Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

TMC

TMC Brigade: 'জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন', নতজানু হয়ে প্রণাম করে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

“জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন।” ব্রিগেড গ্রাউন্ডের মঞ্চে নতজানু হয়ে, মাথা ঠেকিয়ে উপস্থিত সাধারণ মানুষকে প্রণাম করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর কণ্ঠেই শোনা যায় এমন শ্লোগান।

গর্জে ওঠেন অভিষেক। ১২ দিনের মধ্যে ব্রিগেড করে দেখিয়ে দিলাম। কেউ বলেছিল একে একে দল ছাড়ছে, তৃণমূল দলটা উঠে যাবে। কিন্তু এই ব্রিগেড থেকেই বিজেপির বিদায়ের সূচনা হয়ে গেল। মঞ্চে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমাণ্ডের। শুধু তাই নয়, বাংলা বিরোধী বিজেপি, ইডি-সিবিআই ভোট দেবে না। তা বলেও আক্রমণ শানান তিনি।

আরও বলেন, 'জনগর্জন কী আজকে তো ট্রেলার দেখালাম। আসল সিনেমা নির্বাচনের দিন আপামর বাংলা দেখাবে বিজেপিকে।' একইসঙ্গে দিল্লিতে ‘ভূমিকম্পে’র ডাক দেন তিনি।

2 months ago
Candidate: বিশেষ চমক, লোকসভা ভোটের প্রার্থী 'দিদি নং ১' রচনা! দেখে নিন আর কারা কারা রয়েছে

লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদ ও বিরোধীদের বিরুদ্ধে গর্জনের ডাক তৃণমূলের ‘জনগর্জন সভা’ থেকে। আজই, তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে, এমনটাই সূত্র মারফত খবর। তারকা, প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে প্রাক্তন আইপিএস সহ হেভিওয়েট নেতাদের নাম থাকতে চলেছে এই প্রার্থী তালিকায়। ইতিমধ্যে বিজেপিকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে হুগলি থেকে তৃণমূলের টিকিটে রাজনীতির ময়দানে পদাপর্ণ করতে চলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী। বালুরঘাট থেকে ঘাসফুলের হয়ে লড়তে পারেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত রায়গঞ্জে ডিআইজি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। ব্যারাকপুর থেকে পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, বারাসত থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্র। এছাড়াও মালা রায়, শতাব্দী রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া (মেদিনীপুর) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাজদা আহমেদ, সৌগত রায়ও (দমদম) টিকিট পাবেন বলেই খবর।

উল্লেখ্য, বিশেষ চমক থাকছে আজকের ব্রিগেড মঞ্চে। তৃণমূল সুপ্রিমোর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন হেভিওয়েট নেতারা। এই বার ব্রিগেডে মঞ্চ সজ্জায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। দুটি অপেক্ষাকৃত ছোট এবং একটি বড়। তৈরি করা হয়েছে র‍্যাম্পও। এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বার্তা দেন, সেই দিকে সব নজর।

2 months ago
TMC: 'জনগর্জন' সভা থেকেই লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা, ব্রিগেড মঞ্চে থাকছে বড় চমক

সুপার সানডে! লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে একেবারে কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমেছে বিজেপি-তৃণমূল। আজ, 'জনগর্জন সভা' তৃণমূলের। আর সেই সভায় যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যে এসে উপস্থিত হয়েছেন ব্রিগেড ময়দানে। ক’দিন আগে বিজেপি রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২০টি আসনের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছিল। সূত্রের খবর, আজকের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল ৪২টি আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চলেছে।

৪২ এ ৪২-এর লক্ষ্যে 'জনগর্জন সভা' থেকেই প্রচারে নেমে পড়বেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সভা থেকেই প্রার্থী তালিকা তৃণমূল সুপ্রিমো ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে বাংলার ২০ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চমক দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা ব্রিগেডের ময়দানই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার করবেন সুপ্রিমো। ৪২ টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৭ই মার্চ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আবার তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়ও ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। পাল্টা বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে ঘরে তুলেছে তৃণমূল। ব্রিগেডের মঞ্চে আরও বড় কোনও চমক থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

2 months ago


TMC Brigade: হাই-ভোল্টেজ রবিবার! 'জনগর্জন' সভা মমতা-অভিষেকের, সন্দেশখালিতে শুভেন্দু

একেবারেই হাইভোল্টেজ রবিবার। একদিকে তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভা। আর অন্যদিকে তৃণমূলের ব্রিগেডের পালটা আজ সন্দেশখালিতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত থাকবেন সন্দেশখালির মহিলারা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই সভা হবে।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। দিন ঘোষণা না হলেও একেবারে জোরদার প্রচারে নেমে পড়েছে ডান-বাম রাজনৈতিক দলগুলি। বিশেষ করে বাংলায় সন্দেশখালির ইস্যুকে কেন্দ্র করে লাগাতার বিক্ষোভ-মিছিল, আন্দোলনে নেমেছিল বঙ্গ বিজেপি। সন্দেশখালির বুকেই সভা করবেন আজ শুভেন্দু-সুকান্তরা।

এক ইঞ্চি ময়দান ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবিরও। ব্রিগেডের 'জনগর্জন' সভার মধ্যে দিয়ে একেবারে পুরোদমে লোকসভা নির্বাচনে নেমে পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ব্রিগেডের ময়দান থেকেই সন্দেশখালি ইস্যুতেও বার্তা দিতে পারেন তাঁরা, এমনটাই সূত্রের খবর।

নতুন রূপে তৈরি করা হয়েছে 'জনগর্জন' সভা মঞ্চ। ৩৩০ ফুট লম্বা র‍্যাম্প মূল মঞ্চের সামনে তৈরি হয়েছে। মূলত বিদেশের বিভিন্ন মিউজিক কনসার্ট কিংবা ফ্যাশন শো'তে এমন র‍্যাম্প দেখা যায়। সেই মঞ্চ তৈরি হয়েছে ব্রিগেডের। আর এই র‍্যাম্প ধরেই জনতার মাঝে পৌঁছে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে মূল মঞ্চ লম্বায় ৭২ ফুট, মাটি থেকে ১২ ফুট উপরে তৈরি করা হয়েছে। মঞ্চের পিছনে থাকছে এলসিডি। যাতে ব্রিগেডের সমস্ত কোণা থেকে সবাই দেখতে পারেন। শুক্রবার রাত থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীরা আসতে শুরু করেছে।

যদিও সন্দেশখালিতে সভার আগে মহিলাদের ভয় দেখানোর অভিযোগ সামনে আসছে। বিজেপির দাবি, সন্দেশখালির মানুষ যাতে বিজেপির সভায় না যেতে পারে সেজন্য ভয় দেখানো হচ্ছে। যদিও শাসকদলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বাস কিংবা অন্য কিছু তো তৃণমূলের ব্রিগেডের জন্য পাওয়া যাবে না। সন্দেশখালির মহিলারাই মাঠ ভরাবেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। তাঁর সঙ্গে এদিন সন্দেশখালির সভায় থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

2 months ago
Barasat: ‘সন্দেশখালির ঝড় গোটা বাংলায় উঠবে’, বারাসত থেকে তৃণমূলকে তোপ মোদীর

দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। যদিও নির্বাচন কমিশন এখনও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে বঙ্গে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। আরামবাগ, কৃষ্ণনগরের সভা থেকে সন্দেশখালিকাণ্ডে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার বারাসতের 'নারীশক্তি সম্মান সমাবেশ' সভামঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের মাত্রা আরও বাড়ল প্রধানমন্ত্রীর। সন্দেশখালির ঝড় গোটা বাংলায় উঠবে, এমনটাই বললেন তিনি।

বুধবারও মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মেট্রো প্রকল্প উদ্বোধনের পর তিনি বারাসতে আসেন। আর এদিন মোদীর সভায় উপস্থিত হন সন্দেশখালির মহিলারা। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে কী বলেন সেদিকেই মুখিয়ে ছিলেন সকলে। আর কাউকে নিরাশ না করে তৃণমূলকে তীব্র তোপ দাগলেন তিনি।

মোদি বললেন, “বাংলার মা বোনেদের সঙ্গে ঘোর পাপ করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তাতে যে কারও মাথা নিচু হয়ে যাবে। এই ঘটনা মাথা নত করে দেয়। কিন্তু আপনাদের সঙ্গে যা হয়েছে তাতে এই সরকারের কিছু এসে যায় না। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। এসব কিছু সত্ত্বেও সব জায়গায় মা-বোনেদের উপর অত্যাচার করছেন তৃণমূল নেতারা। আর ওই নেতাদের উপর ভরসা রয়েছে দলের। কিন্তু বাংলার মা-বোনেদের উপর ওদের ভরসা নেই। ওরা দুষ্কৃতীদের বাঁচানোর চেষ্টা করে সবসময়।” এর পরই মোদি বলেন, “পুরো বাংলায় সন্দেশখালির ঝড় উঠবে”, মন্তব্য মোদির।

সন্দেশখালির মতোই বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দেন তিনি।

2 months ago


Bankura: তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব! কোতুলপুরে আক্রান্ত বিজেপি

ভোটের আগেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাঁকুড়ার কোতুলপুর গ্রাম। কোতুলপুরের লালবাজার এলাকায় তিন বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিতরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মঙ্গলবার রাতে চায়ের দোকানে তাঁদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। তাঁদের মধ্যে আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী প্রেমানন্দ বিশ্বাস-এর দাবি, বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে।

অন্যদিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, তৃণমূলকে বদনাম করতে মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কোতুলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সৌমিত্র খাঁ। তাঁর দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন না করলে প্রতিটি থানা এবং পুলিস সুপারের দফতর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবি উঠে এসেছে কোতুলপুর ব্লকের বিভিন্ন ব্লকে। আর এবার আসরে লোকসভা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘটনা মাথায় রেখে ভীত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

2 months ago
Tapas Roy: দল ছাড়ছেন অভিমানী তাপস রায়? সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক

তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়? দলের উপর তীব্র অভিমান প্রকাশ করে দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক। সোমবার অথবা মঙ্গলবারই বিধানসভায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন এমনই জল্পনা উঠেছিল। ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টায় সোমবার সকলে তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযানে আসে। কিন্তু দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। তাঁর পরিবারের কাউকে ফোন করেনি। ক্ষোভ উগরে দিলেন তাপস রায়। তাপসের আরও বিস্ফোরক উক্তি,'এত দুর্নীতি, তারপর সন্দেশখালি, এগুলো আমাকে তাড়না দিয়েছে। আমাকে বোঝাতে আসার জন্য কুণালকে শোকজ করেছেন সুব্রত বক্সী। ৫২ দিন হল মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ডাক আসেনি। তৃণমূলের অন্যান্য নেতা মন্ত্রীদের বাড়িতে ইডি গেলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পাশে দাঁড়ায়। এমনকি শেখ শাহজাহানকে টার্গেট করেছে বলে বিধনসভায় উল্লেখও করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে অন্য ছবি দেখা গিয়েছে।'

এরপরই সটান জায়গা ছেড়ে উঠে পড়েন তাপস রায়। সূত্র মারফত খবর,  এই বর্ষীয়ান নেতা বেরিয়ে পড়েন বিধানসভার উদ্দেশ্যে। ইতিমধ্যে পৌঁছন বিধানসভায়।

2 months ago
Kunal Ghosh: ফের সুদীপ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল, কুণালকে সমর্থন তাপসের

বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে একের পর  বিস্ফোরক মন্তব্য করে চলেছেন কুণাল ঘোষ। শনিবার ফের সুদীপ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কুণাল। তিনি অভিযোগ করেছেন জেল হেফাজতে থাকাকালীন সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বেশ কিছুটা সময় ছিলেন একটি ভুবনেশ্বরে বেসরকারি হাসপাতালে। কুণাল প্রশ্ন তুলেছেন সেই সময় সুদীপের হাসপাতালের বিল কে দিয়েছে? তিনি দিয়েছেন না কেউ তার হয়ে দিয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা? এই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কুণাল। 

অবাক হওয়ার মত ঘটনা, এতদিন ধরে যে কুণাল ঘোষ ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে নানা বিরূপ মন্তব্য ও কটাক্ষ করেছেন। খড়্গহস্ত হয়েছেন, সেই কুণালই এবার সুদীপ প্রসঙ্গে ইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। কুণালের মতে সুদীপের হাসপাতালের বিল নিয়ে ইডি ও সিবিআই তদন্ত করে দেখে যদি কোনও গরমিল পায় তাহলে সুদীপের ফের গ্রেফতার হওয়া উচিত। যদি কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিজে থেকে না এগোয়, তাহলে তিনি নিজে আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং এই বিষয়ে তদন্তের আবেদন করবেন, এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন কুণাল। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদ ছাড়লেও তিনি যে দলের জন্য পথে নেমে লড়াই জারি রাখবেন তার বার্তাও শনিবার দিয়েছেন কুণাল।

শুধু কুণালই নন, এবার কুণালের সমর্থনে তৃণমূলের আর এক বিধায়ক, তাপস রায়। ঠিক কি বললেন তিনি। তিনিও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে এলেন জনসমক্ষে। কুণাল ঘোষ একজন সাংবাদিক তার যুক্তি তো ফেলে দেওয়া যায়না। কয়লার টাকা নিয়ে খুব ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছেন কুণাল।

কুণালের মতই তাপসের গলাতেও অভিমানের সুর। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দুই দুঁদে নেতার মন্তব্যেই হাওয়া গরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। ঘাসফুলের অন্দরের কোন্দলের যে গুঞ্জন ছিল রাজনীতির বাতাসে তাই এই দুই নেতার মন্তব্যে প্রতিধ্বনিত হল।  লোকসভা নির্বাচনের আগে যা কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে নিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

2 months ago


PM Modi: 'গরিবকে লুটেছেন, টাকা ফেরাতে হবে, কাউকে ছাড় নয়,' আরামবাগে বললেন মোদী

চিটফাণ্ড থেকে নিয়োগ দুর্নীতি। একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যে কোনও সময় ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

একেবারে ভোটের মুখে বাংলায় দাঁড়িয়ে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে একযোগে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ শানালেন তিনি।

আরামবাগের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার পরিস্থিতি কেমন তা গোটা দেশ দেখতে পাচ্ছে। তৃণমূল শুধুই মুখে মা-মাটি এবং মানুষের কথা বলে। আদৌতে কী হচ্ছে তা সবাই দেখতে পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গরু থেকে নিয়োগ, সব ক্ষেত্রেই তৃণমূল দুর্নীতি করছে বলে এদিন তীব্র আক্রমণ শানান নরেন্দ্র মোদী। বলেন, শিক্ষক নিয়োগ থেকে পুরসভায় নিয়োগ। সবক্ষেত্রেই তৃণমূল দুর্নীতি করছে। এমনকি গরীবদের রেশন থেকে শুরু করে সীমান্ত থেকে পশুপাচার করা হচ্ছে বলেও আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী। আর সেই কারণেই তৃণমূলের মন্ত্রীদের বাড়িতে বিশাল নোটের পাহাড় দেখা গিয়েছে। যা সিনেমাতেও দেখা যায় না। অপরাধ এবং দুর্নীতির নতুন মডেল বাংলায় তৈরি হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী।

তবে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে মোদী! আর সেজন্যে ওরা দুশমন নম্বর ওয়ান আমাকে মনে করে। তবে চুরি করতে দিতে পারি না আমি। যারা গরীবদের টাকা লুঠ করেছে তাঁদের সবাইকে টাকা ফেরত দিতে হবে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এটা মোদীর গ্যারেন্টি বলে মন্তব্য তাঁর।

পাশাপাশি রাজ্যের কারণে কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প কীভাবে আটকে রয়েছে বাংলায় সেই কথাও এদিন বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে কিন্তু কাজ করতে পারছে না তৃণমূল সরকার। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ঝরিয়া আর রানিগঞ্জে কয়লা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন।

গোটা দেশে দ্রুত গতিতে কাজ হলেও এখানে তা কচ্ছপের গতিতে এগোচ্ছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী। আর এই সমস্ত প্রকল্পে গতি আনতে বাংলার সব কেন্দ্রে পদ্মফুল ফোটানোর আবেদন করেন তিনি।

2 months ago
koustav: শুভেন্দুই মমতা বিরোধী একমাত্র মুখ, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন কৌস্তভ!

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি পাঠিয়ে কংগ্রেস ছাড়লেন আইনজীবী কৌস্তব বাগচী। ফলে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা অস্বস্তিতে কংগ্রেস। বুধবার সকালে কংগ্রেসের সদস্য পদ ছাড়তে চেয়ে দলের সভাপতি ছাড়াও বঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন কৌস্তভ। কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কৌস্তভের দাবি, এখন কংগ্রেসের আত্মসম্মান নেই।

ইস্তফা দেওয়ার পর সিএন কে দেওয়া এক্সক্লুজিভ সাক্ষাৎকারে কৌস্তভ জানালেন, 'বারবার দলকে জানিয়েছেন ঠিক কোথায় কোথায় ভুল রয়েছে, এছাড়া কংগ্রেস আর তৃণমূল এখন একই দলের মত অবস্থা। ওই দলে আত্মসম্মান নেই। তাই দল ছাড়লাম।' গত বছর গ্রেফতার হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে যদিও জামিন পেয়ে যান। তবে আদালত থেকে বেরিয়েই সে সময় কৌস্তভ হুঙ্কার করেছিলেন, “যদি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করবেন, ততদিন পর্যন্ত মাথার চুল রাখবেন না।” এরপর মাথা মুণ্ডন করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকে দেখায় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে পর্যুদস্ত করতে কংগ্রেস-তৃণমূল ইন্ডিয়া জোটে সহাবস্থান করছে। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি এই নেতা।

এছাড়া সিএন কে দেওয়া এক্সক্লুজিভ সাক্ষাৎকারে কৌস্তভ বললেন, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র মুখ তিনি।' কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা উস্কে দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী।

2 months ago


Derby: সুখের পায়রা

প্রসূন গুপ্তঃ সুখের দিনের বন্ধু এবং দুঃখে পলায়নের কথা তো চিরকালীন। রাজনীতিতে এর যোগ সবচাইতে বেশি। ৭৭-এ বামেরা মোটেই পূর্বতন কংগ্রেসীদের তাদের দলে নিয়ে নেয়নি, কারণ এটা তাদের ট্র্যাডিশন নয়। কিন্তু ২০১১-তে তৃণমূল আসার আগে থেকেই বাম দলগুলি থেকে গুন্ডা, বদমাস অথবা সমাজবিরোধীরা চেষ্টা করলো নতুন দলে আসার জন্য। শুধু তারাই নয়, নেতাদেরও জার্সি বদল শুরু হলো। ওই সময়ে তৃণমূলে প্রবল ক্ষমতা সম্পন্ন ছিলেন মুকুল রায়। তিনি বাঁধন ছাড়া এই দলকে আশ্রয় দিয়েছিলেন দলে। প্রতিবাদ এসেছিলো ভীষণভাবে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। তাঁর এই প্রয়াসকে পাথেয় করে কমতি যাননি অন্য নেতারাও। যথা আপাতত জেলে থাকা বালু মল্লিক।

আজকে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় বুঝতে পারছেন কি সর্বনাশটি সংগঠিত হয়েছে। হাতে গরম প্রমাণ সন্দেশখালি। এরা সব সুখের পায়রা। এদেরই এক দল তৃণমূলে পাত্তা না পেয়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলো। বলতে গেলে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বেশিরভাগটাই প্রাক্তন সিপিএম। বাম থেকে রাম। এছাড়াও এমন বহু যুবক বা মধ্যবয়সী ২০১১-র পরে তৃণমূলে এসেছে। এরা জানেই না বা জানতে ইচ্ছুক নয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি প্রচন্ড লড়াই লড়েছিলেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। অনেকেই নিজেদের আখের গোছাতে দল করছে। অবিশ্যি তৃণমূলের প্রবল শক্তির মধ্যে একটি দুর্বল স্থান সোশ্যাল নেটে তাদের ভূমিকা। যেখানে বিজেপি তুমুল শক্তিশালী বা শূন্যে থাকা সিপিএমও। দেখা গিয়েছে কয়েক মাস আগে তৃণমূল একটি আইটি সেল খুলেছে। চেষ্টা করছে তারা প্রচার করতে দলের, কিন্তু সুখের পায়রা এখানেও ঢুকে পড়েছে। তারা কমিটিতে না থাকলেও দাবি করছে তারা নাকি প্রচুর প্রচার করছে দলের হয়ে। আসলে কিছুই নয়। ওই জানান দিতে যে 'আমি দিদির লোক'।

