বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ানাডের পুথুসেরি এলাকায় বাঘের আক্রমণে (Tiger attack) আক্রান্ত ৫২ বছর বয়সী এক কৃষক (Farmer)। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তিনি মারা (Death) যান। জানা গিয়েছে, মৃত কৃষকের নাম সালু। কেরলের (Kerala) ওয়েনাড জেলার থনদারনাডু গ্রামে তাঁর বাড়ির কাছেই সকাল ১১টার দিকে বাঘটি আক্রমণ করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কালপেট্টা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন সালু। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ও বনদফতরের কর্মীরা গ্রামে ছুটে যান। এদিকে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাঘটি বেশ কিছুদিন ধরে ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের আশেপাশে লুকিয়ে ছিল, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভেল্লারামকুন ও আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। নজরদারি ক্যামেরা ও খাঁচা বসানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। এখনও অবধি বাঘের সন্ধান পাননি তাঁরা।
এদিকে, আট কিলোমিটার দূরের একটি জঙ্গল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি বাঘ আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। যে বাঘ কৃষককে মেরেছে তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলার দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিরিয়ানি খেতে কার না ভালো লাগে? অনলাইনে বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন তরুণী। আর সেটাই যে মৃত্যুর জন্য দায়ী হবে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেরলের এক তরুণী। বিরিয়ানি (Biriyani) খাওয়ার পরই বছর ২০-র অঞ্জু শ্রীপার্বতী (Anju Sreeparvathy) মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিস সূত্রে খবর, পেরমবালার বাসিন্দা অঞ্জু অনলাইনে কুঝিমন্থি অর্ডার দিয়েছিলেন। যা একপ্রকার বিরিয়ানি ডিস।
জানা গিয়েছে, গত ৩১শে ডিসেম্বর স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁ থেকে অনলাইনে কিনেছিলেন। দাবি, তারপর থেকেই অসুস্থতা বোধ করেন অঞ্জু। শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তরুণীকে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। একসপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন অঞ্জু। শনিবার অঞ্জুর মৃত্যুর পর রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে তাঁর পরিবার। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে কেরল পুলিস।
অন্যদিকে এই ঘটনায় আলাদা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। এই ইস্যুতে তিনি বলেন, “ফুড সেফটি কমিশনার"কে এই নিয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খাদ্য বিষক্রিয়া প্রমাণিত হলে Food Safety and Standards আইনে হোটেল ও রেস্তরাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হবে।”
পথকুকুরদের হামলায় অতিষ্ঠ কয়েকজন নানাভাবে বিহিত চান। পথকুকুরদের কামড়ানোর ঘটনা নিয়ে মামলাও কম হয়নি। একাধিক জায়গায় মালিককে কড়া জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে। এবার ফের কেরলে পথকুকুরের আক্রমণে আহত হলেন ৭ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের এক কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে নতুন বছরের শুরুতে রবিবার কোল্লামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সেখানকার এক মন্দিরের সামনে কুকুরদের আক্রমণের মুখে পড়েন ৭ জন। ৩১ শে ডিসেম্বর ও ১লা জানুয়ারি এই দু’দিন কোল্লামের শ্রীধর্ম শাস্তা মন্দিরে ভক্তদের ঢল নেমেছিল। পুলিস জানিয়েছে, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মন্দিরের সামনে ওই পুণ্যার্থীদের উপর চড়াও হয় কুকুরটি। ওই ৭ জন ভক্ত অন্য রাজ্যের বাসিন্দা। ১২ বছরের কিশোরী-সহ বাকি ভক্তদের কুলাথুপুজা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। মেয়েটির নাম অভিরামি। আহতদের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের পুনালুর তালুক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া ভক্তদের দিকে যখন কুকুরটি ছুটে যায়। তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মীরা পুণ্যার্থীদের বাঁচাতে ছুটে যান। উল্টে তাঁদের দিকেও তাড়া করে পথকুকুর।
অমানবিকতা (Inhumanity)! গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছিল ছয় বছরের একটি ছেলে। সেটাই তার অপরাধ। সেকারণে গাড়ির মালিক ওই বচ্চা ছেলেটির বুকে লাথি (kicking) মারেন। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে (Kerala)। ইতিমধ্যে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ব্যস্ত রাস্তা। একটি ছেলে রাস্তার একপাশে রাখা একটি সাদা গাড়ির সামনে ঝুঁকে পড়ে কিছু দেখছিল। তখন গাড়ির চালক বের হয়ে ছেলেটিকে কিছু বলে এবং বুকে লাথিও মারে। ছেলেটি চুপচাপ সরে যায় এবং লোকটি তার গাড়ির ভিতরে ফিরে আসে। জানা গিয়েছে, ছেলেটি রাজস্থানের এক পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের।
ঘটনাটি স্থানীয় কিছু লোকজনের নজরে আসে। তাঁরা এসে গাড়ির গাড়ির চারপাশে জড়ো হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। ওই গাড়ির মালিক তাঁদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। এরপরে পুলিস পন্যামপালামের বাসিন্দা শিহশাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তাঁকে পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক তরুণ আইনজীবী রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এ ঘটনার কথা পুলিস কে জানান।
এদিকে, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পুলিস প্রাথমিক ভাবে নরম মনোভাব দেখানোয় মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। কিন্তু গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়ায় জনরোষ তৈরি হয়। এরপরই পুলিস তৎপর হয়ে শুক্রবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
এবার থেকে মুসলিম মহিলারাও চাইতে পারবেন বিবাহ বিচ্ছেদ (divorce)। আর সেই অধিকার ইসলামি আইনে রয়েছে বলে জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। এক মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক ও বিচারপতি সি এস ডায়াসের বেঞ্চ বলে, 'যেকোনও মুসলিম মহিলা এই অধিকার পেতে পারেন। এর সঙ্গে স্বামীর আপত্তি থাকার কোনও সম্পর্ক নেই। স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ না চাইলেও স্ত্রী চাইতে পারেন।'
সম্প্রতি কেরল হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন এক স্বামী। তাঁর স্ত্রী ১৯৩৯ সালের মুসলিম বিবাহ আইনে বিচ্ছেদের ডিক্রি পেয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই মামলা করেন তিনি। ওই মহিলার স্বামী আবেদনে জানান, মুসলিম মহিলার বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু একতরফা ভাবে ইসলামি আইনে বর্ণিত ‘খুলা’-র মাধ্যমে বিচ্ছেদ চাওয়ার অধিকার নেই। পৃথিবীর কোনও দেশেই এই অধিকার স্বীকৃত নয়। বিচ্ছেদ চাইলে প্রথমে স্বামীর কাছে তালাক চাইতে হবে। এরপর স্বামী রাজি না হলে কোর্ট বা কাজির কাছে যেতে হবে।
হাইকোর্ট রায়ে জানিয়েছে, ‘‘এই আবেদনের মাধ্যমে এটাই মনে হচ্ছে, মুসলিম মহিলারা তাঁর স্বামীর অধীনে আবদ্ধ। এই ধারণার পিছনে মুসলিম ধর্মগুরু ও ওই সম্প্রদায়ের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব রয়েছে বলে মনে হয়। সেই মনোভাব মহিলাদের খুলার মাধ্যমে একতরফা বিচ্ছেদ চাওয়ার অধিকারকে মানতে রাজি নয়।’’ বিচারপতিরা আরও বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে স্ত্রীর দিক থেকে বিচ্ছেদ চাওয়ার অন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই স্বামীর সম্মতি ছাড়াই খুলার মাধ্যমে বিচ্ছেদে সম্মতি দিতে পারে আদালত।’’
বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ আগামিতে ভাবে। এই প্রবাদকে সত্যি করেই বাংলার পথেই এবার হাঁটতে চলেছে কেরল। চলতি বছর নবান্ন রাজ্যপালকে সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরিয়েছে। তার আগে রীতিমতো বিধানসভায় বিল পাশ করিয়েছে মমতা সরকার। এবার সেই পথেই হাঁটতে চায় কেরলের পিনরাই বিজয়ন সরকার। বাংলার মতোই বামশাসিত কেরলে রাজ্য বনাম রাজ ভবন সংঘাত এখন তুঙ্গে।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে থাকেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল। এবার এই নিয়মে বদল আনতে কোমর বাঁধছে কেরল সরকার। সেখানে বাম সরকারের সঙ্গে নিত্য কলহ রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের নিয়োগকালে কেরলের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে রাজ্যপাল জানতে চান, কেন তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হবে না। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের এই পদক্ষেপে ক্রুদ্ধ বিজয়ন সরকার। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদ থেকে আরিফকে সরিয়ে দিতে সমস্ত রকম আইনি রাস্তার খোঁজ চলছে। এ জন্যই গত জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় পাশ করানো বিলটিও খুঁটিয়ে পড়ছেন কেরলের মন্ত্রী-আমলারা।
এই বিলে রাজ্যপালের বদলে রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, তামিলনা়ড়ু এবং মহারাষ্ট্রও আগে এই পথ নিয়েছে। সূত্রের খবর, পঞ্জাবের আপ সরকারও একই পথে হাঁটার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে।
কেরলের (Kerala) পাথানামথিট্টার (Pathanamthitta) একটি পকসো আদালত (Pocso court) ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ১৪২ বছরের জেল-সহ সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করে। এবং ১০ বছরের একটি শিশুকে দুই বছরের জন্য যৌন নির্যাতনের (sexually assaulting) করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আদালত লোকটিকে শাস্তি প্রদান করে। এবং বলে অভিযুক্ত যদি জরিমানা না দেয় তবে তাকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এই ঘটনা এখনও পর্যন্ত জেলার একটি পকসো মামলায় অভিযুক্তকে দেওয়া সর্বোচ্চ শাস্তি।
আনন্দন পিআর ওরফে বাবু নামে ওই ব্যক্তিকে ১৪২ বছর জেল হেফাজত থাকতে হবে। ২০ মার্চ, ২০২১-এ, তিরুভাল্লা পুলিস তার বিরুদ্ধে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি ১০ বছর বয়সী শিশুকে একাধিকবার নৃশংসভাবে যৌন নির্যাতন করার জন্য একটি মামলা দায়ের করে। বাবু আত্মীয় ছিল ওই শিশুর। এবং শিশুটির বাবা-মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন।
পাথানামথিট্টা জেলা পুলিশ বলেছে, "মামলায় প্রধান পকসো প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেসন ম্যাথিউস প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাক্ষীর বক্তব্য, মেডিকেল রেকর্ড এবং প্রমাণ প্রসিকিউশনের পক্ষে শক্তিশালী ছিল। হরিলাল, যিনি তিরুভাল্লা থানার পরিদর্শক ছিলেন, মামলাটি নথিভুক্ত করেন এবং তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।"
পৃথিবীর যে প্রান্তে যা ঘটুক, তা এখন মুহূর্তে চলে আসে সকলের মুঠোফোনে। ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। তার মধ্যে যেমন থাকে চাঞ্চল্যকর কিছু ভিডিও (Video)। তেমনই থাকে হাস্যকর, আশ্চর্যজনক কিছু ভিডিও। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে রীতিমত অবাক নেটদুনিয়ার (Social Media) মানুষ।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান। যেখানে হুলুস্থুল ঝগড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, একপ্রকার হাতাহাতি, মারামারি লেগে গিয়েছে দু'দলের মধ্যে। পাল্টা লাঠি, ঘুষি চলছে। এমনকি নিমন্ত্রিতদের জন্য রাখা খাবারভর্তি থালা ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সকলে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ছুটে চলেছে।
তবে কী কারণে এই শুভ অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত পাত্রপক্ষের কয়েকজন অতিরিক্ত পাঁপড় চেয়েছিলেন, সে নিয়ে। যাঁরা খাবার পরিবেশন করছিলেন, তাঁরা পাঁপড় আর দিতে পারবেন না বলেন। এরপরই কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। শেষমেশ হাতাহাতিতে পৌঁছয় ঘটনা। পাত্র এবং কনেপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে কেরলের (Kerala) আলাপ্পুঝার মুত্তমের।
In the great 100% literate state of Kerala, a fist fight broke out at a wedding after friends of the bridegroom demanded papad during the feast. This triggered a verbal spat and ended up in an ugly brawl. No wonder Mallus belo papad. 😆 pic.twitter.com/HgkEUYMwfy
— Rakesh Krishnan Simha (@ByRakeshSimha) August 29, 2022
রাকেশকৃষ্ণ সিংহ নামে এক টুইটার গ্রাহক মারামারির সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যে রাজ্যে ১০০ শতাংশ মানুষই শিক্ষিত, সেখানে পাঁপড় নিয়ে হাতাহাতিতে জড়ালেন বরের বন্ধুরা।’ পুলিস সূত্রে খবর, এবিষয়ে তারা একটি অভিযোগ পেয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। আপাতত ১০ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
নিজের স্বামীর (Husband) মুখে অন্য কোনও মেয়ে বা মহিলার নাম শুনলেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন কম-বেশি সব মহিলারাই। সেখানে নিজের স্ত্রীয়ের (Wife) সঙ্গে অন্য মহিলার তুলনা (Comparing) করার অর্থ নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারা। এমনকি এবিষয়টি আইনের চোখেও অপরাধ। এবং স্বামীর তরফে এহেন মন্তব্য মানসিক নির্যাতনের (Mental torture) সমান। আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)।
কোনও স্বামী যদি তাঁর স্ত্রীকে অন্য নারীদের সঙ্গে বারবার তুলনা করেন কিংবা বিভিন্ন বিষয়ে কটুক্তি করতে থাকেন, তাহলে আইনের চোখে সে স্বামী অপরাধী বলেই গণ্য হবেন। ৪ই অগাস্ট একটি মামলার রায়ে এমনটাই জানিয়েছেন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল কে নরেন্দ্রনাথ এবং বিচারপতি সিএস সুধারের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিরা রায়ে এও বলেছেন, স্বামীদের এই ধরনের ব্যবহার বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হতে পারে।
উল্লেখ্য, পরিবার আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় ঘোষণা করেছিল ওই দম্পতিকে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু তাঁর আবেদন খারিজ করেছে হাই কোর্ট বলে, পরিবার আদালতে বিচ্ছেদের রায় ঘোষণার সময়ে জানানো হয়েছিল, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে পরিপূর্ণতা না-থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ১৮৬৯ সালের বিচ্ছেদ আইনের উল্লেখ করে বিচারপতি জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে বিষয়টি মানসিক নির্যাতনের মধ্যে পরে।
ওই মামলায় দেখা গিয়েছে, বিয়ের পরে খুব কম সময়েই একসঙ্গে ছিলেন ওই দম্পতি। দীর্ঘ সময় বিচ্ছিন্ন থাকার পরে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দিয়েছিল পরিবার আদালত। হাই কোর্ট আরও জানিয়েছে, স্বামী মনে করতেন তাঁর প্রত্যাশা মত স্ত্রী একেবারেই দেখতে সুন্দর নন। এই ধরনের ক্রমাগত কটুক্তি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট। এছাড়া এই ধরনের বিষয় অবশ্যই সামাজিক স্বার্থে বিবেচনা করা উচিত। কারণ এর সঙ্গে একজন মহিলার মানসিক স্বাস্থ্য জড়িয়ে রয়েছে।
কেরলের (Kerala) এক ব্যক্তি সম্প্রতি রাস্তায় বেহাল দশা (Road problem) এবং আসন্ন বিপদের দিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একটি অনন্য প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন। অভিনব বিক্ষোভের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।
ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা গিয়েছে, লোকটি একটি বালতি, মগ, সাবান এবং একটি তোয়ালে সঙ্গে রেখেছেন। রাস্তায় বড় বড় গর্তে বৃষ্টির জলে জমে জলাশয়ের আঁকার নিয়েছে। সেই জলে গায়ে সাবান মেখে স্নান করতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। কৌতূহলী মোটরসাইকেল আরোহী পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে তাঁর কাপড় ধোয়ার ছবিও তোলেন।
কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক ইউএ লতিফ। তিনি আসার সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রতিবাদকারী গর্তের মধ্যে ধ্যানের ভঙ্গিতে বসে থাকেন। এমনকি ভিডিওতে তাঁকে বিধায়কের সামনে কাদা জলের বিশাল গর্তের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যোগব্যায়াম করতেও দেখা যায়।
কেরালায় রাস্তার এই গর্তের কারণে কিছুদিন আগে একজন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। আর তার ঠিক কয়েকদিন পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। মামলাটি গ্রহণ করে কেরল হাইকোর্ট ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (NHAI) অবিলম্বে গর্তগুলি পূরণ করতে বলেছে। বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রনের সিঙ্গল বেঞ্চ রায় দিয়েছে, যে জেলা কালেক্টররা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসাবে রাস্তায় গর্ত ঠিক করার দায়িত্ব নেবেন। অবিলম্বে সমস্ত রাস্তা যেন সারিয়ে দেওয়া হয়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে গুগল (Google)। প্রায়শই অনেকেই গুগল ম্যাপ (Google Map)-এর ভরসায় বেরিয়ে পড়েন। বিশেষ করে অজানা জায়গায় যাওয়ার জন্য ভরসা সেই গুগল ম্যাপই। কিন্ত গুগল ম্যাপ কি সবসময় সঠিক রাস্তাই (Right navigation) দেখায়? একেবারেই না। অন্ধের মত গুগলের ম্যাপের উপর ভরসা করে ম্যাপে দেওয়া ডিরেকশনে এগোতে এগোতে ভুল রাস্তায় এসে পড়েন এক মহিলা। গাড়ি গিয়ে পড়ে খালে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে (Kerala)।
পুলিস সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১০টায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরনাকুলম থেকে কুমবানাদে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন সোনিয়া নামের ওই মহিলা। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। সঙ্গে ছিল তাঁর তিন মাসের শিশুকন্যা, মা ও এক আত্মীয়। তিনি পথ ভুলে যেতেই গুগল ম্যাপের সাহায্য নেন। আর সেটাই হয়েছে কাল। গাড়ি সোজা গিয়ে পড়ে খালে।
তবে গাড়িতে বিপদকালীন সঙ্কেত হওয়া মাত্রই স্থানীয়রা ছুটে আসেন। উদ্ধার করেন সকলকে। তবে ডুবে যায় গাড়িটি। তবে এই দুর্ঘটনা প্রথমবার নয়। গুগল ম্যাপ-এর ভরসায় বেশ কয়েকবার একই রকম সমস্যায় পড়েছেন মানুষজন।