Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

tmc

Vote: পঞ্চায়েতের আগে অনুব্রত গ্রেফতার, কতটা ক্ষতি তৃণমূলের?

বার দশেক তলব করার পরেও বীরভূমের 'মুকুটহীন শাহেনশা' অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই দপ্তরে যাননি। কেন যাননি, সে প্রশ্ন নিয়ে দ্বিমত আছে। কেউ বলছে চিরকাল রাজ্য পুলিসের উপর দাপট দেখানো অনুব্রত হয়তো ভেবেছিলেন সিবিআইও বোধহয় একই গোত্রের। ভাবেননি যে তাঁকে বাড়ির থেকে তুলে আনা হতে পারে। কিন্তু তাঁর বোঝা উচিত ছিল গত বিধানসভা ভোটের পর ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ নেতাদের এই সিবিআই কিন্তু ভোরবেলায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল। অতএব তার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে এমন ধারণাটাই ভুল ছিল। অন্য মত বলছে অনুব্রত হয়তো হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার আশংকায় সিবিআই দফতরে যাননি। কিন্তু সকলেরই প্রশ্ন অনুব্রতর মতো প্রভাবশালী ক্ষমতাবান নেতার গ্রেফতারে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হল তৃণমূল?

এই বিষয়ে নিয়েও দ্বিমত আছে। একদল বলছেন, যথেষ্ট ক্ষতি হল, কারণ হিসাবে তারা বলছে, এই অনুব্রতর দাপটে সিপিএম বিজেপি বীরভূমে একঘাটে জল খেত। ২০১১ থেকে ২০২১ এর মধ্যে যত নির্বাচন হয়েছে অনুব্রত প্রমাণ করেছেন তিনি অপরাজেয়। সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়েও তাঁকে আটকানো যায়নি। ঘরে বসে ভোটযুদ্ধের অপারেশন চালিয়েছিলেন।  দুঃসময়ে অর্থাৎ ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পর্যন্ত বিজেপি এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি। দুটি আসনেই বড় জয় এসেছিল তৃণমূলের। এছাড়া বিধানসভা বা পঞ্চায়েত তো ছিলই। কাজেই তাঁর গ্রেফতারে বীরভূমে শক্তি হারালো তৃণমূল। তারা বলছে পূর্ব মেদিনীপুরের লক্ষণ শেঠ বা উত্তর ২৪ পরগনার মজিদ মাস্টারের দানা ছাঁটার পর দুই জেলাতেই সংগঠনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সিপিএম-র। এঁরা কেউই ঈশ্বর প্রেরিত দূত ছিলেন না।

অন্য একটি তৃণমূল গোষ্ঠীর মতে কেউ আইনের জালে পড়তেই পারে কিন্তু দলটি চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। অতএব চিন্তার কিছু নেই। সত্যিই কি তার উত্তর দিতে পারবে আসন্ন মানিকতলা উপনির্বাচন এবং তারপরে পঞ্চায়েত নির্বাচন?

2 years ago
ED IPS: কয়লা পাচারে এবার ইডি স্ক্যানারে বাংলার ৮ আইপিএস, দিল্লিতে তলব জ্ঞানবন্ত সিং, তথাগত বসুদের

কয়লা-কাণ্ডে (Coal CAse) এবার ইডির নজরে রাজ্যের পদস্থ পুলিশ কর্তারা (IPS in Bengal)। অন্তত ৮ জন আইপিএস-কে ১৫ অগাস্টের পর দিল্লিতে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা (ED)। সম্প্রতি কয়লা পাচার-কাণ্ড নিয়ে দিল্লিতে ইডির উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা। এমনটাই সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং থেকে কোটেশ্বর রাও-সহ সুকেশ জৈন, তথাগত বসু, রাজীব মিশ্র-সহ ৮ জনকে তলব করেছে ইডি। ইডি যখন তদন্তের গতি বাড়াতে কয়লা পাচার-কাণ্ডে কোমর বাঁধছে, তখন গোরু পাচার-কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ এই মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে তাঁর বাড়ি এবং অফিসে চলেছে তল্লাশি।

বুধবার অনুব্রতকে দশমবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এ নিয়ে মোট ৯ বার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তারপরেই এদিন সকালে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতির বোলপুরের বাড়ি ঘিরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে সিবিআই।

2 years ago
Reaction: 'সম্পত্তিবৃদ্ধিতে নাম বাম-কংগ্রেস নেতাদেরও', দাবি ব্রাত্যর, মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ সেলিমের

নেতামন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় বিরোধীদের তরফে কাঠগড়ায় তৃণমূলের ১৯ নেতামন্ত্রী (TMC Leaders)। এবার সেই আক্রমণ ভোঁতা করতে পাল্টা আসরে রাজ্যের শাসক দল। এই জনস্বার্থ মামলায় হাইকোর্ট (Pil in High court) রায়ের অর্ধেক অংশ তুলে ধরা হচ্ছে প্রচার মাধ্যমে। পুরো কোর্ট অর্ডারে উল্লেখ আছে, বাম-কংগ্রেস (Left-Congress) নেতাদের নামও। যাদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়েও পর্যবেক্ষণ রয়েছে হাইকোর্টের। আর সেই তালিকায় নাম আছে সূর্যকান্ত মিশ্র, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক ভট্টাচার্য এবং অধীর চৌধুরীর মতো বিরোধী দলের নেতারা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

যদিও তৃণমূলের তরফে তোলা এই অভিযোগ খণ্ডন করেছেন অশোক ভট্টাচার্য, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, অধীর চৌধুরীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা পার্টিকে বেতনের টাকা দিই, তার বিনিময়ে পার্টি আমাদের একটা লেভি দেয়। আমাদের ব্যক্তিগত কোনও রোজগার নেই। আর ওরা একটা সিআইডি তদন্ত করুক, তাতেই বেড়িয়ে যাবে আমার কত সম্পত্তি বেড়েছে। ব্রাত্য বসু একদম নতুন ওর অনেক আয়ের উৎস।'

তিনি জানান, তৃণমূল মানে সবাই চোর। পা থেকে মাথা পর্যন্ত চোর। বাম জমানার অপর এক মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব, 'কোর্ট কি এই নামগুলো বলেছে? তাহলে চোরেদের পার্টি কী অভিযোগ করল, তার জবাব কেন দেব? সিপিএম পার্টি সেই ধাতুতে গড়া নয়।'

তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিএম-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আরও আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে আরও যা নাম আছে কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত প্রধান আরও যারা নেতা আছে ওদের তাঁদের নাম দেব। আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়লাম ব্রাত্য বসুকে। সূর্যকান্ত মিশ্র, জ্যোতি বসু এঁদের নাম নিচ্ছেন, ওরা কোর্টে গিয়ে হলফনামা দিয়ে সিপিএম নেতাদের সম্পত্তি খুঁজতে ইডিকে পার্টি করুন। সাহস আছে, ইডিকে পার্টি করার? কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। রায়ে ওদের ১৯ জনের নাম আছে, রায় আর পিটিশনের তফাৎ বুঝতে হবে।'

যদিও এই বিষয় বিচারাধীন বলে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিজেপি।

2 years ago


MLA: 'আমাদের বিধায়ক তো মাতাল, তাঁর কথা ছেড়ে দেওয়াই ভালো', প্রধানের মন্তব্যে শোরগোল

'আমাদের বিধায়ক তো মাতাল, তার কথা ছেড়ে দেওয়াই ভালো'। নিজের দলের বিধায়ক সম্পর্কে এমনই মন্তব্য তৃণমুল পঞ্চায়েত প্রধানের। যা নিয়ে হাসিঠাট্টা যেমন শুরু হয়েছে, তেমনি অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। মঙ্গলবার বিশ্ব আদিবাসী দিবস (World Tribal Day) উপলক্ষে স্থানীয় আদিবাসী সমাজের মানুষদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের ফুটবল ময়দানে। অনুষ্ঠানে জমায়েত হয়েছিল ভালোই। আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতি, কৃষ্টি তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমুল নেতা এবং জনপ্রতিনিধি। তার মধ্যে একজন প্রধান হেমব্রম। তিনি জলপাইগুড়ির পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পাশাপাশি রায়পুর চা বাগানের শ্রমিক নেতাও। রায়পুর চা বাগান দীর্ঘদিন ধরে অচল। অনুষ্ঠান মঞ্চে সেই অচল বাগান নিয়ে কথা বলতে গিয়েই এলাকার বিধায়কের (MLA) সম্পর্কে ক্ষোভ উগরে দেন প্রধান (Panchayet Pradhan) হেমব্রম। তাঁর বক্তব্য, "আমাদের বিধায়ক তো মাতাল, তার কথা ছেড়ে দেওয়াই ভালো" তিনি নিজের ঘরই সামলাতে পারেন না, বাইরে কী সামলাবেন? তাঁর কাছ থেকে কিছু আশা করি না"।

নাম না করলেও স্পষ্ট যে, প্রধান হেমব্রমের তীর রাজগঞ্জ ব্লকের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের দিকে। তাঁর এই বক্তব্যের পর মঞ্চে উপস্থিত দলীয় নেতারা অস্বস্তিতে পড়ে যান। আবার অনেককে চুপিসারে হাসাহাসি করতেও দেখা যায়।

এদিকে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের এহেন মন্তব্যে অস্বস্তি পড়েছে জেলা তৃণমুল। খগেশ্বর রায় চারবারের বিধায়ক। পাশাপাশি, তিনি জেলা তৃণমুলের চেয়ারম্যান। জেলার শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য অস্বস্তি বাড়িয়েছে দলের। এই বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা  হলে বিধায়ক জানিয়েছেন, এই বিষয়ে উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে, তাঁরাই ব্যবস্থা নেবেন। জলপাইগুড়ির তৃণমূল জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই, কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।

এদিকে, ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। ওই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তীব্র কটাক্ষ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ।

প্রসঙ্গত, বিধায়ক খগেশ্বর রায় মাঝেমধ্যেই শিরোনামে উঠে আসেন। কখনও বিতর্কিত মন্তব্য বা আচরণ করে, আবার কখনও পারিবারিক কারণে। যদিও বিধায়ক সবসময়ই দাবি করে এসেছেন, এসব তাঁকে বদনাম করার চক্রান্ত।

2 years ago
TMC: 'তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর, এই প্রচার অপমানজনক', সরব ফিরহাদ, ব্রাত্য, মলয়রা

পাঁচ বছরে নেতা-মন্ত্রীদের ব্যাপক সম্পত্তিবৃদ্ধি (Asset) কীভাবে? এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় ইডিকে (ED) যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এই নেতা-মন্ত্রীদের তালিকায় নাম রয়েছে শুধু তৃণমূলের (TMC) ১৯ জনের। এই প্রচার ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক-সহ ওই ১৯ জন। এবার বিরোধীদের আক্রমণ ভোঁতা করতে আসরে শাসক শিবির। বুধবার বিধানসভায় একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, শিউলি সাহা প্রমুখ। তাঁদের অভিযোগ, আদালতের রায়ের একটা অংশ তুলে ধরা হচ্ছে। বাকিটা সামনে আসছে না। বুধবার মহামান্য প্রধান বিচারপতির সেই রায়ের কপি আপলোড করেছে। সেই কপি দেখেই এই সাংবাদিক বৈঠক। তাঁদের দাবি, 'সম্পত্তিবৃদ্ধির নিরিখে শুধু শাসক দল নয়, বাম, কংগ্রেস নেতাদের নাম রয়েছে আদালতের কপিতে।'  

এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'চক্রান্ত করে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি লজ্জিত, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা করেছেন। এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতাম না। কিন্তু, তার মানে এই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস করা মানে সবাই চোর। আমি ছোটবেলা থেকে ব্যবসা করছি, সেই টাকা দিয়ে মানুষের কাজ করেছি এবং তার থেকেই ব্যক্তিগত সম্পত্তি করেছি। অনেকে রোজগারের টাকায় করে, আমি ব্যবসা করে করেছি। এতে অন্যায়ের কী আছে? মানুষের কাজ করার স্বার্থে আমরা কাজ করেছি। তারপরও ব্যক্তিগতভাবে চক্রান্ত করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে।'

তিনি জানান, একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে ২০১৭ সালে। আমাদের সম্পত্তি নাকি খুব বেড়ে গিয়েছে। আমরা কোনও ফ্যাক্ট লুকিয়েছি? তাহলে তো আয়কর দফতর ধরতে পারতো। অদ্ভুত লাগে এই মামলায় কোর্টের পর্যবেক্ষণ নিয়ে অর্ধসত্য প্রকাশিত হচ্ছে।

সূর্যকান্তবাবুকে বলছি। জ্যোতি বসু আসার আগে চন্দন বসুর নাম শুনিনি। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। অমিত শাহর ছেলে জয় সাহা আছেন।

ব্যবসা করছেন, সম্পত্তি বেড়েছে। আমি সুজনবাবুকে বলি, সিপিএম-এর ছেলেদের জিজ্ঞাসা করুন চেতলায় আমার নামে কোনও অভিযোগ আছে কি না? শুধু তৃণমূলের নেতাদের নাম নেবেন। আর কারও নাম নেবেন না, সেটা ঠিক নয়।

এই জনস্বার্থ মামলায় সম্পত্তিবৃদ্ধির তালিকায় নাম এসেছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুরও। এদিন তিনিও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোর্ট পর্যবেক্ষণের একটা অংশ তোলা হচ্ছে। পুরো কোর্টের রায় আমরা তুলে ধরছি। নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে যে মামলা, সেই তালিকায় নাম রয়েছে অধীর চৌধুরী, সূর্যকান্ত মিশ্র, অশোক ভট্টাচার্য,

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, আবু হেনা, ফণীভূষণ মাহাতো, ধীরেন বাগদি, তরুণকান্তি ঘোষ,

চন্দন সাহা, নেপাল মাহাতদের।  সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল প্রত্যেকের নাম আছে। কিন্তু সিপিএম, কংগ্রেস টানা আমাদের বিরুদ্ধে প্রচার করে যাচ্ছে। এটা ভুল এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনীতিবিদ মানে সমাজের কাছে ভিলেন, মানুষের শত্রু, এমন উদাহরণ তুলে ধরা হচ্ছে। এর শেষ কোথায়?' 

ব্রাত্য বসু জানান, আমরা দলের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবো। ২০১৬ সালে বিরোধীদের এমন কোনও প্রার্থী নেই, যিনি ২০২১-এ জিতেছেন। এঁরা যদি আবার ২০২৬-এ লড়েন, সে সময় তাঁদের সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হোক। আমরা নজর রাখবো। 

রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, 'এই মামলাতে আয়কর দফতরের একটা ফাঁক আছে। আমাদের এখন যা সম্পত্তি আছে, তার মূল্য দিনের পর দিন বাড়বে।

রাষ্ট্রপতি হোক বা কেন্দ্রীয় সংস্থা, প্রত্যেককে বিজেপি ব্যবহার করছে।

এখানেই থামেননি তৃণমূল ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমরা। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এসব নিয়ে কুৎসা করব না, আবার গান্ধীগিরিও করব না। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।


2 years ago


Durgapur: এবিভিপির প্রতিবাদ কর্মসূচিতে টিএমসিপির হামলার অভিযোগ, দূর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজের সামনে সংঘর্ষে ধুন্ধুমার

তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বা এবিভিপির (TMCP-ABVP Clash) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দূর্গাপুর (Durgapur) সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সামনে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস (police) বাহিনী। জানা গিয়েছে দু'পক্ষের সংঘর্ষে জখম (injured) বেশ কয়েকজন। দুই পক্ষকে শান্ত করতে পুলিসকে ধমক দিতেও দেখা গিয়েছে। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত দূর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় চত্বর। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয়েছে এবিভিপির পতাকা লাগানো একটি টোটো (toto) গাড়িতে। 

নিয়োগ দুর্নীতিতে শুধু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নয়, আরও বড় রাঘব বোয়াল রয়েছে দুর্নীতির অন্তরালে। তাই সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিতে "চোর ধরো জেল ভরো" প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপির ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। 

দূর্গাপুরের গভর্নমেন্ট কলেজের সামনে থেকে শুরু হয় একটি পদযাত্রা। আর এই কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল কলেজের সামনে। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা বাঁধা দেয় এই মিছিল করতে। দু-এক কথা হতে হতে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। কলেজের সামনেই লাঠি, রড নিয়ে শুরু হয়ে যায় দু'পক্ষের সংঘর্ষ। ঘটনায় দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। মাথা ফেটে গিয়েছে দুই এবিভিপি সমর্থকের। পাল্টা জখম হয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই কর্মী। বলা চলে কার্যত কলেজ চত্বর হয়ে উঠেছিল রণক্ষেত্র।

এবিভিপির অভিযোগ,'টিএমসিপির সমর্থকরা পিছু ধাওয়া করে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বাইক ৱ্যালিতে থাকা কর্মীদের। ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দূর্গাপুরের গভর্নমেন্ট কলেজ চত্বরে। ছুটে আসে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের বিশাল  বাহিনী। নামানো হয় কমব্যাট ফোর্সও। ছুটে আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। আসানসোল দূর্গাপুর পুলিসের এসিপি (দূর্গাপুর জোন) তথাগত পাণ্ডের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের। কলেজের ভিতর ঢুকিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ পড়ুয়াদের। এর মধ্যেই কোনওভাবে তৃণমূলের সন্ত্রাস মেনে নেওয়া যাবে না, এই দাবিতে কলেজ গেটের একটু দূরে বিক্ষোভ শুরু করে দেন এবিভিপি কর্মী-সমর্থকরা।

এরপর নিউটাউনশিপ থানার পুলিস পরিস্থিতি কোনওমতে সামাল দেয়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানায় এবিভিপি। অহেতুক অশান্তি তৈরি করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, অভিযোগ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ কর্মী সমর্থকদের। তাঁদের বেশ কয়েকজন কর্মীও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি বলে জানান তাঁরা। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা শুভজ্যোতি মজুমদার। 

তিনি বলেন, কলেজে পরীক্ষা চলছে মাইক বাজাতে বারণ করা হয়েছিল ওদের। কিন্তু বিনা কারণে প্রথম তাঁদেরকে আক্রমণ করা হয়। এতে বাড়ে অশান্তি। গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা ছিল কলেজ চত্বরে। বিশাল পুলিস বাহিনী এখনও মোতায়েন রয়েছে ঘটনাস্থলে।

2 years ago
Udayan Guha: 'উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত নয়', পৃথক রাজ্য প্রসঙ্গে বিজেপিকে খোঁচা উদয়ন গুহর

মন্ত্রী হয়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) ফিরে আলাদা রাজ্য নিয়ে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। মঙ্গলবার মন্ত্রী হয়ে পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক (TMC Leader)। 