গতকাল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ জানালেন যে, আগামী ১০ মার্চ সকল ১১ টাতে ব্রিগেডে মহা সমাবেশ। এদিকে ওই দিন সন্ধ্যায় মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ। কাজেই একদল ওই যুবকরা বেজায় ক্ষুব্ধ। তারা পোস্ট করে দলেরই সমালোচনা করছে। এই নব্য তৃণমূলীদের কতটা ভরসা করা যায় তা নিশ্চিত ভাবনার।

2 months ago
TMC: জ্বলছে সন্দেশখালি! খোলকর্তাল নিয়ে, গলায় মালা পরে কীর্তনে মজে সেচমন্ত্রী

১৮ দিন পার, মানুষের ক্ষোভে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। পুঞ্জীভূত রাগ ফেটে বেরোচ্ছে ক্রমাগত। প্রশাসনের উপরও ভরসা হারিয়ে এবার রাস্তাতেই বিচার চেয়ে মানুষ। সন্দেশখালি ঢুকতে বাধার মুখে দিল্লির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বাধার মুখে আইনজীবীও। এই ছবি দেখতে দেখতে চোখ সয়ে গেছে প্রায়। তারই মধ্যে এবার অন্য ছবি দেখাল শাসক তৃণমূল। সন্দেশখালি জুড়ে যখন কাঁদো কাঁদো রব। তারই মাঝে বেড়মজুরে খোলকর্তাল নিয়ে, গলায় মালা পরে কীর্তনে মজে সুজিত-পার্থরা। সঙ্গে হাজির সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোও।

তবে শুধুই নাচানাচি নয়। পাশাপাশি সন্দেশখালির মানুষকে দিলেন জমি ফেরানোর আশ্বাসও। বছর শুরুর সময় থেকেই ক্ষণে ক্ষণে উত্তাপ ছড়িয়েছে সন্দেশখালিতে। গোটা এলাকা জুড়ে দাবি একটাই। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারই। পুলিসের জালে দুই শাগরেদ এলেও এখনও অধরা সন্দেশখালির বাঘ। সেখানেই যখন গ্রামবাসীদের আক্রমণের তিরে স্থানীয় তৃণমূল, তখনই এবার দ্বীপাঞ্চলের মাটিতে পা পড়ল শাসক তৃণমূলের। 

শনিবারের পর রবিবারও সন্দেশখালিতে হাজির রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। রবিবার একেবারে ফুলের মালা পরে ঢোল নিয়ে কীর্তনে মজে থাকতে দেখা গেল রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের। এসব দৃশ্য দেখে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিকই, মানুষের ক্ষোভ প্রশমনে শেষ দাওয়াই হরিবোল? কীর্তন করে এতদিনের অত্যাচারে ইতি টানা যাবে? মন্ত্রীদের উপস্থিতিতেই আবার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে ধাওয়া করে উত্তরটাও বোধ হয় বুঝিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালির মানুষ।


2 months ago
Maldah: কংগ্রেস নেতৃত্ব-পরিবারকে হাঁসুয়ার কোপ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

আসন্ন লোকসভা ভোটের মুখে হিংসা অব্যাহত বঙ্গে। মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ ঠাকুরদাকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে কংগ্রেস প্রধানের স্বামী সহ ২ ভাইকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে, মালদা সিলামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর এলাকায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুনের মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধ ঠাকুরদাকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল কর্মী জাহাঙ্গীর শেখ, জলিল শেখ, মুকুলেশ্বর রহমানরা। ঘটনার প্রতিবাদ করায় শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুনের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালায় তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা। প্রথমেই হাঁসুয়া দিয়ে প্রধানের স্বামী নাসিরুদ্দিন শেখের উপর কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়। নাসিরুদ্দিনের দুই ভাই বাধা দেওয়ায় তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

