
ভূস্বর্গে (Kashmir Terrorism) ফের আক্রান্ত কাশ্মীরি পণ্ডিত। কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় রাহুল ভাট (Kashmiri Pandit) নামে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চাদুরা গ্রামের তেহশিলদার অফিসে। গুলিবিদ্ধ এবং গুরুতর জখম অবস্থায় রাহুল ভাটকে স্থানীয় হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরেই উপত্যকাজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিক এবং সংখ্যালঘু নাগরিকরা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন। রাহুল ভাটের উপর হামলা তারই নিদর্শন মাত্র। জম্মু-কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর, যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিক বা কাজের সন্ধানে উপত্যকায় রয়েছেন। কিংবা কাশ্মীরি পণ্ডিত, যাঁদের মূল বহু যুগ ধরেই কাশ্মীরে বিস্তৃত। গত অক্টোবরে ৫ দিনে ৭ জনকে খুন করে জঙ্গিরা। যাঁদের মধ্যে কাশ্মীরি পণ্ডিত, একজন শিখ এবং দু'জন অনাবাসী হিন্দু রয়েছেন।
এদিকে, উপত্যকায় সেনার গুলিতে নিহত মোস্ট ওয়ান্টেড পাক জঙ্গি হায়দার (Pak terrorist)। তার মৃত্যু জম্মু-কাশ্মীরের সশস্ত্র বাহিনীর (Indian Army) বড় সাফল্য। এমনটাই জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিস। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের (kashmir) কুলগামে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে সাফল্য পেয়েছে যৌথ বাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত প্রায় দু'বছর ধরে উপত্যকায় সক্রিয় ছিল হায়দার। এর আগেও একাধিকবার তার খবর পেলেও, বাগে আনতে পারেনি বাহিনী।
এই পরিস্থিতিতে রবিবারের সুযোগ হাতছাড়া করেনি সেনাবাহিনী। হায়দার লুকিয়ে আছে খবর পেতেই এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী। প্রথম গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। বাহিনীর পাল্টা প্রত্যাঘাতে নিকেশ হয়েছে হায়দার। শুধু হায়দার নয়, এই অভিযানে এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে আরও এক লস্কর সদস্য।
তখন গভীর রাত। ঘড়িতে আড়াইটে বাজে। সেই সময় হঠাৎই থানার ফোনটা বেজে উঠল। রিসিভ করতেই ও পাশ থেকে পুরুষ কণ্ঠ ভেসে এল। কোনও বিপদে পড়ে এত রাতে কেউ জরুরি কাজেই ফোন করেছেন ভেবে ফোন রিসিভ করে ঠিকানা নিয়ে বাড়িতে কনস্টেবল পাঠানো হল। কিন্তু তারপর যা ঘটল, তা চমকে দেওয়ারই মতো।
তেলঙ্গানায় মার্চ মাসে এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন মধু নামে ২২ বছরের এক যুবক। দুই কনস্টেবলকে কন্ট্রোলরুম থেকে ফোন করে বলা হয় দ্রুত দৌলতাবাদে পৌঁছতে হবে। ফোন পেয়ে কনস্টেবলরা তড়িঘড়ি মধুর বাড়িতে পৌঁছন। তাঁরা পৌঁছে দেখেন, চারদিক নিস্তব্ধ, কোথাও বিপদ-আপদের লেশমাত্র নেই। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। সঙ্গে সঙ্গে মধুর ঘরে ঢুকে পড়েন পুলিসকর্মীরা। ঘরে ঢুকতেই পুলিস কর্মীদের চক্ষু চড়কগাছ। এক্কেবারে মত্ত অবস্থায় রয়েছেন মধু। পুলিস ঘরে ঢুকে কী সমস্যা জিজ্ঞাসা করতেই, তাঁদের কাছে দুই বোতল বিয়ার এনে দেওয়ার আবদার করে বসেন। এই শুনেই ক্ষেপে ওঠেন পুলিসকর্মীরা। ঘা কতক দেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়।
গত রবিবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সাধারণত ১০০ ডায়ালে ফোন করা হয় কোনও জরুরি ক্ষেত্রে বা আপৎকালীন পরিস্থিতিতে। তিনি এত গুরুত্বপূর্ণ নম্বরে ফোন করে এমন রসিকতা কেন করেছেন জিজ্ঞাসা করাতে মধুর উত্তর-''মত্ত অবস্থায় ছিলাম। সে সময় পানীয়টা ভীষণ জরুরি ছিল। সেই কারণেই জরুরি নম্বরে ফোন করেছিলাম।''
মধুচক্রে ফেঁসে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (Pak ISI) গোপন তথ্য পাচারের দায়ে ধৃত বায়ুসেনার সার্জেন্ট। দিল্লির সুব্রত পার্কে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) রেকর্ড অফিসে কর্মরত দেবেন্দ্র শর্মা। তাঁর বিরুদ্ধেই দিল্লি পুলিসের অভিযোগ দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ নথি এক মহিলাকে (Honey Trap) ফাঁস করার। ঘটনাচক্রে দেবেন্দ্রকে নিজের লাস্য এবং মোহে ফাঁসানো সেই মহিলা পাক গুপ্তচর। তদন্ত এমনটাই জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিস।
এই ঘটনায় ধৃত দেবেন্দ্র সহ-প্রশাসক বা জিডি হিসেবে সুব্রত পার্কের অফিসে কর্মরত ছিলেন। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তল্লাশি চালিয়ে একাধিক গ্যাজেট এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিস। অফিসিয়াল সিক্রেট আইনের একাধিক ধারায় ধৃতের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিস।
তদন্তে জানা গিয়েছে, শুধু মধুচক্র নয়, হোয়াটস অ্যাপ নথি ফাঁসের বিনিময়ে অর্থও নিয়েছেন দেবেন্দ্র। ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, গত বছর জুলাইয়ে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন সেনাকর্মী ছিলেন। পাক গুপ্তচর সংস্থাকে গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
সম্প্রতি পোখরান সেনা ছাউনির সামনে থেকে এই সবজি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিস। তাঁকে জেরা করে অপর এক সেনাকর্মীর সন্ধান মিলেছিল। এই অভিযুক্তও আইএসআইকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করতেন সেই সবজিওয়ালার মাধ্যমে। এমনটাই তদন্ত রিপোর্টে জানতে পেরেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
তাজমহলের ইতিহাস জানতে চেয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) আবেদন করেন এক বিজেপি নেতা রজনীশ সিং। সেই আবেদনে দাবি, 'তাজমহলের (Taj Mahal) ভিতরের ২২টি দরজা খুলে সত্যিটা সামনে আনা হোক।' পত্রপাঠ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের মন্তব্য, 'এটা কোর্টের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয় নয়। নানা পদ্ধতির মাধ্যমে এবং ঐতিহাসিকদের উপস্থিতিতে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা উচিৎ।'
তাজ মহলের নীচে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এই সন্দেহে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন রজনীশ সিং। দেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগ বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার হাতে খননকাজ তুলে দেওয়ার আবেদন নিয়েই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির সেই যুবনেতা। মোঘল আমলে তৈরি এই স্থাপত্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে এএসআই।
মুঘল সম্রাট শাজাহানের প্রয়াত স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতিসৌধ হিসেবে এই স্থাপত্য তৈরি হয়েছে। ১৬৩২ থেকে প্রায় ২২ বছর ধরে আগ্রায় তৈরি হয়েছে তাজ মহল। ইউনেস্কো ১৯৮২ সালে এই স্থাপত্যকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তকমাও দিয়েছে।
ধর্ষণ যেন কোনওভাবেই রোখা যাচ্ছে না। সমাজের নিকষ কালো দিকটা বেরিয়ে পড়ছে বারবার। প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন অনেকেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না এই জঘণ্য অপরাধ। ফের এক পৈশাচিক কাণ্ড সামনে এল। গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি ধর্ষক! নিথর দেহটার সঙ্গেও যৌনতায় লিপ্ত হয় সে। এমনই অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত পুলিস-প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
হায়দরাবাদ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে চটুপ্পাল শহরে ঘটেছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই মৃত গৃহবধূর স্বামী একটি কলেজে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। স্বামীর সঙ্গে থাকতেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই মহিলার উপর নজর রাখছিল ২৫ বছরের অভিযুক্ত যুবক। গত সোমবার, ৯ মে সুযোগ বুঝে মহিলার উপর হামলা চালায় অভিযুক্ত। প্রথমে, খুনের হুমকি দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে। ১ ঘণ্টার মধ্যে মহিলাকে খুনও করে সে। এতেও শেষ হয়নি তার নক্ক্যারজনক অত্যাচার। মহিলার মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম করে ওই অভিযুক্ত।
পুলিস সূত্রে খবর, মহিলার সঙ্গে বর্বরোচিত কাজের পর, তাঁর গা থেকে সমস্ত গয়না খুলে নেয় অভিযুক্ত। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। ১১মে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের কাছ থেকে মহিলার গয়না উদ্ধার হয়েছে। পুলিসি জেরার মুখে ওই ঘটনার কথা অভিযুক্ত স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
লু জড়ানো কঠিন দাবদাহ মাখা আবহাওয়া হোক কিংবা আকাশভাঙা বৃষ্টি। গোটা বছর খোলা রাস্তার নিচে সবজি বেচেই (Vegetable Selling) সংসারের হাল ধরে রেখেছেন বাবা। কঠিন কাজ। যখন শরীর খারাপে মন চাইত বিছানাজুড়ে একটু আরামের, না, উপায় ছিল না। ছেলেমেয়েগুলো ছোট ছোট। তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে যে। নিজে এই কষ্ট ভোগ করছেন, সন্তানরা কি পারবে? মাথার মধ্যে এই দোলাচলটা পাক খেত সব সময়।
দিন থেকে রাত পরিশ্রম করে গিয়েছেন। সবজি বেচে সংসার চালিয়েছেন। বড় ছেলে পড়াশোনা ছেড়েছে অনেক আগেই। এখন শ্রমিকের কাজ করে। ছোট মেয়েরও বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। তবে মেজ মেয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করে দেখিয়েছেন। তিনি এখন আদালতের বিচারক (Judge)।
এমনই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন ইন্দোরের মুসাখেদি এলাকার বাসিন্দা, বছর ২৫-এর অঙ্কিতা নাগর। আর্থিক অপ্রতুলতার কারণে যেখানে দেশের বহু মেয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দেন, যাঁদের কাছে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখাই বিলাসিতা, সেখানে আর্থিক কষ্ট কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি অঙ্কিতার কাছে। এক নাগাড়ে চালিয়ে গিয়েছেন তাঁর লড়াই। আর সেই কারণেই বছর ২৫-এর অঙ্কিতা এখন আদালতের বিচারক। সিভিল জজ কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাশ করেছেন ইন্দোরের অঙ্কিতা।
অঙ্কিতা জানালেন, তাঁদের আর্থিক সঙ্গতি (Financial Condition) কম হতে পারে। পরিবারে তিনিই একমাত্র উচ্চশিক্ষার (Higher Education) পথে পা বাড়িয়েছেন। কিন্তু কখনও পরিবারের সমর্থনের অভাব বোধ করেননি। তাঁর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ, অধ্যাবসায় দেখে সবসময়ই তাঁর পাশে থেকেছেন বাড়ির সকলে। প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা রুটিন মেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, এসসি কোটার মেধাতালিকায় তিনি পঞ্চম হয়েছেন। ফলাফল এক সপ্তাহ আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এক আত্মীয়ের মৃত্যুর কারণে রেজাল্ট চেক করাই হয়নি তাঁর। বুধবার শেষমেশ রেজাল্ট খুলে দেখেন। আর তারপরেই পালটে যায় তাঁর জীবন। এখনও অঙ্কিতা তাঁর বাবার সবজির দোকানে মাঝে মাঝেই সাহায্য করেন। আপাতত অঙ্কিতাকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তারপর মধ্যপ্রদেশে সিভিল জজ (Civil Judge) হিসেবে যোগ দেবেন। মোটা বেতন, গাড়ি, কোয়ার্টার সবই পাবেন তিনি। অঙ্কিতার কৃতিত্বে তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসীরা গর্বিত।
একটা বিল্ডিংয়ের সামনের লনে রাখা ছোট্ট একটা টেবিল (Table)। তার উপর রাখা খাবারের প্লেট (Plate)। সামনে কালো ব্লেজার পরা এক ব্যক্তি। আর তাঁর পিছনেই কুপন হাতে নিয়ে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অগণিত মানুষ। কোনওরকমে ওই কালো ব্লেজার পরা ব্যক্তির হাতে কুপনখানা ধরিয়ে দিয়েই, তাঁর হাত থেকে ছোঁ মেরে প্লেটখানা নিয়ে নিচ্ছেন। প্লেটের সারির উচ্চতা যত কমছে, পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর মনে অস্থিরতা বাড়ছে ততোধিক।
কয়েক সেকেন্ড বাদেই উত্তেজনা (Tension) উঠল চরমে। কুপন (Coupon) দেওয়ার কোনও বালাই নেই। পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন রীতিমতো প্লেট কেড়ে নিলেন। ব্লেজার পরা ব্যক্তিটি নিয়ম মেনে প্লেট যাতে সবাই পান, সেই কারণে প্লেটের সারিটিকে ডানদিক থেকে বাঁদিকে সরালেন। তাতেও শেষরক্ষা হল না। মানুষজন হুড়োহুড়ি করে প্লেটগুলি একপ্রকার ছিনিয়েই নিলেন।
Lunch time of Principals and Teachers in Punjab after meeting CM. Time to go to HEYWARD. CM might have gone home with some HEYWARDS. pic.twitter.com/bDwF1HooCm
— Abhijit Guha (@Abhijit33886372) May 11, 2022
এমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral)। আর ভিডিওটি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) প্রশ্ন উঠছে, এঁরা কারা? যাঁরা নিয়ম মেনে খাবারের প্লেট না নিয়ে, রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন?
অনুসন্ধান করতে গিয়ে যা জানা গেল, তা আরও তাজ্জব করে দেওয়ার মতো। এঁরা প্রত্যেকেই শিক্ষক। এমনকী স্কুলের প্রধান শিক্ষক(Head Master)-শিক্ষিকারাও ছিলেন এই ভিড়ের মধ্যে। আর এমন ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবে (Punjab)। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) ভগবন্ত সিং মান শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আর ওই বৈঠকের পরই খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। বৈঠক শেষ হতেই খাবার পেতে দৌড় লাগালেন অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা। এমনকী হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা।
আর এই ভিডিও সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যাঁদের হাতে পড়ুয়াদের শিক্ষার ভার, তাঁরাই খাবার খাওয়ার জন্য এমন অভব্য আচরণ কী করে করেন! সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে নিন্দার ঝড়। কেউ লিখছেন,''এই সমস্ত মানুষকে ছোটবেলায়(Child age) কেউ শিষ্টাচারের পাঠ দেয়নি। এঁদের কাছে শিশুরা পড়াশোনা করলে তারা ভদ্র সমাজের আদব কায়দা সম্পর্কে কিছুই জানতে পারবে না।'' আবার কেউ লিখেছেন, ''কতক্ষণ ধরে মিটিং চলছিল যে এভাবে প্লেট আর টিস্যু নেওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি করতে হল।'' কেউ আবার মজাচ্ছলে লিখেছেন,''আহারে বেচারাদের বড্ড খিদে পেয়েছিল বোধহয়!''
সব মিলিয়ে এই ভিডিও সামনে আসতেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে পঞ্জাবে শিক্ষা দফতরকে (Education Department)। যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা সাধারণ শিষ্টাচারটুকুও জানেন না, তাঁদের দিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
১৫ মে থেকে দেশের মুখ্য নতুন নির্বাচন কমিশনার (CEC) হচ্ছেন রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। ২০২০-র পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের সদস্য তিনি। ১৪ মে অবসর নেবেন বর্তমান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। ১৫ মে থেকেই দায়িত্ব নেবেন ১৯৮৪-র ঝাড়খণ্ড ব্যাচের এই আইএএস রাজীব কুমার। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী (Law Minister Kiren Rijeju) কিরেন রিজেজু বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে একথা জানান।
মন্ত্রী লেখেন, ‘রাজীব কুমারকে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হল। আমার শুভেচ্ছা রইল।’ নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব ছাড়া পাবলিক এন্টারপ্রাইজেস সিলেকশন বোর্ড (পিইএসবি)-এর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থসচিব হিসেবে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে চারটি বৃহৎ ব্যাঙ্ক গঠনের গোটা প্রক্রিয়াতেও যুক্ত ছিলেন তিনি। এবার সেই রাজীবই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
শুক্রবার থেকে রাজস্থানের যোধপুরে কংগ্রেসের 'চিন্তন শিবির' শুরু হচ্ছে। চলবে তিন দিন সারা দেশের প্রায় ৪৫০ জন প্রধান নেতাদের এই শিবিরে আসতে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। ২০১৩ পর সম্ভবত এই সভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবারে। চিন্তন বিষয়টি কী? জানা গিয়েছে, দল যখন সংকটে বা নির্দিষ্ট কোনও দেশজ সমস্যায় পরে তখনই নাকি ডাকা হয়ে থাকে এই শিবির। এর আগে ইন্দিরার সময় থেকে বিক্ষিপ্তভাবে এই চিন্তন শিবির ডাকা হয়েছে। বর্তমানে ঘোর সংকটে জাতীয় কংগ্রেস দলটি।
এক সময়ের সবচাইতে বড় দল আজ প্রায় আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে জমি হারিয়েছে তারা। পশ্চিমবঙ্গে একটিও আসন নেই বিধানসভায়। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ আসনের মধ্যে ১০টি আসনও জোটেনি তাদের। দলের অভ্যন্তরে বিদ্রোহ রয়েছে, যে কারণে বিদ্রোহীদের জি-২৩ নামকরণ হয়েছে। দু'বছর বাদে ফের লোকসভা নির্বাচন,খবর যা সাকুল্যে ৫০/৬০-র বেশি সারা দেশ থেকে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাদের বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এই দশা হল কেন অথবা এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় আছে কি, এটাই শিবিরে নাকি আলোচনা হবে।
কংগ্রেস, গান্ধী পরিবারের থেকে বেরিয়ে নতুন ভাবনা বা নতুন নেতা খোঁজার আদৌ কোনও ইচ্ছা আছে কি? গান্ধী পরিবারের কাছে কংগ্রেস দলটি অনেকটা নিজেদের জমিদারি হয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করে থাকে বিজেপি দল। নরেন্দ্র মোদী থেকে যোগী আদিত্যনাথ যে পরিশ্রম করে বিজেপি দলটিকে ভারতে পয়লা নম্বরের দলে পরিণত করেছেন সেই আগ্রহ রাহুল গান্ধীর আছে কি? শোনা যায় রাহুল বা প্রিয়াঙ্কার কোনও বিষয়ে আন্দোলন করার ধৈর্য মোটেই নেই। কোনও ইস্যু নিয়ে হয়তো তাঁরা আন্দোলনের শুরুতে থাকেন কিন্তু দ্রুত বেরিয়েও আসেন তার থেকে। দেশের নেতারা অসহায়। একসময় বিপদ বুঝে ইন্দিরা বা রাজীব যেমন দেশজুড়ে অনুষ্ঠান করেছিলেন তার ধারেকাছেও নেই রাহুল গান্ধী। কার্যত এই চিন্তন বৈঠক থেকে বড় কিছু প্রাপ্তি হওয়ার সম্ভবনা নেই। ফের দাবি উঠবে রাহুলকে সর্বভারতীয় সভাপতি করতে হবে এবং সেখানেই ইতি।
একটা সময় সামান্য কথায় কথায় লোডশেডিং (Load Shedding) ছিল এই রাজ্যের সাধারণ চিত্র। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আঁধারে ডুবে যেতে রাজ্যের এক একটা এলাকা। বেশ কিছু জায়গায় তো দিনের পর বিদ্যুৎ আসার নামই নিত না। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে সমস্যায় পড়তে হত মানুষকে। তবে বিহারের (Bihar) বিদ্যুৎসঙ্কটের ছবিটা এখন বদলেছে। এখন আর কথায় কথায় লোডশেডিং হয় না। তবে গত কয়েকমাস ধরে বিহারের পুর্নিয়ার গণেশপুর গ্রামে (Indian Village) যে কাণ্ড ঘটছিল, তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিল সেখানকার মানুষজন।
প্রতিদিন সন্ধ্যাতেই প্রায় ঘণ্টা তিনেক এলাকা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছিল নতুন করে। বেজায় সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ দফতরেও। তবে কোনও সমস্যা সেভাবে চোখে পড়েনি তাঁদের। অনুসন্ধানে নামে গ্রামের মানুষজন।
বিদ্যুৎ দফতরের তরফে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, গ্রামে কোনও চুরির ঘটনা ঘটেছে কিনা। গ্রামবাসীরা জবাবে জানায়, এর মধ্যে কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি। তখন আধিকারিকদের অনুমান হয়, হয়তো কেউ বদমায়েশি করে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাঁরাই গ্রামবাসীদের পরামর্শ দেন, এলাকায় নজর রাখার জন্য। গ্রামের লোকেরা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েন। একদল পৌঁছন গ্রামের একটি স্কুলের মাঠে। তাঁরাই দেখতে পান, দুজন ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বসে রয়েছেন। তাঁরা কারা? একজন গ্রামের যুবক, পেশায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি। অন্যজন তাঁর বান্ধবী। ওই গ্রামেই থাকেন।
এরপরই গ্রামবাসীরা তাঁদের দু'জনকে চেপে ধরেন। এই লোডশেডিংয়ের ঘটনার পিছনে তাঁরা আছেন কিনা জানতে চান, সেখানেই সব কিছু স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা। জানান, প্রেম করতে তাঁদের অসুবিধে হচ্ছিল। সকলের নজরে পড়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাই গ্রাম অন্ধকার করার ব্যবস্থা নিজেই বাতলে নেন যুবক। এই ঘটনা সামনে আসলেও কোনওপ্রকার শাস্তি হয়নি ওই যুবকের! গ্রামের মানুষ তাঁকে সাবধান করে ছেড়ে দিয়েছেন। পুর্নিয়ার গণেশপুরের এই ঘটনা দেখাল প্রেমে পড়লে মানুষ কত কী যে করে!
ফের যাত্রী পরিষেবা (Passenger Service ) নিয়ে বিতর্কের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) ) উড়ান সংস্থা। সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগে কোনও কিছুই মানুষের থেকে লুকিয়ে রাখা খুব একটা সম্ভবপর নয়। যে কোনও ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল (Viral) হয়ে যায়। সম্প্রতি দিল্লির(Delhi) ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Indira Gandhi International Airport) ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা দেখে নেটাগরিকদের সমালোচনার মুখে পড়েন ওই উড়ান সংস্থাটি। ঘটনাটি ঘটেছে ৫মে ভোর চারটে নাগাদ।
বিপুল ভিমানি নামে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলা হঠাৎই প্যানিক অ্যাটাক (Panic Attack) করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর ছেলে জলের খোঁজ করলে অন্যান্য যাত্রীরা জলের বন্দবস্ত করে দেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের মতো কাজ করছেন। এবং যাত্রীরা এর তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন।
Think before u book Air India flights.We were 3 people and my aunt was with me suffering from panic attack due to she got late 1min for gate closing@RNTata2000 @narendramodi @ArvindKejriwal @airindiain @airvistara @AirAsiaIndia @jetairways @flyspicejet @GoAirlines @DelhiAirport pic.twitter.com/XIdHpjoOnF
— Vipul Bhimani (@vipulmhrm) May 5, 2022
জানা গিয়েছে, ওই দিন সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান ধরতে মহিলা আত্মীয়াকে নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছন। আত্মীয়ার ডায়াবেটিস এবং হার্টের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছতে দেরি করে ফেলেন তাঁরা। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বিমানে উঠতে না পেরে প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন ওই মহিলা।
যদিও বিমান সংস্থার দাবি, তাঁদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া হয়েছে। ওই যাত্রী অসুস্থ হওয়ার পরই তাদের সংস্থার কর্মীরা চিকিৎসককে ডেকে আনেন। ডাক্তার আসতেই তিনি সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। আরও দাবি, ওই মহিলা এবং বাকি কয়েকজন যাত্রী নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বোর্ডিং গেটে হাজির হন। সংস্থার কর্মীরা একাধিকবার ওই তিন যাত্রীকে রিপোর্ট করার জন্য ঘোষণা করেন। কিনতি তাঁরা কোনও উত্তর দেননি। এয়ার ইন্ডিয়া যাত্রীদের সুবিধে, সুরক্ষা এবং সময় মেনে বিমান উড়ানের বিষয়টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
#FlyAI : Air India statement on Delhi Airport Video . pic.twitter.com/mHgUkWk13p
— Air India (@airindiain) May 11, 2022
ম্যারাথন জেরার পর মনরেগা প্রকল্পে অর্থ তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের আইএএস পূজা সিংহল। শুক্রবার এই মামলায় সিএ সুমন কুমারকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই ঘটনার সপ্তাহ ঘুরতেই বুধবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থাই পূজা এবং তাঁর স্বামী অভিষেক ঝাকে গ্রেফতার করেছে। ঝাড়খণ্ডের খনিসচিব হিসেবে কর্মরত পূজার সিএ সুমনের থেকে ইতিমধ্যে ৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ৬৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।
এই মামলার তদন্তে নেমে পূজার বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের অভিযোগ ওঠে। এই তদন্ত মূলত ২০১২ থেকে চালাচ্ছে ইডি। কিন্তু সেই সময় ক্লিনচিট পেয়ে গিয়েছিল এই আইএএস। সাম্প্রতিক তদন্তে পূজার ১৫০ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির সন্ধান পায় ইডি। তল্লাশি চালানো হয় পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি-সহ দেশের ১৮টি জায়গায়। নগদ ১৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয় পূজা, অভিষেক এবং সুমনের বাড়ি থেকে।
তদন্ত চলাকালীন কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, জেলাশাসক পদে থাকাকালীন পূজা-সহ স্বামী অভিষেকের অ্যাকাউন্টে আয় বহির্ভূত প্রায় ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল।
মূলত দুই বছর আগে খুঁটি জেলায় মনরেগা প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রাক্তন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রামবিনোদ প্রসাদ সিন্হার গ্রেফতারি দিয়ে ফের মামলা শুরু হয়। রামবিনোদ জানান, নয়ছয় হওয়া টাকার পাঁচ শতাংশ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে কমিশন হিসেবে দিয়েছিলেন তিনি। পুলিস পুরনো তথ্য ঘেঁটে জানতে পারে, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন খুঁটির ডেপুটি কমিশনার ছিলেন পূজা। এরপরই অর্থ তছরূপের বিষয়টি জুড়ে যাওয়ায় ইডি পূজার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
চুরি হয়ে গেল একটা আস্ত পঞ্চায়েত ভবনই (Panchayet Building Theft)। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত খোদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান (Panchayet Pradhan)। দু’দিনের মধ্যে এই বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে জবাব তলব করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) মুজফ্ফরপুর জেলার আরুই পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় পঞ্চায়েত ভবনটির নির্মাণ শুরু হয় বছর পনেরো আগে। যদিও দেড় দশকেও নির্মাণ শেষ করা যায়নি। যা নিয়ে চাপা অস্বস্তি ছিলই। এবার খবর আসে অর্ধনির্মিত ভবনটিকে ভেঙে বেআইনি ভাবে ইট বিক্রি করে দিয়েছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। যা জানতে পারার পর ঘটনার তদন্তে আসেন আরুই ব্লক পঞ্চায়েতরাজ অফিসার গীরিজেশ নন্দন।
তিনি দেখেন, রাতারাতি ভবনটি গায়েব হয়ে গিয়েছে। ফাঁকা জমি পড়ে আছে। এরপরেই তলব করা হয় প্রধানকে। যদিও তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। ফলে ব্লক পঞ্চায়েত রাজ অফিসার শোকজ করেন প্রধানকে। দু’দিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে তাঁকে।
এই বিষয়ে মুজফ্ফরপুরের জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক সুষমা কুমারী একটি বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছ, 'পঞ্চায়েত ভবনটি ভেঙে ইট-রাবিশ বিক্রি করে দেওয়ার খবর পেয়েছি। এ ভাবে কোনওরকম টেন্ডার ছাড়াই সরকারি ভবন ভেঙে ফেলা বেআইনি কাজ। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। যেই দোষী হন, তিনি কড়া শাস্তি পাবেন।'
কয়েকদিন আগেই মুজফ্ফরপুরে একটি কংক্রিটের সেতু ভেঙে যাওয়া নিয়ে অফিসারের অদ্ভূত যুক্তির কথা সামনে এসেছিল। সেই কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কানে উঠেছিল। তদন্তের নির্দেশও দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি। আরও একবার সেই মুজফ্ফরপুরেই ঘটল এক অদ্ভূত কাণ্ড।
সরকার পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত আপাতত স্থগিত রাষ্ট্রদোহ আইন (Sedition Law)। বুধবার গুরুত্বপূর্ণ এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল (TMC) বলেছে, 'এই রায় ঐতিহাসিক।' দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় জানান, এই আইন একবারে তুলে দিলে ভালো হতো। যেহেতু সরকার বলেছে আইন পুনর্বিবেচনা করবে, তাই আদালত স্থগিত রেখেছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও চায় এই আইন বাতিল হোক। মূলত আইপিসির ১২৪-এ ধারায় রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগ এনে, যখন তখন যাকে খুশি গ্রেফতার করা হতো। পৃথিবীর উন্নত দেশে এই আইন নেই, আমাদের দেশে ১৬২ বছর ধরে আইন রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে যেভাবে এই আইনের বলে নিষ্পেষিত করা হয়েছে, এখনও বিভিন্ন সরকার এই আইনের ব্যবহার করছে একই কাজে।
তাঁর মন্তব্য, 'এই ধারা অনেক আগে বাতিল করা উচিৎ ছিল। কারণ ব্রিটিশ আমলে বিপ্লবী এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন এই আইন প্রণয়ন করে দমন-পীড়ন চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানায়।'
এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সাহসী এবং সময়োপযোগী। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অছিলায় মোদী সরকার নানাভাবে নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে। মোদী বিরোধিতা মানে রাষ্ট্র-বিরোধিতা এমন একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল, যথার্থ ছিল।'
এই রায়ের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেছেন, এই আইনের আওতায় গান্ধীজি-সহ অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা জেলে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগতভাবে এই আইনের বিরোধী ছিলেন। তাই দেশের আইন মানা নাগরিক হিসেবে আমি এই রায়কে স্বাগত জানাই।'
ভূস্বর্গে (Jammu-Kashmir) আবারও সন্ত্রাস দমন (Countering terrorism ) অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) হামলার ছক বানচাল করল কর্তব্যে থাকা সেনারা। জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম লস্কর-ই-তইবার(Lashkar-e-Toibar ) দুই জঙ্গি। এমনটাই খবর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের আইজিপি (IGP) বিজয় কুমার সূত্রে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের (South Kashmir) অনন্তনাগ জেলার ডোরু এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পায় নিরাপত্তাবাহিনী। তারপরই পরিকল্পনামাফিক সেনাবাহিনী, আধাসেনা ও পুলিসের একটি যৌথবাহিনী এলাকাটিকে ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে পালানো সম্ভব নয় বুঝে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনীও। সংঘর্ষে লস্করের দুই জঙ্গি নিকেশ হয়। সেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একে-৪৭ সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। নিহত দুই জঙ্গির নাম হুসেন ভাট ও সুহেল আহমেদ লোন।
উল্লেখ্য, ৩০ শে জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)। কাশ্মীর পুলিস জানিয়েছে, যেখানে এনকাউন্টার হয় সেখান থেকে জাতীয় সড়ক কাছাকাছি রয়েছে। ফলে নিকেশ হওয়া জঙ্গিরা অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক কষেছিল। গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে (Kulgram) এনকাউন্টারে নিহত হয়েছিল দুই জঙ্গি। সেই নিকেশ দুই সন্ত্রাসবাদীও পাক মদতপুষ্ট লস্কর-এ-তইবা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। নিহত এক জঙ্গি কুলগামের বাসিন্দা শাহবাজ শাহ এবং অন্যজন পাকিস্তানের নাগরিক হায়দার।