জমি দখল নিয়ে বিবাদ। তার জেরে মহিলাকে ফেলে লাথি, ঘুষি, বাঁশ তুলে পেটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার সেই ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ভিডিওর সত্য়তা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দত্তপুকুর ২ নম্বর অঞ্চল জয়পুল মেঠোপাড়া এলাকায়।
অভিযোগ, জোর জবরদস্তি জমি দখল করতে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা মেম্বার তাজউদ্দীন সহ তাঁর অনুগামীরা। সেই সময় বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন মোসলেমা বিবি এবং তাঁর মেয়ে হাসিনা। তাঁদের দুজনের উপর চড়াও হন তাজউদ্দীন। প্রথমে মহিলাকে ধাক্কা মেরে মাঠে ফেলে দিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। তারপর তাঁর মেয়ে বাধা দিতে এলে মেয়েকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, তিনি সহ তাঁর পরিবার ঘর ছাড়া। তাঁদেরকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমনকি দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিস কোনওরকম সহযোগিতা করেনি। স্থানীয় বিধায়ককের কাছেও যাওয়া হয়। বিধায়ককেও পুরো ঘটনা ভিডিও সহ দেখানো হলেও কোনওভাবেই ন্যায় বিচার পায়নি ওই পরিবার।
অন্যদিকে অভিযুক্ত তাজউদ্দীন পাল্টা আক্রান্ত মোসলেমা বিবি ও হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধেই জমি দখল করে রাখার অভিযোগ আনে। পাশাপাশি তিনি বলেন তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই ঘটনাটি ক্য়ামেরা বন্দী করা হয়েছে। যদিও পরে তাজউদ্দীন নিজের ভুল স্বীকার করেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যে হুমকি কিংবা বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে জানান। কে কতটা দোষী এবং কার বিরুদ্ধে সঠিক কী অভিযোগ তা এখনো পরিস্কার না হলেও ভিডিও ফুটেজে তাজউদ্দীনের দাদাগিরি পরিস্কার। মহিলাদের গায়ে হাত এবং মাটিতে ফেলে মারধর যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সন্দেশখালিকাণ্ডের পর থেকে বেপাত্তা শেখ শাহজাহান। রাজ্য পুলিস কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে পারছে না, তা নিয়েই উঠছে নানা প্রশ্ন। আর সে কারণেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আজ, বৃহস্পতিবার ন্যাজাট থানা ঘেরাও করার ডাক দিয়েছেন। কিন্তু সকাল থেকেই বাসন্তী হাইওয়ের উপরে এবং হাসনাবাদ-এর ন্যাজাট রোডের উপরে নাকা চেকিং করছে পুলিস। এককথায় চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। সূত্রের খবর, পুলিস যেহেতু থানা ঘেরাও করার অনুমতি দেয়নি, সেক্ষেত্রে বেআইনি জমায়েত রুখতেই এমন তল্লাশি। রাস্তার উপরে ব্যারিকেট দিয়ে প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তার মধ্যে কোনও বিজেপি কর্মী কিংবা রাজনৈতিক দলের কর্মী এলাকার ভিতরে ঢুকছে কিনা তার দিকেই নজর রাখছে প্রশাসন।
পাশাপাশি ন্যাজাট থানার রাস্তাগুলোতে ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে পুলিসের তরফে। ইতিমধ্যেই ন্যাজাট থানার এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। মনে করা হচ্ছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে থানায় ঢোকার আগেই আটকে দেওয়া হতে পারে। সেকারণেই এত কড়া নিরাপত্তা।
