শেখ শাহাজাহানকে গ্রেফতার করা নিয়ে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দাবি, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। যদিও শুভেন্দুর ওই মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বুধবার সকালেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি দাবি করেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ বেড়মজুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে শেখ শাহজাহানকে ধরেছে পুলিশ। এছাড়াও উডবার্ন ওয়ার্ডেও একটি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও দাবি শুভেন্দুর। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবিকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল শেখ শাহাজাহানের। তাই শুভেন্দু জানিয়ে দিক এখন কোথায় রয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা।
বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে চলতি অধিবেশনে অধিবেশন কক্ষে থাকতে পারবেন না তিনি। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়। স্পিকারের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক আচরণের অভিযোগে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে সাসপেনশন মোশন আনেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। সেই প্রস্তাবে সম্মত হন স্পিকার। পালটা বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে বিজেপি।
এদিন প্রথম দফায় অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছিল বিজেপি। দ্বিতীয় অর্ধে সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা শুরু হলে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-সিবিআই অনেককে গ্রেফতার করছে। তৃণমূল বলছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।” তখনই শাসকদলের বিধায়করা বিরোধিতায় সরব হন। এর পরই দলবদল করা বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে মন্তব্য করেন শংকর। যা বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার।
শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে পুলিস যে নোটিস পাঠিয়েছিল, তা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এগরার এসডিপিও-কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, মেচেদা-দীঘা বাইপাসে বাতিস্তম্ভ লাগানোয় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সাক্ষী হিসেবে ১৬০ ধারায় নোটিস পাঠানো হয় রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। পাশাপাশি, ১০ বছরের আয়করের ফাইল চেয়ে পাঠানো হয় তাঁর কাছে। এ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু।
বুধবার এই মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, ২০১৭ সালে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে পল্লব দত্ত দেখেন, মেচেদা-দীঘা বাইপাসে কিছু আলো লাগানো হচ্ছে। কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেটা এফআইআর হিসাবে গণ্য করে পুলিস। আমার মক্কেলের পরিবার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের এবং আমার মক্কেলের ভাই কাঁথি পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন। সেই মামলাতেই সাক্ষী হিসাবে আমার মক্কেলকে ১৬০-এর নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাঁর আয়করের হিসেব চাইছে গত ১০ বছরের। এটা ৩ দিনে কীভাবে দিতে সক্ষম হব? অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে। আর কী কারণে আয়করের হিসেবের প্রয়োজন? আমার মক্কেলের ভাইদের নামে একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভাই বিরোধী দলনেতা। তাঁর বিরুদ্ধ ৪৩টি মামলা।
রাজ্যের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায় জানান, এফআইআর হয়েছে, তার তদন্ত চলছে। এটা দুর্নীতির অভিযোগের মামলা। সাক্ষীকে ডাকা হয়ছে তদন্তের স্বার্থে। এরপরেই বিচারপতির চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়ে পুলিস। তাঁর মন্তব্য, মেরুদণ্ডহীন পুলিস আদালতকে জানাতে ব্যর্থ, কেন তারা আইটি ফাইল চাইল, আর কী কারণে এফআইআর রুজু হল। তাই পুলিসকে কড়া নির্দেশ, এই কাজ যেন দ্বিতীয়বার না হয়। এসডিপিও-কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি জানান, একজন মানুষকে হেনস্থা করার জন্য পুলিস ১৬০-এর নোটিস পাঠিয়েছে। এটা একজন সাক্ষীকে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না। সাক্ষী হিসেবে ডেকে তার আইটি ফাইল চাওয়া কোন আইনে আছে? আপনি হুইল চেয়ারে ঘুরতে পারেন, হেলিকপ্টারে চড়তে পারেন। তাই বলে আইন অনুযায়ী সাক্ষীর আইটি ফাইল চাইতে পারেন না। তাকে হয়রান করতে পারেন না।