
এসএসকেএম-এ (SSKM) নেই বেড, ফলে মাথায় গুরুতর চোট পাওয়া এক দেড় বছরের শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সেই দেড় বছরের শিশু যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছে, সেসময় তাকে এসএসকেএম-এ নিয়ে এলে বলা হয়, তাকে ভর্তি করানো যাবে না। এর পরই পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েন ও হাসপাতালের সামনেই অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে এই পরিস্থিতি সিএন-এর পর্দায় সম্প্রচার করা হলে অবশেষে চিকিৎসার জন্য খুদেকে ভর্তি নেওয়া হয় ও ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শিশু ও তার পরিবার বিহারের নওয়াদা জেলার বাসিন্দা। বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে মামাবাড়িতে আসানসোল এসেছিল। কিন্তু খেলতে গিয়ে ৩ ডিসেম্বর বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পায় এই দেড় বছরের খুদে। তাকে প্রথমে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে পুরোপুরি চিকিৎসা না হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু খুদের পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক যে তাকে পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু এসএসকেএম-এ পৌঁছতেই জানানো হয়, হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করানোর জন্য বেড নেই। ফলে হাসপাতালেই বাইরে অ্যাম্বুলেন্সেই পড়ে ছিল শিশুটি। এমনকি জানা গিয়েছে, গাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনও ছিল না। ফলে ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছিল তার পরিস্থিতি। এসব দেখেও টনক নড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এর পরই সিএন-এর সাংবাদিক হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতেই নড়েচড়ে বসেন তাঁরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর অবশেষে শিশুটিকে ভর্তি করেন তাঁরা।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে এসএসকেএম হাসাপাতালেই ভর্তি। সোমবার রাতে মদন মিত্র হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকেও এখানেই ভর্তি করা হয়। এছাড়াও দেখা গিয়েছে, রাজ্যের কোনও মন্ত্রী অসুস্থ হতেই প্রথমে তাঁকে এসএসকেএম-এই নিয়ে আসা হয়। ফলে তাঁরা যখন-তখন বেড পেয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের সময় বেড নেই! এই প্রশ্নই উঠছে সাধারণ মানুষের মনে।
জাতীয় সঙ্গীত 'অবমাননা'র অভিযোগে তলব করা হল বিজেপির (BJP) আরও ৩ বিধায়ককে। মঙ্গলবার ৩ বিজেপি বিধায়ককে তলব করল লালবাজার। প্রথম এফআইআরে নাম থাকা ৫ বিজেপি বিধায়ককে সোমবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবারে ৩ বিজেপি বিধায়ককে তলব করল কলকাতা পুলিসের গুন্ডা দমন শাখা।
বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ করে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। ১১ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ যায় লালবাজারে। প্রথম এফআইআর-এ নাম থাকা ১১ জনের মধ্যে এবার আরও তিন বিজেপি বিধায়কদের তলব করল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় যাঁদের লালবাজারে ডাকা হয়েছে, তাঁরা হলেন চন্দনা বাউরি, মিহির গোস্বামী, মালতী রাভা রায়।
মানব পাচার মামলায় বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) হানা দিয়েছিল বুধবার কাকভোরে। রাজ্য থেকে মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছেন এনআইএ আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে বুধবার বারাসতের ব্যবসায়ী সঞ্জীব দেব-কে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। সূত্রের খবর, মানব পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করতে ১০টি রাজ্যের মোট ৫৫টি এলাকায় হানা দেন এনআইএ-র আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যে ৪৪ জনকে গ্রেফতারও করেছে গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন জন।
এনআইএ আধিকারিকরা একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে অসম পুলিসের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেখান থেকেই মানব পাচারচক্রের হদিস পান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, এই চক্রের মাধ্যমেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারীদের দেশে আনতেন পাচারকারীরা। এরপর বিভিন্ন রাজ্যে তাঁদের পাঠিয়ে দিতেন। চলতি মাসে এই মামলা এনআইএ-র হাতে যায়। তারপরই ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির আধিকারিকরা হানা দেন একাধিক রাজ্যে।
বুধবার বাংলা ছাড়াও ত্রিপুরা, অসম, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর, পদুচেরি-র একাধিক জায়গায় মানব পাচার মামলায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। তদন্তে নেমে ত্রিপুরা থেকে ২১ জন, কর্ণাটক থেকে ১০, অসম থেকে ৫, বাংলা থেকে ৩ জন, তামিলনাড়ু থেকে ২ অভিযুক্ত, ১ জন করে পদুচেরি, তেলেঙ্গানা ও হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের পর্যটক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পাশাপাশি এদিন গাইঘাটার হাজরাতলা এলাকায় বিকাশ সরকারের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনআইএ। বেশ কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকাশ বাংলাদেশের বাসিন্দা। গাইঘাটায় ভাড়াবাড়িতে থাকছিলেন। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, বিকাশ কয়েক বছর আগেই বাংলায় এসেছিলেন। চিকিৎসা করাতে তিনি নিজে এসেছেন কিছু দিন আগে। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় দেশে ফিরতে পারেননি। এনআইএ সূত্রের খবর, বাংলা থেকে রাজু রুদ্র নামের আরও এক জনকে মানব পাচার সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
দীপাবলির আগে বিপুল অঙ্কের কেন্দ্রীয় অর্থ পেল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, কর বাবদ পশ্চিমবঙ্গকে ৫৪৮৮ কোটি টাকা পেল রাজ্য সরকার। যান গিয়েছে, দীপাবলীর আগেই কর বাবদ একাধিক রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ২৭টি রাজ্যকে বকেয়া অর্থ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন মমতা ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। অভিযোগ ছিল, আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের বকেয়া টাকার। এই দাবিতে আন্দোলন শানিয়েছিল তৃণমূল ব্রিগেড। এই আন্দোলন পৌঁছে গিয়েছিল দিল্লিতেও। পাশাপাশি এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল রাজভবনের সামনেও। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বকেয়া টাকার দাবিতে ধর্ণা দিয়েছিলেন রাজভবনের সামনে। যদিও সেই দেনা-পাওনার দাবি এখনও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে বড় অংকের টাকা কর বাবদ কেন্দ্র থেকে পাওয়ায় রীতিমত খুশির হাওয়া রাজ্যে। জানা গিয়েছে, দীপাবলীর আগে মোট ৭২ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা বিভিন্ন রাজ্যগুলিকে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগের মধ্যে কেন্দ্রের থেকে বিপুল এই অর্থ পাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ।
রেশন বণ্টন ‘দুর্নীতি’ (Ration Scam) মামলায় রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি (Enforcement Directorate) হানা। তল্লাশি চলেছে মন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও। বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযানে বের হন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ইডি আধিকারিকদের একটি টিম সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ গিয়ে পৌঁছয় সল্টলেকের বিসি ব্লকে। সেখানে পাশাপাশি দু’টি বাড়ি বিসি ২৪৪ এবং বিসি ২৪৫-এ তল্লাশি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এর মধ্যে বিসি ২৪৪ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এবং বিসি ২৪৫ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদার। তল্লাশি চলার সময়ে দিনভর বাড়িতেই ছিলেন মন্ত্রী।
ইডি সূত্রে খবর, রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পরেই নাম উঠে এসেছে জ্যোতিপ্রিয়ের। মন্ত্রীর বাড়ির পাশাপাশি সাতসকালে অভিযান চালানো হয়েছে মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক অমিত দে-র নাগেরবাজারের দুটি ফ্ল্যাটেও। একটি ফ্ল্যাট রয়েছে ভগবতী পার্ক এলাকায় এবং দ্বিতীয় ফ্ল্যাটটি রয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ রোডে। যেগুলি বেশ কয়েকদিন ধরে তালা বন্ধ অবস্থাতেই ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, ফ্ল্যাটের মালিকানা কার, কবে ফ্ল্যাট কেনা হয়েছে, সেই টাকা কোথা থেকে এসেছিল সেই সমস্ত তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক ফ্ল্যাটে নেই বলেই খবর।
পুজো মিটতেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পৈতৃক বাড়ি, ফ্ল্যাট, তার দাদার বাড়ি থেকে শুরু করে আপ্তসহায়ক, হিসেবরক্ষকের বাড়িতেও ম্যারাথন তল্লাশি ইডি গোয়েন্দাদের। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর রাতের দিকে সমস্ত ঠিকানা থেকেই বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। তাহলে কি রেশন দুর্নীতিতে এবার সামনে আসতে চলেছে কোনও বিস্ফোরক তথ্য? পরবর্তীকালে ইডি কী তথ্য আদালতের সামনে পেশ করে, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষায়।
প্রসঙ্গত, আমফান থেকে করোনার সময়ে বারংবার রেশন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই কাণ্ডের তদন্তভার ইডির হাতে এলে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানোর পর তারা গ্রেফতার করেন চালকল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে। আর তাকে গ্রেফতারের পরই উঠে আসে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। বাকিবুর রহমানকে সরাসরি উত্তর না দিলেও জল্পনা বাড়িয়ে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দেন, এরকম ঘৃণ্য রাজনীতির চক্রান্ত যারা করছে, চাকা ঘুরলে তাদের সঙ্গেও এরকম হতে পারে।
সপ্তমীর সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ। তবে আবহাওয়া বড়সড় পরিবর্তন হতে পারে, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২.২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। যা শুক্রবার থেকে ১ ডিগ্রি কম। সপ্তমীর দিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গের আকাশে সামান্য মেঘ থাকতে পারে।
যদিও পুজোর মধ্যে বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। নবমী ও দশমীর দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। তবে ওই দু দিন উত্তরবঙ্গের আকাশ থাকবে পরিষ্কার। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এবং দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। সেকারণেই বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ছিল ৯০। এবার থেকে হবে ১২৫। রাজ্যে বাড়তে চলেছে শব্দবাজির মাত্রা। চলতি সপ্তাহে এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দবাজি ফাটানো যাবে।
তবে একইসঙ্গে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সবুজ বাজি ছাড়া আর কোনও বাজি ফাটানো যাবে না। এবং বাজি ফাটাতে হবে বসতিহীন ফাঁকা জায়গায়। কিন্তু প্রশ্ন হল রাজ্যে সবুজ বাজি তৈরির কারখানা কোথায় ?
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জায়গায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল একাধিক মানুষের। শুরু হয় পুলিশের ধরপাকড়। উদ্ধার হয়েছিল লক্ষাধিক কেজি বাজি। পুলিশকে এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও।
তারপরেও শব্দবাজির মাত্রা বাড়ানোর ঘটনায় নানা মহল থেকেই প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই অনেকের অভিযোগ শব্দবাজি ব্যবসায়ীদের খুশি করতেই এই সিদ্ধান্ত। যদিও সরকারের অন্দরের খবর এই নির্দেশিকা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিজস্ব নয়। এই ব্যাপারে রাজ্যের পরিবেশ দফতরের সঙ্গে কথা বলেই এবং আইনি দিক খতিয়ে দেখেই তৈরি করা হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের যুক্তি, শব্দবাজির ক্ষেত্রে মাত্রা কত হবে, তা শীর্ষে আদালতের নির্দেশে তা নির্দিষ্ট ভাবে মাপা নেই। এতদিন চিকিৎসক দুলাল বসুর নেতৃত্বে তৈরি কমিটি রাজ্য শব্দবাজির মাপকাঠি ৯০ ডেসিবেলে বেধে রেখেছিল। সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, এবার কালীপুজোতে যে চকোলেট বোমা লুকিয়ে বিক্রি করা হত, তা হয়তো এখন থেকে ফের প্রকাশ্যেই বিক্রি করা হবে।
পুজোতেও ঘরবন্দি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পেন সফর থেকে ফেরার পর পায়ে চোট থাকায় চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কালীঘাট থেকে রাজ্যের ৮০০ পুজোর উদ্বোধন করলেন। জানালেন, ২৭ অক্টোবর, দুর্গাপুজোর কার্নিভালে সশরীরে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা ও জেলার প্রায় ৮০০ পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই মঞ্চেই নিজের শরীর নিয়ে আপডেট দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পায়ে সংক্রমণ রয়েছে। এমনি আমি ঠিক আছি। আইভি ইঞ্জেকশন নিচ্ছি। ভাল করে হাঁটতে পারছি না। চিকিৎসকরা আরও কিছু দিন হাঁটাচলা না করতে বলেছেন।"
শনিবার দলের মুখপাত্রের পুজোসংখ্যার উদ্বোধনে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এই অনুষ্ঠানেও থাকতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টিতে প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যেও। এবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে পুজোতেই বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা নবান্নের। সেই মত সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডে লাগাতার বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে এরাজ্যেও। প্রবল বৃষ্টিতে ক্রমশ জলধারনের ক্ষমতা হারাচ্ছে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার। এর জেরে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ডিভিসি, তাই পুজোর মুখে চার জেলায় বন্যার আশঙ্কা। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার একাংশে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়াও ঝাড়খন্ড পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নিচু এলাকা থেকে তড়িঘড়ি বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির জন্য কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সেই নিয়ে সোমবারই বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে , মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হবে। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হবে। ত্রিপল, শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায়।
ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। শহরের হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে ডেঙ্গি রোগীর ভিড়। জেলাতেও একই ছবি। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ভবন। তাঁদের সঙ্গে অনলাইন মাধ্যমে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে পারবেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। জেলা থেকে যাতে ডেঙ্গি রোগীকে শহরে পাঠানোর প্রবণতা কমে, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা ডেঙ্গি সংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং তাঁর পরামর্শে ‘রেফার’ করবেন।
দফায় দফায় বৃষ্টির ফলে রাস্তায় জল জমছে। সেই জমা জলেই জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গিবাহী মশা। গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবার অভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। হুগলির বলাগড়, পাণ্ডুয়া, চণ্ডীতলাকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিন্তা বাড়াচ্ছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা মালদহ।
ডেঙ্গির প্রকোপে এখনও অবধি রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার ছুঁই ছুঁই, ইতিমধ্যেই এই প্রকোপে প্রাণ হারিয়েছে ৪৪ জন। রবিবার একদিকে দক্ষিণ দমদমে এক মহিলার মৃত্যু হয়, পাশাপাশি রবিবার রাতে দেগঙ্গায় এক যুবকের মৃত্যু হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে। জেলার পাশাপাশি কলকাতাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মোকাবিলায় আরও তৎপর পুরসভা।
বাংলার মুকুটে নয়া পালক। আবারও সেরার তকমা পেল পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের তরফে আয়োজিত ২০২৩ সালের 'সেরা পর্যটন গ্রাম' প্রতিযোগিতায় সেরা নির্বাচিত হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটেশ্বরী। খেতাব জয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুবাই থেকে ওই গ্রামের সকল বাসিন্দাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কিরীটেশ্বরীকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, পর্যটন গ্রামের প্রতিযোগিতার জন্য গোটা দেশ থেকে মোট ৭৯৫টি আবেদনের জমা পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে সেরার সেরা হয়েছে মুর্শিদাবাদের এই গ্রাম। ২৭ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রের তরফে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
মুর্শিদাবাদের দহপাড়া রেল স্টেশন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কিরীটেশ্বরী গ্রাম। দেশের শক্তিপীঠগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। লোকমতে, এখানেই দেবী পার্বতীর মুকুট পড়েছিল। বহু দূর থেকে এখানে পর্যটকরা আসেন। বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে মন্দিরে ভিড় উপচে পড়ে। সেরার তকমা পাওয়ার পর এখানে পর্যটকের আনাগোনা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কিরীটেশ্বরীর বাসিন্দারা।
কয়েক ঘণ্টার জন্য গায়েব। তারপরই পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইছেন তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান। এক্কেবারে ফিল্মি প্লট পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে। রবিবার রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন সরবেড়িয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান (Panchayat Pradhan) কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়া। অভিযোগ, অপহরণ করা হয়েছিল প্রধানকে। এই নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত ঠিক তখনই রাত ১২ টা নাগাদ নিজেই ফিরে আসেন অপহৃত প্রধান।
মুক্তি পেয়েই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদে ইস্তফা দিতে চাইছেন প্রধান। ছাড়তে চান পঞ্চায়েত সদস্য পদও। জয়লাভের পর হাসি হাসি মুখে ৫ বছরের উন্নয়নের শপথ নিয়েছিলেন, কয়েক মাসের মধ্যে সেই প্রধানেরই কী ভীমরতি হল? অপহরণকারীরাই কি তবে প্রধানের এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে?
এই নাটকের রহস্য ভেদ করতে হলে পিছিয়ে যেতে হয় কয়েক মাস। ১২ আসনের সবকটিতে জয়লাভ করেও প্রধান পদ নিয়ে ভাঙন ধরে সরবেড়িয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলে। জানা গিয়েছে, দল কমল জানা নামে এক সদস্যকে প্রধানের পদে বসাতে চাইলেও সিংহভাগ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার পাল্লা ভারী করে। দলের হুইপ অমান্য করেই ভোটাভুটিতে অংশ নেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাতেই প্রধানের মুকুট ওঠে কার্তিক চন্দ্র ভুঁইয়ার মাথায়। কিন্তু অভিযোগ, দলের একাংশের দাপটে পদ পেয়েও পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে পারেননি প্রধান। তাহলে কি দলের একাংশের হাতেই অপহৃত হয়েছিলেন তিনি? অভিযোগ ঘুরিয়ে প্রধানকেই কাঠগড়ায় তুলছে তৃণমূল।
এক অপহরণে ভোল বদল। রাস্তার কাঁটা সরাতেই কি প্রধানের কিডন্যাপিং? তাতে জড়িত দলেরই একাংশ? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
সম্প্রতি মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে ক্লাব প্রতি ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। এবার এই প্রতিশ্রুতিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আবেদন করল এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর, আবেদনকারীর নতুন আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিল প্রধান বিচারপতি।
সূত্রের খবর, বিগত বছর গুলিতে রাজ্য সরকার প্রত্যেক ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেই সময়ে ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সৌরভ দত্ত। তার আবেদন ছিল যেখানে রাজ্য সরকার ডিএ দিতে পারছে না। যেখানে সরকারি চাকরি প্রাথীদের যোগ্য নিয়োগ দিতে পারছেন না। সেখানে কেন ক্লাব পিছু এত টাকা দেওয়া হবে? যদিও এ বছরে ওই অনুদান বেড়ে ৭০ হাজার টাকা হয়েছে।
কেন পূর্বের বছরের মত এ বছরেও অপুজোতে ক্লাব গুলিতে এত অনুদান দেওয়া হচ্ছে! সেই বিষয়কে ফের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পূর্বের মত জনস্বার্থ মামলার আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত হাওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি।
নিপা ভাইরাসের জেরে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে কেরলে। বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও একজনের শরীরে নিপা ভাইরাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। যার ফলে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫।
এদিকে ওই ৫ জন আক্রান্তের সংস্পর্ষে এসেছেন ৭০৬ জন। তাঁদের প্রত্যেকের নিপা টেস্ট করানো হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যে কোঝিকোড়ে নিপা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য হাই এলার্ট জারি করেছে স্বাস্থ দফতর।
অতীতেও সবথেকে বেশি নিপা আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গিয়েছিল কোঝিকোড়ে। ২০১৮ সালে এবং ২০২১ সালে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। সেসময় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মোট ২৩ জন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবারও বেশ কয়েকজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। নিপা ভাইরাসের জেরে একাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১৬ টি কমিটি গঠন করে পুরো পরিস্থিতি নজরদারি চালানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন শহর কলকাতায়। মঙ্গলবার সকালে রোদ থাকলেও বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়। এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হয়েছে। যার জেরে বিগত কয়েকদিনের অস্বস্তিকর গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোনও কোনও জেলায় বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
এর কারণ হিসেবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূল সংলগ্ন উত্তর পশ্চিম এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেকারণে একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বজ্রবিজ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।