
বিদেশযাত্রার শুরুতেই বিপত্তি। পিছিয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিমান। সূত্রের খবর, অন্তত দেড় ঘণ্টা দেরিতে সফর শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দলের।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দুবাইগামী বিশেষ বিমান ছাড়ার কথা ছিল। অনিবার্য কারণ বসত ওই বিমানটি পিছিয়ে যায়। ফলে ওই বিমানটি সকাল ৮ টার জায়গায় সাড়ে ১০টা নাগাদ ছেড়েছে। কী কারণে দেরিতে ছেড়েছে বিমান, তা অবশ্য জানা যায়নি।
৫ বছর পর বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে প্রতিনিধিদল। দমদম থেকে প্রথমে দুবাই-এর বিমান, সেখানে ১৮ ঘণ্টার বিশ্রাম। সেখান থেকে আবার স্পেনের বিমান। আপাতত ১২ দিন দেশের বাইরে থাকবেন মমতা। রোজই জরুরি বৈঠক থাকবে বলে সূত্রের খবর।
ডেঙ্গির (Dengue) গতবছরের ভয়াবহতা ফিরছে এবছরেও। বর্ষার শুরু থেকেই রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। রাজ্যে এ পর্যন্ত ডেঙ্গির বলি (Dengue Death) হয়েছে ২৩ জন। সদ্য প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুসারে, ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবের নিরিখে ১০ জেলার মধ্যে প্রথম স্থানেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas)। দ্বিতীয় স্থানে নদিয়া আর পঞ্চমে কলকাতা (Kolkata)। ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে দক্ষিণ দমদম (South DumDum) পুরসভার একাধিক জায়গার ডেঙ্গির প্রকোপ। এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সংক্রমণের সংখ্য বেশি দক্ষিণ কলকাতাতেও। পুরসভা সূত্রে খবর, ৯, ১০, ১১, ১২,১৩ ও ১৪ ছয়টি বরোতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে।
তবে তাতেও কী সর্তক প্রশাসন? শহরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে প্রশাসনের গাফিলতির ছবি। গত বছর দক্ষিণ কলকাতার আনন্দপুরের ১০৮ নং ওয়ার্ডে দেখা মিলেছিল ডেঙ্গির প্রার্দুভাব। তবে তাতেও পাল্টায়নি এলাকার ছবি। এবছরও এলাকার বিভিন্ন জায়গা ডেঙ্গির মশার প্রজননের মোক্ষম স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও জমে রয়েছে ময়লার স্তুপ, আবার কোথাও রাস্তার ওপর জমা জলে বাসা বেঁধেছে মশার লার্ভা। ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় এই ছবি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় নেই পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ। যত্রতত্র জমে রয়েছে আবর্জনা, জল। বেহাল এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা। সামন্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন এলাকা। পুরসভার তরফ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ স্থানীয়দের।
রাজ্যপালের অনুমোদনের কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ এটা আইন নয়, প্রস্তাব। পশ্চিমবঙ্গ দিবস বিতর্কে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জুন নয়, অক্টোবরও নয়, পয়লা বৈশাখই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে অনড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ১ বৈশাখই হবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস। যদিও বিজেপির বক্তব্য, প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ করানো গেলেও রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়া যাবে না। তাই তাঁদের দাবি, রাজ্য দিবসের প্রস্তাব পাশ হলেও তা কার্যকর করা যাবে না। তারই জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এটি প্রস্তাব মাত্র। কোনও আইন নয়। তাই এতে রাজভবনের অনুমোদনের কোনও প্রয়োজনই নেই। তবু, সৌজন্যের খাতিরে প্রস্তাবটি রাজভবনে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন মমতা।
বৃহস্পতিবার তুমুল হইহট্টগোল দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। প্রথমে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি এবং গেরুয়া মানচিত্র আঁকা জামা পরে বিধানসভায় প্রবেশ করেন বিজেপি বিধায়করা। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন স্পিকার।
এরপর বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ নিজের বক্তব্য রাখার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেন ২০ জুন ছাড়া বাংলা দিবস পালন করা অসম্ভব। অন্যদিকে ১৬ অক্টোবর বাংলা দিবস পালন করার দাবি তোলেন আই এস এফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর কথায় ওই দিন বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়েছিল। সেকারণে ওই দিনটি বাংলা দিবস পালন করা যেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হলেও, রাজ্যপালের সই নিয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর। শুভেন্দু এদিন বলেন, 'বিধানসভায় পাশ হলেও রাজ্যপাল সই করবে না।' পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে প্রাথমিক দিকে বিজেপি বিধায়করা বিরোধিতা করলেও পরে পাশ হয় প্রস্তাব। সূত্রের খবর, ১৬৭ জন বিধায়ক ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ দিবসের পক্ষে, ৬২ জন ছিলেন বিপক্ষে।
পূর্বনির্ধারিত সূচি মোতাবেক রাজ্য সঙ্গীত এবং রাজ্য দিবস নিয়ে প্রস্তাব আনা হল বিধানসভায়। ১ বৈশাখকে রাজ্য দিবস করার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। এর পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বাংলা দিবস ঘোষণার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাতে রাজভবনে যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টে নাগাদ বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশে যাবেন দলীয় বিধায়কেরা।
বিধানসভায় আনা প্রস্তাবে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলেও ১ বৈশাখ দিনটিই ‘বাংলা দিবস’ হিসাবে পালন করা হবে। বিধানসভায় এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কে কে সমর্থন করবে জানি না, কিন্তু আমাদের নির্দেশ থাকবে ওই দিনই বাংলা দিবস হিসাবে পালন করার।” মুখ্যমন্ত্রীর আগে বক্তব্য রাখতে উঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না রাজ্যপাল।
পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা নিয়ে চলছে বিতর্ক। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার এবিষয়ে একটি প্রস্তাব আনে রাজ্য সরকার। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল সই না করলেও ১ বৈশাখ বাংলা দিবস পালন করা হবে।
বৃহস্পতিবার তুমুল হইহট্টগোল দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। প্রথমে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি এবং গেরুয়া মানচিত্র আঁকা জামা পরে বিধানসভায় প্রবেশ করেন বিজেপি বিধায়করা। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন স্পিকার।
এরপর বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ নিজের বক্তব্য রাখার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেন ২০ জুন ছাড়া বাংলা দিবস পালন করা অসম্ভব। অন্যদিকে ১৬ অক্টোবর বাংলা দিবস পালন করার দাবি তোলেন আই এস এফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর কথায় ওই দিন বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়েছিল। সেকারণে ওই দিনটি বাংলা দিবস পালন করা যেতে পারে।
অন্যদিকে বক্তব্য দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়ে খোঁচা দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, প্রস্তাব পাশ করানো হলেও রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়া যাবে না।
নেই রাজ্যে বেতন বাড়ল বিধায়কের। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়ক স্তরে সবারই ৪০ হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বেতন বাড়াবেন না বলেই জানান।
সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করা হল। প্রতি স্তরেই ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের বিধায়কদের বেতন দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। তাই আমাদের সরকার বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মূলত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিধায়ক— এই তিন স্তরে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিধায়কদের বেতন ছিল প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা। তা বেড়ে হল ৫০ হাজার টাকা। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীরা এত দিন মাসে ১০ হাজার ৯০০ টাকা করে পেতেন। এখন থেকে তাঁরা পাবেন ৫০ হাজার ৯০০ টাকা। এ ছাড়া, রাজ্যে যে পূর্ণমন্ত্রীরা আছেন, তাঁদের বেতন ছিল ১১ হাজার টাকা। তাঁরা বেতন বাবদ এ বার থেকে ৫১ হাজার টাকা পাবেন।
রাজ্য চালু হতে চলেছে 'এক পরিবার, এক পরিচিতি'। অর্থাৎ একটা পরিবারের একটাই পরিচয় পত্র থাকবে। সেরকমই অন্য ধরনের আইডি তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরকারি পরিষেবা পেতে যাতে অসুবিধা না হয়,সেজন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আসলে এই বিশেষ আইডি হবে তথ্যভাণ্ডার। যেমন আধার কার্ডে একজন ব্যক্তি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়, রাজ্যবাসীর জন্য তৈরি বিশেষ আইডিতে থাকবে গোটা একটা পরিবারের তথ্য। পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য, তাঁদের কে কোন সরকারি পরিষেবার সুবিধা পান ইত্যাদি বিষয়গুলি।
জানা গিয়েছে, যেসব পরিবার সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন, তাঁদেরই এই ইউনিক আইডি কার্ড দেবে রাজ্য সরকার। তবে, অন্যদেরও ফেরাবে না সরকার।
কী সুবিধা রয়েছে কার্ডের ?
এই কার্ড চালু হলে সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের আলাদা আলাদা নথি জমা দিতে হবে না। একটা কার্ডেই সব তথ্য থাকলে, আলাদা কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়বে না। এতে সময়ও বাঁচবে অনেকটা।
এক বছরের ব্যবধানে ফের প্রাথমিক টেট হতে চলেছে। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই ফের টেট পরীক্ষা হতে পারে। পরীক্ষা নেবে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা হয়। এনসিটিই গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রত্যেক বছর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নিতে হবে। সেই অনুযায়ী ফের পরীক্ষা নিতে পারে পর্ষদ। তবে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও এগোয়নি। প্রায় দেড়় লক্ষ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এরই মধ্যে ফের টেট পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিতে পারে পর্ষদ।
সূত্রের খবর, আগামী ডিসেম্বরেই প্রাথমিক টেট হতে পারে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে রবিবার এই টেট পরীক্ষা হবে। জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে পর্ষদ।
প্রসূন গুপ্তঃ সারা ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান বদলে বিজেপি বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই এক ছাতার তলায় এসেছে। যদিও এখনও লোকসভা ভোটের বিস্তর দেরি আছে, কিন্তু এর আগেও এ ধরনের জোট করতে গিয়ে অবশেষে ব্যর্থতাই এসেছিলো। এই জোটের আপাতত নাম " ইন্ডিয়া "। মঙ্গলবার দেশের ৭টি কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন হয়ে গেলেও সর্বক্ষেত্রে জোট হয়নি। উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডে জোট যেমন হয়েছে, তেমন ত্রিপুরার দুটি কেন্দ্রে কংগ্রেস/সিপিএম জোট হলেও তিপ্রা মোথা জোটে যায়নি।
আবার উত্তরাখণ্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস এবং এসপি প্রার্থী দিয়েছে এবং কেরালায় কংগ্রেসের অন্যতম বন্ধু সিপিএমের বিরুদ্ধেই লড়তে হচ্ছে রাহুলের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে তো জোট আদপে কোনও দিন হবে বলে তো আশা রাখে না তিনটি দলই। সদ্য শেষ হওয়া ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস। আসনটি জিততে মরিয়া তিন দলই। এবারে প্রশ্ন উঠছে যে, যেখানে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন দ্রুত বাম অথবা কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা হোক নতুবা তারা পরিষ্কার বার্তা দিক, তা কি সম্ভব?
তৃণমূলের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে জোট হওয়া এক প্রকার অসম্ভব কারণ সিপিএম বিরোধিতা করেই ক্ষমতায় এসেছে তারা। এই একই মনোভাব সিপিএমের যদিও বামফ্রন্টের সকলেই তা মনে করে না তবুও সিপিএমে শূন্যে চলে যাওয়ার পরেও তারাই ফ্রন্টের প্রধান শক্তি। ধূপগুড়ি নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেছেন সম্পাদক সেলিম শুরু করে বাকি বাম নেতারা। পক্ষন্তরে তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস অপেক্ষাকৃত অনেকটাই নরম।সিপিএমের বার্তা পরিষ্কার বাংলা বা কেরলে জোটের অন্য দলগুলির সঙ্গে আসন রফা করা কঠিন। অবিশ্যি এদের মুম্বই বৈঠকে ঠিক হয়েছে পারদপক্ষে চেষ্টা করতে হবে জোট করার নতুবা বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই।
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য মনে করেন তিন দল এক হলে বিরোধী সমস্ত ভোট বিজেপি নিয়ে যাবে। শোনা গিয়েছে প্রদীপবাবুকে হয়তো ফের দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কোনও দায়িত্ব পাওয়ার আগেই যদি এই মনোভাব হয় তবে ভবিষ্যৎ কি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অগাস্টে মাসেই ফের ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনন্ত সেরকমই বলছে। এ মাসেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার মতো বেড়েছে। ডেঙ্গির এই পরিসংখ্যান রীতিমতো চিন্তায় ফেলে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তাদের। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৩৬৯। কিন্তু, অগাস্টে তা বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজারের বেশি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন ১০ হাজার ৯০ জন। সব থেকে বেশি সংক্রমণ ছড়ায় ৩৩ ও ৩৪তম সপ্তাহে। সোমবার পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩৬৫০। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতবারের তুলনায় এবছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।
চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে। ভারী বৃষ্টি না হওয়ার জন্যই এমনটা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, গত বছরও অগাস্ট মাসেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত ছিল। এবারও তাই, বলতে গেলে এবার আরও বেশি।
বিকেল হলেই নামছে স্বস্তির বৃষ্টি। কিন্তু সকাল থেকেই রোদের দাপট রাজ্যজুড়ে। দক্ষিণবঙ্গে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ঘাটতি রয়েই গিয়েছে। অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। বরং দক্ষিণবঙ্গের জন্য আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অপেক্ষা করছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-এ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি পাঁচ জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। বাকি ছয় জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার পরিবর্তনের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
পাশাপাশি মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ সাধারণভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) হিংসার (violence) ঘটনা নিয়ে ফের মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM)। কোলাঘাটে বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই বাংলার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবারের ওই ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভোটে জয়ের পর প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট লুঠ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিরোধীরা যাতে প্রার্থী না দিতে পারে তার জন্য তড়িঘড়ি ভোটের দিন ঘোষণা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে রক্তের খেলা চলেছে তা গোটা দেশ দেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ভোট গণণা প্রসঙ্গ টেনে এনেও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। তার অভিযোগ, গণনা কেন্দ্রে কোনও বিজেপি প্রতিনিধিকে বসতে দেওয়া হয়নি। শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করার পাশাপাশি দলের কর্মীদের পরিশ্রমের জন্য কুর্নিশ জানান তিনি। এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের পুরনো বৈভব ফেরানোর চেষ্টা করছে দলের কর্মী ও সমর্থকরা।
আদিবাসী সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। কটাক্ষের সুরে তাঁর বক্তব্য, 'ওখানে আমাদের আদিবাসী ভাইবোনকে কী ভাবে অত্যাচারিত হতে হয় তা আমাদের জানা আছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও অনেক বিজেপি প্রতিনিধিরা জয়ী হয়েছেন। আমি সেই সব প্রতিনিধিদের অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।'
প্রসূন গুপ্ত: আবারও একটি উপনির্বাচন এসে গেলে এবং ফের পুজোর আগে। ধূপগুড়ি। সদ্য প্রয়াত হয়েছেন ২০২১-এ জিতে আসা বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। খুবই দ্রুততার সঙ্গেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনার সেপ্টেম্বরের গোড়াতেই উপনির্বাচন ঘোষণা করেছেন। এখন নানান জোট-বেজোটের মধ্যেই এই নির্বাচন, কাজেই সবারই নজর ফলের দিকে। এবারে প্রশ্ন হচ্ছে কে এগিয়ে জেতার লক্ষ্যে। এই ধুপগুড়িতে এতো সমীকরণ আছে যে চট করে চূড়ান্ত উত্তর দেওয়া কঠিন।
আড়াই লক্ষ ভোটার এই কেন্দ্রে। স্বাধীনতার পর জলপাইগুড়ির এই গ্রাম প্রধান অঞ্চলে ৫২ থেকে ৭২ অবধি ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু পট পরিবর্তন হয় বাম জমানাতে অর্থাৎ ১৯৭৭-এ। যাদবপুর, দমদম বা দুর্গাপুরের মতোই লালদুর্গ এই ধূপগুড়ি। ৭৭-এর পরে যতরকম নির্বাচন হয়েছে বাম আমলে, ধুপগুড়িতে বিপুল ভোট পেয়েছে সিপিএম। ২০০৯-এর লোকসভায় যখন পরিবর্তনের হওয়া উঠলো তখনও জলপাইগুড়িতে জেতে সিপিএম এবং ২০১১-তে তৃণমূলের আগমনের সময়েও এই কেন্দ্রে সিপিএমের মমতা রায় নাম্নী এক নেহাতই গৃহবধূ এই কেন্দ্রে জিতে আসেন। বাম জমানার পরেও এই বিধানসভা তৃণমূল দখল করতে পারে নি।
পরিবর্তন এলো ২০১৬-র বিধানসভায়। ক্ষমতা দখল করলো তৃণমূল। এর মাঝে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূল ভালো ফল করে ধুপগুড়িতে। কিন্তু ধূপগুড়ি কখনোই তৃণমূল কে আপন করে নেয়নি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এই অঞ্চলের বামপন্থীরা ঢেলে ভোট দেয় বিজেপিকে। ওই এলাকাতে গিয়ে জানা যায় যে, এরা যে কোনও ভাবেই তৃণমূলের পরাজয় চায়, তাই ক্ষয়িষ্ণু সিপিএমকে বাদ দিয়ে তারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলো। একই ঘটনা ঘটেছিলো ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনেও। এবারেও এই অঞ্চল বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়কেই জিতিয়ে আনে।| এবারে বিষ্ণুপদর প্রয়াণে উপনির্বাচনে কি হতে পারে তাই প্রশ্ন রাজনীতির মানুষের। (পরের অংশ আগামীকাল)
প্রসূন গুপ্তঃ শুক্রবারেই শেষ হচ্ছে লোকসভা রাজ্যসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন। এই মুহূর্তে অর্থনীতি থেকে আমজনতা বহু সমস্যায়। ধারণা ছিল মনিপুর থেকে হরিয়ানা ইত্যাদি রাজ্যগুলির অগ্নিগর্ভ অবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে কিন্তু হলো কি? একেবারে ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক ঝগড়ায় মুখরিত থাকলো এবারের আইনসভা। বেশ কয়েক বছর ধরে আইনসভায় শুধুই হৈচৈ করে সময় কেটে যাচ্ছে। প্রশ্ন-উত্তর পর্বে সাধারণত আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়েই আলোচনা থাকে। বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা অবধি এই পর্ব থাকা উচিত। অন্তত আইনসভার আইন তাই বলে। এরপর শুরু হয় জিরো আওয়ার অর্থাৎ দেশের অবস্থান নিয়ে যা আলোচনা হওয়া উচিত তা আর হচ্ছে কোথায়? এই না হওয়ার জায়গা থেকে সমস্যা, সমস্যার অবস্থানেই থেকে যাচ্ছে আইন তৈরি হচ্ছে না।এটা বাস্তব সরকারি এনডিএ অনেক বেশি শক্তিশালী, কিন্তু যদি আলোচনায় হৈচৈ হয় তবে স্পিকার বা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সভা স্থগিত করতে বাধ্য। এমনটাই হচ্ছে কয়েক বছর ধরে।
এবারের মনিপুর নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। শোনা গিয়েছিলো যে এই ধরণের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে নাকি বিজেপির সাংসদরা আলোচনা করতে রাজি নয়, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী জবাব দেবেন কিনা তাই নিয়ে জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে বিরোধীদের একটি জোটের নাম হয়েছে 'ইন্ডিয়া'। তারা ঠিক করে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে মোদীকে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে বাধ্য করা হবে। কাজেই তারা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন এবং তার মধ্যে মনিপুরের বিষয়টিকে জুড়ে দিলেন। এবারে বুধ এবং বৃহস্পতিবার এই অনাস্থা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হলো। রাহুল গান্ধী বক্তব্য রাখতে গেলে তাঁকে বারবার বাধার সম্মুখীন হতে হলো। অবিশ্যি তিনি একা নন, প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল মনিপুরের আলোচনায় বক্তব্য রাখলেন।
এবারে জবাবিতে বুধবার অমিত শাহ জানালেন মোদী জমানার উন্নয়নের কথা এবং বৃহস্পতিবার স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখলেন | মোদীর আড়াই ঘন্টার ভাষণে তিনি তুলোধোনা করলেন বিরোধীদের এবং বিশেষ করে নেহেরু পরিবারকে | বিরোধীরা ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে চলে সংসদ থেকে বেরিয়ে গেলেন | তাঁরা বেরিয়ে যাওয়ার প্রধানমন্ত্রী মনিপুর নিয়ে দুচার শব্দ বললেন | ব্যাস , সমাপ্ত হলো তর্ক বিতর্ক | হতভাগ্য মনিপুর | পূর্ব অবস্থানেই রয়ে গেলো পূর্ব ভারতের ছোট্ট রাজ্যটি |
উচ্চমাধ্যমিকেও এবার চালু হবে ওএমআর শিট। বেশ কিছুদিন ধরে এই নিয়ে শিক্ষামহলে জল্পনা ছড়িয়েছে। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। ২০২৬ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকের সেমেস্টার পরীক্ষায় ওএমআর শিট চালু করার প্রস্তাব ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত। জানা গিয়েছে, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে এই নিয়ে বৈঠক করে ফেলেছে উচ্চমাধ্যমিক সংসদ।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকে ২০২৬ সাল থেকে দুটি সেমেস্টারে পরীক্ষা হবে। বড় পরীক্ষায় ওএমআর ফরম্যাটে পরীক্ষা দিতে পড়ুয়াদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তাই স্কুল স্তর থেকেই অভ্যাস তৈরি হবে। তাই এই পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তকে শিক্ষামহলের বড় অংশ স্বাগত জানিয়েছেন।
শিক্ষামহলের একাংশ আবার সরকারের এই নয়া সিদ্ধন্ত নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিটে কারচুপির খবর সামনে এসেছে। তাই এই পদ্ধতিতে সঠিক মূল্যায়ন হবে কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ।