স্বাধীনতার ৭৫ বছর। সোমবার গোটা দেশের মতো এরাজ্যেও পালিত হল স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ(independence day)। এদিন রেড রোডের(redroad) অনুষ্ঠানে সামিল সাধারণ মানুষও। জাতীয় পতাকা উত্তোলন (national flag hoist) করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পরে, হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। গত ২ বছর করোনার জেরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সাধারণের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। এবার স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের ট্যাবলোরও প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠান চলাকালীন রেড রোডে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচ (dance) করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই নাচের তালে পা মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জঙ্গলমহলের ভূমিকন্যা বীরবাহা হাঁসদা।
পাশাপাশি এদিন দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমগ্র দেশবাসীর জন্য ট্যুইট করে লেখেন, "আমি এমন এক দেশ গড়তে চাই, যেখানে একটিও মানুষ খিদের জ্বালায় কাঁদবে না, কোনও একজন মহিলাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না, প্রতিটা শিশু শিক্ষার আলো দেখবে। দেশে আপামর জনতা এক হবে, একতা থাকবে। আসমুদ্র-হিমাচলে কোনও জাতিগত বৈষম্য থাকবে না, কোনও শক্তি মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ করবে না। এটাই আমার স্বপ্নের ভারত।"
দীর্ঘ দু-বছর করোনা (COVID-19) মহামারি কাটিয়ে ফের রেড রোডে (red road) কুচকাওয়াজ। ভারতবর্ষের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে আনন্দ উৎসব পালন করা হচ্ছে। একই রকম ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বিগত দুটি বছর করোনা সংক্রমণের কারণে বহু কর্মসূচি কাটছাঁট করেছিল রাজ্য সরকার। বন্ধ ছিল সমস্ত উৎসব। তবে এবার সংক্রমনের হার কম থাকায় পুনরায় নতুন উদ্যোগে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রেড রোডকে। এদিন আকাশ থেকে হেলকপ্টারে পুষ্প বৃষ্টি করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandhyapadhy)।
জানা যায়, রেড রোডের মঞ্চ থেকেই রাজ্যের ১১ জন আইপিএসকে বিশেষ সম্মান প্রদান করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি, ডিআইজি র্যাঙ্কের দুজন আইপিএস অফিসার, কলকাতা পুলিসের তিনজন ডেপুটি কমিশনার, হাওড়া পুলিস কমিশনারের বর্তমান পুলিস কমিশনার, এডিজি এইচপি র্যাঙ্কের পুলিস আধিকারিকরাও। তবে শুধুমাত্র এই বছর নয়, বিগত কয়েক বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী চিফ মিনিস্টার পুলিস মডেল শীর্ষক এই সম্মানটি বেশ কিছু আইপিএস অফিসারদের তুলে দেন এমনটাই দেখা গিয়েছে।
এছাড়াও নবান্ন সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, রেড রোডের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি হাতে পদযাত্রায় অংশ নিতে দেখা যাবে স্কুল পড়ুয়াদের। এদিন সেই ছবিই ধরা পড়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এদিন একাধিক ট্যাবলো প্রদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়। আর এই ট্যাবল গুলিতে কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী, মাটির সৃষ্টি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে রেশন সহ রাজ্যের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি দেখানো হয়। একই সঙ্গে সামাজিক শান্তি এবং সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হবে একাধিক ট্যাবলোর মাধ্যমে। এছাড়াও জেলাগুলিতেও স্বাধীনতা দিবস পালনের বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয় নবান্নের তরফ থেকে।
রবিবার ভোর রাতে যোধপুরের (Jodhpur Park) এক ক্যাফেতে দুঃসাহসিক চুরি (Theft in Cafe)। সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV Camera) গোটা পড়েছে গোটা কীর্তি। লেক থানায় অভিযোগ দায়ের ক্যাফে মালিকে। জানা গিয়েছে, ওয়াশরুম হয়ে কিচেন দিয়ে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টারে প্রবেশ করে সেই চোর (Thief)। এমনকি, সেই সময় ক্যাফেতেই ঘুমোচ্ছিলেন চার কর্মী। সেই তোয়াক্কা না করে ক্যাশ কাউন্টার ভেঙে নগদ প্রায় ২ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
ক্যাফে মালিকের দাবি, যেহেতু অভিযুক্ত মাস্ক পরে ছিল, তাই তাকে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে ক্যাফে সম্বন্ধে পড়াশোনা করেই সে চুরি করতে ঢুকেছিল। পরিচিত কেউ না হলে এভাবে ঢোকা-বেরনোর রাস্তা সম্বন্ধে অবগত থাকা সম্ভব নয়।
তিনি জানান, পুলিস এসে সিসিটিভি চেক করে ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে। অভিযোগও লিখে নিয়েছে। চুরির সময়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তর বেশভূষা সম্পন্ন। তবে পরিকল্পনা করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
গত দু'বছর করোনার (Corona) জন্য দর্শকশূন্য ছিল রেড রোড। এবার দর্শক (Visitor) নিয়ে পালিত হবে রেড রোডে ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান (Independence Day Programme)। তাই এবার থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা (Security)। বারোশো পুলিসকর্মী মোতায়েন থাকবে গোটা চত্বরে। থাকবে কুইক রেসপন্স টিম।
রেড রোডে থাকবে ছটি ওয়াচ টাওয়ার। তিন জায়গায় বালির বস্তার বাঙ্কারে থাকবে কমান্ডো বাহিনী। যে বারোশো পুলিস কর্মী মোতায়েন থাকবে গোটা চত্বরে, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন ছজন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। সারা শহরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে মোট তিন হাজার পুলিসকর্মী। রেড রোড চত্বরে থাকবে তিনটি কুইক রেসপন্স টিম। থাকবে নটি টহলদারি ভ্যান। মেট্রো স্টেশনগুলিতেও থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা, সাথে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত বাহিনী।
রেড রোড সংলগ্ন চত্বর মোট ১৪ টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে ডেপুটি কমিশনার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। পুরো রেড রোড চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভিতে। গোটা শহরে ২৩ টি জায়গায় থাকবে নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা।
তদন্তে ভয় পাচ্ছি না। জেলে থাকতেও ভয় নেই। কিন্তু সামাজিক সম্মান নিয়ে টানাটানি করলে ভয় লাগে। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
উল্লেখ্য, সময়ের ব্যবধান মাত্র তিন সপ্তাহ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার প্রথম সারির দুই তৃণমূল নেতা। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি রীতিমতো সরগরম। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই আবহে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। তদন্ত তদন্তের মতো চলবে। কেউ যদি দোষী হয়, তা হলে সে শাস্তি পাবে।
বিরোধী দল অসভ্যতামি করছে বলে দাবি করেন পুরসভার মেয়র। তবে এদিন কর্মীদের ধৈর্য না হারানোর পরামর্শ দিয়েছেন। দলীয় কর্মীদের আবেদন করে বলেন, যাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, তাঁরা অসহিষ্ণু হবেন না। সবার উপরে মানুষ সত্য, মানুষের উপরে কেউ নেই। মানুষ ঠিক করবে কে দোষী বা কে দোষী নয়।
এই ইস্যুতে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পালটা দাবি, এভাবে চেরেদের বাঁচানো যাবে না। সিবিআই, ইডি নিরপেক্ষ তদন্ত করছে।
এখানেই শেষ নয়, ইতিমধ্যে শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলাও রুজু হয়েছে। ২০১৭ সালে দায়ের হয়েছিল এই মামলা। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে কি তৃণমূল? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।
নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন এসএসসি কর্তা এসপি সিনহা এবং অশোক সাহাকে গ্রেফতার(arrest) করে সিবিআই(CBI)। ইতিমধ্যেই তাঁদের দু-রাত কাটল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে(custody)। তবে সূত্রের খবর, তদন্তে অসহযোগিতা(non cooperation) করছেন এসপি সিনহা ও অশোক সাহা। উল্লেখ্য, তাঁদের দুজনকেই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে তথ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি সিবিআই-এর। সেগুলির খোঁজ দিচ্ছেন না এসপি সিনহা ও অশোক সাহা। অথচ তাঁরাই ছিলেন এই তথ্যের দায়িত্বে। নিয়োগ কে বা কারা করেছিল, জানতে চায় সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে নানা তথ্য হাতে এসেছে সিবিআই-এর। সেখান থেকেই যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছে সিবিআই। তবে এসপি সিনহা একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বলে সূত্রের খবর। অশোক সাহা সামান্য কিছু বক্তব্য রেখেছেন। তা রেকর্ড করা হয়েছে, লিখিত এবং ভিডিও।
সিবিআইয়ের প্রশ্ন ছিল, নিয়োগের তথ্যকারী ডিস্ক গায়েবের পিছনে কার হাত?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা কী ছিল? তবে এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না এসপি সিনহা, খবর সিবিআই সূত্রে।
এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Presidency jail) এখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার (Cabinet meet) বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগ (teacher recruitment) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুলশিক্ষা দফতরকে সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর (state finance ministry)। শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের মধ্যেই শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তৎপর রাজ্য সরকার।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে অনুমোদন মিললেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৎপর রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রধান শিক্ষকের পদে প্রায় আড়াই হাজার শূন্য পদে রয়েছে। সেই শূন্য পদগুলিতেই নিয়োগের জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্য। যদিও স্কুলভিত্তিক চূড়ান্ত শূন্য পদের তালিকা শীঘ্রই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তৈরি করে তা এসএসসিতে পাঠিয়ে দেবে বলেই সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, হাইকোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার শিক্ষক পদ রয়েছে। পাশাপাশি, প্রাথমিকভাবে নিয়োগের বিধিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেই সেপ্টেম্বর মাসের গোড়াতেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে এসএসসি তেমনটাই কমিশনের আধিকারিকরা মনে করছেন।
এবার কি প্রতীক্ষার অবসান? দুর্গাপুজোর আগেই কি খুলবে টালা ব্রিজ। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পর খুলতে চলেছে টালা সেতু (Tala Bridge)৷ ২৪ সেপ্টেম্বর টালা ব্রিজ খোলার সম্ভাবনা। ৬ লেনের হবে টালা ব্রিজ৷ সাড়ে চারশো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টালা ব্রিজ নির্মাণের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। বাকি রয়েছে সেতুর ওপরের রাস্তা তৈরি, পাশে রেলিং বসানোর কাজ, ভারবহন পরীক্ষা, ব্যালান্স পরীক্ষা-সহ বেশ কিছু টেকনিক্যাল কাজ। একেবারে শেষে রং করা হবে সেতুর মূল স্ট্রাকচার ও রেলিংয়ে। আগামী সপ্তাহে হবে ব্রিজের ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষা।
আসছে দুর্গাপুজো। উত্তরের লাইফলাইন টালা সেতু খোলা নিয়ে উদগ্রীব শহরবাসী। রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় এই ঘোষণা করেন। বিবেকানন্দ উড়ালপুল বা মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকেই বিভিন্ন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তত্পর হয় রাজ্য সরকার। ধরা পড়ে সেতুর বেহাল দশা। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নতুন করে সেতু তৈরি করা হবে। যদিও এর ফলে কলকাতার সঙ্গে উত্তরের যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা হয়। তবে অবশেষে মন্ত্রীর আশ্বাসে খুশি গাড়িচালক থেকে সাধারণ যাত্রীরা।
পূর্তমন্ত্রী জানান, আগে ৪ লেন ছিল, এখন ৬ লেন হয়েছে টালা সেতু। পথচারীদের হাঁটার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা হবে তবে যেতে পারবেন তাঁরা। তবে সেতুর মাঝ দিয়ে পথচারীরা পার হতে পারবেন না। দ্রুত গতিতে যান চলাচল করবে।
মুখ্যমন্ত্রীও চেয়েছিলেন পুজোর আগেই যেন টালা ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী শহরবাসী এবার নতুন রূপে উপহার পেতে চলেছেন টালা ব্রিজ।
প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency) এদিন পরিদর্শন করল ৮ জন ডাক্তারের একটি টিম। টিমের সদস্যরা সকলেই এসএসকেএমের চিকিত্সক বলে জানা গিয়েছে। মূলত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chattodhayay) শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতেই এই মেডিক্যাল টিম বলে জেল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে জেলেরই অন্য সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
খাওয়াদাওয়াও করছেন স্বাভাবিকভাবেই। গত দুদিনে পায়ের ব্যথা কিছুটা বেড়েছে। তাই মাঝেমধ্যেই সেলের বাইরে হাঁটাহাঁটি করছেন।
জেলে একদিন মাছ, একদিন মাংস, একদিন ডিম, একদিন সোয়াবিন ও বাকি দিন নিরামিষ খাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পড়ছেন রামকৃষ্ণদেবের কথামৃত। অর্থাত্, টাকা মাটি মাটি টাকার সেই মূল মন্ত্রকেই এখন জেলের নিস্তরঙ্গ সেলে নিজের সঙ্গী করে নিয়েছেন পার্থবাবু।
