প্রসূন গুপ্ত: কখন যে কে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে খবর হন আগে থেকে কেউ বলতে পারে কি? তবে নেতা থেকে অভিনেতারা যখন বিতর্কিত কিছু বলে ফেলেন তখন তার কথার টুকরো এডিট করে ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মাধ্যমে। এ বিষয়ে পারদর্শী এ রাজ্যে মদন মিত্র থেকে শ্রীলেখা মিত্র। এঁরা নিজেরাই ট্রোল বা ভাইরাল হতে পছন্দ করেন। ইদানিং এই জগতে নাম করছেন রুদ্রনীল ঘোষ। অন্যদিকে বিতর্কিত মন্তব্য করে ভেসে থাকতে চান এক সময়ে বিজেপির সভাপতি ও প্রাক্তন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। এবং ইদানিংকালে তাঁর ভাই সৌগত রায়ও সেই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন। সৌগতবাবু তো গতকাল এক সভায় সিএন চ্যানেলকে বন্ধ করার হুমকিও দেন।
উল্লেখিত এঁরা সকলেই ইচ্ছাকৃত ভাবে আলোচিত বা সমালোচিত হতে চান। রেজিস্টার্ড মিডিয়া এঁদের হয়তো খুব একটা পাত্তা দেয় না তাই মুঠো ফোনেই এঁদের চলা ফেরা।
শুক্রবার তেমনটি না হলেও মিডিয়া এবং সোশ্যাল নেটে ভাইরাল হলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে তাঁর জোরালো বক্তব্য ছড়িয়ে গেল ফেসবুকে। তিনি ৭ ঘন্টা ওই দফতরে ইডির অফিসারদের কথার মুখোমুখি হয়ে বেরিয়ে দাপটে মিডিয়ার সামনে তুলোধোনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে। জানালেন তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে সহযোগিতা করছেন কিন্তু ওই এজেন্সি অন্য কাউকে ডাকছে না কেন? ইঙ্গিতটি অবশ্যই শুভেন্দু।
রাতের মধ্যে ছড়িয়ে যায় ফেসবুকে এই চোখা মন্তব্যগুলি। অন্যদিকে শুক্রবার সিপিএমের নানা শাখার আন্দোলন ছিল ধর্মতলায়। বর্ধমানের পর কলকাতা, এখানে এসএফআইয়ের নেত্রী দিপ্সিতা ধর সরাসরি সমালোচনা করেন তৃণমূল এবং বিজেপির। তিনি মিডিয়ার সামনে জানান অদূর ভবিষ্যতে তিনি বা তাঁরা নবান্নের ১৪ তলায় যাবেনই। সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল এবং ট্রোলড। রাতারাতি দিপ্সিতা লাইম লাইটে চলে এলেন। অন্যদিকে চ্যানেল তুলে দেওয়ার সৌগত হুমকিও ছড়িয়ে গিয়েছে সোশ্যাল নেটে।
পৃথিবীর যে প্রান্তে যা ঘটুক, তা এখন মুহূর্তে চলে আসে সকলের মুঠোফোনে। ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে। তার মধ্যে যেমন থাকে চাঞ্চল্যকর কিছু ভিডিও (Video)। তেমনই থাকে হাস্যকর, আশ্চর্যজনক কিছু ভিডিও। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে রীতিমত অবাক নেটদুনিয়ার (Social Media) মানুষ।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান। যেখানে হুলুস্থুল ঝগড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, একপ্রকার হাতাহাতি, মারামারি লেগে গিয়েছে দু'দলের মধ্যে। পাল্টা লাঠি, ঘুষি চলছে। এমনকি নিমন্ত্রিতদের জন্য রাখা খাবারভর্তি থালা ছুড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সকলে নিজের প্রাণ বাঁচাতে ছুটে চলেছে।
তবে কী কারণে এই শুভ অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত পাত্রপক্ষের কয়েকজন অতিরিক্ত পাঁপড় চেয়েছিলেন, সে নিয়ে। যাঁরা খাবার পরিবেশন করছিলেন, তাঁরা পাঁপড় আর দিতে পারবেন না বলেন। এরপরই কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। শেষমেশ হাতাহাতিতে পৌঁছয় ঘটনা। পাত্র এবং কনেপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে কেরলের (Kerala) আলাপ্পুঝার মুত্তমের।
In the great 100% literate state of Kerala, a fist fight broke out at a wedding after friends of the bridegroom demanded papad during the feast. This triggered a verbal spat and ended up in an ugly brawl. No wonder Mallus belo papad. 😆 pic.twitter.com/HgkEUYMwfy
— Rakesh Krishnan Simha (@ByRakeshSimha) August 29, 2022
রাকেশকৃষ্ণ সিংহ নামে এক টুইটার গ্রাহক মারামারির সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যে রাজ্যে ১০০ শতাংশ মানুষই শিক্ষিত, সেখানে পাঁপড় নিয়ে হাতাহাতিতে জড়ালেন বরের বন্ধুরা।’ পুলিস সূত্রে খবর, এবিষয়ে তারা একটি অভিযোগ পেয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। আপাতত ১০ জন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য সর্বদা চর্চায় থাকেন এই টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী। মঙ্গলবার ৫০ বছরে পা রাখেন তিনি। সেখানেও রেহাই নেই। সোশাল মিডিয়ায় জন্মদিনের (Birthday Celebration) পার্টির একাধিক ছবি শেয়ার করে সমালোচনার মুখে পড়েন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। মেয়ে মাইয়্যা, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ত্র্যম্বক রায়চৌধুরী-সহ কাছের মানুষদের সঙ্গে নিয়েই জন্মদিনে হুল্লোড়ে মেতেছিলেন তিনি। সেই পার্টিতে অভিনেত্রীকে মদ্যপান করতেও দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রোলিং। শ্রীলেখার জন্মদিনের একাধিক ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যা নিয়ে বেজায় চটেছেনও তিনি। বুধবার সকাল সকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দুকদের সপাটে জবাব দিলেন অভিনেত্রী।
মঙ্গলবারে পোস্ট করা এক ভিডিওতে অভিনেত্রীকে বন্ধুদের সঙ্গে টেবিলে বসে টাকিলা শট নিতে দেখা যায়। সেই ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ শ্রীলেখার। ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, 'আমার টাকিলা শট নেওয়া ভিডিও তৃণমূলের ছানাপোনারা ভাইরাল করেছে। বেচারাদের চুরির পয়সায় সস্তা বাংলা খেতে হয়তো খুব কষ্ট পেয়েছে আমার দামি মদ খাওয়া দেখে। আহারে… নিজের বাড়িতে নিজের পয়সায় নিজের জন্মদিনে খেয়েছি… বেশ করেছি, কারও অনুপ্রেরণায় খাই না আর ঘোমটার নিচে খ্যামটা নাচি না বুঝলি চোরের দল?'
উল্লেখ্য, রাত ১২টা বাজতেই ফেসবুক লাইভে এসে ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন একাধিক কথা। সেদিন প্রথম তিনি তাঁর বয়স বলেন। এবারে জন্মদিনে পঞ্চাশ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। নিজের ফ্ল্যাটে নাচ, গান, খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে জমিয়ে সেলিব্রেশন করেছেন অভিনেত্রী।
এদিন তিনি ভিডিওতে বলেন, 'আগে বলা হত মেয়েরা কুড়িতেই বুড়ি। আমরা বয়সের বাধাটাকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে। বয়স শুধু একটা সংখ্যা। এটা শুধু আমাদের মনে রয়েছে। হাড়ের চিকিৎসকরাও এটাই বলেন। আমার এখন কোমরে ব্যথা হয়েছে।'
অমানবিক! পরিচারিকার উপর অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রকে (Seema Patra) সাসপেন্ড (suspended BJP leader) করা হয়েছিল। অবশেষে রাঁচি পুলিস গ্রেফতার (arrested) করেছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের বিজেপি মহিলা মোর্চার ন্যাশনাল কার্যকরী কমিটির সদস্য সীমা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত আইএএস মহেশ্বর পাত্রর স্ত্রী। পরিচারিকার উপর পাশবিক অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হতেই বিজেপি মঙ্গলবার সীমা পাত্রকে প্রথমে সাসপেন্ড ও পরে বরখাস্ত করে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পরিচারিকা সুনিতা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। তাঁর শরীর ও মুখে আঘাতের চিহ্ন। সুনিতা অভিযোগ করেছেন, তাঁর মালকিন সীমা তাঁকে রড এবং একটি লোহার প্যান দিয়ে মারধর করেছেন। তাঁকে মেঝে থেকে প্রস্রাব চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। এমনকি লোহার রড দিয়ে দাঁত ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ।
পরিচারিকা এও বলেন, 'যখন তাঁকে মারধর করা হচ্ছিল, তখন নেত্রীর ছেলে আয়ুষ্মান তাঁকে বাঁচাতে ছুটে এসেছিলেন। আয়ুষ্মান তাঁর বন্ধুর সাহায্য নিয়ে সুনিতাকে উদ্ধার করেন। এরপর আয়ুষ্মানের বন্ধু বিবেক আনন্দ বাস্কি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বাস্কি কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার বিভাগের একজন স্টেশন অফিসার।
পাত্রর বাড়ি থেকে সুনিতাকে উদ্ধার করার পর, পুলিস তাঁকে চিকিৎসার জন্য রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে (RIMS) নিয়ে যায়। সুনিতার ওই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল। এহেন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বৈশও মঙ্গলবার পুলিসের ডিজি নীরজ সিনহার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং সাসপেন্ড করা বিজেপি নেত্রীর অপরাধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি কেন, সে বিষয়ে ডিজির থেকজে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল।
পুলিস জানিয়েছে, নেত্রীর স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
সময় যত এগোচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি নামক কেঁচো থেকে আরও বেশি করে বেড়িয়ে পড়ছে কেউটে। এবার চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা (money) আত্মসাতের অভিযোগ গ্রুপ-ডি কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মী রাজেশ গুপ্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের করা ভিডিওতে (video) প্রকাশ্যে এসেছে রাজেশ গুপ্তার টাকা নেওয়ায় ছবি। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল।
শুধু তাই নয়, স্ট্যাম্প পেপারে টাকা নেওয়ার স্বীকারোক্তি করছেন ওই কর্মী সেই কাগজও সামনে এসেছে। রাজেশের সঙ্গে যোগ রয়েছে সোনামুখীর এক গ্রুপ ডি কর্মী অশোক মুখীর। তাঁরও টাকা নেওয়ার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে পুরো বিষয় অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মী রাজেশ গুপ্ত। বাকি আর একজন অভিযুক্তের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাসপাতালে (hospital) চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।। প্রায় বছর পাঁচ আগে রাজেশ গুপ্তা চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক বেকার যুবকের কাছে মোটা টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। চাকরির লোভে লক্ষ লক্ষ টাকা ওই গ্রুপ ডি কর্মীর হাতে পৌঁছে দিয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা। দফায় দফায় এই টাকা দেওয়া হত বলেই অভিযোগ অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থীদের।
সরকারি চাকরি করে রয়েছে ক্ষমতা, সেই বিশ্বাস করেই রাজেশের হাতে টাকা দিয়েছে চাকরীপ্রার্থীরা। কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে তাও স্ট্যাম্প পেপারে স্বীকারোক্তি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত রাজেশ। বিষ্ণুপুর থানা এলাকা ছাড়াও পাত্রসায়ের এলাকার যুবকরাও রয়েছে টাকা দেওয়ার তালিকায়।
সূত্রের খবর, রাজেশের এক সঙ্গী অশোক মুখী যিনি সোনামুখী হাসপাতালে কর্মরত। অভিযোগ, এই দু'জনে মিলেই চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে বেকার যুবকদের কাছ থেকে। টাকা দিয়ে চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য দু'জনের কাছে দরবার করেও টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। এরপর বিষ্ণুপুর থানাতে অভিযোগ জানানো হলে পুলিসের তরফ থেকে অভিযুক্তকে থানায় ডেকে চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ফেরত দেবার কথা বলা হলেও সেই টাকা আজও ফেরত পায়নি চাকরি প্রার্থীরা, এমনটাই অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত উল্টে সংবাদ মাধ্যমকে হুমকির দিতে থাকেন।
শখে কেনা জিনিসের প্রতি সকলেরই টান থাকে। আর সেটা যদি হয় গাড়ি (Car), বাইক (Bike) বা স্কুটি (scooter), তাহলে তো কথাই নেই। নো-পার্কিং জোনে (No-Parking Zone) রাখায় ক্রেনে করে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল স্কুটিটি। আর তা জানতে পেরে ছুটে আসেন স্কুটির মালিক। ততক্ষণে ক্রেনের দড়িতে বেঁধে ফেলা হয়েছে স্কুটিটি। উপায় না দেখে স্কুটির উপরেই বসে পড়লেন তিনি। তাঁকে সহ ক্রেন স্কুটিটি তুলে নিল। এমন ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral Video) নেটপাড়ায়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাধের স্কুটির উপর বসে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে অনুরোধ করছেন কর্তব্যরত কর্মীরা। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা। তাঁর প্রিয় স্কুটি ছাড়তে কিছুতেই রাজি নন। বাধ্য হয়ে মালিকসমেত স্কুটিকে তুলে নেয় ক্রেন। স্কুটির হ্যান্ডেল ধরে তার উপরেই বসে শূন্যে ঝুলতে থাকেন ওই ব্যক্তি।
এমন দৃশ্য দেখে হতচকিত পথচারীরা। পাশপাশি ভিডিও শেয়ার হতেই আসে কমেন্টের ঝড়। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের নাগপুরের সদর বাজারের। ইনস্টাগ্রামে হামনাগপুরকর নামে অ্যাকাউন্টে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে।
মদের দোকানের (liquor store) হিসাবরক্ষককে (cashier) কুপিয়ে হত্যা (brutal Murder) করল চার আততায়ী। কোয়েম্বাটুরের (Coimbatore) এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল (Viral)। ঘটনাটি ঘটেছে ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন, অর্থাৎ ১৫ই অগাস্ট সোমবার।
মৃত ওই হিসাব রক্ষক শিবগাঙ্গাইর কালাইয়াপ্পান, কোয়েম্বাটোর জেলার সিরুমুগাই শহরের বাসিন্দা। তিনি তামিলনাড়ু স্টেট মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেডের (TASMAC) বারের ক্যাশিয়ার হিসাবে কাজ করছিলেন।
সোমবার যখন কালাইয়াপ্পান বারে কাজ করছিলেন, তখন চারজনের একটি দল ঢুকে পড়ে। তিনি কোনও কিছু বলার আগেই, দুষ্কৃতীরা কাস্তে দিয়ে আক্রমণ করতে শুরু করে তাঁকে। তাঁকে নির্মমভাবে কুপিয়ে মারতে শুরু করে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে তারা পালিয়ে যায়।
সিরুমুগাই পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে কালাইয়াপ্পানের দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মেট্টুপালায়ম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিস আরও জানতে পেরেছে, এর আগে তাঁর উপর দু'বার খুনের চেষ্টা হয়েছিল।