বেলা ১২.১৫ থেকে ১২.৩০, বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mondal) বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেন ৪ সদস্যের সিবিআই আধিকারিকের(CBI officials) প্রতিনিধিদল। বুধবার অনুব্রত কন্যাকে সম্পত্তি(property) সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কিন্তু সূত্রের খবর, এদিন বাবার পর মেয়েও তদন্তে অসহযোগিতা(non co-operation) করেছেন। সিবিআইয়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ফিরিয়ে দিলেন অনুব্রতকন্যা সুকন্যা। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, তিনি জানিয়েছেন যে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। তিনি বলেছেন, "বাবা হেফাজতে, মাকে সদ্য হারিয়েছি। এই অবস্থায় কোনও কথা বলব না।" এই কথা শোনার পরই বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, বাবার পাপের শাস্তি ভোগ করছে মেয়ে। দুর্নীতি ঢাকতে মেয়ের নামে একাধিক সম্পত্তি লিখিয়েছে বাবা। সুকন্যাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী এভাবেই কটাক্ষ করেন।
তবে,সুকন্যাকে সিবিআই নোটিস দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে যখন সিবিআই আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, ঘটনাচক্রে ঠিক সেই সময়ে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছন অনুব্রতর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ।
রিলায়েন্স গ্রুপের (Reliance group) প্রধান মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) হুমকি-ফোন (threat calls) করার জন্য গ্রেফতার (Arrested) করা হল ৫৬ বছরের এক অভিযুক্তকে। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের ৩৭ তম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (Magistrate court) হাজির করা হয় অভিযুক্তকে। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অভিযুক্তের নাম বিষ্ণু ভৌমিক।
উল্লেখ্য, ১৫ অগাস্টই হুমকি পান শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। পাশাপাশি তাঁর পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিস তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে আটক করে। অভিযুক্তকে ওই দিনই দক্ষিণ মুম্বইয়ের দহিসার থেকে ডিবি মার্গ থানায় আনা হয়েছিল।
মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার সকালে তিন মিনিটে কমপক্ষে আটবার রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ফোন আসে। ফোনে মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়। নম্বরটি অজানা ছিল সকলেরই। তড়িঘড়ি মুম্বইয়ের ডিবি মার্গ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিসও তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
যদিও অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, "মানসিকভাবে অসুস্থ" তাঁর মক্কেল। তার শংসাপত্রও রয়েছে। তিনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের চিকিৎসাধীন আছেন।
নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) দিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা বহনের আবেদন করেছেন দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যদিও তাঁর এই আবেদন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির (BJP) সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের যুক্তি, 'নবান্ন অভিযানের দিন পুলিস জল কামান ছুঁড়বে সেই কামানের মাঝে আমাদের পতাকা সোজা করে ধরে রাখতে ডাণ্ডা দরকার।'
বারাসাতের এক রক্তদান শিবিরে থেকে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'তৃণমূল নেতারা আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ চুরি করছে। তার বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযান হবে। সেখানে ঝাণ্ডা নেবেন, ঝাণ্ডার সাথে ডাণ্ডাও নেবেন।' এরই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুকান্ত জানান, নবান্ন অভিযানে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়বে, জলকামান চালাবে। সেখানে আমাদের আমাদের পতাকা শক্ত করে ধরে থাকতে হবে এবং তার জন্য ডাণ্ডাই লাগবে।' হিংসার বদলে হিংসার রাজনীতি ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থন করে না। আমরা সংবিধানে বিশ্বাসী।
পাশাপাশি তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, 'আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দিয়ে যদি ভাবেন বেঁচে যাবেন তবে ভুল। আজ না হয় কাল আপনাদের কীভাবে ট্রিটমেন্ট করতে হয় তার ব্যবস্থা করব।' এদিন বাইক র্যালির মাধ্যমে মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসাত ডাকবাংলো মোড় হয়ে সেই রক্তদান শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি।
এদিকে, সুকান্ত মজুমদারের এই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'গণআন্দোলন কাকে বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম জমানায় শান্তিপূর্ণ ভাবে করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর এই যে ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডার তুলনা টেনে হিংসা, সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। এই মন্তব্য প্ররোচনামূলক।'
জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ভারতীয় সেনা জওয়ানদের একটি বাস। মঙ্গলবার ওই যাত্রীবাহী বাসে ৩৭ জন আইটিবিপি জওয়ান ও দুই পুলিসকর্মী ছিলেন। চন্দনওয়াড়ি থেকে পহেলগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিল সেনা বোঝাই বাসটি। রাস্তা থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে নদীর ধারে গড়িয়ে পড়ে বাসটি। দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ছয়, জখম বহু বলে সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের ফ্রিসলানে ব্রেক ফেল হয় বাসের। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে রওনা দেয় ১৯টি অ্যাম্বুল্যান্স। সূত্রের খবর, জওয়ানরা অমরনাথ যাত্রায় কর্তব্যরত ছিলেন। সেই ডিউটি সেরে চন্দনওয়ারি থেকে পহেলগাঁওয়ে ফিরছিল বাসটি। সে সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্রিসলানে রাস্তার ধারে নদীতে গিয়ে পড়ে বাসটি। মৃত জওয়ানদের দেহ পহেলগাঁও সিভিল হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় সামান্য আহত তিনজনের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে পহেলগাঁওয়ের মহকুমা হাসপাতালে। বাকি জখমদের শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
কাশ্মীর জোন পুলিসের পক্ষ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, পহেলগাঁওয়ে চন্দনওয়ারির কাছে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে। ছয় আইটিবিপি জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের শ্রীনগরে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে খেলা দিবস (Khela Hobe Diwas)। রবিবার বেহালার সভামঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। এবার এই 'খেলা হবে' দিবসে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি (BJP)। ফের রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এদিন রাজ ভবনের (Raj Bhawan) সামনে দাঁড়িয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, 'বিজেপিও ভালো খেলতে পারে। কিন্তু আমাদের খেলার মতো মাঠ তৈরি করে দিন, আমরা ভালোই ব্যাটিং করব। শুধু মাঠ থেকে পুলিসকে সরিয়ে দিন। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর মিথ্যা মামলা চাপানো বন্ধ করুন।'
পাশাপাশি তাঁর আশঙ্কা, 'সাম্প্রতিককালে শাসক দলের একের পর এক নেতামন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তাতে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় প্রভাব পড়তে পারে। ১৬ অগাস্ট ১৯৪৬ সালে কুখ্যাত গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং সংগঠিত হয়েছিল। আর ১৬ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী খেলা হবে দিবসের ডাক দিয়েছেন। অর্থাৎ বিরোধীদের উপর হামলায় ইন্ধন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, আমরা সেটাও রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।'
বিজেপির এই রাজ ভবন সফরকে পাল্টা কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'যারা উন্নয়নের পরিবেশে বেড়ে ওঠে না, যাদের কোনও জনভিত্তি নেই, যারা মানুষের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত, তাঁরাই অন্য কোনওভাবে না পেরে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ তৈরি চেষ্টা করছে। তারা জেনে রাখুক বাংলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আছে। তাই শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে প্রশাসন তাদের মতো করেই ব্যবস্থা নেবে।'
পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, 'সন্ত্রাসের রাজনীতিকে হাতিয়ার করে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু মানুষ প্রত্যাখ্যাত করেছে। তাই আগামি দিনে ওরা হিংসার আশ্রয় নিলে বাংলার মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।'
ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। মেয়েদের জন্য বিশেষ বৃত্তির (Shahrukh Khan Scholarship) কথা ২০১৯-এই ঘোষণা করেছিলেন বলিউড কিং খান শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। মেলবোর্নের ‘লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ে’ (La Trobe University) ঘোষণা হয়েছিল এই নতুন বৃত্তির। যে সকল নারী এই বৃত্তির আওতায় পিএইচডি (PhD) করবেন, তাঁরা বিশেষ সুবিধা পাবেন।
'শাহরুখ খান লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়’ বৃত্তি প্রথম ২০২০ সালে ভারতীয় পড়ুয়া গোপিকা কোত্তোনথারাইল ভাসিকে দেওয়া হয়। তিনি এই বছর সেই বৃত্তি নিয়ে পিএইচডি’র জন্য অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিলেন। বিশ্বে মৌমাছির জনসংখ্যা রক্ষা করার জন্য নতুন কৌশল নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই বৃত্তি পেলে চার বছরের জন্য বিনা খরচে মেলবর্নের লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চান্সেলর জানিয়েছেন শাহরুখ খান নিজেই এই প্রস্তাব তাঁদের দিয়েছিলেন।
শাহরুখ বরাবরই পড়াশোনা ভালোবাসেন। সে কথা অনেকবারই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে। এবার এই উদ্যোগ তা আরও ভালোভাবে প্রমাণ করে।
স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) হুমকি ফোন (Threat Call) পেলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) ও তাঁর পরিবার। মুম্বই পুলিস ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তারা এই সংক্রান্ত আরও তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তিনটি হুমকি ফোন এসেছিল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে (Reliance Foundation Hospital)। তাদের পক্ষ থেকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং পরিবারকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে ডিবি মার্গ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরই মুম্বইয়ে মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে একটি গাড়িতে উদ্ধার হয়েছিল ২০ টি বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক এবং একটি হুমকি-চিঠি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করে দিয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তদন্তভার হাতে নিয়েছিল মুম্বইয়ের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। ইউনিটের প্রধান নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখেছিলেন। কিছুদিন পরেই থানের এক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়, যিনি ঘটনাচক্রে সেই গাড়ির মালিক, যে গাড়িটি উদ্ধার হয়েছিল মুকেশ আম্বানির বাড়ির কাছে। তারপরই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় এনআইএ-র হাতে। ওই ব্যবসায়ী অবশ্য দাবি করেছিলেন, তাঁর গাড়িটি ঘটনার এক সপ্তাহ আগেই চুরি হয়ে গিয়েছিল।
এবার ফের হুমকির ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মোদী সরকার গৃহীত হর ঘর তেরঙা কর্মসূচির অংশ হলের শাহরুখ খান। রবিবার সপরিবারে মান্নতের ছাদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখে গিয়েছে কিং খানকে। সেই উত্তোলিত পতাকার সামনে ছবিও তুলেছেন শাহরুখ খান, গৌরী খান, আরিয়ান খান এবং আব্রাম খান। সেই ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ১৩-১৫ অগাস্ট হর ঘর তেরঙা কর্মসূচি নিয়েছে মোদী সরকার। সেই কর্মসূচির অংশ হতে দেখা গিয়েছে আমির খানকেও। এদিন ট্যুইটারে পোস্ট করা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে আকাশের সঙ্গে রং মিলিয়ে সাদা জামা পরে সারি দিয়ে দাঁড়ালেন খান পরিবারের সদস্যরা। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন মন্নত-এর ছাদে উড়ল জাতীয় পতাকা।
Teaching the young ones at home the essence and sacrifice of our Freedom Fighters for our country India, will still take a few more sittings. But getting the flag hoisted by the little one made us all FEEL the pride, love and happiness instantly. pic.twitter.com/3tNCjkLAgt
— Shah Rukh Khan (@iamsrk) August 14, 2022
বিশাল পতাকার নীচে সেই পারিবারিক উদ্যাপনের ছবি ভাগ করেছেন গৌরী খান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশপ্রেম অনুভব খান পরিবারের। সোশাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাগ করে সকলের উদ্দেশে গৌরী লিখেছেন, ‘শুভ স্বাধীনতা দিবস’। তবে চার জনের মাঝে মেয়ে সুহানা খানের অনুপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্যস্ততার জেরেই এই বিশেষ মুহূর্তে তিনি পরিবারকে সময় দিতে পারেননি। জোয়া আখতারের পরিচালনায় তাঁর প্রথম বলিউড ছবি ‘দ্য আর্চিস’ এর শ্যুটিংয়ে রয়েছেন শাহরুখ-কন্যা।
জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) চন্দ্রভাগা নদীর (Chenab River) উপর তৈরি হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু (world's highest railway bridge)। এই সেতুর সোনালি জয়েন্ট (golden joint) উদ্বোধন করা হয়েছে শনিবার। ইস্পাতের তৈরি এই রেলসেতুটি তৈরি করছেন ভারতের প্রকৌশলীরা। ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ৩৫ মিটার উঁচু এই রেলসেতু। ভারতীয় রেলের এক কর্মকর্তা জানান, ৩৫৯ মিটার বা ১ হাজার ১৭৭ ফুট উঁচু এবং এক হাজার ৩১৫ কিমি লম্বা এই রেলসেতু দিয়ে জম্মু থেকে বারমুল্লা যেতে সময় লাগবে সাড়ে ছয় ঘণ্টা।
জানা গিয়েছে, ২৪ হাজার টন বা তারও বেশি ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে এই সেতু তৈরি করতে। ১,৩১৫ কিমি দীর্ঘ এই সেতু এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে সবরকম প্রতিকূল আবহাওয়াতে টিকে থাকতে পারে। হিমাঙ্কের নীচে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বা ঘণ্টায় ২৬০ কিমি বেগে ঝড় হলেও, সেতুর কোনও ক্ষতি হবে না।
২০০২ সালে এই রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেতুর উচ্চতম স্থানে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ২০০৮ সালে আবার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।
আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়েই কাশ্মীরে রেল চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ওই সেতু তৈরি হলে যে কোনও আবহাওয়াতেই বাইরের রাজ্যগুলির সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ চালু থাকবে।
ভূতত্ত্ব, কঠোর ভূখণ্ড এবং প্রতিকূল পরিবেশের মোকাবিলা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের। Afcons-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গিরিধর রাজাগোপালান বলেন, "আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, গোল্ডেন জয়েন্টের কাজ শেষ হওয়ার পরে সেতুটি প্রায় ৯৮ শতাংশ সম্পূর্ণ হবে।"
পূর্ব ঘোষণা মতো সেপ্টেম্বরে নবান্ন অভিযানের ডাক বিজেপির। ৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গ বিজেপির তরফে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করতে সমাজের সবস্তরকে যোগ দিতে আহ্বান জানান বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর আবেদন, 'মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে এই লড়াই। তাই সাধারণ নাগরিক কোনও দল করে না কিন্তু প্রসাশনিক বঞ্চনার স্বীকার, চাকরিপ্রার্থী যারা দীর্ঘদিন অবস্থান করছেন, প্রকৃত বুদ্ধিজীবী, যাদের মেধা পয়সার কাছে বিক্রি হয় না। এঁরা সবাই এই কর্মসূচিতে যোগ দিন'।
এদিন সুকান্ত মজুমদার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। অনুব্রতর গ্রেফতারি থেকে রাজ্যের তিন মন্ত্রীর হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়া। এই জাতীয় নানা ইস্যুতে সরব ছিলেন তিনি। এদিন রাজ্যের তিন মন্ত্রী হাইকোর্টে আবেদন করেছে, সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামালায় যাতে ইডিকে যুক্ত না করা হয়।
এই পদক্ষেপকে খোঁচা দিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'এটা খানিকটা ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি মতো। এতদিন আমরা টাকার পাহাড় দেখেছি। এবার টাকার এভারেস্ট দেখবো। তাই যেসব মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি পেয়েছে তাঁরাই আদালতে গিয়েছিলেন।'
এসএসসি (SSC) দুর্নীতিতে সম্প্রতি গ্রেফতার (Arrest) হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বর্তমানে তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail)। কিন্তু কেমন আছেন পার্থ? সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি জেলের নিচুতলার কর্মীরা হুইল চেয়ার জোগাড় করে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই হুইল চেয়ার নিয়ে ঘুরতে দেখে ধমক দেন জেলার-রা। কোনও ধরনের অতিরিক্ত সুবিধা যাতে না দেওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে সেই বিষয়েও কড়া নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে পার্থ ঘণিষ্ট বান্ধবী অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) রয়েছেন আলিপুরের মহিলা সংশোধনাগারে (Alipore Correctional Institution for Women)। তবে অর্পিতা রানির মতো রয়েছেন জেলে, এমনটাই সূত্রের খবর। বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখেছেন জেলের সহ বন্ধিরা। ফলে অর্পিতার বিছানা করা থেকে, জামা কাপড় পরিষ্কার করে দিচ্ছেন বাকিরা। কেউ বা আবার বিছানা পেতেও দিচ্ছেন।
এবার দেখা যাক প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে খাদ্য রসিক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের খাদ্যের তালিকা- যা বর্তমানে যথেষ্ট চর্চার বিষয়।
সূত্রের খবর, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পার্থের খাওয়ার আবদারে প্রায় প্রতিদিনই দুবেলা ভাত দিতে হচ্ছে। কখনও আবার বিকালের দিকে চপ, বেগুনি এনে দিতে হচ্ছে জেলের ক্যান্টিন থেকে অনেক জোরাজুরিতে। এর মধ্যে একদিন খাঁসীর মাংসের ঝোল ও ভাত দিতে হয়েছে তাঁকে। যদিও গতকাল রাখী পূর্ণিমার দিন বৃহস্পতিবার জেলবন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাতে আমিষ পড়েনি। গতকাল তাঁর দুপুরের মেনুতে ছিল- ভাত, ডাল এবং দু-রকমের তরকারী। যা খাবার দেওয়া হয়েছে সবটুকুই খেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহা সচিব। পাশাপাশি তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
আজ শুক্রবার আবার তাঁর খাবারের মেনুতে রয়েছে আমিষ খাবার। সকালে উঠে চা খেয়েছেন তিনি। তবেআপাতত বই পড়ায় মগ্ন রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর জেলের মধ্যে বইয়ের তালিকায় রয়েছে কথামৃত, মহাশ্বেতা দেবীর একটি বই।
সম্প্রতি মাদক মামলায় (Drug Case) ক্লিনচিট পেয়েছেন আরিয়ান খান (Aryan Khan)। ফেরত পেয়েছেন ইডির বাজেয়াপ্ত করা পাসপোর্টও। তারপর মুম্বইয়ের এক নাইটক্লাবে শাহরুখ (Shahrukh Khan) পুত্রের সেলিব্রেশনের ছবি ধরা পড়েছে। এবার বাবার পথে হেঁটে বলিউডকেই পেশা করতে চলেছে শাহরুখ-গৌরীর বড় সন্তান। যদিও শাহরুখ খান বরাবর দাবি করে এসেছেন অভিনয়ে আসতে অনিচ্ছুক আরিয়ান। কিন্তু খবর অন্য! বোন সুহানা ইতিমধ্যে দা আর্চিস ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। কিন্তু দাদা আরিয়ান ক্যামেরার সামনে নয়, অন্য ভূমিকায় থাকবেন আরিয়ান। জানা গেল, শীঘ্রই একটি ওয়েব সিরিজের গল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন আরিয়ান। টিনসেল টাউনের জন্য স্যাটায়ার লিখছেন কিং খানের পুত্র। ইতিমধ্যে লেখালেখির কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। মুম্বইয়ের এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আরিয়ানের লেখা গল্প বেশ মর্মস্পর্শী। তরুণ অভিনেতার কর্মজীবন নিয়ে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রেরণা এলেও আদতে সেটি কাল্পনিক চিত্রনাট্য। এদিকে, মাদক-কাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ধীরে ধীরে ফিরছেন খান পরিবার। শাহরুখ খানও করছেন চুটিয়ে কাজ। তবে বাবা প্রযোজক হলেও, ছেলের ভবিষ্যতে পরিচালনায় আসার ইচ্ছে। আগে ছবি তৈরির পদ্ধতি ভাল করে রপ্ত করে নিতে চাইছেন চিত্রনাট্যকার হিসেবে।
সম্প্রতি মাদক মামলায় (Drug Case) ক্লিনচিট পেয়েছেন আরিয়ান খান (Aryan Khan)। ফেরত পেয়েছেন ইডির বাজেয়াপ্ত করা পাসপোর্টও। তারপর মুম্বইয়ের এক নাইটক্লাবে শাহরুখ (Shahrukh Khan) পুত্রের সেলিব্রেশনের ছবি ধরা পড়েছে। এবার বাবার পথে হেঁটে বলিউডকেই পেশা করতে চলেছে শাহরুখ-গৌরীর বড় সন্তান। যদিও শাহরুখ খান বরাবর দাবি করে এসেছেন অভিনয়ে আসতে অনিচ্ছুক আরিয়ান। কিন্তু খবর অন্য!
বোন সুহানা ইতিমধ্যে দা আর্চিস ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন। কিন্তু দাদা আরিয়ান ক্যামেরার সামনে নয়, অন্য ভূমিকায় থাকবেন আরিয়ান। জানা গেল, শীঘ্রই একটি ওয়েব সিরিজের গল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন আরিয়ান।
টিনসেল টাউনের জন্য স্যাটায়ার লিখছেন কিং খানের পুত্র। ইতিমধ্যে লেখালেখির কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। মুম্বইয়ের এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আরিয়ানের লেখা গল্প বেশ মর্মস্পর্শী। তরুণ অভিনেতার কর্মজীবন নিয়ে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রেরণা এলেও আদতে সেটি কাল্পনিক চিত্রনাট্য।
এদিকে, মাদক-কাণ্ড থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ধীরে ধীরে ফিরছেন খান পরিবার। শাহরুখ খানও করছেন চুটিয়ে কাজ। তবে বাবা প্রযোজক হলেও, ছেলের ভবিষ্যতে পরিচালনায় আসার ইচ্ছে। আগে ছবি তৈরির পদ্ধতি ভাল করে রপ্ত করে নিতে চাইছেন চিত্রনাট্যকার হিসেবে।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি (arrest) ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে সাপ বেরোবে। তদন্ত (investigation) হওয়া প্রয়োজন। এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নিজের দরকারে ব্যবহার করেছেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
অন্যদিকে, যদি কেউ ভুল বা অন্যায় করে থাকে, দল তার পাশে থাকবে না। দলের তরফে এমন স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি অর্জুন সিংয়ের। পাশাপাশি তিনি বলেন , আই আইনের পথে চলবে।
প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় নিজের গড়েই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, শারীরিক পরীক্ষার পর আজ আসানসোল আদালতে তোলা হতে পারে তাঁকে। এদিন সকালে সিবিআইয়ের বিশাল টিম বোলপুরে গিয়ে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, দশবার তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল। কিন্তু চিকিত্সার অজুহাতে তিনি ৯ বারই হাজিরা এড়িয়েছেন। সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল তাঁর বাড়িতে (house) প্রবেশ করে। সূত্রের খবর, তাঁকে হাজিরা এড়ানো প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ (interrogation) করেন আধিকারিকরা। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলা হয়। বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বীরভুমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বাড়িতেই ছিলেন বলে খবর। তাঁর বাড়ির চারপাশে অগণিত মানুষের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।