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চিঠি লিখে এবার বিদেশ মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জানালেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে লেখা ওই চিঠিতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তথ্যবিকৃতির অভিযোগ করেছেন সাংসদ। তাঁকে সেন্সর করারও দাবি তোলা হয়েছে।
সম্প্রতি স্পেন যাওয়ার পথে দুবাই বিমানবন্দরের লাউঞ্জে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংঘের দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরস্পরের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় হয়। সেই ছবি নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট ওয়ালে পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ছবি নিয়েই কাল্পনিক কথা লিখেছিলেন শুভেন্দু। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন ডেরেক।
জানা গিয়েছে, ওই সাক্ষাৎকারের সময় মমতার উদ্দেশে বিক্রমসিংঘ বলেন, "আপনি কি বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন?" জবাবে মমতাকে বলতে শোনা যায়, "ওহ মাই গড"।
কিন্তু বিষয়টা এখানেই থেমে যায়নি। শুভেন্দু কাল্পনিকভাবে ওই কথপোকথন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন। ওই কাল্পনিক কথোপকথনে তিনি লিখেছিলেন, "আপনি কি আপনার রাজ্যকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন? যে সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা!" কাল্পনিক কথাবার্তায় যার পাল্টা মমতার বক্তব্যে বিরোধী দলনেতা লেখেন, "আপনি নির্দেশ করেন আমি বাজার থেকে আরও টাকা ধার নিতে পারি।"
সূত্রের খবর, ডেরেক ওই চিঠিতে লিখেছেন, শুভেন্দুর কাল্পনিক কথপোকথনের ফলে দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি হতে পারে।
হামলাকারীদের তিনি চেনেন। খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁকে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সাংসদ শিশির অধিকারী। তাঁর আরও দাবি, এত বছরে কখনও এমন ‘হামলার’ মুখে পড়েতে হয়নি তাঁকে। মঙ্গলবারের ঘটনায় তিনি রীতিমতো বিস্মিত।
মঙ্গলবার খেজুরি-২ বিডিও অফিস থেকে ফেরার সময় হামলার মুখে পড়েন শিশির অধিকারী। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। আর এই হামলা চালানোর মাঝে গাড়ির চালক আচমকা ব্রেক কষতেই মাথায় আঘাত লাগে সাংসদের। এই প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী জানিয়েছেন,তাঁকে আক্রমণই লক্ষ্য ছিল হামলাকারীদের। খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ওই হামলাকারীদের চিনতে পেরেছেন। আগেও তাঁদের দেখেছেন। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের ‘গুন্ডামি’ করতে দেখেছেন। একইসঙ্গে এই বিষয়ে যেখানে যেখানে প্রয়োজন, সেইমতো অভিযোগ জানাবেন।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল খেজুরি। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় খেজুরি-২ বিডিও অফিস । সেইসময় সেখানে ভোট দিতে গিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। সেখান থেকে কোনওরকমে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে রওনা দেন বাড়ির উদ্দেশে।
কিন্তু, মাঝপথে তাঁর গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। অভিযোগ তাঁর গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়। ঘটনায় মাথায় চোট লাগে বর্ষীয়ান সাংসদের। হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় শিশির অধিকারীকে। দিব্যেন্দু অধিকারী ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) গাড়িতে ইটবৃষ্টির অভিযোগ। হামলার ঘটনাটি ঘটেছে খেজুরিতে। অভিযোগ তাঁর গাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়। অভিযোগ এই হামলায় আহত হয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশির অধিকারীর আরেক ছেলে তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন। তিনি জানান, তাঁর বাবার মাথায় আঘাত লেগেছে।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। তবে তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তদন্ত শুরু করেছে খেজুরি থানার পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, রাজনৈতিক রঙ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, পঞ্চায়েত সমিতিতে স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তপ্ত খেজুরি।
দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। এ ঘটনায় রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিস ও শাসক দলের নেতাদের দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে রাজ্য পুলিসের ডিজিকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায়, ডিজি মনোজ মালব্য ছাড়াও এ বৈঠকে ছিলেন রাজ্যসচিব ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
চলতি বছরেই এগরার পর মহেশতলা, একের পর এক বাজি কারখানা বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাজি কারখানা বন্ধে কড়া হতে বলেন রাজ্য পুলিসকে। সেসময় রাজ্য পুলিসকে কড়া হাতে বাজি কারখানা বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয় নবান্ন। তার ঠিক ৩ মাস পর দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জের মোচপোলে এমন বিস্ফোরণে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। এ ঘটনায় স্বাভবিকভাবেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
দত্তপুকুরের বাজি কারখানা বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, 'এটি বড় ঘটনা, এটা কাম্য নয়। পুলিস অপরাধীদের যোগ্য সাজা দেবে।' পাশাপাশি এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এ ঘটনায় আজ অর্থাৎ সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আরও একবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন তুললেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবি, যাদবপুরের ঘটনায় ধৃত এক পড়ুয়ার দাদার গ্রেফতারি আটকানো হয়েছে। কারণ তিনি সিনিয়র আই-প্যাক কর্মী।
শুক্রবার, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল মৃত পড়ুয়ার নদিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। আক্রমণ করেন তৃণমূলকে। তাঁর কথায়, রাজ্য সরকারের নজরদারিতে যদি তদন্ত হয়, তাহলে কোনও লাভ হবে না। এরপরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, "দীপ বলে একজন গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর দাদা, নাম রাজশেখর। তিনি আইপ্যাকের একজন সিনিয়র কর্মী। তদন্তকারী অফিসাররা তাঁকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিলেন। এডিসিপি (ক্রাইম) পদে শঙ্খশুভ্র বলে কেউ একজন আছেন, তিনি আগে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে কাজ করতেন। তিনি সরাসরি তদন্তকারী অফিসারকে এবং যাদবপুরের ঘটনায় যে টিম কাজ করছে, তাঁদের বলেছেন দীপের দাদাকে ডাকা যাবে না। কারণ, উনি আই-প্যাকের কর্মী।"
তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) প্রার্থীদের (Candidate) জন্য মনোনয়ন (Nomination) পত্র হোম ডেলিভারি করার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে একটি ভিডিও টুইট করেন তিনি। টুইটারে ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দুর দাবি, লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও মনোনয়নপত্র তুলতে পারছেন না বিজেপি প্রার্থীরা। কারণ, বাঁকুড়ার সালতোরা ব্লকের তিলুরির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তপন চক্রবর্তী বিডিও অফিসে ঢুকে একসঙ্গে একাধিক মনোনয়নপত্র এবং ডিসিআর সংগ্রহ করছেন। তাঁর অভিযোগ, একসঙ্গে একাধিক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে তৃণমূল প্রার্থীদের হোম ডেলিভারি করা হবে।
বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, মনোনয়নপত্র তোলা এবং জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিজেপি প্রার্থীদের। কারণ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ একাধিক সমস্যা তৈরি করছে। উল্লেখ্য বাঁকুড়ার কোতুলপুরেই বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার শুক্রবার মনোনয়ন জমা করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। অভিযোগ, বিডিও অফিস যেতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করা হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে ইটও মারা হয়।
সিপিএম-কে সাফ করেছি, এবার পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করবো। নন্দীগ্রামের শহিদ দিবস (Nandigram Diwas) পালনের মঞ্চ থেকে এই হুঙ্কার ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। তাঁর দাবি, 'পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র ধ্বংস। এমনি তো ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। আমি এই শহিদ বেদিকে সামনে রেখে বলে গেলাম, সিপিএম-কে সাফ করেছি। এবার পিসি-ভাইপোকে একেবারে গ্যারাজ করবো। আগামি বছর দেখা হবে, বাইরে থাকবে না ভিতরে থাকবে।' যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Minister Chandrima Bhattacharya)।
মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, 'লক্ষ্মণ শেঠদের যা অবস্থা হয়েছে আপনাদেরও সেই অবস্থা হবে।' এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস উদযাপনের অনুমতি প্রাথমিক ভাবে বিজেপিকে দেয়নি রাজ্য পুলিস। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বঙ্গ বিজেপি। আদালত শর্তাধীনে এবং সময় বেঁধে দিয়ে বিজেপিকে নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালনের অনুমতি দেয়।
মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'শহিদ বেদীতে মাল্যদানের অধিকার সবার আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে। সব মানুষের আছে, যাবেন মালা দেবেন চলে যাবে। কী এমন যুদ্ধ এখানে? কেন্দ্রীয় বাহিনী, হাইকোর্ট, সাজোসাজো রব, যুদ্ধ হবে। মানুষ খেতে পায় না, চাকরি পায় না। বাংলার ছেলেরা গুজরাত, কর্নাটকে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করছেন।'
শুভেন্দুর এই দাবিকে খোঁচা দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা। তিনি বলেন, 'অহঙ্কার পতনের কারণ। সেই অহং বারবার দেখা যাচ্ছে। ২০২৪-র ১৪ মার্চের আগে উনি গ্যারাজ করবেন সেই ক্ষমতা এখনও হয়নি। নিজে গ্যারাজড হবেন, না কোথায় থাকবেন আগে নিজে ঠিক করুন। শহিদদের স্মরণ করতে এসেছেন, সেটা উপলক্ষ্য মাত্র। আসল কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ।'
নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata) দাবি করেছেন, তৃণমূল (TMC) যখন রাজ্যে বিরোধী শক্তি ছিল, তখন কোনও ধ্বংসাত্মক কাজ করেনি। সোমবার তৃণমূল সুপ্রিমোর এই দাবিকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বলেন, 'উনি কতবার বনধ ডেকেছে, গাড়ি পুড়িয়েছেন সবাই জানে। হাটবারে, হাটবারে কী করতেন সবাই জানেন। উনি কিছু করেননি সিএ আর নূপুর শর্মা নিয়ে গাড়ি জ্বালিয়েছেন। সিএএ নিয়ে হাজার দুয়ারি ট্রেন পুড়িয়েছে কে? নবান্নের পাশে বাস পুড়িয়েছে, উনি বসে বসে দেখেছেন।'
এদিন তিনি পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূলের গৃহীত কর্মসূচিকে খোঁচা দিয়েছেন। তিনি জানান, 'এটা আই ওয়াশ। দিদিকে বলোর মতো নাটক। প্রতি ভোটের আগে এটা নাটক। দিদিকে বলো করে মাথায় টুপি পরে ভোট নিয়েছে বিধানসভায়। আবাস যোজনার ক্ষোভ নিয়ে মানুষ রাস্তায়, তাই এটা আই ওয়াশ।'
পাশাপাশি এদিন ভগবানপুরে বিজেপির কর্মিসম্মেলন থেকে রাজ্য থেকে 'তোলামূল পার্টি'কে উৎখাতের ডাক দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ঘুষহীন মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ, বাংলায় এই প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে। কাটমানি মুক্ত নাগরিক পরিষেবা, একশো দিনের কাজ আপনাদের অধিকার। পিএম কিষাণ নিধি সম্মান প্রকল্প বাংলায় চালু করতে হবে এই তিন দাবির উপর ভিত্তি করে বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা।
অমিত শাহকে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) ছাড়তে এসে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) গলায় 'টাইম হো গায়া' প্রসঙ্গ। কীসের 'সময় হয়েছে'? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জোর চর্চা শুরু বাংলার রাজনীতিতে (Bengal politics)। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের তোলা প্রশ্নের জবাব খানিকটা শুভেন্দুর গলা থেকেই বেড়িয়েছে। শনিবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে (Amit Shah at Kolkata) কলকাতা বিমানবন্দরে ছাড়তে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল প্রমুখ। সেই কর্মসূচির পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত। শুক্রবার বিজেপির রাজ্য অফিসে অমিত শাহের উপস্থিতিতে কী বৈঠক হয়েছে?
সংবাদ মাধ্যমের এই প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কালকের (শুক্রবার) বৈঠকের শুধু একটা কথা আমি বলতে পারি, কেউ একজন বলেছে টাইম হো গায়া! কে বলেছে বলছি না, টাইম হো গায়া। অর্থাৎ বাংলার বড় ডাকাতরা, চোররা, অত্যাচারীরা, পরিবারবাদ এবং তোষণবাদে আমদানি করা লোকেরা, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন এবং সংবিধান মেনে যা যা ব্যবস্থা করা উচিৎ, সেটা করা হবে। এই ব্যাপারে আমার বৈঠকে আশ্বাস পেয়েছি।'
তিনি জানান, 'মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিতজির সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সোমবার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে, সেই বৈঠকে আমারও ডাক পড়েছে। কিন্তু অমিতজি আমাকে বলেছেন, তুমি সোমবার ফিরবে না, মঙ্গলবার তোমাকে আধ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি সংসদে আমার অফিসে এসে সাক্ষাৎ করবে। অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা করার আছে। তাই রাজ্য সভাপতি আর তোমার সঙ্গে আলোচনা করবো।'
এদিকে, শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, ভালো দিনের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও। তিনি এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে বলেন, 'শুক্রবারের বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় এবং দলের আগামি কর্মসূচি নিয়ে জানতে চান অমিত শাহ। পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন, যার তর্জমা কিছুটা দাঁড়ায় আগামি দিনে বাংলার জন্য ভালো দিন বা আচ্ছে দিন।'
দেশের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পর এবার কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court) স্বস্তি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। তাঁর উপর সিঙ্গল বেঞ্চের থাকা রক্ষাকবচের বিরোধিতা করে রাজ্যের (Mamata Government) করা মামলায় তাড়াহুড়ো নেই। তাই তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গেল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে রাজ্যের করা আবেদনের শুনানি। তিন সপ্তাহ পর অর্থাৎ ৯ জানুয়ারি নির্দিষ্ট বেঞ্চে আবেদনের নির্দেশ বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চের। অর্থাৎ তিন সপ্তাহ বহাল থাকলো বিরোধী দলনেতার উপর হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ। দেশের শীর্ষ আদালতের পর এবার কলকাতা হাইকোর্টেও মুখ পুড়লো রাজ্যের।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধ এফআইআর করা যাবে না এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন পাঠিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্য ফের কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা দায়ের আবেদন জানায়। সেই মোতাবেক রাজ্যের করার আবেদনের শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ওঠে। কারণ এই মামলার জন্য বরাদ্দ করা বেঞ্চ অন্যত্র আছে, তাই সেই বেঞ্চ হাইকোর্টে ফিরলে তারাই শুনবে রাজ্যের আবেদন।
এদিন শুনানিতে রাজ্যের তরফে যুক্তি দেখানো হয়, 'আমরা আসানসোলে কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে তিনজনের মৃত্যু ঘটনার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করতে চাই। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মন্থর নির্দেশ আছে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে আদালতের নির্দেশ নিতে হবে। ওর বিরুদ্ধ অভিযোগ না করতে দিলে প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা রয়েছে।' এরপরেই বিচারপতির প্রশ্ন, 'ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত কি শুরু হয়ছে? পোস্ট মর্টেম কি হয়ছে? যদি তদন্ত শুরু হয় তবে প্রমাণ লোপাটের সম্ভাবনা নেই। তাড়াহুড়ো কীসের, রাজ্য কি বিচারপতি মন্থর নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেছে?'
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তি আপাতত স্থগিত। রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) এই মুহূর্তে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না। শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে। মামলাকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তপশিলি জাতি/উপজাতি, এসসি/ এসটি-দের সিট সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে। সেই তথ্যের কোনও যৌক্তিকতা নেই। কোন ভেরিফিকেশন ছাড়াই তথ্য প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হোক।'
পাশাপাশি আদালতে শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান, 'কলকাতা হাইকোর্টে আবেদনের আগে তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পুরো ঘটনাটি সবিস্তারে জানিয়েছেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।'
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইন মেনেই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তাই তাদের কোনও ত্রুটি এখানে নেই। তবে আপাতত এই বিজ্ঞপ্তিতে যেন স্থগিতাদেশ না দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, 'জুলাই মাসের ওই বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করা রইল। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত ওই অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল থাকবে।' আগামী ৯ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি। ততদিন পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনওরকম পদক্ষেপ নেবে না।
দেশের শীর্ষ আদালতেও (Supreme Court) সাময়িক স্বস্তি শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। বিরোধী দলনেতা (LOP) শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পাঠাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিরোধী দলনেতার কম্বলদান অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চায় রাজ্য।
সেই মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে মমতা সরকার। যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছাড়া বিরোধী দলনেতা অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আবেদন রাজ্যের। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ফেরালো সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে, হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের শুভেন্দুকে দেওয়া আইনি রক্ষাকবচের বিরোধিতায় সম্প্রতি ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন আইনজীবী আবু সোহেলের। সেই মামলাও ইতিমধ্যে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন।