কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি-সিবিআইয়ের (CBI ED) অতিসক্রিয়তার অভিযোগে বঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছে প্রস্তাব। মমতা সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় (Bengal Assembly) জানান, ২০২১-র ৫ মে'র পর থেকে যে ক'টা সিবিআই তদন্ত বাংলায় চলছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government) বা বিজেপির ভূমিকা নেই। সব কোর্ট নির্দেশে তদন্ত চলছে। আমি শাসক দলকে প্রশ্ন করেছিলাম, বাংলায় বাগযুদ্ধ না করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন যাননি? রামপুরহাট, ঝালদা, হাঁসখালি-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারতেন। আসলে ডাল মে কুছ কালা হে, তাই ওরা যেতে পারেননি।
তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট কোনও রায় দিলে, সেটা দেশে রুল হিসেবে কার্যকর হয়। কার্তি চিদম্বরমের মামলায় জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট আর্থিক তছরূপ মামলায় ইডির কর্মপদ্ধতিতে সিলমোহর বসিয়েছে। রাজ্যের বিধানসভায় যেভাবে ইডির বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমি অধ্যক্ষকে বলেছি আপনি যেভাবে প্রস্তাব গ্রহণ করালেন, সেটা পরে আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।'
এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, 'লালকেল্লাতে ভাষণ থেকে দুর্নীতি বিরুদ্ধে মোদীজি যে কথা বলেছেন, সেটা বাংলাকে উদ্দেশ্য করেই। প্রধানমন্ত্রী তো উনার মতো (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) নিচে নামতে পারবেন না। তাই বুঝিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি। আর ২০১৮ সালে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমোদনের বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যাহার করেন।'
তিনি জানান, আমাদের অন্য বিধায়করা বিধানসভায় সোচ্চার হয়েছিলেন, যে চোরেদের যারা বীরের সম্মান দেয়, তার চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেছেন সিবিআইয়ের অধিকর্তা নিয়োগে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকে না। নির্বাচক কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকেন।'
বিজেপি রাজ্য দফতরে বৃহস্পতিবার সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) সন্দেশখালির দুই তৃণমূল নেতার (TMC) সঙ্গে মাদক পাচার (Drug Smuggling) যোগের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন। সেই সময়েই বিধানসভায় দুর্নীতি প্রশ্নে শাসক দলকে বিঁধেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের এক বিধায়ক-সহ একাধিক নেতার সম্পত্তি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, 'তৃণমূলের ৯৯.৯৯% নেতা দুর্নীতিপরায়ণ (Corruption) নথি ধরে ধরে প্রমাণ করব। কুলতুলির বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মণ্ডলের মোট দলিলের সংখ্যা ৩৯টি। একশো দিনের টাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে এই কুলতলিতে। শুধু গণেশ চন্দ্র মণ্ডল নয়, তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য ২০১৯-২০২১ সালের মধ্যে সম্পত্তি কিনেছেন।'
তাঁর দাবি, 'ডায়মন্ড হারবার এক পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গৌতম অধিকারী এবং তাঁর পরিবারের নামে ১১টি সম্পত্তি রয়েছে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের নামে ছয়টি সম্পত্তির দলিল পেয়েছি।' এদিন শুভেন্দু অধিকারী জাহাঙ্গির খান নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তৃণমূল নেতার প্রসঙ্গ টানেন। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে বিরোধী দলনেতা বলেন, 'জাহাঙ্গির খান, তোলাবাজ ভাইপোর বড় এজেন্ট এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এই ব্যক্তির নামে ৩৯টি সম্পত্তি রয়েছে। জাহাঙ্গির খানের নামে ৬টি সম্পত্তির দলিল আমরা পেয়েছি।'
শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা, 'এটা আদতে ডায়মন্ড হারবার মডেল। ডায়মন্ড হারবার মডেল মানে মদের বোতল থেকে ৫ টাকা সঙ্গে গোরু, পাথর, কয়লা তো আছেই। এই যা সম্পত্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করলাম সঠিক মূল্যায়ন করলে মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়াবে ১০০ কোটির বেশি।' যদিও এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর তোলা অভিযোগ খারিজ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক গণেশ মণ্ডল। তিনি জানান, আমার কোনও বেআইনি সম্পত্তি নেই। অভিযোগের কতটা ভিত্তি আছে জানি না। আমার যা সম্পত্তি এবং ব্যবসা রয়েছে সব আইনি এবং আয়কর রিটার্নে বলা।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে পুলিসের প্রশংসায় মুখর মুখ্যমন্ত্রী। পুলিস সংযম দেখিয়েছে একইভাবে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি করেছে বিজেপি। এই অভিযোগ করেন মমতা-অভিষেক। বুধবার সেই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের খোঁচা, 'পুলিস নাকি শান্ত ছিল এমন দাবি করেছে বাংলায় চর্চিত যুবরাজ। উনি এক লাখ টাকা দিয়ে পুলিসের ঢিল তুলে ছোড়ার ছবি দেখতে পাবেন কিনা জানি না। নিরস্ত্র বিজেপি সমর্থকদের মারতে পুলিস ঢিল তুলে ছুড়েছে। ১২ তারিখ এসব চলছে। রেলের জায়গায় ঢুকে মহিলা সমর্থকদের হেনস্থা করেছে পুলিস।'
এদিন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি অভিষেকের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে বলেন, 'বাংলার চর্চিত যুবরাজ পুলিসের ভূমিকায় খুশি নয়। তিনি আগামি দিনে যে তৃণমূল তৈরি করবে, সেই দলের পুলিস মানুষের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করবে। অর্থাৎ আগামি দিনে ট্রিগার হ্যাপি পুলিস তৈরি হবে। সেই ইঙ্গিত এদিন দিয়েছেন বাংলার যুবরাজ।'
বুধবার নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি পৃথক সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু জানান, তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মালকিন এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর সর্বভারতীয়স্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে নানাভাবে আক্রমণ করেন। একইভাবে রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করেন। সেভাবেই এদিন এসএসকেএম-এ প্রমাণ ছাড়া যে আক্রমণ ভাইপো করেছে সেটা নিম্নরুচির।
অভিষেকের উদ্দেশে শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ, 'আপনাকেও তিহার জেলে মধু কোরা, ওপি চৌতালাদের সঙ্গে থাকতে হবে। যে অপমান আজ উনি করেছেন তাঁর বিচারের ভার বাংলার জনতার হাতে ছাড়লাম। এই ঔদ্ধত্যের শেষ হবে।'
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) শুরুতেই আলিপুর পিটিএস-র সামনে পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। পুলিসের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে তাঁকে আটকাতে যান দুই মহিলা পুলিসকর্মী। তাতেই মেজাজ হারান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মহিলা পুলিসের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনি মহিলা হয়ে আমার গায়ে হাত দেবেন না। আমাকে ছোঁবেন না।' সেই মুহূর্তে কলকাতা সাউথ সেকশনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের (kolkata Police) সঙ্গে বচসায় জড়ান শুভেন্দু অধিকারী। ডেকে পাঠানো হয় ডিসি (সাউথ) আকাশ মাঘারিয়াকে।
তাঁকে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, 'আপনার মহিলা পুলিস আমাকে টাচ করে কীভাবে?' পাল্টা ডিসি (সাউথ) জবাব দেন, 'পুলিসের লেডিজ-জেন্টস হয় না'। এই বলেই পিটিএস থেকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় শুভেন্দু অধিকারিকে। যদিও আগে থেকেই রাহুল সিনহা এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে একই জায়গা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।
প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, 'রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এভাবে আটকানোর জন্য তিনি কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।' প্রিজন ভ্যান থেকেই তাঁর স্লোগান, 'ভয় পেয়েছে মমতা।'
তারকেশ্বরে শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে চোর ধর জেল ভরো কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলই প্রথমে হামলা চালায়। যদিও পাল্টা গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা মিছিল থেকে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। অন্তত ১২ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে তিন পুলিসকর্মীরা ছাড়াও অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক।
