ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ল। কলকাতা পুলিসের আওতায় এল ভাঙড়। ফলে আরও বাড়ল লালবাজারের সীমানা। গঙ্গা নদী থেকে যা সম্প্রসারিত হয়ে পৌঁচ্ছে গেল একেবারে মাতলা নদীর কাছে। এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন হল ভাঙড়।
নতুন ডিভিশনের জন্য ঠিক হয়েছে আটটি থানার পাশাপাশি নতুন ট্রাফিক ডিভিশন তৈরি করা হল। যেখানে দু জন ডিসির পাশাপাশি থাকবেন চারজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। প্রত্যেক থানায় ওসির পাশাপাশি রাখা হবে, অতিরিক্ত ওসি। থাকবেন কমপক্ষে ১০ জন সাব-ইন্সপেক্টর। বুধবার এই আটটি থানার পরিকাঠামো তৈরিতে চার জনকে অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
পরিকাঠামোর কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন করা হবে। নতুন থানা হতে চলেছে, হাতিশালা, পোলেরহাট, উত্তর কাশীপুর, বিজয়গঞ্জ বাজার, মাধবপুর, চন্দনেশ্বর, বোদরা ও ভাঙড়।
অশান্ত ভাঙড়কে শান্ত করতে গতকালই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল অর্থাৎ বুধবারই কলকাতা পুলিস কমিশনার কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভাঙড়ের শান্তি রুখতে, ভাঙড়কে কলকাতা পুলিসের একটি নতুন ডিভিশনের আওতায় আনার জন্য। এবার সেই মতো পরিকল্পনার কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিস।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একজন আইপিএস পদমর্যাদার অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা পুলিসের বেশ কিছু আধিকারিক ভাঙড়ের কাশিপুর থানায় যান। সূত্রের খবর, সেখানে ভারপ্রাপ্ত এক অফিসার কে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকও চলে। ওই বৈঠকে আলোচনা হয় একটি নতুন ডিভিশনের মাধ্যমে ভাঙড় এবং সন্ত্রাস কবলিত ভাঙ্গড় সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকা ওই ডিভিশনের আওতায় এনে, কলকাতা পুলিসের একটি নতুন ডিভিশন করা হবে। সেখানে প্রয়োজনে অতিরিক্ত থানার পরিকল্পকনা করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ভাঙড়। দফায় দফায় তৃণমূল ও আইএসএফ সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে ৭ মানুষের। এরই মধ্যে ভাঙড়কে শান্ত করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। এ ছাড়া ভাঙড় ও ক্যানিংয়ের বিধায়ক নওশাদ ও শওকত মোল্লা দুজনই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ভাঙড়কে শান্ত করার বার্তা দেন।
তৃণমূলের শহীদ দিবস উপলক্ষে আগেভাগেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করল কলকাতা পুলিস। ২১ জুলাই কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসবেন। ফলে শহরের একাংশ অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা। প্রতিবারের মতো এবারও করা নিরাপত্তার মধ্যেই পালন করা হবে তৃণমূলের শহীদ দিবস। সে কারণে সাধারণ মানুষ এই দিন অর্থাৎ শুক্রবার ধর্মতলা চত্বরে না ঘেঁষাই ভালো।
এদিন কোন গাড়ি কোন পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে, কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে, কোন রাস্তায় কী ভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১২ জুলাই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের খুঁটিনাটি জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পুলিশ।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার কলকাতার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আর্মহার্স্ট স্ট্রিটে উত্তর থেকে দক্ষিণে, কেসি সেন স্ট্রিট থেকে বিবেকানন্দ রোড পর্যন্ত বিধান সরণিতে দক্ষিণ থেকে উত্তরে, কলেজ স্ট্রিটে দক্ষিণ থেকে উত্তরে, ব্রেবর্ন রোডে উত্তর থেকে দক্ষিণে, হেয়ার স্ট্রিট থেকে রাজা উডমন্ট স্ট্রিট পর্যন্ত স্ট্র্যান্ড রোডে দক্ষিণ থেকে উত্তরে, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পূর্ব থেকে পশ্চিমে, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে দক্ষিণ থেকে উত্তরে, নিউ সিআইটি রোডে পশ্চিম থেকে পূর্বে এবং বিকে পাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজার স্ট্রিট পর্যন্ত, রবীন্দ্র সরণিতে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে।
কলকাতা পুলিশের অধীন সমস্ত এলাকায় শুক্রবার ভোর ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনও ধরনের মালবাহী যান চালানো যাবে না (ব্যতিক্রম গ্যাস সিলিন্ডারবাহী গাড়ি, সব্জি, ফল এবং দুধ পরিবহণকারী যান)।
এ ছাড়া, শুক্রবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের মধ্যে এবং কাছাকাছি এলাকায়, এজেসি বোস রোডের কিছু অংশে, হেস্টিংস ক্রসিং এবং ক্যাথিড্রাল রোডের মধ্যবর্তী এলাকা, হসপিটাল রোড, কুইন্সওয়ে, ক্যাথিড্রাল রোড, ক্যাসুয়ারিনা অ্যাভিনিউ এবং লাভার্স লেনে কোনও ধরনের গাড়ি পার্ক করতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার শহরে ট্রাম চলবে না। ভোর ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলের রুটে যে কোনও রকমের গাড়িকেই বাধা দেওয়া হতে পারে।
শুক্রবার বন্ধ থাকবে কলকাতার একাধিক বাস রুট। কারণ, রাস্তাঘাটে দিনের একটা বড় সময় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। একই সঙ্গে সমাবেশ উপলক্ষে কর্মী-সমর্থকদের জন্য প্রচুর বাস তুলেও নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। শহরের বাইরে থেকেও ঢুকে পড়বে প্রচুর বাস। সকালে তৃণমূল কর্মীদের আসা এবং দুপুরের পরে ফিরে যাওয়া। এর ফলে রাস্তাঘাট গোটা দিনই ভিড়ে ভারাক্রান্ত থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অ্যাপ-নির্ভর ক্যাবও ভিড়ের কারণে কতটা সচল থাকবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে মেট্রো পরিষেবা শুক্রবার স্বাভাবিক থাকবে বলেই জানিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই দিন রাজনৈতিক সমাবেশ উপলক্ষে কোনও বাড়তি মেট্রো চালানো হবে না। তবে ভিড় সামলাতে কোনও কোনও স্টেশনে কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে।
ফের দময়ন্তী সেনকে (Damayanti Sen) বদলি করা হল। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) স্পেশাল পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner) পদে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবারের নির্দেশ অনুযায়ী, এবার ‘এডিজি ট্রেনিং’ পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই প্রথম নয়, আগেও তাঁকে কলকাতা পুলিশ থেকে সরানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ-কাণ্ডের পর তাঁকে কলকাতা পুলিশ থেকে সরানো হয়েছিল। প্রথমে ব্যারাকপুরে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ছিলেন তিনি। এরপর সেখানে থেকে সরানো হয় যথাক্রমে দার্জিলিংয়ে ডিআইজি রেঞ্জ ও সিআইডি-তে। ফের ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিশে ফেরেন তিনি। কালিয়াগঞ্জ ধর্ষণ মামলায় তদন্তভার যে তিনজনকে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দময়ন্তী সেন।
মনি ভট্টাচার্য: ঘূর্ণিঘড় 'মোখা'র মোকাবিলায় সক্রিয় কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, এ সংক্রান্ত মোকাবিলায় লালবাজারে (Lalbazar) খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম (Control Room)। কীভাবে 'মোখা'র মোকাবিলায় সহায় হবে লালবাজার! সিএন ডিজিটালকে বিস্তারিত জানালেন কলকাতা পুলিসের টেকনিক্যাল বিভাগের এক অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার। লালবাজারের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিসের ওই এসিপি জানালেন, ডিএমডি, কেএমসি, সিইএএসসি ইত্যাদি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে এই কন্ট্রোল রুমের। কোনো ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই থানা ভিত্তিক এলাকাগুলিতে পুলিস বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরের বাহিনী পাঠিয়ে মোকাবিলা করা হবে।
সরকারের তরফে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র মোকাবিলায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। শনিবার নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলার কথাও জানানো হয়েছিল। কথামতো 'মোখা'র মোকাবিলায় নবান্নে শনিবারই কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি 'মোখা'র মোকাবিলায় এবার কলকাতা পুলিসের তরফেও খোলা হয়েছে হেল্পলাইন। রবিবার সকাল ৭ টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিসের কন্ট্রোল রুম।
লালবাজার সূত্রে খবর, রবিবার থেকেই দিনে ৩ শিফটে ওই কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে ডিএমডি, কেএমসি, সিইএসসি দফতরের একজন আধিকারিক থাকবেন। তাদের সাহায্যেই প্রতিটি থানা এলাকায় সংশ্লিষ্ট দফতরের বাহিনী পাঠানো হবে।
লালবাজার সূত্রে খবর, ওই কন্ট্রোলরুম গুলির কয়েকটি নম্বর চালু করা হয়েছে। যাতে বিপদের সম্মুখীন হলেও ওই কন্ট্রোল রুমের সাহায্য নিতে পারে মানুষ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর থেকেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। যদি শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে এটিই হবে চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে, আগামী ৮ মে এই ঘূর্ণাবর্তটি একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর ৯ মে এটি বঙ্গোপসাগর থেকে আরও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেভাগেই লালবাজারের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যেখানে একটি হোয়াটস অ্যাপ নম্বরও খোলা হয়েছে। নম্বরগুলি হলো, ২২১২ ১৮৯০, ২২৫০ ৫০৩৩, ২২৫০ ৫০৪৪, ২২৫০ ৫১৪৬। এর পাশাপাশি লালবাজারের কন্ট্রোল রুমের হোয়াটস অ্যাপ নম্বর ৯৪৩২৬১০৪৫০।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইপিএলে (IPL) বেটিং (Betting) করার অভিযোগে মোট ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্লাইভ রো এলাকার একটি অফিস থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম মনীশ জৈন (৪৩)। তাকে জেরা করে পুলিস আরও অনেক জুয়াড়ির বিষয়ে জানতে পাড়া যাবে বলে খবর।
আইপিএলে বেটিং চক্র কলকাতায় অতি সক্রিয়, এবিষয়ে বারবার অভিযোগ আসছিল কলকাতা পুলিসের কাছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, কলকাতায় স্কাই এক্সচেঞ্জ নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিকেট বেটিং চক্র চলছে। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস জানতে পারে, চলতি মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে ওই খেলায় বেটিং চলছে। খবর পেয়ে হানা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে আরও দুই জুয়াড়ির খোঁজ পায় পুলিস। পরে ধৃতের বক্তব্যের ভিত্তিতে, অপর জুয়ারিরকে ধরতে বেরোয় পুলিস। সূত্রের খবর, ডোভার রোডের রোজা ম্যানর হোটেলে হানা দিয়ে ওই দুই জুয়ারিকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম পবন আগরওয়াল (৩২) এবং রোহিত জৈন (৩৬)। পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে মোট ১১টি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ ও নগদ ৬০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি মামলা শুরু হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আইপিএলে (IPL) বেটিং (Betting) করার অভিযোগে, মোট ৩ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিস (Kolkata Police)। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্লাইভ রো এলাকার একটি অফিস থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম মনীশ জৈন (৪৩)। তাকে জেরা করে পুলিস আরও অনেক জুয়াড়ির বিষয়ে জানতে পার্বনে বলে জানিয়েছে পুলিস।
আইপিএলে বেটিং চক্র কলকাতায় অতি সক্রিয়, এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ আসছিল কলকাতা পুলিসের কাছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, কলকাতায় স্কাইএক্সচেঞ্জ নামক একটি অ্যাপের মাধ্যমে ক্রিকেট বেটিং চক্র চলছে, হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস জানতে পারে, চলতি মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে ওই খেলায় বেটিং চলছে। খড় পেয়ে হানা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস।
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতকে জেরা করে আরও দুই জুয়াড়ির খোঁজ পায় পুলিস। পরে ধৃতের বক্তব্যের ভিত্তিতে, ওই ধৃতকে নিয়ে অপর জুয়ারিরকে ধরতে বেরোয় পুলিস। সূত্রের খবর, ডোভার রোডের রোজা ম্যানর হোটেলে হানা দিয়ে ওই দুই জুয়ারিকিওপি গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম পবন আগরওয়াল (৩২) এবং রোহিত জৈন (৩৬)। পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃত দের থেকে মোট ১১টি মোবাইল ফোন এবং একটি ল্যাপটপ, ও নগদ ৬০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি মামলা শুরু হয়েছে।
প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Suicide)। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কুলবেড়িয়া সরদার পাড়া গ্রামে। ঘটনাস্থল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স (Kolkata Leather Complex Police) থানার পুলিস। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিস। জানা গিয়েছে, মৃত প্রেমিক যুগলের নাম অসীম সরদার ও প্রেমিকা টুকটুকি সরদার। একই ওড়নার দুই প্রান্তে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তাঁরা। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়না বাঁধা অবস্থায় দু'জনকে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা। একই ওড়নার এক প্রান্তে প্রেমিক ও অপর প্রান্তে প্রেমিকাকে ঝুলতে দেখে এলাকার মানুষজন। এরপরই তাঁরা পুলিসে খবর দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি দুই পরিবার। সেই কারণেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে দু'জন।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিস।
রাষ্ট্রপতির বঙ্গ সফরের মধ্যেই তিলজলায় নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ রেল থেকে সড়ক পথ। নাবালিকা (Minor Murder) খুনের বিচারের দাবির পাশাপাশি থানায় হামলার ঘটনায় ধৃতদের মুক্তির দাবিতে ধুন্ধুমার তিলজলা, পিকনিক গার্ডেন, বন্ডেল গেট এলাকা (Tiljala Murder)। পুলিস সূত্রে এমনটাই খবর। তিলজলায় নাবালিকা খুনে রবিবার থেকেই ফুঁসছে এলাকা। সোমবার বেলা গড়াতেই সেই জনরোষ ছড়িয়ে পড়ল রেল লাইন থেকে রাস্তায়। রেল অবরোধের সঙ্গেই চলেছে পথ অবরোধ। পুলিস, দমকলকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। অগ্নিসংযোগ পুলিসের গাড়িতে। বন্ডেল গেট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। গোটা এই জনরোষের ঘটনা ধরা পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়। পুলিস এই অবরোধ তুলতে এলে, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পাশাপাশি নামানো হয় র্যাফ। প্রায় ঘণ্টাখানেক শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর এখন স্বাভাবিক পরিষেবা।
এদিকে তিলজলা-কাণ্ডে থানা ভাঙচুরের অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় ২ ব্যক্তি। পুলিস সূত্রে খবর, নাবালিকা খুনে অভিযুক্তদের শাস্তির পাশাপাশি স্থানীয় দুই ব্যক্তির মুক্তির দাবিতেই নাকি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা এলাকা। প্রথমে বন্ডেল গেট অবরোধ, পরে সেই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা তিলজলা, তপসিয়া, পিকনিক গার্ডেন এলাকায়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধের সঙ্গেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের গাড়ি এবং একটি বাইকও। পাথর বৃষ্টিতে আটকে পড়েন একাধিক সহ-নাগরিক। অনেকের মুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। ঘটনাস্থলে আসে বিরাট পুলিস বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে সশস্ত্র বাহিনীকে নামাতে হয়। এরপর রেল অবরোধকারীদের উদ্দেশ্যে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হলে অবরোধকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়। বন্ডেল গেট ব্রিজে জ্বলতে থাকা গাড়ি থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রের খবর, রবিবার এক নাবালিকার পরিবার, তাদের কন্যার নিখোঁজ অভিযোগ জানায় তিলজলা থানায়। এরপর পুলিস তদন্তে নেমে, সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে জানতে পারে, মৃতা নাবালিকা তাঁর ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আবার ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। তারপরেই ওই নাবালিকার খোঁজে গোটা ফ্ল্যাটজুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। এরপর ওই নাবালিকার প্রতিবেশী আলোক কুমার সাউয়ের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানোর সময়, আচমকাই পরিবার ও পুলিসের নজরে আসে গ্যাস ওভেনের পিছন দিকে বস্তায় কিছু জিনিস পড়ে রয়েছে। বস্তা খুলতেই নজরে আসে ওই নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে ওই অভিযুক্ত, আলোক কুমার সাউকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রের খবর, তিলজলার ঘটনায় ১৪ দিন অর্থাৎ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিসি হেফাজত অভিযুক্তদের।
তান্ত্রিকের (Tantrik) কথায় সন্তান পেতে, রামনবমীর আগে নাবালিকাকে (Infant) খুন! তিলজলায় (Tiljhala) নাবালিকা খুন-কাণ্ডে পুলিসের হাতে উঠে এলো নয়া তথ্য। জেরায় এ কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বলেই পুলিস সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, রবিবার এক নাবালিকাকে নিখোঁজের অভিযোগ আনে পরিবার। নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগ, রবিবার তাঁদের মেয়ে নিচে ময়লা ফেলতে এসে আর ফেরেনি।
সূত্রের খবর, এরপর পুলিস তদন্তে নেমে, সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে জানতে পারে ময়লা ফেলে ফ্ল্যাটেই উঠে গিয়েছে বছর সাতেকের ওই নাবালিকা। তারপরেই ওই নাবালিকার খোঁজে গোটা ফ্ল্যাটজুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। তারপর ওই নাবালিকার প্রতিবেশী আলোক কুমার সাউয়ের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানোর সময়, আচমকাই পরিবার ও পুলিসের নজরে আসে গ্যাস ওভেনের পিছন দিকে বস্তায় কিছু জিনিস পড়ে রয়েছে। বস্তা খুলতেই নজরে আসে ওই নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে ভারী অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে, পরে গলা কেটে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। ঘটনাস্থল থেকে ওই অভিযুক্ত, আলোক কুমার সাউকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। অলোকের ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় সেখান থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপরেই পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। রাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ভাঙচুর চালায় তিলজলা থানায়। পাশাপাশি মারধর করা হয় ওই অভিযুক্তকে। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় তিনটে মামলা রুজু করে, ভাঙচুরের ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
এরপর অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, মূল অভিযুক্ত অলোক কুমার সাউ বিহারের বাসিন্দা। অভিযুক্ত নিঃসন্তান ছিল, তাঁর স্ত্রীকে তিনবার গর্ভপাত করতে হয়েছিল। সূত্রের খবর, জেরায় ওই অভিযুক্ত পুলিসকে জানিয়েছে, বিহারের এক তান্ত্রিক সন্তান লাভের জন্য রামনবমীর আগে নরবলি দিতে বলেছিল, সেই মতো অলোক ওই নাবালিকাকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিস। এ ঘটনায় সোমবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা এলাকা। সোমবার দুপুরে বন্ডেল গেট এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা।
১৮ দিন পর মঙ্গলবার কলকাতা (Kolkata police) লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বামনঘাটা ব্রিজের নিচের খাল থেকে উদ্ধার ট্যাংরার যুবক ঝুন্নু রানার দেহ। নীল ড্রামে ভরা পচা-গলা অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহটি। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৫ নাগাদ দেহ উদ্ধার করে পুলিস। দেহ উদ্ধারের পর শনাক্তকরণের জন্য দেহটিকে নীলরতন সরকার (Nrs) মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। এরপর দেহটির ময়না তদন্ত হলে পুলিস মারফত জানা যায়, ঝুন্নুর মাথায় বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন আছে, ভারী কোনো অস্ত্র দিয়ে তাকে বারবার আঘাত করা হয়েছে বলে খবর।
মার্চ মাসের ৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল ট্যাংরার যুবক ঝুন্নু রানা, ঝুন্নুর পরিবারের তরফে তদন্ত করে জানতে পারে ঝুন্নুকে সিসিটিভি ফুটেজে শেষ মার্চ মাসের ৫ তারিখ তার নব্য বন্ধু তিলজলার গোলাম রব্বানীর সঙ্গে বাইকে দেখা গিয়েছে। এরপর পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। সেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিসের কাছে গোলামের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে ঝুন্নুর পরিবার। ঝুন্নুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গোলামের খোঁজ শুরু করে পুলিস। পরে ১৬ তারিখ দিল্লি থেকে গোলাম রব্বানী, তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, ভাই-সহ আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস।
অভিযুক্তদের জেরা করে জানা যায়, গোলামের পরিবারই ঝুন্নুকে খুন করেছে। এরপর থেকে লাগাতারভাবে ঝুন্নুর দেহ খুঁজতে থাকে পুলিস। মঙ্গলবার বামনঘাটা ব্রিজের নিচের খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে ট্যাংরার যুবক ঝুন্নু রানার দেহ।
একই রাতে কোথাও দেড় কোটি টাকার গাঁজা পাচার (Smuggling) রুখলেন। আবার কোথাও পুরোনো ঘটনার অভিযুক্তদের জেরা করে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করলেন বিলাসবহুল গাড়ির সঙ্গে বিপুল টাকার নিষিদ্ধ মাদক (Drug)। কোথাও কলকাতা পুলিসের এসটিএফ, আবার কোথাও বিধাননগর কমিশনারেটের এসটিএফ।
পুলিস জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে সার্ভে পার্ক থানা এলাকার বাইপাসের অজয়নগর মোড়ে অভিযানে যায় পুলিস। একটি এসইউভি গাড়ি থামিয়ে তার ভিতর থেকে ১২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। মঙ্গলবার রাতেই, ওই গাড়ির চালক বরকত খান ওরফে ইমরানকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, ওড়িশা থেকে ওই গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল দক্ষিণ শহরতলীতে। গাড়ির সিটের ভিতরে ওই মাদক ১০টি ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানায় পুলিস।
পাশাপাশি গত ১৬ই মার্চ বিধাননগরের নাওভাঙা নামক জায়গায় গোপন খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে বেঙ্গল এস টি এফ-র হাতে ধরা পড়েছিল মেহতাব বিবি এবং মোমিন খান নামক দুই ড্রাগ ব্যবসায়ী। সঙ্গে মিলেছিল বহুমূল্যের নিষিদ্ধ মাদক হিরোইন। এই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন, মঙ্গলবার গভীর রাতে বেঙ্গল এস টি এফ-র তদন্তকারী অফিসারদের কাছে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাতেই ওই এলাকায় আবার তল্লাশি চালিয়ে মেলে দুইটি বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ। দুইটি গাড়িতেই পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক (হেরোইন )। হাফ কিলো ওজনের মাদকের একটি ব্যাগ ছাড়াও, তিরিশ হাজারের উপর ক্ষুদ্র পুরিয়া পাওয়া যায় গাড়িতে। যার মোট ওজন দেড় কিলোগ্রাম।
উল্লেখ্য, ড্রাগচেইন-এর একদম শেষে বিভিন্ন মাধ্যমে নেশাড়ুদের কাছে এই পুরিয়া-ই পৌঁছে যেত। উপরোক্ত দুই ধৃতকে নিয়ে বেঙ্গল এস টি এফ-র তদন্তকারী টিম আরও তল্লাশি চালাবে বলেই আপাতত খবর।
দু বছরের শিশুকন্যাকে খুনের (Child Murder) অভিযোগে ধৃত বাবা। সোমবার এন্টালি থানা (Entally PS) এলাকার ঘটনায় শিশুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিস (Kolkata Police)। পুলিস জানিয়েছে, মায়ের অভিযোগ, এ মাসের ১৮ তারিখে তাঁর স্বামী শিশুকন্যাকে খুন করে। তারপরেই এন্টালি থানায় অভিযোগ করেন শিশুকন্যার মা।
ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিস। এরপরেই ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিস। সোমবার ওই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
ট্যাংরায়(tangra) খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিসের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিস (kolkata police) সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ধৃতদের জেরা করে পাওয়া গিয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানা গিয়েছে ঝুন্নুকে হাতুড়ি দিয়ে খুন করা হয়েছিল। পুলিস শনিবার তদন্তের জন্য যায় গোলাম রব্বানীর বাড়ি। শুক্রবার রব্বানীর বাড়িতে তল্লাশি করে জানা যায়, খুন করার পর রক্তের দাগ মুছতে দেওয়াল রঙ করলেও সিলিংয়ে পাওয়া গিয়েছে রক্তের দাগ। এমনই পুলিস সূত্রে খবর।
শনিবার জেরার পর পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীর স্ত্রী আয়েশা নুর অন্তঃসত্ত্বা। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণের জন্য গোলাম, ঝুন্নুকে খুন করেন। শনিবার পুলিসের এক কর্তা বলেন, 'অভিযুক্ত গোলাম রব্বানী পুলিসকে জানিয়েছেন ঝুনু রানাকে খুন করে খালের জলে ফেলে দিয়েছে।' যদিও শনিবার ঝুন্নুর মৃতদেহের জন্য সায়েন্স সিটির কাছে একটি ঝিলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। এখনও ঝুন্নুর মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিস।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি মৃতদেহ পচন ধরে হালকা হয়ে ড্রাম থেকে বেরিয়ে যেতে পারে, শনিবারও ট্যাংরা এলাকা এক প্রকার থমথমে ছিল। পুলিস জানিয়েছে এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই গোলামের ভাই ইমরান রব্বানীকে গ্রেফতার করে পুলিস। মোট চার অভিযুক্তকে জেরা করে এই খুন সম্বন্ধে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করবে পুলিস। শুক্রবার সকালে বাকি তিন অভিযুক্তকে কোর্টে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ট্যাংরায় খুনের (Tangra Incident) ঘটনায় বৃহস্পতিবাবার রাতেই গ্রেফতার মূল অভিযুক্তর মামা রিয়াজ ও গোলাম রব্বানীর স্ত্রী। শুক্রবার শিয়ালদহ কোর্টে তোলা হবে তাঁদের। চলতি মাসে ৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঝুনু রানা নামে এক বছর ৩৪-এর যুবক। পরিবারের অভিযোগ, বারবার পুলিসে অভিযোগ করা সত্ত্বেও অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিস (kolkata police)। এরপর পরিবারের তরফে আত্মীয় ও পরিজনদের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের পর দেখা যায় ঝুন্নু রানার শেষ অবস্থান ছিল তিলজলা থানার (tiljala murder) গোলাম রব্বানীর বাড়ি। পরিবার সূত্রে খবর, ঝুন্নুর সঙ্গে দিন চারেক আগে বন্ধুত্ব হয় এই গোলাম রব্বানীর।
পুলিস সূত্রের খবর, এরপরেই ওই সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ট্যাংরা থানায় গোলাম রব্বানীর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনে ঝুনুর পরিবার এবং চূড়ান্ত পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ট্যাংরা থানা ঘেরাও করে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, 'বারংবার পুলিসকে অভিযোগ জানানোর পর পুলিস কেবল একটি জেনারেল ডায়রি গ্রহণ করে এবং দোলের পরে থানায় যোগাযোগ করতে বলে।'
স্থানীয় সূত্রের দাবি, 'এরপর ঝুন্নুর পরিবারের তরফে লালবাজারের গোয়েন্দা দফতরে যোগাযোগ করা হলে পুলিস নড়েচড়ে বসে। এরপরে তদন্ত প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে গেলে ১৬ তারিখ দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় গোলাম রব্বানীকে। বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে তাঁকে কলকাতায় আনা হয়।' বৃহস্পতিবার ঝুন্নুর ভাই বিক্রম রানা বলেন, 'আমার এক ভাই তিলজলায় নামি রেস্তোরায় কাজ করে, সেখানেই গোলামকে ঝুন্নুর সঙ্গে শেষবার দেখেন ওই ভাই, সেখান থেকেই আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি এবং পুলিসকে জানাই।'
ঘটনাক্রমে এক উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকের দাবি, অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় ঝুন্নুকে সে-ই খুন করেছে, এছাড়া ওই ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার বলেন, "তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৪ তারিখ ভোরে রাব্বানী, তাঁর স্ত্রী ও রাব্বানীর মামা রিকশা করে নীল ড্রামে দেহ ভরে ভোর ৫.৩০-৬টার মধ্যে দেহ তপসিয়া খালের ধারে ফেলে দিয়ে আসে।"
রব্বানীকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকাল থেকেই তিলজলা এলাকায় একটি ঝিলে ঝুন্নুর দেহের খোঁজে ডিএমজি নামিয়ে ঝুন্নুর মৃতদেহের উদ্ধারের তদন্ত চালাচ্ছে পুলিস। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিসের বড়কর্তা শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী।