বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে তিন ডিগ্রির বেশি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি একই পরিস্থিতি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে বিকেল কিংবা সন্ধের দিকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এটাই মার্চ-এপ্রিল মাসের স্বাভাবিক নিয়ম বলেও জানিয়েছেন আবহবিদরা।
এই সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৩৮ ডিগ্রি। সপ্তাহের শেষের দিকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার উত্তরবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এছাড়া উপরের বাকি পাঁচ জেলার কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলাা হয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া নিচের তিন জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ও শনিবারও একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। পাশাপাশি এদিন দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুক্রবারেও একই পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ এবং ৫৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি।
প্রসূন গুপ্ত : সেই কবেই ২০টি আসন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এ রাজ্যের জন্য। ইতিমধ্যে আসানসোল কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ এখনও ২৩ আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি। ভোট একেবারে শিয়রে, স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কবে ঠিক হবে?
ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রধান বিরোধী রাজ্য প্রশাসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং আরও এক বিরোধী বামেরা কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে, দেওয়াল লিখে প্রার্থীর প্রচার শুরু করে দিয়েছে। পিছিয়ে নেই বামেরা ব্যতিক্রম বিজেপি এবং কংগ্রেস। যদিও বাংলায় কংগ্রেস দু তিনটি কেন্দ্র ছাড়া কোথাও শক্তিশালী নয়। তাদের নিয়ে বিজেপির চিন্তাও নেই কিন্তু প্রার্থী তো দিতে হবে।
সূত্রের খবর বেশ কয়েকটি আসন নিয়ে জটিলতা দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। শোনা যাচ্ছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রে দিলীপ ঘোষ কে টিকিট দেওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এখানে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষকে প্রার্থী করতে চাইছে কেন্দ্রীয় কমিটি। দিলীপবাবু কে দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্রে দাঁড়াতে বলা হয়েছে যা ঘোরতর আপত্তি দিলীপের। সংকট রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, আসানসোল, দমদম, বারাসত সহ ১০/১২ টি আসনে প্রার্থী ঠিক করাই যাচ্ছে না। অবিশ্যি উত্তর কলকাতা পাচ্ছেন তাপস রায়, ব্যারাকপুর পেতে চলেছেন অর্জুন সিং।
এই রাজ্য ছাড়াও অনন্য রাজ্যও বেশ সমস্যা প্রার্থী নিয়ে। শনিবার বিকেলে অথবা গভীর রাতে অমিত শাহ্ এবং নাড্ডা তৃতীয় বারের জন্য বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও সুকান্ত মজুমদারের সাথে। আশাকরা যাচ্ছে রবিবারের মধ্যে ঠিক হতে পারে। রাজ্যে মূল সমস্যা গোষ্ঠীদন্দ নিয়ে। প্রার্থী ঠিক হলে দ্বিতীয় সংকটও মেটাতে হবে শাহ্কেই।
২০২২ সালের টেটে ১৫ প্রশ্ন ভুলের মামলায় পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। আদালতের নির্দেশ মত, পরবর্তী শুনানিতে পর্ষদকে দিতে হবে রিপোর্ট। আগামী ২ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।
চাকুরী প্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ১৫ প্রশ্ন ভুল মামলার প্রশ্নগুলো বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে করা হয়ছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।তাই বিশেষজ্ঞদের মতামত পর্ষদকে দিতে হবে। তা না হলে পর্ষদের যুক্তি গ্রাহ্য হবে না।
পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ্যে আনতে হলে বিশেষজ্ঞদের নাম প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ।
বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা জানান, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের নাম প্রকাশ না করেও মতামত দেওয়া যায়। তবে পর্ষদের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। টেটে প্রশ্নপত্র ভুলের অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে পরীক্ষার্থীরা। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে আবেদন করেন ৫০০ পরীক্ষার্থী। ২০২২ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ১৫ টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে, অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের। যার ফলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। প্রশ্ন ভুল নিয়ে পর্ষদকে স্থায়ী সমাধান বের করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, যদি পর্যদ কোনও সমাধান সূত্র বের করাতে না পারে তাহলে হাইকোর্টই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। অবশ্য এই প্রথম নয় আর আগেও হাইকোর্টে টেটের প্রশ্ন ভুলের মামলায় নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করেছিল পর্ষদ। এখন দেখার বিশেষজ্ঞদের মতামত আদালতে দেওয়ার ক্ষেত্রে পর্ষদ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। তবে বেলা বাড়তেই মিলেছে রোদের দেখা। আজ, বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এমনটাই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও আগামী কয়েকদিন রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এক ঝলকে দেখে নিন, কবে কোথায় বৃষ্টি হবে?
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকতে চলেছে। আপাতত কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের আগামী কয়েকদিন দিন ও রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময় বাকি জেলাগুলি যেমন পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। শুক্রবার নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ওই দিন বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকার সম্ভাবনা। শনিবার পশ্চিমের জেলাগুলি অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। রবিবার সবকটি জেলাতেই হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। বুধবার যা ছিল ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ এবং ৩৯ শতাংশ।
সকাল থেকে রোদ ঝলমলে আকাশ। নেই বৃষ্টির দেখা। তবে কয়েকটি জেলায় অবশ্য মেঘলা আবহাওয়া। আজ, মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বুধবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ও বুধবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়াই শুকনো থাকতে চলেছে। কোথাও বৃষ্টির তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই।
পাশাপাশি মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। বুধবার সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও আপাতত রাতের তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন হবে না।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ও ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মঙ্গলবার সকালের কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকতের থেকে এক ডিগ্রি নিচে। সোমবার যা ছিল ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮১ শতাংশ এবং ৩৮ শতাংশ।
শুক্রবার সকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকা আকাশ। কলকাতার পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই কার্যত একই ছবি। বৃহস্পতিবার দুই বঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কোথাও হালকা আবার কোথাও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। এদিনও বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দার্জিলিং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে। তবে পরের তিন দিনে তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি ও নদিয়া জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শনিবার সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে এমনটাই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। আপাতত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা পরিবর্তনের তেমন কোনও পূর্বাভাস নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪ ও ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
বদলে যেতে পারে আবহাওয়া। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। তারপর মেঘলা আকাশের পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। পাশাপাশি জানুয়ারির একেবারে শেষ লগ্নে এসে তাপমাত্রা বৃদ্ধিরও পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এছাড়াও পরপর তিন দিন বাংলার বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। মঙ্গলবার দার্জিলিং-এর কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। আগামী তিন দিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া বুধবার ও বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার কোথাও না কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও খবর, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে সবকটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও বৃদ্ধি না হলেও, তারপর থেকে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। সোমবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩ ও ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
রবিবার সকালে আরও কমল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকালের দিকে কোনও কোনও জায়গায় কুয়াশা দেখা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বেলা বাড়তেই আকাশ পরিষ্কার হবে। সোমবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সোমবার তিন জেলা, মঙ্গলবার পাঁচ জেলা এবং বুধবার নয় জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের উপরে ঘূর্ণাবর্ত এবং বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয়ের জন্য এই পরিস্থিতি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং-এর কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে দার্জিলিং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলায় ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার সেরকম বড় কোনও পরিবর্তন না হলেও পরবর্তী দিন তিনেকে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার নাগাদ কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার এবং মঙ্গলবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
মৌসম ভবন সূত্রে আরও খবর, রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সবকটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের তিন দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। দক্ষিণবঙ্গে বুধবার নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতার কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩ ও ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি নিচে। শনিবার যা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৩৮ শতাংশ।
রাজ্যে বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। সোমবার প্রকাশ্যে এল ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা। বর্তমানে রাজ্যের মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭,৫৮,৩৭,৭৭৮ জন। যার মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ১১,৩৩,৯৩৬ জন। এছাড়াও ১৮ থেকে ১৯ বছরের ভোটারের সংখ্যা হলো ১৫,৩১,৯২৩ জন। নতুন ভোটারের মধ্যে ৫,৬৩,৫২১ জন পুরুষ এবং ৫,৭০,৩৪১ জন মহিলা ও ৭৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। পাশাপাশি এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩,৮৫,৩০,৯৮১ জনন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৭৩,০৪,৯৬০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ১৮৩৭ জন।
এবারের ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের সংখ্যার উপর প্রথম থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাই মৃত ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৪৭,৭৫৭ জন। সবমিলিয়ে ২০২৪ সালে ৪,৫১,৭০৬ জন ভোটার বাড়লো এই রাজ্যে। তবে লক্ষণীয় বিষয় একটাই, এই প্রথমবার রাজ্যে পুরুষ ভোটারের তুলনায় বাড়লো মহিলা ভোটারের সংখ্যা। প্রতিবছর ভোটার তালিকা প্রকাশ পায় ৫ই জানুয়ারি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়ার পর নিখুঁতভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আরও সময় দরকার। সে কারণেই ২০২৪ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশ পেল ২২শে জানুয়ারি। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এই ভোটার তালিকা একশো শতাংশই নির্ভুল।
সন্দেশখালি ও বনগাঁর ঘটনা নিয়ে এবারে রাজ্য পুলিসকে বিঁধে বিবৃতি জারি করল ইডি। সন্দেশখালি এবং বনগাঁ- এই দুই জায়গাতেই রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে এসে চরম হেনস্থার শিকার হতে হয় ইডি আধিকারিকদের। পুলিস সুপারকে বিষয়টি জানানোর পরেও কেমন করে অফিসারদের উপর হামলা হল, তা নিয়েই এবারে রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে ইডি। ইডির মতে, দুই ক্ষেত্রেই পুলিসের ভূমিকা অতি নিষ্ক্রিয়। তাই এবারে পুলিসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে ইডি।
দুর্নীতির তদন্ত করতে এসে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে তার অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছে ইডি আধিকারিকদের। গুরুতর আহত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। ভেঙেছে ইডির গাড়ির কাঁচ। অপরদিকে বনগাঁর ঘটনায় কাউকে আঘাত না পেতে হলেও সেক্ষেত্রেও গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়েছে। আর এই দুই তুমুল শোরগোল ফেলে দেওয়া ঘটনার পর এবার পুলিসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি। ইডির প্রেস বিবৃতিতে দেখা গেল দুটি ঘটনা নিয়েই পুলিসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইডি।
সন্দেশখালির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিবৃতি, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগ থাকলেও, লঘু ধারায় মামলা রুজু করেছে রাজ্য পুলিস। খুনের চেষ্টার ধারা দেওয়া হয়নি। অধিকাংশই জমিনযোগ্য ধারায় মামলা। এখানেই ইডির প্রশ্ন, ঘটনা যেখানে এত গুরুতর, সেখানে জামিনযোগ্য ধারায় কীভাবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিস? ঘটনায় পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা প্রকট। তবে এই সন্দেশখালি নিয়েই মুখ খুললেন বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গঙ্গাসাগর সফররত রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। তিনি বলেন, "যারা যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠিনতম পদক্ষেপ করা হবে। আর যারা আইন ভেঙেছেন তাদের বিরুদ্ধেও।"
অপরদিকে বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যর গ্রেফতারির সময় যে ঘটনা ঘটে, তার পরে পুলিসের বিরুদ্ধে আরও জোরালো অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছে ইডি। ইডির প্রশ্ন, যেখানে শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে তদন্তে আসার কথা ইমেইলের মাধ্যমে ইডির তরফে সকাল ৮টা ৪৫ নাগাদ পাঠানো হয়েছিল, পরে বিকেল ৪টে নাগাদ বনগাঁর এসপিকেও জানানো হয়েছিল। সেখানে শঙ্কর আঢ্যর বাড়ির সামনে ওই ভিড়, এবং সেই ক্ষুব্ধ জনতার ইডি আধিকারিক সহ সিআরপিএফ জওয়ানদের আক্রমণ, অভব্য ব্যবহার- কীভাবে মুখ বুজে সহ্য করল পুলিস? কেনই বা করল? ইডির অভিযোগ, ওই ভিড়কে একবারের জন্যেও আটকায়নি পুলিস। নেতার অনুগামীরা ইডি অধিকারিক, সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর ইঁট ছুড়েছে, ইডির গাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ করেছে, তবুও বাধা দিতে ব্যর্থ পুলিস। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিসের বিরুদ্ধে মামলা করল ইডি।
সবমিলিয়ে পুলিসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যের সঙ্গে মামলা দায়ের করেছে ইডি। আর সবটাই তাঁরা জানাল তাঁদের প্রেস রিলিজের মাধ্যমে। এরপর পুলিসের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেটাই দেখার।
রাজ্যের সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির প্রথমে 'রাজ্য সঙ্গীত' গাইতে হবে। এমনটা নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু...', এই গানটিকে 'রাজ্য সঙ্গীত' করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব পাশ হয় বিধানসভাতে। এই মর্মেই শনিবার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফে। শুধু তাই নয়, নির্দেশিকায় প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ 'শ্রদ্ধা এবং মর্যাদা'-র সঙ্গে 'রাজ্য দিবস' পালনের কথাও বলা হয়েছে।
রাজ্য সরকারের প্রতিটি অনুষ্ঠান, কর্মসূচির শুরুতে ১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের 'রাজ্য সঙ্গীত' গাইতে হবে। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি 'রাজ্য সঙ্গীত' গাওয়ার সময়ও উঠে দাঁড়াতে হবে। অর্থাৎ 'জাতীয় সঙ্গীত'কে যেভাবে দেশবাসী শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়, সেভাবেই রাজ্যবাসীকে 'রাজ্য সঙ্গীত'-কেও করতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই নির্দেশই বাস্তবায়িত করল নবান্ন।
নবান্নের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যের গরিমা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গের 'রাজ্য দিবস' ও 'রাজ্য সঙ্গীত'-এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়েছে। প্রতিবছর সম্মানের সঙ্গে প্রতিটি রাজ্যবাসীকে 'রাজ্য দিবস' (যাকে 'বাংলা দিবস' বলা হবে) পালন করতে হবে।
ফের প্রকাশ্যে পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা। ফের প্রকাশ্যে পুলিসের ইচ্ছামত কাজ। ফের প্রকাশ্যে পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ঘটনা বেহালা থানা কেন্দ্র করে। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেহালা বিএল সাহা রোড এবং টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সংযোগস্থলে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় অজয় সিং রাজপুত নাম এক যুবক। তবে যে বাইক এসে ধাক্কা মারে, সেই চালক পলাতক। অভিযোগ, পুলিস ছেড়ে দেয় ওই চালককে। বেহালা থানার সামনে বিশাল বিক্ষোভে সামিল মৃতের পরিবার পরিজন।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বেহালা বিএল সাহা রোড এবং টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের সংযোগস্থল দিয়ে অজয় সিং রাজপুত নামে এক যুবক বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় উল্টোদিক থেকে দ্রুত গতিতে আরেক বাইক এসে অজয়ের বাইককে ধাক্কা মারে। অজয়কে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে মঙ্গলবার অবশেষে তাঁর মৃত্যু হয়। আর এরপরেই বেহালা থানার উপর চড়াও হয় অজয়ের পরিবার পরিজন।
প্রসঙ্গত, এই দুর্ঘটনা ঘটার পর বেহালা থানার পুলিস অভিযুক্তকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়, এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। আর এই নিয়েই বেহালা থানার পুলিসের উপর ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার পরিজন। যে অভিযুক্ত, সে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত, ঘটনার এক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কীভাবে অভিযুক্তকে ছেড়ে দিল পুলিস, প্রশ্ন তুলছেন মৃতের পরিবার।
তবে কি এটাই এখন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন? পুলিস মন্ত্রী জানেন? তিনি কি অবগত নন পুলিসের এমন অপ্রত্যাশিত ভূমিকা নিয়ে? নাকি সবটা জেনেও মানুষকে বিচার না পাওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন খোদ পুলিসমন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন। এই দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবার, বন্ধুরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালে পুলিসের বক্তব্য ১০ মিনিটের মধ্যে তাঁরা অভিযুক্তকে খুঁজে আনবেন। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই দুজন অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসাও হয়েছে। তাহলে কি পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ না দেখালে এ রাজ্যে ন্যায়বিচার হবে না? প্রশ্ন উঠলেও উত্তর অধরা।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। রাজ্যে বাড়ল আরও তিনটি ছুটি। রাজ্যে এনআই অ্যাক্টের আওতায় বাড়ল আরও ৩টি ছুটি। ব্যাঙ্ক এবং বীমা ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্যই এই ছুটি কার্যকর করা হয়েছে। ২০২৪ এর ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই নতুন নিয়ম।
মঙ্গলবার রাজ্যে আরও ৩টি ছুটির ঘোষণা করা হল। এবার থেকে ব্যাঙ্ক এবং বীমা ক্ষেত্রে বাড়ানো হলো এই ৩টি ছুটি। এ বিষয়ে নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৪ এর ১ জানুয়ারি থেকেই এই ছুটি কার্যকর হবে। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস আইন অর্থাৎ এনআই অ্যাক্টের আওতায় এই ছুটি ঘোষণা করেছে নবান্ন।
রাজ্য সরকার কয়েকটি বিশেষ দিন এবং উৎসবে আলাদা করে ছুটির কথা ঘোষণা করলেও সেগুলি এনআই অ্যাক্টের আওতায় ছিল না। ফলে ওই ছুটির সুবিধা পেতেন না ব্যাংক এবং বীমা ক্ষেত্রের কর্মীরা। কিন্তু এবার ৩ টি ছুটি এনআই অ্যাক্টের আওতায় আসার ফলে ব্যাঙ্ক এবং বীমা ক্ষেত্রের কর্মীরা ওই ছুটি পাবেন। তিনটি ছুটির মধ্যে রয়েছে ১ জানুয়ারি, জন্মাষ্টমী এবং ছটপুজো। প্রসঙ্গত, এর আগে এনআই অ্যাক্টের আওতায় ২১ দিন ছুটি পাওয়া যেত। এবার সেই ছুটির সংখ্যা বেড়ে হল ২৪। এই মর্মেই মঙ্গলবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এবারে রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে (Ration Scam) রাজ্য পুলিসের ডিজিকে চিঠি দিল ইডি, খবর সূত্রের। 'রেশন দুর্নীতি মামলায় সঠিকভাবে তদন্ত করুক রাজ্য পুলিস। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রেশন দুর্নীতি নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। রেশন দুর্নীতি মামলায় বিস্তারিত তদন্ত প্রয়োজন।' এ সমস্ত বিষয় জানিয়েই রাজ্য পুলিসের ডিজিকে চিঠি ইডির।
রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় সর্বপ্রথম রাজ্য পুলিসের তরফ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে এই চিঠিতে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে রাজ্য পুলিস রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় যাতে আরও সক্রিয় হয় সেই অনুরোধও করা হয়েছে। জেলায় জেলায় রেশন বণ্টন দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই সমস্ত অভিযোগগুলিকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। তাই চিঠিতে ইডির আবেদন, পুলিস ভালো করে তদন্ত করুক। রেশন দুর্নীতিতে পুলিসেরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
এসএসকেএম-এ (SSKM) নেই বেড, ফলে মাথায় গুরুতর চোট পাওয়া এক দেড় বছরের শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সেই দেড় বছরের শিশু যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছে, সেসময় তাকে এসএসকেএম-এ নিয়ে এলে বলা হয়, তাকে ভর্তি করানো যাবে না। এর পরই পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েন ও হাসপাতালের সামনেই অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে এই পরিস্থিতি সিএন-এর পর্দায় সম্প্রচার করা হলে অবশেষে চিকিৎসার জন্য খুদেকে ভর্তি নেওয়া হয় ও ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শিশু ও তার পরিবার বিহারের নওয়াদা জেলার বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে মামাবাড়িতে আসানসোল এসেছিল। কিন্তু খেলতে গিয়ে ৩ ডিসেম্বর বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পায় এই দেড় বছরের খুদে। তাকে প্রথমে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে পুরোপুরি চিকিৎসা না হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু খুদের পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক যে তাকে পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু এসএসকেএম-এ পৌঁছতেই জানানো হয়, হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করানোর জন্য বেড নেই। ফলে হাসপাতালেই বাইরে অ্যাম্বুলেন্সেই পড়ে ছিল শিশুটি। এমনকি জানা গিয়েছে, গাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনও ছিল না। ফলে ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছিল তার পরিস্থিতি। এসব দেখেও টনক নড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এর পরই সিএন-এর সাংবাদিক হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতেই নড়েচড়ে বসেন তাঁরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর অবশেষে শিশুটিকে ভর্তি করেন তাঁরা।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে এসএসকেএম হাসাপাতালেই ভর্তি। সোমবার রাতে মদন মিত্র হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকেও এখানেই ভর্তি করা হয়। এছাড়াও দেখা গিয়েছে, রাজ্যের কোনও মন্ত্রী অসুস্থ হতেই প্রথমে তাঁকে এসএসকেএম-এই নিয়ে আসা হয়। ফলে তাঁরা যখন-তখন বেড পেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের সময় বেড নেই! এই প্রশ্নই উঠছে সাধারণ মানুষের মনে।