প্রসূন গুপ্তঃ পশ্চিমবঙ্গের আদি শহরের অংশ সুতানটি, যাকে এখন উত্তর কলকাতা বলা হয়। একদিকে বেলগাছিয়া/ কাশিপুর থেকে সেই চৌরঙ্গী। এখানে স্কুল, কলেজে, মেডিকেল কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সব সুবিধাই আছে। স্বাধীনতা পূর্ব যুগে কত শত গল্প যে উত্তর কলকাতার বাবু সংস্কৃতি নিয়ে পাই তার বিবরণ বিখ্যাত সাহিত্যিকরা লিখে গিয়েছেন। উত্তর কলকাতায় চিরকাল কংগ্রেসের আধিপত্য ছিল যা এখন দখল নিয়েছে তৃণমূল। শিক্ষিত কলকাতার মানুষ নিজের নিজের জীবন নিয়েই থাকতে ভালোবাসে। দুর্নীতি বা কেলেঙ্কারি নিয়ে রকে সন্ধ্যার পর আসর গরম হলেও শেষ পর্যন্ত তারা ওই তৃণমূলকেই জিতিয়ে এসেছে। এবারে কি কঠিন লড়াই এই লোকসভায়?
আসুন দেখে নি করা বসবাস করে এই উত্তর কলকাতায়। প্রথমত এখানে বাঙালিদের ৮৫ শতাংশই 'ঘটি' বা এদেশীয়। মোহনবাগান সমর্থক। এছাড়া ২৫-৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু বা মুসলিমদের বাস। অবাঙালি হিন্দু ব্যবসায়ীদের ৬-৭% এখানেই বাস করে তথা চৌরঙ্গী অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাভাষীর বাস। ২৫/৩০ বছর ধরে এখানে প্রথমে কংগ্রেস পরে তৃণমূলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একটা সময়ে উত্তর কলকাতা দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। উত্তর পূর্ব এবং উত্তর পশ্চিম। উত্তর পূর্বে দাঁড়াতেন অজিত পাঁজা। অজিতবাবু আর ডিমিলিটেশন দেখে যেতে পারেন নি। এবারে একসময়ের ছাত্র পরিষদের সভাপতি এবং সদ্য তৃণমূলত্যাগী তাপস রায় এবারে এখানে বিজেপির প্রার্থী এবং কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য। প্রদীপবাবু যথেষ্ট বৃদ্ধ, এখন তেমন দৌড়ঝাঁপ করতে পারেন না কাজেই বলা যেতে পারে লড়াই সুদীপ ও তাপসের।
তাপস একপ্রকার সুদীপের উপর ক্ষোভে দল ছেড়েছেন। ব্যক্তি জনপ্রিয়তায় তিনি কমতি যান না। একরোখা সিপিএম বিরোধী লড়াকু নেতা। পক্ষান্তরে সুদীপবাবু নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে থাকেন। তাঁর ইতিবাচক দিক দীর্ঘদিন সাংসদ থেকেছেন এবং অনেকেই বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রিয় বিরোধী নেতা। খোদ প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের মুখ সুদীপবাবু কিন্তু লড়াই তো পছন্দের উপর চলবে না। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে সুদীপ পেয়েছিলেন মাত্র ৩৫.৯৪ % ভোট এবং জিতেছিলেন। পরের বার কিন্তু তিনিই ৪৯.১৮ % পেয়ে অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি করেছিলেন। এখন প্রশ্ন কে এগিয়ে? লড়াকু তাপস দাবি করেছেন তিনি সুদীপকে হারাবেন। কিন্তু আবেগ নির্ভর তাপসকে অনেক অঙ্ক পার করতে হবে যা যথার্থই কঠিন।
লোকসভা আবহে রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর কেন্দ্রীয় সড়ক, পরিবহন এবং মহাসড়ক মন্ত্রকের। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অর্জুন সিং-কে চিঠি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরির। এক্স হ্যাণ্ডেলে সেই কথা নিজেই জানান অর্জুন সিং। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, কেন্দ্রের তরফে বারাসত-বঢ়জাগুলি বিভাগের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চার লেন তৈরির কাজে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের তরফে ৩৫২.০১ কোটি টারা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই মুহুর্তে দেশজুড়ে লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। সেকারণে ভোটপর্ব মিটলেই শুরু হবে এই রাস্তা তৈরির কাজ। ফলে সাধারণের যাত্রী ভোগান্তি কমবে, এছাড়াও এলাকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প, আশাবাদী অর্জুন সিং।
রাজ্যের একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ কেন্দ্র। বারবার সংবাদমাধ্যমের সামনে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের ছবিও উঠে এসেছে। বলাই বাহুল্য, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার ইস্যুই যখন রাজ্যের শাসকদলের ভোটপ্রচারের প্রধান বিষয়, সেই মুহূর্তেই কেন্দ্রের বিরাট ঘোষণা। তবে কি বাংলায় নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতেই নয়া চমক বিজেপির? প্রশ্ন ওয়াকিবহল মহলের।
আজ থেকে লোকসভা ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরে প্রথম সভা করেন তিনি। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে প্রচার শুরু করলেন তিনি। মহুয়াকে কেন লোকসভা থেকে ‘তাড়িয়েছে’ বিজেপি, সেই ব্যাখা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়ের পরিবারকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে খোঁচা দিলেন মমতা।
জনসভায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহুয়াকে জেতাবেন। আপনারা জেতানোর পরেও ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ মহুয়া জোরে জোরে কথা বলত। বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলত। ওকে জেতালে ও যোগ্য জবাব দিতে পারবে। বিজেপির মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দিতে পারবে।’ পাশাপাশি ধুবুলিয়ার সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠ থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতা। বলেন, জেতার বিষয়ে নিশ্চিত হলে কেন রাজ্যে ইডি? কেন সিবিআই? কেনই বা ইনকাম ট্যাক্স অফিসাররা?
সূত্রের খবর, ভিন রাজ্যেও প্রচারে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। অসমে দুটি সভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। আগামী ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল অসমে দুটি জায়গায় সভা করবেন তিনি।
লোকসভা ভোটের আগে নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়েই মাথায় চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কপালে চারটে সেলাই পড়েছিল। তারপরে বিশ্রামেই ছিলেন তিনি। আজ অর্থাৎ রবিবার থেকে লোকসভা ভোটের প্রচারে নেমেছেন তিনি। প্রথমেই বেছে নিয়েছেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রকে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কৃষ্ণনগরে সভা করে গিয়েছেন।
দমদম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল এবারও প্রার্থী করেছে সৌগত রায়কে। চতুর্থবারের জন্য দমদম থেকে সাংসদ হওয়ার লড়াই লড়ছেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। শনিবার সকালে উত্তর দমদমের নিমতা কালচার মোড় থেকে বিরাটি ব্রিজ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রচার সারেন তিনি। তাঁর সমর্থনে প্রচারে অংশ নেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস।
ধামসা মাদল থেকে ব্যান্ড ও নৃত্যের মাধ্যমে চলে এই প্রচারাভিযান। তৃণমূলের অগণিত কর্মী-সমর্থক এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। নিমতা কালচার মোড় থেকে শুরু করে গোটা এম বি রোড ধরে চলে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়েই ভোটের আবেদন জানান দমদমের তৃণমূল প্রার্থী।
তৃণমূলের জমানায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন বণ্টন দুর্নীতি সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। আর অভিযোগের তিরে রয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। এ নিয়ে লোকসভা
ভোটপ্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। রোড শো চলাকালীন উপস্থিত মহিলাদের থেকে কোথাও নিকাশি নিয়ে অভিযোগ শুনতে হল, কোথাও আবার রাস্তা কিংবা পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভ।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে শুক্রবার রোড শো করছিলেন সায়নী। সঙ্গে ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। তৃণমূল প্রার্থীকে সামনে পেয়ে অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ বছর ধরে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে। বিধায়ক শাসকদলের, পুরসভাও। তারপরেও কেন কাজ হয়নি? কেন ইচ্ছে করে গড়িমসি করা হয়েছে? ২০০৯ থেকেই যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কোনও তারকাকে প্রার্থী করেছে। কবীর সুমন, সুগত বসু এবং মিমি চক্রবর্তী এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তারকারা জয়ী হওয়ায় কি মাটির সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। সেই জন্যই কি ন্যূনতম কাজও হয়নি? এমন ঘটনায় তৃণমূলকে পাল্টা জমিদার কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি।
বস্তুত, ভোটের আগে বিক্ষোভে রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসকদল। বিরোধীরা ক্ষোভের ফায়দা তুলতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন। কাঠগড়ায় শাসকদল। নির্বাচন চলাকালীন সময় রাজ্যের ছবিটা কেমন হতে পারে, এ যেন তারই পূর্বাভাস। এবার দলীয় পতাকা লাগানোকে ঘিরে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে, শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বৈকুণ্ঠপুর মোড়ে। অভিযোগ, এলাকায় দলীয় পতাকা লাগানোর সময় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেয় তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা। এরপরই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় সোনারপুর থানার পুলিস। হিংসার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল, তোপ বিজেপির। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সোনারপুর মোড় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
অন্যদিকে, উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। বৈঠক চলাকালীন বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ। রক্তারক্তি কাণ্ড। কাঠগড়ায় তৃণমূল। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার মাঠেরদিঘি এলাকায় মণ্ডল সভাপতি সুব্রত দাসের বাড়িতে রবিবার বৈঠক ছিল বিজেপির। অভিযোগ, সেই সময় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার অনুগামীরা রড, লাঠি নিয়ে আচমকাই হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয় মণ্ডল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ বিজেপির একাধিক নেতা-কর্মীকে। জখম বিজেপি কর্মীদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ রাজ্যে বিরোধী দল করাই যেন গুরুতর অপরাধ। আর সেই অপরাধের মাশুল প্রতিনিয়ত রক্ত দিয়ে দিতে হচ্ছে বিরোধীদের। এ ছবিটাই যেন ক্রমশ চেনা হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে পুলিস-প্রশাসন? সেইদিকেই তাকিয়ে সাধারণ।
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলে অভিমানী মুখের সংখ্যা যেন তত বাড়ছে। এবার মালদহ উত্তর থেকে টিকিট না পেয়ে মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। দলের সিদ্ধান্তে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
১০ মার্চ ব্রিগেডে দলের জনগর্জন সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সবাইকে টিকিট দেওয়া গেল না। তারপরেই বিজেপিতে ফিরেছেন অর্জুন সিং, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন ওরফে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডলরা। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মৌসম বেনজির নূর।
সাংবাদিক বৈঠকে মৌসম বলেছেন, তিনি মালদহের দুই বারের সাংসদ। দলের জেলা সভাপতি। আগেরবার হেরে গিয়েছিলেন। একই পরিবার থেকে দুই দলের দুই প্রার্থী থাকার কারণে ভোট ভাগ হয়েছিল। তারপরেও এবার ভেবেছিলেন টিকিট পাবেন এবং জেতার ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত ছিলেন। বিজেপিকে হারানোর আশা তৈরি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন মৌসম। যাইহোক দলনেত্রী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপযুক্ত বলে মনে করেছেন, তাই টিকিট দিয়েছেন। তাঁকে সমর্থন করার কথাও সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন রাজ্যসভার বর্তমান সাংসদ।
মৌসম যে অভিমানী তাঁর বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট। যদিও তিনি সরাসরি দল বা দলনেত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। তাঁর কথায়, দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা তিনি অনুগত সৈনিক হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চয়ই ভেবে নেওয়া হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের আবহেই মতুয়া মহাসংঘের দায়িত্ব নিয়ে টানাপোড়েন। যার কারণে আদালতের দ্বারস্থ হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার পর থেকেই দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে সংঘ পরিবার। এবার মহাসংঘের দায়িত্ব নিয়েও পারস্পরিক বিরোধিতা গড়াল আদালত পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয় পুলিস। যার ফলে আদালতের দ্বারস্থ শান্তনু। আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায় মামলার করার অনুমতি চেয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের একক বেঞ্চে দ্বারস্থ হন। আগামী বুধবার মামলার শুনানির সম্ভবনা।
লোকসভা ভোট চলাকালীন ২৮শে এপ্রিল শুরু হতে চলেছে রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা। আরও একটি উল্লেখযোগ্য তথ্য সামনে এসেছে। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১লক্ষ ৪২হাজার ৬৯২জন। অন্যদিকে, ১৯শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে দিল্লির কুর্সি দখলের লড়াই। দেশের সবথেকে বড় নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে কী করে সুষ্ঠুভাবে জয়েন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন হবে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। এবিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন এএসএফএইচএম-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি।
হিংসা এবং সন্ত্রাসমুক্ত ভোট করাতে ১লা মার্চ রাজ্যে এসেছে ১৫০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী। তাদের রাখা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে। ফলে শিকেয় উঠেছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, ভোটপর্বে মোট ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। ৪৭দিন ধরে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন এই বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে আরও বেশি শিক্ষাভবনের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্য জয়েন্ট-এর পরীক্ষার জন্যেও শিক্ষাকেন্দ্রগুলিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে হবে। এরকম পরিস্থিতিতে দু'দিক কীভাবে সামলাবে রাজ্য প্রশাসন, তা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও প্রশ্ন তুলেছেন।
এবিষয় রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের কর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার বিকাশ ভবন এবং নবান্নের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজই, শনিবার ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে ভোটের দিন ঘোষণা কমিশনের ফুল বেঞ্চের। এবার ৭ দফায় ৫৪৩ আসনে হতে চলেছে ভোট। লোকসভা ভোটের পাশাপাশি দেশজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ভোট। ৪ জুন ভোট গণনা।
বাংলায় কবে কোথায় ভোট?
প্রথম দফা (১৯ এপ্রিল)-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি
দ্বিতীয় দফা (২৬ এপ্রিল)-রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিং
তৃতীয় দফা (৭ মে)- মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর
চতুর্থ দফা (১৩ মে)- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল
পঞ্চম দফা (২০ মে)- শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ
ষষ্ঠ দফা (২৫ মে)- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর
সপ্তম দফা (১ জুন)- উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এদিন জানিয়েছেন, গোটা দেশে ভোট কেন্দ্রের সংখ্য়া ১০ লক্ষ। দেশে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৯৭ কোটি। তার মধ্য়ে মহিলা ভোটার ৪৭ কোটি এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি। ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্য়ে ভোটারের সংখ্য়া ২১ কোটি। ১ কোটি ৮২ লক্ষ নতুন ভোটার। আজ থেকেই চালু নির্বাচনী আচারবিধি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যের ৪২টি আসনে মোট ৭ দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত চলেছিল বঙ্গের লোকসভা ভোট। তিনটি রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় লোকসভা ভোট হয়েছিল ২০১৯ সালে।
২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনের প্রায় সবকটিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল মূলত তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে বাম-কংগ্রেস পিছিয়ে ছিল অনেকটাই। তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসনে। আর বিজেপির দখলে ছিল ১৮টি সিট।অন্যদিকে কংগ্রেস জিতেছিল দুটি আসনে। বামেরা খাতা খুলতেই পারেনি। এবারও লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপি এবং তৃণমূলই।
২০২৪-র লোকসভা ভোট কবে? অবশেষে সেই দিনক্ষণ ঘোষণা করতে চলেছে, এমনটাই শুক্রবার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারই লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে। শুক্রবার এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
শনিবার বিকেল ৩টের সময় সাংবাদিক বৈঠক করে লোকসভা ভোটের সূচি ঘোষণা হবে। সেই সঙ্গে সম্ভবত অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও সিকিমের বিধানসভা ভোটের দিনও জানা যাবে। প্রসঙ্গত, একদফায় রাজ্যে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অশান্তির আশঙ্কায় প্রতিবার সবচেয়ে বেশি দফায় ভোট হয় পশ্চিমবঙ্গে। এবার কত দফায় ভোট হবে সেটাই দেখার।
এদিকে মোদী সরকার রাষ্ট্রপতির কাছে এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাব পেশ করেছে। লোকসভা ভোটের সঙ্গে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ভোটের দিন ঘোষণার মধ্য দিয়ে কি বিজেপি সরকার সেই পথে পা বাড়াবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে সব রাজনৈতিক দলই ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এবার ৪০০ আসনে ভোটে জেতার দাবি করেছে বিজেপি।
ভোটের মুখে ফের ধাক্কা তৃণমূলে। তাপসের পর এবার অর্জুন। বিজেপিতে যাওয়ার ঘোষণা ব্যারাকপুরের সাংসদের। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অর্জুন সিং। এবারও তিনি ব্য়ারাকপুরে বিজেপির টিকিটে লড়তে চলেছেন। তাঁর সঙ্গে দিল্লি যান দিব্য়েন্দু অধিকারীও।
উল্লেখ্য, বিকেল ৩টের সময় দিল্লি বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে বিজেপিতে যোগদান। তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তারপরই জল্পনা চলছিল তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে।
বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। সঙ্গে আরও এক বড় নেতা যোগ দেবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অর্জুন। বলা যায়, বিজেপিতে ‘ঘর ওয়াপসি’ হল অর্জুনের।
বর্তমানে অর্জুন রয়েছেন সাংসদ পদে। আর বিজেপির টিকিটে জিতেই এই পদে আসীন হয়েছিলেন অর্জুন। পরে দল বদলে ফেরেন তৃণমূলে। ৫ বছরের মধ্যে আবার পাল্টি! ফের গেরুয়া শিবিরেই যাচ্ছেন তিনি। তিনি বৃহস্পতিবার জানালেন, ‘আমি আমৃত্যু বিজেপি করব।’
লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে গর্জনের ডাক তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’ থেকে। আজই, তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে, এমনটাই সূত্র মারফত খবর। তারকা, প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে প্রাক্তন আইপিএস সহ হেভিওয়েট নেতাদের নাম থাকতে চলেছে এই প্রার্থী তালিকায়। ইতিমধ্যে বিজেপিকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে হুগলি থেকে তৃণমূলের টিকিটে রাজনীতির ময়দানে পদাপর্ণ করতে চলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী। বালুরঘাট থেকে ঘাসফুলের হয়ে লড়তে পারেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত রায়গঞ্জে ডিআইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। ব্যারাকপুর থেকে পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, বারাসত থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্র। এছাড়াও মালা রায়, শতাব্দী রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া (মেদিনীপুর) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাজদা আহমেদ, সৌগত রায়ও (দমদম) টিকিট পাবেন বলেই খবর।
উল্লেখ্য, বিশেষ চমক থাকছে আজকের ব্রিগেড মঞ্চে। তৃণমূল সুপ্রিমোর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন হেভিওয়েট নেতারা। এই বার ব্রিগেডে মঞ্চ সজ্জায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। দুটি অপেক্ষাকৃত ছোট এবং একটি বড়। তৈরি করা হয়েছে র্যাম্পও। এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বার্তা দেন, সেই দিকে সব নজর।
লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে বিজেপি, তৃণমূল। তৃতীয় দফায় সভা করতে বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, শনিবার বিকেলে শিলিগুড়িতে সভা করছেন তিনি। সেখানে উপস্থিত থাকছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ বাগডোগরায় নেমেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যান। লোকসভা নির্বাচনের মুখে উত্তরবঙ্গের প্রথম সভাটি শিলিগুড়ি দিয়ে শুরু করেছেন তিনি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কাওয়াখালি মাঠে বিকেল তিনটেয় ওই সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ন্ত্রিণ করা হচ্ছে যান চলাচল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরই ৭ই মার্চ সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দুর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপিতে যাওয়ার পর এটাই প্রথম মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে চলেছে প্রাক্তন বিচারপতির।
সন্ত্রাস ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি নির্বাচন কমিশনের। এরপরেও কোনও হিংসা হলে দায়ী থাকবেন রাজ্য পুলিসের ডিজিপি। কড়া বার্তা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের। গত দু'দিনে দফায় দফায় জেলা শাসক এবং পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এমনকি আজ ইডি, আয়কর দফতর সহ অন্তত ২২ টি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। বৈঠক হয় রাজ্য পুলিসের ডিজিপি রাজীব কুমার এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে। আর সেই বৈঠকেই মুখ্যসচিব এবং ডিজিপিকে সন্ত্রাস নিয়ে কড়া বার্তা কমিশনের তরফে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কমিশনের ফুল বেঞ্চের মুখোমুখি হন রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। ছিলেন রাজ্য পুলিসের ডিজিপিও। আর সেখানেই সন্ত্রাস নিয়ে কার্যত কমিশন যে একেবারেই কড়া সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এমনকি কমিশনের অনেক নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেও এদিন ডিজিপিকে বার্তা দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। আর তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কোনও রকম সন্ত্রাস হলে রাজ্য পুলিসের ডিজিপি দায়ী থাকবেন বলেও এদিন বৈঠকে কমিশন স্পষ্ট করেছে বলে সূত্রের খবর।