
খালের জলে ভেসে ওঠে এক শিশুর দেহ (Child Death Body)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) উস্থি থানার (Usthi Police) লালপোল এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উস্থি থানার পুলিস। শিশুর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবারে পাঠায় পুলিস। এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম আফফান লস্কর। জয়নগর থানার ধপধপি এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বাবা-মায়ের সঙ্গে উস্থিতে মামার বাড়িতে এসেছিল আফফান। শনিবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবারের মগরাহাটের ক্রিক খালের পাশে খেলতে যায় সে। খেলার সময় অসাবধানতায় খালের জলে পড়ে তলিয়ে যায় বছর ২ এর আফফান লস্কর। সেই সময়ই খালে জোয়ারের টান থাকায় নিমেষেই জলের স্রোতে তলিয়ে যায় ২ বছরের শিশু। পরে আফফানের খোঁজে খালের জলে তল্লাশি শুরু করে তাঁর পরিবার।
পরে খবর দেওয়া হয় উস্থি থানার পুলিসকে। উস্থি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডায়মন্ড হারবারের মগরাহাট খালে তল্লাশি অভিযান শুরু করলেও খোঁজ মেলেনি ওই শিশুর। এরপর রবিবার সকালে ওই খালের মধ্যেই ভেসে ওঠে শিশুটির দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত গোটা এলাকা।
রাস্তা-ব্রিজের সঙ্গেই এবার জল সংকট (Water Problem)। মন্দিরবাজার ব্লকের কেচারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামভদ্রপুর গ্রামের মাঝেরপাড়া (Majherpara) এলাকায় দীর্ঘদিন জল সংকটে ভুগছেন এলাকাবাসী। এই এলাকার মানুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা পানীয় জল। এলাকায় কল না থাকায় পানীয় জল আনতে যেতে হয় প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে উত্তরপাড়া এবং দক্ষিণপাড়ায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোট আসলেই জনপ্রতিনিধিরা জলের কল বসানোর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়িত করতে পারেনি কেউ।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, রামভদ্রপুর অবৈতনিক বিদ্যালয়ে রয়েছে একটিমাত্র ডিপ টিউব কল। কিন্তু আয়রনের জন্য সেই জলও খাওয়া যায় না। আবার কখনও এই কলে উঠে আসছে ঘোলা-নোংরা জল। যা কোনওভাবেই খাওয়ার উপযুক্ত নয়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সবদিনই উত্তর এবং দক্ষিণ পাড়ার পানীয় কলের উপরে নির্ভর করতে হয় এই মাঝেরপাড়ার ১০০-১৫০ পরিবারকে।
তাঁদের দাবি, এত দূর থেকে জল আনতে বড় সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় পুকুরের জলই তাঁদের ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে পুকুরের জলের স্তর কমে যাওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মাঝেরপাড়ার মানুষদের। দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই যেন তারা জল পরিষেবা পায়।
যদিও এই বিষয়ে বিরোধীদের দাবি, জল নিয়ে রাজনীতি করছে শাসক দল। ভোট আসলেই বলে কল পাইয়ে দেবে। আর ভোটে জেতার পর খোঁজ মেলে না এই সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের। তাই এবার কল নিয়ে তারা আন্দোলনে নামবে গ্রামবাসীদের নিয়ে। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার ভোট লড়বে বিজেপিও।
বিরোধীদের এই কথায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বিশ্বনাথ হালদার জানান, 'জল নিয়ে রাজনীতি করা যায় না। তৃণমূল কেচারপুরে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে। তাহলে কি কেচারপুরের কলের জল বিরোধীরা খায় না?' তিনি আরও বলেন, 'ইতিমধ্যেই কলের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কাজ শুরু হবে।'
বিপুল পরিমাণে গাঁজা(weed) উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার ৩। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধানকলের ঘটনা। ঘটনার তদন্তে বিষ্ণুপুর থানার পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৫ কেজি গাঁজা। যার বাজারমূল্য এখন প্রায় লক্ষাধিক টাকা। অভিযুক্তদের আলিপুর আদালতে পেশ করেছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তখনই বিহার থেকে এই বিপুল পরিমাণে গাঁজা নিয়ে মগরাহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল ওই তিন ব্যক্তি। যার মধ্যে একজন গাড়িচালক ও দু'জন মিডল ম্যান। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ২৫ কেজি গাঁজা। যার বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। পুলিস আরও জানায়, আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত এই তিন অভিযুক্ত।
প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তরা জানায়, মগরাহাটের বাবুর আলীর কাছে এই গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিলো তাঁরা। তার আগেই বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধানকল থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
কৈখালী থেকে কলকাতায় ফেরার পথে এক 'পুলিসকর্মী'র গাড়ির ধাক্কায় (Kultali Accident) আহত দুই। আহতদের মধ্যে এক শিশু (Child Injure)-সহ কিশোরীও রয়েছে। দু'জনকেই কলকাতার এক হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কুলতলী থানার কালীতলা এলাকার এই ঘটনায় সোমবার সকালেও চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনার পর ঘাতক গাড়ির ড্রাইভারের সিটে বসে থাকা ব্যক্তি নিজেকে কুলতলী থানার পুলিস (Police Car) বলে দাবি করেন। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং কৈখালীর দিক থেকে এসে প্রবল বেগে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারেন ওই দুই পথচারীকে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী দু'জনকে উদ্ধার করে প্রথমে জামতলা হাসপাতাল নিয়ে যায়, দু'জনেরই অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ঘাতক গাড়িতে পুলিস লেখা স্টিকার এবং নিজেদেরকে কুলতলী থানার পুলিস পরিচয় দেন গাড়িতে থাকা দু'জন।। ক্ষিপ্ত জনতা গাড়িটি আটকে রাখেন। কুলতলী থানার পুলিস গিয়ে গাড়ি-সহ দু'জনকে উদ্ধার করেন।
পরিবার সূত্রে দাবি, দু'জন খাবার কিনে ফিরছিল, তখন পিছন দিক থেকে বেসামাল একটি গাড়ি তাদের ধাক্কা মারে। আহত একজনের নাক এবং মুখ ফেটে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এমজি এনআরজিএস কাজে ১ নম্বরে নাম পঞ্চায়েতের (Panchayet)। কিন্তু সেই পঞ্চায়েতে এমন এক পাড়া রয়েছে, যেখানে নেই কোনও পাকা রাস্তা (road)। বাম আমল থেকেই এক ফুট রাস্তায় ইট ফেলে যাতায়াত করছেন প্রায় একশো-দেড়শো মানুষ। তবে বর্তমানে শাসক দলের নেতাদের সমস্যার কথা জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। যাতায়াতের জন্য পাড়ার মানুষদের ধার করতে হয় ব্যক্তিগত রাস্তা (private road)। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? এই প্রশ্নই এখন স্থানীয়দের মনে।
মগরাহাট (Magrahat) এক নম্বর ব্লকের একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত। যোগারিয়া সরদার পাড়া, শতাধিক পরিবার রয়েছে এখানে। বাম আমলে রাস্তা হলেও আজও সংস্কার হয়নি। পাড়ায় কোনও পাকা রাস্তা নেই। দেউলা বাস মোড়, হটুগঞ্জ মোড় কিংবা ডায়মন্ড হারবার যেতে গেলে এই খানাখন্দ ভরা রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। পাকা রাস্তা বলতে ভিতরে ইট পড়েছে মাত্র একশো মিটার। তা আবার বহু আগের, বাকিটা মাটির রাস্তা। বর্ষাকালে বড় সমস্যা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাম আমলে ইট পড়েছিল, সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলেও পাড়ার বাকি রাস্তাটা পুরো মাটির। গ্রীষ্ম-শীত তো তাও ঠিক আছে, কিন্তু বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। প্রতি বছর বর্ষাকালে হাঁটু অবধি জল জমে এই রাস্তায়। সেই সময় স্কুল যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায় এলাকার পড়ুয়াদের। শুধু তাই নয়, নিত্যদিন যাতায়াতও তখন বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিটা মুহূর্তে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের। একাধিকবার পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বিডিও, এসডিও সবাইকে জানিয়ে মেলেনি সুরাহা। পাড়ায় এখনও কোনও রাস্তাই হয়নি।
ফলে গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য রাস্তা ধার করে যেতে হয় দেউলা, হটুগঞ্জ, ডায়মন্ডহারবার-সহ একাধিক এলাকায়। এমনকি, স্থানীয় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের কোলে তুলে নিয়ে যেতে হয়। পাড়ায় ঢোকে না কোনও অ্যাম্বুলেন্স (Ambulance), কোনও যানবাহন। সমস্যায় বহু মানুষ, কবে মিটবে এই সমস্যা জানেন না কেউই।
ফের রাজ্যে উদ্ধার একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র (firearms)। বীরভূমের (Birbhum) নানুরে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার (arrest) ১ দুষ্কৃতী। নানুর থানার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর সোমবার ভোররাতে নানুর থানার অন্তর্গত বেনেড়া গ্রামে হানা দেয় পুলিস। সেখানে জেরমান শেখ ওরফে জেরায়ের বাড়িতে পুলিস (police) তল্লাশি চালায়। সেখানে দুটি দেশি বন্ধুক এবং একটি ৭.৬৫ বন্দুক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই সকল বন্দুক উদ্ধার করার পাশাপাশি পুলিসের তরফ থেকে মোট ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে সোমবার আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বকুলতলা থানার পুলিস বাইজবাটির পূর্বপাড়া এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে। ধৃত ব্যাক্তির নাম বাপি সরদার। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি লং ব্যারেল পাইপগান, একটি শর্ট পাইপগান ও এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ। ধৃত কী কারণে অস্ত্র মজুত করেছিল সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধৃতকে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বকুলতলা থানার পুলিস।
আবারও বাঘের (tiger) আতঙ্ক পাথরপ্রতিমায় (Pathar Pratima)। রাতভর আতঙ্কে (panic) ঘুম উড়ে যায় স্থানীয়দের। প্রাণ যাওয়ার ভয়ে ঘরবন্দী দশা প্রায় সকলেরই। রাতভর ঘুম ভেঙে পাহারারত অবস্থা। শেষমেষ তা হাতেনাতে ধরাও পড়ে। তবে একি কাণ্ড! দিনের আলো পড়তেই চক্ষুচড়কগাছ এলাকাবাসীদের। কী এমন ঘটল?
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার গঙ্গাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দা উত্তম জানার মুরগি ঘরে হঠাৎ করে দেখা যায় একটি জন্তুকে। মুরগির চিৎকারে ঘুম ভেঙে উঠে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা দেখতে পান বিরাট আকৃতির এক জন্তু সেখানে ঘুরছে। রাতের অন্ধকারে চোখ জ্বলজ্বল করছে। ভয়ে, আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন তাঁরা।
তাঁদের আওয়াজ শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে আসেন। মূহুর্তের মধ্যেই ঘিরে ফেলে এলাকাটি। এমনকী মুরগির খামারের চতুর্দিকে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয়দের চিৎকারে এদিকে জন্তুটিও গা ঢাকা দিয়েছে। শেষমেষ খবর যায় বন দফতরে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরই মধ্যে ফুটে ওঠে দিনের আলো। আর দিনের আলো ফুটতেই যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সকলেই। আলোতেই বোঝা যায় রাতভর যে জন্তুটি তাঁদের ঘুম উড়িয়েছে তা আসলে বাঘ নয়, বরং একটি আস্ত বাঘরোল।
এবার আন্তর্জাতিক মোবাইল পাচার চক্রের হদিস পেল জীবনতলা থানার পুলিস (police)। গ্রেফতার (arrest) করা হয় আন্তর্জাতিক মোবাইল (mobile) পাচার চক্রের এক পাণ্ডাকে। উদ্ধার হয়েছে ৬১টি মোবাইল ফোন, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১২ লক্ষ টাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঘুটিয়ারি (Ghutiari) শরীফের মাকালতলা থেকে এই পাচার চক্রের পাণ্ডাকে পুলিস গ্রেফতার করে।
বারুইপুর পুলিস জেলার পুলিস সুপার মিস পুষ্পা শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধৃত ব্যক্তি সেলিম লস্করের বাড়িতে তল্লাশি চলায় পুলিস। এরপর একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৬১টি খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন। পাশাপাশি সেলিম লস্কর স্বীকার করে, বিভিন্ন খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনগুলি একত্রিত করে বাংলাদেশের পাচার করত সে। আর এই কাজে তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একটি মোবাইল মোরামতির দোকানও। শুধু তাই নয়, এই চক্রে তার ছেলে-সহ অন্যরাও জড়িত বলে পুলিসকে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে ধৃত সেলিম লস্কর। ঘটনার পর থেকেই তদন্তে নেমেছে পুলিস।
রাজ্যে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। কিন্তু তারই মধ্যে বাংলায় প্রকাশ্যে গুলি (Shoot Out) চালানোর একাধিক ঘটনা ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি। ভাঙড়ে (Bhangar) গুলি চালনার ঘটনায় যেখানে তপ্ত রাজনীতি, সেখানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুরে ফের শুট আউটের ঘটনায় মৃত্যু দুই জনের। বুধবার ভোররাত দুটো নাগাদ এই শুট আউটের ঘটনা বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়দা গ্রামের। এক মৃতের নাম বছর ৪৮-র সাজ্জাত মণ্ডল এবং অপরজন বছর ৩১-র সাইফুদ্দিন লস্কর। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পর মূল অভিযুক্ত আবদুল হামিদ মণ্ডলের তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ উত্তেজিত জনতার। মদ্যপানের আসরে বচসা থেকেই এই গুলি চালনার ঘটনা।
পরিবার সূত্রে খবর, রাত দুটো নাগাদ হঠাৎই পরিবারের কাছে খবর আসে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তাঁরা। মৃত সাজ্জাতের শ্যালক জানান, সাজ্জাত এবং সাইফুদ্দিন দুই বন্ধু। সাইফুদ্দিনের কাছে টাকা ছিল, আবদুল হামিদ সেই টাকা নেওয়ার জন্য জোর করে। তখন আমার জামাইবাবু সাজ্জাত আটকাতে গেলেই গুলি করেই আবদুল হামিদ।
অ্যাডিশনাল এসপি (জোনাল) জানান, তিন জন মদ্যপান করছিলেন ঘটনাস্থলে। সেই আসর থেকেই বচসা এবং আবদুল হামিদ মণ্ডল বাকি দু'জনের উদ্দেশে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়ে, অপর একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এই গুলি চালনায় ইমপ্রোভাইজড পাইপগান ব্যবহার করা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে, পিছনে বাকি কারা রয়েছে তদন্ত চলছে। নিশ্চিত কোনও কারণ এখনই বলছি না। তবে খুনের পিছনে টাকার একটা কারণ আছে। মূল অভিযুক্ত পলাতক।
এদিকে এই ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় অভিযুক্ত হামিদ মণ্ডলের তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন উত্তেজিত জনতা। ডোবায় ফেলে দেওয়া হয় একটি বাইক এবং রান্নার সিলিন্ডার। পরে দমকল এবং পুলিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জনতাকে শান্ত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি (জোনাল) পার্থ ঘোষ-সহ অন্য পুলিস কর্তারা।
ভর সন্ধ্যাতেই মর্মান্তিক ঘটনা। আগুনে পুড়ে মৃত্যু (death) এক গৃহবধুর। ঘরের মধ্যে থেকেই তাঁর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা আছে, খুন (murder) নাকি আত্মহত্যা (suicide) তা খতিয়ে দেখছে পুলিস (police)। মর্মান্তিক ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার জীবনতলা থানার মঠের দিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকির তকি গ্রামের।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় রুমা মণ্ডল (১৯) নামে ওই গৃহবধুর অগ্নিদগ্ধ দেহ ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে পরিবার জানিয়েছে, কীভাবে ঘরে আগুন লাগল তা তাঁরা সঠিকভাবে জানতে পারেননি। দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলেও দাবি পরিবারের। পরিবারের সকল সদস্য যখন বিভিন্ন কাজে বাড়ির বাইরে ছিল, তাঁরা খবর পান আচমকাই তাঁদের ঘরে আগুন জ্বলে। স্থানীয় মানুষজন সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়িটি সঙ্গে ওই গৃহবধূ রুমা মণ্ডলও। এরপরে পরিবারের লোকজন রুমা দেবীর দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনায় শোকাহত পরিবার।
মৃতার স্বামী জানান, শনিবার তিনি বাড়িতে ছিলেন না। সন্ধ্যায় তাঁকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর স্ত্রীর বিষয়ে। তিনি আরও জানান, এর আগেও তাঁর স্ত্রী আত্মঘাতী হওয়ায় চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় কোনওভাবে বাঁচানো গেলেও এবার আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর স্ত্রী নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছেন নাকি আগুন লেগে গিয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নন তিনি। পুলিস দেহটি ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে পুলিস।
অস্ত্র চোরাচালান (Arms Recover) রুখতে আবারও সাফল্য পেল বারুইপুর পুলিস জেলা (Baruipur Police)। বারুইপুর পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG) এবং কাশিপুর থানার যৌথ অপারেশনে বমাল ধরা পড়েছে এক অস্ত্র পাচারকারী। ওই ব্যক্তির থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং কয়েক রাউন্ড গুলি। ধৃতের নাম আসান মোল্লা, বাড়ি কাশিপুর থানার বানিয়াড়া গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শোনপুর বাজার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।
সূত্রের খবর, পুলিস খবর পায় রঘুনাথপুর গ্রাম থেকে এক ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে সোনপুর বাজারে আসছে বিক্রির জন্য। সেই খবর পাওয়া মাত্রই আগে থেকে সোনপুর বাজারে কাশিপুর থানা ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা পৌঁছে যায়। নির্দিষ্ট সময়ে দেখা যায় বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল করে সোনপুর অটো স্ট্যান্ডে হাজির। পুলিস নিশ্চিত হতেই ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি চালায়।
তাঁর ব্যাগ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিস ওই ব্যক্তির মোবাইল ও মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃত ব্যক্তি জেরায় স্বীকার করেছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। ধৃতকে শনিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিস তাঁকে হেফাজতে নিয়ে অস্ত্রগুলির উৎস এবং নেপথ্যে কারা, জানার চেষ্টা করবে।
৫০ হাজার টাকা তোলা দাবি করেছিল এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক। সেই টাকা দিতে না পারায় বাড়িতে এসে ব্যাপক ভাঙচুর, মারধর (Beaten) করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্ত যুবকদের আটক করেছে পুলিস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ঘুটিয়া শরিফ সুভাষপল্লী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই যুবকরা এলাকার প্রশান্ত ব্যাপারির বাড়িতে যায় কালীপুজোর রাতে এবং ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। প্রশান্ত ব্যাপারি সেই টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা না দিতে পারায় বুধবার রাতে ইলেকট্রিক অফ করে অভিযুক্তরা তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। বাড়িজুড়ে ভাঙা মারুতি গাড়ি,বাইক,এসি, সিসি ক্যামেরাও। পাশে আরও একটি বাড়িও ভাঙচুর চালিয়েছে তাঁরা। এরপরে ঘটনাস্থলে আসে ঘুটিয়া শরিফ ফাঁড়ির পুলিস। ইতিমধ্যে এলাকা থেকে মোট চারজনকে আটক করা হয়ছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ঘুটিয়ারি শরিফ থানার পুলিস।
এক গৃহবধূকে খুনের (murder) অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় মূহুর্তের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগণার মক্রমপুর (Makrampur) খিরিশতলা এলাকা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর দেড়েক আগে আরবান লস্করের সঙ্গে বিয়ে (marriage) হয় কাশ্মীরা খাতুনের। আরবান লস্করের বাড়ি মক্রমপুর খিরিশতলা এলাকায়। কাশ্মীরা খাতুনের বাড়ি বারুইপুরের সীতাকুণ্ড এলাকায়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন (Physical and mental abuse) চালাতেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারপরেও অনেক সহ্য করে সংসার করে যাচ্ছিলেন এই যুবতী।
যুবতীর বাবা জানান, তাঁদের মেয়ে কাশ্মীরা অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন তাঁকে বেধড়ক মারধর করতেন তাঁর স্বামী। ফলে গত এক মাস আগে প্রসব যন্ত্রণায় ওই অন্তঃসত্ত্ব যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করলে মৃত সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর থেকে আরও শারীরিক অত্যাচার বেড়ে যায় বলেই অভিযোগ। শনিবার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যান তিনি। যেখানে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি। কিন্তু মেয়ে ভালোভাবে কথা বললেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন সেইভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায়নি। বিকেল হতেই বাড়িতে চলে আসেন তিনি। শনিবার রাতে বাবার কাছে খবর আসে তাঁর মেয়ে আর নেই, গলায় দড়ি দিয়েছেন। এরপর সেখানে ছুটে যান মৃত যুবতীর পরিবারের লোকজন।
খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। সোনারপুর থানার পুলিস (police) সেখানে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় দেহটি। মৃত যুবতীর বাবা ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। আর এই খুন করেছেন তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সোনারপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। অভিযোগ পাওয়ার পর স্বামী আরবান লস্কর, শাশুড়ি তাজমিরা বিবি ও শশুর আকসাদ লস্কর নামে এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুজো (Durga Puja 2022) চলাকালীন শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে (Sit in Protest) অংশ নিতে পারবেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতা পুলিসকে (Kolkata police) স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। তবে ২০০৯ প্রাথমিক নিয়োগে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের এই অবস্থান রানী রাসমণি রোড, না গান্ধীমূর্তি কোথায় হবে? সেটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবেন পুলিস কমিশনার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভের বসার এই ব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্ব পুলিস কমিশনারকে দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিন দিনের মধ্যে হাইকোর্টকে জানাতে হবে কোন জায়গায় অবস্থানে বসছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
যদিও এখন পুজো চলছে, পুলিস সুষ্ঠু পুজো আয়োজনে ব্যস্ত থাকবে। তাই চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানে বসার অনুমতি দেয়নি। এই যুক্তি আদালতকে দিয়েছিল কলকাতা পুলিস। কিন্তু সেই যুক্তি খারিজ করেছেন বিচারপতি মান্থা। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের বক্তব্য, '২০০৯ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্যানেলে আমাদের নিয়োগ আটকে। গত দু'বছর ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে ডেপুটেশন দিয়ে ক্লান্ত। এক মিনিটের জন্য মুখ্যমন্ত্রীরও সাক্ষাৎপ্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই অনুরোধ খারিজ হয়েছে। বারবার আমাদের বলা হয় জটিলতা আছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেরা নিয়োগের আশ্বাস পায়নি। ঠিক কী কারণে আমাদের নিয়োগ হচ্ছে না, জানতে পারছি না।'
তিনি জানান, এর আগে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চেয়ে কমিশনারকে আবেদন করেছি। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। আমরা চাই দিদি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। আমি মনে করি আমাদের যন্ত্রণা দিদির কান পর্যন্ত যায়নি।
নৃশংসতার সীমা পাড়! নিজের সন্তানকে শ্বাসরোধ (suffocation) করে খুন (murder) করার অভিযোগে আটক মা এবং সৎ বাবা। নির্মম এই ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরীফ পথের শেষ এলাকার। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
সূত্রের জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে বারুইপুর (Baruipur) চাম্পাহাটি এলাকার বাসিন্দা তপন মিস্ত্রি ও তাঁর স্ত্রী টুকাই মিস্ত্রি তাঁদের সন্তানকে ঘুরতে আসে ঘুটিয়ারি শরীফের পথের শেষ এলাকার এক আত্মীয়র বাড়িতে। তপন মিস্ত্রির স্ত্রী টুকাই মিস্ত্রি দুজনেই ফেসবুক থেকে আলাপ। তারপর দুজনেই বিয়ে করেন। তবে এই সন্তান টুকাই মিস্ত্রির প্রথম বিয়ের।
টুকাই মিস্ত্রির প্রথম বিয়ে করেন সুন্দরবন কোস্টাল থানার ছোট মোল্লাখালি এলাকার এক বাসিন্দার সঙ্গে। কিন্তু সেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় টুকাইয়ের। এরপর টুকাই এক সন্তানসহ আবার দ্বিতীয় বিয়ে করেন তপন মিস্ত্রির সঙ্গে। তপন মিস্ত্রি ও টুকাই মিস্ত্রির বিবাহিত জীবন সাত মাস। এরই মধ্যে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ি পুলিস এসে শিশুকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সেখানে চিকিৎসা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই মৃত শিশুকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিস।
ঘটনাস্থল থেকে ওই মৃত শিশুর মা ও সৎ বাবাকে আটক করেছে পুলিস।