Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Teacher

Behala: বেহালায় শিক্ষকের বাড়িতে হুমকি পোস্টার, আতঙ্কে শিক্ষকের পরিবার

শিক্ষককে মেরে ফেলার হুমকি (Threat) দিয়ে পোস্টার। পোস্টারে লেখা- টিউশন পড়ালে তোর খেলা (জীবন) শেষ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা (Behala) সেনহাটি কলোনির এক শিক্ষকের বাড়িতে। ইতিমধ্যেই বেহালা থানার পুলিসকে (Police) এই গোটা ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিস ওই শিক্ষকের বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ঘটনাকে ঘরে বেশ আতঙ্কে শিক্ষকের পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, ওই শিক্ষকের নাম অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বেহালা সেনহাটি কলোনিতে স্ত্রী এবং ছোট্ট একটি বাচ্চার পাশাপাশি নিজের বাবা-মাকে নিয়ে থাকেন। তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষক।

অর্ণব বাবু জানান, মঙ্গলবার বিকেল বেলায় তাঁর বাড়ির দেওয়ালে ল্যামিনেশন করা পোস্টার লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। তাতে লেখা রয়েছে প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করো না হলে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় অর্ণব বাবুর স্ত্রী দেবযানি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, একমাস যাবত তাঁদেরকে কেউ বা কারা বিরক্ত করে চলেছে। এমনকি বাড়ির দিকে লক্ষ্য করে ফেলা হচ্ছে চকলেট বোম, কাচের বোতল, বাল্বের টুকরো প্রভৃতি। যদিও কারোর আঘাত লাগেনি। তবে এই ঘটনা কে বা কারা করে চলেছে তা পরিষ্কার নয় তাঁদের কাছে। 

বারবার এইসব ঝামেলা ঘটছে তাই  দুষ্কৃতীদের হাত থেকে নিজেদের বাঁচবার জন্য কয়েকদিন আগেই নিজের বাড়িতে সিসি ক্যামেরা লাগান। আর সেই ক্যামেরাতেই একজন ব্যক্তিকে ছাতা মাথায় নিয়ে দেওয়ালে হুমকির পোস্টার লাগাতে দেখা যায়। যদিও ছাতা মাথায় থাকবার জন্য সেই ব্যক্তিকে আইডেন্টিফাই করা যায়নি, এমনটাই দাবি দেবযানি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

11 months ago
Arrest: ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক, ৫ দিনের পুলিসি হেফাজত

ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) স্কুল শিক্ষক (Teacher)। সূ্ত্রের খবর, শিক্ষক কে মাধ্যমিকের রেজাল্ট (Secondary Result) দেখাতে গিয়ে শিক্ষকের কাছেই যৌন হেনস্থা হতে হয় এক ছাত্রীকে। এরপরে এ ঘটনা জানতে পেরে জগদ্দল থানার কাছে লিখিত অভিযোগ করে নির্যাতিতার পরিবার। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, ওই ধৃত ওই অভিযুক্তের নাম নারায়ন চন্দ্র মন্ডল। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি শ্যামনগর কল্যানগড় স্কুলের শিক্ষক। 

নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে খবর, ১৯ শে মে শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর, ওই পরীক্ষার্থী রেজাল্ট পেয়েই শিক্ষক নারায়ণ বাবু কে দেখাতে যান। অভিযোগ সেই সময় সুযোগ পেয়ে ওই ছাত্রীর উপর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ওই শিক্ষক। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পক্সো আইনে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে জগদ্দল থানার পুলিস। শনিবার তাকে ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করে জগদ্দল থানার পুলিস। সূত্রের খবর, ব্যারাকপুর আদালত অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। যদিও এই ব্যাপারে ক্যামেরায় সামনে লজ্জায় মুখ খুলতে নারাজ নির্যাতিতা ছাত্রী ও তাঁর পরিবার।

12 months ago
Primary: এখনই ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়, জাস্টিস গাঙ্গুলির রায়ে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

এখনই চাকরি হারাচ্ছেন না ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সিদ্ধান্তে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বৃহস্পতিবার জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় ওই শিক্ষকরা আপাতত পার্শ্বশিক্ষক হারে নয়, বেতন পাবেন পূর্ণ শিক্ষক হারেই।

সম্প্রতি ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। অভিযোগ ছিল ওই নিয়োগের সময় চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ম মেনে টেস্ট নেওয়া হয়নি এবং নিয়োগের সময় চাকরি প্রার্থীরা ট্রেইন্ড ছিল না। যদিও এই মামলার রায় নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। এরপরে কিছু আক্ষরিক ও টাইপিং সমস্যার জন্য ৪ হাজার শিক্ষক রেহাই পায়। বাতিল হয় ৩২ হাজার চাকরি। এরপরেই এই রায়ের বিরুদ্ধে মমতা বন্দোপাধ্যায় চাকরি হারাদের পক্ষ নেয়। জানান, সরকার পক্ষে আছে তাঁদের। পাশাপাশি এই রায় নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার ঘোষণা করে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

সেইমত পর্ষদ ও চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা জোড়া মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলার শুনানিতে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় এবং জানিয়ে দেয় ২৩শে সেপ্টেম্বর অবধি চাকরি বাতিলের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে। তাঁরা শিক্ষকের হারেই বেতন পাবেন।

12 months ago


Babita: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি গেল ববিতার, আর কি নির্দেশ জাস্টিস গাঙ্গুলির জানুন

কলকাতা হাই কোর্টের (High Court) নির্দেশে এবার চাকরি চলে গেল শিক্ষিকা (Teacher) ববিতা সরকারের (Babita Sarkar)। মঙ্গলবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতার বদলে চাকরি পেতে চলেছেন অনামিকা রায়। অনামিকাকে বাড়ির কাছেই চাকরির নিয়োগ দিতে হবে বলে পর্ষদকে নির্দেশ হাই কোর্টের। তিন সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ শেষের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

উল্লেখ স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এই ববিতার অভিযোগের ভিত্তিতে চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যেই ববিতার নিয়োগও প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। ববিতার চাকরি বাতিলের দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়।

অনামিকার অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর কাছে আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতকস্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। যার ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে যাবতীয় জটিলতা। অনামিকার দাবি ছিল, ববিতার ক্রমতালিকায় পিছিয়ে গেলে প্রথম ২০ জনের মধ্যে উঠে আসবে তাঁর নাম। ফলে চাকরি তাঁরই পাওয়ার কথা ছিল।

রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিত অধিকারীর বদলি হিসাবে শিলিগুড়ির স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার।  চাকরি হারানোর পাশাপাশি এবার ববিতাকেও টাকা ফেরতের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এক নির্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী বুধবারের মধ্যে ১১ লাখ টাকা এবং আগামী ৬ জুনের মধ্যে বাকি টাকা ফেরত দিতে হবে ববিতা সরকারকে।  ববিতাকে মোট ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৪৩ টাকা ফেরত দিতে হবে।

এদিকে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন ববিতা সরকার। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত তিনি ১১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে পারবেন। কিন্তু বাকি টাকা ফেরত দিতে আরও তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। কারণ তিনি একটা গাড়ি কিনেছেন বলেও জানিয়েছেন ববিতা। যদিও আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী নিয়োগে প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ববিতা। 

রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একসময় আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন উত্তরবঙ্গের ববিতা সরকার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই স্কুল থেকে চাকরি হারিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। আদালতের নির্দেশে বেতনের সব টাকা ফেরত দিয়েছিলেন অঙ্কিতা। ববিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ স্নাতক স্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে

12 months ago
Teacher:জাল সার্টিফিকেট দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার অভিযোগে গ্রেফতার ১ শিক্ষিকা

দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে জাল সার্টিফিকেট (Fakecertificate) দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে(Teacher) করার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই শিক্ষিকার নাম চাপা মণ্ডল। জাল সার্টিফিকেটের ঘটনা সামনে আসতেই ওই শিক্ষিকাকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। 

সূত্রের খবর, প্রাথমিক বিদ্য়ালয়ের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ওই ধৃত মহিলাকে তাঁর জাল সার্টিফিকেটসহ রবিবার গ্রেফতার করেছে পুলিস। এরপর ধৃত ওই শিক্ষিকাকে এদিন মালদহ জেলা আদালতে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মালদহের মানিকচক থানার পুলিস।

প্রথমে ওই প্রাথমিক বিদ্য়ালয়ের কর্তৃপক্ষ তদন্তে নামে এবং পরে সরাসরি মালদহের এসডিওর কাছে ওই ধৃত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেটের অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে দ্বারস্থ হলে, সেখান থেকেও এই মামলা খারিজ করা হয়। নির্দিষ্ট অভিযোগের বিরুদ্ধে মালদহের মানিকচক থানার পুলিস গ্রেফতার করেছে ওই ধৃত শিক্ষিকাকে। 


12 months ago


Brazil: ক্লাস চলাকালীন পড়ুয়াদের সঙ্গে উদ্দাম নাচ শিক্ষিকার, হারাতে হলো চাকরি

ক্লাস (Class) চলাকালীন পড়ুয়াদের (Students) সঙ্গে নেচে চলেছেন এক স্কুলের শিক্ষিকা, এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই হইহই পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। শুধু নাচ নয়, এই ভিডিও টিকটকে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আর এর ফলেই সেই শিক্ষিকাকে খোয়াতে হলো চাকরি। ঘটনাটি ব্রাজিলের  (Brazil)।

জানা গিয়েছে, ব্রাজিলের এক স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা সিবেলা ফেরিরা টিকটক করেন ও ক্লাস চলাকালীনই নাচ করায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি ক্লাসে পড়াচ্ছেন এক শিক্ষিকা, সেই সময়েই এক মেয়ে পড়ুয়া এসে তাঁকে নাচ করার কথা বললে তিনিও নাচতে শুরু করেন। এই ভিডিওই টিকটকে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে ধেয়ে এসেছে একের পর এক কটূক্তি। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এই খবর পৌঁছতেই তাঁর চাকরি বাতিল করা হয়েছে।

এর আগেও একাধিকবার তাঁকে স্কুলেই ক্লাস চলাকালীন টিকটক বানাতে দেখা গিয়েছে। তাঁর এই ভিডিও সমাজমাধ্য়মে শেয়ার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাতে মিলিয়নের উপরে ভিউ এসেছে।

12 months ago
Board: ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! জাস্টিস গাঙ্গুলির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার ভাবনা বোর্ডের

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) শুক্রবার এক নির্দেশে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের (Teacher) চাকরি বাতিল করেছেন। অভিযোগ ছিল ২০১৬ সালের ওই মামলায় নিয়োগের সময় অ্যাপটিটিউড পরীক্ষা নেওয়া হয় নি। ফলত নিয়ম অনুযায়ী, ওই নিয়োগ অবৈধ। ২০১৬ সালের ৪২,৫০০ নিয়োগের মধ্যে ৩৬,০০০ চাকরি বাতিল করল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতির এই রায়ের পর এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার কথা ভাবছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার অনতিবিলম্বেই পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানালেন, তাঁরা ওই রায় হাতে পাননি। তবে এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন। গৌতমের কথায়, '৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে বিরাট বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। বোর্ড আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। আমরা এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করতে যাচ্ছি।' তবে এ ব্যাপারে হাই কোর্টের অর্ডার হাতে পেলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।

৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদকেও একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি বলেছিলেন, পর্ষদকে ওই ৩৬ হাজার পদে নতুন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে চার মাসের মধ্যে। ওই চার মাসেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষও করতে হবে তাঁদের।

12 months ago
Florida: পড়ুয়াদের আজব টাস্ক দিয়ে চাকরি খোয়ালেন ফ্লোরিডার শিক্ষক

টাস্ক হিসেবে পড়ুয়াদের (Students) নিজের মৃত্যুসংবাদ লিখতে দেওয়ার অপরাধে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন এক শিক্ষক (Teacher)। ঘটনাটি ঘটেছে ফ্লোরিডার একটি স্কুলের। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন এই ‘টাস্ক’ (Task) দিয়ে তিনি কোনও ভুল করেননি। 

মঙ্গলবার এই ঘটনাটি প্রকাশ্য়ে আসে। স্কুলের মধ্যে আচমকা বন্দুকবাজের হামলা হলে কীভাবে মোকাবিলা করবে পড়ুয়ারা, এই নিয়ে একটি মক ড্রিল আয়োজন করা হয়েছিল অরল্যান্ডের ড. ফিলিপস হাইস্কুলে। মক ড্রিলের কথা জানার পরই পড়ুয়াদের নিজেদের মৃত্যুসংবাদ লিখতে বলেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জেফ্রি কিন। এই খবর জানাজানি হতেই ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমেরিকার স্কুলগুলিতে অনেক সময়ই বন্দুকবাজের হামলার খবর প্রকাশ্যে আসে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাই পড়ুয়াদের বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। 

চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেও নিজের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনওরকম অনুতাপ নেই ওই শিক্ষকের। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, মৃত্যুসংবাদ লিখতে বলেছি মানে মৃত্যু নিয়ে ওদের ভয় দেখাতে চাইনি। বরং জীবনের মূল্য কতটা, সেটা বোঝানোর জন্য এই টাস্ক দিয়েছিলাম।

one year ago


PF: পিএফ অফিসের কর্মী পরিচয়ে শিক্ষিকার থেকে ৮০ হাজার হাতানোর অভিযোগ

এক শিক্ষিকার থেকে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে (Mumbai)। প্রভিডেন্ড ফান্ড (PF) অফিসের কর্মীর পরিচয় দিয়েই টাকা হাতিয়েছে অভিযুক্ত। ওই শিক্ষিকা মামলা দায়ের করেছে এনআরআই (NRI Coastal Police Station) কোস্টাল থানায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে অনলাইনে প্রভিডেন্ড ফান্ড অফিসের ফোন নম্বর খুঁজছিলেন বছর ৩২-এর বেসরকারি স্কুলের ওই শিক্ষিকা। তারপরেই এমন ঘটনা ঘটে।

পুলিস জানিয়েছে, 'অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই মহিলাকে ফোন করে জানান তিনি প্রভিডেন্ড ফান্ড অফিসে কাজ করেন। এরপর ওই ব্যক্তি শিক্ষিকাকে তাঁর ফোনে একটি অ্যাপও ডাউনলোড করতে বলে। সেখানে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সব তথ্যও দিতে বলা হয় শিক্ষিকাকে। তারপরে ওই ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত পিনও দিয়ে দেন ওই শিক্ষিকা। তখনই শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০ হাজার টাকা তুলে নেয় অভিযুক্ত।'

কিছুদিন আগেই মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ী ভুয়ো জ্যোতিষীর পাল্লায় পড়ে প্রায় দু’লক্ষ টাকা খুইয়েছিলেন। সেই ঘটনারই আবার পুনরাবৃত্তি ঘটল।


one year ago
US: সাইকোলজি ক্লাসে স্কুল পড়ুয়াদের নিজের মৃত্যু সম্বন্ধে লিখতে বলে চাকরি খোয়ালেন শিক্ষক

স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের (Students) নিজের মৃত্যু নিয়ে লিখতে বলা হল, আর এরপরেই চাকরি খোয়া গেল এক শিক্ষকের। ঘটনাটি ফ্লোরিডার (Florida) একটি স্কুলের। তবে সেই শিক্ষক কেন এমন অ্যাসাইমেন্ট (Assignments) দিলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনাটি চলতি বছরের প্রথমের দিকে ঘটলেও সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে।

আমেরিকার স্কুলগুলিতে প্রায়ই শ্যুটআউটের ঘটনা খবরের শিরোনামে উঠে আসে। প্রায়ই সেখানে পড়ুয়াদের মৃ্ত্যুর খবর শোনা যায়। তাই স্কুলগুলিতে এমন ধরণের ঘটনা ঘটলে কী করা উচিত, কীভাবে তার জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত সেই বিষয়েই বোঝাতে গিয়ে তিনি নিজের মৃত্যু নিয়ে লেখার মত টাস্ক দিয়েছিলেন।

