Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

রাজনীতি

Reaction: অনুব্রতর পাশে মমতা, 'তৃণমূল ডুবন্ত নৌকা', সরব বিজেপি, 'ভয় পেয়ে হালুম', খোঁচা সুজনের

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বেহালায় তৃণমূলের অনুষ্ঠানে ঘুরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই অবস্থানকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে বিরোধী দলগুলো। একযোগে আক্রমণ করেছে বিজেপি-কংগ্রেস। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'তৃণমূলের নৌকা ডুবতে চলেছে। মানুষ বুঝতে পারছে তৃণমূল চোরদের দল। অনুব্রত মণ্ডল সাংসদ, বিধায়ক না হয়েও মেডিক্যাল কলেজের মালিক। এমনটা শোনা যাচ্ছে। চুরি না করলে এমনটা কী করে হয়? আগে শুনতাম চোরের মায়ের বড় গলা, এখন চোরের দিদির বড় গলা।'


এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, ঝাড়খণ্ডে বিধায়ক কেনবেচা বাংলার পুলিস আটকেছে। এদিন সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা, 'উনি এ রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক চুরি করে পিএসির চেয়ারম্যান করেছে। আরও অনেক বিরোধী বিধায়ককে কিনেছেন।' 

একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএম-র গলায়। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'বেহালার যিনি বিধায়ক আগে জেলে গিয়েছেন। বেহালায় বসে তিনি অনুব্রতর কথাই বলে গেলেন। অনুব্রত মণ্ডল কেন এমএলএ, এমপি না, সেটা দলনেত্রীর বিষয়। উনি যা বলেছেন তার কোনও ব্যাখ্যা বা যুক্তি নেই। যেহেতু অনুব্রতর কাছে মধুভান্ড আছে, তাই বেহালায় দাঁড়িয়ে অনুব্রতর কথা বলে গেলেন। আসলে ভয় পেয়ে হালুম করলেন।' 

এদিন বেহালার জনসভায় মমতার প্রশ্ন, 'কেষ্ট কী করেছিল? ওকে ধরলে কেন? একটা কেষ্টকে জেলে পুরলে হাজার কেষ্ট তৈরি হবে। কেষ্টরা এজেন্সিকে ভয় পায় না। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে রাখে।'

2 years ago
Mamata: পার্থর তালুক বেহালায় দাঁড়িয়ে অনুব্রতর পাশে মমতা, 'কেষ্ট কী করেছে? ধরলে কেন?', সরব দলনেত্রী

গ্রেফতারির দিন তিনেক পর ঘুরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। রবিবার বেহালায় (Behala) স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই মমতার প্রশ্ন, 'কেষ্ট কী করেছিল? ওকে ধরলে কেন? একটা কেষ্টকে জেলে পুরলে হাজার কেষ্ট তৈরি হবে। কেষ্টরা এজেন্সিকে ভয় পায় না। প্রতি ভোটে ওকে নজরবন্দি করে রাখে।' এভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতির পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। যদিও প্রায় ঘণ্টাখানেকের বক্তৃতায় নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ।

এদিন তাঁর বক্তব্যের প্রথম থেকেই রাজ্যের তিন বিরোধী দলকে আক্রমণ শানিয়েছেন। সারদা-কাণ্ডের উত্থান প্রসঙ্গে নাম না করে সুজন চক্রবর্তী, খুনের মামলা প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে অধীর চৌধুরী এবং মির্জাফর নাম উচ্চারণ করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, 'মাঝরাতে কেন অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেছে এজেন্সি, ওর ঘরবাড়িতে তাণ্ডব করে তছনছ করে দিয়ে এসেছে। তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু ২০২৪-এ মোদী সরকারই থাকবে না।'

এদিন আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? 

  • গঙ্গার জল প্রায় প্লাবনের আঁকার নিয়েছে
  •  দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সুন্দরবন, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি-সহ 
  •  বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে
  •  প্রতিবছর বাংলায় প্রচুর টাকা জলে চলে যায়, এখানে প্রতিবছর ঝড় হয়
  •  স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যাদের জন্ম হয়নি,
  •  তারা আজকে বেশি দেশপ্রেমের কথা বলে 
  •  একবার ঝান্ডার কথা বলে তিনবার ডান্ডার কথা বলে
  •  নীতি আয়োগের বৈঠকে না গেলে বলত 
  •  একজন জেলে আছে তাই ভয়ে যায়নি
  •  আইন আইনের পথে চলবে
  •  সারাদেশে কী চলছে? ব্যাংকগুলো লুঠ হয়ে গেলো
  •  সব ধরনের স্বাধীনতা থাকা উচিত, 
  •  রাজনৈতিক, আর্থিক স্বাধীনতা আমাদের আছে?
  •  রাজনৈতিক স্বাধীনতা না থাকে, মানুষের কথা বলার অধিকার 
  •  যদি না থাকে, বিরোধী দলের মুখ যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় 
  •  তাহলে কি বলব স্বাধীনতা আছে? 
  •   প্রতি পাবলিক সেক্টর বিক্রি হচ্ছে
  •   রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাইজ চুরি হয়েছে
  •   সিবিআই, ইডি সত্যি তদন্ত করুক
  •   আমি বই লিখি, ১২০টি বই আছে আমার
  •   কয়েকটা বই বেস্ট সেলার
  •   আমি যা রয়ালটি পেয়েছি, তার থেকেও আয়কর দিতাম
  •   এঁরা সংবিধান পর্যন্ত মানছে না, মমতা ব্যানার্জি ছাড়া 
  •   কিছু চিনতে পড়ছে না, তার মানে আমাকে ভয় পাচ্ছে
  •   যদি সত্যি কেউ অন্যায় করে আমার কিছু বলার নেই
  •   আইন, আইনের পথে চলবে 
  •   তবে কেষ্টকে গ্রেফতার কেন, ও কী করেছে?
  •   প্রতিটা নির্বাচনে ওকে ঘরে আটকে রাখে, ওকে জেলে আটকাল 
  •   কী হবে, কেষ্টকে বলেছিলাম রাজ্যসভায় যেতে বলেছিল যাব না
  •   ওদের এজেন্সি টাকা দিয়ে পোষে, প্রথমে আপনাকে 
  •   বদনাম করে দিল সূত্র কী?
  •   প্রমাণ ছাড়া কীভাবে দোষী প্রমাণ করতে পারেন?
  •   ২০২৪ -এ নরেন্দ্র মোদী সরকার থাকবে না
  •   ২০২৪-এ পাশে ইডিও নেই সিবিআই ও নেই
  •   এভাবে তৃণমূলকে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে, ওরা সরকার ভাঙবে 
  •   আমি বলি আয়, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখেছো?
  •   আমরা ঝাড়খণ্ডে সরকার ভাঙতে দিই না, 
  •   তাই বিহারে বিজেপি সরে গেল 
  •    এত টাকা কোথায় পাচ্ছ বিজেপি?
  •    তোমাদের কেন ইডি, সিবিআই হবে না?
  •    তুমি আজ সাধুপুরুষ, আমি হলাম চোর?
  •   সিপিএম দুর্নীতির সব ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে  
  •   আমি যদি বাকি ফাইলগুলো খুলি? বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই
  •   কী সূর্য বাবু? সুজন বাবু? চৌধুরী বাবু? কত খুন? কত টাকা?
  •   মরে যাব, তবু মাথা ঝোকাব না, কবে কবে এরেস্ট করবে বলো? 
  •   দরকার হলে আমি সব সহকর্মীকে নিয়ে জেল ভরো অন্দলন করব
  •   দিল্লি যাব না? গেলে বলছে সেটিং করতে গিয়েছে
  •   আমি না গেলে বকেয়া টাকা আসবে কোথা থেকে?
  •   সারদা-কাণ্ড কাদের আমলে হয়েছিল? ক'টা নোটিশ সার্ভ করেছ?
  •   বাংলায় জল পাওয়া যায় আর সন্ধ্যার পর দিল্লিতে জল নেই
  •   আমাদের অফিসারকেও ডেকেছে, আমার সরকার সবসময়
  •   অফিসারদের সঙ্গে আছে, মেট্রো রেল আমার তৈরি করা,
  •   এখন ফিতে কাটতে আসছে, ব্যক্তিগত ভাবে কে কী করছে,
  •   তার খবর রাখা সম্ভব নয়,  এক মীরজাফর,
  •  যাদের একদিন আশ্রয় দিয়েছিলাম, দিল্লি যাচ্ছে
  •   ফিরে এসে বলছে, নাম দিয়ে এলাম একশো জন, দুশো জনের
  •   ১৬-ই আগস্ট থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু, ওই দিন থেকে 
  •   শুরু হবে প্রতিবাদ দিবস, খেলা হবে দিবস 
  •  কেষ্টরা ভয় পাবে না, একটা কেষ্টকে ধরলে, ১০০টা কেষ্ট রাস্তায় তৈরি হবে
  •   আপনারা (তৃণমূল নেতা-কর্মীরা) চায়ের দোকানে বসবেন, 
  •   মানুষের বাড়িতে যাবেন, খোঁজখবর নেবেন কার কী দরকার 
  •   কাল স্বাধীনতা দিবস করে আমরা লড়াইয়ে মাঠে নামবো 
  •   পরাধীন করে রেখেছে, রাস্তায় নামতে হবে। খেলা হবে দিবসে 
  •   খেলতে খেলতে মিছিল করুন, ট্রেডমিলে না হেঁটে ছুটির দিন 
  •   বিকেলে মিছিল করবেন 
  •   সিপিএম কংগ্রেস বিজেপি ভাই-ভাই 
  •   দেশে এদের ঠাই নেই

2 years ago
Sougata Reac: 'একজন অধ্যাপকের মুখে একথা শুনে মাথা হেট', সৌগতর সমালোচনায় সরব বিরোধীরা

কামারহাটির জনসভায় সৌগত রায়ের (TMC MP Sougata Ray) মন্তব্য ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। একযোগে সমালোচনার সুরে বিঁধেছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, 'একজন অধ্যাপকের মুখ থেকে এ ধরনের কথা শুনে লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের (TMC) দৌলতে বাংলার রাজনীতি একদম নর্দমায় পরিণত হয়েছে।' সরব সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)।

তিনি বলেন, 'সৌগত রায় আজ নোংরা, ফ্যাসিস্টদের মতো কথা বলেছে। হিম্মত আছে, কারণ আমরা সমালোচনা করবই। রাজ্যজুড়ে যা চলছে, তার সমালোচনা হবে না? এই মুহূর্তে তৃণমূলের বড় সমালোচক সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা।'

একধাপ এগিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর মন্তব্য, 'চাপে পড়ে উনি এ কথা বলেছেন। সৌগত দা-কে যতটা চিনি এই ধরনের কথা বলার মানুষ নয়।'

আর কী বললেন বিরোধী নেতারা?

এদিকে, কামারহাটির জনসভায় দমদমের সাংসদ মন্তব্য করেন, 'তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। সেইদিনের জন্য অপেক্ষা করুন।' এতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। যদিও সমালোচনা শুরু হতে ঢোক গিলেছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেছেন,'এই মন্তব্য রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছিলাম। না করলেই ভালো হত। ভুল হয়েছে।'

2 years ago


Sougata Roy: তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে, বিতর্কিত মন্তব্য সৌগতর

তৃণমূলের (TMC) সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো (Shoe) তৈরি হবে। সেইদিনের জন্য অপেক্ষা করুন। রবিবার কামারহাটির (Kamarhati) এক জনসভায় এমনই মন্তব্য করলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy)। 

তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ছিল, আছে এবং থাকবে। পশ্চিমবাংলার মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা ২০২৬ পর্যন্ত ম্যানডেট পেয়েছি, আমাদেরই সরকার চলবে। আর যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, এরপর আমি বলব, তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে।

তাই আজ থেকে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করুন। দল যে সব প্রোগ্রাম দেবে, সেইসব অনুসরণ করে চলুন। 

এবার নিজের কানে শুনুন, সৌগত রায়ের সেই মন্তব্য।

সৌগত রায়ের মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল প্রবীণ সাংসদের বিতর্কিত ওই মন্তব্য। তিনি এদিন আরও বলেন, তৃণমূল কিন্তু রাস্তায় আছে। আমরা কোনও দোষ করিনি যে আমাদের ঘরে ঢুকে যেতে হবে। বিজেপি, সিপিএমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, কামারহাটিতে তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেব যে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে। সাবধান থাকবেন।

সামনের বার অধীরের বিজেপি ছাড়া আর কোথাও যাবার জায়গা নেই। বিজেপিতে গিয়েও অধীর চৌধুরী জিতবেন না। শুভেন্দু অধিকারী নাম নারদ কেলেঙ্কারিতে ছিল। অথচ একবারও শুভেন্দুকে ডাকেনি সিবিআই। 

সৌগত বলেন, দুর্নীতি থেকে আমরা দলকে আলাদা করছি। কিন্তু নিরোপেক্ষ তদন্ত যদি না হয়, শাসকদল আবার রাস্তায় নামবে। ইডি-সিবিআইয়ের কলকাতার অফিস অবরুদ্ধ করে দেব।       

2 years ago
Flag: মেদিনীপুর জেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা তুলতে 'বাধা', 'অনুমতি ছিল', প্রশ্ন ফিরহাদের

মেদিনীপুর জেলে জাতীয় পতাকা (National Flag) তুলতে গিয়ে বাধার মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার (Union Minister)। এই অভিযোগ তুলে রীতিমতো বিবৃতি দিয়েছে তাঁর মন্ত্রক। সেই বিবৃতিতে বলা, 'কেন্দ্রীয় সরকারের অনুপ্রেরণায় রাজ্য এবং শিক্ষা দফতরের যৌথ উদ্যোগে নেওয়া এই কর্মসূচি। শিক্ষা মন্ত্রক থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জোড়া চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মেদিনীপুর জেল (Midnapore Jail) বা সংশোধনাগারে কোনও নির্দেশিকা না আসায় জেল সুপার এই অনুষ্ঠান করতে এবং পতাকা তুলতে বাধা দেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেওয়া মানে জাতীয় পতাকা তথা দেশের অবমাননা করা।'

তিনি জানান, গোটা ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং রাজ্য সরকার স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়ে নির্বিকার। জানা গিয়েছে, ১৩-১৫ অগাস্ট দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আজাদি কা অম্রুত মহোৎসব পালনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এদিন মেদিনীপুর জেলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।


তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'পতাকা তোলার আগে উনি কি অনুমতি নিয়েছিলেন? সংশোধনাগার একটা সংরক্ষিত এলাকা। আমিও ওখানে ঢুকতে পারব না। আমি কি এই মুহূর্তে গিয়ে ফোর্ট উইলিয়াম বা বিএসএফ-র কোনও ক্যাম্পে গিয়ে পতাকা তুলতে পারব?'

তাঁর খোঁচা, 'জাতীয়বাদ শুধু বিজেপির পেটেন্ট নয়। এই দেশ আমার আপনার সবার।'

2 years ago


Bankura: যারা টাকা নিয়েছে, তাদের টুঁটি টিপে আদায় করুন, নিদান বিজেপি বিধায়কের

এবার বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)। শুক্রবার একটি জনসভায় যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা (Amarnath Sakha)। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে কটাক্ষের সুরে বলেন, "কেউ চাকরির (job) জন্য তৃণমূল নেতাদের (trinamul leader) টাকা দিয়েছেন, কেউ আবার সরকারি বাড়ি পাওয়ার জন্য তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছেন। যারা টাকা নিয়েছে তাদের টুঁটি টিপে টাকাটা আদায় করুন। নাহলে গয়ারাম নেতারা পালিয়ে যাবে। অনেকেই বাইরে জায়গা কিনে নিয়েছে। তারা পালিয়ে যাবে।" বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই পারদ চড়তে শুরু করেছে বাঁকুড়ার (Bankura) রাজনৈতিক মহলে।

জানা যায়, বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভার জামজুড়ি গ্রামে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। সেখানে দলীয় কর্মী ও এলাকার বাসিন্দাদের এমন নিদান দেন বিধায়ক। তাঁর সেই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাঁর এমন বক্তব্যে তৃণমূলের দাবি, উস্কানিমূলক এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপি বিধায়ক আসলে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এরপর এলাকায় কোনও অশান্তি হলে তার দায় বিধায়কের। 

তৃণমূলের এই বক্তব্যকে অবশ্য বিধায়ক বিশেষ একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর দাবি, তাঁর ওই বক্তব্য ছিল দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল নেতাদের জন্য। তৃণমূলের উপর থেকে নিচ সকলেই চোর। সেই চোর নেতাদের কাছ থেকেই দেওয়া টাকা আদায়ের কথা নিজের বক্তব্যে তুলে ধরা হয়েছেন তিনি। 

2 years ago
Burdwan: বিজেপি কর্মীদের এক মিনিটে শায়েস্তা করতে পারি, লাখো অনুব্রত তৈরি, হুঙ্কার তৃণমূল নেতার

"বোম (bomb) ফাটিয়ে বিজয় উল্লাস করা বিজেপি (BJP) কর্মীদের এক মিনিটে শায়েস্তা করতে পারি। আমাদের লাখো অনুব্রত তৈরি রয়েছে।"- বিতর্কিত মন্তব্য আউশগ্রাম দু নম্বর ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অরূপ মিদ্দার (Arup Middya)। তাঁর এমন মন্তব্যে তোলপাড় বর্ধমানের (Burdwan) রাজনৈতিক মহল। একটি দলীয় সভায় তিনি বলেন, "ফের খেলা হবে বিজেপির সঙ্গে, খেলা হবে সিপিএমের (CPIM) সঙ্গে এবং যারা আমাদের সঙ্গে থেকে বেইমানি করছে তাদের বিরুদ্ধেও খেলা হবে।"

তিনি আরও বলেন, "এখানে আমরা সিপিএমের বিরুদ্ধে খেলবো, বিজেপির বিরুদ্ধে খেলবো। আমাদের মধ্যে থেকে যারা আমাদের সঙ্গে বেইমানি করছেন, তাদের সঙ্গেও খেলব। গতকাল খবর পেয়েছি ভালকি এলাকায় বোম ফাটানো হয়েছে রাত্রি সাড়ে আটটা পর্যন্ত। আমি পুলিসকে বলে দিয়েছি সরকারটা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের আছে। আমি যদি আমার ছেলেদের বলে দিই তাহলে ওদেরকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিজেপি যে কটা করছে, খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমাদের ব্লক সভাপতি থেকে এমএলএ সবাই বলেছেন শান্ত থাকতে, তাই এই সময় আমাদের শান্ত থাকতে হবে। আমাদের নেতাকে ধরে ওরা যদি মনে করে থাকে আমাদের সংগঠনকে শেষ করে দেবে, অত সোজা নয়। উনি যে বীজ বপন করে গিয়েছেন, আমাদের প্রত্যেকটি নেতারা সবাই নিজেরা অনুব্রত মণ্ডল তৈরি হয়ে আছে। আমাদের ভয় পাবার কিছু নেই। এলাকায় লাখো লাখো অনুব্রত মণ্ডল আছে।" 

তবে এখানেই থামেননি তিনি, আরও জানান,  "গতকাল বোলপুরে যে খেলা খেলেছে, সেটা গোটা ভারতবর্ষের বুকে কলঙ্ক। একটা অসুস্থ লোককে ধরতে ৪৭ টা গাড়ি নিয়ে

গিয়েছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। এটা বিজেপির লজ্জা। গরু ডানা গজিয়ে যায়নি। তুমি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তুমি সেনাবাহিনী, বিএসএফের হেড। তাহলে তুমি কী করছিলে? তোমাকে প্রথমে অ্যারেস্ট করতে হবে। কারণ, গরু পাচার যদি হয়ে থাকে তাহলে আমার নেতারা করেনি, তুমি করেছ। সেটা মিথ্যে করে আমার নেতাদের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে।"

তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির এমন বক্তব্যে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানান, "তৃণমূল তো চোর, তোলাবাজদের দল, তা অরূপ মিদ্দার কথাতেই প্রমান হচ্ছে। কী খেলা হচ্ছে তা মানুষ দেখছে।"

2 years ago
Nabanna: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান

পূর্ব ঘোষণা মতো সেপ্টেম্বরে নবান্ন অভিযানের ডাক বিজেপির। ৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গ বিজেপির তরফে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করতে সমাজের সবস্তরকে যোগ দিতে আহ্বান জানান বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর আবেদন, 'মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে এই লড়াই। তাই সাধারণ নাগরিক কোনও দল করে না কিন্তু প্রসাশনিক বঞ্চনার স্বীকার, চাকরিপ্রার্থী যারা দীর্ঘদিন অবস্থান করছেন, প্রকৃত বুদ্ধিজীবী, যাদের মেধা পয়সার কাছে বিক্রি হয় না। এঁরা সবাই এই কর্মসূচিতে যোগ দিন'।

এদিন সুকান্ত মজুমদার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। অনুব্রতর গ্রেফতারি থেকে রাজ্যের তিন মন্ত্রীর হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়া। এই জাতীয় নানা ইস্যুতে সরব ছিলেন তিনি। এদিন রাজ্যের তিন মন্ত্রী হাইকোর্টে আবেদন করেছে, সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামালায় যাতে ইডিকে যুক্ত না করা হয়।

এই পদক্ষেপকে খোঁচা দিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'এটা খানিকটা ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি মতো। এতদিন আমরা টাকার পাহাড় দেখেছি। এবার টাকার এভারেস্ট দেখবো। তাই যেসব মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি পেয়েছে তাঁরাই আদালতে গিয়েছিলেন।'  

2 years ago


Reaction: অনুব্রতর গ্রেফতারিতে তৃণমূলকে আক্রমণে বিজেপি-সহ বিরোধীরা, পাল্টা যুক্তি সৌগতর

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণের রাস্তায় রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। এদিন ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বঙ্গ বিজেপির ধর্নামঞ্চে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি-সহ রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। একই চড়া সুর শোনা গিয়েছে বাম এবং কংগ্রেসের গলায়। তবে বিরোধীদের এই সমালোচনার জবাব দিয়েছে ঘাসফুল শিবিরও। সিবিআই-ইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন এই অভিযোগ করেন শাসক দলের সাংসদ সৌগত রায়।

শুক্রবার ওয়াই চ্যানেলের কর্মসূচি থেকে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, যিনি বলতেন শুঁটিয়ে লাল করে দেব। তিনি এখন ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে নিজেই লাল হয়ে গিয়েছেন। সিবিআই থেকে বাঁচতে বলছেন আমার পিছনে অপারেশন করে দিন।'

কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর খোঁচা, 'একে তো অনুব্রত গ্রেফতার, তারপর যদি শোনেন দলের কোনও পদ নেই তাহলে তো অক্সিজেন যাওয়া আরও বন্ধ হয়ে যাবে। প্রকৃত বিচার হোক। আমার কারও প্রতি প্রতিহিংসা নেই।' সুর চড়িয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'অনুব্রতকে বহিষ্কার করতে হবে। কিন্তু কিন্তু এঁরা সব চুনোপুটি, আসল কারা, মানুষ বলছে হাওয়াই চটি, কোটিপতি।'

কী বলছে বিজেপি

কী প্রতিক্রিয়া বাম-কংগ্রেসের 

তবে বিরোধীদের এই আক্রমণের জবাবে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় জানান, ইডি- সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইডিকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটাও রাজনৈতিক বিষয়। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে এখনই পার্টির কোনও স্ট্যান্ড নেই।

তাঁর নামে কোনো চার্জশিট নেই। দলের কাছে গোটা বিষয় এখনও পরিষ্কার নয়।

2 years ago
Agitation: কেন্দ্রীয় সংস্থার নিরপেক্ষতা দাবি, তৃণমূলের মিছিল

বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গ্রেফতারি (arrest) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোর নিরপেক্ষতার দাবিতে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur), বীরভূম (Birbhum) জেলার একাধিক জায়গায় শুক্রবারই বের হয় তৃণমূলের মিছিল। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর কলকাতায়ও (Kolkata) মিছিল বের করে তৃণমূলের ছাত্র-যুব শাখা। "তদন্তের নামে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ চলছে না, চলবে না"- স্লোগানে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এই মিছিলটি রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি (Rabindrabharati University) থেকে চিড়িয়ামোড় (chiriamore) পর্যন্ত যায়। মিছিলে পা মেলায় বহু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

পাশাপাশি ইডি, সিবিআই (CBI) পক্ষপাতদুষ্ট। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ পূরণে ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ তুলে শুক্রবার শহর শিলিগুড়ির রাজপথে নামল দার্জিলিং জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বরা। শিলিগুড়ি (Siliguri) কলেজের গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। সেই মিছিলে অংশ নেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি, চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরাও। তাঁদের দাবি, নিরপেক্ষ তদন্ত করে দুর্নীতিগ্রস্থ সকলকে গ্রেফতার করতে হবে।

একই সঙ্গে "ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না" পাশাপাশি একাধিক প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল সমর্থিত মহিলারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের খালিনা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল কর্মীরা। বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি ঘোষণার পর অভিনব প্রতিবাদে অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে সিবিআই বোলপুরে অনুব্রত-র বাড়িতে যে নোটিস দেয় তাতে তাঁকে গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত সাব্যস্ত করা হয়েছে। পরে বিকেলের দিকে তাঁকে গ্রেফতার বলে ঘোষণা করা হয়। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বুধবার মাঝরাতে বোলপুরে পৌঁছয় সিবিআই টিম। বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে। সূত্রের খবর, তাঁকে হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা এবং আটক করে আসানসোলে নিয়ে যায়। 

2 years ago


TMC: জাতীয়স্তরে ধাক্কা, মমতাকে ট্যুইট করে দল ছাড়লেন পবন বর্মা

এক বছরের মধ্যেই তৃণমূল (TMC) ছাড়লেন প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা (Pawan Verma)। শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) উদ্দেশে ট্যুইট করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন এই প্রাক্তন সাংসদ। একুশের ভোট পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দিল্লিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন জেডিইউয়ের (JDU) প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা। সে সময় তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা অশোক তানওয়ার এবং প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কীর্তি আজাদ। অশোক তানওয়ার ইতিমধ্যে ঘাসফুল সঙ্গ ত্যাগ করে আপে (AAP) যোগদান করেছেন।

তৃণমূলে থাকলেও জাতীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় কীর্তি আজাদ। এবার একদা নীতীশ কুমার ঘনিষ্ঠ পবন বর্মা তৃণমূল ছাড়ায় জাতীয়স্তরে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঘাসফুল শিবির। এদিন নিজের ইস্তফাপত্রে পবন বর্মা লেখেন, ‘প্রিয় মমতাজি, অনুগ্রহ করে তৃণমূল থেকে আমার ইস্তফা গ্রহণ করুন। আমাকে দলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো এবং‌ আপনার সমর্থন ও সৌজন্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যোগাযোগের অপেক্ষায় রইলাম। আপনাকে শুভকামনা জানাই।’

এদিকে, রাজ্যে সিবিআই-ইডির জোড়া তদন্ত চাপে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল। এই দু'জনকে নিয়ে জাতীয়স্তরে কিছুটা হলেও মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তাই পবন বর্মা পদত্যাগ করে থাকতে পারেন। এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে আরও একটি সূত্র বলছে, একদা নীতীশ ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন এই আইএফএস ২০২০ সালে জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গেই বহিষ্কার করা হয় ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে।

কিন্তু সেই নীতীশ কুমার এখন বিজেপি সঙ্গ ছেড়ে মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। তাই সেই বৈরিতা ভুলে ফের জেডিইউ ফিরতেই তৃণমূল ছাড়লেন পবন বর্মা। ভূটান এবং সাইপ্রাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করা পবন বর্মাকে ২০১৪ সালে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল জেডিইউ-ই। তৃণমূলে তিনি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

2 years ago
Opposition: 'দুর্নীতিতে দলের জিরো টলারেন্স', দাবি তৃণমূলের, আক্রমণ বাম-বিজেপি-কংগ্রেসের

বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর গ্রেফতারিকে (Anubrata Arrest) স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বলেন, 'সিবিআইয়ের দেশে গরিমা আছে। তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলছিল মানুষ। তাই সিবিআই সঠিক কাজ করেছে। আইনের আওতায় এনে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাবে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata) প্রশ্রয়ে-আশ্রয়ে একজন মুদির দোকানি থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক।'

এদিন সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'বিড়াল যদি বলে মাছ খাব না, তাহলে কে বিশ্বাস করবে? কয়লা পাচার-কাণ্ডে নাম না জড়ালে কেউ নাম জানত অভিষেকের। আর ওই বৈভবের টাকায় তো শহরজোড়া হোর্ডিং।'

শুধু বিজেপি বাম-নয় সরব ছিল কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, 'বাংলার এই দুর্নীতি নিয়ে আমরা আগেও বলেছি। এখন যেটা দেখছেন সেটা হিমশৈলের চূড়া।' দেখুন আর কী বললো বাম-বিজেপি-কংগ্রেস।

এদিকে, কোনও অনৈতিক কাজ এবং দুর্নীতিকে তৃণমূল প্রশ্রয় দেয় না। দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দলের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার শাসক শিবিরের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Minister Chandrima Bhattacharya) এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। চন্দ্রিমাদেবী জানান, দলনেত্রী-সহ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর বা মানুষকে যদি কেউ ঠকায়, সেই কাজকে দল সমর্থন করে না। আগে এবং আজও তৃণমূলের এই বিষয়ে অবস্থান একই। মানুষের সমর্থনে তিন বার তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাই মানুষের আশীর্বাদ ছাড়া কোনও সম্পদে তৃণমূলের আর কোনও আগ্রহ নেই।

2 years ago
TMC:দুর্নীতির ক্ষেত্রে তৃণমূলের জিরো টলারেন্স, মানুষকে ঠকালে প্রশ্রয় নয়: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

কোনও অনৈতিক কাজ এবং দুর্নীতিকে তৃণমূল (TMC) প্রশ্রয় দেয় না। দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দলের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির পর জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার শাসক শিবিরের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Minister Chandrima Bhattacharya) এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। চন্দ্রিমাদেবী জানান, দলনেত্রী-সহ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর বা মানুষকে যদি কেউ ঠকায়, সেই কাজকে দল সমর্থন করে না। আগে এবং আজও তৃণমূলের এই বিষয়ে অবস্থান একই। মানুষের সমর্থনে তিন বার তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। তাই মানুষের আশীর্বাদ ছাড়া কোনও সম্পদে তৃণমূলের আর কোনও আগ্রহ নেই।

তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো নিরপেক্ষ চেহারা হারিয়ে ফেলছে। সবার সঙ্গে নিরপেক্ষ ব্যবহার করুক তদন্তকারী সংস্থাগুলো। এটুকু আশা আমরা করতেই পারি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দলের কারও বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো উঠেপড়ে লাগে। কিন্তু কেন্দ্রের শাসক দলের পক্ষে কেউ অভিযুক্ত হলে, সেই তৎপরতা দেখা যায় না।' এই অভিযোগ তোলার সময় তিনি সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের গাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধারের প্রসঙ্গ তোলেন। এবং একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়েও ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এভাবেও ঘুরিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

তাঁর দাবি, 'বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে সারদা কর্তার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিরোধী দলনেতাকে ডাকাডাকি নেই, তাঁর বিরুদ্ধে কোণও কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা নেই। শুধু বিরোধী দলনেতা নয়, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। কিন্তু ইডি, সিবিআই কেউই তাঁদের তদন্তের আওতায় আনছে না।'

চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও জানান, বিচারব্যবস্থা, মাননীয় বিচারপতি সবার প্রতি আমাদের আস্থা এবং বিশ্বাস আছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই বিচারব্যবস্থা পদক্ষেপ নেবে। তৃণমূলের তরফে আগামি দুই দিন সিবিআই-ইডির নিরপেক্ষতা চেয়ে এবং কেন্দ্রের সরকার দ্বারা প্রভাবিত না হওয়ার দাবিতে জেলায় জেলায় মিছিল করবে দল। এদিন জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সমীর ভট্টাচার্য। পাশাপাশি তাঁরা জানান, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা? যথা সময়ে সংবাদ মাধ্যম জানতে পারবে। দলনেত্রী এবং শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত হবে। এমনটাই বৃহস্পতিবার জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং   সমীর চক্রবর্তী। দুর্নীতিতে কেউ অভিযুক্ত হলে তৃণমূল তাঁকে সমর্থন করবে না। এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওই দুই নেতা।

2 years ago


Anubrata Kajal: 'চেহারা, দাপট, অবস্থান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরস্থায়ী হয় না'

অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পরেই বিতর্কিত পোস্ট তৃণমূল নেতা কাজল শেখের (Kajal Seikh)। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার (Arrest) হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরই নানুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা কাজল শেখের ফেসবুক ওয়ালে (Facebook Wall) দেখা গেল একটি বিতর্কিত পোস্ট। যেখানে তিনি লিখেছেন 'চেহারা, দাপট, অবস্থান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরস্থায়ী হয় না।' পাশাপাশি তিনি লিখেছেন 'দুঃখের বিষয় অনেকেই এটা ভুলে যায়'।

বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের এই নেতা কাজল শেখকে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গেলেও দুজন চির প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই পরিচিত এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়ার পর কাজল শেখের এহেন ফেসবুক পোস্ট সেই বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিল বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

উল্লেখ্য, অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উল্লসিত বিজেপি। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিজেপির কর্মী-সমর্খকরা অনুব্রতর অস্ত্রেই তাঁকে কটাক্ষ করতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কোথাও চড়াম চড়াম শব্দে ঢাক বাজানো চলছে, কোথাও বিলি হচ্ছে নকুলদানা, গুড়বাতাসা। কোথাও আবার অনুব্রতকে দেখলেই আওয়াজ উঠছে গোরু চোর, গোরু চোর।

কিন্তু দলের মধ্যেই যেভাবে তির্যক মন্তব্য এল, তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারাটা আরও একবার প্রকাশ্যে এল বলেই অনেকে মনে করছেন।

2 years ago
Vote: পঞ্চায়েতের আগে অনুব্রত গ্রেফতার, কতটা ক্ষতি তৃণমূলের?

বার দশেক তলব করার পরেও বীরভূমের 'মুকুটহীন শাহেনশা' অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই দপ্তরে যাননি। কেন যাননি, সে প্রশ্ন নিয়ে দ্বিমত আছে। কেউ বলছে চিরকাল রাজ্য পুলিসের উপর দাপট দেখানো অনুব্রত হয়তো ভেবেছিলেন সিবিআইও বোধহয় একই গোত্রের। ভাবেননি যে তাঁকে বাড়ির থেকে তুলে আনা হতে পারে। কিন্তু তাঁর বোঝা উচিত ছিল গত বিধানসভা ভোটের পর ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ নেতাদের এই সিবিআই কিন্তু ভোরবেলায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল। অতএব তার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে এমন ধারণাটাই ভুল ছিল। অন্য মত বলছে অনুব্রত হয়তো হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার আশংকায় সিবিআই দফতরে যাননি। কিন্তু সকলেরই প্রশ্ন অনুব্রতর মতো প্রভাবশালী ক্ষমতাবান নেতার গ্রেফতারে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হল তৃণমূল?

এই বিষয়ে নিয়েও দ্বিমত আছে। একদল বলছেন, যথেষ্ট ক্ষতি হল, কারণ হিসাবে তারা বলছে, এই অনুব্রতর দাপটে সিপিএম বিজেপি বীরভূমে একঘাটে জল খেত। ২০১১ থেকে ২০২১ এর মধ্যে যত নির্বাচন হয়েছে অনুব্রত প্রমাণ করেছেন তিনি অপরাজেয়। সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়েও তাঁকে আটকানো যায়নি। ঘরে বসে ভোটযুদ্ধের অপারেশন চালিয়েছিলেন।  দুঃসময়ে অর্থাৎ ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পর্যন্ত বিজেপি এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি। দুটি আসনেই বড় জয় এসেছিল তৃণমূলের। এছাড়া বিধানসভা বা পঞ্চায়েত তো ছিলই। কাজেই তাঁর গ্রেফতারে বীরভূমে শক্তি হারালো তৃণমূল। তারা বলছে পূর্ব মেদিনীপুরের লক্ষণ শেঠ বা উত্তর ২৪ পরগনার মজিদ মাস্টারের দানা ছাঁটার পর দুই জেলাতেই সংগঠনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সিপিএম-র। এঁরা কেউই ঈশ্বর প্রেরিত দূত ছিলেন না।

অন্য একটি তৃণমূল গোষ্ঠীর মতে কেউ আইনের জালে পড়তেই পারে কিন্তু দলটি চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। অতএব চিন্তার কিছু নেই। সত্যিই কি তার উত্তর দিতে পারবে আসন্ন মানিকতলা উপনির্বাচন এবং তারপরে পঞ্চায়েত নির্বাচন?

2 years ago