অভিযোগ, মিছিলের দিকে ইটবৃষ্টির পাশাপাশি শুভেন্দুর উদ্দেশে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, বিজেপির নবান্ন অভিযানকে সফল করতে চোর ধরো জেল ভরোর ব্যানারে চাউলপট্টি থেকে তারকেশ্বর স্টেশন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই মিছিলকে নেতৃত্ব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল যখন তারকেশ্বর রেলগেটের কাছে তখন মিছিলের উদ্দেশে বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারীকে কালো পতাকা দেখান তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা।
যদিও শাসক দলের পাল্টা দাবি, কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে তৃণমূলের মহিলা সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেই সময় বিজেপির মিছিল থেকে হামলা হয়েছে। এরপরেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বিশাল পুলিসবাহিনী। দুই পক্ষের মধ্যে পড়ে কমবেশি আহত একাধিক পুলিসকর্মীও।
তৃণমূলের অভিযোগ, তাঁদের আহত মহিলা কর্মীদের তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে দলীয় কর্মীদের দেখতে পৌঁছন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রমেন্দুসিংহ রায়। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে গুন্ডামির অভিযোগ তোলেন।
বুধবারও গড়িয়া থেকে যাদবপুরে বিজেপির প্রস্তুতি মিছিলে ছিলেন শুভেন্দু। সেই মিছিলেও হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও হামলার অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বিজেপির মিছিল থেকেই ইট পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ তোলে তৃণমূল।
দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের (Debjani Mukherjee) করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর মায়ের লেখা চিঠি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিল সিআইডি। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ, সিআইডি (CID) একটি তদন্তকারী সংস্থা, আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করে এবং আগামি দিনের করবে। জয়নগর থানায় দায়ের হওয়া একটা মামলার প্রেক্ষিতে বয়ান রেকর্ড করতে ২৩ অগাস্ট দমদম জেলে (Dumdum Jail) গিয়েছিলেন সিআইডির একজন তদন্তকারী অফিসার। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলের মহিলা পুলিস এবং সংশোধনাগারের অন্য কর্মীরা। আদালতের নির্দেশে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বয়ান রেকর্ড করেন সিআইডির আইও বা তদন্তকারী অফিসার।
তাই দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মায়ের আনা অভিযোগ খণ্ডন করছে সিআইডি এবং সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ ধরনের মিথ্যা প্রচারে কান না দিতে। তবে দেবযানীর এবং তাঁর মায়ের লেখা চিঠিতে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে সুদীপ্ত সেনের থেকে টাকা নেওয়ার বয়ান লিখতে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই দু'জনের মধ্যে অন্যতম সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'কাজ করবে না, সিআইডিকে দিয়ে আকাজ করাবে রাজ্য প্রশাসন।' সিপিএম নেতা জানান, যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমরা প্রস্তুত। ৮ বছর ধরে একজন জেলবন্দি, তাঁকে দিয়ে এখন বয়ান লেখাতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। একুশের ভোটের আগেও একটা চিঠি লেখানো হয়েছিল, সেখানে আমার নাম, বিমান বসুর নাম ছিল এই কাণ্ডের তদন্ত হোক। কোন অফিসার, কোন তৃণমূল নেতার অঙ্গুলিহহেলনে এই কাজ করেছে সেটাও তদন্তের আওতায় আনা হোক। এভাবেই দেবযানী মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য প্রশাসন এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী।
পাশাপাশি রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, যার নামও উল্লেখ মা-মেয়ের চিঠিতে। শুভেন্দুর ট্যুইট, 'অপমান, সম্পূর্ণ অপমান। একসময়ের মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা সিআইডি এখন বাংলার পিসি-ভাইপোর বেতনভুক দ্বাররক্ষী হয়ে উঠছে। বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য বিচারাধীন বন্দিকে ভয় দেখিয়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের স্বার্থরক্ষায় অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে সিআইডি।'
Disgrace, total disgrace!
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) September 8, 2022
The once glorious CID has now become the paid janitor of WB's Bua-Bhatija.
CID is indulging in criminality for advancing the nefarious interest of the Banerjees by intimidating under trial prisoners to give false statements against WB Opposition Leaders: pic.twitter.com/fHdZJyLgvZ
সারদা-কাণ্ডে এবার রাজ্যের সিআইডির (Bengal CID) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায় (Debjani Mukherjee)। রীতিমতো হাইকোর্টকে চিঠি লিখে তিনি বিহিত চেয়েছেন। সিআইডি ২৩ অগাস্ট দমদম জেলে এসে তাঁকে চাপ দিয়েছে। এবং বয়ানে লিখতে বলেছে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুজন চক্রবর্তী(Suvendu-Sujan) সারদার (Sharada Case) থেকে ৬ কোটি টাকা করে নিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টকে ৪ সেপ্টেম্বর পাঠানো দেবযানীর চিঠিতে উল্লেখ, '২৩ অগাস্ট সিআইডি জেরার নামে দমদমে জেলে এসে কিছু প্রশ্ন করেছে। শেষে তাঁরা জানতে চেয়েছে আমি কি জানতাম রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সুদীপ্ত সেনের ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন। কিন্তু আমি তাঁদের বলি এই তথ্য আমার জানা নেই। আপনারা বরং ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। এরপরেই ওরা আমাকে বলে যেহেতু আমি অপরাধ প্রমাণের আগে ৮ বছর জেল খেটে নিয়েছি, তাই আমাকে সারদা-কাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী করে দিতে পারেন।'
তিনি হাইকোর্টের উদ্দেশে চিঠিতে আরও লিখেছেন, 'আমি ওদের আমার কেস ডিটেইলস সম্বন্ধে জানতে চাইলে ওরা জানিয়েছিল এডিজি সিআইডির সঙ্গে কথা বলে আমার আইনজীবীর কাছে পাঠাবে। আমার বিরুদ্ধে শারদা সংক্রান্ত মোট ১১টি মামলা রয়েছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেনি। তবে ওরা আবার সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে জেলে আসবেন।'
হাইকোর্টের উদ্দেশে দেবযানীর আবেদন, 'পুরো বিষয়টা মহামান্য আদালতের কাছে রাখলাম। আশা করব কোর্ট যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। যাতে আমি জেলের বাইরে বেরোতে পারি।'
দেবযানীর এই চিঠির মধ্যেই তাঁর মা শর্বাণী মুখোপাধ্যায় পৃথক একটি চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআইকে। সেই চিঠিতে তিনি বিশেষ করে সিআইডি অফিসার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে মেয়ের উপর মানসিক চাপ তৈরি করার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন। শর্বাণী মুখোপাধ্যায় লেখেন, '২৩ অগাস্ট দমদম জেলে এসে ওসি সিট ভবানী ভবন ইনস্পেক্টর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় আমার মেয়েকে মিথ্যা বয়ান লেখাতে চাপ দিয়েছেন। রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের সামনেই সুদীপ্ত সেনের থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। এই বয়ান না লিখলে আমার মেয়েকে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে এই হুমকিও দেওয়া হয়েছে।'
সিবিআইকে লেখা চিঠিতে দেবযানীর মা জানান, আমার মেয়ে শঙ্কিত। ৫ সেপ্টেম্বর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলার সময় তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে মেয়ে আমায় একটি চিঠি পাঠায়। সেই চিঠির প্রতিলিপি আমার এই চিঠির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল। আমার মেয়ের বক্তব্য তিনি শুভেন্দু অধিকারী বা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে কোনওদিন সাক্ষাৎ করেনি। তাও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান না লিখলে আমার মেয়েকে আরও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'
সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার বড়সড় ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির জন্য উপযুক্ত জায়গা কলকাতা হাইকোর্ট। এই মন্তব্য করে শুভেন্দুর আবেদন ফেরালো শীর্ষ আদালত। নন্দীগ্রামের বিধানসভা ভোট গণনাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা ভিনরাজ্যে স্থানান্তরের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে হাইকোর্টেই মামলা ফেরাল শীর্ষ আদালত। এরপরেই পিটিশন প্রত্যাহার করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনে SC আদেশ দিতে অস্বীকার করেছে। তিনি পিটিশন প্রত্যাহার করেন।
শুভেন্দুর নির্বাচনকে কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা। সুভেন্দু দাবি করেছিলেন যে বিষয়টি অন্য কোনও হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হোক।
গোরু পাচারকে কটাক্ষ করে মঙ্গলবার জোড়া ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন আবার দুধের কন্টেনারে গোরু পাচার করতে গিয়ে শেষরক্ষা হয়নি। সেই কন্টেনার উলটে মৃত ৫ গোরু, উদ্ধার ২২টি গোরু। গোরু পাচারের এই অভিনব পদ্ধতিকেই খোঁচা দেন শুভেন্দু। তিনি একটি ট্যুইটে লেখেন, 'গোরু পাচারের অভিনব পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ গিয়েছে পাচারকারীদের থেকে। পুষ্পা ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এভাবে গোরু পাচার। পুরুলিয়ায় একটা আমূল দুধের কন্টেনারে ভরে পাচার হচ্ছিল গোরু। সেই পাচার পদ্ধতি ফাঁস হয়ে গিয়েছে কারণ সেই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।'
একই ভাবে আরও একটি ট্যুইটে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা লেখেন, 'বাংলায় কোটি কোটি টাকার পাচার চক্র এখনও সক্রিয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে বিএসএফ নজরদারি বাড়ানোয় গোরু পাচারের পুরনো পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছে। তাই এভাবে গোরু পাচার এখন পাচারকারীদের কাছে আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে।'
The multi-crore cattle smuggling syndicate is still active in WB. @BSF_India has tightened the screws under Hon'ble Home Minister Shri @AmitShah Ji's able supervision. The tried & tested formulas have now failed. It has become extremely difficult to smuggle cattle using old ways: pic.twitter.com/K85NsjlaBT
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) August 23, 2022
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগকে ঘুরিয়ে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। এমনকি, পুরুলিয়ায় দুধের কন্টেনারে গোরু পাচার প্রসঙ্গকে গুরুত্বদিতে নারাজ শাসক দল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'গোরু যে সব জায়গা থেকে আসে সেগুলো পাহারা দেয় বিএসএফ। যা অমিত শাহের মন্ত্রকের অধীনে। এতো গোরুর উৎস গো বলয়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ইত্যাদি ইত্যাদি। সেগুলো পশ্চিম সীমান্ত থেকে এসে পূর্ব সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে। গোরুর তো আর পাখনা নেই উড়ে উড়ে বাংলাদেশ চলে যাবে। গরুগুলো যখন আনা হচ্ছে, তখন বিএসএফ-র নজরদারি নেই কেন? এখন তো সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত বেড়েছে বিএসএফ-র এক্তিয়ার।'
ঠিক কী বললেন কুণাল ঘোষ?
দলনেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যব্যাপী তৃণমূল পালন করছে খেলা হবে দিবস (Khela Hobe Diwas)। মঙ্গলবার দুটি পৃথক মিছিল (TMC Rally) বের হয়েছিল মানিকতলা এবং সল্টলেকে। মানিকতলার মিছিলে দেখা গিয়েছে অভিনব প্রতিবাদ। এক ব্যক্তিকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) সাজিয়ে মিছিলে হাঁটানো হয়। সেই ব্যক্তির দেহ থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফ্লেক্স। যাতে লেখা, 'আমি শুভেন্দু অধিকারী আমি চোর।' এই প্রতিবাদ বিষয়ে তৃণমূলের এক নেতা বলেন,'আমরা আজ কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে, মমতা সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পক্ষে সোচ্চার হতে পথে নেমেছি।'
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জুজু দেখিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেওয়া যাবে না। নারদা-কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর নামে এফআইআর আছে, সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নাম আছে। তারপরেও ইডি এবং সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই মিছিলের অন্যতম আয়োজক সেই তৃণমূল নেতার দাবি, 'শীত গ্রীষ্ম বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা।'
এই মিছিলের সমালোচনায় সরব বিজেপি। দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'যারা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, তাদের মুখে দড়ি পরিয়ে সিবিআই গামছা বেঁধে জেলে নিয়ে যাবে। এঁরা প্রত্যেকেই জেলে যাবেন। খেলা হবে দিবসের নামে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি চেষ্টা করছে। নিজেদের দুর্নীতি থেকে মুখ ঘোরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁদের রাস্তায় নামিয়েছে।'
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) সারাদা মামলায় অভিযুক্ত, তাও তাঁর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিচ্ছে না তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সেই সংক্রান্ত দায়ের জনস্বার্থ মামলা (PIL) খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারী রমাপ্রসাদ সরকারের আবেদন খারিজ করেছে। সারদা কর্তার চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম, তাও সিবিআই কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করছে না রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
মামলাকারী আবেদন ছিল, সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করুক সিবিআই। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে শুভেন্দু। একথাও উল্লেখ আছে চিঠিতে। আইনজীবী রমা প্রসাদ সরকারের দাবি, এরপরেও সিবিআই সারদা তদন্তে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তাই আদালত এই বিষয়ে উপযুক্ত নির্দেশিকা জারি করুক।
শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি, এই জনস্বার্থ মামলা গ্রহ যোগ্য নয়। কারণ আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, 'আদালত মনে করছে না এবিষয়ে নতুন করে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। তাই আবেদনকারীর আবেদন খারিজ করা হল।'
২০২৬-র আগেই কি বাংলায় মমতা সরকারের (Mamata Government) পতন? মঙ্গলবার সেই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। এদিন তিনি জানান, ডিসেম্বরে কার্যত থাকবে না তৃণমূল সরকার। আর ২৪ শে একসঙ্গে ভোট হবে, দেখতে থাকুন।
যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল (TMC)। শাসক দলের রাজ্য সহ-সাধারণ সম্পাদক জয়প্রকাশ মজুমদারের খোঁচা, 'হয় শুভেন্দু অধিকারী জ্যোতিষী, নয়তো বড় কোনও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। যেখানে গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে পরিকল্পনা করছে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া। এছাড়া আর সম্ভব নয়। ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে প্রচুর সংখ্যাধিক্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠন করেছেন।' একই সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কণ্ঠে। তিনি বলেন, 'উনি হয়তো জ্যোতিষী। তাহলে বিহারে পাঠাতে পারতো। উনি সামলে দিত সরকার বদল। আমাদের মনে উনি বিজেপির একমাত্র পরামর্শদাতা।'
ইতিমধ্যে গত ছয় মাসে একাধিকবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যদিও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদারদের গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের আগে অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডার কাছে দরবার করে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে এবং দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যে চলা ইডি তদন্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা মাঝেমধ্যেই ইঙ্গিত দেন মহারাষ্ট্রের মসনদে পালাবদল হয়েছে। এরপর একে কে রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাতেও পালাবদল হবে। যদিও প্রতিবারই সেই দাবি নস্যাত করেছে রাজ্যের শাসক দল। তাঁর এদিনের দাবিকেও খোঁচার সুরে বিঁধেছে তৃণমূল।