মাটির দেওয়ালে চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিন শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার বাকাদহের বোড়ামারা গ্রামে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে একটি বাড়ির পাশে বসে খেলা করছিল মৃত ওই তিন শিশু। বৃষ্টির কারণে মাটির দেওয়াল ভিজে যাওয়ায় আচমকা সেই বাড়ির মাটির দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে শিশুদের উপর। এরপরেই এলাকায় মানুষজন ও শিশুর পরিবারের লোকজন ওই তিন শিশুকে মাটির বাড়ির দেওয়াল সরিয়ে উদ্ধার করে। তারপর তড়িঘড়ি তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিন শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার জেরে শোকাহত হয়ে পড়েছে ওই তিন শিশুর পরিবারের লোকজন।
বৃষ্টির কারণে দেওয়াল জলে ভিজে যায়। আর তার জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক শিশুর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বিনা চিকিৎসায় ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই শিশুর আত্মীয় পরিজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ডেবরা থানার পুলিস। ঘটনার জেরে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ওই শিশুটির বাড়ির লোকজন।
জানা গিয়েছে, ডেবরা ব্লকের ৬ নম্বর জলিমান্দা অঞ্চলের ঘোষক্ষীরা এলাকার বাসিন্দা রতন মণ্ডলের সাড়ে তিন বছরের ছেলে বুধবার রাতে হঠাৎই অসুস্থ বোধ করে। এরপর তাঁকে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, হাসাপাতালে ছেলেকে ভর্তি করার পর চিকিৎসকেরা চিকিৎসাও করতে আসেনি। শুধুমাত্র চিকিৎসার অভাবে এই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
তারপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালের ভিতরে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত ওই শিশুর আত্মীয় পরিজন। হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এমনকি ডাক্তারের চেম্বারের দরজা ধাক্কা দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে মৃত শিশুটির পরিবারের লোকজন। শিশুটির পরিবারের বিক্ষোভের জেরে হাসপাতাল চত্বরেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সৌমেন সুর: জন্মের সময় পিতা কৃষ্ণধন ঘোষ শিশু অরবিন্দের নাম রাখেন 'অরবিন্দ অ্যাকরয়েড ঘোষ। পরে স্বয়ং অরবিন্দই নিজের নামের থেকে অ্যাকরয়েড শব্দটি বাদ দেন। পিতা কৃষ্ণধন 'অরবিন্দ' নাম রেখেছিলেন পদ্ম- এর নাম অনুসারে। তাঁর সুপ্ত বাসনা ছিল, তাঁর সন্তানেরা এক একজন দেশের শতদল হয়ে ফুটে উঠুক। আলোকে যেমন চেপে রাখা যায় না, তেমনি প্রতিভাকে জোর করে চেপে রাখা যায় না। সেটা অরবিন্দের মেধা দেখে বুঝতে পেরেছিলেন- ল্যাটিন ভাষার সু পণ্ডিত মিঃ ড্রয়েট। শিশু অরবিন্দ অসামান্য মেধায় খুব কম সময়ের মধ্যে শেক্সপিয়ার, শেলী, কিটস ও অন্যান্য ইউরোপীয় লেখকের লেখা পড়লেন এবং আত্মস্থ করলেন। এই অসাধারণ মেধা দেখে মিসেস ড্রয়েট চেয়েছিলেন খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত করতে। কিন্তু মিস্টার ড্রয়েট তাঁকে নিরস্ত করেন, যেহেতু শিশু অরবিন্দের ধর্ম ও দর্শনের প্রতি আগ্রহ ছিল না সে সময়।
শিশু অরবিন্দকে যখন লন্ডনে 'সেন্ট পলস স্কুলে' ভর্তি করে দেওয়া হয় তখন স্কুলের হেডমাস্টার অবাক হয়ে গেলেন শিশু অরবিন্দের ল্যাটিন ভাষায় ব্যুৎপত্তি দেখে। উনি এবার চেষ্টা করলেন জটিল গ্রীক ভাষা শেখাতে। কি আশ্চর্য, যে ভাষা শিখতে মানুষের দম ছুটে যায়, সে ভাষা অরবিন্দের কাছে সহজ সরল। জীবনের প্রথম ২১ বছরের মধ্যে শেষ ১৪ বছর কেটেছিল ইংল্যান্ডে। প্রথম সাত বছর ভারতে কাটলে ও তার মধ্যে দু'বছর কেটেছিল কনডেন্ট স্কুলে। ইংল্যান্ডের প্রতি অরবিন্দের কোনও আকর্ষণ জন্মায়নি। শুধুমাত্র সাহিত্য ছাড়া। বরঞ্চকিশোর অরবিন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফ্রান্স। সেখানকার মানুষের শিক্ষা ও আন্তরিকতার জন্য।
