যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur Universitry) এবারে একবারে উল্টো দৃশ্য। সাধারণত যাদবপুরে ধরনা বলতেই পড়ুয়াদের কথাই মাথায় আসে। কিন্তু এবারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরনায় বসলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা। পড়ুয়া মৃত্যু ঘটনার জেরেই শিরোনামে উঠে এসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিয়ে বারাবর পড়ুয়ারা কাঠগড়ায় তুলেছিল কর্তৃপক্ষদের। তবে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'উলট পুরাণ'। বিক্ষোভে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা। পড়ুয়াদের হাতে লাগাতার হেনস্থা ও অপমানের অভিযোগ তুলে এই ধরনা বলে দাবি শীর্ষ আধিকারিকদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের বাইরে বুধবার রাত থেকে অবস্থানে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ, সহ উপাচার্য অমিতাভ ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সকালেও চলছে ধরনা অবস্থান।
বুধবার ইসি মিটিং চলাকালীন অবস্থান বিক্ষোভে বসার সিদ্ধান্ত নেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের দাবি, যতবারই ইসি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ততবারই তা বানচাল করার চেষ্টা করেছেন ছাত্ররা। বুধবার ইসি মিটিং চলাকালীন ভিতরে এসে স্লোগান দেন পড়ুয়ারা। তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চান, কেন তাঁদের এতক্ষণ ডাকা হয়নি? এও দাবি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা বোর্ডে রাখতে হবে স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টিভ। ফলে পড়ুয়াদের এরূপ বিক্ষোভের জেরেই তাঁরা ধরনায় বসেন বলে সূত্রের খবর।
এর আগে উপাচার্যের মুখে শোনা গিয়েছিল র্যাগিং-এর শিকার তিনি। এবার সহ উপাচার্যের মুখেও শোনা গেল একই কথা। তিনি বলেন দিনের পর অধ্যাপকদের সমস্ত কাজে বাধা দিয়ে তাঁদের র্যাগিং করা হচ্ছে। পড়ুয়া মৃত্যুর বিচার করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাঁদের দাবি। সকলে বার্তা দিতে চাইছেন যে তাঁরা অসহায়। কাজ করতে পারছেন না তাঁরা। এদিন কার্যত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন উপাচার্য। এত পড়ুয়ার উপস্থিতিতে পড়ুয়া মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটল। যেসব পড়ুয়ারা হস্টেলের দায়িত্বে ছিল তাঁরা কী করছিল। 'যাদের জন্য এত বড় ঘটনা ঘটল তারাই আজ তৈরি করবে নিয়ম?' প্রশ্ন উপাচার্যের। তিনি আরও বলেন কিছু পড়ুয়াদের জন্য কালিমালিপ্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্য়ালয়। ফলে সবকিছু ঘিরে ফের তপ্ত ক্যাম্পাস।
হাসপাতালের পর এবার কলেজে ভর্তির জন্যও দালালরাজ। কলেজে ভর্তির জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। পূর্বে কলেজে ভর্তির জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় হাসপাতালগুলিতে দালালরাজের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রোগী ভর্তিতে টাকা চাওয়ায় সম্প্রতি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এই আবহেই রাজ্য তথা দেশের অন্যতম নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই এবার ভর্তি হওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ টিএমসিপি-র দুই নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস-এর ওডিশি নৃত্য বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ অনন্যা সরকার নামে এক ছাত্রীর। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই নেতা ইন্দ্রজিৎ দোলই ও অভিজিৎ দাসের দিকে। অভিযোগ, সমস্ত মন্ত্রী-বিধায়ক, এমনকি পুলিসও তাদের হাতে আছে বলেও নাকি রীতিমতো শাসানো হয় ওই ছাত্রীকে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতাকে ফোন করা হলে তাঁদের ফোন পাওয়া যায়নি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর ফের শিরোনামে যাদবপুর। পূর্ব যাদবপুরের গ্রিনপার্ক এলাকায় নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। সূত্রের খবর, গ্রিনপার্ক এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা বছর ২২-এর মল্লিকা দাস। সোমবার সকালে নিজের ঘর থেকেই নার্সিং-এর চতুর্থ বর্ষের ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে সহপাঠীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যাদবপুর থানার পুলিস। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল মল্লিকা।
কিন্তু এই মৃত্যুর কারণ কি? সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি মানিসিক অবসাদ নাকি মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিস। তবে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রাণোচ্ছল মেয়ে ছিল মল্লিকা। বন্ধুদের সাথে মিলে মিশে থাকত। কোনও ঝামেলা ছিলনা। ঠিক কী কারণে এই মৃ্ত্যু তা স্পষ্ট নয় তাদের কাছেও।
একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বাঁকুড়ার হাড়মাসড়া গ্রাম থেকে শহরে পড়তে এসেছিল মল্লিকা।ছিল জীবনে কিছু করার তাগিদ। এক লহমায় বদলে গেল বাস্তব ছবি। পরিবারের মায়া কাটিয়ে না ফেরা দেশে হারিয়ে গেল মল্লিকা। মল্লিকার অকাল প্রয়ানে শোকস্তব্ধ গোটা হাড়মাসড়া গ্রাম।
প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) এক ছাত্রকে (Student) অপহরণ করলো দুষ্কৃতীরা। ভাড়া বাড়িতে ঢুকে তুলে নিয়ে গেলো ছাত্রটিকে।। থানায় মেইল (Email) করে অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ছেলেটির নাম পান্না চারা। তাঁর বাড়ি মায়ানমারে। বিশ্বভারতীর সংস্কৃত ডিপার্টমেন্ট-এর পিএইচডি স্কলার ফাইনাল ইয়ারের এর পড়ুয়া পান্না।। শান্তিনিকেতনের ইন্দিরা পল্লী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এই ছাত্র। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ ৭ থেকে ৮ জন দুষ্কৃতী আসে গাড়ি নিয়ে। তারপর যে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সেই ভাড়া বাড়িতে প্রবেশ করে ছাত্রটিকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
আর এই ঘটনার পরই সন্ধ্যেবেলায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান ছাত্রের বন্ধু। জানানোর পরেই কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বোলপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেইল মারফত। পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার অভিযোগের ভিত্ততে তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে কারা, কেন, কী উদ্দেশ্যে ছাত্রকে অপহরণ করল সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।ো কেবল টাকার উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এখনও অবধি এই মামলায় ১২ জন হাজতে। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের একাধিক ‘অপ্রিয় সত্য’ সামনে এসেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে। সিসিটিভি বসানোর দাবিও উঠেছিল। র্যাগিং-এর প্রসঙ্গও জোরালো হয়েছে। অবশেষে, টনক নড়ল কর্তৃপক্ষের। কড়া নিয়মে শৃঙ্খলা ফেরাতে যাদবপুরের হস্টেলে রাতে অবাধ যাতায়াত বন্ধ করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে রাত ১০ টা বাজলেই তালা পড়ে যাবে যাদবপুরের হস্টেলের সব গেটে। গেট বন্ধ থাকবে সকাল ৬টা পর্যন্ত।
এছাড়াও নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে, হস্টেলের সমস্ত বোর্ডারদের সঙ্গে সবসময় থাকতে হবে আইডি কার্ড। দেখতে চাওয়া মাত্রই তা দেখাতে হবে। যদি, কোনও ইমার্জেন্সিতে হস্টেলের বাইরে রাতে বেরতে হয়, তবে আগাম তা সুপারকে জানিয়ে রাখতে হবে বলে নির্দেশ।
শিক্ষা নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্কে এবার নয়া মোড়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যেখানে চলতি মাসের ২০ তারিখ ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছে রাজ্য। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সূত্রের খবর, ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটায় নবান্নে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে তাদের। সূত্রের খবর, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করবে রাজ্য। কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন প্রয়োজনে অর্থনৈতিক অবরোধের পথেও হাঁটবে রাজ্য। তারপরেই এইচ আর এম এস নিয়ে বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে এমন বৈঠকের বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক মহলে রীতিমত শোরগোল পড়েছে বলেই খবর।
সূত্রের খবর, এতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে সরকার বেতন বাবদ একটি টাকা দিত। সেই টাকা অধ্যাপকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেই একাউন্টে পান। এইচ আর এম এস চালু হলে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় কে এড়িয়ে সরাসরি সেই কর্মীর একাউন্টে টাকা পৌঁছে দেবে। এখানে অধ্যাপক সংগঠনের একাংশ মনে করছে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এর ফলে সরকার নিজের ইচ্ছামত কোন অধ্যাপকের বেতন প্রয়োজনে বন্ধ করতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা।
কলেজে অস্থায়ী অধ্যাপক নিয়োগ নিয়ে ফের বিতর্ক। বাঁকুড়ার পর এবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রের খবর, গৌড়বঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ের অন্তর্গত তপনের নাথানিয়াল মুর্মু মেমোরিয়াল কলেজ কতৃপক্ষ অধ্যাপক নিয়োগ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, মোট ৬ জনকে নিয়োগ করা হবে অস্থায়ী এই পদে। আর তাঁদের ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। আর এক সপ্তাহে ১৫টির বেশি ক্লাস দেওয়া হবে না কাউকে। এমন বিজ্ঞপ্তি ঘিরে জোর চর্চা বিভিন্ন মহলে। শিক্ষামহলেরই একাংশের বক্তব্য, হলেনই বা অতিথি শিক্ষক। তবু কলেজে পড়ানোর জন্য ক্লাস পিছু ১০০ টাকা ধার্য করা হল? বিরোধীদের দাবি, এ সরকার শিক্ষার দাম দিতে পারে না। এই ধরনের ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
সূত্রের খবর, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই কলেজে যত সংখ্যক পূর্ণ সময়ের অধ্যাপক আছেন তা যথেষ্ট নয়। তাই গেস্ট লেকচারার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ৬ জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ২ জন বাংলা, ২ জন এডুকেশন, ১ জন রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ১ জন দর্শনের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ হবে। আগামী ২০ তারিখ ইন্টারভিউ। তার আগেই এই বিতর্ক দানা বেধেছে। প্রশ্ন উঠেছে অস্থায়ী অধ্যাপক নিয়োগে কি ইউজিসির নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে?
এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণয় নারাজিনারি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি অমলকুমার রায়ের দাবি, কলেজে অধ্যাপকের সংখ্যা খুবই কম। অথচ ক্লাসের চাপ বাড়ছে। তাই গেস্ট টিচার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদের জন্য ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা খুবই কম মানছেন তিনি। তবে একইসঙ্গে বলেন, “আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ফান্ড থেকে এই বেতন দিতে হবে। আমাদের কলেজের অত সামর্থ নেই। বাধ্য হয়েই এই পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে।”
দীর্ঘ ৮ বছর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল সিসিটিভি। অরবিন্দ ভবন এবার সিসিটিভির আওতায়। এখন শুধু ক্যাম্পাস ও হস্টেল চত্বরে সিসিটিভি বসানোর অপেক্ষা। ছাত্রদের আচরণে অপমান বোধ করছি, তাই নজদারির প্রয়োজন আছে, দাবি উপাচার্যের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মৃত্যু সামনে এনেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অরাজকতার ছবি। একপ্রকার নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। র্যাগিং, মাদকের আসর ক্যাম্পাসে বন্ধ করতে ক্যাম্পাস ও হস্টেল চত্বরে সিসিটিভি বসানোর দাবি জোরালো হয় দিনদিন।কেন এতদিন বসেনি সিসিটিভি চারিদিকে উঠেছিল সেই প্রশ্ন।ধীরে ধীরে জোরালো হয় সিসিটিভি তত্ত্ব। এই আবহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সিসিটিভি বসানোর।ওয়েবেলকে ওয়াক ওর্ডার দেওয়া হয় সিসিটিভি বসানোর। কোথায় কোথায় বসবে সিসিটিভি তা নিয়ে বৈঠকও করা হয়েছে ইসরোর সঙ্গেও। তবে পড়ুয়া মৃত্যুর ১ মাস অতিক্রান্ত হলেও ক্যাম্পাসে এখনও বসেনি সিসিটিভি। তবে সিসিটিভি চালু হল এবার অরবিন্দ ভবনে। দেওয়া হয়েছে পোস্টার, উই আর আণ্ডার সিসিটিভি।
উপাচার্যের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে যাদবপুরের টিমিসিপি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি বসাতে হবেই, অরিন্দম ভবনের পাশাপাশি এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় বসাতে হবে সিসিটিভি। তবে উপাচার্যের রুমের সামনে সিসিটিভি বসানো নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে এসএফআই ছাত্র সংগঠনের মধ্যে। তাঁদের দাবি এখন সিসিটিভি বসানোতে জোর না দিয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের অন্য হস্টেলে স্থানান্তর করা দরকার।
ছাত্রদের আচরণে অসম্মান বোধ করেছি, তাই সিসিটিভি অ্যাকটিভ করা হয়েছে, দাবি উপাচার্যের। অন্যান্য জায়গায় সিসিটিভি বসবে ইউজিসির গাইডলাইন মেনেই দাবি উপাচার্যের। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিসিটিভি বির্তক প্রথম না। ২০১৪ সালে তৎতকালীন বর্তমান উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে অরবিন্দ ভবনে সিসিটিভি বসিয়েছিলেন। তবে সেই সময় 'হোক কলরব' ছাত্র আন্দোলনের জেরে ক্যাম্পাস ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। এরপর সুরঞ্জন দাস হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য। তিনি এসে খুলে দিয়েছিলেন অরবিন্দ ভবনের সিসিটিভি। তারপর দীর্ঘ ৮ বছর পর ফের সিসিটিভির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়।তবে সিসিটিভি অ্যাক্টিভ করা হলেও স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে কবে থেকে বসানো হবে সিসিটিভি এখন সেটাই দেখার।
রাজ্য-রাজ্যপাল (Governor) সংঘাতের আবহে ফের নয়া কর্মসূচির ঘোষণা রাজভবনের। এবার রাজ্যপাল আনতে চলেছেন 'স্পিড প্রোগ্রাম'। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। ওই নির্দেশিকায় নতুন কর্মসূচির পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলির কাজে গতি আনতে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, ঠিক এই ঘোষণার আগেই পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধন) বিল সই না করার জন্য রাজভবনের হলফনামা চায় হাইকোর্ট। এরপর মঙ্গলবার রাতেই একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজভবন। সেখানে শিক্ষক নির্বাচন কমিটি, উপাচার্যদের একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মোট ২৫টি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে।
এছাড়া একটি মনিটরিং সেলও চালু করা হয়েছে বলে খবর। এই মনিটরিং সেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন রাজ্যপাল স্বয়ং। নাম রিয়েল টাইম মনিটরিং সেল। ফোন বা ই-মেলে অভিযোগ জানানো যাবে। ফোন নম্বর হল 03322001642 ও মেল আইডি হল aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com। সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘণ্টাই জানানো যাবে অভিযোগ।
রাজ্যে উর্ধ্বমূখী ডেঙ্গির গ্রাফ (Dengue)। তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। একই দিনে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার পরপর দু'জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর (Dengue Death) প্রকাশ্যে আসে। কার্যত ডেঙ্গির দৌরাত্ম্যে তটস্থ বাংলা। তারই মধ্যে সোমবার আবার কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত পড়ুয়ার মৃত্যু। সূত্রের খবর, মৃত যুবকের নাম ওহিদুর রহমান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমটেক-এর ছাত্র। ছাত্রের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোমের উল্লেখ রয়েছে।
ওই মৃত ছাত্রের সহপাঠীরা জানান, ওহিদুর রহমান নামে ওই ছাত্র এনএস ওয়ান ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। গত ৩১ অগাস্ট তাঁকে ভর্তি করা হয় কেপিসি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। সম্প্রতি যাদবপুরের ছাত্ররা অভিযোগ তুলেছিলেন, ক্যাম্পাসজুড়ে মশার উৎপাতে টেকা দায়। হস্টেলে কয়েকজনের ডেঙ্গিও হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাঁরা।
স্বাস্থ্য দফতর ও কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে একাধিক গাইডলাইন জারির পরও রাজ্যে বেলাগাম ডেঙ্গি সংক্রমণ। একের পর এক মৃত্যু সংবাদের মাঝে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার জোড়া হানা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেঁও। হাসপাতালের কর্মী আবাসনের ৩ টি ব্লক কার্যত পরিণত হয়েছে রোগের আঁতুড়ঘরে। অন্ততপক্ষে ২০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। কয়েকজন আবার ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। পাশাপশি মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল-এর ৪ জন পড়ুয়া ডেঙ্গিতে আক্রান্ত।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে কোকেন-সহ গ্রেফতার ৭ জন। উদ্ধার হওয়া মাদকের ওজন ১৬৫ গ্রাম। আনুমানিক বাজারমূল্য ৩৫ লক্ষ টাকা। জেরা করে বাকিদের খুঁজছে পুলিশ।
কয়েকদিন আগে হাওড়া থেকে এসটিএফ-এর তল্লাশিতে কোকেন উদ্ধার হয়। সেই সূত্র ধরেই একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পায় এসটিএফ। সেই অনুযায়ী এসটিএফ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হাজির হয়। গাড়ি ও বাইকে মোট ৬ জন যুবক ওই জায়গায় আসে। কিছুক্ষণ পর আরও একজন আসে। ওই ৭জনকেই গ্রেফতার করে এসটিএফ।
জানা গিয়েছে , ধৃত অবিনাশ কুমারের থেকে মাদক নেওয়ার কথা ছিল ৬ জনের। তার আগেই মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইন যোগ করল পুলিশ। কলকাতা পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, ওই কাণ্ডে পকসো ধারা যোগ করা হতে পারে। সেই মোতাবেক এবার আদালতে উপযুক্ত তথ্য সহ পকসো ধারা যোগ করার আবেদন জানায় যাদবপুর থানার পুলিস। এরপরই আদালতের অনুমতিতে যাদবপুর কাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইন যোগ করল পুলিশ। এদিকে ধৃতদের আজ অর্থাৎ শুক্রবার আদালতে তোলা হলে, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সকলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের তিনতলা বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে, ব়্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তদন্তে নেমে প্রাক্তন পড়ুয়া সহ মোট ১২ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় পরিকল্পনা মাফিক খুন ও ৱ্যাগিংয়ের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে, প্রথম গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। তাঁকে জেরা করেই বাকিদের নাম জানতে পারে পুলিশ। এবং ধাপে ধাপে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছিল জয়দীপ ঘোষ নামে এক প্রাক্তনীকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘটনার দিন রাতে পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোথায়, কী প্রযুক্তি বসবে, তা খতিয়ে দেখল ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার যাদপুরে গিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা শুধু মাত্র ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। এদিন ইসরো প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হস্টেল। গত ৯ অগস্ট এই হস্টেলেই মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। তারপর থেকেই উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস-সহ রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার পরেই অস্থায়ী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ।
ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষেই তিনি সওয়াল করেছেন। কোন কোন প্রযুক্তি যাদবপুরের কোথায় বসবে, সে বিষয়ে ইসরো কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইসরোর প্রযুক্তিকে ব্যবহারের কথা প্রথমবার বলেছিলেন আচার্য এবং রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
রাজ্যপালের কথা শুনে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চলবে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধ তৈরির ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য়পালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত পৌঁছল আরও চরমে। মঙ্গলবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
রাজ্যপাল তথা আচার্যের নাম উল্লেখ না করেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশ মেনে চললে আর্থিক অবরোধ করা হবে। এমনকী রাজভবনের সামনে ধর্নাতেও তিনি বসতে পারেন বলেও ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার ধনধান্য অডিটরিয়ামে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষাব্যবস্থাকে স্তব্ধ করিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছেন রাজ্যপাল। এরপরেই আর্থিক অবরোধ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি। সরাসরি জানিয়ে দেন, এরকম চলতে থাকলে অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন,"আমি বলে দিচ্ছি, এই যদি চলতে থাকে তাহলে অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করা হবে। দেখি কে চালায়।" তারসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান হলেও অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্য।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর (Student Death Case) ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল সৌরভ চৌধুরী (Sourav Chowdhury) নামে এক প্রাক্তনীকে। সেই ‘সৌরভের কিছু হলে দেখে নেওয়া হবে’ বলে হুমকি চিঠি (threatening letter) গিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রারের কাছে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো এই চিঠির শেষে লেখা ছিল ইতি অধ্যাপক রানা রায়। এতদিন ধরে খোঁজ চালানোর পর অবশেষে ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার (Arrested) করে কলকাতা পুলিস। এই গ্রেফতারির সঙ্গে যদিও যাদবপুরের কোনও যোগ নেই। বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, সেই হুমকি চিঠিতে দেওয়া ছিল সংশ্লিষ্ট ঠিকানাও। কতটা সত্যতা রয়েছে সেই ঠিকানার, সেখানে ওই নামের কেউ রয়েছে কিনা তা জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যান সিএন-এর প্রতিনিধি। মিলল আশ্চর্যজনক তথ্য। ৩৭ নং বেলগাছিয়া রোডের বিভিসি, এলআইজির ফ্ল্যাট নং এফ-৫ এ থাকেন রানা রায় নামের এক ব্যক্তি। তবে চিঠিতে অধ্যাপক বলে নিজেকে উল্লেখ করেছেন প্রেরক। যদিও সে বিষয়ে কোনও তথ্য প্রতিবেশীদের তরফ থেকে পাওয়া যায়নি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই ব্যক্তি যে আবাসনে থাকেন, সেখানকার বাসিন্দারাও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় চিঠি পাঠানোর অভিযোগ এনেছেন৷ এমনকি আবাসনের মহিলাদেরও প্রেমপত্র পাঠাতো বলে দাবি করেন এক আবাসিক। তাঁর অশ্লীল আচরণের জন্য টালা থান ও লালবাজার থানায় একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন আবাসিকরা।
এমনকি মুখোশ পরে রাস্তার লোককে ভয় দেখানো, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা, এমনভাবেই প্রতিবেশীদেরও বিরক্ত করত চিঠিতে উল্লিখিত নামের ওই ব্যক্তি। আবাসিক সূত্রে খবর, ছোটো থেকেই এই আবাসনে থাকতেন রানা রায়। গত ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ তিনি। তাঁর স্ত্রী, ছেলেরও দেখা মিলছে না আবাসনে। তবে সরকারি স্টিকার দেওয়া তাঁর লাল গাড়িটি এখনও রয়েছে আবাসনে। আবাসিকদের দাবি গা ঢাকা দিয়েছে সে।
রেজিস্ট্রার ও যুগ্ম রেজিস্ট্রারকে পাঠানো যে চিঠি সামনে এসেছে তাতে ব্যবহার করা শব্দ এবং আবাসিকদের অভিযোগে উঠে আসা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বেশ কিছুটা মিল পাওয়া যাচ্ছে চিঠি প্রেরক ও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা আবাসনের বাসিন্দা রানা রায়ের। তবে ওই চিঠি কে লিখেছেন তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ। তবে সবকিছুর মধ্যে উঠছে একাধিক প্রশ্ন, যদি ধরে নেওয়া যায় যে নাম ও ঠিকানা দেওয়া রয়েছে সেখানকার রানা রায় যদি এই চিঠি লিখে থাকেন সেটা কেন লিখলেন তিনি? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম ধৃত, সৌরভ চৌধুরীর সঙ্গেই বা তাঁর কী সম্পর্ক রয়েছে? আর যদি চিঠিটা তিনি না লিখে থাকেন তবে কে বা কারা এই চিঠি লিখল? কেনই বা ব্যবহার করা হল তাঁর নাম ও ঠিকানা? সবকিছুই জানা এখন তদন্ত সাপেক্ষ।