যদিও তৃণমূলের দাবি এটা কোনও রাজনৈতিক বিবাদ নয়। বর্তমানে গুরুতর জখম তিনজন চিকিৎসাধীন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় হামলাকারী মুকুলেশ্বর রহমান, জাহাঙ্গীর শেখ, জলিল শেখ সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রধান ফিরোজা খাতুন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে কালিয়াচক থানার পুলিস।

2 months ago


Murshidabad: লোকসভার দিন ঘোষণার আগেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের রানিনগর, মৃত্যু ১ কংগ্রেস কর্মীর

সেই মুর্শিদাবাদ, ফের মৃত্যু, বলি কংগ্রেস কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রথম রক্তে ভিজেছিল মুর্শিদাবাদ। লোকসভার আগে সেই উত্তাপ ধরা পড়ছে। কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষে মৃত্যু এক কংগ্রেস কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার নজরানা পানি পিয়াকতে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে এলাকা অশান্ত ছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থক দুই পরিবারের বিবাদ ঘিরে। অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মী দলবল নিয়ে কংগ্রেস কর্মীর এনামুল হকের পরিবারের লোকজনের ওপর চড়াও হয়। বেধরক মারধর শুরু করা হয় ওই কংগ্রেস কর্মীকে, যার জেরে ঘটনাস্থলেই এনামুল হকের মৃত্যু হয়।

তৃণমূলের দাবি মারধর করা হয়নি, শারিরীক অসুস্থতার কারণে মৃত হয়েছে কংগ্রেস কর্মীর। এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, দোষীদের গ্রেফতার না করে কংগ্রেস কর্মীদেরই আটক করেছে পুলিস।

২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে তৃণমূল-কংগ্রেসের সংঘর্ষে লাগাতার উত্তপ্ত থেকেছে মুর্শিদাবাদ। লোকসভা দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই বলি হতে হল কংগ্রেস কর্মীকে। এই আবহে কেমন ভোট হয়, এখন সেটাই দেখার।

2 months ago
Sandeshkhali: শাহজাহানের অনুপস্থিতেও চলছে হুমকি! রাতের ঘুম উড়েছে সন্দেশখালিবাসীর

সন্দেশখালির দুঃখ, দুর্দশার কথা রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছেছে। প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো যেন অজানা কোনও এক সাহসের বলে আতঙ্ক কাটিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও অধরা রয়ে গিয়েছে সন্দেশখালির মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। তাই সমান্তরাল ঘটনার রেশ একটু একটু করে কাটলেও, কিছুতেই কাটছে না আতঙ্কের প্রহর। একসময় এলাকায় রাজ করে বেরানো উত্তম, শিবু, শাহজাহানের কথা ভাবতেই বুক কেঁপে উঠছে সন্দেশখালির মহিলাদের।

গ্রেফতার হয়েছে উত্তম, শিবু। এলাকায় নেই শাহজাহানও। এদিকে রাত হলেই অজানা নম্বর থেকে ফোন করে মহিলাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কে ঘরে থাকতে ভয়ে পাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, দিনের বেলায় পুলিসি পাহারা থাকলেও, রাতের বেলা কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থাই থাকছে না। ফলে রাতের ঘুম উড়তে বসেছে এলাকাবাসীর। তাহলে এখনও কার মদতে দেওয়া হচ্ছে হুমকি? এলাকায় পুলিসের উপস্থিতেও চলছে তাণ্ডব? তাহলে প্রশাসন কি সক্রিয় নয়?

এদিকে সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ উত্তম এবং শিবুর চক্ষুশুল পুকুর পাড়ার বাসিন্দা রঞ্জিত আজ পুরোপুরি শয্যাশায়ী। শাহজাহান, শিবু এবং উত্তমদের বিরুদ্ধে যখন ক্ষোভ চরমে উঠেছে, ঠিক তখনই শিবু এবং তার অনুগামীরা রঞ্জিতকে বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করে গিয়েছিল ভয় দেখানোর জন্য। সে দিনের পর থেকে আতঙ্কে আর ঘর থেকে বেরোতে পারেন না মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রঞ্জিত।

সন্দেশখালিতে আতঙ্কের এই প্রহর কবে কাটবে? সেদিকেই যেন তাকিয়ে রয়েছেন বাসিন্দারা। সিএনের ক্যামেরার সামনে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিল সন্দেশখালির মহিলারা।

2 months ago