খোলা জায়গায় একেবারে পর্যটকদের সামনাসামনি বাঘ (Tiger)। এত সামনে বাঘ দেখে গাড়ি থেকেই বাঘের ছবি তোলা শুরু করেন পর্যটকরা। কিন্তু কিছু মুহূর্তের সেই আনন্দ উচ্ছ্বাস আতঙ্কে বদলে গিয়েছিল পর্যটকদের। তাঁদের হট্টগোল এবং ছবি তোলার জেরে ‘বিরক্ত’ হয়ে পর্যটকদের গাড়ি লক্ষ্য করে ছুটে আসে বাঘটি। তা দেখে চালক সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি পিছিয়ে নিলেও বাঘটি বেশ কিছুটা ধাওয়া করে গাড়িটির। তবে বাঘের সেই আক্রমণের (Attack) ধরনও ক্যামেরাবন্দি করেন পর্যটকরা। বাঘের সেই ভিডিওটিই (Viral Video) ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। আর সেই ভিডিওই নিজের টুইাটর অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে বনাধিকারিক সুশান্ত নন্দ ক্যাপশনে লিখেছেন, “ডোরাকাটা সন্ন্যাসী বিরক্ত হয়েছে। কিন্তু তারা কী-ই বা করবে, প্রতি মুহূর্তেই তাদের এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াত লেগেই রয়েছে।”
Striped monk gets irritated 😣
— Susanta Nanda (@susantananda3) April 26, 2023
What will you do if at every designated hours people crash into your house as their matter of right? pic.twitter.com/4RDCVLWiRR
জঙ্গল সাফারিতে বেরিয়ে বাঘের দর্শন পেতে উত্সুক হয় সব পর্যটকরাই। আর সেটা যদি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) জিম করবেট জাতীয় উদ্যান হয়, তাহলে আর কোনও কথাই হয় না। আর সেখানেই জঙ্গল সাফারিতে গিয়ে গাড়িতে চেপে জঙ্গল ভ্রমণ করছিলেন এক দল পর্যটক। গাড়িতে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে কিছু একটা নড়াচড়া করতে দেখেন পর্যটকরা। তখনই সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামিয়ে দেন ওই গাড়ির চালক। ঝোপের আড়াল থেকে হলুদ ডোরাকাটা বিশালাকার বাঘ দেখে আনন্দে আত্ম্যহারা হয়ে পড়েন পর্যটকরা।
তাই বাঘের ছবি তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। আর তখনই বিরক্ত হয়ে আক্রমনাত্মক ভাবে গাড়ির দিকে ছুটে আসে সেই বাঘটি। কিন্তু এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বাঘের সেই তাড়া খেয়ে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গাড়ির চালক-সহ পর্যটকরা।
বনে-জঙ্গলে বাঘেরা (Tiger) শিকার করার জন্য অন্যান্য প্রাণীর উপরে হামলা করে। এতে এমন কিছু নতুন নেই। কিন্তু এবারে বাঘ দেখা গেল এক মাঠে, আর সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক গরু। আর সেখানেই গরুর পিছনে তাড়া করল বাঘ। কিন্তু এরপর যা ঘটল, তা দেখে অবাক হবেন আপনিও।
দেখা গিয়েছে, অনেকক্ষণ ধরেই একটি বাঘ মাঠে থাকা গরুগুলোর উপর হামলা করার চেষ্টা করছে। গরুগুলোর উপর আক্রমণ করার সুযোগ না পেলে একটি বাছুরকেই ধরে ফেলে বাঘটি। কিন্তু এরপরেই ঘটে গেল এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাছুরটিকে ধরতেই একটি গরু শিং উঁচিয়ে এসে এমন তাড়া দেয় বাঘকে, সে বাধ্য হয়ে লেজ তুলে পালাতে শুরু করে। গরুর তাড়া খেয়েই কালঘাম ছুটে যায় বাঘ বাবাজির। বাছুরটিকে তো ছেড়ে দিয়েছেই, আবার নিজে বাঁচতে এক দৌড় লাগায় বাঘটি। এমনকি এক দৌড়ে সেই মাঠ ছেড়েই পালিয়ে যায় সে।
এই ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করে সমাজমাধ্য়মে দিতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। এতে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষের বেশি ভিউ এসেছে। ভিডিও-র নীচে কমেন্টে ভরে গিয়েছে। নেটিজেনরাও অবাক, তাঁদের প্রশ্ন, 'এও সম্ভব!'
ফের বাঘের পর্যাপ্ত খাওয়ারের জন্য ১০০ টি হরিণ (Deer) ছাড়া হবে সুন্দরবনের (Sundarbans) জঙ্গলে। ইতিমধ্যেই বিভূতিভূষণ বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে ১০০ টি হরিণ নিয়ে আসা হয়েছে। হরিণগুলিকে রাখা হয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের দোবাঁকি ক্যাম্পে।
বন দফতরেরে এক আধিকারিক জানান, ম্যানগ্রোভের জঙ্গলের মধ্যে রেখে হরিণদেরকে দেখভাল করছেন বনকর্মীরা। মাস দুয়েক সুন্দরবনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর এই হরিণগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনে বাঘের পরিমাণ বাড়তে পারে। যার ফলে তাঁদের পর্যাপ্ত খাওয়ারের প্রয়োজন। তাই মূলত বাঘের খাওয়ার হিসেবেই হরিণগুলিকে জঙ্গলে ছাড়ার সিদ্ধান্ত বন দফতরের।
এই বিষয়ে এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, বন দফতরের এই উদ্যোগটি খুবই সুন্দর। সুন্দরবনের যে খাদ্য পিরামিড আছে সেই পিরামিড অনুযায়ী খাদ্যস্তর গুলি সাজানো থাকে। সেইগুলি হয়তো বনবিভাগ থেকে রিসার্চ করে দেখেছে। যদি হরিণের পরিমাণ বাড়ানো যায় তাহলে বাঘের খাওয়ারের অসুবিধা হবে না। যদিও এখন এগুলি সবই গবেষণামূলক কাজ। তবে বনবিভাগের এই উদ্যোগের জন্য অনেক অভিনন্দন।
চিতাবাঘের (Tiger Attack) হামলায় মৃত্যু ৫৩ জনের! মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) চন্দ্রপুর জেলাতেই ঘটেছে এই হাড়হিম করা ঘটনা। ২০২২ সালে ঘটেছে এই ঘটনাটি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই চন্দ্রপুর-সহ বিদর্ভের অরণ্যভূমিতে এই ঘটনা ঘটেই চলেছে, অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দেওয়ায় ‘মানুষখেকো’ বাঘটিকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল ওই অঞ্চলের যাবৎমলে। গুলি করে মারা ওই বাঘের নাম ছিল অবনী। সেই বিষয়ে ছবিও হয়েছে বলিউডে। পনডারকাওড়া, টিপেশ্বর এলাকায় দু’বছরে ১৩ জন মানুষকে ‘খুনের’ অভিযোগ উঠেছিল অবনীর বিরুদ্ধে। তাই ২০১৮ সালের নভেম্বরে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল তাঁকে।
মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গনতিওয়ার সোমবার বিধানসভায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওই ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জন বাঘের হামলার শিকার হয়েছেন। বাকিদের মৃত্যু হয়েছে চিতাবাঘের আক্রমণে। চন্দ্রপুরের পাশাপাশি, বিদর্ভ অঞ্চলের আরও কয়েকটি জেলাতেও বাঘ-চিতাবাঘের হামলায় মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী।
তবে তিনি আরও বলেন, 'গেল বছরেও বিদর্ভে বিভিন্ন কারণে ১৪টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।'
বাঘের হামলায়(Tiger Attack) মৃত এক কৃষকের। মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলার কুশিয়ালা গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, মৃত(Death) কৃষকের নাম সন্তোষ। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর। বন দফতর সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলার চিরিয়া ফরেস্ট রেঞ্জ থেকে বাঘটি মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) অম্বা দোচার এলাকায় ঢোকে। গ্রামের একটি ক্ষেতে বাঘটি বিশ্রাম নেয়। বাঘ দেখে উৎসাহী গ্রামবাসীরা ভিড় জমান সেই ক্ষেতের সামনে। এদিকে বাঘের খবর পেয়ে বনকর্মীরাও পৌঁছে যায় গ্রামে।
এরপরই বাঘটি গ্রাম ছেড়ে পালায়। কিন্তু বাঘের পিছু-পিছু কয়েক জন গ্রামবাসী ধাওয়া করে। কিছুটা যাওয়ার পর আবার একটি ক্ষেতে গিয়ে আশ্রয় নেয় বাঘটি। তখনই সন্তোষ নামের ওই ব্যক্তি বাঘের কাছে এগিয়ে যান। এমনকি বাঘের লেজ ধরে আলতো করে টানও দেন। বাঘ নিরুত্তাপ থাকলে লাঠি দিয়ে তাঁর লেজের মধ্যে আলতো ভাবে মারেন।
তারপর বাঘের পেটে খোঁচা দিতেই সন্তোষের ঘাড়ে লাফ মারে বাঘটি। ঘাড়ে থাবা বসিয়ে দেয়। এমনকি কামড় দিয়ে সন্তোষকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করে। কিন্তু কোনওরকমে নিজেকে মুক্ত করে পালান সন্তোষ। এই অবস্থায় প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তাঁর ঘাড় থেকে। গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় সন্তোষের।
সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বাঘের মৃত্যু নিয়ে তথ্য চেয়ে পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবী অনুপম ত্রিপাঠীর ২০১৭ সালে দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানির পরে বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিচারপতি নাগারত্নার বেঞ্চ সম্প্রতি কেন্দ্রকে এই নির্দেশ দিয়েছে। জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (ন্যাশনাল টাইগার কনজ়ারভেশন অথরিটি বা এনটিসিএ)-এর গত বছরের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছিল ২০১২ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অরণ্যে ১,০৫৯টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ভারতের বাঘ রাজ্য বলে পরিচিত মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি ২৭০টি বাঘের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ২০১৮ সালে ব্যাঘ্রসুমারি অনুযায়ী দেশের ৫৩টি ব্যাঘ্রপ্রকল্পে মোট ২,৯৬৭টি বাঘ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ২০২২ সালে শুধু মধ্যপ্রদেশেই ৩৪টি বাঘের প্রাণ গিয়েছে। তারপরেই রয়েছে কর্নাটক। সেখানে ১৫টি বাঘের প্রাণ গিয়েছে গত বছরে।
জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়ে বাঘের হানায় বেঘোরে প্রাণ দিলেন এক মহিলা। এই ঘটনার পর উত্তর প্রদেশের (Uttar Pardesh) লখিমপুর খেড়ি গ্রামে আতঙ্ক। জানা গিয়েছে, মর্মান্তিক এই ঘটনা লখিমপুর খেড়ির দুধওয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণের অন্তর্গত কিষাণপুর অভয়ারণ্য। পুলিস সূত্রে খবব, মৃতার নাম পার্বতী। বৃহস্পতিবার তিনি গ্রামের অন্যদের সঙ্গে রান্নার জন্য কাঠ (Wood Collector) কুড়োচ্ছিলেন। সেই সময় ঝোপের আড়ালে ছিল বাঘ! কাঠ কুড়োতে কুড়োতে বাঘের (Tiger Attack) খুব কাছে চলে যাওয়ায় তাঁর উপর ঝাঁপ মারে সেই মৃত্যু দূত।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, 'সবাই যখন কাঠ কুড়িয়ে বাড়ি ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, আচমকাই ঝোপের আড়াল থেকে বাঘ লাফ মারে পার্বতীর উপর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর ঘাড়ে কামড় মেরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পার্বতীর চিৎকারে বাকিরা ঘুরে তাকাতেই দেখেন, বাঘ তাঁকে টানছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বাঘটিকে তাড়িয়ে পার্বতীকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন।' বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পার্বতীকে উদ্ধার করেন তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু ততক্ষণে পার্বতী গুরুতর জখম এবং রক্তাক্ত। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।
কিষাণপুর অভয়ারণ্যের মৈলানির রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার শর্মা জানিয়েছেন, বাঘটি ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল। তখনই এই ঘটনা।
একজন IFS অফিসারের (IFS Officer) শেয়ার করা চা বাগানে রাজকীয় চালে বাঘের সাফারির (Tiger) ভিডিও এই মুহূর্তে ভাইরাল। ক্যামেরার বাঘের এই সাফারির সুন্দর মুহূর্ত ভালোভাবেই ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, এই বনকর্তার নাম সুশান্ত নন্দা। টুইটারে (Twitter) তাঁর শেয়ার করা ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, সেই চা বাগান দক্ষিণ ভারতের (South India)। সুশান্ত নন্দার শেয়ার করা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) ৫ হাজার পর্যন্ত ভিউজও পেয়েছে।
এই ভিডিও প্রসঙ্গে এক নেটিজেন জানান, 'IFS অফিসার সুশান্ত নন্দা চা বাগানের চারপাশে ঘোরাফেরা করা বাঘের যে ভিডিও শেয়ার করেছেন, সেটা দক্ষিণ ভারতের। এই ভিডিওয় প্রথমে ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার (Wildlife photographer) মানো শেয়ার করেছিলেন এবং পরে সুশান্ত নন্দা শেয়ার করেন। যা ৫ হাজার ভিউজ ছাড়িয়েছে।'
মধ্যপ্রদেশের কানহা ব্যাঘ্র (Kanha Tiger Reserve) কেন্দ্রে গত নভেম্বরে বাঘিনী ডিজে ৫টি শাবক জন্ম দিয়েছিল, তারা সকলে এই মুহূর্তে সুস্থ। এই বাঘিনীর (Mother Tigress) বয়স যখন ৯ বছর,তখন সে মাতৃত্বের স্বাদ পায়। ব্যঘ্র কেন্দ্রের এক কর্তা এসকে সিং মঙ্গলবার এই সংবাদ প্রকাশ করেন। অল ইন্ডিয়া এস্টিমেশন ২০১৮-র রিপোর্ট অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) একাধিক জঙ্গলে বাঘের সংখ্যা বাড়তি, সংখ্যাটা ৫০০ ছাড়িয়েছে। এই মুহুর্তে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প লাগোয়া এলাকায় খুশির আমেজ। ডিজের শাবকদের চোখের সামনে বড় হতে দেখছেন বনকর্তারা। এই সংখ্যাবৃদ্ধির জেরে কানহায় আগামিতে পর্যটক জমায়েত বাড়বে এমনটাই মত কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রকের।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে কানহা ছারাও পেচ, বান্ধবগড়, সাতপুরা অনেকাংশে ব্যঘ্র প্রকল্প আছে। চলতি বছরের শুরুতেই ওড়িশার নন্দন কাননে এক সাদা বাঘিনী ৩টি শাবক জন্ম দিয়েছিল, ব্যাঘ্রশুমারি মোতাবেক ওড়িশায় মোট বাঘের সংখ্যা এখন ২৮। সাদা বাঘ এবং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এভাবে বাড়ায় জঙ্গল সাফারির উপর আরও আকর্ষণ বাড়বে, এমনটাই মনে করছেন পশু বিশেষজ্ঞরা।
কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ফের বাঘের হামলায় (Tiger Attack) মৃত্যু এক মৎস্যজীবীর।বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের (Sundarban) কুলতলি ব্লকের দেউলবাড়ি এলাকার ঘটনায় আতঙ্ক। দেবীপুর পঞ্চায়েতের দেউলবাড়ি গ্রাম থেকে চার জন মৎস্যজীবী (Fisherman Death) নৌকায় চেপে রওনা দিয়েছিলেন। ওই নৌকায় ছিলেন বাসুদেব বৈদ্য নামে এক মৎস্যজীবী। নদীর খাড়িতে কাঁকড়া ধরেই তাঁদের সংসার চলে।
সোমবার বাসুদেব বৈদ্য যখন কাঁকড়া ধরার জন্য নৌকার মাথার দিকে বসে সুত ফেলার কাজ করছিল। ঠিক সেই সময় ম্যানগ্রোভের ঝোপ থেকে আচমকাই বেড়িয়ে আসে বাঘটি। হঠাৎ বাঘটি এসে হামলা করে বাসুদেব বৈদ্যর উপর। বাঘটি তাঁকে ঘাড়ে কামড় দিয়ে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় নৌকায় থাকা বাকি মৎস্যজীবীরা লাঠি নিয়ে তাড়া করলে বাঘ তাঁকে ছেড়ে পালায়।
পরে মৎস্যজীবীরা তাকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামে শোকের ছায়া। কুলতলি থানার পুলিস দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁরা অনুমতি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু বন দফতরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও তাঁরা মাছ ধরতে গিয়েছিল। তাই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ানাডের পুথুসেরি এলাকায় বাঘের আক্রমণে (Tiger attack) আক্রান্ত ৫২ বছর বয়সী এক কৃষক (Farmer)। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তিনি মারা (Death) যান। জানা গিয়েছে, মৃত কৃষকের নাম সালু। কেরলের (Kerala) ওয়েনাড জেলার থনদারনাডু গ্রামে তাঁর বাড়ির কাছেই সকাল ১১টার দিকে বাঘটি আক্রমণ করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কালপেট্টা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন সালু। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস ও বনদফতরের কর্মীরা গ্রামে ছুটে যান। এদিকে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাঘটি বেশ কিছুদিন ধরে ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামের আশেপাশে লুকিয়ে ছিল, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভেল্লারামকুন ও আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। নজরদারি ক্যামেরা ও খাঁচা বসানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। এখনও অবধি বাঘের সন্ধান পাননি তাঁরা।
এদিকে, আট কিলোমিটার দূরের একটি জঙ্গল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি বাঘ আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। যে বাঘ কৃষককে মেরেছে তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলার দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
ভ্রমণের কথা বললেই প্রায় প্রথমেই জঙ্গল সাফারির কথা মাথায় আসে। আর সেখানের মুখ্য আকর্ষক হিসেবে থাকে বাঘ, সিংহ বা হাতি দেখার আকাঙ্খা। তবে এ কথাও শোনা যায় ভ্রমণকারীদের ছবি তোলার হিড়িকে চোটে অতিষ্ট হয়ে ওঠে বণ্যপ্রাণীরা। ফের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। আইএফএস অফিসার সুশান্ত নন্দ তাঁর ট্যুইটার আকাউন্টে চার সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করে একটি বাঘের সঙ্গে হওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে জঙ্গল সাফারির উদ্দেশে ঘুড়তে যাওয়া এক ব্যাক্তি স্মার্টফোন হাতে একটি বাঘকে তাড়া করছেন, যাতে জিপে বসে থাকা অন্যান্য ভ্রমণকারীরা সেই বাঘটির ছবি তুলতে সক্ষম হন। ভিডিওটি পোস্ট করে আইএফএস অফিসার সুশান্ত নন্দ লিখেছেন 'টাইগার ট্যুরিজম-এর উদ্দেশ্য হল বাঘ অধ্যুষিত স্থানীয় অঞ্চলগুলি সংরক্ষণ করা ও বাঘের প্রজাতি বাঁচিয়ে রাখা। এই ধরনের কিছু মূর্খ মানুষের কাজকর্মের জন্য এই ভিডিওগুলি ভাইরাল হয় এবং টাইগার ট্যুরিজম-এর নাম খারাপ হয়। অনুগ্রহ করে এই ধরনের কাজকর্ম থেকে বিরত থাকুন এবং জঙ্গল সাফারির সময় নির্বোধের মতো কাজকর্ম করবেন না'।
This is going viral. For all the wrong reasons. Tiger tourism sustains local livelihoods & helps in the cause of conservation. Such acts of few morons are giving it a bad name. Please desist from such foolhardy acts & ask ur friends to be sensible during wildlife safari’s. pic.twitter.com/jzUxd1oc6V
— Susanta Nanda IFS (@susantananda3) January 5, 2023
শেয়ার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হযে যায় ভিডিওটি। অন্য ট্যুইটার ব্যবহারকারীরা ক্ষোভ উগড়ে দেন সুশান্ত নন্দার ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে। এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী জানিয়েছেন 'পরিবেশের নিয়ম, নৈতিকতা মেনে চলা উচিৎ। অনন্যরা মতামত হিসেবে ওই ব্যক্তির শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে জানান।'
আবারও বাঘের (tiger) আতঙ্ক পাথরপ্রতিমায় (Pathar Pratima)। রাতভর আতঙ্কে (panic) ঘুম উড়ে যায় স্থানীয়দের। প্রাণ যাওয়ার ভয়ে ঘরবন্দী দশা প্রায় সকলেরই। রাতভর ঘুম ভেঙে পাহারারত অবস্থা। শেষমেষ তা হাতেনাতে ধরাও পড়ে। তবে একি কাণ্ড! দিনের আলো পড়তেই চক্ষুচড়কগাছ এলাকাবাসীদের। কী এমন ঘটল?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার গঙ্গাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দা উত্তম জানার মুরগি ঘরে হঠাৎ করে দেখা যায় একটি জন্তুকে। মুরগির চিৎকারে ঘুম ভেঙে উঠে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা দেখতে পান বিরাট আকৃতির এক জন্তু সেখানে ঘুরছে। রাতের অন্ধকারে চোখ জ্বলজ্বল করছে। ভয়ে, আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন তাঁরা।
তাঁদের আওয়াজ শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে আসেন। মূহুর্তের মধ্যেই ঘিরে ফেলে এলাকাটি। এমনকী মুরগির খামারের চতুর্দিকে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়দের চিৎকারে এদিকে জন্তুটিও গা ঢাকা দিয়েছে। শেষমেষ খবর যায় বন দফতরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরই মধ্যে ফুটে ওঠে দিনের আলো। আর দিনের আলো ফুটতেই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সকলেই। আলোতেই বোঝা যায় রাতভর যে জন্তুটি তাঁদের ঘুম উড়িয়েছে তা আসলে বাঘ নয়, বরং একটি আস্ত বাঘরোল।
মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে 'মানুষখেকো' বাঘের হামলায় বেঘোরে প্রাণ গেল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঘের হামলায় মৃত এক মহিলা, এই ঘটনা ধরে ২০২২-এ চন্দ্রপুরে এই জেলায় বাঘের হামলায় প্রাণ গিয়েছে ৫০ জনের। বন দফতরের পরিসংখ্যান, ৪৪ জনকে মেরেছে বাঘ, বাকি ছ’জনকে মারা গিয়েছে চিতার হামলায়।
বন দফতরের এক কর্তা জানান, মৃত মহিলার নাম স্বরূপা তেলেতিওয়ার, বয়স ৫০ বছর। বৃহস্পতিবার গ্রামে ক্ষেতে তুলো তুলছিলেন, সে সময়ই হামলা করে বাঘটি। এদিকে, বুধবার এই চন্দ্রপুরেই তাড়োবা-অন্ধেরী ব্যাঘ্রপ্রকল্প লাগোয়া এলাকায় বাঘের জোড়া হামলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৪ বছর আগে মহারাষ্ট্রের যবতমল জেলায় এভাবেই এক ‘মানুষখেকো’ বাঘিনীর হামলায় প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের। অবনী নামে সেই বাঘিনী ২ বছরে শিকার করেছিল প্রায় এক ডজন মানুষ। তাকে ‘মানুষখেকো’ ঘোষণা করায়, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্রের পর ২০১৮-র নভেম্বরে গুলি করে মারা হয় অবনীকে।
সৌমেন সুর: ১৮৬৪-র ২৯ জুন কলকাতার বৌ বাজারে জন্মগ্রহণ করেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। বাবা গঙ্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন ডাক্তার, মা জগত্তারিনী দেবী ছিলেন আদর্শ মহিলা। আশুতোষের জন্মের কিছুদিন পরে তাঁর বাবা বৌবাজার ছেড়ে ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া অঞ্চলে চলে আসেন। সেখানে চক্রবেড়িয়া পাঠশালায় আশুতোষ ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর বাল্যশিক্ষা এখান থেকেই শুরু। তিনি শৈশব থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। অঙ্কে ছিলেন মাস্টার, অনেক কঠিন অঙ্ক অনায়াসে সমাধান করে ফেলতেন। তাঁর মেধা থেকে ইংরেজ সরকার শিক্ষা দফতরের উচ্চপদে চাকরি দিতে চাইলে, তিনি তা প্রত্যাখান করেন।
তিনি জানতেন চাকরি গ্রহণ করলেও, ইংরেজ সরকার তাঁকে ইংরেজদের সমমর্যাদা দেবে না। তাই চাকরি প্রত্যাখান করেন। তিনি গণিতে এমএ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরের বছর পদার্থ বিদ্যায় এমএ পাশ করেন। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, আইন পরীক্ষাতেও পাশ করেন। (চলবে)