ফের পাচারকার্য (Smuggling) রুখলো পুলিস। মহিষ (Buffalo) ভর্তি একটি দশ চাকা গাড়ি আটক করলো পুলিস (Police)। ওই গাড়িটি থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪০ টি মহিষ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Phansidewa) মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর থানার অন্তর্গত মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টের সামনে। এই ঘটনায় ওই গাড়ির চালক ও সহকারী চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধৃত ওই দুজনকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহাকুম আদালতে পাঠানো হয়েছে। এমনকি এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম হাবিবুল রহমান ও আব্দুল হাকিম। দু'জনের বাড়িই বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়।
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার রাতে মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টের সামনে বিধান নগর থানার পুলিস নাকা চেকিং চালায়। আর সেই সময়ই একটি দশ চাকার কন্টেনার গাড়িকে আটক করে। তারপরেই গাড়িটির ভিতরে তল্লাশি চালানোর সময় গাড়ির ভিতর থেকে প্রায় ৪০ টি মহিষ উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মহিষ গুলিকে উদ্ধার করার পরেই গাড়ির চালককে মহিষ বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তবে গাড়ির চালক কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এর ফলেই পুলিস মহিষ সহ কন্টেনার গাড়িটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং গাড়ির চালক ও সহকারী চালককে গ্রেফতার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, বিহারের পূর্ণিয়া থেকে মহিষ গুলি অসমের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পাচারের উদ্দেশ্যে।
সীমান্তে দুটি গরু সহ এক ব্যক্তিকে (Cow Smuggling) গ্রেফতার (Arrest) করে এসএসবি (SSB)। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত-নেপাল সীমান্তের বড় মনিরাম জোত এলাকায়। ধৃত ওই ব্যাক্তিকে নকশালবাড়ি থানার পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ ইসলাম (৬০)। অভিযুক্ত ছোট মনিরাম জোতের বাসিন্দা।
সূত্রের খবর, নকশালবাড়ির ভারত-নেপাল সীমান্তে বড় মনিরাম জোতে টহলদারি চালানোর সময় এক ব্যক্তিকে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকতে দেখা যায়। ঠিক তখনই সন্দেহ হয় এসএসবি আধিকারিকদের। সন্দেহের জেরে তাঁরা অভিযুক্তর কাছে যায়। তারপরেই অভিযুক্তর থেকে ওই দুটি গরু উদ্ধার করা হয়। এসএসবি-র অনুমান, অভিযুক্ত ওই গরু দুটিকে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল।
কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) তদন্তে নেমে বড়সড় 'তথ্য' উঠে এল ইডির (ED) হাতে। সূত্রের খবর, বাংলা থেকে প্রায় ২২ বার বিদেশ গিয়েছেন একাধিক প্রভাবশালী। তাও আবার এক বছরে ২২ বার। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। সরাসরি নাম না করলেও ইডি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রভাবশালী তালিকায় এক সাংসদ, তাঁর হিসাবরক্ষক ও দু’জনের পরিবারের সদস্যেরা রয়েছেন। তিন বছরের মধ্যে কেন তাঁদের এত বার বিদেশে যেতে হয়েছে, কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করার জন্যই ২২ বার বিদেশ ভ্রমণ? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে ভ্রমণের টিকিট কাটা হয়েছিল। সেই সংস্থায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, ২২ বারের মধ্যে ১৫ বারই দুবাই গিয়েছেন প্রভাবশালীরা। আর বাকি তো লন্ডন, তাইল্যাণ্ডও রয়েছে ওই তালিকায়। ইতিমধ্যেই সংস্থার মালিকদের ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। বিদেশে প্রভাবশালীদের নামে সংস্থা খোলার জন্য পাচারের টাকার বড় অংশ ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে সেই টাকাই দেশে প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের নামে ও বেনামে তৈরি সংস্থায় পাঠানো হয়েছে বলে দাবি ইডির।
তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা বিনয় মিশ্রও ইডির আতশকাচের তলায় রয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, একসময় একাধিকবার বিদেশ গিয়েছিলেন তিনিও। শুধু তাই নয়, পাচারকারীদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগের মধ্যস্থতা করতেন বিনয়ই। কয়লা পাচারের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝির বয়ানে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) ফের মলয় ঘটককে তলব (Summon) ইডির (ED)। দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে ২৬ তারিখ হাজিরার নির্দেশ। এর আগে ২১ তারিখ আইনমন্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। মলয় ছাড়াও অনুপ মাঝিকে ২৬ জুন তলব করেছে ইডি। পঞ্চায়েত ভোটের কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান মলয়। ইডিকে চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছিলেন মলয় ঘটক। কয়লাকাণ্ডে লেনদেনের তথ্য সামনে রেখে মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারকাণ্ডে এর আগেও একাধিক বার মলয়কে তলব করেছে ইডি। তার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইডির একাধিক বার তলবেও দিল্লি যাননি মলয়। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল। সেই দায়িত্ব পালনের জন্য বর্তমানে জেলা সফরে রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে। এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মলয় ঘটককে সময় দিয়ে ডাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১৫ দিনের সময় দেওয়ার কথা জানায় দিল্লি হাইকোর্ট। ইডি সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে সময় চেয়ে মেল করা হয়েছিল। আইনমন্ত্রীর তরফে একটিও মেলের জবাব দেওয়া হয়নি।
রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দিল্লি হাইকোর্ট থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মৌখিক আশ্বাসে সুরক্ষা কবচে ছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর কাছে নেই আদালতের সুরক্ষাকবচও।
অভিনব কায়দায় সোনা পাচার করতে গিয়ে রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের (DRI) হাতে গ্রেফতার পাচারকারী। পুলিস এবং গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে জুতোর সোলের ভেতর লুকিয়ে সোনা পাচারের (Gold Smuggling) চেষ্টা। যদিও শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিল ডিআরআই (রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতর)। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে কোটি টাকা মূল্যের সোনা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা অসমের ধূবরির বাসিন্দা সোনাউল্লা সিকদার এবং বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা দিবাকর দাস। ধৃতদের বুধবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে ডিআরআই।
গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জে (Tufanganj) অভিযান চালায় ডিআরআই। সেখান থেকে সোনাউল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সোনাউল্লা বাইকে করে রওনা হয়েছিল শিলিগুড়ির পথে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার মূল পাণ্ডা দিবাকর। এরপরই ধৃতের বয়ান অনুসারে অভিযান চালানো হয় নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন চত্বর এলাকায়। তল্লাশির সময় আপ ডিব্রুগর রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে পাকড়াও করা হয় দিবাকরকে। দু'জনের হেফাজত থেকে মোট ১৬টি সোনার বিস্কুট সহ একটি সোনার বার বাজেয়াপ্ত করা হয়। যেগুলি জুতোর সোলের ভেতর লুকিয়ে রাখা ছিল বলেই খবর। বাজেয়াপ্ত করা সোনার মোট ওজন ২ কেজি ৪৮১.৫ গ্রাম। আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৪৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৭০ টাকা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা বিপুল পরিমাণ সোনাগুলি বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল এদেশে। এরপর সেগুলি সুপরিকল্পিতভাবে পাচারের ছক কষা হয়েছিল। এই পাচার চক্রের পিছনে বড় কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
একদিকে যখন কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে (Rujira Banerjee) তলব করেছে ইডি (ED)। ৮ই জুন কলকাতার ইডির দফতরে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে কয়লা পাচারকাণ্ডে মলয় ঘটককে তলব ইডির। ১৯শে জুন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে সশরীরে হাজিরা নির্দেশ দিয়েছে ইডি। পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল হাতে সময় রেখে তাকে তলব করতে হবে। সেজন্যই উনিশে জুন রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। এর পূর্বেও ২ বার আইন মন্ত্রীকে কয়লাপাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। যদিও তিনি হাজির হন নি।
ট্রাকে মাঝরাতে ত্রিপলের আড়ালে বেআইনি ভাবে কয়লা পাচার চলছে, এ অভিযোগ বারবার আসছিল দুবরাজপুর থানায় (Dubrajpur PS)। এবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আগেভাগেই রাজ্য সড়কে ওৎ পেতে বসে ছিল পুলিস (Police)। বেআইনি কয়লা সহ ওই ট্রাকটিকে দেখে, দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাতেই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারী আধিকারিকদের। ধরা পড়তেই পালাতে চেষ্টা করেন ওই ট্রাক চালক। যদিও তাঁকে আটক করে পুলিস।
শনিবার রাতে এই ঘটনায় একটি ট্রাক সহ একজনকে আটক করেছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। অভিযুক্তকে রবিবার আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৬ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিস আরও জানিয়েছে, ট্রাকটিতে প্রায় ২২ টন অবৈধ কয়লা পাচার করা হচ্ছিল। পুলিস সূত্রে আরও খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে ওই ট্রাকটিকে আটক করে পুলিস। ওই ট্রাকে তল্লাশি চালালে বিপুল পরিমাণ কয়লা উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ওই চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই বেআইনি কয়লা কোথায় যাচ্ছিল, কোথা থেকে আসছিল তা জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।
সম্প্রতি, ট্রাক্টরের ইটের নিচে অবৈধ কয়লা পাচার করতে গিয়ে দুবরাজপুর থানা পুলিসের হাতে ধরা পড়ে অবৈধ কয়লা সহ ট্রাক্টর। ওই ঘটনায় চারজন অবৈধ কয়লা পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। বর্তমানে তাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছে। ওই ট্র্যাক্টারে ইটের নিচে প্রায় ৩ টন অবৈধ কয়লা প্রচার করা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পেরে ওই ইট বোঝায় ট্রাক্টারটা ধরে ফেলে এবং ইট সরাতেই বেরিয়ে আসে অবৈধ কয়লা।
গরুপাচার (Cow Smuggling) মামলার তদন্তে এবার আরও কঠোর পথে হাটল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। ইডির দাবি, গত ৭-৮ বছরে নামে-বেনামে বিপুল টাকার সম্পত্তি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। কোনওটা প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে। আবার কোনওটা মেয়ে সুকন্যার নামে। বুধবার ইডি অনুব্রত,তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রতের ১১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু অ্যাকাউন্ট তাঁর মেয়ের নামেও ছিল। সেই অ্যাকাউন্ট এখন ইডির দখলে। জানা গিয়েছে, তাঁর হিসেবরক্ষক মনীশ কোঠারির ২৫ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এর আগে সিবিআইও অনুব্রতের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এবার সেই পথে হাঁটল ইডি।
এদিন ইডির বাজেয়াপ্ত তালিকায় আছে বিপুল পরিমাণ জমি। শিব-শম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস মিল-সহ আরও অনেক সম্পত্তি। অনুব্রতের অস্থাবর সম্পত্তির দিকেও নজর ইডির।
ফের মহিষ পাচার (Buffalo Smuggling) রুখল পুলিস। সে সঙ্গেই দুটি কন্টেনার সহ চারজনকে গ্রেফতার (Arrest) করল পুলিস। শনিবার বিধাননগর থানার অন্তর্গত শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টের ঘটনা। ঘটনাস্থলে বিধাননগর থানার পুলিস (Police)। শনিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত চারজনের নাম দিলিপ কর্মকার (২৪), মহম্মদ সুকুরুউদ্দিন (১৯), রাসিদ (৩০), মহম্মদ ফরমান আলি (২২)। চারজনই উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলার বাসিন্দা।
বিধাননগর থানার ওসি অনুপ বৈদ্য জানিয়েছেন, শনিবার ভোরবেলা গোপন সূত্রের খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিস। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টে অভিযান চালায় বিধাননগর থানার পুলিস। এরপরেই সেখানে তিনটি কন্টেনার আটক করে পুলিস। সেই কন্টেনার গুলিতে তল্লাশি চালিয়ে একটি কন্টেনার থেকে ৩৫টি মহিষ ও অন্য একটি কন্টেনার থেকে ২৫টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৮৭ টি মহিষ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর অনুমান, মহিষগুলো ডালখোলা থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
ফের পাচারের (Smuggling) চেষ্টা বানচাল করল পুলিস (Police)। বিএসএফ-এর (BSF) স্টিকার লাগানো বাইকে করে নেশার ট্যাবলেট (Addictive Tablets) পাচারের চেষ্টায় এক যুবকেক গ্রেফতার করল সোনাপুর (Alipurduar) ফাঁড়ির পুলিস। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনাপুর পুলিস ফাঁড়ির ওসি মিংমা শেরপা নিজে অভিযান চালিয়ে চিলাপাতা চেকিং পয়েন্ট-এ নেশার ট্যাবলেট সহ একটি বাইক আটক করে। এই অভিযানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিসের এসডিপিও দেবাশীষ চক্রবর্তী ও আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচাৰ্য।
পুলিস জানিয়েছে, কোচবিহার থেকে জয়গাঁও যাওয়ার পথে চিলাপাতা মোড়ে চেকিং পয়েন্ট থেকে নেশার ট্যাবলেট সহ ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি কোচবিহার জেলায়। অভিযু্ক্ত পুলিসের নজর এড়াতে বাইকে বিএসএফ-র স্টিকার লাগিয়ে ট্যাবলেটগুলি পাচারের চেষ্টা করছিল। তবে পুলিসের তৎপরতায় তা সফল করতে পারেনি পাচারকারী। ইতিমধ্যেই বাইক সহ পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, মাঝে মাঝেই এই পথ ধরে নেশার সামগ্রী ভুটানে পাচারের চেষ্টা করে পাচারকারীরা।
গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় ওমর শেখকে (Omar Shiekh) তলব ইডির (ED)। ইডির চার্জশিটে আগেই নাম ছিল এই ওমর শেখের। বোলপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধান ওমর শেখ অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। গরু পাচার মামলায় পূর্বেই অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও হিসাব রক্ষক মনীশ কোঠারীকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বর্তমানে তাঁরা তিহার জেলে বন্দী।
এবার গরু পাচার মামলায় আরও এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠকে তলবা করলো ইডি। একদিকে যখন অনুব্রতর গড় বীরভূমের অনুব্রত নেই, সে সময় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙ্গন ইত্যাদি দলের চিন্তার কারণ বটে। সেই ভাঙ্গন, গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে দলের তরফে মলয় ঘটক, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক ও ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁরা নিজেরাও অবশ্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে আছেন। বেশ কিছুদিন আগে গরু পাচার মামলাতেই বারবার দিল্লি থেকে ডাক আসছিল সিউড়ির আইসি মোহাম্মদ আলির, তাঁর সম্পত্তি, ও বিভিন্ন নথি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে চেয়ে তাঁকে বারবার তলব করা হয়। এবার গরু পাচারের বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুর পুরসভার উপ-পুরপ্রধানকে তলব করা হয়েছে।
কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling) ২ অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁদের ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
কয়লা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ইসিএলের প্রাক্তন ডিরেক্টর টেকনিক্যাল অপারেশন সুনীল কুমার ঝাঁ ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিং-কে হেফাজতে নেওয়ার পর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লা পাচার নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আগামী ১৬ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআই এদিন হেফাজতে পায় বিনয় মিশ্রকেও। চারদিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়েছে বিনয় মিশ্রকে।
কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সঙ্গে ধৃত ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা ও সিআইএসএফ ইন্সপেক্টরের আর্থিক লেনদেন ছিল বলে সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার ধৃত দু’জনকেই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরেই তাদের গ্রেফতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্ত চলাকালীন এই প্রথম কোনও সিআইএসএফ কর্তাকে গ্রেফতার করা হল।
কয়লা পাচার (Cow Smuggling) মামলায় এবার বিপাকে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে আগেই বিএসএফ (BSF) কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই (CBI)। তখনই নাম উঠে এসেছিল আরও কিছু বিএসএফ আধিকারিকের নাম উঠে এসেছিল। এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও দুই কর্তা।
সিবিআই সূত্রের খবর, এই প্রথম সিআইএসএফের কোনো ইনস্পেক্টরকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতার করা হয়েছে ইসিএলের এক প্রাক্তন আধিকারিককেও। সিবিআই জানিয়েছে, প্রাক্তন ইসিএল কর্তার নাম সুনীল কুমার ঝা। পাশাপাশি আরও খবর, গ্রেফতার হওয়া সিআইএসএফ কর্তার নাম আনন্দ সিং।
সিবিআই সূত্রে খবর, এই দুই অভিযুক্ত ইসিলের প্রাক্তন কর্তা ও একজন সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর দুজনেই টাকার বিনিময়ে পাচারকারীদের সাহায্য করেছিলেন।
গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার আসানসোল জেলে যাওয়ার শখে জল ঢেলেছে দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট। ইতিমধ্যে ওই কোর্টেই গরু পাচার (Cow Smuggling) কাণ্ডের চার্জশিট (Charge Sheet) দিয়েছে ইডি (ED)। বাবা ও মেয়েকে পূর্বেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। এবার গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযু্ক্ত হিসাবে তিন জনেরই নাম রয়েছে চার্জশিটে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিরও।
ইডির চার্জশিটে রয়েছে ভোলেব্যোম রাইস মিল, শিবশম্ভু রাইস মিল, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড সার্ভিস লিমিটেডের কথাও। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন অনুব্রত। সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন সুকন্যা। ভোলেব্যোম রাইস মিলের অংশীদারও ছিলেন তিনি।
অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশ— তিন জনই এখন গরু পাচারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। গত ২৬ এপ্রিল ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেছিলেন। তার পরেই ওই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় সাড়ে আট মাস আগে, গত বছরের ১১ অগস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। তাঁকে তখন গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তিনি ইডির হাতে গ্রেফতার হন।
গত বছরের অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই সময় বিপুল সম্পত্তি নিয়ে কেষ্ট-কন্যাকে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তদন্তকারীদের তিনি সদুত্তর দেননি। জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা এবং হিসাবরক্ষক মণীশই দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, ওই কারণেই অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভেবেছে ইডি।
বন্ধন এক্সপ্রেস (Bandhan Express) ট্রেন থেকে ৬৮.৪৫ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রসাধনী, ওষুধ, তামাক, গৃহস্থালি সামগ্রী এবং কাপড় উদ্ধার (Smuggling)। উদ্ধার করেছে বিএসএফ (BSF) কর্মীরা। ওই জিনিসগুলি বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন দ্বারা ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্রগুলি পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রচুর পরিমাণে প্রসাধনী সামগ্রী, ওষুধ, গৃহস্থালির জিনিসপত্র, আতশবাজি, তামাক এবং কাপড় অবৈধভাবে পাচার করতে চলেছে। তাই সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডার একটি অনুসন্ধান দল গঠন করেন। এই ট্রেনটি কলকাতার চিৎপুর থেকে পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশের খুলনায় যায়। তাই তল্লাশি দল আইসিপি পেট্রাপোলে ট্রেন থামিয়ে ডগ হ্যান্ডলারদের সঙ্গে অনুসন্ধান দল ট্রেনটির পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান চালায়। আর সেই তল্লাশির সময়ই জওয়ানরা ট্রেনের বগি থেকে এই জিনিসগুলি উদ্ধার করে।
দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি কর্তব্যরত বিএসএফ সদস্যদের দ্বারা প্রদর্শিত সতর্কতার প্রতিফলন মাত্র। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, বিএসএফ জওয়ানরা কোনও অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরনের অপরাধ ঘটতে দেবেন না। তিনি আরও বলেন, আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য সক্রিয় রয়েছে।