মধ্যপ্রদেশের পান্না টাইগার (Madhya Pradesh Tiger reserve) রিজার্ভে বাঘের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। জঙ্গলের একটি গাছ থেকে গলায় তার পেঁচানো অবস্থায় দেহ (Tiger Body Found) উদ্ধার হয়েছে। আর এই ঘটনার পর গাফিলতির অভিযোগে ডেপুটি ফরেস্ট রেঞ্জার এবং এক জন বিট গার্ডকে সাসপেন্ড করেছে বন দফতর। গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায় জড়িত দুই মূল অভিযুক্তকে। বন দফতর সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় তিলুগা বিটের কাছে একটি গাছ থেকে বাঘের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনায় শোরগোল পড়ে।
সূত্রের খবর,অন্য প্রাণীর জন্য পাতা ফাঁদে থাকা তারে জড়িয়ে যায় বাঘটি। সেই অবস্থায় গাছে ওঠার চেষ্টা করে সে। কিন্তু পিছলে গিয়েই এই দুর্ঘটনা। মৃত বাঘের ওজন ২০০ কেজি বলেই জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে ছ’টি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের অন্যতম কানহা, বান্ধবগড়, পান্না। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ তথ্য মোতাবেক, মধ্যপ্রদেশে গত ১০ বছরে ২৭০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। শুধু মাত্র ২০২১ সালেই ৪২টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
ফের জোড়া বাঘের দর্শন মিলল সুন্দরবনে। শীত (winter) শুরু হতে না হতেই সুন্দরবনে (Sundarbans) ঢল নেমেছে পর্যটকদের। এরই মধ্যে সোমবার সাতসকালে জোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger) দর্শনে খুশী পর্যটকরাও। জানা যায়, কলকাতা থেকে সুন্দরবন এসেছেন একদল পর্যটক। সোমবার সকালে জঙ্গল ভ্রমণে বের হন তাঁরা। আর এরপরই পিরখালির জঙ্গলে জোড়া দক্ষিণরায়ের দর্শন পান তাঁরা। দর্শন পাওয়া মাত্রই যেন ভ্রমণ সফল বলে মনে করছেন পর্যটকরা।
প্রসঙ্গত, গত বেশ কিছুদিন ধরে মাঝে মধ্যেই সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘ দর্শন চলছে পর্যটকদের। কখনও একটি বাঘ, কখনও দুটি বা তিনটি বাঘের দর্শনও পেয়েছেন তাঁরা। এবার আবার জোড়া বাঘের দর্শন পেলেন এই পর্যটক দলটি। আর সেই বাঘের ছবি নিজেদের মোবাইল ক্যামেরাবন্দি করলেন উৎসাহী পর্যটকরা।
স্থানীয়রা জানান, আগে বাঘের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে যেভাবে বাঘের দেখা মিলছে তাতে করে ফের সেই সংখ্যা পূরণ হচ্ছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাঁরা আশাবাদী আগামীদিনে আরও পর্যটকদের ঢল নামবে সুন্দরবনে।
আবারও বাঘের হামলায় মৃত্যু (death) হল এক মৎস্যজীবীর। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলীর (Kultali)। মৃত্যুর খবরে শোকাহত পরিবার সহ এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত সোমবার কুলতলির দেউলবাড়ী দেবীপুর অঞ্চলের কাঁটামারি এলাকা থেকে দুটি নৌকা করে সাত মৎস্যজীবী রওনা দিয়েছিলেন সুন্দরবনের (Sundarbans) নদী খাড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে। এরপর শনিবার সকাল ৬ টা নাগাদ বিদ্যা নদীর চড়ে নৌকাতে বসে মুখ ধুচ্ছিলেন মৎস্যজীবী দিলীপ সরদার। হঠাৎই ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের মধ্যে থেকে একটি বাঘ (tiger) নৌকার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দিলীপ সরদারের ঘাড়ে কামড় দিয়ে বিদ্যা নদীর জলে ঝাঁপায়। তত্ক্ষণাত্ই মৎস্যজীবী দিলীপ সরদারের পাঁচ সঙ্গী রঘুনাথ সরদার, বিপুল সরদার, শ্যামল মণ্ডল, মানবেন্দ্র হালদার ও হৃদয় সরদার ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীতে। ততক্ষণে বাঘটি মৎস্যজীবী দিলীপ সরদারকে নিয়ে নদীর পাড়ে সাঁতরে উঠে গিয়েছে। এরপরেই দিলীপ সরদারকে বাঁচানোর জন্য চলে বাঘে মানুষের লড়াই। অবশেষে বাঘটি হার মেনে মৎস্যজীবী দিলীপ সরদারকে ছেড়ে জঙ্গলের মধ্যে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও মাথায় গুরুতর আঘাতের দরুন মৃত্যু হয় আহত মৎস্যজীবীর।
এরপরই দিলীপ সরদারের নিথর দেহ নিয়ে দেউলবাড়ী দেবীপুর অঞ্চলের কাটামারির গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন মৎস্যজীবীরা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ফের বাড়ল এলাকায় বাঘের (tiger) আতঙ্ক উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Islampur) থানার কালানাগিন এলাকায়। ইতিমধ্যেই একের পর এক গরু, ছাগল এবং শুয়োরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে কালানাগিন এলাকা থেকে। তবে সোমবার ফের একটি গরুর মৃতদেহ (dead body) উদ্ধার হয়। ১৭ দিন কেটে গিয়েছে বাঘের আতঙ্কে রাতের পর রাত বনদফতরের কর্মীরা এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছেন। তবে বাঘের আতঙ্ক যেন এবার মানুষকে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এই এলাকার মানুষ রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। এবার গ্রামবাসীরা সরাসরি জানাচ্ছে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এলাকা থেকে একের পর এক গরুর মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। সবমিলে প্রশাসনকে দায়ী করছেন এই গ্রামবাসীর এলাকার মানুষ।
এদিকে, বাঘে ভয়ে মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কালনাগিনি গ্রামে এক বৃদ্ধার বয়স্কজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের লোকেরা যখন শোকে বিহ্বল, সেই সুযোগে এলাকায় একটি বাঘ এসে বাড়ির এক গবাদি পশুকে টেনে নিয়ে নিয়ে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাম জুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা মৃতদেহ দাহ করতে সেই বাড়িতে এলেও এই খবর পেয়ে একে একে সকলেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। বাঘ তাঁদের বাড়িতেও গবাদি পশু, ছোট ছোট শিশুদের উপর আক্রমন করতে পারে এই আশঙ্কায় প্রতিবেশীরা কেউ রাতে শ্মশানে যেতে রাজি হননি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সকাল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কেউ শ্মশানে যেতে পারবেন না। লোকের অভাবে মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল সোমবার।
চা বাগান রেখে যাওয়া দুটি শাবককে (Leopard Calf) মুখে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল মা চিতা (Cheetah)। রাতের অন্ধকারে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা কারো চোখে না পড়লেও, ধরা পড়ল বন দফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায়। আর এই ভিডিও প্রকাশ করতেই,সকলের তারিফ কুড়োতে শুরু করল বন কর্তারা। বক্সা ব্যাঘ্র (Buxa Tiger) প্রকল্প সুত্রে খবর, গত ১৯ সেপ্টম্বর চা বাগানে ২টি লেপার্ড শাবক দেখতে পায় বনকর্মীরা। কিন্তু শাবক দুটি উদ্ধার করা হয় না। কারণ জায়গাটিকে নিরাপত্তায় ঘিরে রেখে মা চিতা আসার অপেক্ষা করা হয়। পাশাপাশি সমস্ত ঘটনাক্রম ক্যামেরাবন্দি করার ব্যবস্থাও করে তারা। পরবর্তীতে সেই চিন্তা ফলপ্রসূও হয়।
এদিকে, সদ্যজাত চিতাশাবক উদ্ধারের ঘটনায় সম্প্রতি চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে। ঘটনাকে ঘিরে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা ১০ নম্বর সেকশনে কাজ করার সময় নিকাশি নালা ও চা গাছের ঝোপের মাঝে তিনটি সদ্যজাত চিতাশাবকে দেখতে পান। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বনদফতরের বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। ঘটনাস্থলে বন দফতরের কর্মীরা এসে ১০ নম্বর সেকশনের কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় ছেড়ে দেয় শাবকগুলোকে।
জানা গিয়েছে, মা চিতাবাঘ এসে শাবকগুলিকে নিয়ে যাবে এমনটাই অনুমান বন দফতরের কর্মীদের। সে সময় গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানের লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার বিশু দাস বলেন, 'সম্ভবত শাবকগুলি ২-৩ দিন আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে। চিতাশাবকগুলিকে নির্জন জায়গায় রাখা হয়েছে যাতে মা চিতাবাঘটি এসে অনায়াসে শাবকগুলিকে নিয়ে যেতে পারে। শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই ওই এলাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। চিতাশাবকগুলোকে সুস্থ ভাবে মা চিতাবাঘের কাছে ফিরে যাক এমনটাই আশা বন দফতরের আধিকারিকদের।'
সন্তানকে বাঁচাতে মা নিজের প্রাণেরও তোয়াক্কা করেন না। সন্তানের বিপদ বুঝলে সেখানে না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন একমাত্র মা-ই। আর সে কথাই ফের প্রমাণ করে দিলেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উমরিয়া জেলার এই মহিলা। ১৫ মাসের শিশুসন্তানকে বাঁচাতে একাই লড়লেন বাঘের সঙ্গে। এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে বান্ধবগড় অভয়ারণ্যে। ২২ বছরের মা এবং শিশু দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করানো হয়। যদিও এখন বিপদমুক্ত ১৫ মাসের সন্তান বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
গুরুতর আহত তরুণীর নাম অর্চনা চৌধুরি (Archana Chowdhury)। হাসপাতালে শুয়ে অর্চনা জানিয়েছেন, তাঁর ১০ মাসের শিশুপুত্রকে (Child) রবিবার পাশে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। ভোরের দিকে হঠাৎ বাড়িতে ঢুকে পড়ে বাঘ। তাঁর ছেলেকে মুখে করে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় শব্দে ঘুম ভেঙে যায় অর্চনার। সে তীব্র চিৎকার করে বাঘের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আগপিছু না ভেবেই বাঘের পিঠে, মুখে মারতে থাকেন। সেসময়, ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ।
চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে আসতে দেখেই বাঘ ভয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। অর্চনার স্বামী ভোলাপ্রসাদ জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর কোমরে-হাতে এবং পিঠে আঘাত লেগেছে। আর তাঁদের সন্তানের ঘাড়ে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে।
বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের অধিকর্তা বিএস অ্যানেগিরি জানিয়েছেন, বাঘটি অনেকদিন ধরে ওই এলাকায় খাবার শিকার করতে এলেও আগে আগে কখনও মানুষকে আক্রমণ করেনি। ঘটনার দিন একটি গবাদি পশুকে শিকার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় বাঘটি। তাতে ক্ষুণ্ণ হয়েই সহসা এই আক্রমণ বলে মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উমারিয়া জেলা হাসপাতাল থেকে অর্চনাকে জব্বলপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছে। পিঠে এবং পেটে গুরুতর আঘাত রয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life imprisonment) সকলেই শুনেছেন। কিন্তু যাবজ্জীবন ‘খাঁচাদণ্ড’ কোনওদিন শুনেছেন? একাধিক মানুষ খুনের (Murder)অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি তার প্রজাতির অন্যদের সঙ্গেও প্রায়ই লেগে যায় অশান্তি, মারামারি। এই আক্রমণাত্মক স্বভাবের জেরে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে প্রজাতির অন্যরা।
কে সে? এতক্ষণ ধরে যার কথা বলা হল, সে হল টি-১০৪। রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানের বাঘ টি-১০৪। এই উগ্র মানসিকতাকে বাগে আনতে না পেরে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জঙ্গলের চিফ ওয়ার্ডেন। শাস্তিস্বরূপ বাঘকে আজীবন 'খাঁচাবন্দি' রাখার কথা জানান চিফ। একই সঙ্গে তাকে তার পরিচিত এলাকা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নির্বাসন দেওয়ার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কাছে।
বন মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ২০১৯ সালে টি-১০৪কে বন্দি করা হয়। তার আগেই সে পর্যটক-সহ তিনজনকে হত্যা করেছিল। বন্দি করার পরও সে শান্ত হয়নি। রণথম্ভোর জাতীয় উদ্যানে থাকা বাঘেদের উপর চড়াও হত সে। অনেককে এলাকা থেকে সরিয়েও দিয়েছে। এরপরই রণথম্ভোর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাঘটিকে। তাকে আপাতত কম পর্যটক অধ্যূষিত মুকুন্দ্র হিলস ব্যঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের দারা পাহাড়ি এলাকায় খাচাবন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, টি-১০৪-কে খাঁচাবন্দি করে যাবজ্জীবনের নির্বাসনে পাঠানো হলে সে হবে রাজ্যের দ্বিতীয় বাঘ। যাকে তার স্বভাবের জন্য অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আজীবন 'খাঁচাদণ্ড' দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।