরকার কিরাবাণী।' গান গেয়েই তিনি ধন্যবাদ জানান পরিচালক এস এস রাজামৌলি ও ‘RRR’ সিনেমার গোটা টিমকে।
মাতৃহারা হলেন বলি (Bollywood) সুন্দরী মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit)। প্রয়াণকালে তাঁর মায়ের (Death) বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় মাধুরী দীক্ষিতের মা স্মেহলতা দীক্ষিতের। মায়ের মৃত্যুতে গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। মাধুরীর ভক্তমহলও শোক প্রকাশ করেন।
অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের কেরিয়ারের প্রথমদিন থেকেই ছায়া-সঙ্গী ছিলেন তাঁর মা স্মেহলতা দীক্ষিত। তারপর অভিনয় জগতে আসতেই মেয়েকে শুটিং সেটে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সবটাই নিজে করতেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিক কারণেই মৃত্যু হয় স্মেহলতা দীক্ষিতের।
২০২২-এর জুন মাসে বেশ ধুমধাম করে মায়ের জন্মদিন পালন করেছিলেন মাধুরী। সমাজমাধ্যমে ছবি রয়েছে সেই মুহূর্তের। মাধুরী দীক্ষিত এবং তাঁর স্বামী শ্রীরাম নেনে জানিয়েছেন,‘আমাদের প্রিয় আই, স্নেহলতা দীক্ষিত, প্রিয়জনদের মাঝেই পরলোক গমন করেছেন।’স্মেহলতাদেবীর মৃত্যুতে শোকাহস্ত গোটা মাধুরী পরিবার।
অস্কারের (Oscar) আগেই বড়সড় এক পার্টির আয়োজন করলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)। তারপরেই ৯৫ তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। সোমবার দেখা যাবে কার হাতে উঠল এবছরের অস্কার।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আয়োজিত করা পার্টিতে আমন্ত্রণ ছিল,অস্কারে নাম নথিভুক্ত বেশ চর্চিত যুগল রামচরণ ও তাঁর স্ত্রীর। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের তারকা শিল্পীরাও এই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন আরআরআর সিনেমার তারকা, নাটু নাটু গানের গায়ক রাহুল সিপলিগঞ্জ ও কালা ভৈরব। পার্টির কিছু মুহূর্ত দেখা গেলো সমাজমাধ্যমে।
এরপরেই পার্টিতে এসে উপস্থিত হয় প্রিয়াঙ্কার স্বামী নিক জোনস-সহ পরিবারের বেশ কিছু সদস্য। অভিনয় জগতে থাকলেও পরিবার নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী প্রিয়াঙ্কা। এইকারণেই হয়তো স্বামী নিক প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে গর্বিত। পার্টিতে একটি সাদা পালকের পোশাকে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। পার্টিতে বেশ তাক লাগিয়েছিল প্রিয়াঙ্কার লুক। পার্টির একটি ছবি শেয়ার করলেন প্রশংসা করলেন স্বামী নিক জোনস।
উল্লেখ্য, ৯৫তম অস্কার অ্যাকাডেমির পুরষ্কার এবছর কে পেতে চলেছে তা নিয়ে আগ্রহী হয়ে আছেন অনেক অনুরাগীরা। অস্কার না পেলেও, অস্কারে নাম নথিভুক্ত সকল তারকাদের জন্য থাকবে একটি উপহারের ব্যাগ। সেই উপহারের ব্যাগের মধ্যে থাকবে কোটি কোটি টাকার উপহার। জানা গিয়েছে, এবারের উপহারের ব্যাগে থাকবে ৬০ টিরও বেশি দামী উপহার। অ্যাকাডেমিক পুরষ্কার না পাওয়ার কারণেই এই সান্ত্বনা পুরষ্কার ব্যাগের আয়োজন। অস্কার না পেলেও মন খারাপের কোনো জায়গা থাকবে না। কারণ এবারের পুরষ্কারে থাকবে অনেক কিছু, যেমন-বিদেশ ভ্রমণের টিকিট,বিলাসবহুল রেস্তোরাতে খাবার কুপন, বিনামূল্যে প্লাস্টিক সার্জারি করার কুপন, হেয়ার স্পা করার কুপন। এছাড়াও থাকবে নানা স্বাদের বিদেশি চকলেট, ড্রাইফ্রুটস,আরও থাকবে বেশ মোটা টাকার একটি চেক ভাউচার। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ কোটির উপহার থাকবে ব্যাগে। সকলে তাঁর প্রিয় তারকার হাতে অস্কার দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।
৯ মার্চ জীবনাবসান হয়েছে বলিউডের (Bollywood) বর্ষীয়ান অভিনেতা ও পরিচালক সতীশ কৌশিকের (Satish Kaushik)। তবে অভিনেতার প্রয়াণের(Death) পর থেকেই তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই খামারবাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিস (Delhi Police)। তবে কি খামারবাড়িতেই এমন কোনও ঘটনা ঘটেছিল, যার জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হন অভিনেতা? উঠছে নানান প্রশ্ন। তবে এই ঘটনার জেরে মুখ খুললেন খামারবাড়ির মালিক তথা দিল্লির ব্যবসায়ী বিকাশ মালুর স্ত্রী।
বিকাশ মালুর স্ত্রী সানভি মালুর অভিযোগ, সতীশ কৌশিককে নাকি বিষ প্রয়োগ করে খুন করে থাকতে পারেন তাঁর স্বামী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য সানবিকে ডাক পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিস।
দুবাই-কেন্দ্রিক ‘কুবের গ্রুপ’-এর শীর্ষকর্তা হলেন এই বিকাশ মালু। বিকাশ মালুর কুবের গ্রুপের ছাতার তলায় তৈরি হয়েছে ‘কুবের শপ’, ‘এনভি লাইফস্টাইল প্রাইভেট লিমিটেড’-এর মতো একাধিক শাখা-সংস্থা। এমনকি ভারতের উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে এখন দেশের প্রথম সারির সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম কুবের গ্রুপ। এক সাক্ষাৎকারে কুবের সংস্থার ডিরেক্টর বিকাশ মালু জানান, লকডাউনের সময় ২০২০-র অক্টোবরেই বাজারে আসে ‘কুবের শপ’। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সাধারণ নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কুবের শপ নিয়ে আসেন বিকাশ মালু। ২০২২ সালের মধ্যে দিল্লিতেই ১২টি বিপণি ছিল কুবের শপের। শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসই নয়, দেশের সাধারণ মানুষকে বিশ্বমানের পণ্যের অভিজ্ঞতা দেওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে কুবের শপ।পাশাপাশি, ‘এনভি লাইফস্টাইল প্রাইভেট লিমিটেড’-এর মাধ্যমে বিদেশি সিগার ও সুরার সন্ধান পাবেন দেশের মানুষ। শুধু ভারত নয়, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কাতেও ব্যবসা বাড়াচ্ছে বিকাশ মালুর সংস্থা।কুবের গ্রুপের আরও একটি শাখা হল ‘কুবের এন্টারটেনমেন্ট’।
রাজস্থানের চুরু জেলার সর্দার শহরে একটি মোবাইল থিয়েটার উদ্বোধন করতে যান প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশিক। সেই প্রেক্ষাগৃহের নেপথ্যেই ছিল এই কুবের এন্টারটেনমেন্ট। উদ্বোধনের পর সেই প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয় এই বছরের সব থেকে বেশি চর্চিত ছবি ‘পাঠান’। শুধু রাজস্থানেই নয়, লেহ, লাদাখ, তেলঙ্গানা ও অরুণাচল প্রদেশেও মোবাইল থিয়েটার তৈরি করেছে বিকাশ মালুর এই সংস্থা কুবের শপ।
বলিপাড়ার (Bollywood) 'কমেডি কিং'- এর প্রসঙ্গ উঠলে সবার আগে নাম আসে কপিল শর্মার (Kapil Sharma)। দেশ থেকে দেশের বাইরে সবাইকে বছরের পর বছর ধরে হাসিয়ে চলেছেন। তাঁর কথায় হাসতে হাসতে প্রাণ যাওয়ার জোগাড় হয় সকলের। তিনি নানা সময়ে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য কখনও কখনও সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ঝড় তুলে দেয়। একসময় মদ্যপ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে (PM Narendra Modi) টুইট করে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। আবার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে চর্চায় উঠে এলেন কপিল। এবার কী কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন তিনি?
সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে কপিলের নতুন ছবি ‘জুইগাটো’। এই ছবির প্রচারে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে কপিল বলেন, 'তাঁর শোয়ে আসার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পজিটিভ বার্তা দেন।' তাহলে কি খুব শীঘ্রই ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এর অতিথি আসনে দেখা যেতে পারে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদীকে।
তবে না, এখনই আসছেন না মোদীজী। কারণ কপিলের নিমন্ত্রণে মোদীজি জানিয়েছিলেন, 'আমার বিরোধীরা এমনিতেই কম রসিকতা করছে না, তোমার অনুষ্ঠানে না হয় অন্য কখনও যাব।’ ফলে অনুমান করা যায়,অদূর ভবিষ্যতে নরেন্দ্র মোদী কপিল শর্মা শো-য়ে অতিথি হয়ে আসতেই পারেন।
ফেব্রুয়ারিতেই সইসাবুদে বিয়ে সেরেছেন বলিউড অভিনেতা স্বরা ভাস্কর (Swara Vaskar Marriage)। বিয়ে করেছেন রাজনৈতিক কর্মী তথা সমাজবাদী পার্টির যুবনেতা ফাহাদ আহমেদকে (Fahad Ahmed)। দুই হৃদয়ের ভালবাসা পরিণতি পেয়েছে। তবে বিয়ের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত কাকপক্ষীকে জানত না এই সুখবর। কিন্তু চলতি মাসেই সামাজিক বিয়ে (Social Marriage) সারছেন স্বরা। আর সেটাও ধুমাধাম করে। রীতিমতো সমাজমাধ্যমে বিয়ের প্রস্তুতি ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী।
And the celebrations begin for @ReallySwara & @FahadZirarAhmad shaadi! And the official wedding hashtag is #SwaadAnusaar ❤️✨😘 pic.twitter.com/HDvpxhse66
— Faraz Arif Ansari (@futterwackening) March 10, 2023
দিল্লিতে দিদার বাড়িতে সব আচার-রীতি মেনে ফাহাদের সঙ্গে সাত পাকে ঘুরবেন স্বরা। দিল্লিতে তাঁর দিদিমার বাড়িতে শুরু বিয়ের অনুষ্ঠান। আইনি বিয়ের সময় স্বরা-ফাহাদের পাশে ছিলেন দু'পক্ষের পরিজন ও বন্ধুবান্ধব। তবে বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দেয় বলিউড।
এবার দিল্লিতে সামাজিক অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রিতের তালিকায় থাকছেন যুগলের আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুরা। জানা গিয়েছে, ১২ মার্চ থেকে শুরু হতে চলেছে প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান। ভিন্ন দুই ধর্মের মিলন ঘটেছে, তাই সেভাবেই সাযুজ্য রেখে চলছে বিয়ের প্রস্তুতি।
এক অনুষ্ঠানে অনেক দিন পর ছোটপর্দায় একসঙ্গে রণবীর-করিনা। অনেকদিন পর রণবীর ও করিনাকে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে বেশ খুশি অনুরাগীরা। বলিউডের অন্যতম চর্চিত চরিত্র রণবীর কাপুর এবং করিনা কাপুর খান। সম্পর্কে এঁরা তুতো ভাইবোন। ‘হোয়াট ওমেন ওয়ান্ট’-অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন রণবীর। সেখানে দুজনে মিলে বেশ কয়েকটি ছবি তোলেন। জানা গিয়েছে, রণবীর এবং করিনার সম্পর্ক নষ্ট করার পিছনে নাকি ছিলেন করণ জোহর। এই সম্পর্ক নিয়ে এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রণবীর।
তিনি বলেন, 'তাঁর কাছে সম্পর্কের মূল্য অনেক বেশি। যদি কোনও ভুল করে থাকেন, তবে ক্ষমা চাওয়ায় কোনও ক্রটি রাখেন না। কারণ সম্পর্ক ভাঙতে কিংবা মানুষকে হারাতে একদম চান না।'
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া রণবীর কাপুর-শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত 'তু ঝুটি ম্যায় মক্কার' বক্স অফিসে বেশ ভালোই ব্যবসা করছে। করিনার পরিবেশনায় সম্প্রচারিত এই শোয়ে এসে রণবীর জানান, 'রণবীর-করিনার সম্পর্ক ভাঙতে চেয়েছিলেন করণ জোহর।'
ফের বলিউডে (Tollywood) দুঃসংবাদ। গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি পরিচালক শ্যাম বেনেগাল (Shyam Benegal)। কিডনির অসুখে (Kidney failure) ভুগছেন ৮৮ বছরের বর্ষীয়ান পরিচালক। তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে, হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দুটি কিডনি একেবারে অচল হয়ে পড়ে। ডায়ালিসিস চলছে পরিচালকের। আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসকদের পরামর্শে রয়েছেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন থেকেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ছিল পরিচালকের। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায়, বাড়ির মধ্যে অফিসেও যেতে পারছেন না। তবে জানা গিয়েছে, এর মধ্য়েই পরের ছবি ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন’ -এর কাজের কথা ভাবছেন। এই ছবির কাজের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্যাম বেনেগল।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে ‘অঙ্কুর’ ছবির হাত ধরে আত্মপ্রকাশ তাঁর। প্রথম ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু করে পরপর পাঁচ বছর জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন শ্যাম বেনেগাল, যা তাঁর কর্মজীবনের অনন্য নজির। পরিচালকের ‘জুনুন’, ‘মন্থন’, ‘আরোহণ’ ছবি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। এছাড়াও দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কারে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।
আলিয়ার অজান্তেই তাঁকে ক্যামেরাবন্দি করার ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলেন রণবীর কাপুর। নিজের বাড়ির বারান্দায় চিত্রশিল্পীদের ক্যামেরায় বন্দি হয়েছিলেন আলিয়া ভাট। এমনকি অভিনেত্রীর পাশের বাড়ির ছাদ থেকে এভাবে ছবি তোলায় সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন রণবীর-পত্নী। এই আচরণে রীতিমতো ক্ষিপ্ত আলিয়া। এই কারণে চিত্রসাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিলেন রণবীর কাপুর।
জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্তে অর্জুন কাপুর, অনুষ্কা শর্মা, করণ জোহর-সহ বলিউডের একঝাঁক পরিচিত মুখ পাশে রয়েছেন আলিয়ার। আলিয়ার সঙ্গে এরকম ঘটনায় খানিকটা ক্ষুব্ধ রণবীর বলেন, 'চিত্রসাংবাদিকদের কাজের কারণে আমরা অনেক সম্মানিত। তবে এটা কী ধরণের কাজ, কারও অজান্তে কিংবা অমতে তাঁর ব্যক্তিগত মূহুর্ত ক্যামেরাবন্দি করা, একদম ঠিক কাজ নয়। কোনও চিত্রসাংবাদিকের অধিকার নেই এরকম করার।'
সানি লিওনের (Sunny Leone) বিরুদ্ধে ওঠা প্রতারণার অভিযোগ খারিজ করতে চায় খোদ আদালত (Kerala High Court)। ২০২২ সালে সানি, তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ওয়েবার এবং এই দম্পতির এক সহকারীর বিরুদ্ধে উঠেছিল প্রতারণার অভিযোগ। এই অভিযোগে কেরল হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এক ইভেন্ট ম্যানেজার।
সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি কে থমাস জানিয়েছেন, 'সানি লিওনকে অযথা হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাই অভিযোগ খারিজের পরামর্শ দেন বিচারপতি। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে মামলা চলার পক্ষপাতী আদালত। ৩১ শে মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সানি লিওনের বিরুদ্ধে জনৈক ইভেন্ট ম্যানেজারের অভিযোগ, 'তিনি নাকি লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার পরেও অনুষ্ঠানে এসে কোনও পারফর্ম করেননি।'
যদিও অভিযোগ দায়েরের পর তদন্তে দেখা গিয়েছে, সানি পারফর্ম না করায় সেই অনুষ্ঠানের কোনওরকম আর্থিক লোকসান হয়নি। তাই সানির বিরুদ্ধে প্রমাণ না থাকায় এই মামলা খারিজ করে নিম্ন আদালত। তারপরে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারী।
২০১২ সালে বিয়ে করেন সইফ-করিনা। দু’জনের বয়সের তফাত ১০ বছরের। সইফের(Saif Ali Khan) জন্ম ১৯৭০ সালের অগস্টে, করিনার(Karena) ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে। তবে অনেক পথ হেঁটেছেন একসঙ্গে। অভিনেতা সইফ আগে বিয়ে করেছিলেন অমৃতা সিংকে। এমনকি সইফ ও অমৃতার দুটি সন্তান আছে। কিন্তু সেই সম্পর্কেও বিচ্ছেদ এসেছে। পরে ২০০৮ সালে ‘তশন’ ছবির সেটে প্রেমে পড়েন সইফ-করিনা। বিয়ে করেন ২০১২ সালে। তাঁদের প্রথম সন্তান তৈমুর পৃথিবীর আলো দেখে ২০১৬ সালে। ২০২১ সালে জন্ম হয় জেহ বা জাহাঙ্গিরের।
সইফ-করিনার বয়সের এতখানি তফাতই নাকি সম্পর্কের জাদু ধরে রেখেছে, জানাচ্ছেন সইফ। এক সাক্ষাত্কারে অভিনেতা জানান, 'প্রত্যেক পুরুষেরই উচিত বয়সে থেকে বেশ খানিকটা ছোট ও সুন্দরী মহিলাকে বিয়ে করা।' এরপরই অভিনেতা নিজের দাম্পত্য জীবনের উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'করিনাকে বিয়ে করা তাঁর জীবনের সবচেয়ে ভাল ব্যাপার। ছেলেরা একটু দেরিতে পরিণত হয়, কিন্তু মেয়েরা তাড়াতাড়ি সেই জায়গায় পৌঁছে যায়।'
তবে করিনা যেকোনও ছবিতে বেশি বয়সি নায়কের প্রেমে পড়তে আপত্তি জানিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে সইফের সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধান বেশি হলেও পর্দায় এমনটা চান না তিনি। ২০১০ সালে ‘উই আর ফ্যামিলি’ ছবির প্রচারের সময় করণ জোহর করিনাকে জিজ্ঞাসা করেন, 'যদি এমন এক তরুণীর চরিত্র করতে হয়, যেখানে তার চেয়ে বয়সে অনেকটা বড় কারও প্রেমে পড়তে হবে, তখন কি করবে?' এই প্রশ্নের উত্তরে করিনা বলেন, 'কোনও বয়স্ক মানুষের প্রেমে পড়তে চাই না।'