রেশন দুর্নীতি মামলা নিয়ে পরপর ঘটনাক্রম কী, তা অজানা কারোও নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে রেশন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই গতি পায় তদন্তে। এরপর বালুর সূত্র ধরে শঙ্কর আঢ্য, শেখ শাহজাহান। এমন পরিস্থিতিতেই হঠাৎ কলকাতা পুলিস তৎপর হয়ে উঠল রেশন দুর্নীতি নিয়ে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যেই লালবাজারকে, কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত প্রত্যেক ডেপুটি কমিশনারকে তথ্য দিয়ে জানাতে হবে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কত অভিযোগ জমা পড়েছে? সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? এই সবটা শুক্রবারের মধ্যেই জানতে চায় লালবাজার।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর বর্তমানে তদন্তাধীন, তখন হঠাৎ কলকাতা পুলিস কেন সে সংক্রান্ত অভিযোগ দেখতে তৎপর হয়ে উঠল? এর নেপথ্যে কোন উদ্দেশ্য কাজ করছে রাজ্য পুলিসের- তারই হদিশ খুঁজছে ওয়াকিবহল মহল। বিরোধী মহলের দাবি, আবার বড় কোনও লিঙ্ক কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে আসার আগেই ঢেকে দেওয়ার জন্য পুলিসের এই চাল নয় তো?
রবিবার ছুটির দিনে শহরে কলকাতা পুলিসের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল হাফ ম্যারাথন। এদিন ভোরে রেড রোড থেকে সূচনা হয় ম্যারাথনের। এদিন এই ম্যারাথনে অংশ নিতে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কিন্তু এর মাঝেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। সেফ ড্রাইভ সেফ লাইফ হাফ ম্যারাথনে ময়দানে অনুষ্ঠান চলাকালীন দমকা হাওয়ার জেরে তোরণ ভেঙে আহত হন কলকাতা পুলিসের অ্যাডিশনাল সিপি (১) মুরলীধর শর্মা। মাথায় লাগে তাঁর। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আহত হয়েছেন এক মহিলা প্রতিযোগী।
রবিবার সকালে এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, যে পয়েন্টে এই ম্যারাথন শেষ হওয়ার কথা সেখানে একটি বড় তোরণ রাখা ছিল। সূত্রের খবর, সকালে দমকা হাওয়ার জেরে সেই তোরণ আচমকাই ভেঙে পড়ে যায় নীচে। আর এই তোরণের নীচেই দাঁড়িয়েছিলেন কলকাতা পুলিসের এই কর্তা। জানা গিয়েছে, তোরণ ভেঙে পড়ার জন্য তাঁর ঘাড়ে, কোমরে ও মাথায় চোট লাগে। মাথার চোট তেমন গুরুতর নয় বলে সূত্রের খবর। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তড়িঘড়ি। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যেই এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। এক মহিলা প্রতিযোগীরও মাথা ফেটে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার হাফ ম্যারাথনে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথনে অংশ নিয়ে সাধারণ প্রতিযোগীদের সঙ্গে দৌড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্টার্টিং পয়েন্ট থেকে শুরু করে ফিনিশিং পয়েন্ট পর্যন্ত দৌড়াতে দেখা যায় ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে। এছাড়াও কলকাতা পুলিসের হাফ ম্যারাথনে রবিবার সকালে অভিষেক ছাড়াও ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আবার দেব, আবীর চট্টোপাধ্যায়, ইশা সাহাদের মতো টলিউডের একাধিক তারকা ম্যারাথনে পা মিলিয়েছেন।
রাজ্যে অন্যায় রুখতে গিয়ে ফের কলকাতায় আক্রান্ত পুলিস। সম্প্রতি আমরা দেখেছি দুর্নীতির তদন্তে নেমে মার খেতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। এবার এন্টালির ১৫৭ আনন্দপালিত রোডে মধ্যরাতে একটি আবাসনের ছাদে তারস্বরে মাইক বাজিয়ে চলছিল জন্মদিন পালন। শব্দতাণ্ডব সহ্য করতে না পেরে লালাবাজারে অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় এন্টালি থানার পুলিস আধিকারিক সহ বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী। সাউন্ডবক্স বন্ধ করতেই পুলিসের উপর চড়াও হন কয়েকজন মদ্যপ যুবক। বেধড়ক মারধর করা হয় এন্টালি থানার সার্জেন্ট ও এসআই সহ একাধিক পুলিস কর্মীকে। শনিবার মাঝরাতের এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
ইতিমধ্যেই এন্টালি থানার আক্রান্ত সার্জেন্ট সায়ন্তন মিত্রের বক্তব্যের ভিত্তিতে দায়ের হয় অভিযোগ। শুরু হয় পুলিসি তদন্ত। গ্রেফতার করা হয় ২ অভিযুক্ত প্রভাত সরকার ও বাপি সরকার। তবে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা বাকি অভিযুক্তরা। রবিবার ধৃতদের আদলতে পেশ করার পর নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া জারি রাখার সিদ্ধান্ত পুলিসের। কখনও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তো কখনও আবার খোদ পুলিস আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় হতবাক বাংলা তা বলাইও বাহুল্য। এখন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে আগামীদিনে প্রশাসন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার।
এবার শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ঘিরে চাঞ্চল্য। ইমেইল মারফত বার্তা আসে জাদুঘরে একাধিক বোমা রয়েছে। এরপরেই তৎপর হয় পুলিস এবং বম্ব স্কোয়াড। তড়িঘড়ি বের করে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের।
শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের জাদুঘরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। জানা গিয়েছে শুক্রবার ভোরে একটি ইমেলে বোমা থাকার বিষয়টি পাঠানো হয়। ওই ইমেইলে বলা হয়েছে, কলকাতা জাদুঘরে রাখা আছে একাধিক বোমা। ইমেইল এসেছে 'টেরোরাইজার ১১১' নামে, যারা নিজেদের জঙ্গি সংগঠন বলে দাবি করেছে ৷ পাশাপাশি ওই ইমেলে লেখা আছে, তাদের সংগঠনকে প্রচারের আলোয় না আনলে, তারা জাদুঘরে বিস্ফোরণ ঘটাবে।
শুক্রবার সকালে ওই ইমেল বার্তার পরেই তড়িঘড়ি জাদুঘরে উপস্থিত হন বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড সহ পুলিসের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা। এছাড়াও উপস্থিত হন গোয়েন্দা দফতরের অধিকারিকরাও। বোমা থাকার হুমকি বার্তা আসার পর থেকেই খালি করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জাদুঘর। পাশাপাশি কয়েক ঘন্টা বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও জাদুঘরের ভেতরের প্রতিটি কক্ষে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
তবে আদৌ মিউজিয়ামে বোম্ব রাখা আছে, না কি নিছক আতঙ্ক ছড়ানোর কারণে এই ঘটনা উদ্দেশপ্রণোদিত করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া কে বা কারা আসলে এই ইমেইল বার্তা পাঠিয়ে বোমাতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে সেই বিষয়টিও এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। তবে জাদুঘরে হুমকি বার্তা আসার পর সমস্ত বিষয় খুঁজে বার করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
একদিকে কলকাতাবাসী মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। আর সোমবার রাতেই খাদ্যভবনে ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে বুকে গুলি লেগে মৃত্যু হল কনস্টেবলের। কলকাতা পুলিসের রিজার্ভ ফোর্সের ওই কনস্টেবল আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি অসাবধানতায় নিজের সার্ভিস রিভলবারের গুলি তাঁর বুকে লাগে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বাভাবিকভাবেই উৎসবের রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, মৃতের নাম তপন পাল (৫৩)। কলকাতা পুলিসের রিজার্ভ ফোর্সের ডি কোম্পানিতে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তপনবাবুর বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটায়। তবে কাজের সূত্রে নিউমার্কেট এলাকায় খাদ্যভবনের ভিতরে পুলিস ব্যারাকে থাকতেন।
পুলিস সূত্রে খবর, রাত আটটা নাগাদ ডিউটিতে যাওয়ার জন্য ব্যারাক থেকে যখন তপন গাড়িতে উঠছিলেন, সেই সময় তাঁর সার্ভিস রিভলবার থেকে বুকে গুলি লাগে। কোনওরকম মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা তাও জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, তপন বাবু বেশ কিছুদিন ধরেই নার্ভের সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার চেষ্টা চলছে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল।
তিলোত্তমা থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রতিটি কোণ সেজে উঠবে আলোয়। কারণ, আসছে দীপাবলি। শুরু হয়ে গিয়েছে আতসবাজি কেনার হিড়িক, লাইটের দোকানেও লম্বা লাইন। কোমর বাঁধছে কলকাতা পুলিশও। কালী পুজো এবং ভাসান উপলক্ষে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। জানানো হয়েছে, এই সময়েও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কালীপুজোর দিন অর্থাৎ ১২ নভেম্বর সকাল ৮ টা থেকে ১৩ নভেম্বর পরের দিন ভোর ৪ টা পর্যন্ত মালবাহী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ভাসানের দিনও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অর্থাৎ ১৪ এবং ১৫ তারিখও সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। জরুরি দ্রব্য যেমন ওষুধ, গ্যাস, দুগ্ধজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে।
ম্যাচ শেষে বাজি প্রদর্শনীর সময় বাজির শব্দে আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের একটি ঘোড়ার। ইডেনের ক্লাব হাউসের গেটের বাইরে বঙ্গবাসী গ্রাউন্ডে বাইরে ডিউটিরত ছিল ওই ঘোড়াটি। বাজির শব্দে আতঙ্কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দৌড়োতে থাকে ঘোড়াটি। তাঁকে নিয়ন্ত্রণে এনে মাউন্টেড পুলিশের অফিসে নিয়ে গেলে সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ঘোড়াটি। ঘটনায় আহত হয় ২ পুলিশ কর্মী (ঘোড়ার সওয়ারি ও এক কনস্টেবল) ও এক দম্পতি।কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত সওয়ার নিরঞ্জন প্রসাদ সিং ও কনস্টেবল অনিমেষ চক্রবর্তী। আহত দুই পুলিশ কর্মী কোঠারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘোড়ার দ্বারা আক্রান্ত দম্পতি বাঁকুড়া থেকে খেলা দেখতে এসেছিলেন গৌরাঙ্গ রক্ষিত ও সঞ্চিতা রক্ষিত। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ৫ বছর বয়সী, মৃত ওই মহিলা ঘোড়ার নাম "voice of the reason"।
লখনউয়ের পর এবার কলকাতা। বিশ্বকাপের টিকিট কালোবাজারি করার অভিযোগ। এই অভিযোগে শহর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম অঙ্কিত আগারওয়াল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আড়াই হাজার টাকা দামের টিকিট ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করার। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে ওই ব্যক্তি। তার থেকে ২০টি টিকিটও উদ্ধার করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের একনা স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের আগেও কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছিল। সেখানেও অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। অভিযোগ, কলকাতা বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে ইডেনের আশপাশে বেশ চড়া দামে টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে।
এখনও প্রশ্ন হচ্ছে, অনলাইনের টিকিট কী ভাবে বাইরে চলে আসছে। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী এই বিশ্বকাপে বেশি ভাগ টিকিটই অনলাইনে বণ্টন করা হচ্ছে। আর এই টিকিট কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছেই ওই টিকিট আসবে। তাহলে কী এখানেও প্রতারকরা জাল ফেলেছে। তদন্ত করছে লালবাজার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে এবার জমা পড়ল চার্জশিট। বুধবার আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, চার্জশিটে কলেজের ৬ জন বর্তমান পড়ুয়া এবং ৬ জন প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব়্যাগিং এবং পকসো ধারাতেও অভিযোগ এনেছে পুলিস।
উল্লেখ্য, অগাস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলার প্রথম বর্ষের ছাত্রের। ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদ, মিছিল, এককথায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস। র্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার তা কার্যত স্বীকার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে একাধিক পড়ুয়াকে আটক করে পুলিস। তাদের বিরুদ্ধেই এদিন কলকাতা পুলিসের তরফে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
আধার কার্ডে বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। ৫০ হাজার টাকা খোয়ালেন এক ব্যক্তি। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা। ধৃতের নাম ছোট্টু কুমার। উল্লেখ্য, সম্প্রতি, শহরে আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে টাকা তোলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এই সংক্রান্ত বহু অভিযোগও জমা পড়েছে পুলিশে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গোটা ঘটনার প্রধান মাথা হতে পারে ওই ছোট্টু।
পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি আসলে বিহারের বাসিন্দা। তার নামে আগেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকী, ওই ব্যক্তি হরিয়ানায় জেলবন্দি ছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, অগাস্ট মাসে তপনকুমার লাহা নামে এক ব্যক্তি বড়তলা থানায় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। তারই তদন্তে নেমে ছোট্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
শহর কলকাতায় শুরু হয়েছে উমার আগমনের কাউন্ট-ডাউন। চারপাশে সাজ সাজ রব। প্রায় প্রত্যেক বাঙালি ঠিক করে ফেলেছেন তাঁদের পুজোর প্ল্যান। মণ্ডপ ঘোরা থেকে খাওয়াদাওয়ার সমস্ত প্ল্যানই মোটামুটি ফাইনাল অনেকেই। কিন্তু উৎসবের মরসুমে প্রত্যেকবারই মানুষকে আনন্দের সুযোগ করে দিতে নিজেদের পরিবার পরিজন ছেড়ে রাস্তায় ডিউটি করতে হয় পুলিসকর্মীদের। চলতি বছরেও সেই নিয়ম মেনেই পুলিস কর্মীদের ছুটি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা লালবাজারের।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপূজো, কালীপুজো এবং ছট পুজোর উৎসবের জন্য সমস্ত ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে পুলিসকর্মীদের। ১৫ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর ও ১০ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত কলকাতা পুলিসের অধীনস্থ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও রকম ছুটি নেওয়া যাবে না। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতা পুলিসের সমস্ত উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উল্লেখিত কয়েকদিন কোনওরকম জরুরি অবস্থা ছাড়া কোনও পুলিস কর্মীকে ছুটি দেওয়া যাবে না।
পুজো মানেই শুধু শহরবাসী নয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকেও আগতরা ভিড় জমাবেন শহরে। ফলে স্বভাবতই শহরে লোকসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সম্ভাবনা রয়েছে দুর্ঘটনা বাড়ার পরিমাণেরও। তাই আগেভাগেই প্রস্তুত হয়ে লালবাজার হেডকোয়াটার্সের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে নোটিস। সব মিলিয়ে সুষ্ঠু ভাবে উৎসবের মরসুম পার করাই আপাতত লক্ষ্য লালবাজারের।
অপরাধীদের ধরতে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কলকাতা পুলিশের। শহরজুড়ে প্রায় ৬০টি এমন সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছে পুলিশ যেগুলির মধ্যে থাকছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ভিড়ের মধ্যে থেকেও অপরাধীদের সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে সেগুলি।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্যামেরাগুলি ফেস রেকগনাইজেশন প্রযুক্তিতে তৈরি। যার মাধ্যমে, কোনও ব্যক্তির ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশের ক্রাইম রেকর্ডে থাকা ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবে। এবং অপরাধীরা ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবে পুলিশ।
এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সংবাদ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যে ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছে সেগুলির নাম ফেস রেকগনাইজেশন ক্যামেরা। ওই ক্যামেরা অপরাধ কমাতে আরও সাহায্য করবে বলে ধারণা তাঁর। এমনকী, কেউ নিখোঁজ থাকলেও এই ক্যামেরার মাধ্যমে তাঁর সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নির্ভয়া প্রকল্পের মাধ্যমে সেগুলি কেনা হয়েছে। আপাতত ৬০টি ওই ধরনের ক্যামেরা বসানো হচ্ছে
রাজ্য ও রাজভবনের শীতল লড়াই তো ছিলই। এই আবহেই রাজ্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রাজভবনের। অভিযোগ, কলকাতা পুলিস রাজভবনের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। রাজ্য ও রাজ্যপালের লড়াই পৌঁছে দিল্লি অবধি। কখনও প্রকাশ্যে সেই লড়াই কঠিন থেকে কঠিনতম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কখনও শিক্ষা কিংবা কখনও নির্বাচনী হিংসা, বোসের কার্যকলাপে রীতিমত শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। সেইমত শাসকদলের মাথা ব্যাথার কারণও তিনি। এরই মধ্যে রাজ্যপাল ও রাজভবনের উপর কলকাতা পুলিসের নজরদারি চালানোর অভিযোগে রীতিমত শোরগোল পড়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবন কতৃর্ক কেন্দ্রীয়স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেখানে কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ, গতকাল অর্থাৎ বুধবার রাতে কলকাতা পুলিসের দুই আধিকারিককে রাজ্যপাল যেখানে বসেন, সেখানে ঘোরা-ফেরা করতে দেখা যায়। এমনকি তাঁদের সেই মুহূর্তে রাজভবন কতৃর্ক চলে যেতে বলা হলেও, সেই মুহূর্তে চলে গিয়ে, ফের ফিরে আসেন তারা। এরপরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর সিন্ধান্ত নেয় রাজভবন। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার রাজ ভবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
মণি ভট্টাচার্য: কালের নিয়মে বয়স বাড়লে কমজুরি হয়ে যায় মানুষ। আর এটাই হয়ত সুযোগ। অপমানিত হতে হয়, লাঞ্চিত হতে হয়, কখনও কখনও খুন হতে হয় পরিচারিকা, গাড়িচালক, কিংবা কোনও প্রোমোটারের হাতে। মূলত যারা শহর কলকাতায়, কিংবা কলকাতা লাগোয়া শহরতলি এলাকা গুলিতে একাকী থাকেন। হ্যাX, পরপর দুটো খুন, একটি বাগুইহাটিতে অন্যটি দমদম নাগেরবাজারে। পৃথক দুটি ঘটনাতেই একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার খুনে প্রশ্ন উঠছে শহরে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে। শহরে, কতটা নিরাপদ একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। খোঁজ নিলো সিএন-ডিজিটাল।
শনিবার দু'টি পৃথক প্রবীণদের খুনের ঘটনায় কোথাও পরিচারিকা কিংবা কোথাও গাড়ির চালকের গ্রেফতারি চিন্তা বাড়িয়েছে প্রবীণদের। সূত্রের খবর, বাগুইহাটিতে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধার মৃত্যুতে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই বৃদ্ধার এক পরিচারিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ঘুমের সমস্যা হওয়ায় ওই বৃদ্ধাকে মারধর করতেন পরিচারিকা। পাশাপাশি, দমদমের নাগেরবাজারে গাড়ি চেয়ে না পাওয়ায়, একাকী এক বৃদ্ধ কল্যাণ ভট্টাচার্যকে খুন করে তাঁর গাড়িচালক। ওই বৃদ্ধর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই তদন্তে নেমে পুলিশ ওই গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে।
খোঁজ নিতেই জানা গেল, কোথাও কেউ কেউ আছেন নিশ্চিন্তে, কিংবা কোথাও আছেন আতঙ্কে। কলকাতা লাগোয়া উত্তর দমদমের এক প্রবীণ হেমন্ত সুর আতঙ্কে থাকেন, একাকী জেনে যদি কখনও কেউ তাঁর ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। কিংবা যদি তিনি শারীরিক ভাবে সমস্যায় পড়েন? তাঁর একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, হেমন্ত বাবু শনিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'আতঙ্ক তো একটু হয়ই, মাঝে একদিন হুমকিও এসেছিল, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছি।' শহরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হাল-হকিকত খোঁজ নিতেই জানা গেল রাজ্য পুলিশের তরফে প্রবীণদের সুরক্ষা সংক্রান্ত কোনও ব্যাবস্থা এখনও নেই। সে ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে লোকাল পুলিশ ছাড়া কোনও সুরক্ষা তাঁদের দেওয়া হয় না। যদিও কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, বয়স্কদের সুরক্ষার্থে একটি বেসরকারি এনজিও দ্যা বেঙ্গলের সঙ্গে যৌথ ভাবে 'প্রণাম' নামের একটি বিভাগ চালু করেন কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা শহরে একাকী প্রবীণদের উপর বারবার আক্রমণ, খুনের ঘটনাগুলি সামনে আসতেই, এই ঘটনাগুলি পাকাপাকি ভাবে মেটাতে চালু হয় এই 'প্রণাম' বিভাগ। কলকাতা পুলিশ সূত্রেই খবর, 'প্রণাম' বিভাগের তরফে শহরের একাকী বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাদের তরফে তিন ধরণের সহায়তা করা হয়। আইনি সাহায্য, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সাহায্য, এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাহায্য। শহরের যাঁরা ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ, যাঁরা একা, তাঁরাই এই 'প্রণাম'-এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। কলকাতা পুলিশ সূত্রে আরও খবর, কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত ৭২ টি থানা এলাকায় বর্তমানে প্রায় ২৩ হাজার একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এই প্রণামের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের সুবিধা, সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।
কলকাতা পুলিশের 'প্রণাম'-এর এক সদস্য, শহর কলকাতায় একাকী বৃদ্ধ স্বপন কুমার ঘোষ শনিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'কোনও সমস্যা হয় না। সব সময় 'প্রণাম'-এর পুলিশের সদস্যরা পাশে থাকেন। অসুস্থ হয়ে গেলে হাসপাতালেও নিয়ে যান। সপ্তাহে একবার করে দেখা করেন, রোজ একবার খোঁজ নেন।' ওদিকে 'প্রণাম'-এর অপর এক সদস্য মিনা ঘোষ শনিবার সিএন-ডিজিটালকে বলেন,'কলকাতায় একা আছি, এটা কখনও মনেই হয় না। মাঝে মাঝে বিনোদনের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নিয়ে যান তারা।'
এ বিষয়ে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গোতম মোহন চক্রবর্তী ও দ্যা বেঙ্গল এনজিওর কর্ণধার সন্দীপ ভুতোড়িয়া ২০০৯ সালে এই 'প্রণাম' প্রকল্পটি শুরু করেন। এদিন প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার গোতম মোহন চক্রবর্তী সিএন-ডিজিটালকে জানান, এই 'প্রণাম' শহর কলকাতার একাকী মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি শনিবার দ্যা বেঙ্গল এনজিওর তরফে জয়েন্ট কনভেনর এশা দত্ত বলেন, 'শহরে একাকী বৃদ্ধের সহযোগিতায় সবসময় প্রণাম ভরসা হয়েই থাকবে, এছাড়া রোজ হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে ফোন পেয়ে কমপক্ষে ১৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সহযোগিতা করা হয়। যারা এখনও প্রণামের সদস্য নয়।' 'প্রণাম'- এর হেল্প লাইন নম্বর ০৩৩ ২৪১৯ ০৭৪০।'
বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠছে মাঝে মধ্যেই। কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতারকরা ফাঁকা করে দিচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট। এমনকি ফোনেও আসছে না OTP।
সম্প্রতি কলকাতার পুলিসের তরফের বেশ কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি মেনে চললে প্রতারণার ঘটনা কমবে বলেই আশা করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ হল দ্রুত বায়োমেট্রিক লক করা। এছাড়াও আনমাস্কড আধার নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধ করা হয়েছে পুলিসের তররফে। প্রয়োজনে পুরো আধার নম্বর না দিয়ে শেষ চারটি ডিজিট দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিস।
কীভাবে বায়োমেট্রিক লক করবেন?
আপনার নিজের স্মার্টফোন থেকেই আধারের বায়োমেট্রিক লক করতে পারবেন। তার জন্য এম আধার (mAadhaar) অথবা উমাঙ্গ অ্য়াপ ডাউনলোড করতে হবে।
-প্রথমে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করুন।
-এররপর সেখানে Lock/Unlock biometric অপশন আসবে।
-ওই অপশনে ক্লিক করুন।
-সেখানে নিজের আধার নম্বর দিতে হবে। এরপর রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে OTP আসবে।
-সেই OTP দেওয়ার পর আধারের বায়োমেট্রিক লক হবে।
সম্প্রতি একাধিক এই সংক্রান্ত অভিযোগ আসার পর কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতারণার ঘটনা ঘটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করুন। এবং ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট নিয়ে রাখুন।
এছাড়াও কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ভেজা বা তৈলাক্ত হাতে বায়োমেট্রিক ছাপ দেবেন না। এবং সঠিক কারণ না জেনে কোথাও বায়োমেট্রিক দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।