এদিন নিউ কোচবিহার স্টেশনে তাঁকে সম্বর্ধনা জানাতে প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতাদের ভিড় হয়। সেই সম্বর্ধনা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, '২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে বহুবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন। এখানে উত্তরবঙ্গে বহু কাজ হয়েছে এবং হবে। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, আগামীদিনে এই কথা কারও মুখে আসবে না। এই কথা বলে যারা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি করে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে সমাজ থেকে আলাদা করে দিতে হবে।'

তিনি জানান, রাতারাতি সব হবে না। সবার সঙ্গে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আগে করতে হবে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এই মঞ্চ থেকে উদয়ন গুহ বলেন, 'কেউ দাদা ধরে পঞ্চায়েত টিকিট পাবে না। জোর করে কেউ পঞ্চায়েত প্রধান হবে না।' 

এই মঞ্চ থেকে এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, 'দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।' বুথে কর্মীদের এক হওয়ার বার্তা দেন তিনি। পাশপাশি তিনি বলেন, 'বর্তমান রাজ্যে ইডি-সিবিআই বলে একটা প্যানিক চলছে। তাই যারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, তাদের ইডি সিবিআই মামলায় এক থেকে দেড় বছর জেল খাটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।'

তবে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সুকুমার রায়ও। কী বললেন তিনি? 

2 years ago
Suvendu: 'ডিসেম্বরে কার্যত থাকবে না তৃণমূল সরকার', দাবি শুভেন্দুর, 'উনি মহাজ্ঞানী', পাল্টা তৃণমূল

২০২৬-র আগেই কি বাংলায় মমতা সরকারের (Mamata Government) পতন? মঙ্গলবার সেই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। এদিন তিনি জানান, ডিসেম্বরে কার্যত থাকবে না তৃণমূল সরকার। আর ২৪ শে একসঙ্গে ভোট হবে, দেখতে থাকুন।

যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল (TMC)। শাসক দলের রাজ্য সহ-সাধারণ সম্পাদক জয়প্রকাশ মজুমদারের খোঁচা, 'হয় শুভেন্দু অধিকারী জ্যোতিষী, নয়তো বড় কোনও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। যেখানে গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে পরিকল্পনা করছে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া। এছাড়া আর সম্ভব নয়। ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে প্রচুর সংখ্যাধিক্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠন করেছেন।' একই সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কণ্ঠে। তিনি বলেন, 'উনি হয়তো জ্যোতিষী। তাহলে বিহারে পাঠাতে পারতো। উনি সামলে দিত সরকার বদল। আমাদের মনে উনি বিজেপির একমাত্র পরামর্শদাতা।'

ইতিমধ্যে গত ছয় মাসে একাধিকবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যদিও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদারদের গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের আগে অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডার কাছে দরবার করে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে এবং দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যে চলা ইডি তদন্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।

বিরোধী দলনেতা মাঝেমধ্যেই ইঙ্গিত দেন মহারাষ্ট্রের মসনদে পালাবদল হয়েছে। এরপর একে কে রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাতেও পালাবদল হবে। যদিও প্রতিবারই সেই দাবি নস্যাত করেছে রাজ্যের শাসক দল। তাঁর এদিনের দাবিকেও খোঁচার সুরে বিঁধেছে তৃণমূল।

2 years ago


Amdanga: আমডাঙায় ব্যবসায়ীর ছেলেকে দুষ্কৃতীর মারধর, স্থানীয় থানার আইসি-র ইন্ধন দেখছে তৃণমূল বিধায়ক

বিস্ফোরক মন্তব্য আমডাঙার (Amdanga) বিধায়ক রফিকুর রহমানের (Rafiqur Rahman)। সোমবার দারিয়াপুর হাট মালিকের ছেলেকে মারধরের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আমডাঙা থানার আইসি (IC) বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন আমডাঙার বিধায়ক। তবে এই ঘটনায় রাকিবুল হক (ডালিম) নামে এক হিরোইন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আমডাঙা থানার পুলিস। কিন্তু আসল ঘটনা কী?

আমডাঙা থানার হাবরা (Habra) নৈহাটি রোডের উপর দারিয়াপুর এলাকার হাটের মালিকের ছেলেকে দুষ্কৃতীদের মারধরের ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কার্যত আমডাঙা থানার আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিধায়ক। তিনি বলেন, "এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন আমডাঙা থানার আইসি অঞ্জন দত্ত। যে গাঁজার ব্যবসায়ী পিস্তলের বাট দিয়েছে মেরেছেন, তার কাকাকে তিন চারদিন আগে আইসি সন্ধেবেলা ধরে এবং রফা করে রাতে ছেড়ে দেন। যেদিন এটা হয়েছে সেদিন আমি অ্যাডিশনাল এসপিকে মেসেজ করেছিলাম গোটা বিষয়টা জানিয়ে। এক্ষুণি অপসারণ চাই।" 

প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছিল সাধারণ মানুষ, সেই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক জানান, প্রশাসন নিষ্ক্রিয়তার পয়সা পায়। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য দাবি করেন, এই আইসি যদি আমডাঙায় থাকে তাহলে আমডাঙায় শান্তি ফিরবে না। শুধু নেশাই নয়, তিনি আরও দাবি করেন, আমডাঙা থানার আইসি ইন্ধনে চলছে আমডাঙা কলেজের পাশে লোটোর ব্যবসা। স্বাভাবিকভাবে বিধায়কের এই বক্তব্যের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা আমডাঙা জুড়ে। এখন দেখার বিধায়কের এই বক্তব্যের পরে কী ব্যবস্থা নেয় পুলিস-প্রশাসন।

2 years ago
Clash: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোমাবাজিতে উড়ল তরুণের হাত

উত্তপ্ত দুর্গাপুরের পান্ডবেশ্বর। বোমায় হাত উড়ল তরুণের। শুরু রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতৃত্বের অন্দরের যুদ্ধে এখন অশান্ত এলাকা। রয়েছে পুলিস মোতায়ন। 

এবার প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (inner clash)। পাণ্ডবেশ্বরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে(health centre) তৃণমূলের পার্টি অফিস(party office) করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। গত পরশু থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র দখল করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পার্টি অফিস করছিল বলে অভিযোগ। পার্টি অফিস করাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই শিবিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাঁধে। চলে ব্যাপক বোমাবাজি। মূলত, জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং ও পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে মাঠে গরু চড়াতে গিয়ে খড়ের গাদার মধ্যে কাগজে মোড়ানো অবস্থায় কিছু পড়ে থাকতে দেখে তা কুড়িয়ে দেখছিল একজন। সঙ্গে সঙ্গে সেটি ফেটে যায়। ঝন্টু মণ্ডল নামে ওক তরুণের বাম হাতের কব্জি উড়ে গিয়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি মাঠে গিয়ে পড়ে। জখম হন আরও একজন। ঝন্টুকে সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে জামুরিয়ার বাহাদুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরে রানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আঘাত গুরুতর থাকায় তাকে দুর্গাপুরের রাজবাধের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝন্টু মণ্ডলের ডান হাতের আঙুলও কম বেশি জখম । বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পুলিস রিবন দিয়ে ঘিরে রেখেছে। গোটা ঘটনায় থমথমে গোটা এলাকা।

একাধিকবার বিভিন্ন বৈঠকে শাসক দলের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দল না করার বার্তা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও সেই বার্তাকে উপেক্ষা করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর আসে প্রকাশ্যে। যা নিয়ে বিরোধীরাও কটাক্ষ করতে ছাড়েন না।


তবে গ্রামের মানুষ রাজনীতির ঊর্ধ্বে। কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলেও গ্রামে কোনও অশান্তি চান না তারা। সকলেই চাইছেন গ্রামে শান্তি ফিরে আসুক। বোমাবাজির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত তারা। 

2 years ago