
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ(depression)। সঙ্গে মায়ানমারের ঘূর্ণাবর্ত। দুইয়ের জেরে বৃষ্টির(rain) পূর্বাভাস(forecast) কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) কেঁদো দ্বীপের(island) কাছে উল্টে গেল এফবি সত্যনারায়ণ নামের একটি ট্রলার। সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগরের গভীরে শুক্রবার নিখোঁজ(missing) হয়ে যায় ট্রলারটি(trawler)। নিখোঁজ কাকদ্বীপ-নামখানা এলাকার ১৮ মৎস্যজীবী।
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পাওয়ার পর ফেরার সময় সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্পের অন্তর্গত কেঁদো দ্বীপের কাছে ডোবা চরে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। বঙ্গোপসাগরের গভীরে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তারা। মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষে উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত ১৬ আগস্ট বঙ্গোপসাগরের গভীরে ইলিশ ধরতে গিয়েছিল এফবি সত্যনারায়ণ নামের ট্রলারটি।
উল্লেখ্য, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকায় মত্স্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা ছিল। ট্রলারগুলিকে ১৭ তারিখের মধ্যে ফিরে আসার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। বার্তা পেয়ে ফেরার সময় কেঁদো দ্বীপে ডুবে যায় ট্রলারটি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উপকূলরক্ষী বাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বলে মৎস্যজীবী সংগঠনের দাবি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার গভীর সমুদ্রে নিয়মিত ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই কথা মাথায় রেখেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ,কাকদ্বীপ,রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি ও সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সতর্ক ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি কড়া নজরদারি শুরু করে জেলা মৎস্য দফতর। তারপরেও এরকম দুর্ঘটনায় মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাচ্চাদের খাবার, ঠাণ্ডা পানীয় সহ একাধিক মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী বিক্রি করার অভিযোগ এক ষ্টেশনারী দোকানদারের (Stationery shopkeeper) বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) চাঁদপাড়ায় কাটপট্ট মোড়ে কার্তিক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি দোকানে শনিবার রাতে একটি ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতল কিনতে যান। অভিযোগ, পানীয়ের বোতলের মেয়াদ উত্তীর্ণ (Expired) দেখতে পান তিনি। এরপরই তড়িঘড়ি ওই দোকানদারের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি দোকানদারকে জানালেও ভুরুক্ষেপ করতে চাননি দোকান মালিক।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা গিয়ে দেখতে পান ওই দোকানের একাধিক সামগ্রীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। যা দিনের পর দিন বিক্রি করে চলেছেন দোকান মালিক। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইখানা থানার পুলিস। পুলিস প্রাথমিকভাবে দোকানটি বন্ধ করে দেয়। দোকান থেকে বেশ কিছু সামগ্রীও পুলিস নিয়ে যায়। পাশাপাশি আটক করা হয় দোকান মালিকের ছেলেকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আশ্বাস দিয়েছেন চাঁদপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি।
তাঁদের মতে, বাজারের মধ্যে এমন একটি ঘটনা ঘটে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে, অথচ তাঁরা জানেনই না। তবে বিষয়টি সামনে আসতেই খতিয়ে দেখার আশ্বাসের সঙ্গেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা।
কুলতলী (Kultali) ব্লকের কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Kaikhali Primary Health Centre)। যেখানে মূলত মানুষেরা যান স্বাস্থ্যপরীক্ষা বা রোগ নিরাময়ের জন্য। তবে এখানে চিত্রটাই অন্যরকম। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (hospital) ঢুকলেই দেখা যাবে সেখানে চলছে যাত্রাপালার রিহার্সাল। যাত্রার নাম "সুন্দরীর বুকে শয়তানের থাবা"। কিন্তু কেন এই অবস্থা? রোগীদের দেখাই বা মিলছে না কেন?
কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। হাসপাতালে চিকিৎসকেও পাওয়া যায় না। চিকিৎসার জন্য ১২ কিলোমিটার দূরের জামতলা ব্লক হাসপাতালে যেতে হয় স্থানীয় রোগীদের। এমনকি, হাসপাতালের গর্ভবতী মায়েদের চেকআপের ঘরেরও ছাদ থেকে টপ টপ করে পড়ছে জল। এখানে ওখানে সিলিং-এর চাঙর ভেঙে পড়ছে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। নজর নেই স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের। একাধিকবার বলেও মেলেনি সুরাহা।
তবে হ্যাঁ! এই অব্যবহৃত ঘরগুলিতে দেদার হচ্ছে যাত্রাপালার রিহার্সাল। ঘরগুলিতে ঢুকতেই দেখা যাবে সিলিং-য়ে ঝুলছে একাধিক প্লাস্টিকের গ্লাস। যেটা মূলত মাইক ভেবে রিহার্সাল দেওয়া হয় যাত্রাপালায়। কিন্তু হুঁশ কোথায় প্রশাসনের? প্রশ্ন তুলে সরব স্থানীয়রা। তাঁরা চান গ্রামের মধ্যেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে গড়ে তোলা হোক সুষ্ঠভাবে।
বারুইপুরের ব্যানার্জী পাড়া থেকে ৭ জনের একটি দল অমরনাথের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় পয়লা জুলাই। সেই যাত্রাপথে মেঘভাঙা বৃষ্টির কবলে পড়েন শতাধিক পুণ্যার্থী, যাদের মধ্যে ছিলেন ব্যানার্জি পাড়ার বর্ষা মুহুরি, তাঁর মা এবং মামা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মা-কে বাঁচাতে পারলেও ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বর্ষার।
এই খবর শনিবার এলাকায় এসে পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা স্থানীয় বিধায়ক বিমান বন্দোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়েছেন বাকিদের তাদের ফিরিয়ে আনার। সেই মোতাবেক সরকারি সমস্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রবিবার এমনটাই জানান স্থানীয় পুরপিতা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বর্ষা। সেদিন সকালেই শেষবার বাবার সঙ্গে মেয়ের ফোনে কথা হয়েছিল। তারপরেই থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার উদ্ধার হয়েছে তরুণী বর্ষার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
আহত হয়েছেন বর্ষার মা ও মামাও। এদিকে, অমরনাথ বিপর্যয়ে আটকে এই বাংলার আরও পুণ্যার্থী। ক্রমেই কমছে হাতের টাকা, পুণ্যার্থী শিবিরের তাবু ভেসে যাওয়ায় অনেককে হোটেলে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ফলে অর্থাভাবে ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। অনেক হোটেল মালিক বিনামূল্যে আর আপ্যায়ন করতে নারাজ। তাই যেনতেন প্রকারে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি ফিরতে চাইছেন বাংলার পুণ্যার্থীরা।
"চলো যাই বাড়ি, আর আসব না শ্বশুরবাড়ি।" অভিমানী স্বামীর কাতর মিনতি স্ত্রীর কাছে। শ্বশুরবাড়ি এসে বিদ্যুৎ চুরির কেস পেয়ে রাগে অভিমানে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি যেতে প্রস্তুত স্বামী। জামাইয়ের রাগ ভাঙাতে শ্বশুর-শাশুড়ির আপ্রাণ চেষ্টা। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের হেরম্ব গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ কাশীনগর এলাকায়।
উল্লেখ্য, এই এলাকার বাসিন্দা স্বপন জানা। তাঁর তিন মেয়ে, ছেলে নেই। তাঁদের মধ্যে মেজ মেয়েকে রায়দিঘির দিঘিরপাড় এলাকায় পঙ্কজকুমার আদকের সঙ্গে বিয়ে দেন। ছেলে না থাকার কারণে ব্যবসার জন্য মেজ জামাই পঙ্কজকে বাড়িতে রাখেন। জামাই-শ্বশুর-মেয়ে মিলেমিশে ব্যবসার হাল ধরেছিলেন সবেমাএই। এরই মধ্যে সুখের সংসারে আগুন ধরিয়ে দিল বিদ্যুৎ দফতর থেকে আসা একটি নোটিস। যেখানে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে পঙ্কজ আদককে দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নোটিস দেখে হতবাক গোটা পরিবার।
তাঁদের দাবি, তাঁরা তো কোনও বিদ্যুৎ চুরিই করেননি, তাহলে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে এত টাকা জরিমানা কেন? তাও আবার জামাইয়ের নামে শ্বশুর বাড়িতে? এই প্রশ্নই এখন তাঁদের মুখে। তবে এখনও কোনও সদুত্তর পাননি তাঁরা।
ফের তোলাবাজির অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। এবার তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় বেধড়ক মারধর এক ইঞ্জিনিয়ার সহ তাঁর সহধর্মিনীকে। দিনে-দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিতলা এলাকায়। অভিযোগ, দেবীপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সনাতন মাইতি, তোলা হিসাবে দু লক্ষ টাকা চান ইঞ্জিনিয়ার কুন্তল মজুমদারের কাছে। তারই প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করেন প্রধানের নেতৃত্বে তাঁর অনুগামীরা। বর্তমানে ঘরছাড়া মজুমদার পরিবার।
ঘটনার পর কেটেছে একমাস, এখনও অধরা অভিযুক্তরা। কুন্তলবাবুর অভিযোগ, পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব আক্রান্তের পরিবার। শুধু থানায় নয়, আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই দম্পতি। তোলা চাওয়ার ঘটনা ২০/০৩/২০২২ তারিখের। ওইদিন তাঁদের নিজেদের জমিতে নার্সারির মাটি ফেলার কাজ চলছিল। সেইসময় অন্যায়ভাবে তাঁদের কাছে টাকা চান প্রধান। তা দিতে অস্বীকার করলে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে ইঞ্জিনিয়ারকে। ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষিকা জুলি। স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রী জুলি মজুমদারকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি কুন্তলবাবুকে তৃণমূলের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তিনি এসএসকেএমে চিকিত্সাধীন ছিলেন। এখন তাঁরা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। আতঙ্কিত গোটা পরিবার।
এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। স্থানীয় বিজেপি নেতা জানান, এই ঘটনা রাজ্যের একাধিক জায়গায় ঘটে চলেছে। তবে এর সুবিচার যদি মজুমদার পরিবার না পায় তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।
তবে এই বিষয়ে ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খান জানান, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দেদার মাটি ফেলায় অসুবিধা হচ্ছিল গ্রামবাসীদের। তবে মারধরের ঘটনা ঠিক নয়। দোষীরা শাস্তি পাবে।
ঘটনার পরই ফলতা থানায় অভিযোগ দায়ের করে দম্পতি। জানানো হয় এসপিকেও। তবে এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। তাঁদের কাতর আর্জি এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা হোক।
ঢিল ছোড়া দূরত্বে ক্যানিং থানা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার অন্তর্গত বেলেগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেতবেড়িয়া গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি। পরিবারের দাবি ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। খবর দেওয়া হয় থানায়।
পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, সেসময় তাঁরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন, দুষ্কৃতীরা তাঁদের ঘুম থেকে উঠিয়ে ভয় দেখিয়ে লুটপাট চালায়। হাতে ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল দুষ্কৃতীদের। সকলের হাত-পা এবং চোখে কাপড় বেঁধে ও গামছা বেঁধে দুষ্কৃতীরা সোনা গয়না, মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
এত আগ্নেয়াস্ত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোথায় থেকে দুষ্কৃতীরা মজুদ করছে? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষের মনে। যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসীরাও। প্রশাসন এব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয় সে দিকেই তাকিয়ে ওই পরিবার।
হালখাতার মিষ্টি খেয়ে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি ৩০জন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, অসুস্থদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শুক্রবার রাতে রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে একটি পশুখাদ্যের দোকানে হালখাতা হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা দোকানে হালখাতার মিষ্টি খাওয়ার পর, শনিবার দুপুর থেকে অসুস্থ হতে শুরু করেন। শুরু হয় বমি। এরপর তড়িঘড়ি সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই গ্রামের যাঁরা যাঁরা ওই মিষ্টি খেয়েছিলেন প্রত্যেকে ধীরে ধীরে অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন। অসুস্থ গ্রামবাসীদের নিয়ে আসা হয় সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। মোট ৩০ জন ভর্তি সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। এদের মধ্যে ১৮ জন শিশু।
ইতিমধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় দুজনের। তাঁদেরকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ গ্রামবাসীদের দেখতে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে যান সাগর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্য সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। অসুস্থদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিধায়ক।
সাগর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, মিষ্টির মধ্যে কোনোভাবে ফুট পয়জনিং বা বিষক্রিয়া হয়েছে। তার কারণে ডায়রিয়া নিয়ে বেশিরভাগ গ্রামবাসী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসা চলছে সকলের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। অভিজ্ঞ শিশু চিকিৎসকদের দিয়ে শিশুদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাগর থানার পুলিস। গবাদি পশুখাদ্য দোকানের মালিককে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সাগর থানার পুলিস।
অবিকল নামী কোম্পানির কোল্ড ড্রিঙ্কস। দঃ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার পুলিসি অভিযানে বাজেয়াপ্ত বহুজাতিক কোম্পানির নাম দিয়ে তৈরি এমনই নকল পানীয়। নামী কোম্পানির অনুমোদিত কর্মী মারফত খবর আসে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার শিমুলতলা মোড়ের কাছে চলছে নকল ঠান্ডা পানীয়ের ব্যবসা। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, সইফুল লস্কর নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে নামী কোম্পানির খালি বোতলে সোডার জল ভরে তা সিল করে বাজারে বিক্রি করে অবৈধ ব্যবসা করছে। এই খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিস উক্ত কোম্পানির কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই বটলিং প্ল্যান্টে হানা দেয়। এই অভিযানে সইফুল লস্করকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। ৪৭৯ টি নকল পানীয় ভরা বোতল, ১১৯২ টি খালি বোতল, ২৩৪০ টি ছিপি, ২ বোতল সিরাপ উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শনিবার ধৃতকে তোলা হয় আলিপুর আদালতে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই শিমুলতলা এলাকায় বহুজাতিক সংস্থার নামের আড়ালে এই নকল পানীয় প্রস্তুত করছিল সইফুল। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে কোন এলাকায় তা সরবরাহ করা হত, তার হদিশ পেতে চাইছেন পুলিস আধিকারিকরা।
প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে বেআইনি ব্যবসা। অথচ হেলদোল নেই প্রশাসনের। অভিযোগে সরব স্থানীয় বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার।
খবর পেয়ে পুলিস-প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ করেছে। আরও কারা জড়িত এই ঘটনায়, তার খোঁজ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক পুলিস-প্রশাসন, বললেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল।
তবে বিভিন্ন নামী সংস্থার ব্র্যান্ড ব্যবহার করে ভেজাল প্রস্তুত করার ঘটনা নতুন নয়। কখনও ঠান্ডা পানীয়, কখনও সরষের তেল সহ নানা জিনিস তৈরি নিয়ে অভিযোগ সামনে এসেছে। এখন নকল প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করে, তারই অপেক্ষা।
কল আছে, কিন্তু জল নেই। পানীয় জলের সমস্যায় এলাকার বাসিন্দারা। দঃ ২৪ পরগনার উত্তর মোকামবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পালবাড়ি এলাকা কার্যত জলশূন্য। একদিন-দুদিন নয়, প্রায় ১৫ দিন জল নেই এলাকায়। ফলে প্রায় ২০০ পরিবার পানীয় জলের সংকটে রয়েছে। অভিযোগ, টিউবওয়েল দীর্ঘদিন ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে জল আনতে যেতে হচ্ছে অনেক দূরে, দাবি বাসিন্দাদের।
জল না মেলায় ১০, ৩০, এমনকী ৪০ টাকা দিয়েও তা কিনে খেতে হচ্ছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিডিও এবং পঞ্চায়েতে জানিয়েও মেলেনি ফল। বেশ কিছু জায়গার টাইম কলে জল পড়ছে। আবার বেশ কিছু জায়গায় টাইম কলে পানীয় জলের সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। সময়মতো জল আসে না, পাইপ খারাপ। প্রায় ১৫ দিন জল নেই এলাকায়।
ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের মানুষ।
রাস্তা হচ্ছে, তাই পাইপ লাইনে ফাটল। সাফাই পঞ্চায়েত প্রধান সুস্মিতা বর্মণের। রাস্তার কাজ হয়ে গেলে জল মিলবে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন প্রধান।
অন্যদিকে এই সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলে দাবি বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দারের।
ভোট আসে, ভোট যায়। নেতারাও প্রতিশ্রুতি দেন উন্নয়ন হবে এলাকায়। আরও একটা ভোট সামনে। অপেক্ষায় এলাকাবাসী, কবে জল আসবে গ্রামে।
বাঘ আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না সুন্দরবনবাসীর। প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘ। ফের সু্ন্দরবনে (Sundarban) লোকালয়ে ঢুকে পড়ল বাঘ। তবে এবার জঙ্গল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরের গ্রামে মিলল দক্ষিণরায়ের পায়ের ছাপ। বাঘকে জঙ্গলে ফেরাতে গ্রামে তল্লাশি বনদফতরের আধিকারিকদের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নগেন্দ্রপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার ডোমকল এলাকায় মিলল বাঘের পায়ের ছাপ। লোকালয়ের বাঁধের উপর দেখা যায় বাঘ। ঠাকুরন নদীর চরের ঘটনা । ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আতঙ্কিত গ্রামবাসী।
ঘটনাস্থলে যান রায়দিঘির রেঞ্জার। সাহেব দ্বীপে যেতে পারে বলে অনুমান বনদফতরের।
পায়ের ছাপ দেখে মনে করা হচ্ছে বাঘই ঢুকেছে এলাকায়। সেই কারণে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করা হয়েছে বলে জানানো হয় বনদফতরের তরফে। তবে এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। কারণ, স্থানীয়দের দাবি কোনও দিন জঙ্গল থেকে দূরের ওই গ্রামে বাঘের দেখা মেলেনি। তিনটি নদী পেরিয়ে ৭ কিলোমিটার দূরের লোকালয়ে দক্ষিণরায়ের প্রবেশে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে এলাকায়।
আতঙ্কিত স্থানীযয় মানুষরা চাইছেন ফাঁদ পেতে বাঘ ধরুক বনদফতর। যাতে বাঘেরও কোনও ক্ষতি না হয়, আর মানুষেরও প্রাণহানি না হয়। বনদফতরের আধিকারিকদের প্রাথমিক ধারণা, মূলত তিনটি কারণে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে বাঘ। তার মধ্য়ে মূলত প্রধান এলাকা দখলের লড়াই। কখনও আবার সঙ্গীর খোঁজেও জঙ্গল ছাড়ে বাঘ। কেউ আবার বের হয় খাদ্যের খোঁজে। জঙ্গলের জালের পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষন হোক চাইছেন স্থানীয়রা।
মানবিকতার অনন্য নজির গড়লেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার ওসি আতিকুর রহমান। যাঁদের মাথায় ছাদ নেই, একবেলাও ঠিক করে খেতে পান না, যাঁদের জামা-কাপড়ের প্রয়োজন। তাদের পাশে আছেন ক্যানিং থানার ওসি। সেরকম খবর পেলেই তিনি ছুটে যান সাহায্য করতে। এবারও সেরকম এক বৃদ্ধার খবর পেয়ে পৌঁছে যান তাঁর কাছে।তাঁর হাতে তুলে দেন শীতবস্ত্র এবং কিছু ত্রাণ সামগ্রী।
উল্লেখ্য, রাস্তার পাশেই দিনগুজরান এখন রাধারানি সাহার। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, অনাহারে দিন কাটে তাঁর। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বাসিন্দা তিনি। চল্লিশ বছর আগে এসেছেন এপার বাংলায়। বর্তমানে তাঁর বয়স ৭০। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত দিঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্বপাড়া (নন্দন পল্লী ) এলাকায়।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বিগত দিনে এরকম উদ্যোগ তাঁর চোখে পড়েনি। প্রচুর মানুষ রয়েছেন যাঁরা ঝড়-জল-বৃষ্টি মাথায় করে দিনযাপন করছেন। সকলে যদি এভাবে এগিয়ে আসেন, প্রশাসন যদি পাশে থাকে তাহলে এই পথে থাকা মানুষগুলোর উপকার হবে। আর্থিক অনটনের জেরে আজ ওই বৃদ্ধার আশ্রয়স্থল রাস্তার ধার। পথচলতি মানুষ ও স্থানীয়রা তাঁকে খাবার- বস্ত্র দিয়ে সাহায্য় করেন। এবার একেবারে থানার ওসি স্বয়ং সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন, এই মহতী উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখছেন স্থানীয়রা।
ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূ জানান, তাঁরা সারাদিন বাড়িতে কেউ থাকেন না। যার ফলে তাঁর শাশুড়িকে দেখারও কেউ নেই। তাই বৃদ্ধা রাস্তায় গিয়ে থাকেন। অন্য়দিকে ওই বৃদ্ধাকে বাড়িতে রাখতে পারেননা, কারণ তিনি ভীষণ খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। তাঁরা ভাড়া থাকেন। বাড়ির মালিক এসব মেনে নিতে পারেননা। যে কারণে তাঁদের বারবার ভাড়া বাড়িও পাল্টাতে হয়েছে। তবে তিনি যখন সময় পান তখন শাশুড়িকে গিয়ে দেখে আসেন। খাবার-দাবার দিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, একদিকে যখন থানার ওসি স্বয়ং সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন। অপরদিকে নিজের পেটের সন্তান রাস্তায় ফেলে রেখেছেন বৃদ্ধাকে। মানবিকতার ছবির পাশাপাশি অমানবিকতার ছবিও স্পষ্ট।
জেট যুগে মানুষের হাতে সময় নেই। ইঁদুর দৌড়ে ব্য়স্ত সকলে। তবুও এমন কিছু মানবিক মুখ আছে, যার জন্য় আমাদের সমাজ এখনও সুসংবদ্ধ, সুসংহত। এইসব মানবিক মুখ থাকে প্রচারের আড়ালে। শুধু আমাদের খুঁজে নিতে হয়। এই যেমন ভ্যানচালক সহদেব দাস।
রাস্তায় অসুস্থ অবস্থায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পড়ে থাকতে দেখে, তাঁকে ভ্যানে চাপিয়ে বাসন্তী হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন ভ্যানচালক সহদেব দাস। হাসপাতালে যুবক চিকিৎসাধীন। এভাবেই সমাজকে মানবিকতার পাঠ দিলেন ভ্যানচালক।
দঃ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের শিবগঞ্জ বাজারের এক কোনে মাটিতে শুয়ে ঠান্ডায় কাঁপছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবক। রীতিমতো অসুস্থ তিনি। কিন্তু কারও সময় নেই তাঁর দিকে নজর দেওয়ার। তবে নজরে এসেছিল সহদেব দাসের। তক্ষুণি ছুটে যান ওই অসুস্থ ব্যক্তির কাছে। তাঁকে প্রথমে সাধ্যমতো খাবারও খাওয়ান। কিন্তু ওই ব্যক্তির শরীর আরও খারাপ হয়ে পড়লে নিজের ভ্যানে তুলে নেন তাঁকে। সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার।
সেই সময় ওই ভ্যানচালককে দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন আরও দুই ব্যক্তি। তাঁরা প্রথমে থানায় ফোন করেন। কিন্তু থানা থেকেও নির্দেশ দেয় হাসপাতালে নিয়ে যেতে। এরপর তিনজনে মিলে তড়িঘড়ি ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে বাসন্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ভর্তি করে অক্সিজেন দেওয়া হয়।
সমাজটা এখনও পুরোপুরি যান্ত্রিক হয়ে যায়নি। এখনও বেঁচে মানবিকতা। আর সেই মানবিকতার ছবি উঠে এল একজন সহনাগরিকের হাত ধরে। ভ্যানচালক ও ওই দুই ব্যক্তির এমন কাজকে কুর্ণিশ জানিয়েছে সকলে।
বুধবার সাতসকালে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ-২ ব্লকের নোদাখালি থানার মোহনপুর এলাকার ঘটনা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে উড়ে যায় কারখানার চাল। আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, মৃতরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগেই মোহনপুরের বাসিন্দা অসীম মণ্ডল পাড়ার মধ্যেই বাজি কারখানা চালু করেন। বাজি কারখানা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের তুমুল আপত্তি সত্ত্বেও সেই কারখানা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কারখানায় প্রচুর বারুদ মজুত করে রাখা ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকালে আচমকা ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
খবর পেয়ে নোদাখালি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। কয়েকজন গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম অসীম মণ্ডল, অতিথি হালদার এবং কাকলি মিদ্যা। প্রত্যেকেই মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা।
কারখানায় মজুত করা বারুদে আগুন লেগে যাওয়াতেই বিস্ফোরণ বড়সড় আকার ধারণ করেছে বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
নদীগর্ভ থেকে বালি চুরির অভিযোগ নতুন নয়। দিনে-দুপুরে চুরি হচ্ছে বালি। অব্য়াহত বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য়। সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার কুলতলি। এখানকার মাতলা নদী থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে চুরি করা হচ্ছে বালি। কেল্লার অম্বিকানগর কাঠখালিতে রাস্তার ধারে বালির বড় বড় স্তূপ করে বিক্রি হচ্ছে চুরি করা ওই বালি,অভিযোগ এমনই। নদী থেকে বালি তোলার কোনও অনুমতি নেই। তবু দিনের পর দিন নদীবক্ষ থেকেই বালি তুলছে এলাকার মানুষজন। কুলতলি এলাকার প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন মজুর প্রতিদিন বালি তোলার কাজ করে। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫টি নৌকা বোঝাই হয় বালিতে।
কিন্তু কিভাবে চলে এই বালিব্যবসা? পুলিস-প্রশাসন ও বন দফতরের মদতে নাকি এই ব্য়বসা চলছে, অকপট স্বীকারোক্তি শ্রমিকদের।
অভিযোগ পাওয়ার পরই উপযুক্ত ব্য়বস্থা নেবেন বলে জানান মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার । নদীবক্ষ থেকে বালি তোলার কোনও নিয়ম নেই বলেই জানান তিনি।
তবে বালি চুরি রুখতে তৎপর প্রশাসন। নদীবক্ষ থেকে বেআইনি বালি তোলার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় বারুইপুর পুলিস জেলার কুলতলি থানার তরফে। ঘটনায় গ্রেফতার ১০। বাজেয়াপ্ত দুটি গাড়ি ও একটি নৌকা।
নদীগর্ভ থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য় হারাচ্ছে। যার ফল ভোগ করতে হবে সুন্দরবনবাসীকে। অভিযোগে সরব জেলা বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীপ দাস। তিনি আক্রমণ শানালেন শাসকদলকে।