অমানবিকতা (Inhumanity)! গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছিল ছয় বছরের একটি ছেলে। সেটাই তার অপরাধ। সেকারণে গাড়ির মালিক ওই বচ্চা ছেলেটির বুকে লাথি (kicking) মারেন। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে (Kerala)। ইতিমধ্যে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ব্যস্ত রাস্তা। একটি ছেলে রাস্তার একপাশে রাখা একটি সাদা গাড়ির সামনে ঝুঁকে পড়ে কিছু দেখছিল। তখন গাড়ির চালক বের হয়ে ছেলেটিকে কিছু বলে এবং বুকে লাথিও মারে। ছেলেটি চুপচাপ সরে যায় এবং লোকটি তার গাড়ির ভিতরে ফিরে আসে। জানা গিয়েছে, ছেলেটি রাজস্থানের এক পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের।
ঘটনাটি স্থানীয় কিছু লোকজনের নজরে আসে। তাঁরা এসে গাড়ির গাড়ির চারপাশে জড়ো হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। ওই গাড়ির মালিক তাঁদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। এরপরে পুলিস পন্যামপালামের বাসিন্দা শিহশাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তাঁকে পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক তরুণ আইনজীবী রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এ ঘটনার কথা পুলিস কে জানান।
এদিকে, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পুলিস প্রাথমিক ভাবে নরম মনোভাব দেখানোয় মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। কিন্তু গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়ায় জনরোষ তৈরি হয়। এরপরই পুলিস তৎপর হয়ে শুক্রবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) একটি হাসপাতালের ভিডিও শোরগোল ফেলে দিয়েছে। সেই ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) দেখে শিউরে উঠেছেন সাধারণ মানুষ থেকে নেটিজেনরাও। উঠছে হাসপাতলের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন। ভিডিওটি পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কুশীনগরের সরকারি হাসপাতালের।
২৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন এক রোগী। গুরুতর আহত অবস্থায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। মাথায় আর মুখে লেগে রয়েছে রক্ত। এমনকি মেঝেও রক্তারক্তি। আর তাঁর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি কুকুর। আর ওই ওয়ার্ড একেবারে ফাঁকা। কোনও রোগী নেই। নেই চিকিৎসক বা নার্সের দেখা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি নেশায় বুঁদ হয়ে ছিলেন। যে কারণে তিনি বার বার বেড থেকে পড়ে যাচ্ছিলেন। আর যদি তা হয়েও থাকে, তাহলে কেন নার্স বা চিকিৎসক নেই ওই ওয়ার্ডে? কেন একটা ফাঁকা ঘরে রাখা হয়েছে তাঁকে? কুশীনগর সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার-ইন-চার্জ এসকে বর্মা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহত ওই ব্যক্তিকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাথায় এবং মুখে আঘাত লেগেছিল তাঁর।
রোগী মাদকাসক্ত হওয়ার বারবার বেড থেকে পড়ে যাচ্ছিলেন। বর্মার কথায়, ‘‘চিকিৎসক এবং নার্সরা পাশের একটি ওয়ার্ডে এক আশঙ্কাজনক রোগীকে দেখছিলেন। তখনই এই ভিডিও তোলা।’’ পরে ওই রোগীকে গোরক্ষপুর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কুশীনগর সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার-ইন-চার্জ এসকে বর্মা জানান, ওই ব্যক্তি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এর ফলে মাথায় ও মুখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। বর্মার দাবি, 'ওই ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। যে কারণে চিকিৎসা চলাকালীনও একাধিকবার বিছানা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। ভিডিওটি যখন শ্যুট করা হয়েছিল, তখন ডাক্তার এবং কর্তব্যরত ওয়ার্ড বয় একটি ভিন্ন ওয়ার্ডে জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন।'
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের ছয় চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং কর্তব্যরত ডাক্তারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বিরাট সমস্যায় বিরাট(Virat kohli)। আমজনতার দুয়ারে কিং বিরাটের অন্দরমহল। সৌজন্যে অত্যুৎসাহী ভক্ত আর সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2022) খেলতে অস্ট্রেলিয়াতে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। রোহিত, হার্দিকরা শেষ ম্যাচ খেলেছেন পার্থে। ওখানেই ক্রাউন টাওয়ার হোটেলে ছিল টিম ইন্ডিয়া।
অভিযোগ, মাঠে ছিলেন বিরাট। ওই সময় হোটেলের ফাঁকা ঘরে ঢুকে কেউ বানিয়ে ফেলেন ভিডিও। ব্যাট, বুট, জুতো, জামা-কাপড়, চশমা ,টুপি, ডায়রি এমনকি ওয়ার্ডরোবের দৃশ্য রয়েছে ভিডিওতে। ব্যস, আর যায় কোথায়। মুহূর্তে ভাইরাল ওই ভিডিও। বিরাটের নজরে আসতে দেরি হয়নি। প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন তিনি। প্রোটিয়া ম্যাচের পর হোটেলে ফিরে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন তিনি। এই ধরণের ভিডিও তাঁর গোপনীয়তা ক্ষুন্ন করেছে। হোটেলের রুমে এমনটা হলো কি করে? প্রশ্ন তুলেছেন তারকা ক্রিকেটার।
বিরাটের স্ত্রী তথা সিলভার স্ক্রিনের তারকা অনুষ্কা শর্মাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি নিন্দা করে কড়া পোস্ট করেছেন। সব মিলিয়ে হাওয়া গরম। হোটেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সেটা খুঁজে বার করার। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যারা ভিডিওটি বানিয়েছিলেন, তাঁরা কোট-প্যান্ট পরে রয়েছেন। পোশাক দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা হোটেলেরই কর্মী। যদিও এব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এই ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিরাট।পাশাপাশি তিনি আতঙ্ক প্রকাশও করেছেন। সেই ভিডিও শেয়ার করে কোহলি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘‘আমি জানি, অনুগামীরা সবসময় তাঁদের প্রিয় খেলোয়াড়কে দেখে আনন্দ পান, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। আমি তাঁদের সমর্থন করি। কিন্তু এই ভিডিও দেখে আমি আতঙ্কিত। যদি আমার হোটেলের ঘরেই আমার গোপনীয়তা রক্ষা না হয়, তা হলে কোথায় আমার ব্যক্তিগত বিষয় রক্ষা হবে?’’
এই ঘটনায় যে তিনি চরম বিরক্ত, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কোহলি। লিখেছেন, ‘‘এই ধরনের ভালবাসা আমি চাই না। এভাবে কারও ব্যক্তিগত পরিসরে ঢোকা উচিত নয়। দয়া করে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন। তাঁদের বিনোদনের পণ্য করে তুলবেন না।’’
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ঠান্ডা খাবার নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল ভারতীয় দল। অনুশীলনের পর ঠান্ডা, শক্ত স্যান্ডউইচ দেওয়া হয়েছিল দলকে। ক্ষুব্ধ ভারতীয় দল খাবার প্রত্যাখ্যান করে। অভিযোগ করা হয় আইসিসির কাছে। সেই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই ফের বিড়ম্বনা। সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। তারকা হবার জ্বালা কি কম?
বাংলা কি ফিরে গেল সেই জমিদারী জমানায়? এ প্রশ্নই এই মুহূর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে। মোটা গদি দেওয়া সোফায় বাবুয়ানা কায়দায় বসে রয়েছেন তিনি যে সে ব্যক্তি নন, তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিধায়কের (MLA) ভাই। আর সেখানে প্রায় বুকের কাছে তুলে পরম যত্নে তাঁর পদসেবা করে চলেছেন এক দলীয় কর্মী! আর সেই ভিডিওই এখন রাজ্য রাজনীতির চর্চার বিষয়। সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই তৃণমূল শ্রমিক নেতার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, আর যা এখন তুমুল ভাইরাল স্যোশাল মিডিয়ায় (Social Media)।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নীল পাঞ্জাবি পড়ে গদি চেয়ারে গা এলিয়ে বসে রয়েছেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারের ভাই তথা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র নেতা পার্থপ্রতিম সরকার ওরফে বাপি, আর সেখানেই তাঁর পা টিপে দিচ্ছেন এক কর্মী, অবশ্য সেই কর্মীকে বেশ ক্লান্ত বলেই নাকি মনে হচ্ছে ভিডিওতে। অবশ্য এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। জানা গিয়েছে গত ২৮ অক্টোবর রাতে গোকর্ণ এলাকার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ঘটে এই ঘটনা, যা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক তরজা। শরিফুল ইসলাম নামে এক কংগ্রেস কর্মী এই ভিডিওটি স্যোশাল মিডিয়ায় আপলোড করেন বলে দাবি, পরে বিতর্ক বাড়লে তিনি সেটি সরিয়েও নিয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনায় মুখর বিজেপি। দাসপ্রথা আবার বাংলায় ফিরে এসেছে এই শাসক দলের আমলে বলে সরাসরি ঘাসফুল শিবিরকে আক্রমণ পদ্ম বাহিনীর। ধ্যযুগীয় বর্বরতাকে মনে করাচ্ছে এই ভিডিও বলে মত বিজেপির। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতারা যে তাঁদের কর্মীদের চাকরবাকর ভাবেন, তা প্রমাণ হল, বলে তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের।
এদিকে অবশ্য এই গোটা ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথা বলেছে তৃণমূল। গোকর্ণ নেতাজি সুভাষ উদ্যানে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন বাপি সরকার, তাই তাঁর পায়ে বরফ লাগিয়ে দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন মালিশ করে দেওয়া তৃণমূল কর্মী সদ্দাম মীর। এরই সঙ্গে র্যাম্পে উঠতে গিয়ে পা হড়কে পড়ে যান, যার ফলে সবাই তাঁকে তুলে ঠাণ্ডা জল ও বরফ ঘষে দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন পার্থপ্রতিম। 'কেউ সৎ উদ্দেশ্যেই হয়ত ছবি তুলেছিল, কিন্তু কেউ সেই ছবি সংগ্রহ করে অসৎ ভাবে স্যোশাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে! এটাই দুঃখ যে পড়ে গেলাম, কোথায় বিরোধীরা সমবেদনা জানাবেন, তা না করে দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।' এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার নজির শহর মালদহে (Malda)। দুশ্চরিত্রের অপবাদ দিয়ে নৃশংস অত্যাচার (brutal torture) করা হল এক মহিলার উপরে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Extramarital affairs) রয়েছে এমন সন্দেহে গ্রামবাসীরা এক মহিলার মাথার চুল কেটে ও কপালে ৪২০ লিখে দেয়। তবে এখানেই শেষ নয়, এরপর তাঁকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়। এমন ঘটনাও হতে পারে, ভাবলেই শিউরে উঠছেন সকলে। তবে নির্মম এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর শ্বশুর। নির্মম এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদহের ক্ষেমপুর জিপির কান্ডরন বেদে পাড়ার ঘটনা।
সূত্রের খবর, মহিলার ওপর যারা নির্যাতন চালাচ্ছিলেন, তাঁরা হলেন ওই মহিলার শাশুড়ি ও দেওর। তাঁর স্বামী গত দেড় দুই বছর আগে মারা গিয়েছেন। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে কান্ডরনে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু কয়েক মাস থেকে তাঁর কতগুলি অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে এমনটাই অভিযোগ করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তিনি মাঝে মধ্যেই রাতে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে যেতেন। তাঁর শাশুড়ি এই সব বিষয় গ্রামবাসীকে জানালে গ্রামে সালিশি সভা বসে। পরে আবার তিনি বাড়ি থেকে বাইরে গেলে গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে ফেলে। এবং তাঁর মাথার চুল কেটে কপালে খোদায় পড়ে ৪২০। আর এই সমস্ত ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সেই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি সিএন পোর্টাল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বচসার জেরে এক ট্রেন যাত্রীকে (train passenger) চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল অপর এক যাত্রী। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল ট্রেনের বাকি সহযাত্রীরা। ঘটনাটি হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস (Howrah-Malda Intercity Express) ট্রেনের। সেই দৃশ্য মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করলেন এক মুক ও বধির যাত্রী। জানা যায়, ঘটনাটি তারাপীঠ রোড (Tarapith Road) ও রামপুরহাট রেল স্টেশনের মাঝে ঘটে। ওই মুক ও বধির যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে মুরারই থানায় বিষয়টি জানান। মুরারই থানার পুলিস (police) বিষয়টি রেল পুলিসকে (rail police) জানায়।
অবশেষে রাতেই আহত অবস্থায় রেল পুলিস ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ভর্তি করে। পুলিস সূত্রে খবর, আহত ওই যাত্রীর নাম সজল সেখ। তাঁর বাড়ি রামপুরহাট সুন্দিপুর এলাকায়। আহত ওই যাত্রী মদ্যপ অবস্থায় সাঁইথিয়া থেকে হাওড়া মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস একটি প্রতিবন্ধী কামরায় ওঠেন। সেই সময় এক যাত্রীর সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। সেই সময় চলন্ত ট্রেন থেকে তারাপীঠ রামপুরহাট স্টেশনের মাঝে তাঁকে ফেলে দেয় ওই যাত্রী। ট্রেনের এই ছবি প্রথমে মুরারই থানার পুলিসের কাছে আসে। সেই ছবি ও খবর রামপুরহাট, তারাপীঠ রেল পুলিস ও রেল আধিকারিকদের কাছে দেওয়া হয়। রাতেই রেল পুলিস তারাপীঠ রামপুরহাট রেল লাইন তল্লাশি শুরু করে।
এরপর রামপুরহাট স্টেশন ঢোকার কিছুটা দূরে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রেল পুলিস, তড়িঘড়ি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। যদিও যে যাত্রী তাঁকে ফেলে দিয়েছিলেন সেই যাত্রীর এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তদন্তে রেল পুলিস।
পুলিস ভ্যানের নিচে আটকে একটি বাইক (Bike) এবং তার আরোহী। আর দাউদাউ করে জ্বলছে সেই বাস (Fired Bus)। এই অবস্থায় বুধবার সকালে বিহারের (Bihar) চাপরা-সিওয়ান হাইওয়েতে ছুটে চলেছে পুলিস ভ্যানটি। জানা গিয়েছে, ১০০ মিটার রাস্তা অতিক্রম অবশেষে বাসটি থামে। ততক্ষণে ভ্যানের নিচে আটকে থাকা যুবক আগুনে ঝলসে মারা (Death) যান।
সূত্রের খবর, ওই পুলিস বাসের ধাক্কায় তিন বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। তিন জনের মধ্যে একজন ছিটকে বাসের নিচে আটকে যান। আর এই মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও করেছে কোনও এক যাত্রী। যা বর্তমানে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে, বাসের জ্বালানি ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণের ফলে আগুন ধরে যায়। ভ্যানে থাকা সকল পুলিসকর্মী তড়িঘড়ি বাস থেকে নেমে যান। এরপর তাঁদের নির্দিষ্ট দূরত্বে সরে যেতে দেখা যায় ভিডিওয়।
উল্লেখ্য, বাসটি জয়প্রকাশ নারায়ণের ১২০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিল। সেই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগে কোনও কিছুই আর ধামাচাপা থাকে না। বাচ্চাদের নানারকম মজাদার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল (Viral) হয়ে যায় নেটপাড়ায়। আর নেট নাগরিকরাও তা আদ্যপান্ত উপভোগ করেন। সম্প্রতি একটি খুদের ভিডিও ঘোরাঘুরি করছে নেটদুনিয়ায়। সেই খুদের ভাবনা দেখে হাসি আটকে রাখতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।
বাচ্চারা পড়াশুনো থেকে একটু পালাতেই ভালোবাসে। খুবই কম বাচ্চা রয়েছে যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বইয়ের মধ্যে মুখ গুজে বসে থাকে। শিশুদের পড়াশোনা নিয়ে বাবা-মাকে কোনওরকম ঝক্কি পোহাতে হয় না, এমন সংখ্যাটা অনেক কম। ভিডিওতে ভাইরাল হয়েছে এমনই এক খুদে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অঝোরে কাঁদছে বাচ্চাটি। আর তার মায়ের কাছে বলছে, “সারাজীবন পড়াশোনা করতে করতে বুড়ো হয়ে যাব। পাগল মা।” ছেলের সেই মন্তব্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন খোদ মা। শিশুটি আবারও একই কথা বলে তার মাকে, “এত পড়াশোনা করতে করতে আমি তো বুড়ো হয়ে যাব!” তারপরই আবার কাঁদতে শুরু করে সে।
এরপর ক্যামেরার পিছনে থাকা খুদের মাকে বলতে শোনা যায়, “কেন বুড়ো হয়ে যাবি? তার মানে, ক, খ লিখতে লিখতে তুই বুড়ো হয়ে যাবি?” এরপরও একই কথা বলে চলে বাচ্চাটি। তখন তার মা তাকে বলেন, “সারাজীবন অশিক্ষিত থেকে বুড়ো হওয়ার চেয়ে লেখাপড়া করে বুড়ো হওয়া অনেক ভাল।” আবার কাঁদতে শুরু করে দেয় সেই বাচ্চা।
নেটদুনিয়ার (Social Media) অন্যতম সেনসেশন হয়ে উঠেছেন বিগ বস (Bigg Boss) খ্যাত অভিনেত্রী শেহনাজ গিল (Shehnaaz Gill)। পঞ্জাবী গুড়িয়া শেহনাজ বিগ বসের দৌলতে সব বয়সী মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ছটফটে, প্রাণবন্ত পঞ্জাবী এই মেয়েটাকে বড়ই পছন্দ করেন অনুরাগীরা। কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে সারাক্ষণই চর্চায় থাকেন তিনি। এবার বিমানবন্দরে এক ভক্তকে সহবত শেখালেন শেহনাজ। সেই ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায়।
রবিবার বেঙ্গালুরুর এক চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সেরে সোমবার মুম্বই বিমানবন্দরে নামতেই ঘিরে ধরেন অনুরাগীরা। সকলেই তাঁদের প্রিয় শেহনাজের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হতে চান। ভক্তদের কখনই ফিরিয়ে দেননা তিনি। সকলের সঙ্গেই ছবি তোলেন।
কিন্তু এক ভক্ত অতিরিক্ত আনন্দের বশে নিজেকে আর সামলাতে পারলেন না। শেহনাজের কাঁধের উপর হাত তুলে দিয়ে ছবি তুলতে যান। তখনই শেহনাজ নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই অনুরাগী তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। শেহনাজ যদিও ছবি তোলেন। এরপর শেহনাজ ওই ভক্তের দিকে ফিরে জিজ্ঞেস করেন, "কী ভেবেছিলে, তুমি আমার বন্ধু?"
এর থেকে স্পষ্ট সেলিব্রেটিদের দেখে অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েন। এতে তাঁরাও অস্বস্তিতে পরেন। সবসময় একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই এক ভক্ত ভিডিয়োতে মন্তব্য করেছেন, “তিনি নিজেই নিজের সুরক্ষা করতে পারেন।” অন্য এক জন লিখেছেন, “ভক্তের উচিত সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখা। শেহনাজ গিলকে সম্মান করুন।” আর এক ভক্ত লিখেছেন, “তিনি এমনিতে খুব মজার, কিন্তু আসলে বস-এর মতো!”
বড় বিষধর সাপ (Snake)! ধরুন কোনও দিন ড্রাইভ করে যাচ্ছেন। আর আপনার গাড়ির সামনে রাস্তা আটকে রয়েছে প্রায় ১০ ফুটের বিশালাকার সাপ। কী করবেন সেই মুহূর্তে। নিশ্চই গাড়ি থেকে নেমে সাপটিকে সরিয়ে, আবার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন না? কিন্তু বাস্তবে এই অবিশ্বাস্য কাজটি করেছেন এক ব্যক্তি। সেই ভিডিও (Video) রীতিমতো ভাইরাল (Viral Video) নেটপাড়ায় (Social Media)। যা দেখে চক্ষু ছানাবড়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির হেডলাইটে আলোকিত হয়েছে অন্ধকার রাস্তা। আর সামনেই দেখা যাচ্ছে বিশালাকার এক সাপ। এর ফলে রাস্তায় গাড়ি আটকে গিয়েছিল। হঠাৎ এক ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে কোনও ভয়ডর ছাড়া সাপের দিকে এগিয়ে যান। পিছন থেকে তাঁকে সাপের কাছাকাছি যেতে নিষেধও করেন। কোনও কথার পাট্টা না দিয়ে একেবারে পেশাদার ‘স্নেকক্যাচার’দের মতো খালি হাতে সাপের মুখ ধরেন। সে সময় সাপটি ওই ব্যক্তির উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা সামলে নিয়েই সাপটিকে জঙ্গলের দিকে ছুড়ে দেন। সাপটিও চলে যায়।
Your views on it. Going in wildlife habitat & disturbing or saving it from road accident. Video is from important wildlife habitual in south India. @BoskyKhanna pic.twitter.com/7W110lg3CD
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) September 30, 2022
যা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত নেটপাড়ার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, ভিডিয়োটি দক্ষিণ ভারতের কোনও একটি রাজ্যের।
সংসার চালাতে নিজের কষ্টকে তুচ্ছ করে খাবার ডেলিভারি (Food Delivery) করে চলেছেন যুবক। আর ওই যুবকের সঙ্গে লিফটে (Lift) দেখা হয় আবাসনের এক বাসিন্দার। আর তাঁদের দুজনের মধ্যিকার কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল। ডেলিভারি বয়ের কথা শুনে, মন ভারাক্রান্ত আবাসিকের, সে কথাও ভাইরাল করেছেন ওই ব্যক্তি। এও বলেন, ডেলিভারি বয় থেকে শিক্ষা অর্জন করেছেন তিনি।
কী এমন ঘটেছিল? ওই যুবক যখন অর্ডার করা খাবার গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দিতে যায়, তখন লিফটে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় বাসিন্দা তারিক খানের। চোখ যায় যুবকের পায়ের দিকে। তারিক দেখতে পান, খালি পায়ে খাবার দিতে এসছেন। এর কারণ কী জানতে চাইলে যুবক বলেন, 'একটা দুর্ঘটনায় তাঁর পায়ে চোট লাগে। এতে তাঁর গোড়ালি ফুলে গিয়েছে। তাই ব্যাথার কারণে জুতো খুলে হাঁটছেন।'
তখন তারিক প্রশ্ন করেন, তাহলে কাজ না করে বিশ্রাম কেন নিচ্ছেন না? উত্তরে যুবক বলেন, 'গোটা পরিবার তাঁর উপর নির্ভরশীল। কাজ না করলে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।' এই জবাব শুনে আর কিছু বলতে পারেননি তারিক। লিফট থেকে বেরোনোর সময় যুবককে 'স্যার' বলে সম্বোধন করেন তারিক।
সম্প্রতি ফিল্মি কায়দায় বাগদান (engagement) সারলেন সুপারস্টার আমির খানের (Amir Khan) প্রথম পক্ষের মেয়ে ইরা খান (Ira Khan)। একটি সাইকেল চালানোর ইভেন্টে গিয়েই হল বাগদান। সেই ভিডিও এখন রীতিমত ভাইরাল (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই নেটিজেনদের কৌতূহল দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। কে এই নূপুর শিখর (Nupur Shikhare)? পেশাগতভাবে কী করেন তিনি? ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেও জানতে উদগ্রীব সকলে।
৩৫ বছর বয়সি নূপুর পেশাগতভাবে একজন ‘সেলিব্রিটি ফিটনেস ট্রেনার’। আমির থেকে শুরু করে বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেনকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। সুস্মিতাকে বহু বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন নূপুর। এমনকি ইরারও ফিটনেস প্রশিক্ষক নূপুর। সেখান থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব এবং প্রেমের শুরু বলে মনে করেন অনেকে।
মহারাষ্ট্রের পুণেতে জন্ম হয় নূপুরের ১৯৮৫ সালের ১৭ অক্টোবর। মুম্বইয়ের আরএ পোদ্দার কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিকস্ কলেজ থেকে স্নাতক হন। নূপুরের মা প্রীতম শিখারে এক জন নৃত্যশিল্পী। নূপুরের নাচের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে।
এছাড়া ২০১৪ সালে ‘আয়রনম্যান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ’-এ অংশ নেন নূপুর। ২০১৭ সালে তিনি আমেরিকার শরীরচর্চা সংক্রান্ত রিয়্যালিটি শো ‘আলটিমেট বিস্টমাস্টার’-এর দ্বিতীয় সিজনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিক ‘আলাদিন’-এর অ্যাকশন ডিরেক্টর হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দু'বছর ধরে ফিটনেস ট্রেনার নূপুর শিখরের সঙ্গে প্রেম করছেন ইরা। প্রেম নিয়ে কখনো লুকোচুরি করেননি তিনি। নিয়মিতই প্রেমিকের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে (Instagram)।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক ‘সাইকেলিং ইভেন্ট’-এ অংশ নিয়েছিলেন নূপুর। সেখান দর্শকাসনে হাজির ছিলেন ইরাও। হঠাৎ ইরার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। একটুও সময় ব্যয় না করে ‘হ্যাঁ’ বলেন ইরা। এরপরেই তাঁর আঙুলে আংটি পরিয়ে দেন নূপুর। আংটি পরিয়ে দেওয়ার পর চুম্বন করেন এই যুগল। ইনস্টাগ্রামে ইরা নিজেই সেই ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি হ্যাঁ বলেছি।’
গত দু'দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। যা দেখে নেটিজেনদের চক্ষু কার্যত চড়কগাছ। সকলেরই একটাই প্রশ্ন এ কেমন ধরনের অমানবিক শাস্তি? যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ (Accident) ঘটে যেতে পারত এক অভিযুক্তর। অভিযুক্ত যে দোষ করেছেন, তা যেমন অন্যায়। তেমনই যাত্রীরা যে শাস্তি দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। এমনটাই আলোচনা নেটদুনিয়ায়। কী এমন ঘটেছে?
বুধবার রাতে বিহারের (Bihar) বেগুসরাইয়ের ঘটনা। বেগুসরাই থেকে খাগারিয়া যাচ্ছিল ট্রেন। পথে সাহেবপুর কামাল স্টেশনে জানলা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মোবাইল চুরির (Robbery)চেষ্টা করেন এক যুবক। তখনই যাত্রীরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁকে। আর সে মুহূর্তে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে চলতে শুরু করে। তখনই অভিযুক্তর দু'হাত, দু'জন যাত্রী চেপে ধরে রাখেন। প্রায় ১০ কিলোমিটার ট্রেনের জানলার বাইরে ভিতরে হাত গলিয়ে ঝুলতে ঝুলতে (hanging) গেলেন সেই যুবক।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক কাকুতি মিনতি করছেন, তাঁর হাত যেন ছেড়ে না দেওয়া হয়। কারণ হাত ছাড়লেই মৃত্যু অনিবার্য। আর যদি কোনও কারণে হাত ফস্কে যায়, তাহলেও ঘটে যেতে পারে বড় কোনও ধরনের বিপদ।
#WATCH | Khagaria, Bihar: Passengers caught hold of a man, kept him hanging outside from a window of a moving train as he allegedly tried to snatch mobile phones from them (15.09) pic.twitter.com/PY71wN2BmD
— ANI (@ANI) September 15, 2022
যদিও জানা গিয়েছে, যাত্রীরা ছাড়েননি হাত। সাহেবপুর কামাল স্টেশন থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে খাগারিয়া পর্যন্ত এভাবেই ঝুলতে ঝুলতে নিয়ে যাওয়া হয় যুবককে। এরপর সে পালিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। যদিও ভিডিওটি দেখার পর নেটাগরিকরা প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। রেল পুলিসের নজর এড়িয়ে এমনটা কিভাবে হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
কথায় বলে রাখে হরি মারে কে! এবার এই প্রবাদ আক্ষরিক অর্থেই মিলে গেল। চলন্ত ট্রেনের (Train) নিচে পড়ে গেলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু ট্রেন চলে যেতেই এক্কেবারে সুস্থ অবস্থায় দিব্যি উঠে দাঁড়ালেন তিনি। কীভাবে সম্ভব হল এমনটা?
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। বেশ কিছু মানুষ সাক্ষী থাকলেন এই ঘটনার। চলন্ত ট্রেনের নিচে শুয়ে পড়েও প্রাণ বেঁচেছেন ওই ব্যক্তি। যা দেখে স্বস্তি পেলেন প্ল্যাটফর্মে থাকা মানুষজন। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে নেটমাধ্যমে (Socal Media), যা নিয়ে নিয়ে নেটপাড়া সরগরম।
কোনও এক যাত্রী এই ভিডিও করেছেন। প্রথমে ভিডিওটি দেখে সবটা স্বাভাবিক মনে হলেও শেষে রয়েছে চমক। যা দেখে আঁতকে ওঠারই কথা। ট্রেন চলে যাওয়ার পরেই রেললাইনে উঠে দাঁড়ান এক ব্যক্তি। প্ল্যাটফর্মে থাকা সকলের দিকে হাতজোড় করে ধন্যবাদ জানান। বড় বিপদের হাত থেকে তিনি যে বেঁচে গিয়েছেন, তা চোখমুখের হাবভাবেই স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল। এমনকি হাত জোড় করে ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রণাম জানাতেও দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে। এদিক-ওদিক পড়ে ছিল ওই ব্যক্তির জিনিসপত্র।
Viral Video : Train passed over a man at Bharthana railway station in Etawah as death..., watch breath-taking video pic.twitter.com/eHtn1LcN1A
— santosh singh (@SantoshGaharwar) September 6, 2022
মনে করা হচ্ছে, ট্রেন প্ল্যাটফর্মে যখন ঢুকছিল তখনই তিনি পড়ে যান। তারপরই তাঁর উপর দিয়ে ট্রেন চলে যায়। এককথায়, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি।
সাঁতার কেটে চম্পাবতী নদী (Champavathi River) পার হয়ে পরীক্ষা দিতে গেলেন এক তরুণী। শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ভিজিয়ানগরামে পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছিল মেয়েটির। সেসময় হঠাৎই চম্পাবতী নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। উপায় না দেখে শুক্রবারই সাঁতারে নদী পার হয়ে যান তিনি। তদ্দি কালবতী (Taddi Kalavathi) নামে ওই তরুণী গজপতিনগরম মণ্ডলের মারিভালাসা (Marrivalasa) গ্রামের বাসিন্দা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কালবতী তাঁর দুই ভাইয়ের সাহায্যে প্লাবিত চম্পাবতী নদী পার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শনিবার থাকা পরীক্ষায় যাতে বসতে পারে তাই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে শুক্রবারই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা।
৩৫ সেকেন্ডের দীর্ঘ এই ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যায়, কালবতী যেখানে হাঁটতে পারছেননা, সেখানে তাঁর ভাইয়েরা কাঁধে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
বৃষ্টির কারণে উত্তরকূলীয় এই চম্পাবতী নদীর জল বেড়ে গিয়ে প্লাবনের আকার ধারণ করেছে। শেষ পর্যন্ত কলাবতীর প্রচেষ্টা সফল হল। কথায় তো রয়েছে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। জীবনের পরোয়া না করে ঝুঁকি নিয়েই পার হলেন তাঁরা। ভিডিও দেখে রীতিমতো প্রশংসার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা।