পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। পাশাপাশি, অয়ন শীলের সংস্থার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন পুরসভার কর্মীদের-ও। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ক্লার্ক, পিয়ন সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ২০টি সেন্টারে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিল মূলত ভুয়ো পরীক্ষার্থীরাই। এমনকি প্রার্থী সংখ্যাতেও কারচুপি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সেই সময় কারা পরিদর্শক ছিলেন, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো বরানগর পুরসভার কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার এই মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন বরানগর পুরসভার ২ কর্মী।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে, এক প্রাক্তনসরকারি কর্মী জানান, তিনি তিনবছর আগে একটি স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তবে বাকি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি তিনি।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি কি আদৌ সম্ভব? সিবিআইয়ের তদন্তে কি সামনে আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম?
ভাটপাড়া উৎসব চলাকালীন হঠাৎ অচৈতন্য হয়ে লুটিয়ে পড়লেন কল্যাণীর নৃত্যশিল্পী সজল বারুই। ইলেট্রিক শক খেয়ে নৃত্য শিল্পীর মৃত্যুতে বন্ধ ভাটপাড়ার উৎসব। আটক করা হয় ইলেকট্রিক বিভাগের এক কর্মীকে। মৃত্য়ুর আসল কারণ কী? কাদের হাতে ছিল উৎসবের নিরাপত্তার দায়িত্ব? এই নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া উৎসবে নৃত্য শিল্পী সজল বারুই স্টেজে পারফরম্যান্স করতে করতে হঠাৎ বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর থেকেই ভাটপাড়া উৎসবের মঞ্চের সামনে পুলিস প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। এমনকি মাঝ পথে বন্ধ করা হয় গোটা অনুষ্ঠানটি। কারণ এখনও অবধি তদন্ত পুরোপুরি সম্পূর্ন হয়নি বলে। যতক্ষণ না পর্যন্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসছে ততক্ষণ স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে না কি কারণে মৃত্য়ু হয়েছে কল্যাণীর নৃত্যশিল্পী সজল বারুই।
মৃতের পরিবারের দাবি, নাচ চলাকালীন স্টেজের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন সজল বারুই। আচমকা ইলেকট্রিক শক খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সজল। তারপর সজলকে ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তাঁর শিক্ষকও। তড়িঘড়ি ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আর বাঁচানো যায়নি নৃত্য়শিল্পী সজল বারুইকে। শুক্রবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ভাটপাড়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে যায় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এবং গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছেন সাংসদ অর্জুন সিংও।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা গান এবারে বিশ্বদরবারে সম্মানিত করা হবে। বিশ্ব সঙ্গীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গ্র্যামিতে মনোনীত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর লেখা 'অ্যাবানডেন্স অফ মিলেটস' গানটি। বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স বিভাগে মনোনীত হয়েছে তাঁর লেখা গানটি।
শুক্রবার মধ্যরাতে জানা যায় যে, প্রধানমন্ত্রীর লেখা গান গ্র্যামিতে ২০২৪-এ মনোনীত হয়েছে। এই গানটি লেখা হয়েছে মিলেট নিয়ে। ২০২৩ সাল মিলেট বর্ষ বলে ঘোষিত হয়েছে। বছরের শুরু থেকেই মিলেটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উপকারিতা প্রচারের উপর জোর দিয়েছিলেন মোদী। গানটি গেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফাল্গুনী শাহ ওরফে ফালু ও তাঁর স্বামী গৌরব শাহ। গানটি মুক্তি পেয়েছে ১৬ জুন। গানটি মনোনীত হয়েছে ২০২৪ সালের গ্র্য়ামি পুরস্কারে সেরা গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স ক্যাটেগরিতে। এই সংবাদ তাঁর কাছে পৌঁছনোর পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'দীপাবলির উপহার' বলে টুইট করেছেন।
দশেরার দিন গরবা নাচের অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক পরিণতি হরিয়ানার ঝামেলার ঝেরে ফরিদাবাদে। মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। প্রতিবেশী দুই যুবক তাঁর মেয়েকে ‘উত্যক্ত’ করায় বাধা দেন প্রৌঢ়। তখনই বচসার মাঝে এক যুবক তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিতে মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারান তিনি। দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে ফরিদাবাদের ওই আবাসন এলাকায়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম প্রেম মেহতা (৫২)। তিনি ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৭-র প্রিন্সেস পার্ক সোশ্যাইটির বাসিন্দা। নিজের এলাকায় গরবা নাচের অনুষ্ঠানে পরিবার সদস্যদের নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় ওই আবাসনেরই দুই যুবক প্রৌঢ়ের ২৫ বছর বয়সী মেয়েকে উত্যক্ত করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা তরুণীর ফোন নম্বর চায়। একসঙ্গে নাচার জন্য জোর করে।
তখনই এগিয়ে যান প্রেম মেহতা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। বচসা থেকে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। তখনই এক যুবকের জোর ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান তিনি। তোলার চেষ্টা করলে দেখা যায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। দ্রুত তাঁকে একটি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকরা জানান, ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। পুলিস আধিকারিক জামিল খান জানিয়েছেন, মৃতের পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিস।
সাধারণত প্রাইভেট স্কুলেই পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য অ্যাক্টিভিটি শেখানো হয়ে থাকে। তার মধ্যে নাচ-গান-খেলাধুলো রয়েছে। সরকারি স্কুলে (Govt School) খেলাধুলো-ব্যায়ামের জন্য ব্যবস্থা করা হলেও নাচ-গানের জন্য তেমন কোনও সুবিধা দেওয়া হয় না। এছাড়াও নাচ শেখানোর ক্ষেত্রে মহিলাদেরকেই প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু এবারে স্কুলে নাচ শেখাতে দেখা গেল এক শিক্ষককে (Teacher)। এবারে এক সরকারি স্কুলের শিক্ষককে এই কাজ নিজের ইচ্ছাতে পড়ুয়াদের শেখাতে দেখে বেজায় খুশি নেটিজেনরা। আর সেই ভিডিও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video)। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল।
कमाल की वीडियो है. सरकारी स्कूलों के शिक्षक अगर ठान ले तो तस्वीर बदल सकती है.
— Priya singh (@priyarajputlive) August 24, 2023
इस टीचर को देखिये, कैसे बच्चों को फुल एनर्जी में डांस सीखा रहे हैं. pic.twitter.com/K84WZR0do1
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বরেলির এক সরকারি স্কুলে প্যান্ট-শার্ট পরে এক শিক্ষক নাচ শেখাচ্ছেন স্কুলের কচিকাঁচাদের। তাদের মধ্য়ে সাহস ও উৎসাহ বাড়ানোর জন্যই তিনি তাঁদের নাচ শিখিয়ে চলেছেন। তবে নাচ শেখানোর জন্য নেই কোনও সুন্দর ডান্স রুম ও নেই কোনও তেমন আয়োজন। খোলা আকাশের নীচে, প্রকৃতির মাঝেই নিঃস্বার্থে নাচ শিখিয়ে চলেছেন তিনি। তবে তাঁদের নাচের তালে কমতি নেই উদ্যোগ-উচ্ছ্বাসের। পড়ুয়াদেরও দেখে বোঝা যাচ্ছে, তারা শিক্ষকের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে নাচ শেখার।
ফলে শিক্ষক-পড়ুয়াদের মধ্যে এই সম্পর্ক দেখে বেজায় খুশি নেটিজেনরা। তাছাড়াও সরকারি স্কুলে নাচ শেখাচ্ছেন একজন শিক্ষক, এই দেখেও তাঁর প্রশংসা করেছেন নেটাগরিকরা। এছাড়াও অনেকেই মনে করেন, শিশুদের পড়াশোনার পাশাপাশি এমন অ্যাক্টিভিটি করালে তা পড়ার ক্ষেত্রে মনোযাগী হতে সাহায্য করে।
শ্যুটিংয়ের সেটেই কিছুদিন আগে গুরুতর আহত হয়েছিলেন অভিনেতা রুবেল দাস (Rubel Das)। 'নিম ফুলের মধু' ধারাবাহিকে রুবেলের বাসের ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শ্যুটিং চলছিল। সেই স্টান্টটি শ্যুটিং করার সময়েই রুবেল পায়ে চোট পান। পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর দুই পায়েরই গোঁড়ালি ভেঙে গিয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে একেবারে শয্যাশায়ী হওয়ার পরামর্শ দেন। এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন শ্বেতা (Sweta Bhattacharya)। সামাজিক মাধ্যমে প্রেমিকের জন্য তাঁর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন।
বর্তমানে রুবেল রয়েছেন তাঁর বারাসতের বাড়িতে। শ্বেতা বেশিরভাগ সময় শ্যুটিংয়ের ফ্লোরে থাকলেও, সুযোগ পেলেই প্রেমিককে দেখতে তাঁর বাড়ি চলে যান। সেই সাক্ষাতের ছবিও শ্বেতা আপলোড করে থাকেন সামাজিক মাধ্যমে। তবে রুবেলের সঙ্গে শ্বেতার এইবারের সাক্ষাৎ বেশ মজাদারই হয়েছে। দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীই নাচ করেছেন একে ওপরের সঙ্গে। ভাবছেন তো, রুবেলের পা ভেঙে গিয়ে থাকলে তিনি কীভাবে নাচলেন?
আসলে নাচতে গেলে যে সবসময় সর্বাঙ্গ দিয়ে নাচতে হয় তা নয়। বসে, কেবলমাত্র হাতের মুদ্রা সঞ্চালন করেও সুন্দর ভাবে নাচ যায়. সেই পদ্ধতিতেই নেচেছেন দুজন। জনপ্রিয় 'কাভালা' গানেই রিলিস বানিয়েছেন তাঁরা। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেছেন অভিনেত্রী। তাঁদের সম্পর্কের রসায়নও স্পষ্ট হয়েছে সেই নাচ থেকে।
কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী উদয় শঙ্করের উত্তরসূরী শ্রীনন্দা শঙ্কর (Sreenanda Shankar)। বর্তমানে কলকাতার জনপ্রিয় নৃত্য শিল্পী তনুশ্রী শঙ্করের কন্যা তিনি।বাংলা টেলিভিশন জগতে নানা নৃত্যানুষ্ঠানে দেখা যায় তাঁকে। সামাজিক মাধ্যমে তিনি বেশ সক্রিয়। মেকআপ এবং নাচের প্রতি তাঁর ভালোবাসার বহু উদাহরণ শ্রীনন্দার সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায়। তবে নেটিজেনরা যেমন তাঁর প্রশংসা করেন তেমনি সমালোচনাও করেন। আবার মাঝেমধ্যে সব সীমানা পেরিয়ে কটূক্তিও করেন। সম্প্রতি এই নিয়েই সোচ্চার হয়েছেন শ্রীনন্দা।
শ্রীনন্দা কেন সন্তানের জন্ম দেননি? এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নানা কটূক্তি করা হয় যখন তখন। এই ট্রোলিংয়ের উত্তরে শ্রীনন্দা জানিয়েছেন, 'আমি কেবল আমার কুকুরদের মা নই, আমার মা এবং স্বামীরও। আমার ব্যক্তিত্বের এই সত্বা সন্তান ছাড়াও পরিপূর্ন। আমাকে যখন মাতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন আমি অবাক হয়ে যায়।'
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'জনপ্রিয় পরিবার থেকে এসেছি বলে সবসময়ই আমাকে আমার আত্মীয়দের সঙ্গে তুলনা করা হয়। নেটিজেনরা ভাবেন, আমি কেন তাঁদের মতো হতে পারলাম না। আমি সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে স্বতন্ত্রভাবে, পরিবারের থেকে ভিন্নভাবে প্রেজেন্ট করি। জানি না কেন, নেটিজেনরা এটিকে ইস্যু মনে করেন। সাধারণত এই নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করি না। তবে এইবার বাধ্য হয়েছি। আমি তাঁদের উপদেশ দিতে চাই, ভালো কোনও কাজে সময় ব্যয় করতে।'
সন্দীপ্তা সেনকে (Sandipta Sen) টলিউডের (Tollywood) দর্শকেরা অভিনেত্রী হিসেবেই চেনেন। ছোট পর্দায় 'দূর্গা' ধারাবাহিকে অভিনয় করেই অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এরপর যত সময় পেরিয়েছে, একাধারে সিনেমায়-ধারাবাহিকে-ওয়েব সিরিজে অভিনেত্রী হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে তাঁকে যারা সামাজিক মাধ্যমে অনুসরণ করেন, তাঁরা জানেন সন্দীপ্তার অন্য একটি ভালোবাসার বিষয় নাচ। সন্দীপ্তা নাচতে খুব ভালোবাসেন। মাঝেমধ্যেই সমাজ মাধ্যমের পাতায় নাচের নানা ভিডিও আপলোড করে থাকেন।
সোমবার গুরুপূর্ণিমার পুণ্যতিথিতে নিজের নৃত্যগুরুকে প্রণাম জানাতে ভুললেন না সন্দীপ্তা। জনপ্রিয় 'দিম তা না না না' গানে নাচ করে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন সন্দীপ্তা। সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেছেন নৃত্য জীবনের। সন্দীপ্তা ক্যাপশনে লিখেছেন, 'নাচে আমার প্রথম হাতেখড়ি আড়াই বছর বয়সে। আমার জেঠিমার কাছে। তখন মনে হয় ক্লাস সেভেনে পড়ি, আমার জেঠিমা এই নাচটা শিখিয়েছিলেন। এত বছর পর আবার চেষ্টা করলাম। আমি আমার সমস্ত গুরুর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান জানাই।'
কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ্তা অভিনীত ওয়েব সিরিজ 'নষ্টনীড়'। এই সিরিজটিতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনেত্রী। দর্শকদের প্ৰশ্ন, অভিনেত্রীকে কবে আবার ধারাবাহিকের পর্দায় দেখা যাবে? তবে সন্দীপ্তা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি তিনি আর ধারাবাহিকে ফিরতে চান না। বরং সিরিজ-সিনেমাতেই চুটিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
দর্শকদের খুবই পছন্দের অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। কয়েক দশক ধরে চুটিয়ে কাজ করছেন টলিউডের ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা। বাংলা সিনেমা জগতের সীমানা পেরিয়ে হিন্দি সিনেমার জগতেও কাজ করেছেন টুকটাক। কিন্তু বাঙালি দর্শকদের কাছে তাঁর পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা দুই-ই বেশি। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছর কাটানোর পরও তাঁকে অপছন্দ করেন, সমালোচনা করেন, এমন মানুষও কম নেই। অভিনেত্রী তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের ঝলক সামাজিক মাধ্যমে দিলেও সমালোচনার ঝড় ওঠে মাঝে মধ্যেই।
অপরাজিতা অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ করতেও খুব ভালোবাসেন। ব্যস্ত শিডিউল সামলে মাঝেমধ্যেই নাচের তালে পা মেলান। প্রশংসা ভেসে আসে অভিনেত্রীর ভক্তদের কাছ থেকে। একইভাবে তাঁর সমালোচনা করতেও তেড়ে আসেন অনেকে। এই যেমন সম্প্রতি অভিনেত্রী সামাজিক মাধ্যমে নতুন নাচের ভিডিও আপলোড করেছেন। মাধুরী দীক্ষিতের জনপ্রিয় 'আজা নাচলে' গানটিতে নেচেছেন অপরাজিতা। কমেন্ট বক্সে শুভেচ্ছার পাশাপাশি ধেয়ে এসেছে সমালোচনা।
যদিও সমালোচনা আসবে জেনেও তাতে বিশেষ গুরুত্ব দেন না অপরাজিতা। বরং সামাজিক মাধ্যমে লেখা ক্যাপশনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, নাচ তাঁর জীবনের কতটা জুড়ে রয়েছে। এর আগেও নেটিজেনরা নাচের জন্য অভিনেত্রীর মুণ্ডপাত করেছেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, 'আমার উপর নেই ভুবনের ভার।' তাই নিজের জীবন তিনি নিজের শর্তেই বাঁচবেন।
'দঙ্গল' সিনেমায় ডেবিউ বলিউডে(Bollywood)। প্রথম ছবিতেই দর্শকদের থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সান্যা মালহোত্রা (Sanya Malhotra)। এরপর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। লুডো, মীনাক্ষী সুন্দরেশ্বর, শকুন্তলা দেবী, বাধাই দো, ফটোগ্রাফ, স্যাম বাহাদুরের মতো ছবিতে কাজ করে ফেলেছেন। এর মধ্যে কিছু ছবি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, আবার কিছু ছবি বক্স অফিসে তেমন সফল হয়নি। তবে সান্যার অভিনয় এই প্রত্যেকটি ছবিতে প্রশংসা পেয়েছে। অভিনয়ের বাইরেও সান্যার নিজস্ব জগৎ আছে। মাঝেমধ্যে সেই ঝলক পায় নেটিজেনরা।
অভিনয় যদি সান্যার পেশা হয়, তবে নাচ সান্যার নেশা। সামাজিক মাধ্যমে বেশ সক্রিয় সান্যা। মাঝেমধ্যেই নিজের নাচের ভিডিও পোস্ট করেন। মুম্বইয়ের বড় দলের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই তাঁকে নাচের ভিডিও আপলোড করতে দেখা যায়। আবার নাচের সঙ্গে একান্ত যাপনও তাঁর বেশ পছন্দের। মাঝেমধ্যে একাই নাচ করেন, সেই মুহূর্ত আবার ভিডিওবন্দি করেন। তারপর সোজা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড।
শনিবার অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল 'ওয়ার্ল্ড ডান্স ডে' অর্থাৎ 'বিশ্ব নৃত্য দিবস' ছিল। নাচ-প্রিয় সান্যা কি ওইদিন চুপ করে বসে থাকতে পারেন! নিজের মতো উদযাপন করেছেন দিনটি। জনপিয় 'মাইয়া মাইয়া' গানে নেচেছেন। কালো অন্তর্বাস পরেছিলেন সান্যা। বেলি ডান্সের তালে যেন যৌবনের আগুন লাগিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করতেই দর্শক উষ্ণ ভালোবাসায় ভাসিয়েছেন।
চর্চিত তারকা দম্পতি বিরাট-অনুষ্কা (Virat-Anushka)। তাঁদের প্রেম-ভালোবাসার প্রথম থেকেই চর্চার কেন্দ্রে। তাঁদের মধ্যকার সেই ভালোবাসার বন্ধন একাধিকবার ধরাও পড়ে সমাজমাধ্যমে। ইতিমধ্যেই তাঁদের এক ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে আইপিএল-এর সময় মাঠ থেকেই বিরাট তাঁর স্ত্রী অনুষ্কাকে ফ্লাইং কিস দিচ্ছেন, আর তার প্রত্যক্ষদর্শী দেশ। এবারে তাঁদের আরও একটি মিষ্টি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। দেখা গিয়েছে, বিরাট ও অনুষ্কা খোশমেজাজে জিমে নাচছেন। কিন্তু হঠাৎই বিরাটের পায়ে ব্য়থা, যা দেখে বিরুষ্কার অনুরাগীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অনুষ্কা ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'ডান্স পে চান্স।' ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিরাট-অনুষ্কা জিমের মধ্যে বেশ খোশমেজাজে এন্ট্রি নিচ্ছেন। এরপরেই একটি পঞ্জাবি গানে অনুষ্কার সঙ্গে পা মেলাতে শুরু করেন বিরাটও। কিন্তু হঠাৎই বিরাট পা ধরে নাচতে গিয়ে তাঁর পায়ে চোট লাগে। যার ফলে ভিডিও থেকে বাইরে বেরিয়ে যান। কিন্তু বিরাটের এই অবস্থায় তাঁকে না ধরে অনুষ্কা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়েন। তবে বিরাটকে দেখে এমন মনে হয়নি যে, তিনি গুরুতর চোট পেয়েছেন। কিন্তু অনুষ্কার এমন ব্যবহার ভালোভাবে নেয়নি বিরাট ভক্তরা। তাঁর অনুরাগীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে কমেন্টে বলেছেন, 'আইপিএল চলছে, চোট পাননি তো।' অন্য একজন বলছেন, 'ট্রফি জিততে হবে, সাবধানে থাকুন।'
বিয়েবাড়ি মানেই গান-বাজনা, আনন্দ আর বরপক্ষ ও কনেপক্ষের হুল্লোড়। চোখ ধাঁধানো আলোর রোশনাই। আর এরকম বহু ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। তার মধ্যে সম্প্রতি একটি ভিডিও নেটবাসীদের মন জয় করেছে। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে আলোচনাও। মুহূর্তেই হাজার হাজার শেয়ার আর কমেন্টের ঝড় তুলেছে সেই ভিডিও। বলা বাহুল্য, মন ভালো করা সেই ভিডিও দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না আপনিও।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদের সঙ্গে এক ব্যক্তি বেশ গানের তালে নাচছেন। আর তার কোলে চুপটি করে রয়েছে একটি কুকুর। আর সেই পোষ্যটিও যে তার বন্ধুর কোলে উঠে নাচ উপভোগ করছে তা বেশ বোঝা গিয়েছে। আর তাদের দুজনের একসঙ্গে নাচের ভিডিও সকলের মন জয় করে নিয়েছে। বরযাত্রীদের সঙ্গেই ওই ব্যক্তি নাচতে শুরু করলে সারমেয়টিও বেশ গানের তালে লাফাতে থাকে।
এক ঝলক দেখে মনে হবে যেন কোনও শিশুকে কোলে নেওয়া হয়েছে। আর পোষ্যকে কোলে নিয়েও যে এত সুন্দর নাচ করা যায় তা যেন ভিডিওটি না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়তই কত ধরনের ভিডিয়ো ভাইরাল হতে থাকে। কিন্তু তারই মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নেটিজেনদের মন ছুঁয়ে যায়। আর এমন ভিডিও যে ভাইরাল হতে বেশি সময় নেবে না তা বলাই বাহুল্য। ভিডিওয় পোষ্যকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। যেমন এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, "বন্ধুর সঙ্গে এত সুন্দর করে সেও যেভাবে নাচছে তা দেখে মন ভরে গেল।"
সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। এতদিন তাঁকে জ্যাভলিনের (Javelin) রানওয়েতে একের পর এক রেকর্ড গড়তে দেখা গিয়েছে। টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জিতে ভারতের মুখ বিশ্বদরবারে উজ্জ্বল করেছেন তিনি। তবে এবারে তাঁকে এক অন্য মুডে, অন্য ছন্দে দেখা গেল। এককথায়, তাঁর যেন এক অন্য রূপ সবার সামনে ফুটে উঠল, যা দেখে 'ফিদা' নেটিজেনরা। নীরজকে এবারে রানওয়ে ছেঁড়ে ডান্স ফ্লোর কাঁপাতে (Dance) দেখা গেল। আর এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে (Social Media) ঝড়ের গতিতে ভাইরাল।
মুম্বইয়ের জুহুতে ভারতীয় ক্রীড়াজগতের এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন স্বর্ণপদক জয়ী নীরজ চোপড়া। সেখানেই তাঁকে জনপ্রিয় কিছু ইউটিউবার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে হার্ডি সান্ধুর 'বিজলি বিজলি' গানের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে। এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে রাতারাতি ভাইরাল। মেয়েরা খাচ্ছে 'ক্রাশ'। এই ভিডিওতে ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের কাছাকাছি লাইক পড়েছে। আর বয়ে গিয়েছে কমেন্টের বন্যা। কেউ কমেন্টে দিয়েছে হার্ট ইমোজি। কেউ বলেছেন, 'কবুল হ্যাঁ'। আবার কেউ লিখেছেন, নীরজ তাঁদের এখন ক্রাশ হয়ে গিয়েছে।
এর আগেও নীরজকে টিভির পর্দায় বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল। তাঁর সেই রূপ, অভিনয় তাক লাগিয়ে দিয়েছিল নীরজ অনুরাগীদের। আর এবারে কোমর দুলিয়ে ডান্স ফ্লোর কাঁপালেন নীরজ।
হোলির দিন (Holi Utsav) মদ্যপান করে থানার ভিতরে গান চালিয়ে নাচতে আরম্ভ করে দেন পাঁচজন পুলিসকর্মী। সেই নাচের ভিডিও (Viral Video) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বড়সড় শাস্তির মুখে ওই পাঁচ পুলিসকর্মী। বুধবার ঝাড়খণ্ডের মহাগামা থানার এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল। তাঁদের এই ফুর্তির কথা কেউ হয়তো জানতো না, যদি না নাচের ভিডিও ভাইরাল হতো। জানা গিয়েছে, ওই পাঁচ জন পুলিসকে সাসপেন্ড করেছে প্রশাসন (Jharkhand Government)। পাঁচজনের মধ্যে ৩ জন কনস্টেবল, ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর ছিলেন।
ন্যক্কারজনক কাজের জন্য ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরান্ডির কড়া সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল করেছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার।
রাজারহাট রোডের অভিজাত আবাসন থেকে ভিন রাজ্যের যুবতী বার ডান্সারের (Bar Dancer) ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনায় যুবতীর লিভ ইন পার্টনার আটক করেছে নারায়ণপুর থানার পুলিস (Police)।
পুলিস সূত্র মারফত খবর, রাজারহাট রোডের বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে পঞ্জাব জলন্ধরের বাসিন্দা বার ডান্সার যুবতী স্বেতা রানি(৩০)-র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় যুবতীর লিভ ইন পার্টনার মহেশ জয়সওয়ালকে আটক করেছে নারায়ণপুর থানার পুলিস। শনিবার রাতে মহেশ স্বেতাকে নিয়ে বাগুইহাটি ভিআইপি রোডের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে সে জানান, যুবতীকে সে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। চিকিৎসকেরা যুবতীকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই সুযোগ বুঝে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মহেশ। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাগুইআটি থানায় খবর দিলে পুলিস এসে ওই যুবককে আটক করে।
পরবর্তী সময় বাগুইআটি থানার পুলিস ওই যুবককে নারায়ণপুর থানার হাতে তুলে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পেরেছে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে লিভ ইনে থাকতেন মহেশ ও স্বেতা। মেয়েটির ওপরে সন্দেহের বশে সকাল থেকেই বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়েছিল। সাড়ে তিনটে নাগাদ যুবতী নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে নেন। এরপরই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বলে জানান মহেশ।
সূত্রের খবর, যুবতীর ঠোঁট ফাটা, হাতের তালুতে মিলেছে রক্তের দাগ। তা ঘিরে বাড়ছে রহস্য। পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। ইতিমধ্যেই পঞ্জাবে যুবতীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।