সূত্রের খবর, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পার্থর খাওয়ার আবদারে প্রায় প্রতিদিনই দুবেলা ভাত দিতে হচ্ছে। কখনও আবার বিকালের দিকে চপ, বেগুনি এনে দিতে হচ্ছে জেলের ক্যান্টিন থেকে অনেক জোরাজুরিতে। এর মধ্যে একদিন খাসির মাংসের ঝোল ও ভাত দিতে হয়েছে তাঁকে। যদিও গতকাল রাখি পূর্ণিমার দিন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাতে আমিষ পড়েনি। গতকাল তাঁর দুপুরের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল এবং দু-রকমের তরকারি। যা খাবার দেওয়া হয়েছে সবটুকুই খেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিব। পাশাপাশি তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
আজ শুক্রবার আবার তাঁর খাবারের মেনুতে রয়েছে আমিষ খাবার। সকালে উঠে চা খেয়েছেন তিনি। তবে আপাতত বই পড়ায় মগ্ন রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর জেলের মধ্যে বইয়ের তালিকায় রয়েছে কথামৃত, মহাশ্বেতা দেবীর একটি বই।
কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Case) এবার ইডির র্যাডারে বীরভূম (Birbhum) এবং পুরুলিয়ার দুই বিধায়ক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এই সংস্থার (ED) স্ক্যানারে রয়েছেন দক্ষিণ কলকাতার এক মন্ত্রী। তিনি এক সময় বীরভূমের পর্যবেক্ষক ছিলেন। যদিও কে সেই মন্ত্রী এবং দুই বিধায়ক, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত মেলেনি।
এদিকে, কয়লা-কাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। অপরদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না। এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের জেলার। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের নিচুতলার কর্মীরা হুইল চেয়ার জোগাড় করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই হুইল চেয়ার নিয়ে পার্থ ঘুরলে নিচুতলার কর্মীদের ধমক দেন জেলার। কোনও ধরনের অতিরিক্ত সুবিধা যাতে না দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে। তবে অর্পিতা রানির মতো রয়েছেন জেলে, এমনটাই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখেছেন জেলের সহ-বন্দিরা। ফলে অর্পিতার বিছানা করা থেকে, জামাকাপড় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন বাকিরা। কেউ বা আবার বিছানা পেতেও দিচ্ছেন।
অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। শুক্রবার আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে তাঁকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ফিরে সিজিও কমপ্লেক্সে চা খেয়েছেন তিনি। এদিন সকালে একবার অনুব্রত মণ্ডলের শ্বাসকষ্ট হয়েছিল। দু'বার নেবুলাইজার নিয়ে আপাতত স্বাভাবিক তিনি। শুক্রবার বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এক সিবিআই কর্তার উপস্থিতিতে স্পিকার অন করেই মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। আধ ঘণ্টার জন্য তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে গিয়েছেন আইনজীবী।
জানা গিয়েছে, রাতে সিপিডব্লিউডি ক্যান্টিন থেকে আনা খাবার খেয়েছেন তিনি। সকালে খাচ্ছেন ভাত, রাতে রুটি-সবজি। শুক্রবার রাতে তাঁকে গেস্ট রুমে রাখা হবে। দেওয়া হবে তক্তার বিছানা। টিভি দেখার ইচ্ছা হলে তাঁর ঘরে লাগতে পারে টিভিও। সম্ভবত শনিবার থেকে পুরোদমে তাঁকে জেরা শুরু করবে সিবিআই।
সূত্রের খবর, তাঁর গ্রেফতারিতে দলের প্রতিক্রিয়া এবং মানুষের প্রতিক্রিয়া কী? এক সঙ্গীর থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন অনুব্রত। তাঁর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টাই একজন সঙ্গী থাকছেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। বীরভূম থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা তাঁর জন্য মুড়ি ও জামাকাপড় পাঠিয়েছেন। এসএসকেএম হাসপাতালের লিখে দেওয়া ওষুধেই এদিন সায় দিয়েছে কমান্ড হাসপাতাল।
এদিকে, তাঁর গেস্ট রুমের নজরদারিতে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি একা থাকতে পারতেন না। তাই তাঁর ঘরে একজন করে সঙ্গী থাকতে অনুমতি দিয়েছে সিবিআই।
সল্টলেকে (Saltlake) পরপর কয়েকটি এটিএম (ATM) ভেঙে লুটের চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) মূল অভিযুক্ত। জানা যায়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টটিভের (Medical Representative) কাজ চলে যাওয়ায় এটিএম লুট করে বেশি টাকা উপার্জনের আশায় অপরাধের পথ বেছে নিয়েছিল অভিযুক্ত পলাশ পোদ্দার। বৃহস্পতিবার রাতে নাকা চেকিং করার সময় অভিযুক্ত পলাশ পোদ্দারকে গ্রেফতার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিস (Bidhannagar North Police Station)। শুক্রবারই ধৃতকে বিধাননগর আদালতে (Bidhannagar Court) তোলা হয়। পুলিস নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়।
পুলিস সূত্রে খবর, ১ অগাস্ট সল্টলেকের সিডি ২৮ নম্বরে এটিএম ভেঙে চুরির চেষ্টা করা হয়। সেই পরিপেক্ষিতে একটি কেস করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ এবং তার বাইকটিকে চিহ্নিত করা হয়। এরপরে আবারও বিবি ব্লকে এটিএমে একই ঘটনার রিপোর্ট হয়, সঙ্গে সঙ্গে এই দুষ্কৃতীকে ধরতে একটি স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় তারা এটিএম কাউন্টারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরাতে ব্ল্যাক স্প্রে করে দেয়। পুলিস স্পেশালভাবে নাকা চেকিং শুরু করে সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায়।
এরপরে বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেক পিএনবি মোড়ে নাকা চেকিং চলার সময় সেই বাইকটি পুলিসের নজরে আসে। তারপরই পলাশ পোদ্দার নামে একজনকে আটক করা হয়। তার বাড়ি নাগেরবাজার থানার সাতগাছি এলাকায়। তার কাছ থেকে একটি মেটাল কাটিং মেশিন উদ্ধার হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করে, এরপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই কাজে তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, বা অন্য কোথাও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তার জন্য তাকে বিধাননগর আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে আরও খবর, পলাশ পোদ্দার মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টভ-এর চাকরি করত। কিন্তু লকডাউনের সময় তার কাজ চলে যায়। এরপর থেকেই কোনওরকম কাজ না পেয়ে সে এই অপরাধের পথে নেমে টাকা উপার্জনের রাস্তা বেছে নিয়েছে।
এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) মামলায় নয়া মোড়। রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের (Highcourt) নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তারা রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল। এরপর শুক্রবার এই মামলায় রাজ্যের আবেদন গৃহীত হল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench)।
তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের ডিএ-র দিতে গত ২০মে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে জানানো হয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের সকল বকেয়া ও মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দিয়ে হবে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছিল, ডিএ হল একজন সরকারি কর্মীর মৌলিক অধিকার।
সেই রায় কার্যকর করার চূড়ান্ত সময়সীমার দশ দিন আগেই ডিএ মামলায় নয়া মোড়। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া সময় শেষ হতে চললেও রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশিকা দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে, তা পালনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনটাই অভিযোগ মূল মামলাকারীদের।
এবার ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে আদালতের শরণাপন্ন নবান্ন। বৃহস্পতিবার ফের রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পর এদিন সেই মামলা গৃহীত হয়েছে। এখন অপেক্ষা শুনানির দিনের।
বিধায়কদের সম্পত্তিবৃদ্ধি (Property Case) মামলায় ইডিকে পার্টি না করার আবেদন হাইকোর্টের কাছে রাখলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী (Three Bengal Minister)। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির কাছে শুক্রবার এই আবেদন করেছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আগামি ১২ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। ২০১৭-র জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। শাসক দলের ১৯ নেতামন্ত্রীর সম্পত্তিবৃদ্ধি কীভাবে? এই প্রশ্ন তুলে দায়ের হয়েছিল মামলা। সম্প্রতি সেই মামলায় ইডিকে (ED) পার্টি করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চের অপর এক বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
সেই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন এদিন করেছেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। নেতা-নেত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলায় গত ৮ অগস্ট তৃণমূলের ১৯ জন নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় ইডিকে যুক্ত করে আদালত। ৫ বছর আগে দায়ের জোড়া এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এবং বিপ্লবকুমার চৌধুরী। সেই সময় তাঁরা তৃণমূলের ১৯ জনের নামে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০১১ থেকে ২০১৬— এই ৫ বছরে কীভাবে এই ১৯ জনের সম্পত্তি এত বৃদ্ধি পেয়েছে?
সম্পত্তির খতিয়ান এর প্রমাণ হিসাবে দেখানো হয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া ওই নেতাদের হলফনামা। ওই একই সময় আরও একটি মামলা করেন অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও ৩০ জনের নাম আদালতে জমা দেন। সেই পিটিশনে উল্লেখ ছিল সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর চৌধুরী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য, আবু হেনার মতো হেভিওয়েটদের নামও।
যদিও বিরোধী শিবিরের উল্লিখিত ব্যক্তিরা তৃণমূলের তোলা অভিযোগ সম্প্রতি খারিজ করেছেন। সিপিএম-র তরফে কটাক্ষ, 'রায় আর পিটিশনের মধ্যে বেসিক পার্থক্য বোঝে না শাসক দল।' সেই রাজনৈতিক তরজার দিন দুয়েকের মধ্যে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ইডিকে পার্টি না করার আবেদন করলেন তিন মন্ত্রী।
এসএসসি (SSC) দুর্নীতিতে সম্প্রতি গ্রেফতার (Arrest) হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বর্তমানে তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail)। কিন্তু কেমন আছেন পার্থ? সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের নিচুতলার কর্মীরা হুইল চেয়ার জোগাড় করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই হুইল চেয়ার নিয়ে ঘুরতে দেখে ধমক দেন জেলার-রা। কোনও ধরনের অতিরিক্ত সুবিধা যাতে না দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে পার্থ ঘণিষ্ট বান্ধবী অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) রয়েছেন আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে (Alipore Correctional Institution for Women)। তবে অর্পিতা রানির মতো রয়েছেন জেলে, এমনটাই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখেছেন জেলের সহ বন্ধিরা। ফলে অর্পিতার বিছানা করা থেকে, জামা কাপড় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন বাকিরা। কেউ বা আবার বিছানা পেতেও দিচ্ছেন।
এবার দেখা যাক প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে খাদ্য রসিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাদ্যের তালিকা- যা বর্তমানে যথেষ্ট চর্চার বিষয়।
সূত্রের খবর, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পার্থের খাওয়ার আবদারে প্রায় প্রতিদিনই দুবেলা ভাত দিতে হচ্ছে। কখনও আবার বিকালের দিকে চপ, বেগুনি এনে দিতে হচ্ছে জেলের ক্যান্টিন থেকে অনেক জোরাজুরিতে। এর মধ্যে একদিন খাঁসীর মাংসের ঝোল ও ভাত দিতে হয়েছে তাঁকে। যদিও গতকাল রাখী পূর্ণিমার দিন বৃহস্পতিবার জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাতে আমিষ পড়েনি। গতকাল তাঁর দুপুরের মেনুতে ছিল- ভাত, ডাল এবং দু-রকমের তরকারী। যা খাবার দেওয়া হয়েছে সবটুকুই খেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহা সচিব। পাশাপাশি তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
আজ শুক্রবার আবার তাঁর খাবারের মেনুতে রয়েছে আমিষ খাবার। সকালে উঠে চা খেয়েছেন তিনি। তবেআপাতত বই পড়ায় মগ্ন রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর জেলের মধ্যে বইয়ের তালিকায় রয়েছে কথামৃত, মহাশ্বেতা দেবীর একটি বই।