শিক্ষক জেফ্রি কীন অর্ল্যান্ডো-র ড.ফিলিপস হাইস্কুলের শিক্ষক ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে হঠাৎ একদিন চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁকে এর কোনও কারণও জানানো হয়নি। তবে তিনি পরে বুঝতে পারেন যে, তিনি একদিন উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের 'সেদিনই তাঁদের জীবনের শেষ দিন' এমন কিছু বিষয়ে লিখতে বলেছিলেন। এমনকি এটা একটি সাইকোলজি লেসনের পার্ট ছিল। কিন্তু কিছু পড়ুয়া কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ করে, তবে তাঁর ইচ্ছাকৃত কাউকে আঘাত করতে চাননি। আর এই ঘটনার পরই তাঁকে তাঁর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে জেফ্রি জানিয়েছেন, তিনি এখনও মনে করেন, কোনও ভুল কাজ করেননি তিনি।

one year ago


Teacher: চাকরির নামে লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাৎ! শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক

চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েকজনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথির এক স্কুল শিক্ষকের (School Teacher) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস। শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে কাঁথি থানার পুলিস অভিযুক্ত শিক্ষককে শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম দীপক জানা। তাঁর বাড়ি ভূপতিনগর থানার মূলদা গ্রামে। যদিও দীর্ঘদিন ধরে কাঁথি শহরের ১৭ নং ওয়ার্ডে করকুলি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন অভিযুক্ত। রবিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে কাঁথি আদালতে পেশ করবে পুলিস বলে খবর। পুলিস হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হবে বলে খবর৷

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে নতুন নতুন নাম৷ গ্রেফতারির তালিকাও দীর্ঘতর হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে হাজতবাস করছেন রাজ্য শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন৷ এবার সেই তালিকায় ঢুকে গেল কাঁথির এক স্কুল শিক্ষকও৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃত দীপক জানা কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া জগন্নাথ মন্দির বিদ্যাপীঠের ইংরেজির শিক্ষক। এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর। ২০১৭ সাল থেকে শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে দীপকের বিরুদ্ধে৷ ওই ঘটনায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক রাজশেখর মান্থার এজলাসে চাকরি দুর্নীতির মামলা ওঠে৷ তারপরই সামনে আসে কাঁথির এই স্কুল শিক্ষকের প্রসঙ্গ৷

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাঁথি শহরে। জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে ও এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদার বাসিন্দা অঞ্জলি গুচ্ছাইত ও কাঁথি কিশোরনগরের বাসিন্দা চিরঞ্জিত দাস কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, ফুড সাপ্লাই দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন দীপক জানা৷

অন্যদিকে,অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে কাঁথি থানার পুলিস। এরপরই শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস শ্বশুরবাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক দীপক জানাকে গ্রেফতার করে। যদিও অভিযুক্ত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেন, 'সবটাই মিথ্যা অভিযোগ। তাঁকে ফাঁসানোর জন্য এই অভিযোগ করা হচ্ছে। তদন্তে সবটা প্রমাণ হয়ে যাবে। এখন গোটা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।'

one year ago
Court: সরকারি স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে হাইকোর্টে গৃহশিক্ষকরা

মনি ভট্টাচার্য: সরকারি স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে, এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ গৃহশিক্ষকরা (Private Tutor)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) রাজ্যের ৩২ জন সরকারি স্কুল শিক্ষকের (Goverment Teacher) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গৃহশিক্ষকদের একটি সংগঠন গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যদের দাবি, যারা বেআইনি প্রাইভেট টিউশনে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের আরও অভিযোগ, শিক্ষা দফতর, সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বারবার, এ বিষয়ে জানিয়ে কোনও লাভই হয়নি। তাই এবার অভিযুক্ত সরকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রাজ্যের শীর্ষ কোর্টের দ্বারস্থ তাঁরা।

২০১৮ সালে মার্চ মাসের ৮ তারিখে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, সরকারি স্কুল শিক্ষকরা কোনওভাবেই পয়সার বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না। কিন্তু এই নিয়ম মানা হচ্ছে কই! অভিযোগ সরকারি স্কুল শিক্ষকদের একটি অংশ নির্দ্বিধায় পয়সার বিনিময়ে গৃহশিক্ষকতা করছেন। সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর অভিযোগ বারবার আনা সত্ত্বেও, সরকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সিএন -ডিজিটালের তরফে শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা, এটা সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল পরিদর্শকের ব্যাপার।'


এই মামলায় গৃহশিক্ষকদের পক্ষে হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস বলেন, 'আইনভঙ্গকারী প্রতিটি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ শিক্ষা দফতরের। শিক্ষক সমাজের মেরুদন্ড। তাঁরা যদি আইন ভাঙ্গে, ছাত্ররা কী শিখবে? এই অবস্থায় শিক্ষা দফতর ধৃতরাষ্ট্র হয়ে থাকতে পারে না।' এ বিষয়ে গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দীপঙ্কর দাস বলেন, 'আমরা  সরকারি স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা বন্ধের জন্য ৩২ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছি, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, বিভিন্ন স্কুলে যুক্ত তাঁরা। এরই প্রতিবাদে সারা রাজ্যজুড়ে পথে নেমে আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।'

one year ago
Viral: পরীক্ষায় ৬৫%-র উপর পেয়েও মারা গেলেন ছাত্রী! শিক্ষিকার কাণ্ড ভাইরাল

অবাক করা কাণ্ড! রাজ্যে যখন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় নিত্যদিন চাকরি থেকে বরখাস্ত হচ্ছেন একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা, এরই মধ্যে সমাজমাধ্যমে এক রিপোর্ট কার্ডের ছবি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। সেখানে সেই শিক্ষক বা শিক্ষিকার কাণ্ড দেখে আকাশ থেকে পড়বেন আপনিও। দেখা গিয়েছে, এক ছাত্রীর স্কুলের রিপোর্ট কার্ডে সে পাশ করেছে। কিন্তু রিমার্ক কলামে লেখা সে মারা গিয়েছে। শিক্ষিকা লিখেছেন 'she has passed away'। অর্থাৎ সেই পাশ করা ছাত্রী নাকি 'মৃত'। এই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সেই শিক্ষককে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরায় মেতেছে নেটদুনিয়া।

সম্প্রতি এক ব্যক্তি তাঁর টুইটার থেকে এই রিপোর্ট কার্ডের ছবিটি শেয়ার করেছেন। তিনি নিজেও জানেন না এই রিপোর্ট কার্ডটি কার বা কোন দেশের। তবে ফেসবুক থেকে এটা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে রিপোর্ট কার্ড ভালো করে দেখা গেলে দেখা যাবে, সেখানের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে Chichewa ভাষা। এই ভাষা আফ্রিকার মালাউই-এর ভাষা। ফলে এখান থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট কার্ড বাইরের দেশের হতে পারে। এছাড়াও দেখা গিয়েছে, মার্কশিটটি ২০১৯ সালের। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রায় সবকটি বিষয়েই ভাল নম্বর পেয়ে পাশ করেছে ছাত্রী। শ্রেণিতে সে সকলের মধ্যে সপ্তম হয়েছে। কিন্তু বড়সড় গোলমাল হয়েছে নম্বরের নীচের লাইনে শিক্ষিকার মন্তব্যেই।

এই ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের হাজারো কমেন্ট। প্রত্যেকেই এই শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে হাসির খোরাক করে তুলেছে। তাঁকে ঘিরো শুরু হয়েছে কটূক্তি।

one year ago


Wbbse: নজিরবিহীন, প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

ডিএ-র (Da) দাবিতে কর্মবিরতিতে কড়া নবান্ন (Nabanna)। সূত্রের খবর, নজিরবিহীন ভাবে রাজ্যর একসঙ্গে প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে (Teacher) শোকজ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছে, ১০ মার্চ ধর্মঘটে অনুপস্থিতির কারণে মোট ২২ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মঘটের কারণে অনুপস্থিতির জন্য এত সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ করার ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলেই দাবি পর্ষদ আধিকারিকদের।

জানা গিয়েছে, সাত দিনের মধ্যে অনুপস্থিতির কারণ উল্লেখ করে উত্তরে চেয়েছে পর্ষদ। এর মধ্যে নদীয়া জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সবথেকে বেশি শোকজ করা হয়েছে। নদীয়ার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছে। ১০ মার্চের ধর্মঘটে অনুপস্থিতির তালিকা বিভিন্ন জেলার ডিআইরা পাঠিয়েছে পর্ষদকে। তার ভিত্তিতেই রাজ্যজুড়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শো-কজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের।

নদিয়া জেলার পাশাপাশি উত্তর চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ জেলাতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকাদের শো-কজ করল পর্ষদ। এর আগে গত ২৩ মার্চ খবর পাওয়া গিয়েছিল, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সে দিনই ১০ মার্চ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শো কজের প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ।

রাজ্যের ২১টি জেলায় অনুপস্থিত থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা তার মধ্যেই পাঠান সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকরা। সেদিন দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার সব শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। তাই বাকি জেলাগুলোর ডিআই-দের পক্ষ থেকে আসা রিপোর্টের ভিত্তিতেই শোকজের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

one year ago
School: ধুঁকছে বেলপাহাড়ির ৫৫ বছরের পুরনো স্কুল, ৬ পড়ুয়া-৫ শিক্ষক নিয়ে বন্ধের মুখে

ছাত্রের অভাবে বন্ধের মুখে বেলপাহাড়ির একটি পুরনো হাইস্কুল। প্রায় ৫৫ বছরেরও বেশি পুরনো এই স্কুল। মাত্র ৬ জন পড়ুয়া ও পাঁচজন শিক্ষককে নিয়ে বর্তমানে চলছে স্কুল। বেলপাহাড়ি ব্লকের কদোপুড়া এলাকায় ১৯৬৯ সালে কদোপুড়া বিদ্যালয় স্থাপিত হয়৷ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি এখানে হস্টেলের ব্যবস্থাও আছে। হস্টেলের সুবিধা থাকার কারণে এই স্কুল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ পাশের জেলা থেকেও ছাত্ররা পড়াশোনার জন্য আসতো কদোপুড়া বিদ্যালয়ে৷ এই বিদ্যালয়ে একসময় ১২০০-১৫০০ ছাত্র ছাত্রী পড়াশুনা করলেও বর্তমানে মাত্র পাঁচজন ছাত্র রয়েছে। তাও তারা স্কুলে আসে না। তাই স্কুল প্রায়দিনই বন্ধই থাকে৷ স্কুল বন্ধ থাকলে কী হবে, স্কুলে পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন। 

একজন শিক্ষক এসে স্কুলটি খোলেন এবং কিছুক্ষণ বাদে আবার চলে যান। অন্য শিক্ষকের থেকে জানা যায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসে দু-একদিন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া আসেন না। প্রধান শিক্ষকের কথা মতো স্কুল হস্টেল বন্ধ করে দেওয়ায় আজ স্কুলের এই অবনতি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, লকডাউনের আগে এই স্কুলে হস্টেল থাকার জন্য অল্প সংখ্যক ছাত্র থাকতো। কিন্তু বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য সেই ছাত্ররা আজ আর নেই৷ লকডাউনের সময় সেই যে স্কুল বন্ধ হয়েছে আর তারপর থেকে স্কুলে ক্লাস হয় না। চেয়ার টেবিলে উইপোকা ধরেছে। আবর্জনায় ভর্তি হচ্ছে স্কুল চত্বর এলাকা। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবী, স্কুল চত্বরের পরিবেশটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখলে আবারও আগের মতো পঠন-পাঠন শুরু হতে পারে বলে ধারণা। কিন্তু এদিকে বিদ্যলেয়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ভবনের টাকা দেওয়া হয়েছে। ২২ লক্ষ টাকায় নতুন বিল্ডিংও হয়েছে। কিন্তু স্কুল আর হয় না। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আর আসে না। কবে পুনরায় স্কুল সেই আগের মহিমায় ফিরবে তার দিকে তাকিয়ে অনেকেই।

one year ago