দেশে ফিরে আসার পর কিশোর অরবিন্দের পাশ্চাত্য রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে একটু সময় লাগে। এরপর আমরা পায়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন অরবিন্দকে। তাঁর মুখ থেকে শোনা যায় ভারতীয় সংস্কৃতির কথা। তবে ভারতীয় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিলেও ইউরোপীয় সংস্কৃতিকে অসম্মান করেননি। বরং উভয় সংস্কৃতির মিলনের ফলে মনের গভীরতা আরো উদার হয়। অরবিন্দের পিতা আদ্যোপান্ত সাহেব হলেও নিজেও দেশকে কোনদিন অস্বীকার করেননি। ধীরে ধীরে কিশোর অরবিন্দের মনে যে সব প্রেমের যে বীজ বপন হয় তা তাকে পরবর্তীতে একজন আদর্শ দেশপ্রেমিক আদর্শ বিপ্লবী রূপে সাহায্য করে। তথ্যঋণ তীর্থ মিত্র।
গুলি খেলাকে কেন্দ্র করে দুই শিশুর মধ্যে বচসা। সেই ঝামেলা গড়াল দুই পরিবারের মধ্যে। যার জেরে প্রাণ হারালো (Death) এক বৃদ্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে বারাসত (Barasat) থানার পুঁইপুকুর ক্ষুদিমার পল্লী এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই শিশুর মধ্যে গুলি খেলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া শুরু হয়। এরপর বাপ্পা সর্দার নামে একজন এসে একটি বাচ্চাকে মারধর করতে থাকে। সেইসময় বাচ্চাটির দাদু পানু মণ্ডল ঠেকাতে গেলে তাঁকেও বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশী এক মহিলা বলেন, বাপ্পা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আর বুকে, পেটে,মুখে, পিঠে কিল, ঘুষি মারতে থাকে বৃদ্ধকে। এমনকি সকলে আটকানোর চেষ্টা করলেও থামাতে পারেননি। পাড়ারই একজন ছেলে বাপ্পাকে চেপে ধরলে, বাপ্পা তাঁকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন পানু মণ্ডল। স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাস্থলে আসে বারাসত থানার পুলিস। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। তবে শেষ পাওয়া খবর, অভিযুক্ত বাপ্পাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
আবারও চিকিৎসার গাফিলতিতে (Medical negligence) শিশু মৃত্যুর (Child Death) অভিযোগ। অভিযোগ তুলে চাঁচলের (Chanchal) একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান শিশুর পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলো চাঁচল থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, চাঁচল এলাকার বাসিন্দা সোমা পারভিন গত বুধবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চাঁচলের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সিজার করার পর সেদিন রাতেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। জ্বরে আক্রান্ত হয় সদ্যোজাত ওই শিশু কন্যা। এরপরও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনওরকম চিকিৎসা করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। শুক্রবার রাতে ওই শিশু কন্যার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করে। শনিবার ভোররাতে মারা যায় ওই শিশু কন্যা।
এরপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোম ভাঙচুর চালান মৃত শিশু কন্যার পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা ন্যায় নার্সিংহোম চত্বরে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চাঁচল থানার পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, মাতৃদুগ্ধ পান করতে গিয়ে ওই শিশু কন্যার শ্বাসনালীতে আটকে গিয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যেহেতু সেখানে স্পেশাল কেয়ার ইউনিট নেই তাই তাকে সুপার স্পেশালিটিতে রেফার করা হয়। এদিকে সমগ্র ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, চাঁচলে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে নার্সিংহোম। কিন্তু সেগুলিতে থাকছে না স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পরিকাঠামো। প্রশ্ন উঠছে সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতর কতটা নজরদারী চালাচ্ছে।
পরনে উলের সোয়েটার, লম্বা লাল প্যান্ট আর মাথায় টুপি। ছোট্ট বাচ্চাটির চোখে মুখে সরলতার ছাপ। ছবিটি যে কোনও স্টুডিওতে তোলা হয়েছিল তা বোঝাই যাচ্ছে। স্মৃতির অ্যালবাম থেকে এই ছবিটিই তুলে এনেছেন অভিনেতা। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের জন্যও এই ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'তখনও সরল ছিলাম, আজও সরল।' যদিও অভিনেতা শেয়ার না করলে বোঝাই যেত না ছোটোবেলাটি আসলে কার।
যখন এই ছবিটি তোলা হয়েছিল বাচ্চাটি জানতই না, বড় হয়ে খুব নাম করবে সে। টলিউডে সে অর্থে কোনও গড ফাদারের প্রয়োজন পড়বে না। প্রথম ছবি থেকেই খুলে যাবে ভাগ্যের চাকা। বাচ্চাটি জানত না, তাকে আর ঘুরে তাকাতে হবে না। আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসী তাঁকে ভালো মনের মানুষ হিসেবে চিনবে। বাচ্চাটি আরও জানত না, বহু দর্শককে সে নিজের কমেডি টাইমিং দিয়ে হাসাবে। বাচ্চাটি এও জানত না, তাঁর কয়েকটি শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা হবে। বাচ্চাটি একেবারেই জানত না, একসময় 'অঙ্কুশ হাজরা' এক নাম পরিচিত হবে।
হ্যাঁ, সেদিনের ছোট্ট বাচ্চাটি আজকের অঙ্কুশ হাজরা। সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতাই নিজের ছোটবেলার এই ছবিটি শেয়ার করেছেন। তিনি যে ছোটবেলায় 'সরল' ছিলেন তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। নেইজেনদের বেশিরভাগই এই ছবির প্রশংসা করেছেন। অনেকে আবার যথারীতি ট্রোলও করেছেন।
তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে ফিডার ক্য়ানেলে ঝাঁপ দিলেন এক মহিলা। শনিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত চাঁদুর পল্টন ব্রিজে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস। খবর দেওয়া হয় ডুবুরি টিমকেও। যদিও এখনও পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া ওই শিশু ও মহিলার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এতিমধ্য়ে ওই শিশু ও মহিলা দুজনেরই খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বছর ত্রিরিশের এক মহিলা তাঁর সন্তানকে জাপটে ধরে ঝাঁপ দেন ব্রিজের ওপর থেকে। এই বিষয়টি নজরে আসা মাত্রই স্থানীয়রা খবর দেন থানায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এসে উদ্ধারকাজে নামে। পুলিস সূত্রে খবর, ওই মহিলার কোনও পরিচয়পত্র পর্যন্ত পাওয়া যায় নি, শুধু একটি ব্য়াঙ্কের পাসবই পাওয়া গিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। পাসবই লেখা নাম সাবিনা আশমি। তবে পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় নি যে, জলে তলিয়ে যাওয়া ওই মহিলারই পাসবই ওটা।
সাংসারিক অশান্তি নাকি অন্য় কোনও কারণে মৃত্য়ুর পথ বেছে নিলেন ওই মহিলাকে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস প্রশাসন। অন্য়দিকে, ব্রিজ থেকে শিশু সন্তানকে নিয়ে ফিডার ক্যানেলে ওই মহিলার ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও একবার সন্তান হারা (Death Child) হল কিকা। বুধবার মৃত্যু হয়েছে কিকার দ্বিতীয় সন্তানের। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) বেঙ্গল সাফারি পার্কের অন্দরমহলে। বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে খবর, বেঙ্গল সাফারি পার্কের একমাত্র সাদা বাঘ (Tiger) হল কিকা। গত ১২ জুলাই দুটো শাবকের জন্ম দিয়েছিল বেঙ্গল সাফারির সাদা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কিকা। কিন্তু জন্মের পরের দিনই মৃত্যু হয় কিকার একটি শাবকের। তারপর থেকে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। তবে চলতি মাসের বুধবার কিকা-র দ্বিতীয় শাবকেরও মৃত্যু হয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও অবশেষে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
সাফারি পার্ক সূত্রে খবর, অপুষ্টিজনিত কারণেই দ্বিতীয় শাবকের মৃত্যু হয়েছে। দু তিন ধরে শাবকটি কিকার দুধ পান করা বন্ধ করে দিয়েছিল। যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই শাবকটির। এই ঘটনায় রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, শাবকটি জন্মের পর থেকেই শারীরিকভাবেই দুর্বল ছিল। সামনের দিকের একটি পা ছিল না জন্ম থেকেই। শুরু হয়েছিল চিকিৎসাও। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
বেহালায় পথ দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর (Child Death) ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘটে গেল আরও এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। বেহাল রাস্তার বলি ৭ মাসের শিশু। বাইক থেকে দুই সন্তান ছিটকে পড়ে তোর্সা নদীতে।এক সন্তানকে কোনওভাবে বাঁচাতে পারলেও জলের তোড়ে তলিয়ে যায় ৭ মাসের শিশুটি। ফালাকাটা আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) নির্মীয়মান মহা সড়কের বালুরঘাটের চর তোর্সা ডাইভারসনের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফালাকাটা থানার পুলিস (Police) ও ফালাকাটা দমকলের একটি ইঞ্জিন। এই ঘটনায় তোর্সা নদীতে কয়েক ঘন্টা তল্লাশির পরই নদীর ভাটি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে শিশুটির দেহে উদ্ধার হয়। ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ফালাকাটা থেকে সাহেবপোতার বাড়িতে ফিরছিলেন উত্তম দাস নামের ওই ব্যক্তি। তবে আলিপুরদুয়ারের নির্মীয়মান মহা সড়কের বালুরঘাটের চর তোরসা ডাইভারসনের ওপর দিয়ে আসার সময় যান জটে পড়েন তাঁরা। সেই সময়ই এক গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। এই ঘটনার পরেই হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে তোর্সা নদীতে পড়ে যায় দুই সন্তান।
স্থানীয সূত্রে খবর, সন্তানদের বাঁচাতে অন্ধকারেই তোর্সা নদীতে ঝাঁপ দেন ওই দাম্পত্তি। কোনও রকমে এক সন্তানকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারলেও জলের স্রোতে ভেসে যায় তাঁদের ৭ মাসের দুধের সন্তান।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এই এলাকায় মহা সড়কের কাজ থমকে আছে। সাধারণ মানুষ নিত্যদিন এই ভোগান্তির শিকার হয়ে সংগ্রাম কমিটি গড়ে আন্দোলনে নেমেছেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না।
গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে (Drowning Death) গেলো এক শিশু (Child)। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের মহেশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মুস্কিনগর গঙ্গা ঘাটে। তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় ফরাক্কা থানার পুলিসকে। পুলিস স্থানীয় ডুবুরিদের গঙ্গায় নামিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে। যদিও এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া অবধি ওই শিশুর দেহটি উদ্ধার করা যায়নি। পুলিস সূত্রে খবর, তলিয়ে যাওয়া শিশুটির নাম রোহান শেখ (৯)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে চার বন্ধু মিলে গঙ্গায় স্নান করতে যায়। সেই সময় রোহান নামের ওই শিশুটি গঙ্গায় তলিয়ে যায়। তারপরেই বাকি তিনজন শিশু খবর দেয় এলাকাবাসীদের। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার কথা জানতে পেরে স্থানীয়রা নদীতে নেমে তল্লাশি চালান।
সাধারণত অন্তঃসত্ত্বা অবস্থা থেকে প্রসব হওয়া পর্যন্ত মহিলাদের মাতৃত্বকালীন (Maternity Leave) ছুটি দেওয়া হয়। এই সুবিধা বিশেষ করে সরকারি মহিলা কর্মীরাই পেয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে বেসরকারি সংস্থাতেও দেওয়া হয় ছুটি। এবারে 'চাইল্ড কেয়ার লিভে'র (Child Care Leave) মেয়াদ বাড়ানো হল। বুধবার লোকসভায় (LokSabha) ঘোষণা করা হয়েছে, সন্তানদের যত্ন নেওয়া বা চাইল্ড কেয়ার হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পদাধিকারী মহিলা কর্মীরা মোট ৭৩০ দিনের ছুটি পাবেন। এখানেই শেষ নয়, সিঙ্গল বাবারাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দর সিং এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, সরকারি মহিলা কর্মীরা সন্তানদের যত্ন নেওয়ার জন্য মোট ৭৩০ দিনের ছুটি পাবেন। তবে সর্বাধিক দু'সন্তানের ১৮ বছর হওয়া পর্যন্তই এই ছুটি নিতে পারবেন সরকারি মহিলা কর্মীরা। আবার সিঙ্গল পুরুষ অভিভাবকরাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানানো হয়েছে। তবে বিশেষভাবে সক্ষম সন্তানের জন্য কোনও বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই।
জিতেন্দর সিং বলেন, 'কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস নিয়ম ৪৩-সি ধারার অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের পদাধিকারী মহিলা ও সিঙ্গল পুরুষ অভিভাবকরা সর্বাধিক ৭৩০ দিনের চাইল্ড কেয়ার লিভ পাবেন।' আরও জানানো হয়েছে, এই ছুটি সন্তানের দেখভাল, অসুস্থতার জন্য দেওয়া হচ্ছে। পুরো চাকরি জীবনের যে কোনও সময় এই ছুটি মোট ৬ টি ধাপে নেওয়া যাবে।
পার্থ ভৌমিক (সেচমন্ত্রী-পশ্চিমবঙ্গ সরকার): সিএন পোর্টাল থেকে বললো যে রবিবার বন্ধুত্বের দিবস বা ফ্রেন্ডশিপ ডে। আমাদের যুগে এতশত বুঝতাম না যে এটারও আবার একটা দিন হতে পারে। একটা কথাই বাস্তব, ছোটবেলা থেকে পড়াশুনা-খেলাধুলা সবেতেই বন্ধুত্ব থাকতো যা কিনা আজকেও আছে। আমি হয়তো আজ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী হতে পারি, হয়তো সরকারি সিকিউরিটি নিয়ে অফিস যেতে হতে পারে, কিন্তু এখনও অফিসে যাওয়ার পথে কাউকে দেখলে থেমে যাই বা হাত নাড়িয়ে ডেকেনি।
এ অভ্যাস আমার আর পাঁচ জনের মতো। মানে বন্ধুত্বের কথা বলি। মনে পড়ে যাচ্ছে স্কুল জীবনের কথা। ক্লাস করার থেকে টিফিনে দুস্টুমিই বেশি মনে পড়ে। খেলাটা আমার নেশা ছিল স্কুলে তো ফুটবল খেলতামই। কিন্তু ছুটির পর পাড়ার মাঠে খেলাটাই বেশি পছন্দের ছিল। লাল হলুদ জার্সির আকর্ষণ তো ছিলই। লাইন দিয়ে বিস্তর খেলা দেখেছি। দলবল নিয়েই যত কাণ্ড আমার ছিল। এমন কোনও দিন থাকতো না যেদিনটা বন্ধুহীন হয়ে থাকতাম।একটু বড় হওয়ার পর তো আমাদের পুজোর মধ্যে চলে এলাম। তখন পড়ার বাইরে খেলা আড্ডা এবং পুজোতে কাজ করাটাই ছিল আসল। অষ্টমীতে দল বেঁধে সবার বাড়িতে খিচুড়ি বিতরণ এবং কালী পুজোতে তো দায়িত্ব আরও বেড়ে যেত। আমাদের নৈহাটিতে কালী পুজো বিখ্যাত। ফলে অন্য ক্লাবের পুজোর সঙ্গে টক্কর তো থাকতো।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বন্ধুদের সঙ্গে একটু ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া শুরু করেছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে গন্ধ দূর করার একটা আর্ট ছিল। ধরা পরে মার খাবার কথাও ভুলিনি। ইস এতো বছর বাদে ওই দিনের কথা লিখতে বসে কত কথা মনে পরে চোখে জল এসে যাচ্ছে। আমার মনে হয়ে ছোটবেলার বন্ধুই সেরা বন্ধু। যদিও কলেজে ঢুকে নিজেকে অনেকটাই স্বাধীন মনে হয়েছিল। এরপর তো কলেজের আড্ডা, রাজনীতি, অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা ইত্যাদির সঙ্গে ভীষণ ভাবে যেটা ভালো লাগলো তা হচ্ছে নাটক। আজকেও শত কাজের মধ্যে নাটকটা সুযোগ পেলে করি। এখানকার বন্ধুরা আবার একটু গম্ভীর মেজাজের। আমার গিন্নি দারুন সংগীত শিল্পী, কাজেই ওর সঙ্গে আগে অনেকটা সময় কাটতো সংস্কৃতি মানসে। ও তো আমার প্রিয় বন্ধুই বটে, এ ছাড়া আমার সন্তানরাও আমার বন্ধু।
রাজনীতি করি, যাদের সঙ্গে করি তাঁরা আমার বন্ধু। এখন তো ওদের সঙ্গেই কাজ। এ ছাড়া দপ্তরে তো কাজের ফাঁকে যোগাযোগ রাখি বন্ধুদের সাথে। মনে হয়ে ভগবানকে বলি, আমি যেন সকলের পার্থ হয়েই থাকতে পারি এবং আপনারা আমার বুদ্ধিদাতা কৃষ্ণ। (অনুলিখন- প্রসূন গুপ্ত)
বেহালার দুর্ঘটনায় পড়ুয়া মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনায় এবার সক্রিয় নবান্ন। সূত্রের খবর, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনায় লালাবাজারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।
শুক্রবার সকালে বেহালা-চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিকের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের। তারপর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিসের সিপি বিনীত গোয়েল। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ট্রাফিক পুলিস ঘটনাস্থলে ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেটাও দেখা হবে। পরবর্তীতে আর এরকম হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
উল্লেখ্য, স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা পার করার সময় লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বড়িষা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের (৭)। বেহালার নবপল্লীতে বাড়ি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তাঁর বাবা সরোজ কুমার সরকার। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁরও মৃত্যু হয়।
এদিকে, শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দফায় দফায় উত্তাল হয় বেহালা চৌরাস্তা। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বড়িশা হাই স্কুলের সামনে পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের রীতিমত খণ্ডযুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে স্কুল গেটের সামনে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিস। স্কুল ক্যাম্পাস ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে একাধিক খুদে। আহত হন পুলিশ এবং আমজনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
ভোরে বাবার হাত ধরে স্কুলে বেরিয়েছিলেন ক্ষুদে শিশুটি। হঠাৎ মাটি বোঝাই একটি লরি প্রচণ্ড গতিতে এসে ধাক্কা মারে বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া এবং তার বাবাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির। তাঁর বাবাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করেন। এবার এ ঘটনার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল ঘটনাস্থল বেহালা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাস্তা অবরোধ, এরপর পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি, লাঠিচার্জ। অবশেষে ঘাতক লরিটি ও লরিচালক কে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।
সূত্রের খবর, ভোর বেলায় এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পাঁচ বছরের খুদে পড়ুয়ার, এরপরেই মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভের জেরেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিসের ভ্যানে। বেশ কয়েকটি সরকারি বাসও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। স্থানীয়দের বিক্ষোভে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার রোড। পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতি ও প্রাথমিক পর্যায়ে ঘুষ নিয়ে অভিযুক্ত লরি চালককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। তবে সকাল ১০টা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাবলাতলা থেকে ওই ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতার করে হাওড়া ট্র্যাফিক পুলিস। পরে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের হাতে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর বেহালার পরিস্থিতি সামাল দিতে কনভার্ট বাহিনী ্যাব পাশাপাশি বিশাল পুলিশ বাহিনীকে মোতায়ন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলতে গেলে এক পশলা বচসা, এরপরই বিক্ষোভ তুমুল আকার ধারণ করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়তে হয় পুলিসকে। পুলিস এবং আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন রাস্তা। রাস্তায় আটকে প্রচুর যানবাহন। চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল। শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে লরি চালকটিকেও। এই ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত সাজার ব্যবস্থা করা হবে।
কলকাতায় বড় মাপের শিশু পাচার চক্রের হদিশ পেতেই তৎপর হয়ে উঠেছে কলকাতা পুলিস। ইতিমধ্যেই, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে বেনিয়াপুকুর এলাকার এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মীকে। তিনি এই শিশুপাচার চক্রে 'মিডলম্যান'-এর ভূমিকা পালন করতেন বলে অনুমান তদন্তকারীদের। কলকাতার আনন্দপুর থেকে যে শিশুটি চুরি গিয়েছিল, সেই ঘটনার তদন্তে নামার পরেই ওই বড় মাপের পাচারচক্রের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, শুধু এই শহরেই নয়, ওই পাচারচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্যের জেলাতেও।
তদন্তকারীর অফিসারদের কথায়, এই চক্রের মূল মাথা দুজন। রূপা দাস ও স্বপ্না সর্দার। অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন পূর্ণিমা কুণ্ডু এবং লাল্টি দে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২১ দিনের কন্যাসন্তানকে কেনার অভিযোগে ধৃত গৃহবধূ কল্যাণী গুহকে বুধবার বেহালার বকুলতলায় একটি আইভিএফ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। কল্যাণীর সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় লাল্টি দে-কে। বেহালার আইভিএফ সেন্টারে তল্লাশি চালানোর সময় বেনিয়াপুকুরের ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের খোঁজ পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর বেনিয়াপুকুর গিয়ে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে এক কর্মীকে আটক করা হয়।