Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

child

Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ৯ শিশুর মৃত্যু নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি, নেপথ্যে 'রেফার রোগ'

মর্মান্তিক শিশুমৃত্যুর পর এবার শুরু দায় ঠেলাঠেলি। গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে সদ্যোজাতের মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০। ‘রেফার’ নিয়ে দায় ঝাড়তে উঠে পড়ে লেগেছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর হাসপাতালে অকেজো স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ। তার জেরে বেড়েছে রেফার। এবার সেই দাবি ওড়ালেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। তাঁর দাবি, তাঁদের হাসপাতাল থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও শিশু রেফার করা হয়নি। এসএনসিইউও ঠিকই আছে। তবে কিছু কিছু পরিষেবা দিতে পিছপা হতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের অভিযোগ, দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে অকেজো এসএনসিইউ। যার জেরে শেষ মুহূর্তে সংকটজনক অবস্থায় সব শিশুদের রেফার করা হচ্ছে মেডিকেল হাসপাতালে। কার্যত মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামোগত অবক্ষয়কেই দায়ী করেছেন তিনি।

কখনও শিশুর ওজন, কখনও অপুষ্টিকেই দায়ী করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখানে প্রদীপের নীচে গাঢ় অন্ধকার। পরিকাঠামো না থাকায় শেষমেশ রেফার রোগই কাড়ল এত গুলো নবজাতকের প্রাণ?

পর পর ৯ জন সদ্যোজাতর মৃত্যু নিশ্চয়ই খুব ছোটখাটো বিষয় নয়? এদিকে ক্রমশই চলছে দায় ঠেলাঠেলির পর্ব। শুক্রবার হাসপাতালে সদ্যোজাতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সরকারি গাফিলতির দিকে আঙুল তুলে মৃত ৯ শিশুর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি।

রেফার রেফার খেলা এরাজ্যে নতুন কিছু নয়। কিন্তু একই দিনে ১০ জন শিশু মৃত্যুতে, ফের কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য দফতর। কখনও গাফিলতি, কখনও পরিকাঠামো। আর স্বজনহারা হচ্ছে এবাংলার জনসাধারণ। এটাই যেন ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এবাংলার।

5 months ago
Murshidabad: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ৯ শিশুর মৃত্যু, ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল

মর্মান্তিক! গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ শিশুর মৃত্যু মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটস বা এসএনসিইউ  অকেজো হয়ে পড়ায় সেখান থেকে থেকে নবজাতকদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফার করা হয়। এসএনসিইউ ওয়ার্ড, নবজাতক বিভাগ, শিশু বিভাগ এবং শিশু সার্জারি বিভাগে ছিল মৃত শিশুরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চিকিৎসার তৎপরতাও শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়েও কড়া বার্তা জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে।

বুধবার বেলা ১২ টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে মোট ৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে খবর। অন্যদিকে, চিকিৎসা করতে আসা অবিভাবকদের বক্তব্য মেডিকেল কলেজের মাতৃ মা বিভাগের ভিতরে চিকিৎসার অভাবে অবহেলায় পড়ে রয়েছে বহু প্রসূতি। দুর্যোগের দিনে বা রাতে বাইরে প্রসূতিদের আত্মীয়দের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। এরকম ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মাতৃ মায়ের সামনে।

5 months ago
Habra: বি সি রায় হাসপাতালে ফের শিশু মৃত্য়ু, স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বন্ধ নার্সিংহোম

ফের হাসপাতালে শিশু মৃত্যু। হাবরার নার্সিংহোমে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ জন। জানা যায়, নভেম্বর মাসে হাবরার একটি নার্সিংহোমে ৭ জন শিশু সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করে বাড়ি যায়। তারপর বাড়ি যেতেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুগুলি। এরপরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওই শিশুগুলিকে কলকাতার বি সি রায় শিশু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আর সেখানেই মৃত্যু হয় ৩ শিশুর। এবং বাকি শিশুরা চিকিৎসাধীন অবস্থা থাকার পরেও মঙ্গলবার মৃত্যু হয় আরও একটি শিশুর। ঘটনার পরেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে নার্সিংহোম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করা হয়। 

কেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল শিশুরা? কার গাফিলতিতে চলে গেল প্রাণগুলি? এইভাবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন নার্সিংহোমের মালিক। ঘটনার পরেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি দল নার্সিংহোমে গিয়ে তদন্ত করেছে। আপাতত নার্সিংহোম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তর কথাই জানালেন বারাসাতের এসডিও।

ইতিমধ্যে মৃত শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে হাবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে হাবরা থানার পুলিস। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ কি আদৌ প্রকাশ্যে আসবে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

5 months ago


SSKM: শিশু ভর্তি নিয়ে বিতর্কের মুখে এসএসকেএম, CN-এর খবরের জেরে চলছে চিকিৎসা

এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের রেড জোনে ভর্তি বিহারের নওয়াদা জেলার শিশুটি। শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আশঙ্কাজনক অবস্থার পরেও ওই শিশুটিকে ভর্তি না নেওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েছিল এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেড় বছরের গুরুতর অসুস্থ শিশুকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বসে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিল শিশুটির পরিবার। এমনকি সে সময় অক্সিজেনের ঘাটতিও দেখা যায়। পরবর্তীতে সিএন-এর খবরের জেরে এসএসকেএমের তরফে ভর্তি নেওয়া হয় শিশুটিকে। 

সেখানেই খেলতে গিয়ে হঠাৎই ছাদ থেকে পড়ে যায় সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আসানসোল হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু  আর্থিক পরিস্থিতির কারণে সেখান থেকে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। এখান থেকে শিশুটিকে রেফার করে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এরপরেই বেড না থাকার কারণ দেখিয়ে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয় এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দেড় বছরের গুরুতর অসুস্থ শিশুকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বসে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিল  শিশুটির পরিবার। অক্সিজেনের ঘাটতিও দেখা যায়।  পরবর্তীতে CN- এর খবরের জেরে অবশেষে এসএসকেএমের তরফে ভর্তি নেওয়া হয় শিশুটিকে। 

আপাতত এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের রেড জোনে ভর্তি রয়েছে ওই শিশুটি। উঁচু জায়গা থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে শিশুটির শরীরের কোথাও ব্লাড ক্লট হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে একজন নিউরোলজিস্ট এর পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামীতে  যাতে কোনও  সমস্যা না হয় তার জন্য একজন ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাকে ইয়োলো জোনে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।

যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক চাইলেই এসএসকেএমে ভর্তি হতে পারেন। সেখানে একটি ছোট্ট শিশুকে কেন এভাবে সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালের বাইরে পড়ে থাকতে হবে? বারংবার রোগী এবং তাঁদের পরিজনকে কেন এসএসকেএমে এসে সমস্যার মুখে পড়তে হবে? রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা তাহলে কোথায়?


5 months ago
SSKM: বেড নেই এসএসকেএম-এ! দেড় বছরের শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

এসএসকেএম-এ (SSKM) নেই বেড, ফলে মাথায় গুরুতর চোট পাওয়া এক দেড় বছরের শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সেই দেড় বছরের শিশু যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছে, সেসময় তাকে এসএসকেএম-এ নিয়ে এলে বলা হয়, তাকে ভর্তি করানো যাবে না। এর পরই পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েন ও হাসপাতালের সামনেই অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে এই পরিস্থিতি সিএন-এর পর্দায় সম্প্রচার করা হলে অবশেষে চিকিৎসার জন্য খুদেকে ভর্তি নেওয়া হয় ও ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, শিশু ও তার পরিবার বিহারের নওয়াদা জেলার বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে মামাবাড়িতে আসানসোল এসেছিল। কিন্তু খেলতে গিয়ে ৩ ডিসেম্বর বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পায় এই দেড় বছরের খুদে। তাকে প্রথমে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে পুরোপুরি চিকিৎসা না হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু খুদের পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক যে তাকে পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু এসএসকেএম-এ পৌঁছতেই জানানো হয়, হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করানোর জন্য বেড নেই। ফলে হাসপাতালেই বাইরে অ্যাম্বুলেন্সেই পড়ে ছিল শিশুটি। এমনকি জানা গিয়েছে, গাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনও ছিল না। ফলে ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছিল তার পরিস্থিতি। এসব দেখেও টনক নড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এর পরই সিএন-এর সাংবাদিক হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতেই নড়েচড়ে বসেন তাঁরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর অবশেষে শিশুটিকে ভর্তি করেন তাঁরা।

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে এসএসকেএম হাসাপাতালেই ভর্তি। সোমবার রাতে মদন মিত্র হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকেও এখানেই ভর্তি করা হয়। এছাড়াও দেখা গিয়েছে, রাজ্যের কোনও মন্ত্রী অসুস্থ হতেই প্রথমে তাঁকে এসএসকেএম-এই নিয়ে আসা হয়। ফলে তাঁরা যখন-তখন বেড পেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের সময় বেড নেই! এই প্রশ্নই উঠছে সাধারণ মানুষের মনে।

5 months ago


Habrah: দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খুন বছর তিনেকের ননদকে, ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত বৌদি

চাল পড়া খাওয়ানোর ভয় দেখিয়ে শিশু হত্যার কিনারা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হাবড়ার বয়রাগাছি এলাকায়। অভিযোগ, শিশুটিকে তার বৌদি দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছে। তার জেরে মৃত্যু হয় ওই শিশুটির।

জানা গিয়েছে, মৃত শিশু মেয়েটির নাম সুমি সিং (৩)। জন্মের পরেই তার মায়ের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে সে তার পিসি ও পিসেমশাইয়ের বাড়িতে থাকত। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে বাড়িতে চা বিস্কুট খাইয়ে তার পিসির ছেলে রঞ্জিত সর্দার ও পরিবারের সদস্যরা মাঠে কাজে চলে যান। সেই সময় বাড়িতে শুধু রঞ্জিত সর্দারের স্ত্রী সাথী সর্দার ছিল। এরপর সে মাঠে গিয়ে সবাইকে জানায় সুমি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপর এলাকারবাসীরা সুমিকে দ্রুত হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

এরপর শুক্রবার বিকেলে শিশুটির সঙ্গে থাকা তার বৌদি সাথী সর্দারকে পরিবারের সদস্যরা সন্দেহবশত কারণে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন এলাকার এক ব্যক্তি কুসংস্কারের খাতিরে কিছু চাল পড়া নিয়ে এসে বলে যে ওই শিশুটির ক্ষতি যে করেছে সে এই চাল খেলে রক্ত বমি উঠে মারা যাবে। তখন সাথী সেই চাল খেতে অস্বীকার করে এবং জানায় সে নিজে হাতে শিশুটিকে দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছেন। কারণ জানতে চাইলে সে জানান, শ্বশুরবাড়িতে তার থেকে বেশি ভালোবাসা ননদ (মানে ওই বছর তিনের শিশুটিকে) দেওয়া হচ্ছে। তাই সে এমন কাজ করেছেন। 

এরপর অভিযুক্ত সাথী সর্দারের কুকীর্তির কথা জানতে পেরে পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। শনিবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামী সহ এলাকার বাসিন্দারা কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

5 months ago
Howrah: ঘরের উঠোন থেকে নিখোঁজ শিশু

ঘরের উঠোনেই খেলছিল বছর দুয়েকের শিশু। খেলতে খেলতে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার বাঁকড়া পুলিস ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মিশ্র পাড়ায়। জানা গিয়েছে, শিশুটিকে বাড়ির উঠোনে বসিয়ে দোকানে যান শিশুটির মা। কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করেন শিশুর মা ও প্রতিবেশীরা। কিন্তু দিন পেরোলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি শিশুটির।

খোঁজ না মেলায় বাঁকড়া পুলিস ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে। শিশুটিকে খুঁজতে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ। তবে কেউ চুরি করে নিয়ে গিয়েছে বলে অনুমান প্রতিবেশীদের।

পুলিসের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হলেও এখনও পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে কী প্রতিবেশীদের অনুমান সঠিক? কে বা কারা তুলে নিয়ে গেল শিশুটিকে? এর পেছনে কোন অভিসন্ধি? ফের প্রশ্নের মুখে সাধারণের নিরাপত্তা।

5 months ago
Death: প্রসবের পর মৃত্য়ু মায়ের, চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্য়ুর অভিযোগ পরিবারের

চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্য়ুর অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে নার্সিংহোমের চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মৃতের আত্মীয়স্বজন। বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মছলন্দপুরে একটি নার্সিংহোমে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে ব্য়পক উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম মোমিনা বিবি। বাড়ি স্বরূপনগর থানার উত্তর কাজদহ এলাকায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গোবরডাঙা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী  এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে আনুমানিক ৯:৩০ টা নাগাদ নার্সিংহোমে ভর্তি হন ওই গর্ভবতী মহিলা। এরপর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি। তারপরে ওই মহিলার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁর বাড়ির লোকেরা নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষকে জানায়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা এবং নার্সেরা কোনোভাবেই কথা শোনে না বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের তরফ থেকে। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ওই গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয় কিন্তু নার্সিংহোমের তরফ থেকে সেই মৃত্যুর খবর দেওয়া না বলে অভিযোগ পরিবারের।

5 months ago


Maldah: আর্থিক অভাবে নিজের সন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে

আর্থিক অনটনের কারণে সদ্য়োজাতকে বিক্রির অভিযোগ উঠল নিজের মায়ের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য়কর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত পিপলায়। অভিযোগ, দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্থানীয় এক ব্য়বসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছিল ওই সদ্য়োজাতকে। 

জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত পিপলার বাসিন্দা ওই সদ্য়োজাতের মা লক্ষ্মী দাস। তাঁর স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করেন। অভাব অনটনের মধ্য় দিয়ে কোনওরকমে দিন চলে। তাঁদের এক বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। এবং চলতি মাসের ১ তারিখ আবার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় লক্ষ্মী দাস। এরপর আর্থিক কারণে ১৮ দিনের সদ্য়োজাতকে এক ব্যবসায়ী দম্পতির কাছে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে মায়ের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ নিজের মুখে স্বীকার করেন সদ্য়োজাতের মা। 

এই খবর চাউর হতেই স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা ওই সদ্যোজাতকে আবার তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই দেড় লক্ষ টাকা জোরপূর্বক মায়ের কাছ থেকে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই নেতার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ফেরত দিলেও ত্রিশ হাজার টাকা এখনো ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি শুধু এই বাচ্চা বিক্রি আটকেছেন। কোনরকম টাকা তিনি নেননি। অন্যদিকে ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সন্তান কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

5 months ago
Jalpaiguri: নার্স-চিকিৎসকদের গাফিলতিতে মৃত্যু নবজাতকের! কাঠগড়ায় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল

সন্তান প্রসবের সময় দেখাই মিলল না নার্স, চিকিৎসকদের। হাসপাতালের জেনারেল বেডেই সদ্য পৃথিবীর আলো দেখেই প্রাণ হারালো নবজাতক। কাঠগড়ায় জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল। হাসপাতালের লেবার রুমে নয়, সন্তান প্রসব করেছিলেন হাসপাতালের সাধারণ বেডেই। অভিযোগ, নার্সদের দেখা তো পাওয়া যায়নি। প্রসবের পরেও অবহেলা, গাফিলতিতে প্রাণটাই চলে যায় সদ্য পৃথিবীর আলো দেখতে পাওয়া শিশুটির। প্রশ্ন উঠছে, মায়ের প্রসব যন্ত্রণার কান্না কি পৌঁছয়নি কর্মকর্তাদের কানে?

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন ভেমটিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরিনা পারভিন। প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসক তো দুরস্ত, নার্সদেরও দেখা মেলেনি। অগত্যা যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে হাসপাতালেই এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন নুরিনা। পরিবারের ছোটাছুটি চিৎকার- চেঁচামেচির প্রায় দীর্ঘ সময় পর ছুটে আসেন সকলে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। অভিযোগ, সেই সময় বাইরে দাঁড়িয়ে আলাপ আলোচনা, চা পানে ব্যস্ত ছিলেন কর্তব্যরত নার্সরা। হাসপাতালের বেডেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন প্রসূতি। বেডেই নোংরার মধ্যে পড়ে থাকে সদ্যোজাত। শুরু হয় প্রবল শ্বাসকষ্ট। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। সেখানেই মৃত্যু হয় নবজাতকের। ঘটনায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার বিএমওএইচের।

5 months ago


Child: শিশু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার এক মহিলা পাচারকারী

শিশু পাচারচক্রের অভিযোগে গ্রেফতার এক মহিলা। সোমবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর,  অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম শাহিনা পারভীন। ক্যানিং থানার তালদি এলাকার বাসিন্দা।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছর আগে কাশমিরা খাতুন সহ একটি তিন বছরের শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপর কিডন্যাপের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে ক্যানিং থানা পুলিস। এরপর গতকাল অর্থাৎ সোমবার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পায় যে ওই মহিলা আরও একটি মেয়েকে পাচার করার উদ্দেশ্যে ক্যানিংয়ে ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনের কাছাকাছি নিয়ে আসে। এরপর অভিযানে নেমে ওই মহিলাকে হাতেনাতে ধরে ক্যানিং থানার পুলিস। এবং উদ্ধার করা হয় পাচারের উদ্দেশ্য নিয়ে আসা ওই মেয়েটিকে।

মঙ্গলবার অভিযুক্ত পাচারকারী ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে আলিপুর আদালতে তোলে ক্যানিং থানা পুলিস। পাশাপাশি ১০ দিনের জন্য় পুলিসি হেফাজত চেয়ে আদালতে তোলা হয়েছে বলে এমনটাই জানিয়েছে পুলিস। আর এই শিশু পাচারচক্রের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন।

6 months ago
Social Media: শিশু যৌনতা নিয়ে কনটেন্ট অবিলম্বে সরাতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়াকে নোটিশ কেন্দ্রের

শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে শিশু যৌন নির্যাতন (Child Abuse) সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের কনটেন্ট সরিয়ে ফেলার জন্য পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক। সূত্রের খবর, শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স, ইউটিউব এবং টেলিগ্রামকে এ বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন 'ভারতীয় ইন্টারনেট অপরাধমূলক ও ক্ষতিকারক কনটেন্টের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আর তা কার্যকর করা হবে।'

কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে যে কোনও শিশু যৌন নির্যাতনের কনটেন্ট অবিলম্বে এবং স্থায়ীভাবে অপসারণ করতে হবে। সেগুলি যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে শিশুদের যৌন নির্যাতনের বিষয়গুলি আর ছড়াতে না পারে, তার জন্য কনটেন্ট মডারেশন অ্যালগরিদম এবং রিপোর্টিং মেকানিজমের মতো সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে।"

কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যদি সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এই নোটিশের পরও দ্রুত কোনও পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আইটি অ্যাক্টের ৭৯ ধারার অধীনে তাদের নিরাপদ আশ্রয় প্রত্যাহার করা হবে ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

7 months ago
Mahestala: ঢিলের ছুড়ে জানলার কাঁচ ভাঙায় শিশুর পা ভেঙে দিল গৃহকর্তা

লঘু পাপে হল গুরু দণ্ড। মহেশতলার ডাকঘর কাজিপাড়ায় ঢিল ছুড়ে ঘুড়ির সুতো পারছিল এলাকার বেশ কয়েকজন নাবালক। আচমকাই ঢিলের আঘাতে ভেঙে যায় একটি বাড়ির জানালার কাঁচ। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। ঢিল ছোড়ার অপরাধে চরম খেসারত দিতে হল নাবালককে। জানালার কাঁচ ভেঙে যাওয়ায় গৃহকর্তা বাড়িতে ডেকে আনেন এক নাবালককে। বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত বাড়ির মালিক। এরপর ৩ বার আছাড় দিয়ে পা ভেঙে দেন বছর দশেকের ওই শিশুর। সামান্য জানালার কাঁচ ভাঙার অপরাধে গৃহকর্তার এই পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আক্রন্ত শিশুর পরিবারের সদস্যরা।শিশুটিকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খরব, মারধরের জেরে ভেঙে গিয়েছে শিশুর ডান পা।ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় মহেশতলা থানায় গৃহকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত শিশুর পরিবার।

জানলার কাঁচ ভাঙার অপরাধে অকথ্য অত্যাচার ছোট্ট শিশুর উপর। শহরের উপকণ্ঠে এমন পাশবিক অত্যাচারের ঘটনায় আবারও প্রকট সামজের কদর্য রূপ।

7 months ago


Maa Sarada: মা সারদার ছোট্টবেলা

সৌমেন সুর: মা সারদা ছিলেন ধৈর্য, সরলতা ও দয়াভাবের প্রতিমূর্তি। তার জন্ম কাহিনী নিয়ে একটা মত প্রচলিত আছে। সারদা মা স্বয়ং এই প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন। ' আমার মা শিহরে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন। মা ছিলেন অত্যন্ত ভক্তিমতী, নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যপরায়ণ। ঠাকুর দেখে ফিরবার সময় হঠাৎ শৌচে যাওয়ার ইচ্ছে হওয়ায় একটা গাছের কাছে যখন যান, তখন শৌচ আর হলো না, মা দেখলেন একটা আলো তাঁর পেটের মধ্যে প্রবেশ করলো, আর দেখলেন, একটা ৫-৬ বছরের একটি মেয়ে গাছ থেকে নেমে আসে, পরনে লাল চেলি। মেয়েটি হাসিমুখে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বললো, 'আমি তোমার ঘরে আসছি মা।' এলে মেয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় আর মা অচৈতন্য হয়ে যায়।

১২৬০ বঙ্গাব্দের ৮ই পৌষ বৃহস্পতিবার রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ঘরে মঙ্গলশঙ্খ বেজে উঠলো। গ্রামবাসীর কাছে খবর পৌঁছালো, রামচন্দ্রের ঘরে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। সকলে শিশুকন্যার মঙ্গল কামনা করতে লাগলেন। এদিকে জন্মপত্রিকা অনুসারে নাম দেওয়া হল ঠাকুরমনি দেবী। লোকবিশ্রুত নাম সারদামনি। পরবর্তীতে নাম হয়ে যায় সারদা। ১২৭১ সালে এ দেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ হয়। দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষেরা রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলে দলে আসতো দুটো ভাতের আশায়। রামচন্দ্র ছিলেন দরিদ্র ব্রাহ্মণ।

মানুষেরা যাতে ফিরে না যায় তার জন্য মরাই থেকে ধান বার করে চাল করে সবাইকে খাইয়েছেন। মা সারদা ওই ছোট্ট বয়সে পরিবেশন করেছেন। কাউকে দুহাত দিয়ে বাতাস করেছেন। বাড়িতে দলে দলে মানুষ। কাউকে ভুখা পেটে ফিরে যেতে হয়নি। এমনই মানুষ ছিলেন মা সারদা। সেই বাল্য বয়সেই বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য কত দয়া! ছোটবেলায় যিনি দিন দুঃখী মানুষদের অন্ন জুগিয়েছেন, তিনি যে জগতের মা হয়ে উঠবেন সেটাই তো স্বাভাবিক।

সেই যুগে সমাজে বাল্যবিবাহ প্রথা ছিল। সারদা দেবীর মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ২২ বছর বয়সের শ্রীরামকৃষ্ণের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের আয়োজন ঈশ্বর আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছিলেন। সারদা মায়ের মামার বাড়ির কাছে একটা শিব মন্দিরকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান হয়। মেলা,  যাত্রা আরও কত কি। যাত্রাপালা শেষ হলে এক মহিলা সারদাকে জিজ্ঞাসা করেন, 'এই যে এত লোক এখানে রয়েছে এর মধ্যে কাকে তোর বর করতে পছন্দ?' সারদা দেবী আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল যুবক রামকৃষ্ণকে। এখন মা সারা পৃথিবীতে বিরল। আমরা পরম শ্রদ্ধা ভরে মায়ের চরণে শতকোটি প্রণাম জানিয়ে বলি, 'মা, তুমি জগতের মা, তুমি সতেরও মা, অসতেরও মা। তুমি আমাদের রক্ষা করো।'

7 months ago
Delhi: দেওয়াল চাপা পড়ে মৃতের পরিবারদের সঙ্গে নিয়ে, দিল্লিতে প্রতিবাদের পথে তৃণমূল

বাঁকুড়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং তার পরে, মৃতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের নিয়ে বিমানে করে দিল্লিও যান। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন তাঁরা।

প্রবল বৃষ্টিতে বাঁকুড়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তিনজন শিশুর। সেই ঘটনার পর রবিবার সকালেই মৃত শিশুদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান শান্তনু ও সায়ন্তিকা। সেখানে পুরো ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ি করেন তাঁরা। তারপরেই ওই পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে দিল্লি চলে যান।

শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বোড়ামারা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তিন শিশু পাঁচ বছর বয়সি রোহন সর্দার, চার বছরের নিশা সর্দার এবং তিন বছরের অঙ্কুশ সর্দার।

শুক্রবার বিকেল থেকেই খারাপ আবহাওয়া রাজ্য জুড়ে। বাঁকুড়াতেও বৃষ্টি হচ্ছিল দফায় দফায়। শনিবার সকালে বৃষ্টি কিছুটা কমতে গ্রামের এক কাঁচা বাড়ির পাশে খেলতে যায় ওই তিন শিশু। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

7 months ago