রাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। কিন্তু তারই মধ্যে বাংলায় প্রকাশ্যে গুলি (Shoot Out) চালানোর একাধিক ঘটনা ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি। ভাঙড়ে (Bhangar) গুলি চালনার ঘটনায় যেখানে তপ্ত রাজনীতি, সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুরে ফের শুট আউটের ঘটনায় মৃত্যু দুই জনের। বুধবার ভোররাত দুটো নাগাদ এই শুট আউটের ঘটনা বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়দা গ্রামের। এক মৃতের নাম বছর ৪৮-র সাজ্জাত মণ্ডল এবং অপরজন বছর ৩১-র সাইফুদ্দিন লস্কর। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পর মূল অভিযুক্ত আবদুল হামিদ মণ্ডলের তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ উত্তেজিত জনতার। মদ্যপানের আসরে বচসা থেকেই এই গুলি চালনার ঘটনা।
পরিবার সূত্রে খবর, রাত দুটো নাগাদ হঠাৎই পরিবারের কাছে খবর আসে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। মৃত সাজ্জাতের শ্যালক জানান, সাজ্জাত এবং সাইফুদ্দিন দুই বন্ধু। সাইফুদ্দিনের কাছে টাকা ছিল, আবদুল হামিদ সেই টাকা নেওয়ার জন্য জোর করে। তখন আমার জামাইবাবু সাজ্জাত আটকাতে গেলেই গুলি করেই আবদুল হামিদ।
অ্যাডিশনাল এসপি (জোনাল) জানান, তিন জন মদ্যপান করছিলেন ঘটনাস্থলে। সেই আসর থেকেই বচসা এবং আবদুল হামিদ মণ্ডল বাকি দু'জনের উদ্দেশে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়ে, অপর একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এই গুলি চালনায় ইমপ্রোভাইজড পাইপগান ব্যবহার করা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে, পিছনে বাকি কারা রয়েছে তদন্ত চলছে। নিশ্চিত কোনও কারণ এখনই বলছি না। তবে খুনের পিছনে টাকার একটা কারণ আছে। মূল অভিযুক্ত পলাতক।
এদিকে এই ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় অভিযুক্ত হামিদ মণ্ডলের তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন উত্তেজিত জনতা। ডোবায় ফেলে দেওয়া হয় একটি বাইক এবং রান্নার সিলিন্ডার। পরে দমকল এবং পুলিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জনতাকে শান্ত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি (জোনাল) পার্থ ঘোষ-সহ অন্য পুলিস কর্তারা।
ভর সন্ধ্যাতেই মর্মান্তিক ঘটনা। আগুনে পুড়ে মৃত্যু (death) এক গৃহবধুর। ঘরের মধ্যে থেকেই তাঁর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা আছে, খুন (murder) নাকি আত্মহত্যা (suicide) তা খতিয়ে দেখছে পুলিস (police)। মর্মান্তিক ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার জীবনতলা থানার মঠের দিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকির তকি গ্রামের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় রুমা মণ্ডল (১৯) নামে ওই গৃহবধুর অগ্নিদগ্ধ দেহ ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে পরিবার জানিয়েছে, কীভাবে ঘরে আগুন লাগল তা তাঁরা সঠিকভাবে জানতে পারেননি। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলেও দাবি পরিবারের। পরিবারের সকল সদস্য যখন বিভিন্ন কাজে বাড়ির বাইরে ছিল, তাঁরা খবর পান আচমকাই তাঁদের ঘরে আগুন জ্বলে। স্থানীয় মানুষজন সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়িটি সঙ্গে ওই গৃহবধূ রুমা মণ্ডলও। এরপরে পরিবারের লোকজন রুমা দেবীর দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনায় শোকাহত পরিবার।
মৃতার স্বামী জানান, শনিবার তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যায় তাঁকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর স্ত্রীর বিষয়ে। তিনি আরও জানান, এর আগেও তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হওয়ায় চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় কোনওভাবে বাঁচানো গেলেও এবার আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর স্ত্রী নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছেন নাকি আগুন লেগে গিয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নন তিনি। পুলিস দেহটি ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
অস্ত্র চোরাচালান (Arms Recover) রুখতে আবারও সাফল্য পেল বারুইপুর পুলিস জেলা (Baruipur Police)। বারুইপুর পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) এবং কাশিপুর থানার যৌথ অপারেশনে বমাল ধরা পড়েছে এক অস্ত্র পাচারকারী। ওই ব্যক্তির থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কয়েক রাউন্ড গুলি। ধৃতের নাম আসান মোল্লা, বাড়ি কাশিপুর থানার বানিয়াড়া গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শোনপুর বাজার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।
সূত্রের খবর, পুলিস খবর পায় রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে এক ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে সোনপুর বাজারে আসছে বিক্রির জন্য। সেই খবর পাওয়া মাত্রই আগে থেকে সোনপুর বাজারে কাশিপুর থানা ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা পৌঁছে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে দেখা যায় বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল করে সোনপুর অটো স্ট্যান্ডে হাজির। পুলিস নিশ্চিত হতেই ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি চালায়।
তাঁর ব্যাগ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিস ওই ব্যক্তির মোবাইল ও মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃত ব্যক্তি জেরায় স্বীকার করেছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। ধৃতকে শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিস তাঁকে হেফাজতে নিয়ে অস্ত্রগুলির উৎস এবং নেপথ্যে কারা, জানার চেষ্টা করবে।
৫০ হাজার টাকা তোলা দাবি করেছিল এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক। সেই টাকা দিতে না পারায় বাড়িতে এসে ব্যাপক ভাঙচুর, মারধর (Beaten) করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত যুবকদের আটক করেছে পুলিস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ঘুটিয়া শরিফ সুভাষপল্লী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই যুবকরা এলাকার প্রশান্ত ব্যাপারির বাড়িতে যায় কালীপুজোর রাতে এবং ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। প্রশান্ত ব্যাপারি সেই টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা না দিতে পারায় বুধবার রাতে ইলেকট্রিক অফ করে অভিযুক্তরা তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। বাড়িজুড়ে ভাঙা মারুতি গাড়ি,বাইক,এসি, সিসি ক্যামেরাও। পাশে আরও একটি বাড়িও ভাঙচুর চালিয়েছে তাঁরা। এরপরে ঘটনাস্থলে আসে ঘুটিয়া শরিফ ফাঁড়ির পুলিস। ইতিমধ্যে এলাকা থেকে মোট চারজনকে আটক করা হয়ছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ঘুটিয়ারি শরিফ থানার পুলিস।
এক গৃহবধূকে খুনের (murder) অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় মূহুর্তের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগণার মক্রমপুর (Makrampur) খিরিশতলা এলাকা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর দেড়েক আগে আরবান লস্করের সঙ্গে বিয়ে (marriage) হয় কাশ্মীরা খাতুনের। আরবান লস্করের বাড়ি মক্রমপুর খিরিশতলা এলাকায়। কাশ্মীরা খাতুনের বাড়ি বারুইপুরের সীতাকুণ্ড এলাকায়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন (Physical and mental abuse) চালাতেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারপরেও অনেক সহ্য করে সংসার করে যাচ্ছিলেন এই যুবতী।
যুবতীর বাবা জানান, তাঁদের মেয়ে কাশ্মীরা অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন তাঁকে বেধড়ক মারধর করতেন তাঁর স্বামী। ফলে গত এক মাস আগে প্রসব যন্ত্রণায় ওই অন্তঃসত্ত্ব যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করলে মৃত সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর থেকে আরও শারীরিক অত্যাচার বেড়ে যায় বলেই অভিযোগ। শনিবার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যান তিনি। যেখানে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি। কিন্তু মেয়ে ভালোভাবে কথা বললেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন সেইভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায়নি। বিকেল হতেই বাড়িতে চলে আসেন তিনি। শনিবার রাতে বাবার কাছে খবর আসে তাঁর মেয়ে আর নেই, গলায় দড়ি দিয়েছেন। এরপর সেখানে ছুটে যান মৃত যুবতীর পরিবারের লোকজন।
খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। সোনারপুর থানার পুলিস (police) সেখানে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় দেহটি। মৃত যুবতীর বাবা ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। আর এই খুন করেছেন তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সোনারপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। অভিযোগ পাওয়ার পর স্বামী আরবান লস্কর, শাশুড়ি তাজমিরা বিবি ও শশুর আকসাদ লস্কর নামে এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুজো (Durga Puja 2022) চলাকালীন শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে (Sit in Protest) অংশ নিতে পারবেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা পুলিসকে (Kolkata police) স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। তবে ২০০৯ প্রাথমিক নিয়োগে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান রানী রাসমণি রোড, না গান্ধীমূর্তি কোথায় হবে? সেটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন পুলিস কমিশনার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভের বসার এই ব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্ব পুলিস কমিশনারকে দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিন দিনের মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে হবে কোন জায়গায় অবস্থানে বসছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
যদিও এখন পুজো চলছে, পুলিস সুষ্ঠু পুজো আয়োজনে ব্যস্ত থাকবে। তাই চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানে বসার অনুমতি দেয়নি। এই যুক্তি আদালতকে দিয়েছিল কলকাতা পুলিস। কিন্তু সেই যুক্তি খারিজ করেছেন বিচারপতি মান্থা। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের বক্তব্য, '২০০৯ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্যানেলে আমাদের নিয়োগ আটকে। গত দু'বছর ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে ডেপুটেশন দিয়ে ক্লান্ত। এক মিনিটের জন্য মুখ্যমন্ত্রীরও সাক্ষাৎপ্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই অনুরোধ খারিজ হয়েছে। বারবার আমাদের বলা হয় জটিলতা আছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেরা নিয়োগের আশ্বাস পায়নি। ঠিক কী কারণে আমাদের নিয়োগ হচ্ছে না, জানতে পারছি না।'
তিনি জানান, এর আগে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চেয়ে কমিশনারকে আবেদন করেছি। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। আমরা চাই দিদি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। আমি মনে করি আমাদের যন্ত্রণা দিদির কান পর্যন্ত যায়নি।
নৃশংসতার সীমা পাড়! নিজের সন্তানকে শ্বাসরোধ (suffocation) করে খুন (murder) করার অভিযোগে আটক মা এবং সৎ বাবা। নির্মম এই ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরীফ পথের শেষ এলাকার। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
সূত্রের জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে বারুইপুর (Baruipur) চাম্পাহাটি এলাকার বাসিন্দা তপন মিস্ত্রি ও তাঁর স্ত্রী টুকাই মিস্ত্রি তাঁদের সন্তানকে ঘুরতে আসে ঘুটিয়ারি শরীফের পথের শেষ এলাকার এক আত্মীয়র বাড়িতে। তপন মিস্ত্রির স্ত্রী টুকাই মিস্ত্রি দুজনেই ফেসবুক থেকে আলাপ। তারপর দুজনেই বিয়ে করেন। তবে এই সন্তান টুকাই মিস্ত্রির প্রথম বিয়ের।
টুকাই মিস্ত্রির প্রথম বিয়ে করেন সুন্দরবন কোস্টাল থানার ছোট মোল্লাখালি এলাকার এক বাসিন্দার সঙ্গে। কিন্তু সেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় টুকাইয়ের। এরপর টুকাই এক সন্তানসহ আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন তপন মিস্ত্রির সঙ্গে। তপন মিস্ত্রি ও টুকাই মিস্ত্রির বিবাহিত জীবন সাত মাস। এরই মধ্যে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ি পুলিস এসে শিশুকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে চিকিৎসা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই মৃত শিশুকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিস।
ঘটনাস্থল থেকে ওই মৃত শিশুর মা ও সৎ বাবাকে আটক করেছে পুলিস।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ(depression)। সঙ্গে মায়ানমারের ঘূর্ণাবর্ত। দুইয়ের জেরে বৃষ্টির(rain) পূর্বাভাস(forecast) কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal) কেঁদো দ্বীপের(island) কাছে উল্টে গেল এফবি সত্যনারায়ণ নামের একটি ট্রলার। সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগরের গভীরে শুক্রবার নিখোঁজ(missing) হয়ে যায় ট্রলারটি(trawler)। নিখোঁজ কাকদ্বীপ-নামখানা এলাকার ১৮ মৎস্যজীবী।
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পাওয়ার পর ফেরার সময় সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্পের অন্তর্গত কেঁদো দ্বীপের কাছে ডোবা চরে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। বঙ্গোপসাগরের গভীরে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তারা। মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষে উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত ১৬ আগস্ট বঙ্গোপসাগরের গভীরে ইলিশ ধরতে গিয়েছিল এফবি সত্যনারায়ণ নামের ট্রলারটি।
উল্লেখ্য, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকায় মত্স্যজীবীদের জন্য সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা ছিল। ট্রলারগুলিকে ১৭ তারিখের মধ্যে ফিরে আসার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। বার্তা পেয়ে ফেরার সময় কেঁদো দ্বীপে ডুবে যায় ট্রলারটি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উপকূলরক্ষী বাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বলে মৎস্যজীবী সংগঠনের দাবি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার গভীর সমুদ্রে নিয়মিত ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই কথা মাথায় রেখেই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ,কাকদ্বীপ,রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি ও সাগরদ্বীপের মৎস্যজীবীদের সতর্ক ও সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি কড়া নজরদারি শুরু করে জেলা মৎস্য দফতর। তারপরেও এরকম দুর্ঘটনায় মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাচ্চাদের খাবার, ঠাণ্ডা পানীয় সহ একাধিক মেয়াদ উত্তীর্ণ সামগ্রী বিক্রি করার অভিযোগ এক ষ্টেশনারী দোকানদারের (Stationery shopkeeper) বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) চাঁদপাড়ায় কাটপট্ট মোড়ে কার্তিক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি দোকানে শনিবার রাতে একটি ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতল কিনতে যান। অভিযোগ, পানীয়ের বোতলের মেয়াদ উত্তীর্ণ (Expired) দেখতে পান তিনি। এরপরই তড়িঘড়ি ওই দোকানদারের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি দোকানদারকে জানালেও ভুরুক্ষেপ করতে চাননি দোকান মালিক।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা গিয়ে দেখতে পান ওই দোকানের একাধিক সামগ্রীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। যা দিনের পর দিন বিক্রি করে চলেছেন দোকান মালিক। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইখানা থানার পুলিস। পুলিস প্রাথমিকভাবে দোকানটি বন্ধ করে দেয়। দোকান থেকে বেশ কিছু সামগ্রীও পুলিস নিয়ে যায়। পাশাপাশি আটক করা হয় দোকান মালিকের ছেলেকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আশ্বাস দিয়েছেন চাঁদপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি।
তাঁদের মতে, বাজারের মধ্যে এমন একটি ঘটনা ঘটে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে, অথচ তাঁরা জানেনই না। তবে বিষয়টি সামনে আসতেই খতিয়ে দেখার আশ্বাসের সঙ্গেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা।
কুলতলী (Kultali) ব্লকের কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Kaikhali Primary Health Centre)। যেখানে মূলত মানুষেরা যান স্বাস্থ্যপরীক্ষা বা রোগ নিরাময়ের জন্য। তবে এখানে চিত্রটাই অন্যরকম। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (hospital) ঢুকলেই দেখা যাবে সেখানে চলছে যাত্রাপালার রিহার্সাল। যাত্রার নাম "সুন্দরীর বুকে শয়তানের থাবা"। কিন্তু কেন এই অবস্থা? রোগীদের দেখাই বা মিলছে না কেন?
কৈখালী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। হাসপাতালে চিকিৎসকেও পাওয়া যায় না। চিকিৎসার জন্য ১২ কিলোমিটার দূরের জামতলা ব্লক হাসপাতালে যেতে হয় স্থানীয় রোগীদের। এমনকি, হাসপাতালের গর্ভবতী মায়েদের চেকআপের ঘরেরও ছাদ থেকে টপ টপ করে পড়ছে জল। এখানে ওখানে সিলিং-এর চাঙর ভেঙে পড়ছে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। নজর নেই স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের। একাধিকবার বলেও মেলেনি সুরাহা।
তবে হ্যাঁ! এই অব্যবহৃত ঘরগুলিতে দেদার হচ্ছে যাত্রাপালার রিহার্সাল। ঘরগুলিতে ঢুকতেই দেখা যাবে সিলিং-য়ে ঝুলছে একাধিক প্লাস্টিকের গ্লাস। যেটা মূলত মাইক ভেবে রিহার্সাল দেওয়া হয় যাত্রাপালায়। কিন্তু হুঁশ কোথায় প্রশাসনের? প্রশ্ন তুলে সরব স্থানীয়রা। তাঁরা চান গ্রামের মধ্যেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে গড়ে তোলা হোক সুষ্ঠভাবে।