তারুণ্যের হাত ধরে ব্রিগেডের মাঠে বুদ্ধের বার্তা। ব্রিগেড সমাবেশের একেবারে শেষে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা পাঠ করেছেন DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শনিবার পাম অ্যাভেনিউতে গিয়ে ওই বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। বুদ্ধ-বার্তা দিয়েই শেষ হয় রবিবারের ব্রিগেড। DYFI-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বার্তা আদতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানের পংতি। সেখানে লেখা, যেখানে ডাক পড়ে, জীবন মরণ ঝড়ে, আমরা প্রস্তুত।’ বুদ্ধদেবের বার্তায় বলা হয়, এটাই ডিওয়াইএফআই। সুতরাং ব্রিগেডের সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত হবে।
সমাবেশের আগে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা নিতে শনিবার রাতে পাম অ্যাভিনিউ পৌঁছয় রাজ্য DYFI নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাসগুপ্ত সহ রাজ্য নেতৃত্ব। আর সেখানেই মনে করা হচ্ছিল রবিবার ব্রিগেডে বুদ্ধদেবের লিখিত আকারে কোনও বার্তা পাঠ করা হতে পারে।
বুদ্ধদেব শেষ বার ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। তার আগে থেকেই তিনি গৃহবন্দি। সেই সভায় পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়ি থেকে এসে মঞ্চের নীচে গাড়িতেই বসেছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। যদিও অসুস্থতার কারণে গাড়িতে থেকেই ফিরে যান তিনি। ২০২১-এর ব্রিগেডে বুদ্ধবাবুর অডিওবার্তা প্রকাশ্যে আসে বাম নেতৃত্ব। এবার যৌবনের ব্রিগেডেও সুর বাঁধলেন রাজ্যের প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তা বলাই বাহুল্য।
চুরি, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে এই বাংলা। এই অবস্থায় ইনসাফের দাবিতে শুরু হয়েছিল ইনসাফ যাত্রা। সেই যাত্রার পর রবিবার ব্রিগেডের ময়দানে সমাবেশ ডিওয়াইএফআইয়ের। তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখেই এই সমাবেশের আয়োজন সিপিএম-এর যুব সংগঠনের। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে এদিন নাম না করে তৃণমূলকে বিঁধলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর হুঙ্কার, যে মাঠে বলেছিল খেলা হবে, তার দখল নিতে এসেছি।
তিনি বলেন, ইনসাফ যাত্রা শেষ হলেও লড়াই শেষ হয়নি। এদিন ব্রিগেডর মঞ্চ থেকে বেসরকারিকরণ সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান ডিওয়াইএফআই নেত্রী। পাশাপাশি, চাকরি চুরি, আবাস যোজনার টাকা চুরি সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকেও একহাত নেন মীনাক্ষী। বলেন, মানুষ অনেক আশা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সেই আশা পূরণ হয়নি।
রাজনীতির লড়াই। তার চেয়েও বেশি সমাজ বদলের লড়াই। এই লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়েই ক্রিকেটের তুলনা টানলেন। বললেন, "টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। অর্থাৎ আমাদের লড়াই এখানেই শেষ হবে না। গোটা সিস্টেম বদলে দেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছি। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন আমাদের এই লড়াইয়ে শামিল হোন, আজ এটাই চাইছি আপনাদের থেকে।”
মীনাক্ষীর কথায়, "কে বলছে বামপন্থীরা শূন্য? আরে ওদের তো শূন্যের শক্তি সম্পর্কে ধারণা নেই। শূন্যরা যদি দখলদারির লড়াইয়ে নামে, তাহলে কী হবে, ওদের জানা নেই। আসলে ওরা বামপন্থীদের শক্তিকে ভয় পেয়েছে। আপনাদের কাছে আবেদন, বাঁচতে চাইলে লড়াইয়ে শামিল হোন, ময়দানে আসুন। লড়াইটা নীতির, লড়াইটা আদর্শের।”
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে আগামি দিনের লড়াইয়ের সুর বেঁধে দেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বামেরা যে চুরি, দুর্নীতির মতো ইস্যুগুলোকেই হাতিয়ার করবে, তার ইঙ্গিত এদিন দিয়ে রাখলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী। তাঁদের সেই প্রচারের কোন ফল হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।
শুক্রবার সাতসকালে বেনজির নৈরাজ্য দেখেছে বাংলা। সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতি-কাণ্ডের তদন্তে গিয়ে রক্তাক্ত, আক্রান্ত ইডি। মারধর থেকে ভাঙচুর করা হয় সংবাদ মাধ্যমের গাড়িও। এবার এই ঘটনায় রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার সকাল ১০টা ১২ মিনিট নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন সুকান্ত। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে দু'জনের মধ্যে আলোচনা হয় বলেই সূত্রের খবর।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ইডি আধিকারিকদের উপর হামলায় অভিযুক্ত শাহজাহানকে গ্রেফতারির জন্য রাজ্যের নির্দেশ নেই। মুখ্যমন্ত্রী একসময় পাশে বসিয়ে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
এরপরই রোহিঙ্গা যোগের অভিযোগ তুলে NRC লাগুর পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান সুকান্ত।
সন্দেশখালির ঘটনার পরই সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। শনিবার রাজ্য পুলিসের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে রাজভবন। বিষয়টির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান রাজ্যপাল। রাজভবনের পিস রুমেও আসে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের নির্দেশও দিয়েছেন রাজ্যপাল। যা রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজভবন তা বলাই বাহুল্য।
বিজেপির যুব মোর্চার সংকল্প যাত্রায় উত্তেজনা। রবিবার ডানকুনিতে পুলিসি বাধার মুখে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিজেপির বাইক র্যালি ঘিরে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর নেতৃত্বেই চলছিল এই মিছিল। ব্যারিকেড করে পুলিস পথ আটকানোর চেষ্টা করে। বিজেপির কর্মসূচিতে পুলিসের লাঠিচার্জে আক্রান্ত হন সিএন-এর সাংবাদিকও।
পুলিসি বাধার মুখে সুকান্ত মজুমদার জানান, 'কোন আইনে আমাদের আটকানো হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের বাইকের চাবি খুলে দিয়েছে। পায়ে হেঁটে প্রয়োজনে মিছিল সফল করব। তৃণমূলের ক্যাডাদের মতো আচরণ করছে পুলিস।' বাধার মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও।
ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালান বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। তবে পুলিসের দাবি, অনুমতি না নিয়ে এই মিছিল করা হচ্ছে। বিজেপির কর্মীদের দাবি, সিপিএম-এর ব্রিগেড চলছে। দলে দলে মিছিল করে ব্রিগেডের ময়দানে যাচ্ছে। তাদের আটকানো হচ্ছেনা। কেবল বিজেপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের আশুতিতে বর্ষবরণের রাতে পিকনিক করে বাড়ি ফেরার পথে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের আশুতি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রথ তলায় বর্ষবরণের রাতে পিকনিক করে বাড়ি ফিরছিলেন প্রবীর মণ্ডল। মধ্যরাত দেড়টা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত শুভেন্দু নস্কর প্রবীর মণ্ডলের পথ আটকায়। এরপর হঠাৎই তাকে বেধড়ক মারধর করে ।কাঠ দিয়ে তার ঘাড়ে এবং মুখে আঘাত করে। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে ঠিক তখনই অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রবীর মণ্ডলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
তবে মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ অভিযুক্ত শুভেন্দু নস্কর এর আগেও ওই এলাকায় বিভিন্ন দুষ্কর্মের সঙ্গে সঙ্গে জড়িত ছিল । থানার তার নামে অভিযোগও জানানো হয় একাধিকবার।তবে প্রতিবারই কোনও অজানা কারণে ছাড়া পেয়ে যায় সে। তাই এবার আর যেন সে ছাড়া পেয়ে না য়ায়, অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন মৃতের পরিবার।
কী কারণে এই ঘটনা? এই খুনের ঘটনায় কী কোনও পুরানো শত্রুতা ছিল? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছ কালিতলা আশুতি থানার পুলিস। কালিতলা আশুতি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখে।অভিযুক্ত শুভেন্দু নস্কর শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ি এখনও পলাতক। অভিযুক্তের উদ্দেশ্যে খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।
রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড-এর ঠাকুর পুকুর খাল পোলের রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রশাসনের নজর নেই। স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ জমতে জমতে বিক্ষোভে পরিণত হয় যখন শুক্রবার ভোর রাতে এক বৃদ্ধ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। নাড়ু গোপাল পাল নামের ৫০ বছরের ওই বৃদ্ধকে ধাক্কা মারে একটি লরি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার পর পথে নেমে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় মানুষ। তাঁরা অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধ রাস্তায় পরে থাকলেও তার উপর দিয়েই বেশ কিছু গাড়ি ইচ্ছাকৃত চালানো হয়।
রাস্তার দুধারে বস্তি এলাকা। সেখানকার ছোট ছোট শিশুরা প্রতিদিন এই রাস্তা পারাপার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরও এখনও কোনও বাম্পার তৈরি করা হয়নি। গাড়ি চালকদের গাড়ি আস্তে চালাতে বললে কেউ শোনে না, যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও ব্যবস্থাও করেনি প্রশাসন। তাই মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ভোটের সময় দেখা মেলে স্থানীয় কাউন্সিলরের। প্রতিশ্রতির বন্যা বয়ে যায়। আর ভোট মিটলেই সব ভোঁভা। স্থানীয় ঠাকুরপুকুর থানাকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তু কর্ণপাত করেনি তারাও। আতঙ্কিত এলাকার মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই এবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন তার। তাদের সাফ কথা দুদিনের মধ্যে যদি বাম্পার তৈরি না হয় তাহলে আবারও রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হবেন তারা।
উন্নয়নের নামে ভুরিভুরি টাকা খরচের কথা বলে সরকার। দান খয়রাতিতেও কোটি কোটি টাকা খরচ করতে দ্বিধা করেন না মানবিক মুখ্যমন্ত্রী। উন্নয়নের জোয়ারের মাঝে একটা এলাকার মানুষদের জীবন সুনিশ্চিত করতে দুর্ঘটনার কবল থেকে বাঁচাতে কয়েকটা বাম্পার তৈরি করে দিতে পারছে না প্রশাসন? নাকি বস্তি এলাকায় বাস করে বলে এই মানুষগুলোর জীবনের কোনও জীবনের দামই নেই মানবিক সরকারের কাছে? নাড়ু গোপাল পালের মত আর কতগুলো প্রাণ গেলে তবে ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের? উত্তরের অপেক্ষায় ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড এর ঠাকুর পুকুর খাল পোলের বাসিন্দারা।
২০২৩-এ বক্স অফিসে উঠেছে 'বাদশা ঝড়'। শাহরুখ খানের 'পাঠান', 'জওয়ান'-এর পর 'ডাঙ্কি' জমিয়ে ব্যবসা করে চলেছে। এরই মাঝে 'ধুম ৪'-এ (Dhoom 4) শাহরুখের অভিনয় নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা যে, 'ধুম ৪'-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন শাহরুখ খান। শুধুমাত্র তিনি নন, রামচরণও এই ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন। কিন্তু কতটা সত্যি এই খবর?
এক সূত্র অনুযায়ী, 'ধুম ৪' নিয়ে কোনও আপডেটই ইতিমধ্যে নেই বলেই জানা গিয়েছে। তার সঙ্গে যশরাজ ফিল্মসের হয়ে এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চতুর্থ সিক্যুয়েলে শাহরুখকে কোনওভাবেই দেখা যাবে না, এমনটাই সূত্রের খবর। শাহরুখের অভিনয় করা শুধু নয়, ছবির কাস্টিংই এখনও সম্পূর্ণরূপে ঠিক হয়নি। এই সপ্তাহের শুরুর দিকেই 'ধুম ৪'-এ শাহরুখ এবং রামচরণের অভিনয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড তৈরি করে ফেলেছেন যে 'ধুম ৪' ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে। যদিও এর কোনও নিশ্চিত তথ্য মেলেনি। ফলে জানা যাচ্ছে, ধুম ৪-এ রামচরণ ও শাহরুখের অভিনয় নিয়ে যে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, সবই ভুয়ো।
সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) 'স্বামী বিবেকানন্দ'কে নিয়ে মন্তব্যের কারণে বিতর্ক তুঙ্গে। ফলে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে রাজ্যের শাসকদল। অমিত শাহ-সুকান্ত মজুমদারের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করে শাসকদলের নেতারা। এদিন মিছিল করে, ফুটবল খেলে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের।
রবিবার ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হয় লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। এই অনুষ্ঠান শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য ঘিরে সরব তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, সুকান্ত স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। পবিত্র গীতাপাঠের আসরে দাঁড়িয়ে কুৎসিত রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেছেন এবং সেটা করতে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দকে অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন। আর এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতার পথে প্রতিবাদে নামে যুব তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'বাংলা বহু যুগ ধরে সনাতন সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক। পশ্চিমবঙ্গ একটা সময় ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান ছিল।' এরপরেই তিনি জুড়েছিলেন, 'গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভালো, যাঁরা বলছেন তারা বামপন্থী প্রোডাক্ট।'
শাসকের প্রতিবাদ, সুকান্ত মজুমদার এভাবে ভারতবর্ষে যুবশক্তির ধারককে অপমান করতে পারেন না। মঙ্গলবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে পদযাত্রা হাতিবাগান এবং হেদুয়া হয়ে শেষ হয় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে। মিছিলে উপস্থিত যুব তৃণমূলের অনেক সদস্য। ছিলেন সৌম্য বক্সী, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ-সহ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর একটি মিছিল হয় ভবানীপুরে। এদিকে যখন তৃণমূল বিজেপিকে ধিক্কার জানাতে পথে নেমেছে তখনই এই দিনই বঙ্গ সফরে জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ। বিবেকানন্দকে নিয়ে কটুক্তি করায় ক্ষমা চাইতে হবে সুকান্ত মজুমদারকে এই দাবি তুলে ধিক্কার দেন শাসকদলের নেতৃত্বরা।
এদিন পথে নেমে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি সায়নী ঘোষের নেতৃত্বে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য তার লজ্জা পাওয়া উচিত। বাংলার মনীষীদের সম্পর্কে এই ধরণের কটুক্তি করে নিজেদের জায়গাটাই বাংলার মাটিতে নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে বলে বিজেপিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী।
এদিকে সুকান্তর বিরুদ্ধে যখন সুর চড়িয়েছে শাসকদল, তখন সুকান্ত মজুমদারও টুইটে সাফ জানান, স্বামীজি রাজনীতির ঊর্দ্ধে। তিনি তৃণমূলের উদ্দেশ্যে টুইটে উল্লেখ করেন, স্বামীজির মূর্তির হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ধরানোর প্রয়োজন নেই। বিজেপির মৃল আদর্শের মধ্যেই রয়েছেন স্বামীজি। সুতরাং চোরেদের জ্ঞান বাণী নিষ্প্রোয়োজন।
বছর ঘুরলেই চব্বিশের মহারণ। তার আগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। সূত্রের খবর, বাংলার সংগঠন-সহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়েই এদিন আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দেখা করলেন। সূত্রের খবর, বাংলার সংগঠন নিয়ে আলোচনার সঙ্গেই বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সুকান্ত মজুমদার আলোচনা করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। এই বৈঠকে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সূত্রের খবর, ভোটের আগে রাজ্যের বেশকিছু আইপিএস-এর বিরুদ্ধে তথ্য দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। শাসক দল ঘনিষ্ঠ অফিসারদের নিয়ে আগেও বারবার সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বললেন, 'সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা। উনি বাংলায় আসবেন সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, জনসভায় যোগ দেবেন। জনসভা করতে আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। বাংলাকে পাখির চোখ করে রাজ্যে প্রচারকাজে আসবেন প্রধানমন্ত্রীও।' আগামী লোকসভা ভোটে বাংলা কেন্দ্রীয় বিজেপির পাখির চোখ, এই ইঙ্গিতই দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
নভেম্বরে বিজেপির কলকাতা চলো কর্মসূচিতে সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই লক্ষে কোমর বেঁধেছে বঙ্গ বিজেপিও। এবার সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে ফের বঙ্গ সফরের প্রতিশ্রুতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায়।
প্রসূন গুপ্ত: ২০২৩ সালটি নিশ্চিত শাহরুখ খানের। বছরের শুরু হয়েছিল তাঁর 'পাঠান' ছবি দিয়ে। বছরের মাঝখানে রিলিজ করেছিল 'জওয়ান'। অনেক মাস পরে শাহরুখের ছবি পাঠান রিলিজ করেছিল। এখনও সুপার হিরো হিসাবে তাঁকে এবং সলমনকেই ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু দুজনের অভিনয়ের দিকে মস্ত ফারাক আছে।
সলমন খান অবশ্যই চমৎকার অভিনেতা কিন্তু অ্যাকশন ধর্মী ছবিতে তিনি অদ্বিতীয়। অন্যদিকে শাহরুখ পরিচিত রোমান্টিক হিরো হিসাবেই। অসংখ্য তাঁর ছবি হিট করেছে রোমান্টিকতায় ভরপুর নায়ক হিসাবেই। এসব ছবিতে শাহরুখের জুড়ি নেই। কখনও কাজল কখনও জুহি চাওলা বা রানী মুখার্জিকে নিয়ে বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছেন শাহরুখ। ১০ বছরের উপর তাঁর একটি ছবি টানা চলেছে মুম্বাইয়ের একটি হলে। সেই শাহরুখ ২০১৫ তে এসে বুঝলেন এখন আর হল নামক বস্তুটি চলে গিয়েছে। কোটিকোটি টাকা খরচ করে ছবি রিলিজ করে মাল্টিপ্লেক্সে, যেখানে টিকিটের যা দাম তা সাধারণের জন্য নয়। এ ছবি দেখা আর টাকা ওড়ানো অনেকটা সমার্থক কাজেই কয়েক বছর অপেক্ষা করে ডন ১, ডন ২ করে বুঝেছিলেন অ্যাকশন ছবি না করলে তাঁর বাজার থাকবে না কারণ আজকের প্রজন্ম গল্প শুনতে চায় না।
অপেক্ষার পরে রিলিজ করল পাঠান এবং কয়েক মাস পরে জওয়ান। দুটিতেই কথার থেকে বন্দুক ব্যবহার বেশি তাঁর সঙ্গে মারধর তো আছেই। কাজেই নিজের লুকস পাল্টে ফেলে নতুন করে ছবি করলেন। দুটি ছবিই কয়েকশো কোটি টাকার ব্যবসা করলো। শুধু দেশে নয় সারা বিশ্বে হলিউড ছবির মতোই ছড়িয়ে গেলেন শাহরুখ। এবারে পড়লেন রাজকুমার হিরানির পাল্লায়। রাজু হিরানি সুপার হিট ছবি করার পরিচালক। মুন্নাভাই, সনজু, থ্রি ইডিয়টস ইত্যাদি ছবির পরিচালক।
রাজু কিন্তু তাঁর ছবি ডাঙ্কিতে আবার অন্য শাহরুখকে নিয়ে আসলেন। অনেকটা রোমান্টিক, মজা কিংবা অ্যাকশন সবই আছে যা কিনা মসলা হিন্দি ছবিতে থাকে। ডাঙ্কি রিলিজ করলো বৃহস্পতিবার। সমস্ত শো অনেক আগে থেকেই পরিপূর্ণ হয়ে আছে। ১৯৯৫ এর ঘটনা, ৫ ব্যক্তি, যাদের শিক্ষা দীক্ষা ইত্যাদি বিশেষ কিছু নেই অথচ তারা লন্ডনে যেতে চায় কিন্তু ভিসা পায় না। এরাই চোরা পথে ইংল্যান্ডে গিয়ে পৌঁছায় অবশেষে। এই চোরা যাত্রীদেরই ডাঙ্কি বলা হয়ে থাকে। এই যাত্রা পথে অনেক কান্ড, অ্যাকশন ইত্যাদি আছে। বাকি তো .... হলে দেখতে হবে।
রবিনসন স্ট্রিটের ঘটনার ছায়া এবার তমলুকে। মারা যাওয়ার পরেও ঘর বন্ধ রেখে মৃত বাবার পাশে শুয়ে রইল মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে। সূত্রের খবর, তমলুক থানার তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পদুমবসান এলাকায় ভোলানাথ দে নামে ৮০ বছরের বৃদ্ধ ও তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে মান্তু দে (৩৫) থাকত। বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তমলুক থানার পুলিস গিয়ে ওই বৃদ্ধর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং মানসিক ভারসাম্য়হীন মেয়েকে তাম্রলিপ্ত গভমেন্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার থেকে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর বাড়িতে কাজের লোক আসলেও ঢুকতে পারে নি। প্রতিদিন বারবার দরজা ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করে ডাকার পরেও ভিতর থেকে দরজা খোলেনি ওই মহিলা। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা খবর দেয় তমলুক থানায়। এরপর এদিন সকালে পুলিস এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখে মেঝেতে মানসিক ভারসাম্য়হীন মেয়ে তাঁর মৃত বাবার পাশে শুয়ে আছে।
পুলিসের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরে না খাওয়ার ফলে ওই বয়স্ক বৃদ্ধ মারা যায় এবং ওই মানসিক ভারসাম্য়হীন মহিলা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই বৃদ্ধর মৃত্য়ু আসল কারণ জানা যায়নি। স্থানীয় সূ্ত্রে আরও খবর, মৃত ওই বৃদ্ধর স্ত্রী এবং ছোটো অন্য় জায়গায় থাকেন। তবে দীর্ঘদিন বাড়ির দরজা বন্ধ থাকার পরেও মৃত বৃদ্ধর স্ত্রী ও ছোট মেয়ে কেন কোনো খোঁজখবর নেননি তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই ঘটনাকে ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
সংসদ-কাণ্ডে মূল চক্রী ললিত ঝায়ের সঙ্গে বং কানেকশন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এবার তাঁকে বাংলার শাসক দলের যুব শাখার পদাধিকারী বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদারের পর শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ঘিরে আরও চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। শুক্রবার বিরোধী দলনেতা বলেন, ললিত ঝা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পদাধিকারী। তাপস রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বরানগর-উত্তর কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক কর্মসূচিতে থাকে ললিত, দাবি শুভেন্দুর। তোলামূলীদের রাজত্বে বাংলা দেশ-বিরোধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে, অভিযোগ তাঁর। শুক্রবার ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার সকাল হতেই ললিত-কাণ্ডে শাসক দলের প্রতি সুর চড়ান শুভেন্দু। বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের করা একটি এক্স পোস্ট শেয়ারও করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফলভাবে বাংলায় এমন একটা বাস্তুতন্ত্র তৈরি করেছেন যেখানে শহুরে নকশাল, টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের অবাধ বিচরণ। অনুপ্রবেশকারী, বেআইনি উদ্বাস্তুরা এ রাজ্যে সহজেই নাগরিক হয়ে যাচ্ছেন। যাঁরা দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত, তাঁদের স্বর্গরাজ্য বাংলা, এভাবেই তোপ দাগেন শুভেন্দু। বেলা বাড়তেই তিনি ললিতের সঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের যোগসূত্র টানলেন। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রবীণ বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে ললিত ঝায়ের ঘনিষ্ঠতা খুঁজে বের করছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি তাপস-ললিত একফ্রেমে এমন একটা ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, গণতন্ত্রের মন্দিরে হামলাকারী ললিত ঝার সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের যোগাযোগ সামনে এসেছে। তাতে ওই তৃণমূল নেতাকে তদন্তের আওতায় আনার মতো এটা কি যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নয়? এ প্রসঙ্গে সিএন-কে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, বিরোধীরা বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে এবং ভোটে জেতার জন্য যেভাবে দেশের বিরোধিতা করছেন, তা ভাবা যায় না। বিষয়টির তদন্ত হওয়া দরকার। এবার দলের রাজ্য সভাপতির পথে হাঁটলেন বিরোধী দলনেতাও।
বিজেপির এহেন জোড়া আক্রমণ ভোঁতা করতে আসরে নামেন তাপস রায়। ললিত এবং তাঁকে জড়িয়ে করা পোস্টের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন তৃণমূল বিধায়ক, এমনটাই জানান তাপস রায়। পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থা তলব করলে আমি সহযোগিতায় রাজি, স্পষ্ট অবস্থান জানান তাপস রায়। পাল্টা সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন মূল চক্রীর সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ আছে। তদন্তে খতিয়ে দেখা হোক বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
বলিউড থেকে টলিউড সর্বত্রই বিয়ের মরশুম! ৭ ডিসেম্বরই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন (Sandipta Sen) ও হইচই প্ল্যাটফর্মের চিফ অপারেটর অফিসার সৌম্য মুখোপাধ্যায় (Soumya Mukherjee)। আর তার আগেই বাগদান পর্ব সেরে ফেললেন তারকা জুটি। সম্প্রতি তাঁদের বাগদানের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, হবু বরের থেকে নতুন করে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে লাজে রাঙা সন্দীপ্তা। বিয়ের প্রস্তাবে 'হ্যাঁ' বলে হবু বরের কপালে ভালোবাসার চুম্বনও দিলেন অভিনেত্রী। আর তার পরই একের অপরের অনামিকায় পরিয়ে দিলেন আংটি।
টলিউডে বাজতে শুরু করেছে বিয়ের সানাই। আর এই বিয়ের মরশুমেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে সৌম্য ও সন্দীপ্তা। একদিকে যেমন তাঁদের বিয়ের প্রস্তুতি চলছে, তারই মাঝে সেরে ফেললেন বাগদান। বাগদানের দিন সন্দীপ্তার পরনে ছিল সাদা লেহেঙ্গা, আর এতে সোনালি,পিঙ্ক রংয়ের কাজ করা ছিল। গলায় ছিল মানানসই হার। সৌম্যর পরনেও একই রংয়ের পোশাক ছিল। জানা গিয়েছে, বালিগুঞ্জের বসু নিলয়ে এই বাগদান পর্বের আয়োজন করা হয়েছিল। ২ ডিসেম্বর বাগদান হলেও রবিবার ছবি ও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আর ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তেই দেখা যায়, আংটি পরানোর আগে সৌম্য সন্দীপ্তার সামনে হাঁটু মুড়ে বসেন ও বিয়ের জন্য ফের প্রস্তাব দেন। এর পর সন্দীপ্তাও ইয়েস বলে সৌম্য কপালে ভালোবাসার চুম্বন এঁকে দেন। তার পর আংটি পরিয়ে সম্পন্ন হয় বাগদান পর্ব। তাঁদের বাগদানে সন্দীপ্তা ও সৌম্যর পরিবারের পাশাপাশি কাছের বন্ধুরাও উপস্থিত ছিলেন।