দীপিকা দাসঃ সোমবার নবান্নে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) পশ্চিমবঙ্গে ব্যান করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলায় 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিষিদ্ধ করা নিয়ে এবারে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হচ্ছেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন। একথা নিজের মুখেই সিএন ডিজিটালকে জানালেন পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই এই সিনেমাটি আলোচনার কেন্দ্রে। ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ইসলাম আগ্রাসন, সন্ত্রাসবাদ ও লভ জিহাদ- মূলত এই তিনটি বিষয়কেই তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়।
সিনেমাজগত থেকে রাজনৈতিক মহল- এই ছবি নিয়ে তোলপাড় পুরো দেশ। এবারে এর আঁচ পড়ল পশ্চিমবঙ্গেও। সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন যে, বাংলায় নিষিদ্ধ করা হল 'বিতর্কিত' ছবি 'দ্য কেরালা স্টোরি'। আর রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছেন সুদীপ্ত সেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সোমবার ঘোষণা করে জানিয়েছেন, এই ছবিতে বিকৃত তথ্য দেখানো হয়েছে। এর কোনও সত্যতা নেই। সমস্ত গল্পই বিকৃত করে দর্শকদের দেখানো হচ্ছে। ফলে রাজ্যে শৃঙ্খলা ও সৌহার্য্য বজায় রাখতেই এই ছবি রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হলো।
মর্মান্তিক! পর্যটক বোঝাই নৌকা ডুবে মৃত্যু হল ২২ জনের। রবিবার সন্ধ্যায় কেরলের (Kerala) মালাপ্পুরমে (Malappuram) একটি নৌকা পর্যটকদের নিয়ে মাঝনদীতে নিয়ে যায়, আর তখনই ঘটে বিপত্তি। ডুবতে শুরু করে নৌকাটি। রবিবার পর্যন্ত খবর ছিল, এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এরপর সোমবার সকাল হতেই সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। মনে করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সূত্রের খবর, সেই নৌকায় মোট কতজন যাত্রী ছিলেন, তা এখনও অজানা। তাই উদ্ধারকার্য এখনও অব্যাহত। এই দুর্ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) শোকপ্রকাশ করেছেন ও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
সূত্রের খবর, কেরলের মালাপ্পুরম জেলার তানুরের কাছে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র থুভালথিরাম। রবিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ সেখানে যাওয়ার সময়ই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নৌকাটি হঠাৎই ডুবতে শুরু করে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করেন তাঁরা৷ তবুও ততক্ষণে অনেকজনের মৃত্যু হয়ে যায়। যাঁরা সাঁতার জানতেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রাণে বাঁচলেও, অধিকাংশ পর্যটকই মারা যান। প্রশাসনের তরফে একাধিক নৌকা ও ডুবুরি পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজে সাহায্য়ের জন্য। উদ্ধারকাজে এনডিআরএফ বাহিনীও যোগ দিয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই নৌকার মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে কেরল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আবার এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। শোকপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
Pained by the loss of lives due to the boat mishap in Malappuram, Kerala. Condolences to the bereaved families. An ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF would be provided to the next of kin of each deceased: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) May 7, 2023
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করে লেখেন, 'মালাপ্পুরমের তানুরে নৌকাডুবিতে প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত। নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা রইল।'
প্রতিদিন সমাজমাধ্যমে কত ভিডিওই না ভাইরাল হয়। কখন যে কোন ভিডিও ভাইরাল হবে, তা ভাগ্যের ব্যাপার। এমনই এক ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখান দেখা যাচ্ছে, কেরলের এক পুলিস (Kerala Police) একটি ছোট্ট পাখির (Bird) সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, খাবার খাওয়াচ্ছেন। এই মিষ্টি মুহূর্ত দেখে মুগ্ধ নেটদুনিয়া।
" ഹൃദയത്തിൽ കൂട് കൂട്ടാം "
— Kerala Police (@TheKeralaPolice) April 22, 2023
അപ്രതീക്ഷിതമായി യൂണിഫോമിലെ വിസ്സിൽ കോഡിലേക്ക് പറന്നെത്തിയ അതിഥി ❤️#keralapolice pic.twitter.com/jcVsqF78OF
পুলিসদের সাধারণত সবসময় খুন-চুরি এসবের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হয়। সারাদিন তাঁদের জীবন ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটে। তবে এই ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যেই একটু সময় বের করে নিয়েছেন এক পুলিসকর্মী। সমস্ত নেগেটিভিটি থেকে নিজেকে কিছুক্ষণের জন্যে সরিয়ে এনে একটি ছোট্ট পাখির সঙ্গে খেলায় মেতেছেন তিনি। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুলিসের ইউনিফর্মের মধ্যে বসে সেই পাখি, তার সামনে রাখা হয়েছে একটি ফুল। পুলিস সেই ফুুলটি তার মুখের সামনে ধরেছে যাতে সে ফুলের থেকে নেকটার খেতে পারে। তাদের মধ্যের এই সুন্দর, মিষ্টি ভিডিও দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। ভিডিও-র নীচে এসেছে অগুনতি কমেন্ট। অবশেষে এটা বলাই যে, ছোট্ট পাখিটির সঙ্গে পুলিসের এই সময় কাটানোর মুহূর্ত সত্যিই আপনার মুখে হাসি এনে দেবে।
এবার কেরলে শুরু হল বন্দে ভারতের যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi) হাত ধরে সোমবার শুভ সূচনা হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express)। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোমবারই কোচিতে পা রাখেন মোদী। মঙ্গলবার সকালে তিরুবনন্তপুরমে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেরলের (Kerala) রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব ও কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ শশী থারুর। বিমানবন্দর থেকে একেবারে তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশনে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর হাতে তুলে নেন পতাকা। সবুজ পতাকা দেখিয়ে বন্দে ভারতের যাত্রার সূচনা করলেন তিনি।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে কেরলে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধন করেই ট্রেনে উঠে পড়েন। এরপর স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিজেদের হাতে আঁকা মোদীর ও বন্দে ভারতের স্কেচ ও ছবি দেখান পড়ুয়ারা। রাজ্যে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়ে উচ্ছ্বসিত কেরলের সকলে। উল্লেখ্য, এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মোট ১৬টি কোচ রয়েছে। যার মধ্যে ২টি এক্সিকিউটিভ কোচ। মোট আসন সংখ্যা ১০৪।
আজকাল বাচ্চাদের খাওয়াতে বা কান্না করলে শান্ত করতে বাবা-মারা স্মার্ট ফোনের (Smart Phone) সাহায্য নিয়ে থাকেন। এর ফলে ছোট থেকেই স্মার্টফোনের প্রতি আকর্ষণ জন্মে যায় বাচ্চাদের। মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখা বা গেম খেলাকে (Game) অভ্যাসে পরিণত করে ফেলে। আর সেই অ্যাডিকশন থেকে নিজের সন্তানকে বার করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বাবা-মাকে। আর এই গেম খেলায় প্রাণ (Death) কেড়ে নিল ৮ বছরের এক শিশুকন্যার।
জানা গিয়েছে, কেরলের বাসিন্দা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আদিত্যাশ্রী। সোমবার রাতে নিত্যদিনের অভ্যাস মতো ফোন নিয়ে গেম খেলতে বসেছিল ছোট্ট আদিত্যাশ্রী। খেলতে খেলতেই আচমকা বিকট শব্দে ফেটে যায় মোবাইল ফোনটি। রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট্ট আদিত্যাশ্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার মা, বাবা। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও চিকিৎসকরা বাঁচাতে পারলো না শিশুটিকে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোনে গেম খেলা এবং ভিডিও দেখা ছিল আদিত্যাশ্রীর সবচেয়ে প্রিয়। কাজের পর মা, বাবা বাড়ি ফিরলে তাই মেয়ের হাতে তুলে দিতে হত মোবাইল ফোন। তা করতে গিয়েই ঘটে গেল অঘটন। পুলিস ইতিমধ্যে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট পেলে স্পষ্ট হবে, আদিত্যাশ্রীর মৃত্যুর সঠিক কারণ। পুলিসও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কেরল সফরের আগেই প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) উদ্দেশে হুমকি চিঠি বিজেপি (BJP) কার্যালয়ে। আগামী ২৪ এপ্রিল কেরল (Kerala) সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। এমনকি ওই দিনই তিরুবনন্তপুরম থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনাও করতে পারেন তিনি। ২৪ এপ্রিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ছাড়াও একটি রোড শো করতে পারেন মোদী। আর তার আগেই এমন হুমকিতে আরও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ওই হুমকি চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্যের কাছে। এই বিষয়ে কেরল পুলিসের অতিরিক্ত ডিজি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য যে মহড়া দেওয়া হয়েছিল, তার একাংশ ফাঁস হয়েছে। এমনকি এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই ঘটনাকে ‘গুরুতর’ বলে বর্ণনা করেছেন।
জানা গিয়েছে, ওই চিঠিতে লেখা প্রেরকের নাম ও যাবতীয় তথ্য থেকেই তদন্তকারীরা এক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানান, চিঠির সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। বিরোধী গোষ্ঠীর মানুষজন তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই চিঠিতে তাঁর নাম লিখে দিয়েছে।
ট্রেনের (Train) মধ্যে এক সহযাত্রীর গায়ে আগুন (Fire) লাগিয়ে দেয় অপর এক সহযাত্রী বলে অভিযোগ। আগুন লাগার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) হয়েছে তিন যাত্রীর। গুরুতর আহত (Injured) হয়েছেন আরও ন’জন যাত্রী। আলপ্পুজা-কন্নুর এগজিকিউটিভ এক্সপ্রেস ট্রেনেই এই ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটি কেরলের (Kerala) কোজিকোড়ের কাছে থাকাকালীনই এই ঘটনা। ট্রেন থামানোর সঙ্গে সঙ্গেই আহত যাত্রীদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ঘটনার চার ঘণ্টা পর রেললাইন থেকে তিন যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।
যাত্রীদের দাবি, রবিবার রাতে ঘটে এই ঘটনাটি। এলাথুর রেলস্টেশনে ঢোকার সময় থেকে ডি১ কোচে যাত্রীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে বচসা চলাকালীনই সহযাত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন অভিযুক্ত। আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় এক যাত্রী ট্রেনের অ্যালার্ম চেন টানেন। চেন টানার পরই আগুন গায়ে নিয়েই তিন জন যাত্রী ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। যাত্রীরা আরও জানান, ট্রেন থামার পরই অভিযুক্তও পালিয়ে যান।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তের খোঁজে তদন্তে শুরু হয়েছে। ট্রেনের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে, আশ্বাস পুলিসের।
ভারতের এক এক জায়গায় লুকিয়ে আছে এক এক রকমের অদ্ভুত কাহিনী। এমনই এক জায়গার নাম হল কেরলের (Kerala) কোল্লামের চাভারা (Chavara)। সেখানে এমন এক মন্দির রয়েছে যেখানে পুরুষরা মহিলা সেজে দেবীর পুজো করতে যান। ভারতে এমন অনেক মন্দির আছে, যেখানে মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ। তবে এটা একেবারেই উল্টো। এই মন্দিরের উৎসবে পুরুষরাই মন্দিরে যান মহিলা সেজে। কেরালার এই বিশেষ উৎসবের নাম চামায়ামভিলাক্কু (Chamayamvilakku)। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসেই এই উৎসব হয়ে থাকে চাভারায়। মনে করা হয়, এই পুজো করলে সবার মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
সূত্রের খবর, প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের ১৯ দিন ধরে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। উৎসবের শেষ দু'দিন পুরুষরা মেয়ে সেজে প্রথম দিন রাতে ও দ্বিতীয় দিন ভোরে দেবীর পুজো করেন। কথিত আছে, এতেই নাকি দেবী মা সন্তুষ্ট হন। উৎসবের শেষ দুই দিনে পুরুষরা দাঁড়ি-গোঁফ কেটে নতুন শাড়ি, গয়না, পরচুলা পরে একেবারে নারীর রূপ ধারণ করেন তাঁরা। আবার চুলে তাঁরা ফুলও লাগান। আবার এই উৎসবে ১০ বছরের কম বয়সী ছেলেরাও অংশগ্রহণ করে। তখন আবার এই উৎসবের নাম বদলে হয়ে কাক্কাভিলাক্কু। এটি আবার দিনের সময় পালন করা হয়ে থাকে।
তবে পুরুষদের মহিলা সেজে পুজো করার পিছনের কী তাৎপর্য রয়েছে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এখন যে জায়গায় মন্দির রয়েছে, সেই জায়গায় জঙ্গল ছিল। সেখানে কিছু ছেলে সেই জঙ্গলে গরু চড়াতে গিয়েছিল। সেখানেই একটি পাথরকে দেবী ভেবে তার সামনে নারকেল, ফুল দিয়ে মেয়ে সেজে পুজো করত। এরপর একদিন সেই ছেলেগুলির সামনে দেবী এসে দেখা করেছিলে। আর তারপর থেকেই সেখানে মন্দির তৈরি করে পুজো করা হয়।
আরও জানা গিয়েছে, এই উৎসবে যে পুরুষ সেরা মেকআপ করেন তাঁকে পুরস্কৃতও করা হয়। ভারতীয় রেলওয়ের অফিসার অনন্ত রুপানাগুড়ি একজন পুরুষের মহিলা সাজে ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, এই পুরুষ সেরা মেকআপ করায় তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
হাতির উৎপাত বেশ কয়েকদিন ধরেই, তাই এবার এক বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে কেরালা ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট (Kerala forest Department)। কেরালার ইদুক্কি জেলার চিন্নাকানাল ও শান্থানপারা অঞ্চলে আরিকোম্বান নামক এক হাতির (Elephant) তাণ্ডবে একপ্রকার তিতিবিরক্ত সেখানকার স্থানীয়রা। ফলে স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা ভেবে কেরালার ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে পরিকল্পনা নিয়েছে যে, আগামী রবিবার বনকর্মীরা চারটি কুনকি হাতি ব্যবহার করবেন আরিকোম্বান নামক দাঁতালকে ধরার জন্য।
এই চারটি কুনকি হাতির নাম- কুঞ্জু, কোনি সুরেন্দ্র, সূর্য ও বিক্রম। এই চারটি হাতিই ভালোভাবে প্রশিক্ষিত ও এসব বন্য হাতিদের ধরতে পটু। এই বনে এমন ধরণের মিশন এই প্রথমবারই ঘটতে চলেছে। পশু ডাক্তার প্রধান অরুণ জাকারিয়ার নেতৃত্বে এই কাজটি হতে চলেছে আগামী রবিবার। এই মিশনটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৭১ জন সদস্যদের নিয়ে ১১টি দল তৈরি করা হবে ও এর পাশাপাশি কুনকি হাতিগুলিকে নিয়ে মক ড্রিলেরও আয়োজন করা হবে।
আরিকোম্বানকে ধরার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে সচেতন করা হচ্ছে স্থানীয়দের। তাঁরা যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন তার জন্য এই পদক্ষেপ। আবার মালায়লাম, তামিল ভাষায় সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও রবিবার বন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করে কাউকেই বাড়ির বাইরে যেতে না করা হচ্ছে, যতক্ষণ না বন্য দাঁতালকে পাকড়াও করা হচ্ছে।
দক্ষিণের এক সংবাদ মাধ্যমের অফিসে কেরল পুলিসের হানা। রবিবার সকালে কোঝিকোড়েতে অবস্থিত মালায়লি ওই সংবাদ সংস্থার দফতরে পৌঁছয় পুলিস। দীর্ঘক্ষণ চলে তল্লাশি, কীসের জন্য তল্লাশি স্পষ্ট নয়। যদিও এশিয়ানেট সেই তল্লাশি অভিযানের ছবি দিয়ে টুইটারে লিখেছে, 'আমাদের সত্য খবর পরিবেশন করার চেষ্টাকে দমিয়ে রাখা যাবে না।'
So @pinarayivijayan facing serious corruptn charges n questns from media thinks he can wriggle out n distract ppl by intimidatng media using his SFI hoodlums n thn his Police 😂🤷🏻♂️ #Joker https://t.co/FFjLoJvas2
— Rajeev Chandrasekhar 🇮🇳 (@Rajeev_GoI) March 5, 2023
শিশুদের যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত একটি খবরের জেরে গত শুক্রবার এশিয়ানেটের দফতরে আচমকা হাজির হয়েছিল কেরলের শাসক দল সিপিএমের ছাত্র শাখা SFI-র সদস্যরা। ওই সংবাদ সংস্থা ভুয়ো খবর প্রকাশ করছে এই অভিযোগে একরকম গায়ের জোরেই অফিসে ঢুকে পড়েন তারা। অফিসের ভিতরে দাঁড়িয়েই স্লোগান দিতে শুরু করেন। ঘটনাটির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়াও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল।
বিষয়টি কেরল সরকারকে খতিয়ে দেখতেও অনুরোধ করেছিল সর্বভারতীয় সংস্থাটি। এরপর রবিবার সকালে পুলিস এসে হাজির হয় মালয়ালি সংবাদমাধ্যমের দফতরে।
২০২২ সালের অন্যতম সফল ছবি 'কান্তারা' (Kantara)। বক্স অফিসে আকাশছোঁয়া সাফল্যের পাশাপাশি, দর্শক মহলের মন জয় করে নিয়েছিল ঋষভ শেঠির (Rishabh Shetty) এই ছবি। করোনা অতিমারির পর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে নতুন ফলক গড়েছে ‘কান্তারা’। ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে কন্নড় এই ছবি। টানা ১০০ দিন প্রেক্ষাগৃহে চলেছে কান্তারা। তবে এত সাফল্য পাওয়া ঋষভের নামে উঠল চুরির অভিযোগ। দক্ষিণ ভারতের এক জনপ্রিয় ব্যান্ড 'থাইকুডম ব্রিজ' তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনে। অভিযোগ, ঋষভ তাঁদের থেকে একটি গান চুরি করেছেন। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কান্তারার পরিচালক ও প্রযোজককে তলব করল কেরল পুলিস (Kerala Police)। ইতিমধ্যেই আদালতেই উঠেছে এই মামলা। ঋষভের অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ‘কান্তারা’ ছবির সঙ্গীত পরিচালক। ‘থাইকুডম ব্রিজ’-এর দাবি করেছিল, ‘কান্তারা’-তে ব্যবহৃত ‘বরাহ রূপম’ গানটির সঙ্গে তাঁদের স্বরচিত গান ‘নবরসম’-এর পুরো মিল রয়েছে। গানটি ছবি রিলিজের পাঁচ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল। ফলে তাঁদের গান নকল করেছে বলে অভিযোগ করেন।
সঙ্গীত পরিচালক বলেন, গান দুটির মধ্যে মিল রয়েছে, কারণ দুটি গানে এক রাগ ব্যবহৃত হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাত্র ১৬ কোটির বাজেটে তৈরি হয়েছিল এই ছবি। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০০ কোটিরও বেশি আয় করেছে এই ছবি। শোনা যাচ্ছে, দর্শকদের জন্য আসতে চলেছে 'কান্তারা ২'।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়: মাঝে মধ্যে একটু ভিন্ন স্বাদের সুস্বাদু খাবার খেতে মন চায়। সেই সব সময়ের জন্য এবং হঠাৎ করে বাড়িতে অতিথি এসে গেলে চিকেনের এই পদটি তৈরি করে পেশ করতে পারেন। বাড়ির লোকেদের ও অতিথিদের উভয়কেই খুশি করতে চিকেনের এই পদটির কোনো জুড়ি নেই।
কেরালা স্টাইল শুখা চিকেন তৈরির পদ্ধতি --- এক কেজি চিকেনের থেকে চোদ্দটা খন্ড করে নিন। জলে ধুয়ে পরিস্কার করে জল মুছে নিন। একটা পাত্রে চিকেনের খন্ডগুলো রেখে তার মধ্যে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, আন্দাজ মতো নুন, ভাতের হাতার এক হাতা ঘন টক দই দিয়ে হাতের সাহায্যে খুব ভাল করে চিকেনের খন্ডগুলোর গায়ে মাখান।
এই মিশ্রন মাখানো চিকেনের খন্ডগুলো এক ঘন্টা আলাদা করে রেখে দিন। কড়া আঁচে বসিয়ে ভাতের হাতার দুই হাতা দেশি ঘি গরম করে পাচটা বড় পেয়াজের স্লাইজ দিয়ে বাদামী রং করে ভেজে নিন। হয়ে গেলে কড়া থেকে তুলে তেল ঝড়িয়ে আলাদা করে রাখুন। এবার কড়ার অবশিষ্ট ঘি এর মধ্যে দুই টেবিল চামচ রসুন বাটা, দেড় টেবিল চামচ আদা বাটা , অর্ধেক করে কাটা চারটে কাচা লঙ্কা ও ছোট এক মুঠো কারি পাতা দিয়ে খুব ভাল করে নেড়ে কিছুক্ষণ কষে নিন।
এবার ওর মধ্যে এক টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ ধনে , জিরের গুঁড়ো, হাফ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো দিয়ে মিনিট তিনেক নেড়ে মিশিয়ে নিন। তেল ছাড়লে ওর মধ্যে তিনটে বড় টমেটো কুচি দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ কষে নিন। এবার ঢাকনা বন্ধ করে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। পাচ মিনিট বাদে ঢাকনা খুলে দেখুন টমেটো গলে গেলে ওর মধ্যে মিশ্রণ মাখানো চিকেনের খণ্ডগুলো দিয়ে ভাল করে নেড়ে কিছুক্ষণ কষে নিন।
তেল ছাড়তে শুরু করলে ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে মিনিট দশেক রান্না করুন। দশ মিনিট বাদে ঢাকনা খুলে বাদামী রং করে ভাজা পেঁয়াজগুলো দিয়ে ভাল করে নেড়ে কিছুক্ষণ মিশিয়ে নিন। এবার আবার ঢাকনা বন্ধ করে নিভু আঁচে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন।
পাচ মিনিট বাদে ঢাকনা খুলে পাচটা কারিপাতা ছড়িয়ে দিয়ে পাঁচ মিনিট নেড়ে কষে নিন। চিকেন সম্পূর্ন পেকে গেলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। পরোটা সহযোগে গরম গরম কেরালা স্টাইল শুখা চিকেন পরিবেশন করুন।
দেশে বেশ কয়েক মাস স্তিমিত ছিল করোনা পরিস্থিতি (Coronavirus)। হাতেগোনা কয়েক জন আক্রান্ত হলেও তা উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এখন সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Covid-19)। তাই মাস্ক পরা এখন থেকে বাধ্যতামূলক। বাড়ির বাইরে বেরোলেই পরতে হবে মাস্ক, এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কেরল সরকার (Kerala Government)। আপাতত ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে কি করোনা ফের ভয়ংকর রূপে ফিরতে চলেছে?
কেরল সরকার নির্দেশিকায় বলেছে, করোনার নয়া প্রজাতি এক্সবিবি.১.৫ (ক্র্যাকেন)-এর আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিল কেরল সরকার। আপাতত সমস্ত সরকারি জায়গা, কর্মক্ষেত্র এবং জমায়েতের স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল সে রাজ্যের সরকার।
এছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যবাসীকে দূরত্ববিধি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছে প্রশাসন। স্যানিটাইজার ব্যবহার আগের মতো বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। আপাতত ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি থাকবে বলে কেরল স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ‘ক্র্যাকেন’-এর সংক্রমণ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১১টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত ২৬ জন এতে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে ‘ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ জেনোমিকস কনসর্টিয়াম (ইনসাকগ)’।
এর মধ্যে সোমবার দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন। যার মধ্যে বর্তমানে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২,১১৯ জন। তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও অনেকটাই বেশি, ৯৮.৮০ শতাংশ।
প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বাইরে গিয়ে নতুন দিশা দেখাল দক্ষিণের রাজ্য কেরল (Kerala)। শিক্ষার আলোয় যাঁরা আলোকিত করছেন তাঁদের লিঙ্গভেদের প্রয়োজন নেই। তাঁদের একটাই পরিচয় হবে, তাঁরা 'শিক্ষক'। এখন থেকে আর ‘স্যর’ (Sir) বা ‘ম্যাডাম’ (Madam) নয়, ডাকতে হবে 'টিচার' (Teacher)। লিঙ্গবৈষম্য ঘোচাতে এবার এমনই পদক্ষেপ করতে চলেছে কেরল। একেবারে স্কুল থেকে শিশুদের মধ্যে লিঙ্গ সাম্য গড়ে তুলতে এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে কেরলের শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন (KSCPCR)। ইতিমধ্যে কমিশন এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতরকে।
এই লিঙ্গবৈষম্যতা বহুদিন ধরেই ঘোচানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই সমস্যা দূর করতে ছোটো থেকেই শিশুদের মধ্যে লিঙ্গ সাম্য গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের অন্যতম শিক্ষিত রাজ্য হিসাবে পরিচিত কেরল। তাই তারাই প্রথম এই পদক্ষেপ নিয়ে দেখিয়ে দিল লিঙ্গ বৈষম্য ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত কতটা প্রয়োজনীয়। কমিশনের যে প্যানেল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই প্যানেলের দাবি, শিক্ষকদের ‘স্যর’ বা ‘ম্যাডাম’ বলে ডাকলে সেখান থেকে লিঙ্গ বিভাজন করা সহজ। ফলে ‘টিচার’ শব্দটি অনেক বেশি উপযুক্ত। এতে লিঙ্গনিরপেক্ষ বলে মনে করেছে ওই প্যানেল।
প্যানেলের দুই সদস্য কেভি মনোজ কুমার এবং সি বিজয়কুমার বুধবারই কেরলের শিক্ষা দফতরকে চিঠি লিখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ‘টিচার’ শব্দটি চালু হলে, সেটা নিঃসন্দেহে শিক্ষা ও লিঙ্গ বৈষ্যমাতার ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রায় দেড় বছর আগে স্ত্রীকে খুন (Murder) করে ঘরের ভিতরে দেহ পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠল কেরলের (Kerala) এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অবশেষে বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। নজারক্কল পুলিস অভিযুক্ত সজীবকে এর্নাকুলামের ওই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করেছে।
সজীবের স্ত্রী, রম্যা, ২০২১ সালের অগাস্টে নিখোঁজ হয়েছিলেন। প্রতিবেশী এবং আত্মীয়রা রম্যাকে দেখতে না পেয়ে সজীবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাঁর স্ত্রী কোথায়। তখন তিনি দাবি করেছিলেন, রম্যা অন্য এক জনের সঙ্গে ঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। ৬ মাস পর ২০২২-এ নিজে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। যাতে কারও সন্দেহ না হয়। পুলিসের সন্দেহ হয় সজীবের ওপর। কারণ ৬ মাস পর কেন তিনি থানার দারস্থ হন।
পুলিস এক বছর ধরে সজীবের উপর নজর রাখছিল। স্থানীয়, প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন প্রমাণ জোগাড় করছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারী দলকে সজীব জানিয়েছেন, তিনি কিছুই জানেন না। এরপর ঘরে তল্লাশি শুরু করতেই পুলিসের সন্দেহ সঠিক প্রমাণিত হয়। ঘরের মেঝের একটি অংশ উঁচুনিচু দেখতে পান তদন্তকারী কর্মীরা।
মেঝের ওই অংশে আলাদা করে সিমেন্টও করা হয়েছে। আর ওই মেঝে খুঁড়তেই বেড়িয়ে আসে এক মহিলার দেহাংশ। এরপরই পুলিস সজীবকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ফোনে কথা বলা নিয়ে রম্যার সঙ্গে বচসা হয়েছিল তাঁর। আর সেই রাগেই তাঁকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ঘরের মধ্যে পুঁতে দিয়েছিলেন। এমনকি প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সজীব আর কিছুদিন পরে বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। ফলে কেবল বচসার জেরে খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও গল্প রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।