
কলকাতাঃ সদ্য রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েছেন অর্পিতা ঘোষ। তখনই তিনি বলেছিলেন দলের হয়ে কাজ করতে চান। এবার দল তাকে নতুন দায়িত্ব দিল।
তৃণমূল কংগ্রেস এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হলেন বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। আজ শুক্রবার দুপুরে দলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে।
২০১৪-র লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে বালুরঘাট থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন অর্পিতা ঘোষ। কিন্তু ২০১৯-এর ভোটে হেরে যান তিনি। এর এক বছর পর সাংসদ হন অর্পিতা। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান তৃণমূলনেত্রী।
তবে বুধবার হঠাৎই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অর্পিতা ঘোষ। তারপরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে, অর্পিতার ছেড়ে দেওয়া আসনে কাকে তৃণমূল পাঠাবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে তৃণমূল।
এদিকে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, পশ্চিমবঙ্গের বাইরের ‘বড়’ কোনও নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। তাঁর জন্যই রাজ্যসভার আসন রাখা হয়েছে। যদিও ইস্তফা দেওয়ার পর অর্পিতা জানান,আমি সরাসরি সংগঠনের হয়ে কাজ করতে চাই। এ নিয়ে এর আগেই দলকে জানিয়েছিলাম।
কলকাতাঃ ভবানীপুর উপনির্বাচন উপলক্ষে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল এর বিরুদ্ধে কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ পেয়ে, প্রিয়াঙ্কার জবাব চেয়ে চিঠি দেয় কমিশন। এবার পাল্টা অভিযোগ বিজেপির।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি ভাঙার অভিযোগে কমিশনকে চিঠি বিজেপির। প্রিয়াঙ্কার মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট সজল ঘোষ ভবানীপুরের রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে সজল ঘোষ উল্লেখ করেছেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর গুরুদ্বারে গিয়ে কোভিড বিধিভঙ্গ করেছেন মমতা। অভিযোগ, প্রচুর লোকজন নিয়ে গুরুদ্বারে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে শারীরিক দূরত্ববিধিও মানা হয়নি।
এছাড়াও আরও একটি অভিযোগ করেন সজল ঘোষ, ভবানীপুরে প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল এর প্রচারে সাদা পোশাকের পুলিশ ঘুরছে। তৃণমূলের হয়েই বিজেপির প্রচারে ওই পুলিশ। বিজেপির প্রচারে নজরদারি করতেই সাদা পোশাকে পুলিশ।
এর আগে মমতার বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল ভবানীপুরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট সজল ঘোষ। তাঁর দাবি, পাঁচটি মামলার বিষয়ে হলফনামায় কোনও তথ্য দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা অসমে রুজু হয়েছিল।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবারে ভবানীপুর সহ তিন কেন্দ্রে প্রচারে আসছেন । আগামী শনিবার ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি ভবানীপুর কেন্দ্রের লক্ষীনারায়ণ মন্দির প্রেক্ষাগৃহে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে মিলিত হবেন অভিষেক । সন্ধ্যায় তাদের সঙ্গে আলোচনার পর ওই এলাকার ভোটারদের আয়োজনে এক নৈশভোগেও উপস্থিত থাকবেন তিনি । কিন্তু শুধু ভবানীপুর নিয়েই বসে থাকবেন না তিনি । তিনি দুই বিধানসভা যেখানে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট হয় নি সেখানেও প্রচারে যাচ্ছেন বলে সংবাদ ।
ভবানীপুরে যেমন ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট তেমনই দুটি কেন্দ্র যথা জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ বিধানসভাতেও ভোট হচ্ছে । এই দুই কেন্দ্র নিয়ে আদৌ চিন্তিত নয় তৃণমূল কিন্তু এলাকার মানুষের আমন্ত্রণে অভিষেক মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন । ২৩ সেপ্টেম্বর এই দুই কেন্দ্রে প্রচার করবেন অভিষেক । এছাড়া ২৫ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি ফের ভবানীপুর কেন্দ্রে কর্মীসভা করবেন । ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর আর প্রচার করা যাবে না ।
যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নব্য সভাপতি সায়নী ঘোষ সম্প্রতি বিস্ফোরক বক্তব্য রেখেছেন পূর্ব মেদিনীপুরে । এই পূর্ব মেদিনীপুরে বহু তৃণমূল কর্মী 'দাদার অনুগামী' অর্থাৎ শুভেন্দুর অনুগামী হয়ে তারা প্রচারের কাজে নেমেছিল আবার কেউ কেউ জল মাপার জন্য অপেক্ষায় ছিল যে কোন দোল জিতে আসে । এদেরই একটি দল ফিরে এসেছে দলে এবং এখানেই আপত্তি সায়নীর ।
তিনি বলেছেন, সেদিনের জনসভাতে যারা উপস্থিত আছে তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন পা বাড়িয়ে রেখেছিলো বিজেপিতে । এদের বের করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন । আর যদি এরা থাকেও তবে এদের দিয়ে চা, জল পরিবেশন করানো হোক । তিনি বলেন যারা দেওয়ালের বা পাঁচিলের উপরে বসে ছিল দেখতে যে কোন দিকে যাবে বিজেপিতে না তৃণমূলে তাদের বের করে দিতে হবে ।
আচমকাই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা অর্পিতা ঘোষের। মেয়াদ ছিল ২০২৬ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তার প্রায় ৫ বছর আগেই হঠাত রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ । হঠাত তাঁর এই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে, তখনই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে ইস্তফার আসল কারণ বর্ণনা করেছেন বিখ্যাত এই নাট্যকর্মী।ভিষেককে লেখা চিঠিতে অর্পিতা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাংলার কাজ করতে আগ্রহী। সেই সুযোগ তাঁকে দেওয়া হোক।