২১৫ কোটি টাকা তোলাবাজির মামলায় সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrashekhar) সঙ্গে নাম জড়ানোয় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে (Jacqueline Fernandez) তলব করেছিল ইডি (Enforcement Directorate) । তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট-সহ সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হয়েছে বিদেশযাত্রার অধিকারও।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিট ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে দিল্লি পাটিয়ালা আদালতে। ইডি-র সেই চার্জশিটে উঠে এসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুকেশের থেকে বেশ কিছু দামি উপহার পেয়েছেন জ্যাকলিন। গুচ্চি, শ্যানেলের ব্যাগ থেকে শুরু করে জিমের পোশাক, একজোড়া ‘লুই ভিতোঁ’র জুতো, দুটি হীরের আংটি, এছাড়াও একাধিক ব্রেসলেট। যার আনুমানিক মূল্য ৭ কোটি টাকা। ইডি অফিসাররা আগেই জানিয়েছেন, সুকেশের কুকর্মের বিষয়ে সবটা জ্যাকলিন জানতেন। তাঁর এই কাজের লাভও পেতেন। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছিল ইডি। তবে এবার ইডির চার্জশিটে উঠে এল আরও এক চঞ্চল্যকর তথ্য।
ইডি বলছে সুকেশ, জ্যাকলিনের জন্য তিন দেশে বাড়ি কিনেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাহরিন এবং মুম্বই। মুম্বইয়ের জুহুতে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশ বাংলো কিনে অ্যাডভান্সও করে দিয়েছেন। আর এই আর্থিক তোলাবাজির মামলায় সুকেশের ডান হাত পিঙ্কি ইরানি জানতেন সবটাই। পিঙ্কির সঙ্গে আলোচনা করেই বাড়ি কিনেছিলেন সুকেশ। এমনকি জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশকে পিঙ্কিই আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন।
ইডির রিপোর্টে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় নায়িকার জন্য কোটি টাকার বাড়ি কিনেছিলেন সুকেশ। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের জুহু অঞ্চলে একটি দামি বাংলোও অগ্রিম টাকা দিয়ে কিনেছিলেন তিনি। শুধু মাত্র জ্যাকলিনের জন্য। এছাড়া জ্যাকলিনের বাড়ির লোকেদের জন্যও দামি দামি উপহার কিনেছেন সুকেশ।
এসএসসি নিয়োগ (SSC Scam) দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। যেকোনও শর্তে জামিন (Bail Plea) চেয়ে আবেদন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবীর। প্রয়োজন বাড়িতেই নজরবন্দি বা গৃহবন্দি থাকতে চান তিনি। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে এই আশঙ্কা করে জামিন চাইলেন তিনি। তবে বুধবার জামিনের আবেদন করেনি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
এদিন জামিনের শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, ইডি বলছে বেশ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকটি জীবনবিমায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম নমিনি হিসাবে আছে। এতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোন ভূমিকা নেই। অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার মক্কেলের নাম ব্যবহার করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে।
আইনজীবীর দাবি,পার্থ চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ। অর্থোপ্যাডিকেল ও নেফ্রোলজিকাল সমস্যা রয়েছে। এভাবে থাকলে পার্থবাবুর মৃত্যু হতে পারে। জেলে শৌচাগারের সমস্যা রয়েছে। তাঁর মাটিতে বসে কাজে বারণ রয়েছে। কিন্তু জেলে মাটিতে শুতে হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ডায়লিসিসের প্রয়োজন রয়েছে।
এই আবেদনের বিরোধিতা করেছেন ইডির আইনজীবী। তিনি জানান, ১০০০ কোটি দিয়ে সিম্বায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি বিক্রি হয়েছে। এই কোম্পানি থেকে ২.৭০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে পার্থ ও অর্পিতার নামে। পাশাপাশি সোনারপুর-রাজপুর পুরসভা এলাকার বিভিন্ন কোম্পানিতে সেই অর্থ ঢুকেছে। এই সংস্থার শেয়ার হোল্ডার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কালো টাকা সাদা করতে এই কোম্পানি তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে আরও তথ্য পাওয়া যাবে অভিযুক্তদের থেকে। আমরা দু'জনকেই জেল হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই ।
তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইলে আসা এসএমএস প্রমাণ করছে জীবনবিমাগুলোর প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাকা। দু'জনের সোনারপুর এলাকায় প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। গোটা এই বিষয়ের মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে আমরা জেল হেফাজত রাখতে চাই।
সাত সকালেই মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। বাবার বকুনিতে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী (suicide) নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। চট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘুঘুপাড়ার বাসিন্দা ছিল ওই পড়ুয়া। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার সহ এলাকায়।
জানা যায়, মেঘনাথ বর তাঁর নাবালিকা মেয়েকে বকাবকি করেন। মেয়ে বাবার বকুনি খেয়ে বুধবার সকালে অভিমানে ঘরে গিয়ে মায়ের শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তার দেহ ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি শাড়ি কেটে মেয়েকে নিচে নামায়। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে (hospital) পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে কালিতলা আশুতি থানার পুলিস (police)।
পরিবারের একমাত্র নাবালিকা মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
ফের শোকের ছায়া বাংলা সিনে দুনিয়ায়। প্রয়াত বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) 'জন অরণ্য' (Jana Aranya) ছবির বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় (Pradip Mukherjee)। পরিবার সূত্রে খবর, গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি ছিলেন তিনি। সেপ্টিসেমিয়ার (রক্তে বিষক্রিয়া) সমস্যা ছিল তাঁর। জানা গিয়েছে, ফুসফুসে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া-সহ বেশকিছু শারীরিক সমস্যাও ধরা পড়েছিল অভিনেতার।
প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর প্রয়াণে অভিনয় জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল, জানান তিনি। অভিনেতার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানান।
পরিচালক নির্মল চক্রবর্তীর ছবি ‘দত্তা’র শ্যুটিং করছিলেন অভিনেতা। দু’দিন শ্যুটিংও করেন। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে নাগেরবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর সেখান থেকে দমদম ক্যান্টননেন্ট মিউনসিপ্যাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই সোমবার সকাল ৮.১৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৯৭৬ সালে সত্যজিৎ রায়ের 'জন অরণ্য' ছবির হাত ধরে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। এরপর একের পর এক সিনেমাতে কাজ করেছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ‘দূরত্ব’, ‘অশ্লীলতার দায়ে’, ‘হীরের আংটি’, ‘শাখা প্রশাখা’, ‘দহন’, ‘উৎসব’-এর মতো ছবি। কলকাতার চোরবাগান এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন তিনি। নিয়মিত তপন থিয়েটারে একের পর এক নাটক করতেন। আইনে স্নাতক হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে সপ্তাহান্তে নাটকের রিহার্সাল করতেন নিয়ম করে।
ফের মনখারাপ বাংলা সিনে দুনিয়ায়। বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) 'জন অরণ্য' (Jana Aranya) ছবির অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় (Pradip Mukherjee) ভেন্টিলেশনে। পরিবার সূত্রে খবর গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ফুসফুসে সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া-সহ বেশকিছু শারীরিক সমস্যা ধরা পড়েছে অভিনেতার।
পরিচালক নির্মল চক্রবর্তীর ছবি ‘দত্তা’র শ্যুটিং করছিলেন অভিনেতা। দু’দিন শ্যুটিংও করেন। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। প্রথমে নাগেরবাজারের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু বর্তমানে দমদম ক্যান্টননেন্ট মিউনসিপ্যাল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২২ অগাস্ট ওই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। জানা গিয়েছে, তখন থেকেই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না প্রদীপের। বর্তমানে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা। অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শনিবার যাও কিছুটা সাড়া দিচ্ছিলেন রবিবার সেটাও দিচ্ছে না বলে খবর। অভিনেতার অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন টলিপাড়া। তাঁর আরোগ্য কামনা করছেন শিল্পীদের একটা অংশ।
১৯৭৬ সালে সত্যজিৎ রায়ের 'জন অরণ্য' ছবির হাত ধরে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। এরপর একের পর এক সিনেমাতে কাজ করেছেন। কলকাতার চোরবাগান এলাকার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন তিনি। নিয়মিত তপন থিয়েটারে একের পর এক নাটক করতেন। আইনে স্নাতক হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে সপ্তাহান্তে নাটকের রিহার্সাল করতেন নিয়ম করে।
ফের আক্রান্ত বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়ায় বিজেপির যুব জেলা সভাপতি বিমলেশ তেওয়ারির বাড়িতে বোমাবাজি। অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদলের দিকে। ২৬ জুলাই ব্যারাকপুরে বিজেপির আইন অমান্য আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন বিমলেশ। তাঁকে দেখতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এসেছিলেন। সুকান্ত মজুমদার এলাকা ছাড়ার পর গভীর রাতে বিমলেশ তেওয়ারির বাড়িতে বোমাবাজি শুরু হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, কাঁচড়াপাড়া এমনিতে অশান্ত থাকে বোমা বারুদের গন্ধে। এক্ষেত্রে এই বোমাবাজির উদ্দেশ্য কী তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
অপরদিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কোনওরকম ভাবে জড়িত নয় শাসক দল। এর পিছনে রয়েছে বিজেপির দলীয় কোন্দল। কিন্তু এক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুনুন কী বলছে বিজেপি-তৃণমূল?
যদিও বোমাবাজির পিছনে কারা রয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। কিন্তু বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল রাজ্যের আনাচ কানাচ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার। নির্দেশ মেনে পুলিসি তত্পরতা ছিল চোখে পড়ার মত। বোমা, গুলি, বন্ধুক উদ্ধারও হয়েছিল বেশ কিছু।
কিন্তু তারপরেও মুদিখানার দোকানের হজমিগুলির মত কীভাবে মিলছে এই সব অস্ত্র? তবে কি মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ থেকে গেল শুধুমাত্র ফাইলবন্দী হয়ে? তবে কি ভোট সমীকরণ বদলাতে শাসক দলের নীল নকশা এখন ফ্র্যাঙ্কেস্টাইনের গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে? কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না মোড়ে মোড়ে জন্ম নেওয়া বাহুবলীদের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ক্রমশ অস্ত্রাগারে পরিণত হচ্ছে। কোনও দায় নেই প্রশাসনের? প্রশ্নটা ক্রমেই জমাট বাঁধছে। এর আগেও উত্তর ২৪ পরগনার শিল্পতালুকে একাধিক বার উদ্ধার হয়েছে বোমা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রদর্শনের ইঙ্গিতও মিলেছে। এবার বোমাবাজি কাঁচড়াপাড়ায়। কারণ যাই হোক না কেন? এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। কীভাবে ফিরবে শান্তি? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের দলীয় সভা থেকে 'হাকিম সাহেব' প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বিজেপির গৃহীত 'চোর ধরো, জেল ভরো' কর্মসূচিতে তিনি বলেন, 'তৃণমূলের একজন হাকিম সাহেব আছেন, তাঁরও সময় এসেছে ভিতরে (পড়ুন জেলে) ঢোকার।' বঙ্গ বিজেপির সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা। শুক্রবার সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম।
ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার?
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের এই মন্ত্রী বলেন, 'আমি সুকান্ত মজুমদারদের উদ্দেশ্য বলি, কোন মামলায় আমাকে ফাঁসানো হবে বলে দিন। মনে হচ্ছে লিস্ট আপনি করে দিচ্ছেন৷ কোন মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হব বলে দিন। কোনও দিন যে কাজ অন্যায়, মানুষের চোখে অন্যায়, এমন কাজ করিনি। এত কুৎসা, অভিসন্ধি, আমার ওপরে এত রাগ কেন? এর কারণ বুঝতে পারছি না।'
অভিমানের সুরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'অনেক সাংবাদিক বন্ধু লিখে দিচ্ছেন আমার কাছে নোটিশ গিয়েছে। রেইড হচ্ছে কেন এত আনন্দ? মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। কী এমন অন্যায় করলাম, যে সব সময় আমাকে হেনস্থা৷ ববি হাকিম তৃণমূল কংগ্রেস করে মানেই অসাধু। আর সুকান্তবাবুর দলে গেলেই সাধু।'
তিনি প্রশ্ন করেন,'ভারতে আইন-সংবিধান-বিচার ব্যবস্থা আছে। সবার মানসম্মান আছে। এই কাজে আমার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। সব অসাধু আমরা, আর আপনার দলে গেলে সাধু এটা হতে পারে না৷ সবাই ভয় পেয়ে গেছেন নাকি? তরোয়ালের কাছে পেন কি ভয় পেয়েছে? আমার জেলে যেতে ভয় লাগে না। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি, সম্মানহানি ভয় লাগে৷ আমাকে ঢুকিয়ে দিন। আসুন আপনি নিজে। আমাকে ঢুকিয়ে দিন। আপনিও কারও স্বামী, কারও বাবা। আমিও তাই। কেসের আগে কেন মিডিয়া ট্রায়াল, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে?'
ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, 'আমার একটা কেস হয়েছিল। আমি জেলে ছিলাম। আমি হাসপাতালে ছিলাম না। বিরোধী দলনেতা বলে দিয়েছেন সেই ব্যাপারে। আমি অসম্মানিত হতে চাই না।'
শুনুন কী জবাব দিলেন ববি হাকিম?
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) কাঠুয়া জেলার হীরানগর এলাকায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (BJP Leader) এক নেতার মৃতদেহ (Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। গাছ থেকে ঝুলন্ত (hanging) অবস্থায় পাওয়া যায় সোম রাজের (Som Raj) দেহ। গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই নেতা। তাঁর পরিবার ও বিজেপির অন্য নেতাদের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে।
এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, হীরানগর শহরের এক গ্রামবাসী সকালে বিজেপি নেতার দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরীরে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান। ইতিমধ্যে পুলিস মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
সোম রাজের পরিবারের অভিযোগ, তিনি আত্মহত্যা করেননি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে সোম রাজের বাড়িতে পৌঁছে বহু বিজেপি নেতা তাঁর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।
বোনেরা ভুল করায় দাদা বকেছিল। আর এই বকাই (scolded) যে কাল হয়ে দাঁড়াবে তা হয়ত কল্পনাতেও ভাবেননি সেই দাদা (Elder Brother)। দাদা বকাঝকা করায় আত্মসম্মানে লেগেছিল তাদের। তাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করে বসে ওরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বরেলি জেলার নবাবগঞ্জ থানা এলাকায় (Nawabganj police station)।
পুলিস জানিয়েছে, সম্পর্কে খুড়তুতো বোন হয় ওই দুই কিশোরী। দুজনের বয়স ১৫ এবং ১৬ বছর। দাদার বকার পর পাশের গ্রামের একটি দোকান থেকে বিষ কিনে নিয়ে যায় তারা। তারপর একসঙ্গে দু'জনে বিষপান করে।
ঘটনাটি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এক কিশোরীর। আর চিকিৎসা চলাকালীন সোমবার সন্ধ্যায় মারা যায় আরও একজন। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পুলিস ওই কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করে। সেখানে স্বীকার করে নেয় তারা নিজেরাই বিষ খেয়েছে।
ভয়াবহ গাড়ি বোমা (Car Bomb) বিস্ফোরণে নিহত পুতিন (Vladimir Putin) ঘনিষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্তার মেয়ে। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম দারিয়া দুগিন। ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine War) মাস্টারমাইন্ড আলেকজেন্ডার দুগিনের মেয়ে দারিয়া। স্পষ্টতই এই নাশকতার পিছনে ইউক্রেনীয় জঙ্গিদের হাত দেখছে মস্কো। প্রাথমিক তদন্তে রুশ পুলিস জানতে পেরেছে, মস্কোর অদূরে জাতীয় সড়কের এক ধারে পার্ক ছিল দারিয়ার গাড়ি। রাতের দিকে এক অনুষ্ঠানবাড়ি থেকে ফিরে সেই গাড়িতে উঠতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় সেই গাড়ি-সহ পাশের একটা ট্রাকেও আগুন ধরে যায়।
পুলিসের সন্দেহ, দারিয়া নয় বরং তাঁর বাবা আলেকজেন্ডার ছিলেন এই নাশকতার লক্ষ্য। কিছু সময়ের গরমিলে প্রাণ হারান দারিয়া দুগিন।
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের কাছে অ্যালেকজান্ডার পুতিনের মাথা হিসেবে পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ রাশিয়ার পড়শি দেশগুলোকে ধমকে চমকে রাখা। প্রতি ক্ষেত্রেই রুশ সেনাকে পরিকল্পনা ছকে দেন আলেকজেন্ডার। পুতিন-ঘনিষ্ঠদের দাবি, আলেকজান্ডারকে খুনের এই হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। পাল্টা জবাব দেবে রাশিয়া। অধুনা রুশ নিয়ন্ত্রিত ডনেৎস্কের গণপ্রজাতন্ত্রের প্রধান তথা পুতিন-ঘনিষ্ঠ ডেনিস পুশিলিনের দাবি, ইউক্রেনীয় জঙ্গিরাই আলেকজান্ডারের মেয়েকে খুন করেছে।
গরু পাচার-কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর খবরে এসেছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Anubrata Daughter)। ইতিমধ্যে জনমানসে চর্চায় সুকন্যা (Sukanya Mondal)। এই পাচার-কাণ্ডের তদন্তের মাটি সিবিআই যত খুঁড়ছে, ততই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির মেয়ের নামে একাধিক সংস্থার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা (CBI)। এমনকি, সরকারের খাতায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। যদিও তিনি নাকি স্কুলে যান না, বরং স্কুলের রেজিস্টার খাতা সুকন্যার বাড়িতে আসে। এই ধরনের একাধিক অভিযোগ উঠছে। এমনকি, তিনি নাকি টেট ফেল করেও স্কুলশিক্ষিকার কাজ পেয়েছেন। সম্প্রতি এই অভিযোগ করে হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছেন এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে সুকন্যা মণ্ডলকে টেট নথি-সহ ডেকে পাঠিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নির্দেশ প্রত্যাহারও করেছেন মাননীয় বিচারপতি
এই আবহে ভাইরাল হয়েছে অনুব্রত-কন্যার এক নাচের ভিডিও। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল। তবে ভিডিওয় দেখা গিয়েছে ঘরোয়া পরিবেশে তুঁতে-সোনালি শাড়িতে একদম বাঙালি সাজে সেই ভিডিও বানিয়েছেন সুকন্যা। র্যাপার বাদশার এককালীন জনপ্রিয় রিমেক গান 'বড়লোকের বেটি লো...' গানে একতি রিল বানান সুকন্যা। যে গানে নাচতে দেখা গিয়েছে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। 'বড়লোকের বেটি লো...' সেই গানের সঙ্গে নেচে বানানো সুকন্যার রিল ঘিরে এখন চর্চা তুঙ্গে।
ইতিমধ্যে সিবিআই অনুব্রত-সহ তাঁর আত্মীয়দের প্রায় ১৭ কোটি টাকার এফডির খোঁজ পেয়েছে। বোলপুরের নিচুপট্টির পৈতৃক ভিটে ছাড়াও অনুব্রতর নতুন একটা বাড়ি গৃহ প্রবেশের অপেক্ষায়। এখন তাই ভাইরাল রিল দেখে নিন্দুকেরা বলছেন, সত্যিই 'বড়লোকের বেটি' সুকন্যা মণ্ডল! এটা একটা ভাইরাল হওয়া ভিডিও, সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ
কলকাতা হাইকোর্টে আপাত স্বস্তি পেলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এদিন সুকন্যা সহ ৬ জনের হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
গতকালের অতিরিক্ত হলফনামা গ্রহণ করছেন না বিচারপতি। কারণ মূল মামলার সঙ্গে এটা যুক্ত নয়। তাই কালকের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। টেট পাশ করা সহ অন্য নথিও জমা নিলেন না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলকারীর অভিযোগে আলাদা করে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন অনুব্রত-কন্যা ও ভাইপো। আজ অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সহ অন্যদের জমা দিতে বলা হয়েছিল নিয়োগপত্র, টেট পাশ সার্টিফিকেট, অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার নথি ইত্যাদি।
এদিন নথি জমা দিয়েছিলেন সকলেই। কিন্তু মামলার কোনও শুনানি হল না। আজ নয়, মালার শুনানি পয়লা সেপ্টেম্বর।
বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের! বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) হৃদেশ কুমার (Hirdesh Kumar) ঘোষণা করেছেন, কর্মচারী, ছাত্র, শ্রমিক বা বাইরে থেকে আসা যে কেউ, যাঁরা সাধারণভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে বসবাস করছেন, কিন্তু স্থানীয় নন (Non-locals), তাঁরা ভোটার তালিকায় (voting list) নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রতিবাদে সরব হয়েছে উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি।
তিনি আরও বলেছেন, বহিরাগতদের ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের কোথাও নিজ আবাসন থাকার প্রয়োজন নেই। অন্যান্য রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও, যাঁরা বিভিন্ন সীমান্তে, বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং রয়েছেন, তাঁরাও ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করতে পারেন। তিনি আরও জানান, এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ২৫ লক্ষ নতুন নাম ভোটার তালিকায় ঢুকতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই প্রথমবার নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে সেই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে চলতি বছরের শেষের দিকে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এই বছর সম্ভবত নির্বাচন হচ্ছে না কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে।
বাড়ি থেকে বেরোলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal)। বিচারপতির নির্দেশ মেনে আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা সুকন্যার। টেট পাস না করেও প্রভাব খাটিয়ে প্রাইমারি স্কুলে চাকরির অভিযোগ ওঠে সুকন্যা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে। তারপরেই অনুব্রত কন্যা (Daughter) সহ ৬ জনকে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টের মধ্যে সশরীরে হাইকোর্টে (Highcourt) হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, সকলেই অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ। এই ছয় জন হলেন, অনুব্রত-কন্যা, সাত্যকি মণ্ডল, কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদি, অর্ক দত্ত, সুমিত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। বুধবার বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফিক্সড ডিপোজিটের কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। তবে ক্যাশ নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই এফডি-গুলির হদিশ পেয়ে তদন্তে নামে।
সিবিআই সূত্রে খবর, যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে গরু পাচারের টাকা নিজের মেয়ে ও পরিবারের সদ্যদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে, সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে দেওয়া হত একটা পার্সেন্টেজ টাকা। পার্সেন্টেজ নির্ভর করত কত টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রান্সফার করা হচ্ছে তার ওপর এবার সেই সকল অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররাও সিবিআই স্ক্যানারে।
উল্লেখ্য, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তাঁর কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এরপরই বোলপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। কথা বলেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে। তারপরই এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির হদিশ পান সিবিআই আধিকারিকরা।
বছরের শেষে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir Vote) ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। নির্বাচন প্রচার কমিটির সভাপতি পদ ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad)। মঙ্গলবার প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সাংসদকে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইস্তফা দিলেন আজাদ। আর আজাদের এই পদক্ষেপের পরেই ইস্তফার হিড়িক জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে। আজাদ অনুগামী হিসেবে উপত্যকায় পরিচিত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন বিধায়ক হাজি আব্দুল রশিদ দারের মতো নেতারা বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। এই সম্ভাবনা উসকে দিয়ে আসন পুনর্বিন্যাস চলছে উপত্যকায়। আর জম্মু-কাশ্মীরের একদা শাসক দল কংগ্রেস সেখানে নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। সেই উদ্দেশে সাত বছর প্রদেশ সভাপতির পদে থাকা মীর জুলাইয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর জায়গার ভিকর রসুল ওয়ানিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করেছেন সোনিয়া গান্ধী। আর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবিকে দেওয়া হয় নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব।
এদিকে, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য গুলাম নবি আজাদ। বহুবার সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের আবেদন করেছেন আজাদ। সেই আবেদন পত্রে সই ছিল বাকি বিক্ষুব্ধ নেতাদের। একটা সময় গুঞ্জন রটেছিল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গুলাম নবি আজাদকে প্রার্থী করতে পারে এনডিএ শিবির।
কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছে সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর প্রার্থীপদ এবং জয়লাভ।